ছাগু মিটার দিয়ে কীভাবে জামায়াত-শিবির ও ধর্মান্ধ-কুসংস্কারাচ্ছন্ন সনাক্ত করা হয়

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২০ আগস্ট, ২০১৫, ০১:৩৪:০১ দুপুর

ছাগু মিটার যন্ত্রটার ব্যবহার বোঝার আগে ত্যানা প্যাচানো কথাটা বুঝতে হবে ।



ত্যানা ১০১ (সূতি কাপড়ের ত্যানা) :

ত্যানার মূল কর্ম হচ্ছে ঢাকা দেয়া। কোন একটা কুকর্ম ঢাকা দিতে তার উপর ত্যানা প্যাঁচানো হয়। সুতরাং এখানে পুরো পদ্ধতিতে মূলত দুটি জিনিস সংশ্লিষ্ট। কিসের উপর প্যাঁচাবেন এবং কি দিয়ে প্যাঁচাবেন। যার উপর প্যাঁচাবেন তা আপনার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হতে হবে। যা দিয়ে প্যাঁচাবেন সেটা বহু ব্যাবহারে জীর্ণ কোন বস্তু হতে হবে। জলের মতই সহজ ব্যাপার। কিছু প্রচলিত কী-ওয়ার্ড শিখিয়ে দিচ্ছি আগে।





ত্যানামিটার বা ছাগু মিটার ব্যবহার

defense key word (যার উপর ত্যানা প্যাঁচাবেন) :

১৯৭১, বুদ্ধিজীবী হত্যা, যুদ্ধাপরাধী, মানবতাবিরোধী অপরাধী, পাকিস্তান, পাকিস্তানি আর্মি, শাহাবাগ আন্দোলন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, জামাত নেতা, মেহেরজান ইত্যাদি

offense key word (যা দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাবেন) :

ছাত্রলীগ, সেঞ্চুরিয়ান মানিক, ফেলানি, বিশ্বজিৎ, পদ্মা সেতু, তেল-গ্যাস-জ্বালানি সম্পদ রক্ষা স্টেরিওটাইপিং , কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার প্রয়োজনীয়তা, বিশ্ব মানবতা,সুষ্ঠু বিচার, স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, দুর্নীতিমুক্ত, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, বিএসএফের সীমান্ত হত্যা, রোহিঙ্গা সমস্যা, বিংশ শতাব্দীর বাস্তবতা, পুরনোকে ফেলে নতুনকে আঁকড়ে ধরা, অতীত ভুলে এগিয়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক মান, সহনশীলতা, ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধা, সকল মতের মিলন, মিলে মিশে এক, আত্মউন্নয়ন, সমাজউন্নয়ন (অথবা যে কোন ধরণের উন্নয়ন), আমেরিকা, সাম্রাজ্যবাদ, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ/ পুঁজিবাদ, পশ্চিমা ষড়যন্ত্র, ইহুদী চক্রান্ত, দেশকে বিভক্ত করার রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি,রিকনসিলিয়েসন, বৃহত্তর স্বার্থ, গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ, কাউন্টার ন্যারেটিভ, বিভেদ -বিভাজন ইত্যাদি

এবারে বাক্য গঠনের পালা।

খুবই সহজ "বুঝলাম কিন্তু" পদ্ধতি। বুঝলাম এর পরে defense key word বসিয়ে কিন্তু দিয়ে তারপর offense key word বসিয়ে দিন।

বাক্য গঠন পদ্ধতি -

বুঝলাম (যার উপর ত্যানা প্যাঁচাবেন) কিন্তু (যা দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাবেন)

নিচে কিছু উদাহরণ দিয়ে দেয়া হল :

১।বুঝলাম ৭১ এ ধর্ষণ হইছে কিন্তু সেঞ্চুরিয়ান মানিক জাবিতে কি করছে?

২।বুঝলাম বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার দরকার কিন্তু বিশ্বজিৎ হত্যার বিচার কে করবে?

৩।বুঝলাম পাকিস্তানি আর্মি ৭১ এ খারাপ কাজ করছে কিন্তু বিএসএফ এখন কি করতেছে?

৪।বুঝলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দরকার কিন্তু নিরপেক্ষতা/ আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা দরকার



ভুলে যাবেন না আপনি ত্যানা প্যাঁচাতে বসেছেন, ছাগলামি করতে নয়। সুতরাং লেজ সামলে। কিছু শব্দের বহুল ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবেন। নইলে লেজ বেরিয়ে যাবে। বিপদজনক কিছু কী-ওয়ার্ড নিচে দিয়ে দেয়া হল।

বিপদজনক key word:

আফ্রিদি, আজমল, ইমরান খান, ভাদা (ভারতের দালাল), ভাষাসৈনিক গোলাম আজম, আল্লামা সাঈদী (মেশিন সাঈদী সেফ), মতিউর রহমান নিজামি, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (বাচ্চু রাজাকার সেফ), কাদের মোল্লা (কসাই কাদের সেফ), জামাত, শিবির, ছাত্রীসংস্থা, বাকশাল, শান্তি প্রতিষ্ঠা, সৎ লোকের শাসন, আল্লাহর আইন, ফ্যাসিবাদ ইত্যাদি

যে কোন কিছুর উপর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য তার একটা বিপরীত বস্তু হাতের কাছেই পাবেন।

যেমন : পাকিস্তানের উপর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য ভারতকে ব্যাবহার করুন।



বুরখা ও নিকাব নিয়ে কথা হলে ব্যাবহার করুন বিকিনি।

বুরখা ও নিকাবের সপক্ষে সরাসরি বললে পাবলিক ধরে প্যাঁদানি দিতে পারে। তাই মিষ্টি করে বলবেন, আমি নিজেও বুরখা পছন্দ করিনা। কিন্তু খেয়াল রাখতে পোশাক নারীর অধিকার। আপনার মা বোনেকে যদি বিকিনি পরতে বাধ্য করা হয় সেটা কি আপনার ভালো লাগবে? পাবলিক নিজের মা বোনকে বিকিনিতে কল্পনা করে শিউরে উঠবে। আল বুরখা খাইরুম মিনান বিকিনি বলে আপনার সাথে একমত হয়ে যাবে। রেপকে প্যাঁচাতে হবে অসামাজিকতা, পশ্চিমা কালচারের কুফল দিয়ে। কারো ধর্ষণের খবর শুনলে বলতে হবে, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কিন্তু আমাদের মা বোনদেরও সতর্ক হতে হবে। পশ্চিমা সভ্যতার বদ বায়ু যেন এই বখতিয়ার খলজি, শাহাজালালের পবিত্রভূমিকে নষ্ট না করতে পারে। এজন্য সব মেয়েদের বুরখা ও নিকাব পড়া উচিত বলেই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রী সংস্হার সব মহিলা ও ছাত্রী বুরখা ও নিকাব পরে । আর একারণেই বুরখা ও নিকাবকে জামায়াতে ইসলামী ফরজ মনে করে ।


এবারে দ্বিতীয় আরেকটি বাক্য গঠনে আসি। এটা হচ্ছে "যদি অবশ্যই" পদ্ধতি

বাক্য গঠন পদ্ধতি - যদি (যার উপর ত্যানা প্যাঁচাবেন) অবশ্যই (শর্তযুক্ত মৃদু প্রতিবাদ)

শর্তযুক্ত মৃদু প্রতিবাদে উপরের যা দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাবেন এর অনেক কী- ওয়ার্ড ব্যাবহার করতে পারেন। যেমন সুষ্ঠু বিচার, নিরপেক্ষ বিচার, অরাজনৈতিক বিচার, স্বচ্ছ বিচার, নিরপেক্ষ বিচার, গঠনমূলক প্রতিবাদ, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতিবাদ ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছু উদাহরণ দিয়ে দেই :

১।যদি ৭১ এ অন্যায় হয়ে থাকে, অবশ্যই তার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার করতে হবে

২।যদি কাদের মোল্লা দুষ্টুমি করে থাকে অবশ্যই তাকে নিরপেক্ষভাবে একটু বকে দিতে হবে

এবারে তৃতীয় আরেকটি বাক্য গঠনে আসি। এটা হচ্ছে "আমিও আছি তবে" পদ্ধতি।

বাক্য গঠন পদ্ধতি - আমিও আছি তবে (ত্যানা মেশিনগান)

এই পদ্ধতিতে কোন ইস্যু তৈরি হলে প্রথমে কিছুদিন ঝিম ধরে বসে হাওয়া পরিমাপ করতে হবে। তারপর হাওয়ার দিক বুঝে ইস্যুর সাথে একাত্মতা করতে হবে, আমিও সাথে আছি বলে। একাত্মতা প্রকাশ করার পর ত্যানার মেশিনগান ছুটাতে হবে। এই যেমন শাহাবাগ নিয়ে বিএনপি প্রথমে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল, চিন্তায় ঘুম হচ্ছিল না তরুণ ছেলেগুলো এরকম অল্পবয়সে বাকশাল হয়ে গেল দেখে। এক হপ্তা পরে এখন লাইনে এসে "আমিও আছি তবে" স্ট্রাকচার মেরে দিয়েছে এইখানে - শাহবাগ’কে স্বাগত: বিএনপি .

http://bangla.bdnews24.com/politics/article589794.bdnews

দেখুন এই লেখাটা কীভাবে শুরু হয়েছে ।

....একে একে শুরু হয়েছে - স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধা ও বিরোধী নেতা-কর্মী হত্যা, এম ইলিয়াস আলী ও চৌধুরী গুম, পোশাক শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম ও বিশ্বজিত দাস খুনের প্রতিবাদ, পদ্মা সেতু, হল-মার্ক, ডেসটিনি,পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি ইত্যাদি ইত্যাদি। শেষ হয়েছে, স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচার, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু বিচার, অসহিষ্ণুতা ও নৈরাজ্য পরিহার ইত্যাদি দিয়ে।

ত্যানা ১০২ (সিল্কের ত্যানা)

এবারে বেসিক থেকে একটু এগিয়ে আরেকটু উঁচু লেভেল এর পাতলা সিল্কের ত্যানা নিয়ে জ্ঞান দেই। এই ত্যানা সানি লিওনের কাপড় চোপড়ের মতই পাতলা। খালি চোখে দেখতে সামান্য কষ্ট হয়।

আমার এই লেখায় (

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/68470#.VdWEAH1PjxI

শিবিরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী,আলবদর কমান্ডার ও কোটিপতি মীর কাশেম আলী-র উত্থান যেভাবে ) -

এক ছাগু ত্যানা পেচাতে আসে । তার স্ক্রীন শটটা দিলাম :



এই লেভেলের ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আপনাকে কিছু ইস্যু শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে হবে বা বিশেষ কিছু সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হতে হবে। কিছু উদাহরণ দেই।

আমার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা সিন্ড্রোম - এটা বেশ কার্যকরী জিনিস। তর্কের শুরুতেই বলবেন, আবার আব্বা বা চাচা একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। জানি আপনার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা না, হয়তো আলবদর। কিন্তু কি আসে যায়।



জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কেন আমাদের জন্য অপরিহার্য http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/68278#.VdWIGH1PjxI - আমার এই লেখায় এক ছাগুর ত্যানা পেচানোর ধরণ ।

আলবদরও এক রকমের মুক্তিযোদ্ধাই। উনি বাংলাদেশ এর মুক্তির জন্য না লড়ে মুসলমানদের মুক্তির জন্য লড়েছেন। সুতরাং মুক্তিযোদ্ধা হলো কিনা সেটা? এবার কথা আগাবেন। আপনার আব্বা চাচা দেশের জন্য রা টা টা টা করে গুলি করতে করতে যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু যুদ্ধ শেষে পেলেন লবডঙ্কা। দেশের এমন করুণ হাল হকিকত দেখে এখন তাই আপনারা সপরিবারে সৎ লোকের শাসন চাই, আল্লাহর আইন চাই বলে স্লোগান দেন।

কচি মেয়ে সিন্ড্রোম –

এই পদ্ধতি ব্লগে বা অনলাইনে বেশ কার্যকর। আপনি হয়তো লুঙ্গি পরে খালি গায়ে ভুঁড়ি বাগিয়ে ব্লগিং বা ফেসবুকিং করে যাচ্ছেন, লোকজন তো আর আপনাকে দেখতে পাচ্ছে না। তাই নিজেকে অল্পবয়সী লাজুক আবার একটু রঙঢঙ ও করতে পারেন এরকম একজনের ছদ্মবেশ নিন। সেই সাথে আমার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এটাও যোগ করে নিন। অনলাইনের পুরুষরা কম বেশি সবারই একটু আধটু আলু পটোলের দোষ আছে। আপনাকে বাঁচানোর জন্য অনেকেই তাদের লোমশ বুক পেতে দিবে প্রয়োজনে। মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আস্তে আস্তে লাইনে এসে দেশের সমস্যা নিয়ে আলাপ আলোচনা শুরু করুন।

রোহিঙ্গা বা বিশ্বমানবতা সিন্ড্রোম –

নিপীড়িত জনগোষ্ঠী যেমন রোহিঙ্গা, ফিলিস্তিন, আফ্রিকা ইত্যাদিকে আঁকড়ে ধরতে হবে। বিশ্ব মানবতার কথা তুলে ধরতে হবে। আমরা যে কত ছোট কত নিচ মন মানসিকতার, পৃথিবীর মানুষের এত দুঃখ কষ্ট রেখে চল্লিশ বছর আগে ঘটে যাওয়া এক সামান্য দুর্ঘটনা নিয়ে পড়ে আছি এটার কথা বার বার বলতে হবে।

বিএসএফ সিন্ড্রোম –

বিএসএফ এর কথা বলবেন দিন রাত। আর কিছু না, খালি বিএসএফ আর বিএসএফ। ৭১ এ পাকিস্তানী দুষ্টুরা যত মানুষ মেরে ফেলছে বিএসএফ পাখির মত গুলি করে তার চেয়ে বেশী মানুষ মারতেছে এটা সরাসরি বললে অবশ্য লেজ বেরিয়ে যাবে। আস্তে ধীরে বলুন। পাকিস্তানের উপর প্যাঁচানোর জন্য ভারতের চেয়ে ভালো ত্যানা খুব কমই আছে।

একইভাবে বিশ্বজিৎ সিন্ড্রোম, ছাত্রলীগ সিন্ড্রোম, শেয়ার বাজার সিন্ড্রোম, দুর্নীতি সিন্ড্রোম, % সিন্ড্রোম (কপিরাইট মুখফোড়) সহ আর ১০১ টি সিন্ড্রোম পাবেন আশেপাশেই। খেয়াল রাখবেন আপনি যেগুলো দিয়ে ত্যানা প্যাঁচাচ্ছেন তার সবই প্রায় সত্যিকারের ইস্যু। এই ইস্যু গুলি ত্যানা হবে তখনই যখন এগুলোকে অন্য কোন ইস্যুর উপর প্যাঁচাবেন। প্যাঁচানো ছাড়া ত্যানা নিতান্ত মূল্যহীন ছিন্ন বস্ত্রখণ্ড।

ত্যানা ১০৩ (মসলিন ত্যানা)

বেসিক ও মিড লেভেল এর জ্ঞান দেয়া শেষ। এবারে আসুন একটু এডভান্স লেভেলে যাই। যে কোন কাস্টমার সার্ভিস সম্পর্কিত চাকুরীতে প্রশিক্ষণের সময় ক্ষেপে যাওয়া কাস্টমারকে কিভাবে সামলাতে হয় সেটার একটা পদ্ধতি বলা হয়। কাউকে যদি না রাগিয়ে কোন নেগেটিভ জিনিস গেলাতে চান সেটা দুইটা পজিটিভ জিনিসের মধ্যে পুরে গেলানোই উত্তম। সহজ উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দেই। মনে করুন কাউকে বলতে চাচ্ছেন , হালায় তুই একটা আবাল। প্রথমেই ধাম করে মুখের উপর বললে মাইর খাবার সম্ভাবনা। সুতরাং শুরুতে তার প্রশংসা করতে হবে। তারপর আসল যে কথাটি বলতে চান টা বলতে হবে। সবশেষে আবার তাকে ভাল কিছু কথা বলতে হবে। সুতরাং সিকুয়েন্স হচ্ছে তেল - বাঁশ - তেল । এভাবে বলবেন -

আপনি মশাই বেশ সহজ সরল আছেন। এরকম সরল মানুষকে অনেকে কাঠ বলদ বলে। তবে সততা ও সরলতা জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ত্যানা সম্রাটরা একই পদ্ধতিতে ত্যানা প্যাঁচায়। দুটি ভাল কথার মধ্যে স্যান্ডুইচ বানিয়ে একটা ত্যানা ঢুকিয়ে দেয়। শিক্ষা গ্রহণ করতে হয় সবসময় সেই লাইনের সেরা বান্দার কাছ থেকে। সুতরাং মন দিয়ে আসিফ দি ত্যানা নজরুলের এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে লেখাটি মন দিয়ে পড়ুন - যুদ্ধাপরাধীদের বিচার http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-02/news/325875

এই ত্যানা লিজেন্ড তার প্রথম প্যারা শুরু করেছেন,

৪০ বছর পর এক দুরূহ দায়িত্ব সম্পন্ন হলো বাংলাদেশে । ১৯৭৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য প্রণীত হয়েছিল বাংলাদেশে, এই আইনের অধীনে প্রথম বিচার সম্পন্ন হলো ২০১৩ সালে। এই আইন এবং বিচার দুটোই অসামান্য নানা কারণে। ১৯৭৩ সালের আইনটি ছিল একটি পথপ্রদর্শক ধরনের আইন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার বিচার রাশিয়া, পোল্যান্ড ও ইসরায়েলে জাতীয়ভাবে হলেও, স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সংঘটিত এ ধরনের অপরাধের বিচারের জন্য জাতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা এই আইনেই প্রথম বলা হয়।

শেষ করেছেন,

যুদ্ধাপরাধের বিচারের সঙ্গে অন্যান্য ইস্যুকে গুলিয়ে না ফেললে বরং এই বিচারের প্রশ্নে আরও ব্যাপক ভিত্তিক জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা যাবে, জামায়াত-শিবিরের নাশকতাকে রাজনৈতিকভাবে দমনও করা যাবে। এ মুহূর্তে তা-ই প্রয়োজন।

কিছু আপত্তি থাকলেও মোটের উপর বেশ সুন্দর সুন্দর কথা। এবারে দ্বিতীয় প্যারায় আসুন। শুরুতেই,

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তা বোঝার সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে বিচারের রায় এবং এর বিশ্লেষণ পাঠ করা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, আমাদের দেশে রায়ের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কমই হয়ে থাকে, যা হয় তা পড়ার মানসিকতাও খুব একটা দেখা যায় না।


বস বস , দেখেন কি সুন্দর করে বুঝলাম কিন্তু স্টেটমেন্ট মেরে দিলেন শুরুতেই। এরপর একে একে দুর্দান্ত সব কী-ওয়ার্ড এর ব্যাবহার - কোয়ালিটি,র্যাশনালিটি, যৌক্তিকতা, জেনেভা কনভেনশন, রোম স্ট্যাটিউট, ডায়ালজিক, বিভ্রান্তিকর, দুর্নীতি, অগণতান্ত্রিক, নতজানু নীতি, শেয়ার মার্কেট বা সোনালী ব্যাংক লুটপাটের মতো দুর্নীতি, ছাত্রলীগের পাশবিক সন্ত্রাস, ক্রসফায়ার, গুম, ঢালাও দলীয়করণ, ভিন্নমতাবলম্বী, তেল-গ্যাস-জ্বালানি সম্পদ রক্ষা, নিয়মতান্ত্রিক, বৈধতা, অহিংস ... উফফ আর কত বলব। অসাধারণ কাজ।

দেখেন, মন দিয়ে পড়েন। পড়ে কিছু শিখেন। আবার শেষ প্যারায় দিয়ে বিনপি আর জামাতকে মৃদুমন্দ গালিগালাজ। চমৎকার একটা নির্দলীয় আবহ তৈরি করে সুইট এন্ড হ্যাপি এন্ডিং। বক্তব্য, আমাদের সবাইকে কোন দুষ্টামি না করে লক্ষ্মী হয়ে থাকতে হবে, তাইলেই সকল সমস্যার সমাধান। অন্তরালের বক্তব্য, আব্বা সাঈদী, আব্বা আজম, আব্বা মাওলানা আযাদ কে ছেড়ে দেন, পিলিজ লাগে। যেদিন এরকম একটি আর্টিকেল লিখতে পারবেন সেইদিন বুঝবেন আপনি ত্যানা প্যাঁচানোতে পিএইচডি অর্জন করে ফেলেছেন।

এডভান্স মসলিন লেভেল এর ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আরেকটি বিষয় অত্যন্ত জরুরী। প্রচুর ইংরেজি শব্দ ব্যাবহার করতে হবে এবং বিদেশী মনিষীদের কোট করতে হবে। আমরা দীর্ঘদিন এর ইংরেজ শাসিত জাতি। তাই ইংলিশ নাম শুনলেই বেশ রক্ত চনমন করে উঠে। আপনি হয়তো বললেন, কুদ্দুস বলেছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। পাবলিক আপনার কথার চার আনা দামও দিবে না। কিন্তু যদি বলেন, মাইকেল এন্ডারসন বলেছেন, হেলথ ইজ ওয়েলথ। শুনে লোকে বলবে, বাহ ঠিকই তো। যেমন ত্যানা সম্রাট বলেছেন,

ডেভিড বার্গম্যান তাঁর একটি বিশ্লেষণে আযাদের পক্ষে নিয়োগ দেওয়া রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর নিরপেক্ষতা ও প্রস্তুতি নিয়েও কিছু প্রশ্ন তুলেছেন।

ডেভিড বার্গম্যান কেডা চিনেন? আমিও চিনিনা। কিন্তু না চিনলেও সমস্যা নাই। ডেভিড বার্গম্যান বলেছেন বলে কথা, আব্দুল মতিন তো আর বলে নাই। ডেভিড বার্গম্যান নামওয়ালা কেউ কি আর ফাতরা কোন কথা বলবে?

স্কুলে থাকতে ধর্ম পরীক্ষায় এরকম আকাম করতাম আমরা। ধর্ম শিক্ষক বেশ বিজ্ঞানমনস্ক ছিলেন। ইংরেজিতে একটু কাঁচা ছিলেন, তবে ভালোবাসার কমতি ছিলনা। আমরা বানিয়ে বানিয়ে কোটেশন মারতাম। ওহুদ আর খন্দকের যুদ্ধ সম্পর্কে জার্মানির সমাজ বিশ্লেষক গুটেনবার্গ বলেছেন এই, মিরাজের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ হিসেবে বিজ্ঞানী জর্জ মাইকেল বলেছেন সেই। শিক্ষক খুশী হয়ে উচ্চ নাম্বার দিতেন। তবে এই ইন্টারনেট যুগে বানিয়ে চাপা মারতে গেলে ধরা খাবার সম্ভাবনা প্রবল। বানিয়ে বলার দরকার নেই। যে কোন কিছুর উপর ত্যানা প্যাঁচাতে রেফারেন্স দেয়ার মত অনেক জ্ঞানীগুণী পাবেন আশে পাশেই। বিবর্তন এর উপর ত্যানা প্যাঁচাতে চান, স্যার ফ্রেড হোয়েল কে নিয়ে এসে Hoyle's fallacy দিয়ে ত্যানা প্যাঁচান। তিনি বলেছেন বিবর্তন নাইক্কা, সুতরাং নাইক্কা। যদিও আর শত শত বিজ্ঞানী বলেছেন, আছে গো আছে কিন্তু কি আসে যায়। পাবলিক ইংরেজি নাম শুনলেই দেখবেন আপনার দলে চলে এসেছে। একইভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে ত্যানা প্যাঁচাতে চাইলে ফট করে বলে বসবেন, Nuremberg Trial এ কি হয়েছিল নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। ভুদাই পাবলিক মাথা নাড়বে, হ্যাঁ মনে আছে বলে। দেশের ৯৯ দশমিক ৯৯৯৯ ভাগ লোক জুকারবার্গ ছাড়া আর দুনিয়ার কোন বার্গকে চিনে না। সুতরাং নিশ্চিন্ত মনে ত্যানা প্যাঁচাতে পারবেন।

সিল্ক বা মসলিন লেভেল এর ত্যানা প্যাঁচানোর জন্য আরেকটি জরুরী বিষয় হচ্ছে বিষয়বস্তু কে ডি-ফোকাস করতে হবে। কিভাবে? এই লেখাটা পড়েন - বাংলাদেশের প্রাণভোমরার নাম এখন শাহবাগ

সুমিষ্ট লেখা। বাংলাদেশের প্রাণভোমরার নাম এখন শাহবাগ। http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-02-08/news/327590 হক কথা। পুরা লেখা পড়ে এখানে কোথায় ত্যানা প্যাঁচানো হল বুঝার কথা না। মন দিয়ে পড়েন। একেবারে ক্লাসিক মসলিন ফিনফিনে ত্যানা এটি।

এখন দায়িত্ব হলো এই চেতন-ফেরাকে আইন, যুক্তি, সংস্কৃতি ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শুদ্ধীকরণে কাজে লাগানো।

একটা মুক্তিকামী বৈষম্যহীন সমাজই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জাগ্রত স্বপ্ন ।

এই আন্দোলনকে তাই যুদ্ধাপরাধ, দায়মুক্তি ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।


দুইবার মন দিয়ে পড়ার পর নিজেকে প্রশ্ন করেন, হালায় আসলে কয় কি? শাহাবাগে আসলে কি হচ্ছে? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের শুদ্ধীকরণ, বৈষম্যহীন সমাজ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমার সংস্কৃতি সবই আমরা চাই, কথা মিছা না। কিন্তু এইগুলার ফাঁকে কাদের হালায় গেল কই?? রাজাকার কই? জামাত শিবির কই? এসব খুঁজতে লেখায় কিছু ওয়ার্ড কাউন্ট এর চেষ্টা করলাম।

কাদের মোল্লা - ০ বার

রাজাকার - ০ বার

জামাত - ০ বার

শিবির - ০ বার

কি বুঝলেন? কাদের কসাই, রাজাকার, জামাত, শিবির ছাড়া শাহবাগ হচ্ছে গাজর ছাড়া গাজরের হালুয়া, চাল ছাড়া পোলাও, খাসি ছাড়া কাচ্চি, পেয়াজ ছাড়া পেয়াজু, আলু ছাড়া আলু ভর্তা, ডিম ছাড়া অমলেট। মসলিনের ত্যানা কাকে বলে এবার বুঝলেন? মসলিনের ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আপনাকে এইরকম গাজর ছাড়া গাজরের হালুয়া খাওয়াতে হবে। পাবলিকও খুশী মনে হালুয়া খেয়ে চলে যাবে। দুই একটা বেয়াদব পিচ্চি হালুয়াতে গাজর কো বলে কান্নাকাটি করতে এলে তাদের রাষ্ট্রশক্তি, সমাজশক্তি, শুদ্ধীকরণ, ক্ষমতাবৃত্ত ইত্যাদি বলে গাল পেড়ে বিদায় করে দিবেন।

এক পাগল রাস্তায় গিয়া গলা ফাটিয়ে চেঁচাচ্ছে, মানি না , মানব না। সারাদিন ধরে খালি চিল্লায়, পাবলিক এসে যখন জিজ্ঞেস করে কি মানিস না রে পাগল কিছু আর বলতে পারে না। পরদিন আবার গিয়ে চিল্লায়, মানি না মানব না। এইভাবে এক সপ্তাহ চেঁচানোর পর পাবলিক ধরে দিল ধোলাই। তখন পাগল আবার উঠে চেঁচায়, এইভাবে আমাকে ধরে প্যাঁদানি দেয়া, মানি না, মানব না। ত্যানা প্যাঁচাতে হলে আপনাকে এইরকম জোর গলায় চেঁচাতে হবে, মানি না মানব না। কিন্তু কি মানেন না সেইটাকে আস্তে আস্তে ঘোলা করতে হবে। আজই তাই শাহাবাগ গিয়ে চেঁচানো শুরু করুন, রাজাকারের ফাঁসি চাই। তারপর আস্তে আস্তে যোগ করুন পদ্মা সেতুর লুটেরাদের ফাঁসি চাই, হলমাক কেলেঙ্কারিদের ফাঁসি চাই, শেয়ার বাজার লুটেরাদের ফাঁসি চাই, ডেসটিনি-র লুটেরাদের ফাঁসি চাই, ২১ আগষ্টের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই , সাগর রুনী হত্যাকারিদের ফাঁসি চাই বিশ্বজিত হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, , লিমন পংগুকারীদের ফাঁসি চাই , বিডিয়ার বিদ্রোহের পেছনের শক্তিদের ফাঁসি চাই , দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানীকারকদের ফাঁসি চাই। ফাঁসি চাই...ফাঁসি চাই...... ফাঁসি চাই.................. ফাঁসি চাই.. আমি ছাড়া দুনিয়ার সবার ফাঁসি চাই।

এবার বুঝলেন বিষয়বস্তুকে কিভাবে বিষয়বস্তু কে ডি-ফোকাস করতে হয়? না বুঝে থাকলে নিচের চিত্র দেখুন। পাবলিক হয়তো আপনাকে অরে এবার থাম বলে থামাতে চাইবে। কান না দিয়ে দাবিদাওয়ার ফোকাস বড় করতে থাকুন।



focus

যাহোক, ত্যানা প্যাঁচানোর বিস্তারিত জ্ঞান দেয়া প্রায় শেষ। যেহেতু এসো নিজে করি তাই ভেবেছিলাম হাতে কলমে কিছু করে করে দেখাই। কাজ শুরু করেছি একখানা ম্যাটলাব ত্যানামিটার বা ছাগু মিটার বানানোর। যেখানে আপনি আপনার ত্যানা প্যাঁচানো বাক্যাংশ ঢুকালে ত্যানার একটা পরিমাপ দিবে, সেইসাথে প্যাঁচানো ত্যানা নিরাপদ কিনা সেটা নির্ণয় করে একটা লাল বা সবুজ সংকেত দিবে। আপাতত আমার ত্যানা মিটারের প্রাথমিক খসড়ার একটা ছবি দিয়ে যাই, কাজ শেষ হলেই এখানে সেটা সোর্সকোড সহ জমা দিয়ে যাবো।





ত্যানামিটার বা ছাগু মিটার ব্যবহার

Exit plan

চোর চুরি করতে ঘরে ঢুকার আগে সবার আগে পালাবার পথ দেখে নেয়। তেমনি আপনাকেও ত্যানা প্যাঁচানো শুরু করার আগেই Exit plan ঠিক করে নিতে হবে। ত্যানা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে পাবলিকের রোষানলে পড়ে গ্যাংব্যাং হবার আগেই পালানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কয়েকটা ইজ্জত বাঁচানোর বুদ্ধি দিয়ে দিচ্ছি।

১ জরুরী কাজে বাইরে যাচ্ছি, পরে এসে জবাব দিব - এটা ব্লগ জগতের সবচেয়ে পুরাতন এবং কার্যকরী পদ্ধতি। তর্ক করতে করতে, ত্যানা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে যখন ত্যানায় তান পড়বে তখন ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে ফুটতে পারেন। এযুগের পাবলিকের স্মৃতিশক্তি গোল্ডফিশের থেকেও কম। দুইদিন পর জনরোষ থেমে গেলে আবার পাড়ায় ফিরে আসুন।

২ আমার জ্ঞান সীমিত, সকল জ্ঞানের মালিক তিনি - এটা আধ্যাত্মিক লাইন। সকল জ্ঞানের মালিক তিনি, আমরা আর কতটুকু জানি, সবই ব্যাদে আছে, আমনে উনাত্তে বেশি বুঝেন ইত্যাদি বলে হুঙ্কার ছাড়ুন।

৩ আপনারা এত অসভ্য কেন? আপনাদের ঘরে কি মা বোন নেই? - এটা ক্রন্দন পদ্ধতি। কচি মেয়ে পদ্ধতি অবলম্বনকারীরা এই পদ্ধতিতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করতে পারবেন। নিমিষেই আপনার পক্ষে পাবলিক সিমপ্যাথি চলে আসবে।

৪ আমি আসলে এই কথা বলে এইটা, বুঝাইনি এই কথা বলে ঐটা বুঝাইছি - এইটা আর ঐটার ফাঁকে ফেলে পাবলিককে বিভ্রান্ত করে ফেলেন। এইটা আর ঐটার গ্যাঁড়াকলে পড়ে কোনটা যে কোনটা সেইটাই সবাই ভুলে যাবে।

৫ হয়তো ভুল হয়ে গেছে, সরি - এটা শিরোনামহীন পদ্ধতি। কিছুদিন আগে গণ-রোষের মুখে পড়ে ত্যানা প্যাঁচাতে প্যাঁচাতে শেষ পর্যন্ত বলেই ফেলছেন দিগন্ত টিভিতে প্রোগ্রাম করা হয়তো ঠিক হয় নাই, ওরা দুষ্টু।



ইসলামী ছাত্র শিবিরের মহাআহমক ও ভোলাবালা শিবির কর্মী । মূলত এমন ছেলেই শিবিরে বেশী । এদের অনেকে গেলমান বলে থাকে । আর প্রায় সব শিবির কর্মী নেটে ছাগু নামে পরিচিত । এরা বাস্তব জীবনে ও নেটে এই লেখার নিয়ম অনুযায়ী তাদের যুক্তি ও বক্তব্য উপস্হাপন করে ও লোকদের বিভ্রান্ত করে ।

যেমন : আমার এই লেখায় (

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/68470#.VdWEAH1PjxI

শিবিরের কুখ্যাত সন্ত্রাসী,আলবদর কমান্ডার ও কোটিপতি মীর কাশেম আলী-র উত্থান যেভাবে )

এক ছাগু ত্যানা পেচাতে আসে । তার স্ক্রীন শটটা দিলাম :



(কৌফিয়ত : এই লেখার প্রায় সব বক্তব্য ও কথা এই লেখা হতে নেওয়া হয়েছে : http://www.sachalayatan.com/udash/47904 আমি শুধু পরিমার্জিত করেছি ও সংক্ষিপ্ত করেছি । নামটাও বদল করেছি । বর্তমানে লেখাটা নেটে দেখতে পাচ্ছি না । )

বিষয়: বিবিধ

২৮০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File