এক মুসলিমের সাথে আরেক মুসলিমের আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং মুসলিমদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য (১ম পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ জুলাই, ২০১৫, ০৯:০৫:৩৯ রাত



মুসলিম জাতি পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান জাতি হলেও মুসলিম জাতি আজ ধর্ম-ভাষা-বর্ণ-দেশ-অঞ্চলভিত্তিতে হাজারে ভাগে বিভক্ত । এর প্রধান কারণ হলো, মুসলিমদের বেশির ভাগই জানেন না যে এক মুসলিমের সাথে আরেক মুসলিমের আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং মুসলিমদের কি কি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে । এজন্য মুসলিমরা পরস্পর হানাহানি-কাটাকাটি-গালাগালি করে মূল্যবান সময় নষ্ট করছে এবং বর্তমান বিশ্ব সভ্যতায় বিন্দুমাত্র অবদান রাখছে না । তারা মশা-মাছির মধ্যে ইসলাম খুজে পায় । কিন্তু তারা কখনো নিজের সত্যিকার চরিত্র ও আচরণ প্রকাশ করছেন না ও মেধা-যোগ্যতা-দক্ষতার মাধ্যমে ইসলামের মর্মবাণী প্রচার ও বিস্তার করেছে না । তাদের মধ্যে প্রেম-ভালবাসা-প্রীতি-শ্রদ্ধা-স্নেহ বিলীন হয়ে গেছে ।

আমি মুসলিম । এক জন মুসলিম হিসেবে আমার উপর নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পড়েছে, এক মুসলিমের সাথে আরেক মুসলিমের আচরণ কেমন হওয়া উচিত এবং মুসলিমদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা ।



১. মুসলিমের কাছে সবাই নিরাপদ :

এক জন মুসলিম মানুষকে কষ্ট দেয় না । রাসুল সা. বলেছেন ।

যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ, সে-ই প্রকৃত মুসলিম৷ আর যে আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয়গুলো পরিত্যাগ করে, সে-ই প্রকৃত হিজরতকারী৷ ( বুখারী ও মুসলিম )

অর্থাৎ একজন মুসলিম তার কথা কিংবা কাজের দ্বারা অপর মুসলিমকে কষ্ট দেয় না৷ যে নিন্দা করা, গালমন্দ করা, দোষ বর্ণনা করা, অপবাদ দেয়া, আক্রমণ করা কিংবা উপহাস করার মাধ্যমে মানুষকে কষ্ট দেয়, তার জিহ্বা থেকে মানুষ নিরাপদ নয়৷ তেমনি যে কাউকে আঘাত করা, হত্যা করা, কারও সম্পদ হরণ করা ইত্যাদির মাধ্যমে কাউকে কষ্ট দেয়, তার হাত থেকে মানুষ নিরাপদ নয়৷ অবশ্য জিহ্বা বা হাতের দ্বারা কষ্ট দেয়ার বিষয়টি আরও ব্যাপক হতে পারে, যেমন কাউকে জিহ্বা কিংবা হাতের অঙ্গভঙ্গির দ্বারা কষ্ট দেয়া৷ আবার কখনও মানুষ পরোক্ষভাবে অন্যের কষ্টের কারণ হয় - তারাও এই হাদীসের অন্তর্ভুক্ত হবে৷ যেমন কোন মজলিসে কেউ একজন ব্যক্তিকে উল্লেখ করে যেন অন্যরা তার দোষ আলোচনা করতে পারে৷ কেউ লোক ভাড়া করে কাউকে হত্যা করায়, কারও জমি দখল করে নেয়, কারও সম্পদের ক্ষতি করে ইত্যাদি৷

এই হাদীসে মানুষকে কষ্ট না দেয়ার বৈশিষ্ট্যকে সরাসরি ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে৷ অর্থাৎ ইসলামের অন্যান্য বিধান পালনের পাশাপাশি যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিমরা নিরাপদ হবে, তার ইসলাম পরিপূর্ণ হবে, নতুবা তার ইসলামে অপূর্ণতা থেকে যাবে৷ এজন্য হাদীসের কোন কোন ভাষ্যে এসেছে, নবীকে প্রশ্ন করা হল:

أَيُّ الْإِسْلَامِ أَفْضَلُ

কোন ইসলাম সর্বোত্তম?

অথবা

أَىُّ الْمُسْلِمِينَ خَيْرٌ

মুসলিমদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ? এর জবাবে তিনি এই কথাটি বলেছিলেন৷

এই হাদীস থেকে বোঝা যায় যে একজন মুসলিমের জান, মাল ও সম্মান অলংঘনীয়। এজন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে বলেছিলেন:

إِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا فِي بَلَدِكُمْ هَذَا

নিশ্চয়ই তোমাদের পরস্পরের জান, মাল ও সম্মান ঠিক তেমনি অলংঘনীয় যেমনিভাবে তোমাদের এই নগরীতে [অর্থাৎ মক্কা নগরী] এই মাসের এই দিনটি [অর্থাৎ যিলহজ্জের ১০ তারিখ] পবিত্র৷১

অপর হাদীসে তিনি বলেন:

كُلُّ الْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ حَرَامٌ دَمُهُ وَمَالُهُ وَعِرْضُهُ

প্রত্যেক মুসলিমের ওপর অপর মুসলিমের জীবন, সম্পদ ও সম্মান অলংঘনীয়৷ (মুসলিম)

আজ মুসলিমদের মধ্যে সালাত, সাওম, যাকাত, হজ্জ্ব জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো পালনের গুরুত্ব যতটা আলোচিত ও উপলুব্ধ হয়; মানুষের জান, মাল ও সম্মানের নিরাপত্তার গুরুত্ব ততটা আলোচিত কিংবা উপলুব্ধ হয় না৷ এজন্য মানুষ অপরের গীবত বা পরচর্চা, অন্যকে নিয়ে ঠাট্টা-উপহাস করে কার্টুন আঁকা, পত্র-পত্রিকায় কিংবা বক্তৃতার মঞ্চে কাউকে প্রকাশ্যে নিন্দা, গালমন্দ করা - এগুলোকে কোন অপরাধই মনে করে না। অন্যের জান-মাল হরণ করে, অন্যের ক্ষতি করেও একজন মানুষ নামায-রোযা-হজ্জ্ব পালন করে তসবী হাতে নিয়ে সমাজে ভাল মানুষ সাজতে পারে৷ ঘুষ খেয়ে, দুর্নীতি করে, জনগণের সম্পদ হরণ কিংবা ধ্বংস করেও মানুষ ভাল মুসলিম থাকতে পারে!

উপরোক্ত হাদীসটি তাই আমাদের অনেকের জন্যই ইসলামের মহান শিক্ষার এক নতুন দুয়ার ও অদেখা দিগন্তকে খুলে দেয়৷ ইসলামের শিক্ষা ব্যাপক, আর এর ব্যাপক শিক্ষার একটা বড় দিক জুড়ে রয়েছে মানুষের অধিকার, তাদের জান-মাল ও সম্মানের নিরাপত্তার বিষয়টি৷ এর সাথে সংশ্লিষ্ট বহু আয়াত ও হাদীস মানুষকে কষ্ট দেয়ার ফলে দুনিয়া ও আখিরাতের শাস্তি ও পরিণতি বর্ণনা করেছে এবং যারা তা থেকে বিরত থাকে, তাদের প্রতিদান বর্ণনা করেছে৷

কারও দোষত্রুটি তালাশ করা, আক্রমণ করা, গালমন্দ করা, কিংবা আঘাত করা, নির্যাতন করা, সম্পদ হরণ করা থেকে যারা সতর্ক - এটি তাদের অন্তরের পরিচ্ছন্নতার প্রমাণ৷ যারা আল্লাহর ভয়ে মানুষকে তাদের জিহ্বা ও হাতের আঘাত থেকে রেহাই দেয়, তারা ইসলামের অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলোও যথাযথভাবে পালন করবে - এটাই অধিক সম্ভাব্য৷ এর বিপরীতে, ইসলামের বাহ্যিক অনুষ্ঠানগুলো পালন করাই অন্তরের পরিচ্ছন্নতার প্রমাণ নয়৷

এই হাদীসটিতে আরও রয়েছে প্রকৃত হিজরতের পরিচয়৷ হিজরত বলতে সাধারণভাবে আল্লাহর রাস্তায় দেশত্যাগ করাকে বোঝায়৷ অর্থাৎ হিজরত হল দ্বীনকে রক্ষা করার জন্য অবিশ্বাসীদের ভূমি ত্যাগ করে মুসলিমদের ভূমিতে বসতি-স্থাপন৷ যে হিজরত করে, তাকে মুহাজির বলা হয়৷ এই হাদীসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নতুন এক প্রকার হিজরতের পরিচয় তুলে ধরেছেন, যা আরও ব্যাপক - যা প্রতিনিয়ত সকলকেই করতে হয় - আর তা হল আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয়গুলোকে ত্যাগ করা৷ যে আল্লাহর অবাধ্যতাকে ত্যাগ করে তাঁর আনুগত্যের গণ্ডীতে প্রবেশ করে - সে-ই প্রকৃত মুহাজির৷ পাপ পরিত্যাগ করা হল সেই হিজরত যা সবাই সবসময় করতে পারে, বরং তা করতে তারা আদিষ্ট৷

এই হাদীস থেকে আমরা যে শিক্ষাগুলো পাই তা সংক্ষেপে এই:

১. ইসলাম ও ঈমানের স্তরের তারতম্য হয়৷ কারও ইসলাম পূর্ণ, কারও অপূর্ণ৷ কারও ইসলাম অপরের থেকে উত্তম৷

২. ভাল কাজের তারতম্য অনুসারে ইসলামের স্তরের তারতম্য হয়৷

৩. ইসলাম শুধু বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ইসলামের শিক্ষা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও লেনদেনের গভীরতম বিষয়গুলোকে স্পর্শ করেছে৷

৪. কথা কিংবা কাজের দ্বারা মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা ইসলামের একটি অন্যতম শিক্ষা৷ যার মধ্যে এই বৈশিষ্ট্য নেই, তার ইসলাম অপূর্ণ৷

৫. কথার ব্যাপারে খুব সতর্ক ও সচেতন হওয়া উচিৎ৷

৬. পাপকাজ পরিত্যাগ করাই প্রকৃত হিজরত৷

৭. দ্বীনের বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠানকে যথার্থভাবে আদায়ের চেষ্টার পাশাপাশি অন্তরের অবস্থার দিকেও আমাদের মনোযোগী হওয়া উচিৎ৷





২. মুসলিমরা সংস্কারপন্হী ও সংশোধনের নীতিতে অগ্রগামী :

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি হচ্ছে মানুষের মাঝে সমঝোতা ও সংশোধন করে দেয়া, এটা একটি মহান চরিত্র যা ভালবাসা সৌহার্দ প্রসার ও মানুষের পারষ্পারিক সহযোগিতার প্রাণের দিকে নিয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা বলেন:

“তাদের অধিকাংশ শলাপরামর্শের মধ্যে কল্যাণ নেই। কেবল মাত্র সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সাদকাহ, সৎকর্ম ও মানুষের মাঝে সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশ দেয়। যে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এসব করে অচিরেই আমরা তাকে মহা প্রতিদান প্রদান করব।” [সূরা আন নিসা : ১১৪]

৩. মুসলিমরা লজ্জাশীল :

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম আরেকটি চরিত্র হচ্ছে লজ্জা। এটা এমন একটি চরিত্র যা পরিপূর্ণতা ও মর্যাদাপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের দিকে আহবান করে। অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা হতে বারণ করে। লজ্জা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে। ফলে মুসলমান লজ্জা করে যে, আল্লাহ তাকে পাপাচারে লিপ্ত দেখবে। অনুরূপভাবে মানুষের থেকে এবং নিজের থেকেও সে লজ্জা করে। লজ্জা অন্তরে ঈমান থাকার প্রমাণ বহন করে। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

‘লজ্জা ঈমানের বিশেষ অংশ।’ [বুখারী ও মুসলিম]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেন, “লজ্জা কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসে না।” [বুখারী ও মুসলিম]

৪. মুসলিমরা দয়া ও করণার আধার :

ইসলামী চরিত্রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হচ্ছে দয়া বা করুণা। এ চরিত্রটি অনেক মানুষের অন্তর হতে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। ফলে তাদের অন্তর পাথরের মত অথবা এর চেয়েও শক্ত হয়ে গেছে। আর প্রকৃত মু’মিন হচ্ছে দয়াময়, পরোপকারী, গভীর অনুভূতি সম্পন্ন উজ্জল অনুগ্রহের অধিকারী। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ

“অত:পর সে তাদের অন্তর্ভূক্ত হয় যারা ঈমান এনেছে পরস্পর পরস্পরকে ধৈর্য্য ও করুণার উপদেশ দিয়েছে। তারা হচ্ছে দক্ষিণ পন্থার অনুসারী।” [সূরা আল-বালাদ : ১৭- ১৮]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

“মুমিনদের পারস্পরিক সৌহার্দ্য, করুণা, অনুকম্পার উপমা হচ্ছে একটি শরীরের মত। যখন তার একটি অঙ্গ অসুস্থ হয় গোটা শরীর নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।” [মুসলিম]

৫. মুসলিমরা ন্যায়পরায়ণ :

ন্যায় পরায়ণতা ইসলামী চরিত্রের আরেকটি অংশ। এ চরিত্র আত্মার প্রশান্তি সৃষ্টি করে। সমাজে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন প্রকার অপরাধ বিমোচনের দিকে নিয়ে যায়।আল্লাহ তাআলা বলেন:

“নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ইহসান ও নিকটাত্মীয়দের দান করতে নির্দেশ দেন।” [সূরা আল নাহাল : ৯০]

আল্লাহ তাআলা বলেন :

“ইনসাফ কর, এটা তাক্বওয়ার অতীব নিকটবর্তী।” [সূরা আল মায়িদা : ৮]

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন,

“ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিরা আল্লাহর নিকট নূরের মিম্বরের উপর বসবে। তারা হল সে সব লোক, যারা বিচার ফয়সালার ক্ষেত্রে, পরিবার-পরিজনের ক্ষেত্রে এবং যে দায়িত্বই পেয়েছে তাতে ইনসাফ করে।”

৬. মুসলিমরা চারিত্রিকভাবে পবিত্র :

ইসলামী চরিত্রের অন্যতম বিষয় হচ্ছে চারিত্রিক পবিত্রতা। এ চরিত্র মানুষের সম্মান সংরক্ষণ এবং বংশে সংমিশ্রন না হওয়ার দিকে পৌঁছে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন :

“যাদের বিবাহের সামর্থ নেই, তারা যেন চারিত্রিক পবিত্রতা গ্রহণ করে। যতক্ষণ না আল্লাহ তার অনুগ্রহে তাকে সম্পদশালী করেন।” [ সুরা আন নূর-৩৩ ]

রাসূল (সা) বলেছেন,

“তোমরা আমার জন্য ছয়টি বিষয়ের জিম্মাদার হও। তাহলে আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হব। যখন তোমাদের কেউ কথা বলে সে যেন মিথ্যা না বলে। যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন যেন খেয়ানত না করে। যখন প্রতিশ্র“তি দেয় তা যেন ভঙ্গ না করে। তোমরা তোমাদের দৃষ্টি অবনত কর। তোমাদের হস্তদ্বয় সংযত কর। তোমাদের লজ্জাস্থান হেজাফত কর।” [ তাবারানী ]

ইসলামের এ সব চরিত্রে এমন কিছু নেই যা ঘৃণা করা যায়। বরং এসব এমন সম্মান যোগ্য মহৎ চারিত্রাবলী যা প্রত্যেক নিষ্কলুষ স্বভাবের অধিকারীর সমর্থন লাভ করে। মুসলমানগণ যদি এ মহৎ চরিত্র ধারণ করত তাহলে সর্বস্থান থেকে তাদের নিকট মানুষ আগমন করত এবং দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে তারা প্রবেশ করত যেভাবে প্রথম যুগের মুসলমানদের লেন-দেন ও চরিত্রের কারণে সে সময়ের মানুষ ইসলামে প্রবেশ করেছিল।











চলবে .........


বিষয়: বিবিধ

২৯৭২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332756
৩০ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৩২
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : এই পর্বে জামাত ও শিবির নিয়ে লেখেনি।
খুব ভাল।
৩০ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৫০
274990
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এই লেখাটা জামাত ও শিবির কেন্দ্রিক না হওয়ায় খুব ভাল কেন বল্লেন ?

আপনি কি বলতে চাচ্ছেন জামাত-শিবির নিয়ে লেখালেখি করা খারাপ ?
জামাত-শিবির কি ভুলের উর্ধে্ব ?

জামাত-শিবিরের সমালোচনা করা বা ভুল তুলে ধরা কি গর্হিত কাজ ??

জামাত-শিবিরের সব কাজ কি ভাল ?

জামাত-শিবিরের লোকরা কি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম মুসলিম ?
332837
৩১ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:০৪
যুমার৫৩ লিখেছেন : অন্যের লেখা যথাযথ স্বীকৃতি ছাড়া কপি করবেননা। এরকম চৌর্যবৃত্তি মুসলিমসুলভ আচরণ নয়।

৩১ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০২:৩৮
275079
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি আমার প্রতিটা পোস্টেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার ও সূত্র উল্লেক করে থাকি । কিন্তু এই লেখায় করতে পারিনি । তার কারণ হলো :
১।নেট হতে তথ্য সংগ্রহ করার সময় ইউআরএল লিংকটা বা এড্রেস সংগ্রহ করতে পারিনি হাতে সময় কম থাকায় ।
২।পোস্টটা খুব দ্রুত দিয়েছি । কারণ আমার উদ্দেশ্য ছিল জুমার রাতে পাঠকরা পোস্টটা পড়ুক ।

আমি প্রতি জুমাবার রাতে এই পোস্টের বাকি পর্বগুলো দিবো ও তথ্য সুত্র উল্লেখ করবো ।

আমি ব্যস্ত আছি । আপনি এপোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও লেখার সুত্র বা সোর্স বা ইউআরএল আমাকে মন্তব্যে দিন । আমি যুক্ত করে নিবো । ইনআল্লাহ ।

অন্যথায় ব্যস্ততার কারণে এই লেখায় সোর্স ও কৃতজ্ঞতা সূত্র এবং আপডেট দিতে আমার কয়েক দিন দেরি হতে পারে ।
১২ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ১২:২৮
277311
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : দেখুন : আপনি আমার বিরোদ্ধে চৌর্যবৃত্তি-র অভিযোগ দিলেন । অথচ ১২ দিন সময় অতিবাহিত হলো । আপনি প্রমাণ দেননি ।

আপনাকে বিনতভাবে বলছি, হাদিস সংকলন গ্রন্হ মিশকাতুল মাসাবীহ হতে যে কেহই হাদিস কপি পেস্ট করতে পারে । আর যে কেহই তার লেখা অন্য লেখার বা অন্য লেখকের নিবন্ধ-প্রবন্ধ হতে সাহায্য নিতে পারে । এটা দোষণীয় কিছু নয় ।

তবে আমি আজও ইউআরএল লিংকটা বা এড্রেস সংগ্রহ করতে পারিনি । আর এসব হাদিস অপরিচিত কোন হাদিস নয় ।


আপনার উচিত আমাকে সাহায্য করা ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File