সংগীতকে ভাল না বাসার কারণেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দালালরা পরাজিত হয়েছিলো

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১২ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:১৭:৫৬ বিকাল

আমার এক লেখায় মুসলিমের ঐক্য ও সংহতির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করছিলাম । সেখানে এক ভাই মন্তব্য লিখেছেন : “আপনার গান শেখার যে চেষ্টা চলছে বলে জানতে পারলাম তাও কি মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ধরে রাখার স্বার্থে নাকি ! “

আমি তার উত্তরে বল্লাম :




https://www.youtube.com/watch?v=X1SwrWslmkw

এখন এই গানটা শেখার চেষ্টা করছি । কিন্তু পারছি না । ভাবছি এই গানের গায়ক ও সুরকারের কাছে যেয়ে শিষ্যত্ব গ্রহণ করবো ।

হ্যা । গান মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ধরে রাখার স্বার্থেই গাওয়া ও শেখা উচিত ।

এই গানটা শুনুন । বসনিয়ার জনপ্রিয় সংগীত যাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির জন্য শহীদ হওয়ার কথা বলা হয়েছে ।




https://www.youtube.com/watch?v=MUO3BPAH53I




https://www.youtube.com/watch?v=lFnYHja6R0U

কয়েক বছর আগে আমাকে এক জন প্রশ্ন করেছিলো, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীরা ও তাদের এদেশীয় দালালরা কেন পরাজিত হয়েছিল ?

আমি এক কথায় উত্তর দিয়েছিলাম : সংগীতকে ভাল না বাসার কারণেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দালালরা পরাজিত হয়েছিলো ।

আমার এই উত্তর শুনে আমার দিক ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়েছিলেন সেই লোক ।

তারপর আমি বলেছিলাম, ১৯৭১ সালে গাওয়া পাকিস্তানী সৈন্য ও তাদের দোষরদের গাওয়া গান কয়েকটা শোনান তো দেখি । তখন রেডিও পাকিস্তান ছিল । সেই বেতার কেন্দ্রের অনেক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল । আপনি সেই সময়টা দেখেছেন । সুতরাং সামান্য হলেও জানেন । বলতে পারলেন না ।

পাকিস্তানের তাবলীগ জামায়াতকে আমি পছন্দ করি । কারণ জুনায়েদ জামসেদের মতো সংগীত শিল্পী তাবলীগ জামায়াতে যুক্ত আছেন ।

পাকিস্তানের তাবলীগ জামায়াতের সদস্যরা ভীষণ দেশপ্রেমিক । তারা সব সময় তাদের দেশকে সবার সামনে তুলে ধরে ।

পাকিস্তানের তাবলীগ জামায়াত সর্বত্র প্রভাবশালী । তারা সংগীত হতে শুরু করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় তাদের অংশীদারিত্ব আছে । বর্তমানে পাকিস্তানের সংসদের 20 % সংসদ সদস্য তাবলীগ জামায়াতের সাথে যুক্ত । এমন কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির পদও তাবলীগ জামায়াতের লোকরা অধিকার করেছিল । প্রেসিডেন্ট রফিক তারার ছিলেন তাবলীগ জামায়াতের নামকরা সদস্য ও আইনজীবি । তাকে সামরিক শাসক পারভেজ মোশারফ উৎখাত করেন সৌদি আরবের সহযোগিতায় ।

কিছুক্ষণ আগে জুনাইদ সামসেদের অসাধারণ সংগীত পারফরমেন্স দেখলাম : http://www.youtube.com/watch?v=BrwznMpys6k




অসারণ তার পারফরমেন্স !!!

আমি মনে করি, সংগীত ও মিডিয়ার সাথে যুক্ত লোকরা ইসলামী দলগুলোতে যুক্ত হলে এসব ক্ষেত্রে ইসলামের জন্য ব্যবহৃত হবে ও পরিশুদ্ধ হবে ।

সংগীত নিয়ে এত বড় কথা বল্লাম । তবে কেন বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসটা বলবো না :

বাংলাদেশ আমাদের স্বদেশ । ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ নামের কোন দেশ ছিল না। তখন বাংলাদেশ ছিল পাকিস্তান এর একটি প্রদেশ। পাকিস্তানের পশ্চিমাংশের লোকরা আমাদের পূর্বপুরুষদের শোষণ-শাসন-নির্যাতন করতো । তারা মনে করতো আমরা সঠিক মুসলিম না ।

পাকিস্তানের সামরিক শাসক আমাদের পূর্বপুরুষদের পছন্দ করতেন না । কারণ তিনি মনে করতেন তার বিরোদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করার মতো ক্ষমতা রাখে বাঙ্গালীরা । সুতরাং তাদের দাবিয়ে রাখতে হবে । আর বাংলা ভাষার লোকরা ছিল পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ।

তিনি বাংলা ভাষা-ভাষী জনগণের নেতাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতেন । ১৯৬৮ সালে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সমর্থকদের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার জালে আবদ্ধ করেন । তিনি আয়ুউব খানের প্রতিপক্ষই ছিলেন না, তিনি পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলের উপর শোষণ-শাসন-নির্যাতন দুর করার দাবিকে জোড়দার করার জন্য স্বায়ত্বশাসনের দাবী তোলেন । এর ফলে তার জনপ্রিয়তা বেড়ে যায় । তার দল দেশের পাড়ায়-মহল্লায় তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠণ গড়ে তোলতে সক্ষম হয় । এর আগে রাজনীতিবিদরা শুধুমাত্র নিজেদের জনপ্রিয়তা ব্যবহার করে রাজনীতি করতেন । শেখ মজিবুর রহমান এই নিয়মের পরিবর্তন করেন । তার নেতৃত্বকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার সমর্থকরা তাকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভুষিত করেন । শেখ মজিবুর রহমান ও তার সমর্থকদের আউয়ুব খান কারাগারে নিক্ষেপ করে ।

১৯৬৯ সালে আইউব খান জনরোষের চাপে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সমর্থকদের কারাগার হতে মুক্তি দিতে বাধ্য হন ।

১৯৬৯ সালে আইউব ছাত্রদের গণঅভ্যুত্থানের কারণে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ইয়াহিয়া খান। ইয়াহিয়া খানের প্রথম বেতার ভাষনে সমগ্র পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলে পূর্ব পাকিস্তানে বিক্ষোভের অবসান হয়ে যায়।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের নির্বাচন এবং ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয় যাতে পাকিস্তানের ৫টি প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়। উভয় পরিষদের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং প্রায় ৬৫% ভোট পড়েছে বলে পাকিস্তান সরকার দাবী করেছিল। আওয়ামী লীগ প্রায় ৩৮% ভোটে ১৬০টি আসন পায় আর পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রায় ২০% ভোটে ৮১টি আসন। ৩০০টি আসনের বাকি ৫৯টি আসন বাদবাকি ৮টি দল পায় যার মাঝে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১৬টি আসন পেয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তানে মাত্র ১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী (রাজা ত্রিদীব রায় চৌধুরী) সদস্য নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন।

পাকিস্তান ন্যশনাল এ্যাসেম্বলী (PNA)তে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে শেখ মুজিব সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অধিষ্ঠিত হবার বৈধতা পেয়ে যান।

কিন্তু পিপিপি-র প্রধান ও ক্ষমতালোভী ভুট্টো শেখ মুজিবের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে একের পর এক বাধা সৃস্টি করে যাচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানও চেয়েছিলেন ভূট্টো একটা ঝামেলা লাগিয়ে রাখুক যাতে বাংগালীরা কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসতে না পারে।

উপরে উল্লেখিত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের একই সাথে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্থান এ্যাসেম্বলীর ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়লাভ করে। পাকিস্তান পিপলস পার্টি পশ্চিম পাকিস্তানে ১৩৮টি আসনের ৮১টিতে জয়লাভ করে। ফলে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টোর অবস্থান আরো নড়বড়ে হয়ে পড়ে। উনি তার ষড়যন্ত্রের ধারা বজায় রেখে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে কুবুদ্ধি দিতে থাকেন।

ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) শেখ মুজিবের ০৭ মার্চ ১৯৭১ সালে বেলা ২:৩০ মিনিটে শুরু করে ১৯ মিনিট স্থায়ী ভাষন দেন। তিনি ভাষণের এক পর্যায়ে বলেন : “এবারের এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” । তার এই কথায় জনগণ উদ্দীপ্ত হয় ।

এরপর ২৫ শে মার্চ জনগণের উপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ শুরু করে ও আমাদের পূর্বপুরুষরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন । শেখ মজিবুর রহমান কারাগারে অন্তরীণ জীবন যাপন করতে থাকেন ।

১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ।

আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে ১৯৭২ সালের ০৮ জানুয়ারি পাকিস্তান শেখ মুজিবকে মুক্তি দেয় ও ১০ জানুয়ারীতে বিমানে ঢাকায় ফিরে আসেন। ১২ জানুয়ারি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সাল ১৫ আগস্টে শেখ মজিবুর রহমান পরিবার-পরিজনসহ বিপথগামী এক সৈনিকদের হাতে শাহাদাত বরণ করেন ।

শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান:

যদি তিনি ১৯৬৬-৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানী শাসকদের বিরোদ্ধে বিদ্রোহ না করতেন তাহলে আমাদের পাকিস্তানের সাথে অসম্মানজনক অবস্থায় থাকতে হতো আর আমরাও খুব একটা ভাল থাকতাম না ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান:

১। ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রকাশ্যে পাশে দাঁড়িয়েছিল। এক কোটি স্মরনার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল ।

২। মুক্তি বাহীনিকে অস্ত্র ও ট্রেইনিং দিয়ে আমাদের অনেক উপকার করেছিল। জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছিল আর দুইবার সোভিয়েট ইউনিয়নকে দিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দেয়ার ব্যবস্থা করেছিল।

ভারতের অবদানের কথা আমাদের স্বীকার করতে হবে।

সাথে সাথে এসব কথাও স্বীকার করতে হবে :


১। ভারতীয় সৈন্যরা বাংলাদেশ হতে চলে যাবার সময় আমাদের মিল-কারখানার মূল্যবান যন্ত্রপাতি খুলে তাদের দেশে নিয়ে যায়। এর ফলে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও দীর্ঘ সময়ের জন্য আমাদের দেশের কলকারখানার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

২। ভারত আমাদের উপরে কীভাবে দাদাগিরি করছে তা আমরা কম বেশি সবাই বুঝি ।




https://www.youtube.com/watch?v=1Pn-bHoSiNg

জয় বাংলা বাংলার জয়

গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার

সুরকার: আনোয়ার পারভেজ

এই গানটা ১৯৭১ সালে সবচেয়ে বেশী গাওয়া গান বলে বিবেচিত হতো ।

যারা গান ভালবাসেন না বা এই গান পছন্দ করেন না তাদের আমার কিছু বলার নেই ।

বিষয়: বিবিধ

১৬৩৮ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

335441
১২ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৫
কুয়েত থেকে লিখেছেন : নাম হলো ইসলামের গৌরব, কিন্তু কাম হলো শয়তানের গৌরব। যা বাংলার মীর জাফরের জন্যই মানায়। ধন্যবাদ
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৭
277380
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : শয়তানের গৌরব হওয়ার মতো কি কাজ করলাম ?

শিবিরের সদস্য আর দিগন্ত টিভির তারকা খবর পাঠক তাহলে কাদের গৌরব ?
335445
১২ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
চোথাবাজ লিখেছেন : হাচা কথা
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৭
277381
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । ভাই । হাচা কথা । এই হাচা কথা বোঝতে পারলেই হলো । এই হাচা কথা অনেকেই বোঝতে চায় না ।
335446
১২ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : যা লিখেছেন নিজে পড়ে বুঝতে পারবেন?

রাসূল (সাঃ) কোন সঙ্গীতের বলে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করেছেন? বদর, উহুদ, আহযাব, হুনাইনের সময় কোন সঙ্গীত গাওয়া হয়েছিলো? দু-এক কলি মনে আছে?

আবু বক্বর (রাযি.) কোন সঙ্গীতের দ্বারা প্রায় ছিন্ন হয়ে যাওয়া উম্মাতকে আবার একত্রিত করতে সক্ষম হলেন, মনে আছে?

উমর (রাযি.) কোন সঙ্গীতের মুর্ছনায় জেরুজালেম জয় করেছিলেন?

যখন আলী (রাযি.) কামুস দূর্গের বিরাট দরজা উপড়ে নিয়ে ঢালের মতো ব্যবহার করছিলেন, তখন তার মানসপটে কোন সঙ্গীত বাজছিলো?

যখন সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়্যুবী (রহ.) ক্রুসেডারদের নেড়ি কুত্তার মতো পিটিয়ে তাড়াচ্ছিলেন, তার সেনাবাহিনী কোন সঙ্গীত বাজাচ্ছিলো?

সর্বোপরি, এই উপমহাদেশে যখন আউলিয়ায় কিরামগন দ্বীনের আলো নিয়ে আসলেন, তখন কোন সঙ্গীতের প্রেরণায় মানুষ হেদায়েত হচ্ছিলো?

একজন শুভাকাঙ্খি হিসেবে বলতে চাই, ভালো কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন, লক্ষণ ভালো ঠেকছে না।
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৮
277382
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : বর্তমান সময়টা কত সাল ?

বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য কি কি গুণ লাগে ?
১৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:০৫
277484
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : তাহলে কি বর্তমানে এসে ইসলামের বিধান মানসুখ হয়ে গেল?

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল

শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।

মোবাইল: +৮৮-০১৭৩০-৩৩৩৭৮৯


এখাানে যোগাযোগ করুন, একেবারে সবগুলো গুন হাতে কলমে দেখিয়ে দিবে।
335447
১২ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:০৮
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন :
জয় বাংলা বাংলার জয়

গীতিকার: গাজী মাজহারুল আনোয়ার

সুরকার: আনোয়ার পারভেজ

এই গানটা ১৯৭১ সালে সবচেয়ে বেশী গাওয়া গান বলে বিবেচিত হতো ।

যারা গান ভালবাসেন না বা এই গান পছন্দ করেন না তাদের আমার কিছু বলার নেই ।


একজন মুসলমান কিভাবে বাদ্যযন্ত্রের তাল-সুর ওয়ালা গান ভালোবাসে? বাদ্যযন্ত্র কি জায়েজ? নাকি আবার ওলামা লীগের মতো ফতোয়া দিয়ে বসবেন "ধর্ম আর রাষ্ট্র আলাদা দুটো বিষয়"
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩০
277383
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : মুসলমানরাই বাদ্যযন্ত্রের তাল-সুর ওয়ালা গান ভালবাসে ?

প্রতি বছর বাংলাদেশে ১২ শত নতুন সিডি ও ক্যাসেট বের হয়, তাল-সুরওয়ালা গানেরই ।

আপনি বরং তাদের আগে বলেন : ভাই । আপনি তো মুসলিম । বাদ্যযন্ত্রের তাল-সুর ওয়ালা গান ভালবাসবেন না ।

দয়া করে বলুন, নতুন গান রচনা ও সুর দেওয়ার জন্য সঠিক পদ্ধতি কি ?
১৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:০৩
277481
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : হ্যাঁ ১২শত না ১৪শত বের হয়, আর সেগুলো বের করে আপনার মতো পাক্কা মুসলমানরা (!) যারা কপালে টিপ, গলায় যষ্ঠি, অর্ধনগ্ন পোষাক পরে গানগুলো গেয়ে বেড়ায়।

".......বাদ্য-যন্ত্র ব্যবহার ব্যতীত সুর করে কবিতা আবৃতি করা জায়েয আছে, তবে শুধু পুরুষদের জন্য" (জাদীদ ফিকহী মাসাইল, হিদায়া, ইলামুল মুআক্কিয়িন দেখে নিতে পারেন)
335451
১২ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৭
নাবিক লিখেছেন : ভূত তাড়াতে শ্যামের গীত।
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩২
277384
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : স্পষ্ট করে বলুন ।
জামায়াতী খবর পাঠক ও শিবিরের সদস্য আমিরুল মুমেনীন মানিক তাহলে https://www.youtube.com/watch?v=X1SwrWslmkw


কি করছে ?

ভুত আর শ্যাম ইসলামী সংস্কৃতির বিষয় না ।
335476
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : http://www.alkawsar.com/article/57
বাদ্যসহ গান হারাম হারাম হারাম কোন সন্দেহ নাই।
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৪
277386
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হালাল হারাম । সব হারাম করে দেন । ফেসবুকটাও হারাম করে দেন ?

কিন্তু আপনি নিজে আপনার প্রোফাইল পিকটা কখনোই হারাম করবেন না ???? ও বলবেন না ???

ছবি তোলা ও ভিডিও করা হারাম কখনো বলবেন না ????? !!!!!
335485
১২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০১
ইয়াফি লিখেছেন : গত রমজান মাসে কোন এক টিভি চ্যানেলে (Rtv হতে পারে) অভিনেত্রী ও গায়িকা শম্পা রেজার উপস্হানায় গানের অনুষ্ঠান চলছিল। শম্পা রেজা বলে যাচ্ছিলেন এই (রমজান) মাসে সুরের কোন মানা নেই। কারণ এই মাসে যে কোরআন পড়া হয়, সেটাও সুর আর প্রতিদিন যে পাঁচবার আযান দেয়া হয় তাও সুর...।
জ্ঞানতাপস ফখরুল ভাইও কি ওভাবে বলছেন?
335521
১২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:৫০
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : যেটা হারাম সেটা হারামই! কোন সন্দেহ নাই ১০০ বার হারাম।
সেটা আমি করি ফখরুল সাহেব করুক আর কোন আল্লামা করুক।
যাই হোক ফখরুল সাহেব উপরের লিংকের পোষ্টটা আল্লাহর জন্য মন দিয়ে পড়ুন।
Good Luck হেদায়াত আল্লাহর হাতে।
335529
১২ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৪২
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : বলদ সব সময়ই বলদের পরিচয় দিয়ে যাবে....! শয়তান সবসময় শয়তানি করে যাবে....! কুকুর বেশিরভাগ সময় গেউ গেউ করে যাবে। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
১০
335559
১৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:১৩
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আমরা আপনার শিষ্যত্ব গ্রহণ করবো।
তাড়াতাড়ি গানের গ্রূপ তৈরী করুন।
আমেরিকায় মাঝে মধৈ তাবলীগ দেখা যায়।
তারা গান বাজনা হারাম বলে। আমি যখন
বাংলাদেশে ছিলাম। তাবলীগ তখনো গান বাজনা হারাম বলতো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File