এ পি জে আব্দুল কালাম-এর ইহলোক ত্যাগ ও বাংলাদেশীরা তোমাদের শত্রুদের চিনতে শেখো ( পর্ব : ১ )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৮ জুলাই, ২০১৫, ০১:২৩:৪১ রাত



আলহামদুলিল্লাহ । বাংলাদেশ ও বিশ্বের মুসলিমদের অন্যতম দুষমন এ পি জে আবদুল কালাম পৃথিবী হতে বিদায় হয়েছেন । যদি বাংলাদেশি মুসলিম হোন,তাহলে বলুন : ফি নারি জাহান্নামা খালিদিনা ফিহা ।

( فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ

তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম। সুরা বাইয়িনাহ : ৬ )

১৯৩১ সালে ভারতের চেন্নাইইয়ে জন্ম নেয়া এ পি জে আব্দুল কালাম একজন ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানি হিসেবে পরিচিত হলেও তার অসাধারণ মেধা ও প্রতিভার পুর্ণ প্রয়োগ ঘটিয়ে ভারতের শীর্ষ বিজ্ঞানী থেকে রাস্ট্রপতিও হয়েছেন। ভারতের পারমানবিক ও সামরিক শক্তিকে উন্নিত করার জন্য তাকে ভারতের মিসাইল মানব উপাধী দেওয়া হয়েছে ।

অনেক গুণে গুণান্বিত জনাব কালাম ভারতের শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তিত্ব হলেও তিনি কি বাংলাদেশীদের কাছে পূজনীয় ব্যক্তি হতে পারেন কি ?

তিনি যখন বাংলাদেশের স্বার্থের বিরুদ্ধেই মন্তব্য করেন, তখন তাকে যথাযথ সম্মান দেবার কোন কারণ আছে কি?

তিনি চরম উগ্র হিন্দু সাম্প্রদায়িক এবং ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলিম অস্তিত্ত্ববিনাষীশক্তি বি জে পির শাসনামলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন । তাছাড়া গুজরাটে সংঘটিত ২০০২ সালে চলা মুসলমান নিধন যজ্ঞের বিরুদ্ধে রাস্ট্রপতি হবার আগেও নিশ্চুপ ছিলেন। রাস্ট্রপতি হবার পরেও রাস্ট্রপতির প্রত্যক্ষ শাসন জারি করার মাধ্যমে কোন ব্যাবস্থা নেননি।

বাংলাদেশ সম্পর্কে তার মন্তব্য ও কর্ম তৎপরতা :



১. বাংলাদেশ সফর শেষে আবুল কালামের উক্তি, " আমি বিশ্বাস করি, একশো কিলোমিটারের উপরে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মিত হলে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না।" উৎস: জুলাই ২২, ২০০৯ তারিখের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ।

২. তার Ignited Minds - Unleashing the Power Within India বইটায় বাংলাদেশকে মরুভূমি বানানোর স্বপ্নের কথা আছে । এই বইয়ের শুরুতে খুব সুন্দর সুন্দর কথা দিয়ে শুরু হয়েছে । এই বই উৎসর্গ করেছেন স্নেহাল থাক্কার নামের ১২ ক্লাসের একটা মেয়েকে। উৎসর্গের কারন হিসেবে তিনি লিখেছিলেন: ২০০২ সালে যখন তিনি আনন্দালয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা বলতে গিয়েছেন তখন একটা প্রশ্ন উঠে এসেছিলো, হু ইজ আওয়ার এনিমি? আমাদের প্রকৃত শত্রু কে? তিনি উত্তর পান, যেটার সাথে সবাই একমত হয় সেটা হলো, আওয়ার এনিমি ইজ পভার্টি। 'আমাদের শত্রু দারিদ্রতা'। শুরুতেই এমন কথা থাকায় এবই পড়তে যেয়ে অনেকেই সম্মোহিত হয়ে যায় ।



৩.তার আরেকটি বই হলো উইংস অস ফায়ার' ।এবইয়ে 'আন্তঃনদী সংযোগ বা রিভার ইন্টারলিঙ্ক' করার কথা বলা আছে । অর্থাৎ আমাদের সব নদীর গতিপথ বদল করে শুধুমাত্র ভারতে পানি প্রবাহিত করা হবে । আর এই বইয়ে চেষ্টা,সাধনা আর অধ্যবসায়ের কথা আছে বলে অনেক বাংলাদেশী ছেলে মেয়ে বিভ্রান্ত হয় ।

রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দিক :

১ তার শিক্ষাগত উৎকর্ষতা যাই হোক, বি জে পি - র সাথে আদর্শিক মিল না থাকলে, রাস্ট্রপতি পদটিতে পৌছানো তার জন্য সম্ভব নাও হতে পারতো। তবে কংগ্রেস তাকে সমর্থন করেছে । কংগ্রেসও বিজেপি র মতো দল । এদলের রাজীব গান্ধী ভারতকে রাম রাজ্য বানানোর প্রসঙ্গ তোলে । কিন্তু কংগ্রেস জন্মলগ্ন থেকে দাবি করে তারা সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সমতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে ।

২.তিনি এরোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ার ও পরমানু বিজ্ঞানি। তার পানিসম্পদ বা বাঁধ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ জ্ঞান না থাকলেও পানি বা নদী সম্পর্কে পরিকল্পনা কোন মহৎ উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেননি ।

৩.তিনি মেধাবী হইলেও সুবিধাবাদী। মানবতাবাদের বদলে উগ্র জাতীয়তাবাদ বা মৌলবাদীদের পক্ষ নেন।

৪.তিনি ভাল গবেষক । মিসাইলের মত বিধ্ধংসী মারণাস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছেন তার দেশেরই স্বার্থে । " আমি বিশ্বাস করি, একশো কিলোমিটারের উপরে টিপাইমুখ ড্যাম নির্মিত হলে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না।"বলবেন তার দেশেরই স্বার্থে । তিনি 'আন্তঃনদী সংযোগ বা রিভার ইন্টারলিঙ্ক' করবেন তার দেশেরই স্বার্থে । উপমহাদেশের প্রাকৃতিক ভুগোল বদলে দিতে চান তার দেশেরই স্বার্থে । প্রয়োজনে তার দেশে পরিবেশের ক্ষতি করে হলেও এসব করবেন বা পরিকল্পনা নিতে সাহায্য করছেন । এমন লোক আর যাই হোক বাংলাদেশীদের কাছে পূজনীয় হতে পারেন না ,প্রনাম্য হতে পারেন না ।

ভারতে মুসলিম নামধারী কিছু লোককে কেন প্রেসিডেন্ড বা ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয় ? :

হিন্দুদের ‘শিখণ্ডী’ রাজনীতির ফসল ভারতের মুসলমান নামধারী রাষ্ট্রপতি-প্রধান বিচারপতিরা ।

ভারত এমন একটি দেশ, যার রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালিত হয় হিন্দুদের কল্পিত পুরাণসমূহে বর্ণিত হিন্দুয়ানী ধূর্ততাতে কেন্দ্র করে। ভারতের গোয়েন্দাসংস্থা ‘র’ এর কথাই যেমন ধরা যাক, তারা প্রাচীন ভারতের হিন্দু কূটবিদ চাণক্যের নীতি অনুসরণ করে। যে কারণে ‘র’ এজেন্টদেরকে বলা হয় ‘চাণক্যবাদী’।

ঠিক সেভাবেই ভারতে কয়েকটি উচ্চপদে যে শোপিস টাইপের নামধারী মুসলমানদের বসানো হয়, তা করা হয় ‘শিখণ্ডী’ নীতির অনুসরণে। এই ‘শিখণ্ডী’ হলো হিন্দুদের কল্পকাহিনী মহাভারতের একটি চরিত্র। মহাভারতের কল্পকাহিনীতে রয়েছে যে, অর্জুন যখন ভীষ্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে, তখন সে তার সামনে ঢাল হিসেবে দাঁড় করায় শিখণ্ডীকে। শিখণ্ডী ছিল হিজড়া, মহিলা থেকে রূপান্তরিত পুরুষ।

ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা ছিল যে, সে কোনো মহিলাকে আঘাত করবে না। যার ফলে অর্জুনের সামনে শিখণ্ডী দাঁড়ানো থাকায় সে অর্জুনকে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়। ওদিকে অর্জুন শিখণ্ডীর আড়ালে থেকে ভীষ্মের উদ্দেশ্যে তীর ছোঁড়ে। তীরের আঘাতে ভীষ্ম নিহত হয়।

আমরা লক্ষ্য করলে দেখবো যে, ভারতে যেসব মুসলমান নামধারী ব্যক্তিকে বড় বড় পদ দেয়া হয়েছে, তারা প্রত্যেকেই এই শিখণ্ডীর ন্যায়। যেমন শিখণ্ডী ছিল না পুরুষ না মহিলা। ঠিক সেভাবেই ভারতের রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধান বিচারপতি পদে যেসব নামধারী মুসলমান বসানো হয়েছে, তারা না হিন্দু না মুসলমান।

>>>ভারতের উচ্চপদে মুসলমান রয়েছে এমন কথা উচ্চারণ করলে প্রথমেই নাম আসে সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবুল কালামের নাম। মূলত, এপিজে নামে মুসলমান হলেও তার প্রকৃত পরিচয় হচ্ছে সে মজুসী (অগ্নি উপাসক)। সে নিয়মিত গীতা পাঠ করে।

>>>ভারতে এ ধরনের নামধারী মুসলমান অনেক আছে যারা মজুসী হওয়ার কারণে ব্যাপক খ্যাতি লাভ করতে পেরেছিলো। যেমন- ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ফারুক জাহাঙ্গীর এবং মনসুর আলী খান পাতৌদী (বলিউড নায়ক সাঈফ আলী খানের বাবা)।

>>>বর্তমান উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে হামিদ আনসারিকে। তার অবস্থা হচ্ছে, সে একজন কট্টর কমিউনিস্ট ও ইসলাম বিরাগী।

>>>এছাড়া প্রধান বিচারক পদে নিয়োগকৃত আজিজ মুবাশশির আহমদ ও আলতামাশ কবির- তারা দু’জনেই ছিলো শিয়া। উল্লেখ্য যে, উল্লেখযোগ্য সুন্নী আলেমদের মতে, শিয়ারা মুসলমান নয়। এছাড়া পাকিস্তানে শিয়া ও হিন্দুদের মধ্যে জোটের কথা কারো অজানা নয়।

বাংলা অভিধানে ‘শিখণ্ডী’ শব্দের একটি বিশেষায়িত অর্থই হলো, যাকে সামনে রেখে অন্যায় ও কাপুরুষোচিত কাজ করা হয়। মহাভারতের কল্পকাহিনীতে কাপুরুষ অর্জুন সে শিখণ্ডীকে সামনে রেখেছিল, কারণ তাকে সামনে রেখে ভীষ্মের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলে তার গায়ে কোনো আঘাত লাগবে না।

ঠিক সেভাবেই এসব মুসলমান নামধারী শিখণ্ডীকে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি কিংবা ক্রিকেটার বানিয়ে সামনে রেখে, তারপর তাদের আড়াল থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র সেদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও নিপীড়ন চালালেও ভারতের ‘অসাম্প্রদায়িক’ ইমেজের কোন ক্ষতি হবে না! অনেকেই এ বিষয়টি বুঝতে না পেরে মূর্খের ন্যায় মন্তব্য করে থাকে, ভারত যদি রাষ্ট্রপতি পদে মুসলমান (!) নিয়োগ দিতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ পারে না কেন?

এসব মূর্খেরা বোঝে না, ভারতের উচ্চপদে নিয়োজিতরা হলো শিখণ্ডী, বাবুরাম সাপুড়ের সাপ। যে মারলে কাটে না, ফোঁসফাঁস করে না। আর এদেশে দপ্তরবিহীন কালো বিড়ালটিও রীতিমতো হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বিষে বিষধর সাপ, যে সুযোগ পেলেই মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে ছোবল দেয়। ( এই অংশের জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার : এই লেখার কিছু অংশ দস্তার বা রাজদরবারের ফেসবুক স্যাটাস হতে কপি-পেস্ট করা হয়েছে । )

উপসংহার :

টিপাইমুখ বাঁধ বা আন্ত নদী সংযোগ কোন ধর্ম বিশ্বাসের বিষয় নয় যে শুধু মাত্র বিশ্বাসের কথা বলে, সাফাই গাইলেই বাংলাদেশীরা গলে যাবে । ফারাক্কা ব্যারেজের পর গজলদাবা ব্যারোজ, তারপর সারি নদী সহ অসংখ্য নদীতে গ্রয়েন ও অবৈধ ইমব্যাংমেন্ট নির্মাণ, সীমান্তে পাখির মতো বাংলাদেশী হত্যা, মাদকের বিস্তার ঘটানোর তিক্ত অভিজ্ঞতাই বলে দেয়, টিপাইমুখ বাঁধ বাংলাদেশীদের জন্য আরেকটি বড় ধরণের মরণ ফাদ হয়ে আসবে। তাই এই নিয়ে ভারত সরকারের প্রতারণামুলক অপপ্রচারে আমরা যাতে বিভ্রান্ত না হই সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে । আমরা বাংলাদেশী । আমাদের মনে প্রাণে বাংলাদেশী হতে হবে । কারণ বাংলাদেশই হলো আমাদের ইহজাগতিক ঠিকানা ।

এধরনের লোক বাংলাদেশ ও মুসলিমদের জন্য বিপদজ্জনক। তার চিন্তা ভাবনা অমানবিক এবং ইনজিনিয়ারিং বুদ্ধি কুটচালে ভরা। তার মহা-নদীসংযোগ প্রকল্প চরম ক্ষতিকর এবং খোদ ভারতেই তা সমালোচিত ও অবাস্তব প্রকল্প হিসাবে ধিকৃত। সমরাস্ত্রের কারিগর এই আস্ত শয়তানটার বাংলাদেশে অনেক ভক্ত কারণ সে স্টান্টবাজ মুসলিম। এর চেয়ে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পতিল বা ভারতের প্রধাণমন্ত্রী মনমোহোন সিং অনেক চিন্তাশীল ও মানবিক - এদের দুজনের কেউই মহা-নদীসংযোগ প্রকল্পের পক্ষে নয় ।





বিজেপি ক্ষমতায় । গুজরাটের গণহত্যার মূল নায়ক নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় । আব্দুল কালামের নদী সংযোগ প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তব রূপ লাভ করছে । বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ সরকার মিন মিন করে প্রতিবাদ করছে । আর কথিত ইসলামী দলগুলো ও বিএনপি নিরব রয়েছে ।

আমরা বাংলাদেশি । সত্যিকারের দেশ প্রেমিকতা থাকলে সবার উপরে নিজের দেশের সার্থটা দেখবো- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা কি সবাই এভাবে ভাবি ??? আপনার বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন রইল ।

বিষয়: বিবিধ

৫৪৩৪ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332129
২৮ জুলাই ২০১৫ রাত ০৪:০৩
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : প্রভাবশালী, ক্ষমতাধর দেশের পাশে দূর্বল দেশের লেজ গুটিয়ে থাকতে হয় কিছু করার নেই. ভারতের সাথে বাংলাদেশ যেমন জ্বী হুজুর ভাব নিয়ে চলে আমেরিকার পাশে কানাডাও তেমনি যদিও কানাডা উন্নত দেশ. তবে বাংলাদেশের মত এতটা নয় যে দেশের সবকিছু অন্যের জন্য বিলিয়ে দিবে। প্রত্যেকেরই নিজস্ব আদর্শ, চিন্তাভাবনা থাকে। ভারতের প্রেসিডেন্ট তাদের দেশের স্বার্থ নিয়ে ভাববে এটাই স্বাভাবিক। দেশের স্বার্থে আদায় করে নেয়ার দায়ভার সব রাজনৈতিক দলের, কারো একার নয়.
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:০০
274360
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমাদের প্রত্যেকের দেশপ্রেমিকদের মতো আচরণ করা উচিত । একজন ভারতীয় তাকে নিয়ে যত না শোক প্রকাশ করছে তারচেয়ে বেশি শোক প্রকাশ করছে বলে মনে হলো অনেকের ফেসবুক স্যাটাস দেখে । আমাদের দেশের বেশির ভাগ হুজুগের উপর চলে ও কোন কিছু গভীরভাবে চিন্তা করে না ।

দেশের স্বার্থে আদায় করে নেয়ার দায়ভার সব রাজনৈতিক দলের হলেও আমাদের সবারই রাজনৈতিকভাবে সচেতন হওয়া উচিত । তা না হলে রাজনৈতিক দলগুলোও সোচ্চার হবে না । কারণ রাজনৈতিক দলগুলো জনমতকে গুরুত্ব দিতে বাধ্য । কারণ রাজনীতি করতে হলে জনগণকে বাদ দিয়ে বা দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে করা সম্ভব নয় ।
332150
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:০৬
হতভাগা লিখেছেন : গতকাল বিভিন্ন চ্যানেলের ট্রেইলারের Breaking News এ যেভাবে একবার উনার হাসপাতালে ভর্তির খবর জানাচ্ছে , পরে মারা যাবার খবর জানাচ্ছে .... এটা খুব একটা ভাল লাগে নি । উনি যদি ভারতের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হতেন তাহলেও কথা ছিল ।

কারও মৃত্যুতে শোক জানানো খারাপ কিছু না । তবে আমরা বাংলাদেশীরা মনে হয় ভারতের কোন ঘটনার ব্যাপারে একটু বেশী আগ বাড়িয়ে ভাব প্রকাশ করে থাকি ।

মমতা প্রথম যখন নির্বাচিত হয়েছিলেন ৪-৫ বছর আগে তখন আমাদের লিডাররা তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিল । কিন্তু তখনও তাকে সরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষনা করা হয় নি ।

এই মমতার জন্য যে আগ বাড়িয়ে এত দরদ দেখানো হল , পারা গেছে কি মমতার কাছ থেকে কিছু আদায় করে নিতে ?

জাতি হিসেবে এটা আমাদের দৈন্যতাকেই প্রকাশ করলো আবার ।

আল্লাহ উনাকে উনার প্রাপ্য পুরষ্কার দিন - আমিন।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:৩৫
274376
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমাদের দেশের খুব কম লোকই গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করতে অভ্যস্হ ।
কারণ আমাদের রাজনৈতিক পরিমন্ডল ও শিক্ষা ব্যবস্হা ।

উপরন্তু আমাদের দেশের লোকরা রাজনীতি সচেতন নয় । তারা দলীয় রাজনীতি ও নেতা পুজা করাকেই রাজনীতির মূল লক্ষ্য বলে মনে করেন । তারা দেশের চেয়ে দল বড় । দলের চেয়ে নেতা বড় । এমন কথায বিশ্বাস করে ।

এই অবস্হা দেখছি, এই ব্লগেও বিরাজ করছে ।

আপনাকে ধন্যবাদ ।
332152
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:৫৪
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : মুখোশউম্মোচনকারী পোষ্ট। ধন্যবাদ।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩১
274380
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : কোন মুসলমান তার কৃতকর্ম জেনে শুনে ও তার মরার খবর শুনে তার জন্য শোক প্রকাশ করা বা শোক প্রকাশমূলক বাক্য বা তার জন্য প্রশংসামূলক বাক্য ব্যয় করে, তাহলে তার ঈমান থাকবে কি না সন্দেহ ।

আত্মস্বীকৃত মুশরিক ও ইসলামের চরম দুষমনের শিখন্ডীকে কোন মুসলিমই সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে সম্মান জানাতে পারে না । আর এটা ইসলামের নিয়মও নয় । ইসলামের নিয়ম হলো এদের বিরোদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করা ও জিহাদের ময়দানে শত্রুদের যা করা হয়, তাদেরও সেই অবস্হা করা ।
332154
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:২২
মাজহার১৩ লিখেছেন : মাওলানা আবুল কালাম আজাদকেও কংগ্রেসের শো-বয় বলা হতো।
২৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:২৭
274379
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : একমত ।

এসব বিষয়ে দুই কলম লিখুন । লোকদের সচেতন করুন । আমিও আপনার এসব বরকতময় ও জনগুরুত্বপূর্ণ লেখা পড়ে মন্তব্য করবো ।

উপরন্তু এসব লেখা লিখলে আপনার সোয়াব হবে । হাশরের মাঠে আল্লাহর দরবারে অশেষ সম্মানের অধিকারী হবেন বলে মনে করি ।
১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩০
283183
মাজহার১৩ লিখেছেন : ধন্যবাদ ফখরুল ভাই।
332178
২৮ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
ইয়াফি লিখেছেন : ভারতের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হেদায়েতউল্লাহ সাহেব কোন এক ঈদের দিন সকালে রাস্তায় অত লোকের আনাগোনা দেখে তাঁর অমুসলিম স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিল কি রে আজ কি হল? স্ত্রী জবাব দেন আজ নাকি তোমাদের ঈদের নেমাজ!
২৮ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭
274434
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ভারতে এমন মুসলিম অনেক । তাদের ভারতের নিষ্ঠাবান মুসলিমরা শাহরুখ খানি মুসলিম বলে তিরস্কার করে থাকে । নায়িক কেথরিনা কাইফ, আয়েশা তাকিয়া এমন মুসলিম । নায়ক শাহরুখ খান হতে শাহরুখ খানি মুসলিম কথাটার উৎপত্তি ।

ভারতে অনেক পরিবার আছে যেখানে স্ত্রী হিন্দু , স্বামী মুসলিম এবং ছেলে-মেয়েরা কোন ধর্মের তা তারা নিজেরাও জানে না । ইসলামের আইন অনুযায়ী এরা জারজ বা হারামজাদা এবং অমুসলিম ।
২৮ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৫৮
274495
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : হা হা হা..............।
333512
০৪ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৮:৫৪
তিমির মুস্তাফা লিখেছেন : TRY to LEARN about ISLAM!
If some one dies, nobody should say other than good thing about him! If he was bad, thats in Allah's hand, if he was good - again it in Allah's hand!
০৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:১০
276615
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করেই লিখেছি ও বলেছি :

বাংলাদেশি মুসলিম হোন,তাহলে বলুন : ফি নারি জাহান্নামা খালিদিনা ফিহা ।

( فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُوْلَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ

তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম। সুরা বাইয়িনাহ : ৬ )

আপনার নিজের ইসলাম সম্পর্কে জানার ও বোঝার ঘাটতি আছে । আপনি পড়াশোনা করুন ।

পড়াশোনা না করে আমি লেখালেখি করি না ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File