জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কেন আমাদের জন্য অপরিহার্য
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৫ আগস্ট, ২০১৫, ১১:১০:০৪ রাত
বাংলাদেশ আমাদের স্বদেশ । ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ নামের কোন দেশ ছিল না। তখন বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তান এর একটি প্রদেশ। পাকিস্তানের পশ্চিমাংশের লোকরা আমাদের পূর্বপুরুষদের শোষণ-শাসন-নির্যাতন করতো । তারা মনে করতো আমরা সঠিক মুসলিম না ।
https://www.youtube.com/watch?v=r7aAJDI-TVs&html5=1
পাকিস্তানের সামরিক শাসক আমাদের পূর্বপুরুষদের পছন্দ করতেন না । কারণ তিনি মনে করতেন তার বিরোদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করার মতো ক্ষমতা রাখে বাঙ্গালীরা । সুতরাং তাদের দাবিয়ে রাখতে হবে । আর বাংলা ভাষার লোকরা ছিল পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ।
https://www.youtube.com/watch?v=61lKrhVMYfA
তিনি বাংলা ভাষা-ভাষী জনগণের নেতাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন । ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সমর্থকদের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার জালে আবদ্ধ করেন । তিনি আয়ুউব খানের প্রতিপক্ষই ছিলেন না, তিনি পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের উপর শোষণ-শাসন-নির্যাতন দুর করার দাবিকে জোড়দার করার জন্য স্বায়ত্বশাসনের দাবী তোলেন । এর ফলে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় । তার দল দেশের পাড়ায়-মহল্লায় তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠণ গড়ে তোলতে সক্ষম হয় । এর আগে রাজনীতিবিদরা শুধুমাত্র নিজেদের জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে রাজনীতি করতেন । শেখ মজিবুর রহমান এই নিয়মের পরিবর্তন করেন । তার নেতৃত্বকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার সমর্থকরা তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভুষিত করেন । শেখ মজিবুর রহমান ও তার সমর্থকদের আউয়ুব খান কারাগারে নিক্ষেপ করে ।
১৯৬৯ সালে আইউব খান জনরোষের চাপে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সমর্থকদের কারাগার হতে মুক্তি দিতে বাধ্য হন ।
১৯৬৯ সালে আইউব ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের কারণে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ইয়াহিয়া খানের প্রথম বেতার ভাষনে সমগ্র পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভের অবসান হয়ে যায়।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন এবং ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয় যাতে পাকিস্তানের ৫টি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। উভয় পরিষদের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।
নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং প্রায় ৬৫% ভোট পড়েছে বলে পাকিস্তান সরকার দাবী করেছিল। আওয়ামী লীগ প্রায় ৩৮% ভোটে ১৬০টি আসন পায় আর পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রায় ২০% ভোটে ৮১টি আসন। ৩০০টি আসনের বাকি ৫৯টি আসন বাদবাকি ৮টি দল পায় যার মাঝে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসন পেয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানে মাত্র ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী (রাজা ত্রিদীব রায় চৌধুরী) সদস্য নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন।
পাকিস্তান ন্যশনাল এ্যাসেম্বলী (PNA)তে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে শেখ মুজিব সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অধিষ্ঠিত হবার বৈধতা পেয়ে যান।
কিন্তু পিপিপি-র প্রধান ও ক্ষমতালোভী ভুট্টো শেখ মুজিবের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে একের পর এক বাধা সৃস্টি করে যাচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানও চেয়েছিলেন ভূট্টো একটা ঝামেলা লাগিয়ে রাখুক যাতে বাংগালীরা কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসতে না পারে।
উপরে উল্লেখিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের একই সাথে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্থান এ্যাসেম্বলীর ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়লাভ করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩৮টি আসনের ৮১টিতে জয়লাভ করে। ফলে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টোর অবস্থান আরো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। উনি তার ষড়যন্ত্রের ধারা বজায় রেখে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে কুবুদ্ধি দিতে থাকেন।
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) শেখ মুজিবের ০৭ মার্চ ১৯৭১ সালে বেলা ২:৩০ মিনিটে শুরু করে ১৯ মিনিট স্থায়ী ভাষন দেন। তিনি ভাষণের এক পর্যায়ে বলেন : “এবারের এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” । তার এই কথায় জনগণ উদ্দীপ্ত হয় ।
https://www.youtube.com/watch?v=rEsKhTHYr_c
এরপর ২৫ শে মার্চ জনগণের উপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ও আমাদের পূর্বপুরুষরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন । শেখ মজিবুর রহমান কারাগারে অন্তরীণ জীবন যাপন করতে থাকেন ।
১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ।
আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে ১৯৭২ সালের ০৮ জানুয়ারি পাকিস্তান শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয় ও ১০ জানুয়ারীতে বিমানে ঢাকায় ফিরে আসেন। ১২ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সাল ১৫ আগস্টে শেখ মজিবুর রহমান পরিবার-পরিজনসহ বিপথগামী এক সৈনিকদের হাতে শাহাদাত বরণ করেন ।
শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান:
যদি তিনি ১৯৬৬-৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানী শাসকদের বিরোদ্ধে বিদ্রোহ না করতেন তাহলে আমাদের পাকিস্তানের সাথে অসম্মানজনক অবস্থায় থাকতে হতো আর আমরাও খুব একটা ভাল থাকতাম না ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান:
১। ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রকাশ্যে পাশে দাঁড়িয়েছিল। এক কোটি স্মরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল ।
২। মুক্তি বাহীনিকে অস্ত্র ও ট্রেইনিং দিয়ে আমাদের অনেক উপকার করেছিল। জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছিল আর দুইবার সোভিয়েট ইউনিয়নকে দিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল।
https://www.youtube.com/watch?v=z_rRUqY0QDA
https://www.youtube.com/watch?v=AqL_EhnbxJI
ভারতের অবদানের কথা আমাদের স্বীকার করতে হবে।
সাথে সাথে এসব কথাও স্বীকার করতে হবে :
১। ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশ হতে চলে যাবার সময় আমাদের মিল-কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি খুলে তাদের দেশে নিয়ে যায়। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের দেশের কলকারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
২। ভারত আমাদের উপরে কীভাবে দাদাগিরি করছে তা আমরা কম বেশি সবাই বুঝি ।
https://www.youtube.com/watch?v=1Pn-bHoSiNg
জয় বাংলা বাংলার জয়
গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার
সুরকার: আনোয়ার পারভেজ
এই গানটা ১৯৭১ সালে সবচেয়ে বেশী গাওয়া গান বলে বিবেচিত হতো ।
যারা গান ভালবাসেন না বা এই গান পছন্দ করেন না তাদের আমার কিছু বলার নেই ।
বিষয়: বিবিধ
২৮৫০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব এপর্যন্ত বলেই উনার কাজ শেষ এদেশের মানুষকে মুক্ত করার কাজটা কে করেছিলো বিবেক দিয়ে বলবেন। যুদ্ধের ঘোষনা দেয়ার পর তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে আত্নগোপন করলেন না কেন? একটা গাধাও পরিস্থিতিটা বুঝত পারে যে তিনি অ্যারেস্ট হবেন। দেশের ৭.৫কোটি বাঙ্গালীকে বিপদে ফেলে নিজের প্রান বাচানোর এটা কোন প্রকারের হীন প্রচেষ্টা?
তৎকালিন সময়ে যদি তিনি গ্রেফতার এড়িয়ে বাঙ্গালিদের পাশে থাকতেন তাহলে আমাদের ৯মাসের বিজয় ৩মাসে হতো যার একটি ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় লাখ লাখ বাঙ্গালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেখানে তার সক্রিয় উপস্থিতি মানুষের প্রাণে কতোটা শক্তি জোগাত একবার চিন্তা করে দেখেছেন?
এইবার একটু শেখ সাহেবের পরিবারের দিকে লক্ষ্য করুণ, তার পরিবারের মধ্যে শেখ কামাল, শেখ জামাল সেই সময়ে উপযুক্ত ছিল, তারা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করলোনা কেন? আমার বাবা ৭১ এ জামালের বয়সি ছিল আর আমার জেঠা শেখ কামালের বয়সি ছিল তারা উভয়েই সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাহলে দেশের মানুষ শেখ পরিবারের কাছে কি এটা আশা করতে পারেনা যে তার পরিবারের কেউ যুদ্ধে অংশ গ্রহহন করুক?
শেখ সাহেব তাহলে আমাদের কি উপহার দিলেন? না পারলেন সঠিক নেতৃত্ব দিতে না পারলেন সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে আর না পারলেন নিজের পরিবারের কাউকে যুদ্ধে অংশ গ্রহন করাতে, তিনি শুধু একটা ভাষন দিয়ে একটা জাতিকে অনিবার্য যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন নিজে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবার জন্য কিন্তু যুদ্ধের বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি পেল কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।
স্বাধীনতার বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি শেখ সাহেবকে বানিয়ে দিলো সুপারহিরো প্রেক্ষাপটের গভীরতা চিন্তা না করে। পরবর্তী কালে সাধারণ মানুষকে গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য একনায়ক তন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাকাশাল বানিয়ে মুক্তিকামী সেনাদের হাতে ১৯৭৫সালের ১৫ই আগস্ট নিহত হলেন। এটাই ছিল শেখ সাহেবের জীবনের ইতিবৃত্ত।
বর্তমানে আমাদের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ সাহেবকে হিন্দুদের কাছে রামের অবতার সাদৃশ্য আর মুসলিমদের জাতির পিতা বানিয়ে দিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশের অপর নাম বুঝিয়েছেন। স্বাধিনতার জন্য অল্প সময়ের একটা ভাষন ছাড়া তিনি আমাদের আর কি দিয়েছেন যার জন্য উনাকে জাতির পিতা আর বাংলাদেশের অপর নাম মানতে হবে?
আমাদের এই স্বাধীনতাকে আমরা অর্জন করেছি ৩০লক্ষ প্রান আর ২লক্ষ মা-বোনের সম্মানের বিনিময়ে, যেখানে শেখ পরিবারের কেউ ছিলনা। ৩০লক্ষ লাশকে একটার উপর একটা সাজালে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতাকেও ছাড়িয়ে যাবে, চিন্তা করেন কি বিশাল পরিমান আত্নত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি যেখানে শেখ পরিবারের কারো রক্তের ১টা ফোটাও ছিলনা আর না ছিল যুদ্ধ ক্ষেত্রে তাদের কোন সক্রিয়তা। তবুও বলবেন তিনি সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি? একটা কথা মনে রাখবেন রক্তের দামে কিনেছি বাংলা কারো বাবার দানে নয়। আর সেই রক্তের অংশীদার শুধু আমরাই।
আপনি বলছেন তাঁকে মহান নেতা স্বীকার করেন । আর একই বাক্যে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন ।
আমি আপনার মন্তব্যটা বেশ কয়েক বার পড়েছি । পরবর্তীতে আপনার মন্তব্যটার উপর একটা ধারাবাহিক লেখা লিখবো । আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
আজ এই ব্লগ সাইটের লেখাগুলো পড়লাম । মনে হলো এই ব্লগ সাইটটাতে বাংলাদেশিরা লেখালেখি করে না । এই ব্লগ সাইটের ব্লগাররা এক দিন সরকারী ছুটি পাননি । উপরন্তু এই ব্লগ সাইটের এডমিনও অন্ধ বলে মনে হলো ।
আমি এখানে শেখ সাহেবের কর্মের পরিধি বিবেচনা না করেই উনাকে নেতা মেনেছি কারন আমার বাবা যাকে নেতা মানেন তাহলে আমার তাকে নেতা মানতে দোষ কোথায়?
কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে যখন আমার জ্ঞানের বিকাশ ঘটলো তখন আমি শেখ সাহেবের ১৯৭১সালের অবদান পর্যালোচনা করে দেখলাম এই ব্যাপারে খুব সামান্য অবদানই উনার রয়েছে আর তখন থেকেই উনার যোগ্যতা সম্পর্কে আমি সন্দিহান, উনাকে আমি নেতা ঠিকই মানি কিন্তু যোগ্য নেতা মানি না আর এযুগেও এমন স্ববিরোধী গুন যুক্ত অনেক নেতা রয়েছে; যারা নামে নেতা কিন্তু কাজে একেকটা পঁচা শামুক।
এই ব্যাপারে আপনার লেখাটার অপেক্ষায় রইলাম, আর এই ব্লগের সবায়ই মোটামুটি বাঙ্গালি আর মুসলিমও, তাই মুক্তমনাদের যাতায়াতের হারটাও অনেক কম তাই আপনার চোখে তেমন আবালিয় পোস্ট ধরা পরে নাই, যেহেতু মুসলিমের হার বেশী তাই শোক দিবসের নামে প্রতিকৃতি পূজক এবং কবর পূজকদের সমর্থন কারি তেমন ব্লগ আপনার নজরে আসে নাই, তাই হয়তো আপনি এই ধারনা করেছেন যে এই ব্লগের কেউ সরকারি ছুটি পায় নাই। তবে আপনি সামুতে, মুক্তমনা ব্লগে গেলে আপনার কাঙ্খিত অনেক ব্লগ পাবেন ১০০% নিশ্চয়তা দিলাম।
ধন্যবাদ মুখোশ খোলে খোলা মাঠে আসার জন্য। আপনার রাজনৈতিক আদর্শের খোঁজে কয়েকটি মন্তব্য করেছিলাম কিন্তু আপনি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
আপনি একটি বঙ্গবন্ধু সঙ্গীত নিকেতন খুলুন.....। এখন সময় তার... উপরে উঠার জন্য এটাই সিড়ি হিসাবে কাজ করবে।
আপনার ব্লগ সাইট খোলার চিন্তাটিও সফল হবার সম্ভাবনা আছে.....। ধন্যবাদ।
আপনি আজ পর্যন্ত উত্তর দেননি ।
আমার রাজনৈতিক দর্শণ কি তা আমি ব্লগ লেখা শুরু করার সময় হতে বলে এসেছি । এই সাইটেও বলেছি বেশ কয়েক বার ।
শিক্ষা মানুষকে বিনয়ী ও নম্য করার পাশাপাশি নিরোপেক্ষভাবে সব কিছু ভাবতে শেখায় । আমি অন্তত এই কথাটাকে এই নিবন্ধ লেখার মাধ্যমে প্রমাণ দিলাম ।
আমার নিজস্ব রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে ।
আমি মধ্য ডানপন্হী রাজনৈতিক দর্শনকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা বলে মনে করি । আমার মতে আদর্শ রাজনৈতিক দল তুরস্কের জাস্টিস এন্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি ।
1. http://en.wikipedia.org/wiki/Justice_and_Development_Party_(Turkey)
2. http://en.wikipedia.org/wiki/Millî_Görüş
3. http://www.akparti.org.tr/english/
আমার জীবন দর্শন :
আমি এক বিংশ শতাব্দীর লোক হওয়ায় আমি সব কিছুকেই এক বিংশ শতাব্দীর চোখে দেখে থাকি । ইসলাম যেহেতু আমরা জীবন চলার পথ, সেহেতু আমি ইসলামকে এযুগের চোখ দিয়েই দেখে থাকি । কারণ আমরা চাইলেই ঢাল-তলোয়ারের যুগে ফিরে যেতে পারবো না । বর্তমান যুগটা তারকা যুদ্ধের যুগ । পরমাণু প্রযুক্তির যুগ । অবাদ তথ্য প্রবাহের যুগ । সুতরাং আমার লেখার মধ্যেও তার ছাপ পড়বে ।
ব্লগ সাইট খোলার জন্য এসব নিবন্ধ লেখার প্রয়োজন হয় না । এর জন্য অর্থ-মেধা-শ্রম ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ ।
HSC তে তিন বিষয়ে ফেল।
বেকার হোষ্টেলে থাকা কালীন অন্যের ভাগের মাছ
চুরীতে করে খেতেন। সায়েদুর রহমান মাছ চুরির
সময় ধরে ফেলে। এই হলো গ্রেট নেতা।
গ্রেট নেতা হতে হলে কি সুপারম্যান বা মহামানব হতে হবে - এমন তো কোন কথা বা বিধিবদ্ধ নিয়ম আছে কি ?
নজরুল এসএসসি বা মেট্রিকুলেশন করেননি, তারপরও তিনি জাতীয় কবি ।
রবীন্দ্রনাথ প্রথাগত শিক্ষার কোন সনদপত্র লাভ করেননি । তারপরও তিনি নোবেল বিজয়ী বিশ্ব কবি ।
সায়েদুর রহমানের বইতে লেখা আছে।
https://www.youtube.com/watch?v=z_rRUqY0QDA
https://www.youtube.com/watch?v=AqL_EhnbxJI
WITNESSES IN THE AFFIDEFIT REGISTERED
1. Mr. Abdur Rahman Shafayet, Court Daroga
Police Station (PS): Vandaria
Post Office: Vandaria
District: Erstwhile Barisal
2. Shree Anil Kumar, Court Daroga
District: Erstwhile Barisal
মন্তব্য করতে লগইন করুন