সংগীত,বাদ্য যন্ত্র এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে না ভালবাসার কারণেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দালালরা পরাজিত হয়েছিলো এবং ভবিষ্যতেও তারা পরাজিত অবস্হায় থাকবে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:২৯:৫৮ রাত








https://www.youtube.com/watch?v=1nJmFOZTaYA

১৯৭১ সালের আগে ২৩ বছর আমরা পাকিস্তানের অধীন ছিলাম । আমরা মনে প্রাণে কখনোই উর্দু ভাষায় রচিত পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত কখনোই গাইতাম না । স্বৈরাচারী শাসক আউয়ুব খান অনেক চেষ্টা করেছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতটা আমাদের দেশের স্কুল কলেজগুলোতে চালু করার । বাধ্য হতে তিনি তার অনুচর ও বাঙ্গালী কবি গোলাম মোস্তফার একটা মানহীন গানকে আমাদের জন্য জাতীয় সংগীত হিসেবে বাঁছাই করলেন ১৯৫৬ সালে । তারপরও আমরা সেই গানটা গাইতাম না । আর এটা জনপ্রিয় গানও ছিল না । কারণ এটাতে কোন সুর নেই আর মনে দোলাও দেয় না ।





আমরা পাকিস্তান আমলে স্কুল কলেজে গাইতাম এই কয়টা লাইন :

”পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ

পূরবে বাংলার শ্যামলময় পঞ্চনদীর তীরে অরনিময়

ধূসর সিন্ধুর মরু সাহারায়, ঝাঁদাই জাগে যে আজাদ

পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ |



http://defence.pk/threads/pakistans-first-national-anthem.54975/page-2

আর এটাকে বলতাম জাতীয় সংগীত । এটা এতই অজনপ্রিয় - এটাকে কেহ আজ পর্যন্ত অডিও আকারে সংরক্ষণ করে রাখেনি । উপরন্তু এই গানের লেখককেও বাংলাদেশিরা চিনে না বল্লেই চলে ।

অপর দিকে ১৯৫৪ সাল হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত পাকিস্তানের লোকরা এই গানটা জাতীয় সংগীত হিসেবে গান । তারা এটাকে বলেন কওমী তারানা ।




https://www.youtube.com/watch?v=elLT75G-YuM

(পাকিস্তানের আলেম সমাজ তাদের দেশের জাতীয় সংগীত গাচ্ছেন । আমাদের দেশের অধিকাংশ আলেমের মতে জাতীয় সংগীত কেন গান গাওয়া হারাম । )




https://www.youtube.com/watch?v=Vcqns4W2L2M

কিউ টিভি




https://www.youtube.com/watch?v=m0qc1Qd_kew

জুনাইদ জামশেদ - তাবলীগ জামায়াতের নেতা বাদ্যযন্ত্র সহ জাতীয় সংগীত গাচ্ছেন দল-বল নিয়ে ।

পাকিস্তানের জাতীয় সংগীতের কথা :

Pak sarzamin shad bad

Kishware haseen shad bad

Tunishane azmealishan arze Pakistan

Markazeyaqin shadbad.

Pak sarzamin ka nizam quwate akhuwati awam

Qaum, mulk, Sultanat

Painda ta binda bad shad, bad man zele murad.

Parchame sitarao hilat

Rahbare tarraqio ka mal

Tarjumane mazishane hal jane istaqbal

Sayyai, khudae zul jalal.

পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজী অনুবাদ :

Blessed be the sacred land,

Happy be the bounteous realm,

Symbol of high resolve, Land of Pakistan.

Blessed be thou citadel of faith.

The Order of this Sacred Land

Is the might of the brotherhood of the people.

May the nation, the country, and the State

Shine in glory everlasting.

Blessed be the goal of our ambition.

This flag of the Crescent and the Star

Leads the way to progress and perfection,

Interpreter of our past, glory of our present,

Inspiration of our future,

Symbol of Almighty's protection.

source: http://www.lyricsondemand.com/miscellaneouslyrics/nationalanthemslyrics/pakistannationalanthemlyrics.html




https://www.youtube.com/watch?v=zDEkU3msNyI

তাবলীগ জামায়াতের নেতা জুনাইদ জামসেদ বাদ্যয্ন্ত্র ব্যবহার করে গান গাচ্ছেন ।




https://www.youtube.com/watch?v=BrwznMpys6k

তাবলীগ জামায়াতের নেতা জুনাইদ জামসেদ বাদ্যয্ন্ত্র ব্যবহার করে গান গাচ্ছেন ।




https://www.youtube.com/watch?v=5T3SH1DNPj4

তাবলীগ জামায়াতের নেতা জুনাইদ জামসেদ বাদ্যয্ন্ত্র ব্যবহার করে গান গাচ্ছেন ।

১৯৭১ সালের আগে পাকিস্তানের মতো এক দেশে দুইটা জাতীয় সংগীত ছিল । অদ্ভুত ব্যাপার । সারা বিশ্বে এমন নজির নেই । কিন্তু পাকিস্তানের ক্ষেত্রে হয়েছিলো ।

শুধু এখানেই শেষ না ১৯৪৭ সাল হতে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে জাতীয় সংগীত গাওয়া হতো না । তবে ১৯৪৭ সালে জগনাৎ আজাদ নামক এক হিন্দু মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নির্দেশে জাতীয় সংগীত লেখে । কিন্তু এই জাতীয় সংগীত গাওয়া হতো না । কারণ :

১. হিন্দুর লেখা গান মুসলিম প্রধান দেশে গাওয়া যাবে না - অভিমত রাজনৈতিক নেতাদের ।

২. ইসলাম ধর্মে গান নিষিদ্ধ ।

( আজব হলেও সত্যি এই দেশে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ডাকটিকিটে ছবি ব্যবহার করা হতো না । কারণ ছবি আঁকা ও সংরক্ষণ করা বড় ধরনের গুনাহ । )

এই হিন্দু গীতিকার ও সুরকারের এই গানে কি ছিল :

For the newly born sate of Pakistan, there were many challenges, and one of these was the necessity of having a national anthem. Upon independence, when the the flag was hoisted it was accompanied by the song, " Pakistan Zindabad, Azadi Paendabad". The flag itself had only been approved by the Constituent Assembly of Pakistan three days earlier. Muhammad Ali Jinnah, the founder of Pakistan, wanted an anthem immediately on independence and at his own had asked a Lahore-based Hindu writer, Jagannath Azad on 9 August 1947 to write a national anthem for Pakistan in five days. The anthem written by Azad was quickly approved by Jinnah, and it was played on Radio Pakistan. This initial anthem remained as Pakistanâs national anthem for approximately eighteen months.

In 1948, A.R. Ghani from Transvaal, South Africa, offered two prizes of Rs. 5,000 each for the poet and composer of a new national anthem. The prizes were announced through a Government press note published in June 1948. In December 1948, a National Anthem Committee (NAC) was formed, initially chaired by the Information Secretary, Shaikh Muhammad Ikram. Committee members included several politicians, poets and musicians such as Abdur Rab Nishtar, Ahmed Ghualm Ali Chagla and Hafeez Jullandhuri. But nothing could be immediately finalized and when President Suekarno of Indonesia, the first foreign head of the state to visit Pakistan, visited Pakistan in 1950, Pakistan's national anthem was not played. It was then that the National Anthem was composed (WITHOUT LYRICS) by musician Ahmed Ghulam Ali Chagla, which was played on March 30,1950 on the arrival of King of Iran Reza Shah Pehalvi. The first instrumental anthem was played by the Pakistan Navy band at PNS Dilawar under Warrant Officer Abdul Ghafoor. The anthem was also played during the Prime Minister's visit to the United States. Although it was approved for playing during the visit of the Shah, official recognition was not given until January 5, 1954.

In the meantime, however, Mr Ahmed Ghulam Ali Chagla had died in 1953, before he could see his tremendously appealing tune to have been accepted as the final anthem of Pakistan. His contribution to the national anthem was recognized by the government of Pakistan in 1996, when he was posthumously awarded the "President's Pride of Performance award", which was received by his son Abdul Khaliq Chagla on March 23, 1997.







Left to right: Jagannath Azad - Ahmed Ghualm Ali Chagla - Hafeez Jalandhari​



পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের স্বরলিপি । এই স্বরলিপিতে সাতটা স্বর (সা রে গা মা পা ধা নি ) - এর মাধ্যমে গানের কথাগুলো লেখা আছে । স্বরলিপি দেখে যে কোন ভাষার অভিজ্ঞ শিল্পি গান গাইতে পারবে । এজন্য শিল্পিরা সা রে গা মা পা ধা নি সা চর্চা করেন হারমুনিয়াম, কী বোর্ড , পিয়ানো , গিটারের মাধ্যমে ।

After 7 years since independence, the search for proper lyrics for the national anthem, finally ended and the lyrics written by Abdul Hafeez Jalandhari were finally approved and became the official national anthem of Pakistan in 1954. The delay had occurred since the lyrics had to be superimposed on the music already composed by Mr Chagla in 1950. On 13 August 1954, Hafeez Jalandhari sang his own written National anthem on Radio Pakistan, which had 15 lines. Later the anthem was composed in the form of chorus, sung by Shameem Bano, Kaukab Jahan, Rasheeda Begum, Najam Ara, Naseema Shaheen, Ahmed Rushdie, Zawar Hussain, Akhtar Abbas, Ghulam Daastagir, Anwar Zaheer and Akhtar Wasi Ali. The entire anthem is for 80 seconds and some 38 instruments were used in its recording. The first colour film with flag and anthem was produced on January 19th, 1955 in USA.

১৯৫৬ সাল । পুর্ব বাংলার মুসলমানের জীবনে এই প্রথম জাতীয় সঙ্গীত নামের কোন বস্তুর অভিজ্ঞতা। প্রথম আন অফিসিয়াল জাতীয় সঙ্গীত।

পশ্চিম পাকিস্তানীরা "পাক সার জমিন" গাইলেও ভাষা আন্দোলনের কারনেই হয়তো পুর্ব পাকিস্তানের জন্য বাঙ্গালী রাজনীতিবিদরা ঝুঁকি নিতে চাইলেন না । তাই তারা একটা বাংলা কওমী তারানা খুঁজলেন। যা বাংলা ভাষায় হবে আবার একই সাথে পাকিস্তানের তুস্টি বাক্যও থাকবে। যাতে পাকিস্তানবাদ নিয়ে কোন সংশয় থাকলো না আবার বাংলা ভাষাও হাজির নাজির হলো। সব মিলে পাকিস্তানের ভক্তিরসে সিক্ত বাঙ্গালীর দেশাত্মবোধক সঙ্গীত।

এরপর বেশ কিছু দিন পুর্ব পাকিস্তানের স্কুলগুলিতে বাঙ্গালী স্কুল পড়ুয়া শিশুদের সুর করে এই জাতীয় বর্জ গাইতে হতো। অবশ্যি ২ বছরের মাথায় আইয়ুব খান ক্ষমতায় এসে আধাআধি কোন কিছুর মধ্যে গেলেন না। বাংলা জিন্দাবাদি কওমী তারানা বুটের ঘায়ে উড়িয়ে দিয়ে এর বদলে উদু তারানা এ পাকিস্তান "পাক ষাড় জমিন সাদ বাদ" কায়েম করে দিলেন।

তার পরবর্তী ফল আমরা জানি । কিন্তু আজও কি বাংলাদেশের মুসলিম সমাজের বড় অংশ সংগীত বা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করাকে কল্যাণকর মনে করে কি ? - এই প্রশ্ন আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম ।

আশা করি আমার এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন ।


আজ এখনও অনেকে গান-বাজনাকে হত্যা আর সুদের সমান খারাপ কাজ মনে করেন ।

: গীত, বাদ্য এবং নৃত্য - এই তিনটিকেই একত্রে সঙ্গীত বলা হয় । অর্থাৎ কোন গান সংগীতে পরিনত হতে হলে তার সাথে অবশ্যই বাজনা ও নাচ থাকতে হবে ।

বাদ্য যন্ত্র-গান-গায়ক হওয়া-কবি হওয়া-ছবি আঁকা সম্পর্কে নেতিবাচক অনেক হাদিস রয়েছে ।

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করার ক্ষেত্রে এসব হাদিসকে ব্যবহার করে এক শ্রেণীর লোক বরাবরই শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করা হতে বিরত রাখার চেষ্টা করেছে ।

কিন্তু বাস্তব অবস্হা হতে মুসলিম সমাজকে তারা কোনক্রমে এসব হতে বিরত রাখতে পারছে না । কারণ এগুলো মানুষের হৃদয় হতে উঠে আসা বিষয় ।

আমরা যদি সংস্কারকৃত মনের অধিকারী মুসলিম হতে চাই, তাহলে আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে ।

যদি না করি, আমাদের ঘরগুলোতে স্টার জলসা-সনি প্লাস-দুরদর্শন চ্যানেলগুলো রাজত্ব করবে আর আমাদের মেয়েরা পাখি ড্রেসের পাখি হবে আর সানি লিউনি হতে থাকবে ।

আফসুস । ইসলামী পোষাক বা হিজাব পড়ে অভিনয় করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেয়ে । এই জাতীর হুস কবে হবে ।




https://www.youtube.com/watch?v=jcHhWtGmX_o

হিন্দু মেয়ে হিজাবের গুরুত্ব বোঝে । মুসলিম মেয়ে বোঝে না । মিডিয়াতে ক্যারিয়ার নষ্ট হবে - এই কথা চিন্তা করার পরও বিষয় ও প্রাসঙ্গিকতার কারণেও অনেক মুসলিম নামধারী নায়িকা হিজাব তো দুরে থাক আল্লাহর নামটুকু নেয় না । নাম নেয় ভগবানের । কবরকেও বলে স্মসান ।

তারা কথায় কথায় কুরআন হাদিসের কথা বলেন ।

কুরআনে বৈধ এমন কাজও অগ্রহণযোগ্য অনেক আগে হয়ে গেছে । যেমন :

وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ كِتَابَ اللّهِ عَلَيْكُمْ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَاء ذَلِكُمْ أَن تَبْتَغُواْ بِأَمْوَالِكُم مُّحْصِنِينَ غَيْرَ مُسَافِحِينَ فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً وَلاَ جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا

এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। ( সুরা নিসা : ২৪ )

২। وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاء فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

04

যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই না’ফারমান। ( সুরা নুর : ৪ )

বিশ্বের অধিকাংশ দেশের আদালত ও অধিকাংশ মুসলিম পর্যন্ত এই আয়াতের চর্চা করে না । ঘুটি কয়েক মুসলিম এটা চর্চা করার পক্ষপাতি । এই আয়াতকে ব্যবহার করে সামান্য সংখ্যক বলে যাচ্ছেন যে কোন মেয়ে ধর্ষিতা হলে ও ধর্ষণ হওয়ার সময় চার জন স্বাক্ষী না থাকলে মেয়েকে নিরব থাকতে হবে - কারণ এটাই ইসলামী আইন । যেমন দেখুন - এই ভিডিওতে পাকিস্তানের বিখ্যাত এক লোক এমন কথাই বলেছেন : https://www.youtube.com/watch?v=GZ1RbMau-2Y




সংগীত বা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে সুদ-জেনা-হত্যার তুলনা অবান্তর ।

সুদ বা রিবা সারা বিশ্ব হতে বিলুপ্ত হয়েছে । বর্তমানে সুদ বলতে স্হির মুনাফাকে বোঝানো হয় । অপর দিকে রিবা বা সুদ বলতে চক্র বৃদ্ধি হারে সুদ যা মানুষকে দেউলিয়া করে দেয় ।

বাস্তবে স্হির মুনাফা ( বর্তমান সময়ের ব্যাংকের সুদ ) এবং অতীতের চক্র বৃদ্ধি হারের সুদ বা রিবা - দুইটাই খারাপ । উভয়ই পরিতাজ্য ।

ইসলামে কেন সব ধর্মে ব্যভিচার খারাপ কাজ ।

বিনা কারণে বা আইনগত কারণ ছাড়া হত্যাকান্ড অপরাধ ও গুনাহ ।

বর্তমান সময়ে কুরআন হাদিসে অনেক কিছু না থাকলেও হচ্ছে । যেমন : আত্মঘাতী বোমা হামলা বা আত্মঘাতী হওয়া । এই বিষয়টা সহিহ হাদিস দ্বারা হারাম প্রমাণিত । অথচ অনেক হাদিসে গান করা ও এমন কি বাদ্য যন্ত্র ব্যবহার করে গান করার কথাও দেখা যায় ।

বিষয়: বিবিধ

৩২৫৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

336017
১৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:০৬
নাবিক লিখেছেন : ভাই গানের প্রতি দেখি আফনার বিশাল ভালুবাসা,
এমন ১টা ব্যান্ড সংগীতের দল যদি গঠন করে পেলতেন। তাইলে আমরাও আপনার song শুনিয়া প্রীত হইথাম।
১৫ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৩০
277932
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি তথ্য প্রদর্শণ করছি । গানের দল গঠণ করার কথা লেখি নাই । দয়া করে আমার নিবন্ধটি নিয়ে মন্তব্য করুন ।
১৬ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৫:৩৫
277975
নাবিক লিখেছেন : নিবন্ধ ভালো লাগে নাই। মাইনাচ-----
336070
১৬ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:২০
স্বপন২ লিখেছেন : দেশের বাহিরে থাকলে পুরো মদখর এবং ক্লাবে
গমন করতো। তার এমন কোন লেখা নেই। যে
খানে মহিলাদের ছবি নাই। মাইনাস
১৬ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:২৭
277982
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : দেশের বাহিরে যা যা আছে বাংলাদেশে সবই আছে । পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী ঢাকা শহরে ২০০শর বেশি মদখোরদের আস্তানা বা ক্লাব আছে । আর এগুলো নাকি সরকার অনুমোদিত ।

আমার লেখা পড়ে মাইনাস দেন আমার আপত্তি নেই । আমার লেখার প্রতিটা তথ্য সত্যি ।

আপনাকে অনুরোদ করছি, নিরোপেক্ষভাবে পড়াশোনা করুন ও চিন্তা করুন । তাহলে সত্য বুঝতে ও বাস্তবতা বুঝতে পারবেন ।
336116
১৬ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১১
বেআক্কেল লিখেছেন : আচ্চা জনাব, ধর্ম লইয়া বাদরামী কবে ছাড়িবেন। আমনের ভয় কি, মেরিকায় তো আনসারউল্লাহ বাংলা টিম নাই যে, আমনেরে কোদাল দিয়া কোপাইব। একটা পক্ষ লইয়া লন, কুন ভয় নাই। ধর্ম-নাচ-গান সব একসংগে গুলাইয়া ফেলিলে আমনেও অবশেষে তলাইয়া যাইবেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File