সাইদীর সাথে বাহাস ও সাইদীকে চাঁদে দেখার জন্য আমার প্রচেষ্টা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৮ আগস্ট, ২০১৫, ১০:৩৩:০১ রাত
ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান ৩ রা মার্চ ২০১৩ তারিখ বাংলাদেশের জামায়াত-শিবির কর্মীদের একাংশের মতোই কারারুদ্ধ জামায়াত নেতা সাঈদীকে চাঁদে দেখতে পান । তার প্রমাণ এই ভিডিও :
https://www.facebook.com/amarichchakore/videos/3874473199745/
https://www.youtube.com/watch?v=w_2gMI006eE
সালমান খান হিন্দুয়ানী মুসলমান আর ঐশ্বরিয়া মুসলমানি হিন্দু ।
যে হিন্দু মুসলিমকে ভালবাসে সে মুসলমানি হিন্দু । ঐশ্বরিয়া নিজেই বেশ কয়েকটা সাক্ষাৎকারে বলেছে সালমান থানকে সে এখনও ভালবাসে । আর ঐশ্বরিয়া নিজেও সালমান খানের সাথে সিনামা করতে পছন্দ করে।
মুসলিম মেয়ে কেথরিনা কাইফকে সালমান খান পাত্তা দেয় না । এজন্য বেশ কয়েক বার খাজা মইনুদ্দীন চিশতী (রহ.) মাজার বেশ কয়েক বার কেথরিনা কাইফ জিয়ারত করে । এর ফলে তিনি সালমান খানের সাথে বেশ কয়েকটা সিনেমা করার সুযোগ পান ও সেই সিনামাগুলো ব্যবসা সফলও হয় । কেথরিনা কাইফের মতো মেয়েগুলো মুতগাইরাত রাইয়াহ্ । তাদের ব্যাপারে হাদিসে বলা হয়েছে, তারা কখনো জান্নাতে যাবে না ।
https://www.youtube.com/watch?v=KDGUii_vz8s
সালমান খান আজানের শব্দ শুনে তাৎক্ষণিক ভাবে বন্ধ করলেন বক্তব্য দেয়া...
Salman Khan Doing Wuzu & Zohr Ki Namaaz (Prayers) || Sallu.net
https://www.youtube.com/watch?v=Gv68W_36If8
হিন্দুয়ানী মুসলমান ছেলেগুলোর জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ আছে । যদি তারা তওবা করে ও ঐশ্বরিয়ার মতো মেয়েদের বিয়ে করে মুসলমান বানিয়ে ফেলে । হিন্দুয়ানী মুসলামান ছেলেরা হলো দাইয়াস । হাদিসে বলা হয়েছে, দাইয়ুস ছেলেরা জান্নাতে যাবে না ।
দাইয়ুস হলো এমন ছেলে যে তার স্ত্রী ছাড়া অন্য মেয়েদের যৌনতাগ্রস্হ হয়ে চুমু দেয় বা স্ত্রী ছাড়া অন্য মেয়েদের বাজে ভাবে দেখে ও তাদের নিয়ে চিন্তা করে ।
মুতগাইরাত রাইয়াহ্ বলা হয় বেআব্রু মেয়েদের যাদের দিকে তাকালেই ছেলেদের গুনাহ হয় ও ধর্মীয় চিন্তা দুরীভুত হয় ।
মুতগাইরাত রাইয়াহ্ ও বেআব্রু মেয়েদেরও জান্নাতে যাওয়ার সুযোগ আছে । কিন্তু এজন্য ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পরতে হবে ও ইসলামী আচরণবিধি অনুসরণ করার পাশাপাশি ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজ করতে হবে ।
আমি মুসলিম ছেলেদের দাইয়ুস ও মুসলিম মেয়েদের মুতগাইরাত রাইয়াহ্ না হওয়ার জন্য বিনীতভাবে অনুরোদ করছি । অন্যথায় আপনাদের স্হান হবে জাহান্নাম ।
আমি নিজে সাইদীকে দেখার জন্য চাঁদের দিকে আমার দুরবীনটা স্হির করেছি । আর সাইদীর ছবি ভিডিও করার জন্য দুরবীনের শেষ মাথায় একটা ১২ ম্যাগা পিকজেলের ভিডিও ক্যামারা লাগিয়েছি ।
সাইদীকে আমি স্বপ্নে দেখেছি । আমি স্বপ্নে সাইদীর সাথে বাহাস (ধর্মীয় বিতর্ক ) করেছি । এই বাহাসে সাইদী আমার কাছে পরাজিত হন । এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য অন্য দিন শেয়ার করবো ।
আজ চাঁদের ১৩ তারিখ । আকাশে ৯৮% পুর্নিমা । মোটামোটি ১৩ হতে ১৮ তারিখ পর্যন্ত সাইদীকে চাদে দেখার সুযোগ ভালভাবে পাওয়া যাবে । তবে মাঝে মধ্যে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে ।
এজন্য আমি আমার দুরবীনটাকে সেভাবে তেরী করে রেখেছি ।
আমার দুরবীনটার ক্ষমতা অসাধারণ । দেখুন আমার দুরবীনের বৈশিষ্ট্যগুলো এই ভিডিও হতে :
https://www.youtube.com/watch?v=Wra1X6m9tiE
অনেক দেশের মুসলিমরা দুরবীন দিয়ে নতুন চাঁদ বা ঈদের চাঁদ দেখে ঈদ করেন । যেমন : সৌদি আরব । এই ব্যাপারটাকে অনেকে জ্যোর্তিবিজ্ঞানের বিভিন্ন উপাত্ত দিয়ে ভুল প্রমাণ করার বৃথা চেষ্টা করছেন । বাস্তবতা হলো সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ ও রোজা করে সেসব দেশ জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও পঞ্জিকা বিজ্ঞান অনুযায়ী সঠিক কাজ করছে বলে মনে করে থাকি ।
নতুন চাঁদ দেখার জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পর্কিত মানদন্ড স্হান অনুযায়ী পরিবর্তনশীল । উপরন্তু নতুন চাঁদ দেখার যে মানদন্ড আছে তা গড় হিসেবে মাত্র । উপরন্তু এসব মানদন্ড হিসেব করে পঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার বানানো সম্ভব নয় । এজন্য জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দেশ ও স্হান অনুযায়ী মানদন্ড স্হির করে থাকেন । বাংলাদেশের সরকারী ক্যালেন্ডারগুলোতে এজাতীয় মানদন্ড রয়েছে । এতে দেখা যায় নতুন চাঁদের বয়স ১.৫ দিন বা ২ দিন হলেও হিজরী সনের তারিখ ১ তারিখ ধরা হয় না ।
এভাবে বিশ্বের সব দেশকে ক্যালেন্ডার বানানোর ক্ষেত্রে এভাবে অনেকগুলো মানদন্ড ব্যবহার করা হয় । নতুন চাদের বয়স ৯ ঘন্টা এমন নতুন চাঁদও খালি চোখে দেখা যাওয়ার রেকর্ড রয়েছে । উপরন্ত খালি চোখে দেখার আগেই দুরবীন ব্যবহার করে নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব । অনেক সময় যে এলাকায় খালি চোখে নতুন চাঁদ দেখা সম্ভব নয় , সেই এলাকায় দুরবীন দিয়ে দেখা সম্ভব । যেমন এই দুরবীন দিয়ে দেখা সম্ভব : http://bangladesh-astronomical-union.blogspot.com/2015/06/orbinar-203800-eq4-reflector-telescope.html ।
আমি বেশ কয়েক বছর আগে সৌদি আরবের টিভিতে ঈদের নতুন চাঁদ দেখার উপর লাইভ টক শা-র অনুষ্ঠানদেখেছি । সেই অনুষ্ঠানে দুরবীন ব্যবহার করে সরাসরি নতুন চাঁদ দেখানো হচ্ছিল । আর কীভাবে নতুন চাঁদ দেখতে হয় তাও বর্ণণা করা হচ্ছিল ।
দুরবীন বিভিন্ন ধরনের হয় - 1. আলোক দুরবীন :http://bangladesh-astronomical-union.blogspot.com/2015/06/orbinar-203800-eq4-reflector-telescope.html
2. রেডিও দুরবীন । যেমন : রাডারও এক ধরনের দুরবীন । অনেক দেশ চাদ দেখার জন্য রাডারও ব্যবহার করে । যেমন : তুরস্ক । আর এই ক্ষেত্রেও বিশেষ মানদন্ড স্হির করেছে ।
মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া,সিঙ্গাপুর দুরবীন ব্যবহার করে । ব্রুনাই করে না । এজন্য অনেক সময় এদেশ এক দিন পর ঈদ করে ।
রাসুল (সা.) - এর যুগে চশমা ছিল না , ঘড়ি ছিল না । যদি থাকতো এসব ব্যবহারের কথা হাদিসে থাকতো । তার মানে এই নয় এসব ব্যবহার করা যাবে না । আমরা ইসলাম প্রচার করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করি । ফেসবুক ব্যবহার করি । হাদিসে এসব ব্যবহার করার কথা নেই । তারপরও করি ।
আমরা বাংলাদেশি মুসলিমরাও সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ইউরোপ,রাশিয়া,তুরস্কের মুসলিমদের মতো দুরবীন ব্যবহার করে নতুন চাঁদ দেখতে পারি এবং এসব দেশের মুসলিমদের সাথে একই বার ও তারিখে রোজা ও ঈদ করতে পারি । এব্যাপারে আমাদের দুরবীন ব্যবহার করা বৃদ্ধি করতে হবে ও সরকারকে এব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে । আলেম সমাজেকেও এব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে ।
আমার এই দুরবীক্ষণ যন্ত্র (টেলিস্কোপ) দিয়ে খুব সহজেই ৫৬ লক্ষ ৫০ হাজার তারাকে আপনারা আলাদা আলাদা ভাবে দেখতে বা সনাক্ত করতে পারবেন ।
এই দুরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে চাঁদকে আপনারা ৬২৫ মাইল কাছে দেখতে পাবেন । আমরা চাঁদকে আড়াই লাখ মাইল দুর হতে খালি চোখে দেখতে পাই । আপনারা খুব সহজেই এটা দিয়ে আমাদের কাছের এন্ড্রমিডা গ্যালাক্সিকে খুব সুন্দরভাবে দেখতে পাবেন ।
এমন কি বাংলাদেশের “জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি” যে দিন আকাশে চাঁদ দেখতে পান না, সে দিনও এটা ব্যবহার করে আপনারা ঈদের চাঁদ দেখতে পাবেন । গেল বছর ৬ অক্টোবর ২০১৪ তারিখ কুরবানীর ঈদ হয় । অথচ বেশীর ভাগ দেশে ৪ তারিখ ঈদ হয় ।
এই যন্ত্র বেশী বেশী ব্যবহার করলে আগে আগে ঈদের চাঁদ দেখা যাবে এবং নতুন নতুন গ্রহ – নক্ষত্র আবিষ্কার করে নিজেকে স্মরনীয় করে রাখা যাবে এবং মানব সভ্যতায় অবদান রাখা যাবে ।
এই যন্ত্রটা দিয়ে আপনারা সরাসরি দুর আকাশের যে কোন বস্তর ছবি এবং দুরের বস্তুর অবস্হা ভিডিও করতে পারবেন ও লোকদের প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখাতে পারবেন ।
Orbinar 203-800 মডেলটাটা বিখ্যাত seben কোম্পানীর দুরবীক্ষণ যন্ত্র । খুবই শক্তিশালী ও সংয়ক্রীয়ভাবে কাজে করে । বিস্তারিত তথ্য জানতে দেখুন : http://bangladesh-astronomical-union.blogspot.com
( ছবি - ১ : আমাদের আলোচিত দুরবীক্ষন যন্ত্র “ Orbinar 203-800 ”
ছবি - ২ : এটা দিয়ে তোলা আমাদের কাছের অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সী )
উপসংহার :
আমি কেন আপনারা চেষ্টা করলেও আমার দুরবীন কেন বর্তমান সময়ের শক্তিশালী হাবল টেলিস্কোপ দিয়েও সাইদীকে চাঁদে দেখতে পারবেন না ।
চন্দ্র-সুর্যকে ঘিরে যাই কিছু ঘটে থাকে,যেমন গ্রহণ। তাদের অসীম ক্ষমতা আছে যা আল্লাহ নির্ধারণ করেছেন। চন্দ্র সূর্যের আলো দ্বারা এই ভূমন্ডলের সব কিছু সতেজ থাকে। এগুলো কোনো মানুষের জীবন বা মৃত্যুর নিদর্শন নয়। এই সবকিছুই একমাত্র আল্লাহর নিদর্শন স্বরূপ।
রাসুল (সা)-এর ছেলে ইব্রাহিম ইন্তেকাল করার সময় সূর্যগ্রহণ হলে লোকেরা বলছিলো যে তাঁর ছেলে মারা যাওয়ায় সূর্যগ্রহণ হচ্ছে । তখন রাসুল (সা) বলেছেন, আকাশের কোন বিষয়ের সাথে মানুষের কোন বিষয় সম্পৃত্ততা নেই । আকাশের বস্তুগুলো আল্লাহর নিদর্শণ মাত্র ।
মুসাদ্দাদ রহ………আবু মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ হয় না। সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণ আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দুটি নিদর্শন মাত্র। কাজেই যখনই তোমরা গ্রহণ হতে দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে।
বুখারী শরীফ : ২য় খন্ড : হাদীস নং ৯৯৮
কাউকে চাঁদে দেখাও কারামাত হতে পারে না । যদি হতো তাহলে অনেক বড় বড় আল্লাহর ওলীদের ক্ষেত্রেও ঘটতো ।
সাইদীর সাথে আমার ধর্মীয় বিতর্ক হয়েছিলো যা আমি আমার এই লেখায় বলেছি । পরবর্তীতে আমি তা শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ ।
বিষয়: বিবিধ
৫৩০২ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুরু করলেন হিন্দী সিনেমার ঘটনা দিয়ে,
মাঝখানে থাকলেন নভোমন্ডল নিয়ে,
শেষ করলেন কোরআন হাদিস দিয়ে।
সাইদীকে আমি স্বপ্নে দেখেছি। আমি স্বপ্নে সাইদীর সাথে বাহাস (ধর্মীয় বিতর্ক ) করেছি। এই বাহাসে সাইদী আমার কাছে পরাজিত হন। এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য অন্য দিন শেয়ার করবো।
জানিনা প্রকৃত ঘটনা কি! তবে স্বপ্নে কাউকে পরাজিত করা (সেটা যেভাবেই হোক) আর বাস্তবে কাউকে পরাজিত করা কি এক? অবশ্য নবীদের স্বপ্ন বাস্তবিকই সত্যি হয়
১। আপনি বলেছেন :
মাশায়াল্লাহ দারুন পোষ্ট!
শুরু করলেন হিন্দী সিনেমার ঘটনা দিয়ে,
মাঝখানে থাকলেন নভোমন্ডল নিয়ে,
শেষ করলেন কোরআন হাদিস দিয়ে।
উত্তর :
বাংলাদেশে আগে সকালটা শুরু হতো সুরা ইয়াসীন বা আর রহমানের তেলোয়াত দিয়ে । প্রতিটা বাড়িতে এই দুইটা সুরা তেলোয়াত করতো আমার মা-বোনরা । তাদের তেলোয়াতের সুর শুনে বাড়ির ছোট ছেলে মেয়েরা ঘুম থেকে জেগে উঠতো ।
আর যে বাড়িতে এই দুই সুরা তেলোয়াত হতো না । সেই বাড়িতে তুলসি দেবতাকে পুজা দেওয়া হতো বা সূর্য দেবকে নৈবদ্য দেওয়া হতো ।
বর্তমানে আমাদের (ঢাকায়)আমাদের ঘুম ভাঙ্গে হিন্দি ছবির গানের সুরে ।
এর কারণও সাইদী সাহেবরা । কারণ মেয়েদের কন্ঠ শুনা কবিরা গুনাহ । সুতরাং মেয়েরা গান গাওয়া তো দুরে থাক স্বজোড়ে কুরআন তেলোয়াতও করতে পারবে না - এই কথা হুজুরা দিনের পর দিন ওয়াজ করে যাচ্চেন । তার ফল আমরা বর্তমানে এই অবস্হায় এসেছি ।
নভোমন্ডল নিয়ে আলোচনা করলাম । কারণ সাইদীকে চাদে যাওয়ার বিষয়টার সাথে নভোমন্ডল ও জ্যোর্তিবিজ্ঞান সম্পৃত্ত । অথচ সাইদী সাহেবদের মতো জ্যোর্তিবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা কবিরা গুনাহ । তাদের মতে নাকি জ্যোর্তিবিজ্ঞান দিয়ে মানুষ ভাগ্য গণনা করে ।
আমি আমার লেখা শেষ করলাম কুরআন হাদিস দিয়ে । কারণ আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ করতে হলে কুরআন-হাদিস সঠিকভাবে ও বাস্তব সম্মতভাবে চর্চা করতে হবে ।
২. আপনি বলেছেন :
সাইদীকে আমি স্বপ্নে দেখেছি। আমি স্বপ্নে সাইদীর সাথে বাহাস (ধর্মীয় বিতর্ক ) করেছি। এই বাহাসে সাইদী আমার কাছে পরাজিত হন। এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য অন্য দিন শেয়ার করবো।
জানিনা প্রকৃত ঘটনা কি! তবে স্বপ্নে কাউকে পরাজিত করা (সেটা যেভাবেই হোক) আর বাস্তবে কাউকে পরাজিত করা কি এক? অবশ্য নবীদের স্বপ্ন বাস্তবিকই সত্যি হয়
উত্তর :
শুধু এতটুকু বলছি : আমি স্বপ্নে যাকে পরাজিত করি বা বাস্তবে যাকে পরাজিত করার ইচ্চা পোষন করি, তাকে পরাজিত করি বা আমার মতের স্বপক্ষে আনার চেষ্টা করি বা আনি বা তাদের পরিমার্জিত করে থাকি ।
উত্তর যদি না হয় তাহলে আপনি কোন দল বা গোষ্টির মাথায় উপর দায় তুলে দিতে পারেন না।
বাংলাদেশের আইন ও নিরাপত্তা বিভাগ আজ পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্থ করেনি যে চাদে দেখা যাওয়ার ঘটনা জামায়াত শিবির ঘটিয়েছে এমনকি চাদে সাইদী নাশকতার কোন মামলাও থানায় রুজো হয়নি।
তাহলে বুঝা গেল এটা একটা ফাও ঘটনা অন্তত কোন দায়িত্বশীল সংস্থা এটাতে জড়িত নয়।
তবে বস্তুত এজাতীয় একটি কথা রটেছিল, যা পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়েছে। মানুষ হতাহত হয়েছে। সেটা পুরো দেশ জুড়ে হয়েছিল, মানুষ নিজের চোখে দেখে কিংবা না দেখে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এটা হল সাইদীর প্রাপ্তি, কেননা তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের অন্তরে বাসা বেঁধেছিলেন। হতে পারে আমার এই কথা আপনাকে আহত করবে, বস্তুত তাই হয়েছে।
এবার আইনের কথায় আসুন। কিছু ব্যাপারে আইনের বাধা দূর্বল হয়ে যায়। যেমন গনপিটুনি, রামুর জনহামলা, জনবিক্ষোভে ধ্বংস ইত্যাদি। এক্ষেত্রে লাখ লাখ মানুষকে গ্রেফতার করা যায়না প্রবাদে আছে 'ঠগ বাছতে গা উজাড়' হওয়া। সাইদীকে যারা চাদে তুলেছে বা দেখেছে বলে চিৎকার করেছে। তাদের গ্রেফতার করতে হলে প্রতিটি জিলায় আরো নতুন নতুন জেল খানা বানাতে হবে। সে জন্য দরকার যারা মূল হোতা তাদেরকে গ্রেফতার করা।
এই পর্যন্ত সরকার কোন হোতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি এমনকি এই বিষয়কে সামনে রেখে কোন মামলা হয়নি। সকল মামলাগুলো নাশকতার মামলা।
চাঁদের বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। যদিও আপনি দূরবীন দিয়ে চাঁদের কোথা্য় সাইদীর প্রতিচ্ছবি লুকিয়ে আছে কিনা তা দেখার চেষ্টা করেছেন। মানুষের চিন্তা ও তার আমল তার কাজের মূল্যায়ন করে, সে ব্যক্তির মতলব প্রকাশ করে।
গ্যাগারিন মহাশূন্যে গিয়ে আত্ম অহংকারে শুন্যের চারিদিকে তাকিয়েছেন, কোথায় আল্লাহ লুকিয়ে আছেন তা দেখার জন্য।
নমরুদ শকুনের পিঠে উঠে আল্লাহর সন্ধানে শুন্যের চারিদিকে দেখতে চেয়েছেন।
বলতে দ্বিধা নেই, আপনিও সেই শুন্যের মাঝে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছেন, কোন দেয়ালের নাগাল পাচ্ছেন না। আল্লাহ আপনাকে রহম করুন।
১. সাইদীকে চাদে দেখা গেছে – এই কথা জামায়াত শিবিরের লোকরা দেশ-বিদেশে কুরআন-হাদিসের দলিল (!? দিয়ে প্রচার করেছে । এর প্রমাণ আমি ইনশাআল্লাহ পরবর্তী বেশ কিছু লেখায় উপস্হাপন করবো ।
২.বাংলাদেশের আইন ও নিরাপত্তা বিভাগ চাদে দেখা যাওয়ার ঘটনা জামায়াত শিবির ঘটিয়েছে এমনকি চাদে সাইদী দেখার গুজব প্রচার করার পর নাশকতার উপর অনেক মামলা হয়েছে । এতে জামায়াত-শিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছে । এর প্রমাণ আমি ইনশাআল্লাহ পরবর্তী বেশ কিছু লেখায় উপস্হাপন করবো ।
জামায়াতের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাই নয়, অনেক জ্ঞানী-গুনী ধরনের নেতাও এই কাজে জড়িত ছিলেন।
আপনি মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন ।
এই পর্যন্ত সরকার জামায়াতের অনেক নেতাকে গ্রেফতার করেছেন । তারা আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে বের হয়েও এসেছে । যেমন : বগুড়া । এর প্রমাণ ইনশাআল্লাহ সামনের কিছু লেখায় উপস্হাপন করবো ।
আকাশে চাঁদ থাকতে ঈদের সময় এই দেশের লোকরা ঈদের চাদ দেখতে পারেন না । কিন্তু আমি নিজে ঈদের চাদ দেখতে পারি দুরবীন দিয়ে বা রাডার দিয়ে বা ইনফ্রারেড টেলিস্কোপ দিয়ে । আপনারা জামায়াত শিবিরের লোক সাইদীকে দেখেন খালি চোখে চাদে । আর আমি আমার দুরবীন দিয়ে দেখতে পারবো না – তা কি করে হয় !!!!!! ??????
ইউরি গ্যাগারিন ছিলেন নাস্তিক । তিনি আল্লাহকে মহাকাশে যেয়ে দেখেননি । আমি দেখতে পারবো । কারণ আমি আল্লাহর সৃষ্টি রহস্যের মধ্যে আল্লাহকে খুজে পাই । ইউরি গ্যাগারিনের বদলে আমাকে মহাকাশে পাঠালে আমি ঠিকেই আল্লাহকে উপলব্দি করতে পারতাম তার সৃষ্টি রহস্যের মাধ্যমে । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
وَلَوْ فَتَحْنَا عَلَيْهِم بَابًا مِّنَ السَّمَاء فَظَلُّواْ فِيهِ يَعْرُجُونَ
যদি আমি ওদের সামনে আকাশের কোন দরজাও খুলে দেই আর তাতে ওরা দিনভর আরোহণ ও করতে থাকে।
لَقَالُواْ إِنَّمَا سُكِّرَتْ أَبْصَارُنَا بَلْ نَحْنُ قَوْمٌ مَّسْحُورُونَ
তবুও ওরা একথাই বলবে যে, আমাদের দৃষ্টির বিভ্রাট ঘটানো হয়েছে না বরং আমরা যাদুগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।
(সূরা হিজর ১৪ ও ১৫ আয়াত )
مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ
হে জিন ও মানবকূল, নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়, তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
يُرْسَلُ عَلَيْكُمَا شُوَاظٌ مِّن نَّارٍ وَنُحَاسٌ فَلَا تَنتَصِرَانِ
ছাড়া হবে তোমাদের প্রতি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও ধুম্রকুঞ্জ তখন তোমরা সেসব প্রতিহত করতে পারবে না।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে? (সুরা আররহমান : ৩৩-৩৬)
যাতে করে দুধ দোহনে বেঘাত ঘটে। আপনিও একজন জ্ঞানী বলদ জ্ঞানের গুণে ইসলাম ধর্মটাকেও হিন্দি সিনেমা বানানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।
আপনার উপর আল্লাহ গজব পড়ুক।
মূলত সাইদীকে্ আপনি ব্যক্তি হিসেবে ঘৃণা করেন। তা করতেই পারেন কেননা আমার হৃদয়ের ঘৃণা আমি কার প্রতি নিক্ষেপ করব সেটা আমারই ব্যাপার। সেই ঘৃনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আপনি তার চাদে দেখা যাওয়া নিয়ে অনর্থক তাকে আক্রমন করছেন। এটা মোটেও ঠিক না কেননা এর চেয়েও মারাত্মক অপবাদ আপনাকে ঘিরে ধরবে, এটাই আল্লাহর সুন্নাত।
ছাগু মিটার দিয়ে কীভাবে জামায়াত-শিবির ও ধর্মান্ধ-কুসংস্কারাচ্ছন্ন সনাক্ত করা হয় – আমার এই লেখাটা দয়া করে পড়ুন । আশা করি সেখানে একটা মন্তব্য লিখবেন ।
আপনার মন্তব্যগুলো এই লেখার বিষয়বস্তুর সাথে খাপ খায় ।
সাইদীকে ভালবাসা বা ঘৃনা করার কথা আমি আমার লেখায় লিখি নাই । প্রসঙ্গ অন্য দিকে নিচ্ছেন কেন ?
যখন কোন কারণে মাথায় বেশী চাপ অনুভব করি, অথচ টেবিল ছেড়ে বেরুতে পারিনা, তখন আপনার পোস্টগুলো পড়ে বিনোদিত হই
যাজাকাল্লাহ...
আরও হাতখুলে লিখুন
অন্ততঃ একজন পাঠক আমি তো আছি-ই!!
আমার লেখা কে পড়লো আর পড়লো না তা নিয়ে আমি বিন্দু মাত্র ভাবি না ।
১০০%, নাকি কম??
কম হলে কত%??
সবাই, নাকি কেউ কেউ??
আপনিও সেই দলের ।
আপনি জামায়াতের স্পাই হয়ে কাজ করেন । এবং ব্লগ ও ফেসবুকের সহজ সরল ছেলেদের কৌশেল জামায়াতের ও ছাত্রী সংস্হার নিকাবী ও অপদার্থ মেয়েদের সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখান ।
আপনি চরম লুইচ্চা ধরনের লোক ।
দয়া করে আপনি আমার কোন লেখায় মন্তব্য করতে আসবেন না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন