শিবির নেতা মীর কাসেম আলীরও ফাঁসি

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ জুলাই, ২০১৫, ১১:১৪:০৭ রাত



আলহামদুলিল্লাহ । কুক্ষ্যাত শিবির নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় হয়েছে ।

১৪টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি সন্দেহাতীতভাবে ও দুটি আংশিক প্রমাণিত :: ১১ নং অভিযোগে ৩ বিচারকের সর্বসম্মত মৃত্যুদণ্ডের রায় :: ১২ নং অভিযোগে ফাঁসির সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে ।





মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যার নেতৃত্বে বৃহত্তর চট্টগ্রামে রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনী নৃশংস নির্যাতনের মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল, যার নাম শুনলে চট্টগ্রামের মানুষ আতঙ্কে থাকতো, সেই ভয়ঙ্কর কমান্ডার বর্তমানে জামাতের নির্বাহী কমিটির সদস্য,দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক ও সৌদি এনজিও রাবেতা আলম আল ইসলামী এনজিও-র নির্বাহী মীর কাসেম আলীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই অভিযোগে দলটির আমির মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার তিনদিন পর এ রায়ের ঘোষণা এলো।



ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ গতকাল রোববার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য বিচারপতি মুজিবুর রহমান ও বিচারপতি মোঃ শাহিনুর ইসলামও সঙ্গে ছিলেন। ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর এটি একাদশ রায়।

ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও স্বাধীন বাংলাদেশে যার জোগানো অর্থে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটি পেয়েছে শক্ত ভিত্তি, ১৯৮৫ সাল থেকে জামাতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এই সদস্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের মতো পৃথক ১৪টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি সন্দেহাতীতভাবে ও দুটি আংশিক প্রমাণিত হয়েছে। আংশিক প্রমাণিত দুটি অভিযোগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ আটজনকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে ১১ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের বিষয়ে তিন বিচারক সর্বসম্মত রায় দিলেও ১২ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির সিদ্ধান্ত হয়েছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে। এছাড়া সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত আটটি অভিযোগে অপহরণ ও আটকে রেখে নির্যাতনের ঘটনায় এই আসামিকে সব মিলিয়ে ৭২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।





ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ৩৫১ পৃষ্ঠার রায়ের ১১ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্তসার পড়ার সময় হালকা আকাশি শার্ট ও ঘিয়ে কোট পরিহিত মীর কাসেমকে শুরুতে কাঠগড়ায় বসে দৃশ্যত ফুরফুরে মেজাজে হাঁটুর ওপর আঙুল নাচাতে দেখা গেলেও রায়ের কপি পড়া যতো শেষ হচ্ছিল ততো তার চেহারায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ফাঁসির সাজা ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি বলে ওঠেন, ‘শয়তান.. শয়তান’..। ‘মিথ্য ঘটনা… মিথ্যা সাক্ষ্য… কালো আইন… ফরমায়েশি রায়। সত্যের বিজয় হবে শিগগিরই… শিগগিরই।’

৬২ বছর বয়সী মীর কাসেমকে পাকিস্তানের ‘খান সেনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ। মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হওয়া ‘বাঙালি খান’ হিসেবে যিনি সে সময় জামাতের তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তান শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ছাত্রসংঘের বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার হিসেবে মীর কাসেম যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেন, তা উঠে এসেছে এই রায়ে।

জামাত আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পর মীর কাসেম ছিলেন আলবদর বাহিনীর তৃতীয় প্রধান ব্যক্তি। ব্যাপক যুদ্ধাপরাধে অংশ নেয়া আলবদর বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডার ছিলেন তিনি। একাত্তরে তার নির্দেশেই চট্টগ্রাম টেলিগ্রাফ অফিস সংলগ্ন এলাকায় হিন্দু মালিকানাধীন মহামায়া ভবন দখল করে নাম দেয়া হয় ডালিম হোটেল। সেখানে গড়ে তোলা হয় আলবদর বাহিনী চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঘাঁটি এবং বন্দীশিবির। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় সেখানে অসংখ্য মানুষকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়, যাদের লাশ পরে ফেলে দেয়া হতো চাক্তাই চামড়ার গুদাম সংলগ্ন কর্ণফুলী নদীতে।

শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বানে উপস্থিত জনতা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ উল্লাস প্রকাশ করে। কোথাও কোথাও আনন্দ মিছিলও হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মীর কাসেম আলীর আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, যেসব প্রমাণাদির ভিত্তিতে দণ্ড দেয়া হয়েছে, তাতে এই রায় দেয়া যায় না। প্রসিকিউশন কোনো অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেননি। এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান তিনি। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম রায়ের পর সাংবাদিকদের বলেন, এই বিচারের মধ্য দিয়ে দায়মুক্তির আরেকটি ধাপ পেরোলো জাতি। যেসব অভিযোগে আসামিকে আদালত খালাস দিয়েছেন, সেগুলোতে আপিল করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত পরে নেয়া হবে বলে জানান আরেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।

কাসেমের বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ : ট্রাইব্যুনালের আদেশে মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ গঠন করা হয়। এর মধ্যে ১১ নম্বর সন্দেহাতীতভাবে ও ১২ নম্বর আংশিক প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। বাকি ৮ অভিযোগের মধ্যে ২ নম্বর অভিযোগে ২০ বছর, ৩, ৪, ৬, ৭, ৯ ও ১০ নম্বর অভিযোগে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৪ নম্বর অভিযোগে ১০ বছরের সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া ১, ৫, ৮ ও ১৩ নম্বর অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেননি প্রসিকিউশন। এ অভিযোগগুলো থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

প্রথম অভিযোগ : মীর কাসেমের নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী ১৯৭১ সালের ৮ নভেম্বর ওমরুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ করে। পরে কয়েক দফায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেল, পাঁচলাইশ থানার সালমা মঞ্জিল এবং একটি চামড়ার গুদামে নিয়ে নির্যাতন করা হয় তাকে।

দ্বিতীয় অভিযোগ: মীর কাসেমের নেতৃত্বে একাত্তরের ১৯ নভেম্বর চাকতাই থেকে লুৎফর রহমান ফারুককে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়া হয়।

তৃতীয় অভিযোগ: মুক্তিযুদ্ধকালীন ২২ বা ২৩ নভেম্বর মীর কাসেমের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।

চতুর্থ অভিযোগ : সালাহউদ্দিন খানকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করে আলবদর বাহিনী।

পঞ্চম অভিযোগ: ২৫ নভেম্বর আনোয়ারা থানার আব্দুল জব্বারকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে মীর কাসেমের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে নির্যাতন করা হয় তাকে।

ষষ্ঠ অভিযোগ : চট্টগ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে হারুনুর রশিদকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেল এবং সালমা মঞ্জিলে নির্যাতন করা হয়।

সপ্তম অভিযোগ: মীর কাসেমের নেতৃত্বে সাত-আট যুবক ডবলমুরিং থানা থেকে সানাউল্লাহ চৌধুরীসহ দুজনকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয় ডালিম হোটেলে।

অষ্টম অভিযোগ: ২৯ নভেম্বর রাতে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয় নুরুল কুদ্দুসসহ চারজনকে।

নবম অভিযোগ: ২৯ নভেম্বর সৈয়দ মোঃ এমরানসহ ছয়জনকে অপহরণ ও নির্যাতন।

দশম অভিযোগ : মীর কাসেমের নির্দেশে মোঃ জাকারিয়াসহ চারজনকে অপহরণ ও নির্যাতন।

একাদশ অভিযোগ : শহীদ জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে অপহরণের পর নির্যাতন। এতে জসিমসহ পাঁচজন নিহত হন এবং পরে তাদের লাশ গুম করা হয়।

দ্বাদশ অভিযোগ: অপহরণ করে নির্যাতন করা হয় জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে। এতে দুজন নিহত হন এবং গুম করা হয় তাদের লাশ।

ত্রয়োদশ অভিযোগ: সুনীল কান্তিকে অপহরণ ও নির্যাতন।

চতুর্দশ অভিযোগ: নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ ও নির্যাতন।

ট্রাইব্যুনালে নিরাপত্তাবলয় : রায় ঘোষণা উপলক্ষে আসামি মীর কাসেমকে শুক্রবারই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়। নিয়মানুযায়ী রায় ঘোষণার সময় আসামিকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হয়। গতকাল সকাল সোয়া ১০টার সময় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় একটি প্রিজনভ্যানে করে। জামাত নেতাদের আগের রায়গুলোর সময় সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এবং নিজামীর রায়ের প্রতিবাদে হরতালের ঘোষণা থাকায় গত শনিবার থেকেই ট্রাইব্যুনাল ঘিরে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গতকাল সকালে রায় কাভার করতে ট্রাইব্যুনালে আসা সাংবাদিক ও দর্শনার্থীদেরও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তল্লাশি করে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। আগের রায়ের দিনগুলোর মতো এদিনও সকাল থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের ট্রাইব্যুনালের বাইরে জড়ো হতে দেখা যায়। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানানোর পাশাপাশি দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণারও দাবি তোলেন তারা।



মামলার ইতিহাস :
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেপ্তার করার পর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মীর কাসেমকে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রসিকিউশন গত বছরের ১৬ মে কাসেমের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মীর কাসেমের যুদ্ধাপরাধের বিচার। এরপর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই ১৮ নভেম্বর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলামসহ মোট ২৪ জন সাক্ষ্য দেন। তাদের প্রত্যেককে জেরা করেন আসামিপক্ষ। এরপর ২১ ও ২২ এপ্রিল মীর কাসেম আলীর পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন তার ছোট বোন মমতাজ নুরুদ্দিনসহ তিনজন। সাক্ষ্য-জেরা এবং দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে চলতি বছর মে মাসে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।



১৯৭৮ সালের ৬ ই ফেব্রুয়ারীর আগে ইসলামী ছাত্র শিবির পরিচিত ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে । ১৯৭১ সালে এই সংগঠণ আল বদর নামে ঘাতক বাহিনী গঠণ করে ও বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণকে হত্যা করে ও ধ্বংসাত্মক কাজ-কর্ম করে ।



ইসলামী ছাত্র শিবিরের মহাআহমক ও ভোলাবালা শিবির কর্মী । মূলত এমন ছেলেই শিবিরে বেশী । এদের অনেকে গেলমান বলে থাকে । আর প্রায় সব শিবির কর্মী নেটে ছাগু নামে পরিচিত ।

সোর্স :

আলবদরের তৃতীয় প্রধান মীর কাসেমেরও ফাঁসি

সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০১৪

http://www.bhorerkagoj.net/print-edition/2014/11/03/2954.php

বিষয়: বিবিধ

১২৯২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332772
৩০ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:৪৫
আকবার১ লিখেছেন : এই জন্য, আপনার পড়া উচিৎ, আমি আল বদর বলছি।
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:০৮
276613
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি আল বদর বলছি বইটা পড়েছি । আর লেখকের সাথে কথাও হয়েছিলো মনে হয় । ইফাতে চাকুরী করতেন ।

ইসলামী ছাত্র সংঘ বা ইসলামী ছাত্র শিবির ১৯৭১ সালে আলবদর ছিল তা এই বইয়ে বলা আছে ।
332952
০১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:০৪
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনি গতকল্য একটি পোষ্ট দিয়েছিলেন যার হেডিং এক মুসলিমের সাথে আরেক মুসলিমের আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং মুসলিমদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য (১ম পর্ব)
আমি মন্তব্য না করলেও সেটি পড়েছি। বিশ্লেষনে যাচ্ছিনা। আপনি সেই দ্বীনের দায়ী যেটা গতকাল পোষ্টে বলেছিলেন, শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত গোস্বা ও জেদের কারণে আজকে আপনি পিতার সাথে কন্যাদের ছবি খানা তুল ধরলেন! আরো বহুবার করেছেন, বহু নারীর ছবি কারণে, অকারণে, বিনা অনুমতিতে নিজের ব্যক্তিগ পোষ্টে কারো বিরুদ্ধে জিঘাংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে অন্য ললনাদের ছবিকে ব্যবহার করেছেন। এটা কি মুসলমান নাগরিকদের ব্যবহারিক শিক্ষার মধ্যে পড়ে? পিতা দোষ করলে কি কন্যাদের আক্রান্ত হওয়া, মুসলমানদের আচরণ না ইসলামী শিক্ষা?

আপনিই বলুন, গতকালের আপনার লিখিত পোষ্টের হিসেব মত ইসলাম কি এই পোষ্টের মত শিক্ষা কি তুলে ধরেছে? আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত করুন।
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:০৭
276612
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্হাপন করছি ।
আমি বিনা কারণে মহিলাদের ছবি দেই না ।

আমি এই লেখায় মওদুুদী গোষ্ঠী বা জামায়াতী সন্ত্রাসীদের জীবনবোধ তুলে ধরেছি । একটা ছবি এক হাজার শব্দের কথা বলে - এটা সাংবাদিকরা বলেন ।


আমি ব্যক্তিগত কারণে লেখালেখি করি না । আমি জনগণকে সচেতন করার জন্য লেখালেখি করি ।

পিতার কারণে মওদুদী সম্প্রদায়ের লোকরাও শাস্তি পাবে । কারণ তারা পিতার আদর্শ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্বাস করেই না, বরং তারা তাদের পিতার আদর্শ মওদুদীবাদ সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File