মিনা ফারাহ ও জামায়াত-শিবিরের সাথে চরম ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের বন্ধুত্ব প্রসঙ্গ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৯:২৩:২৫ রাত
জামায়াত-শিবিরের সাথে চরম ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের বন্ধুত্ব অনেক পুরাতন । এখনও তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য নাস্তিকদের সহায়তা নিচ্ছে।
মিনা ফারাহ বা মিনা রানী সাহা নামে এক মহিলার গল্প বলব আজ। মিনা রানী সাহা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন l মুসলিম ব্যবসায়ী l মিনা রানী নাম পাল্টে মুসলিম হন। নাম নেন মিনা ফারাহ।
কিছু বছর পর স্বামীকে তালাক দিয়ে ফ্রি লাইফ শুরু করেন। লেখা লেখি করেন। একটি চরম আপত্তিকর বই লিখে আলোচনায় আসেন, বইটার নাম- হিটলার থেকে জিয়া l জিয়া কে নিয়ে আপত্তিকর লেখায় ভরপুর মিনা সাহা বা মিনা ফারাহরবইটি পেয়ে আব্দুল গাফফার চোধুরী-র মতো সাংবাদিক,আওয়ামী লীগ সমর্থক , নাস্তিক ও হিন্দুরা চুমু খেয়েছিলো ।বইটি এখনও বাজারে সহজলভ্য।
[ সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর দুর্লব ছবি যা তাদের জীবনের স্বর্ণোজ্জল সময়কে ধারণ করে । অনেকে বলছেন : অতীত নিয়ে নাড়াচাড়া করার প্রয়োজন নেই । আজে বাজে বিতর্কিত বই আলোচনায় আনার প্রয়োজন নেই । আমি তাদের এই কথার উত্তরে বলছি :
১। অতীত জানতে হবে । কারণ অতীত আমাদের বর্তমানকে সুন্দরভাবে সাজাতে সাহায্য করে ও ভবিষ্যতে উজ্জ্বল-সাফল্যমন্ডিত করতে ভাবতে শেখায় ।
২।অতীত আমাদের জানতে হবে । কারণ অতীত আমাদরে শত্রু-মিত্র চিনতে শেখায় । জীবন চলার পথে যদি আমার সত্যিকারের শত্রু মিত্র চিনতে ভুল করি, তাহলে আমাদের সফলতা ব্যহত হবে ।
৩।অতীত আমাদের জানতে হবে । কারণ আমরা অতীত জানলেই অশুভ ও অকল্যাণকর শক্তির কর্মকান্ড জানতে পারবো , বতর্মানে যদি এই শক্তি বর্ণচোরাদের মতো হয়ে থাকুক না ।
আপডেট সময় : বাংলাদেশ সময় ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ, ২৭জুলাই১৫]
২০০৮ সালে আগস্ট মাসে শেখ হাসিনার ভার্জিনিয়া সফরকালে তুমুল চেষ্টা চালান বইটি প্রধানমন্ত্রীকে নিজ হাতে উপহার দিয়ে লাইমলাইটে আসতেl কয়েকজন সাংবাদিক দিয়ে জোর প্রচারণা চালান মিনা l
শেখ হাসিনা বিতর্কিত বইয়ের এই লেখিকাকে সে বার সাক্ষাত দেন নি। ফলে তার আশায় গুড়ে বালি।
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর একটি ইসলামবিদ্বেষী কাজ করে আলোচনায় আসার সুযোগ পেয়ে যান। তার কলেজ পড়ুয়া নামাজি ও ধার্মিক মুসলিম ছেলে শাফায়াত আজাদ পানিতে ডুবে মারা যায়। মিনা ফারাহ তার মুসলিম পুত্রকে কবর না দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে সতকার করেনl এ নিয়ে মুসলিম কম্যুনিটিতে বিক্ষোভ হয়েছিল সেসময় l বিস্তারিত তথ্য আছে আমেরিকার এই পত্রিকার খবরটায় : http://www.nytimes.com/2008/10/04/nyregion/04cremate.html?pagewanted=all&_r=0
তার ইসলামবিদ্বেষী বই নিয়েও আমেরিকার পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে : http://www.nytimes.com/1999/06/06/nyregion/neighborhood-report-new-york-up-close-bengali-woman-writes-book-takes-heat.html
এসব বিষয়ে বাংলাদেশের প্রায় সব পত্রিকায় ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখ হতে অনেক লেখালেখি হয়েছে । জামায়াতী পত্রিকা আর ইনকিলাব ছিল সোচ্চার । কেন মুসলিম ছেলেকে হিন্দু বানিয়ে আগুনে পোড়ানো হলো ।
গোলাম আজম নিজামীদের ফাসির দাবি, জামায়াত কে পাশাপাশি বিএনপিকে নিষদ্ধের দাবি তে কয়েকটি লেখা লিখে আওয়ামীলীগের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টাও করেছেন কিছুদিন।
ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক এই মহিলা মিনা রানী সাহা (মিনা ফারাহ) নয়াদিগন্ত পত্রিকায় গোলাম আজম, সাঈদীর মুক্তির দাবিতে কলাম লিখে যাচ্চেন নিয়মিত l
নিজের সন্তান পুড়িয়ে সতকার করা নাস্তিক এই মহিলা সাঈদী গোলাম আজমদের মুক্তির জন্য নয়া দিগন্ত পত্রিকায় লেখার রহস্যটা কেউ কী অনুমান করতে পারছেন?
Shafayet Reja, the President of Bengalis Unite from 2006 until his graduation in May 2007. He was well known for his charismatic personality, warmth and friendliness. It was rare to see him without a wide, happy smile.
http://www.aaezine.org/articles/vol20/20N1ShafayetReja.shtml
হিন্দুদের মতো আগুনে পুড়িয়ে দাহ করা শাফায়াত রেজার ছবি দিলাম । আজব হলেও সত্যি তাদের মা একজন চরম ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু ও ইসলাম ও মানবতার দুষমণ মওদুদীবাদী ও ওহাবীপন্হী জামায়াত-শিবিরের অর্থের লোভে মানষিক বিকারগ্রস্হ মহিলা ।
মিনা ফারাহ-র আওয়ামী লীগপ্রীতি :
মিনা ফারাহ ছিলেন আওয়ামী লীগের চরম ভক্ত । তিনি ২০১১ সালের শেষ দিকে জামায়াতের প্রতি অনুরাগী হয়ে ওঠেন । এর অনেক কারণ আছে । কারণগুলো পরে উল্লেখ করছি ।
মিনা ফারাহ-র ওয়েব সাইটে আওয়ামী লীগের প্রতি প্রীতি প্রকাশ পায় এমন সব লেখা মুছে ফেলা হয়েছে বা তিনি নিজে মুছে ফেলেছেন ।
এমনই একটা লেখা হলো : ২৩ জানুয়ারী ২০১১ তারিখ প্রকাশিত “নতুন ষড়যন্ত্রের মুখে বাংলাদেশ, এবার টার্গেট শেখ হাসিনা ”
আমি তার এই লেখার সম্পূর্ণটাই তুলে ধরলাম । আর আমার সংগ্রহ করা স্ক্রীনশটও দিলাম ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দারুণ উত্তপ্ত মাঠ। অপেক্ষা সইছে না, গোলাম আযমকে এখনো পর্যন্ত কেন এ্যারেস্ট করা হলো না! আমিও চাই দ্রুত বিচার হোক। মুক্তিযুদ্ধে আমারও আত্মীয়-স্বজন মারা গেছে। আমার নিজের বাড়িটিই ছিল কামারুজ্জামানের আলবদর হেডকোয়ার্টার, যেখানে বসে পাকিস্তানীদের সঙ্গে কামারুজ্জামান মানুষ হত্যার নীল নকশা তৈরি করতো। নয় মাস পরে ফিরে এসে দেখি, মেঝেতে রক্ত মাখা। তাদের তৈরি জেলখানা। যমটুপি। অস্ত্র। দড়ি। গর্ত। গণহত্যার নীল নকশা তৈরি শেষে কার্যকর হতো সেরিপুলে।
বর্তমান সরকার আসার পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নানান দাবিদাওয়া বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিভাবে তা সম্ভব? যাদের বিচার আমরা চাইছি, তারাই বিরোধীদলের অংশ হয়ে বসে আছে। সুতরাং আইনি প্রশ্নে এই সংসদ জনতার যুক্তিতর্কের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। জেনোসাইডের ৫টি সংজ্ঞার সঙ্গে ’৭৫ থেকে আমাদের জাতিয় সংসদের ভেতরকার চিত্রটা ভিন্ন। বারবার এখানে জেনোসাইড শব্দটির সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ হচ্ছে জেনোসাইডারদের। শত্র“ শক্তিকে সঙ্গে করে জোট এবং তাদের বিচারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে লবি করছে বর্তমান বিরোধীদল। যেহেতু নিউইয়র্ক শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ২৮ বছর আছি, একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে নিয়ত দেখছি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি প্রবাসেও কতোটা শক্তিশালী। গেল একমাসে বাচ্চু রাজাকার, সাঈদী, কামারুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে বিশাল মিটিং-লবি হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টেও তারা গেছে। ফান্ডিং করেছে নিউইয়র্কের চেনা ব্যক্তিত্বরা। এতোবড় মিটিং, লবি খোদ ঢাকায় হয়েছে কি-না সন্দেহ। নিউইয়র্কের অধিকাংশ বাংলা মিডিয়া এদের অন্যতম সমর্থক। গণতন্ত্র থাকলে এর চর্চাও যে কতোটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে, নিউইয়র্ক শহরে বসে সেই অভিজ্ঞতায় প্রায় সারাক্ষণই টইটুম্বুর আমি।
গোলাম আযমকে গ্রেফতার করার মতো যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত সরকারের সুস্পষ্ট নড়াচড়া নেই। গৃহবন্দীর ব্যাখ্যা যথেষ্ট নয়।
২
সা.কা চৌধুরির বিষয়ে কুন্ডুর পরিবার টিভিতে যেসব বললো, তা মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে ১৯৮৪ সনে সা.কা চৌধুরির নামেই লিবিবদ্ধ হয়েছে। তথ্য বিকৃতি করে ১৯৯৪ সনের দলিলপত্রে খালেদা জিয়া তার নাম পাল্টে লিখলো, জনৈক সালাউদ্দিন (তৃতীয় খণ্ড)। ২০১০-এ পৌঁছে এতো সাক্ষী প্রতিবেদনের পরেও তাকে গ্রেফতারের বিরুদ্ধে খালেদার হরতাল? প্রেস কনফারেন্স? কদর্য হুংকার?
কামারুজ্জামানের বিষয়ে আমি বহু আগে থেকেই জাগরণের কাজটি করে আসছি। যারা আমার বাড়িতে তার হয়ে কাজ করেছে, পরবর্তীতে সাক্ষী দিয়েছে, টিভিতে বহুবার প্রচার হয়েছে শেরপুরের সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে রাজাকার মোহন মুন্সির মুখে কামরুজ্জামানের কুকর্মের কাহিনী। সুতরাং খালেদা সরকার কেন এদের সঙ্গেই জোট করলো, বিষয়টা অত্যন্ত গভীর। অবশ্যই সন্দেহজনক। অন্যদেশে হলে তাকে সংসদেই ঢুকতে দিত না, স্মৃতিসৌধ তো প্রশ্নই ওঠে না।
একটি বিষয় আমাকে অবাক করে, সরকার গঠনে যখন এই রাজাকারদের নিয়ে জোট করতে হয়, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদেরকে ডাইনে নিয়ে দফায় দফায় খালেদার বৈঠক যখন মিডিয়ায় উঠে আসে… কোন যুক্তিতে সংসদ এবং সংসদের বাইরের দেশপ্রেমিক নাগরিকগণ খালেদা জিয়াকে সংসদে আসার আহ্বান জানান? দুই নেত্রীর মিলনের সঙ্গীত করেন? বঙ্গবন্ধু থাকলে কি ব্যাখ্যা বলতেন? ভাবতেও ভয় হয়, যাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ, তারাই আবার সংসদে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে নিজামী কি তার গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে সংসদে ঢুকতে পারতো? নিশ্চয়ই আমরা ভুলে গেছি ৭ই মার্চের ১৯ মিনিটের বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর মুখের কঠিন শব্দগুলো। প্রশ্নটা অত্যন্ত ভয়ানক। ২+২=৪। ১২০০০ মাইল দূরে বসে একজন ভিকটিম পরিবারের হয়ে আজ আমি অনেককিছুই জানতে চাই। এত ব্যভিচার, সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
২য় বিশ্বযুদ্ধ শেষে হিটলারকে নিয়ে পার্লামেন্ট গঠন করার সঙ্গে আমাদের সংসদের পার্থক্য কী? মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যে বিশাল শক্তি পাকিস্তানের পক্ষে ক্যাম্পেইন করেছিল, ’৭১-এ পাকিস্তানী আশ্রয়ে থাকা খালেদা জিয়া মোটেও তাদের বাইরে নয়। সেও তাদের সঙ্গে ইন্ধন জুগিয়েছে “এক ও অভিন্ন পাকিস্তানের।” গভীর এ তথ্য অনুসন্ধানের দায়িত্ব্ সরকারের।
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রই শুধু নয়, ’৭৫-এর ১৫ই আগষ্টের পরিকল্পনা বেগমের উপস্থিতিতে জিয়া ভবনেই হয়েছিল। ১৫ আগষ্টকে কেন্দ্র করে জিয়ার ভূমিকা ছিল সক্রিয়। (অশোক রায়না রচিত ‘র’-এর রিপোর্ট)। ভাঙ্গা রেকর্ডের মতো মিডিয়া বিজয় মাসের যত ফুটেজই দেখাক, সবই অনর্থ যে পর্যন্ত না নৈতিক প্রশ্নটির সমাধান হবে। ’৭৫ থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে জিয়া পরিবারের কী সম্পর্ক? কি চায়? ওরা কি পাকিস্তান ফিরিয়ে চায়? মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রে ২০০৪-এর সংস্করণে এই খালেদাই বঙ্গবন্ধুর নামটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থেকে বাদ দিয়ে দেয়। এর কি কোন ব্যাখ্যাই হবে না?
নিন্দুকের মুখ ধরে রাখার ক্ষমতা কার? অনেকেই বলে, নিজেকে আড়ালে রেখে ভবিষ্যতে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের জন্য নানান কৌশলে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করিয়েছিল স্বয়ং বেগম জিয়া, যে কারণে স্বামী হত্যার বিচার সে কখনোই চায়নি। হোক সে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্ব ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত লোকই কুখ্যাত হয়েছে। অনেকেই জেল খেটেছে, অনেককেই মৃত্যুদণ্ডও বইতে হয়েছে। পুরুষ জিয়ার চেয়েও মহিলা জিয়া অধিক ষড়যন্ত্রকারী এবং নির্মম। আগষ্টের গ্রেনেড হামলার প্রেক্ষিতে সময়মত তার বিচারও হবে।
৩
মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে খান এ সবুর খান, খন্দকার আব্দুল হামিদ, জুলমত আলী খান, মাহমুদ আলী, এইচ.টি. সাদী (মরনোত্তর)… কিংবা যারা জীবিত, মুখোশ উম্মোচন করার সময় চলে যায়নি। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের পক্ষে এরা ’৭১-এর আগষ্ট মাসে জাতিসংঘসহ নানান দেশে মুক্তিযুদ্ধ বন্ধের লবি ছাড়াও অর্থ সংগ্রহে লিপ্ত ছিল। সাধারণ ক্ষমা এবং ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদেরকে বিশেষ কারণে মুক্তি দিতে বাধ্য হন শেখ মুজিব। তবে যারা সাধারণ ক্ষমার মধ্যে পড়ে না, এদের অনেকেই ছিল ’৭১-এর আন্তর্জাতিক লবিস্ট, মুক্তই থেকে গেল। বর্তমান বিচারে এইসব লবিস্টদের বিরুদ্ধে একটি প্রভিশন না রাখলে শহীদদের বিরুদ্ধে সেটা হবে অসম্মানজনক। “সেই সঙ্গে সবুর খানের কবরটি অনতিবিলম্বে তুলে নেওয়ার দাবি জানাই।” পরবর্তীতে, জিয়াউর রহমানের মাজার নামে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা স্থানটিকেও জনস্বার্থে সীমিত করা হোক।
যাদেরকে আমরা বলি মুক্তিযুদ্ধের গর্ব, তাদের অনেকেই জিয়ার ক্যান্টমেন্টের বাড়িতে বসে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার নীল নকশাটি করেছিল। আমার প্রশ্ন, মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকারদেরকে কিভাবে আলাদা করবো? কর্ণেল তাহের, জেনারেল ওসমানী, শাফায়েত জামিল, খালেদ মোশাররফ, কে.এম. শফিউল্লাহ… বঙ্গবন্ধু হত্যায় এদের ভূমিকাকে অস্বীকার করতে পারি না। [দ্র:তিনটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান। ল্যাগেসি অব ব্লাড। একাত্তুরের ঘাতক দালালেরা কে কোথায়...।]
তবে জিয়াউর রহমানের কথা এদের সঙ্গে তুলনা করা অহেতুক। আন্তর্জাতিক মদদে সে ছিল শেখ হত্যার মাস্টারদের, মাস্টার মাইন্ডার। অশোক রায়নার বই ‘ইনসাইড র দ্যা স্টোরি অব ইন্ডিয়াস্ সিক্রেট সার্ভিস’ থেকে জানা গেছে বেগম জিয়ার বাড়ির ট্রেস থেকে উদ্ধার করা হয় তিন ঘণ্টা মিটিংয়ের পরে মুজিবের বিরুদ্ধে ক্যু-এর একটি স্ক্রাপ পেপার। কাগজটি যতœসহকারে গার্বেজ করা হলে একজন গুপ্তচর গৃহভৃত্যের মাধ্যমে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য দিল্লীতে পাঠিয়ে দিলে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করে দেয়ার জন্য ‘র’এর পরিচালক মি. কাউ পান বিক্রেতার ছদ্মবেশে বাংলাদেশে আসেন। বঙ্গবন্ধু সেটাকে যথারীতি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ওরা আমার সন্তানের মতো। এই চিরকুটে যাদের নাম ছিল, জিয়াউর রহমান, মেজর রশিদ, মেজর ফারুক, জেনারেল ওসমানী এবং মেজর শাহরিয়ার। বঙ্গবন্ধু হত্যা বিচারকালে, বেগম জিয়াকে সাক্ষী হিসেবে আমলে নেয়া কি খুবই অসমিচীন? কি জানতো সে? কি দেখেছে? কারণ, জিয়ার নাম তো লিস্টেই ছিল। মরনোত্তর বলে তাকে অব্যহতি দেয়ার বিরুদ্ধে উল্লেখ আছে রায়ের ১৩৬ পৃষ্ঠায়।
১৫ই আগষ্ট সফল হওয়ার পর রাজাকার শক্তির কেন পুনরুত্থান হয়, যার এক মাত্র কারণ জিয়াউর রহমানের একের পর এক সংবিধানের নানান আইন পরিবর্তন। ’৭২ সন থেকে রাজাকারদের অনেক অভিভাবকই বাংলাদেশের নানান অঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের সরাসরি কাজটি শুরু করে। খোন্দকার আব্দুল হামিদ যাদের অন্যতম।
দৈনিক আযাদ এবং ইত্তেফাকে মর্দে মোমিন ও স্পষ্টভাষীর ছদ্ম নামে আমার শহরের এই ভদ্রলোকটি জিয়াউর রহমানের মধ্যে একজন পাকিস্তান প্রেমিককে আবিষ্কার করে সবার আগে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নানান উষ্কানিমূলক তার লেখার একটি সংকলন আমার সংগ্রহে। দুর্ভিক্ষ, জালপড়া বাসন্তী, মৃত্যু, অরাজকতা, লুটপাট, গণ-ধরপাকড়, সিরাজ শিকদার হত্যা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বিষাদ্গোর। স্পষ্টভাষীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু গোলাম আযমের সঙ্গে লন্ডনে তার মোলাকাত হয় ১৫ই আগষ্টের কিছু আগে। (দ্র: জীবনে যা দেখলাম। লেখকÑ গোলাম আযম)। যুদ্ধ বিরোধী আন্তর্জাতিক লবিস্ট, ’৭১ পরবর্তী মুজিব সরকারের বিরুদ্ধে এই ঘোর মুসলিম লীগারের কলামগুলো ’৭২-’৭৫ পর্যন্ত জনমনে বিষ ছড়ায়। জিয়াউর রহমানকে সরাসরি অভ্যুত্থানের সাংকেতিক সুরসুড়ি তার কলামে। পরবর্তীতে দুই দুইবার তাকে মন্ত্রী বানায় জিয়াউর রহমান। সুতরাং যারা রাজাকারদের পিতা, তাদের বিচার কেন হবে না? না হলেও অন্তত পাঠ্যপুস্তকে এদের বিষয়ে জানান দেয়া রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। ’৭২-এ স্পষ্টভাষীকে গ্রেফতার করা হলেও অদৃশ্য আঙুলের নির্দেশে ছাড়া পেয়েই সাংবাদিকতা এবং পরোক্ষ রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে যা, প্রত্যক্ষ রাজনীতির চেয়েও বিপজ্জনক। আমাদের দেশে কোন কিছুই কেন কখনোই অসম্ভব নয়?
খালেদা জিয়াকে নিশ্চয়ই এই জাতি আর পার্লমেন্টে দেখতে চায় না। কারণ সে ঘৃণিত হানাদারবাহিনীর পক্ষে, স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে নিজেকে চিহ্নিত করেছে। ’৭১-এর নয় মাস সে ক্যান্টমেন্টে বসে পাকিস্তানিদের সঙ্গে গোলাম আযমদের মত ষড়যন্ত্র করেছে। পাকিস্তানকে ভালবেসে তখন থেকে আজ পর্যন্ত নানান দৃষ্টান্ত রেখে চলেছে। রাজাকার, বদরদের পাকিস্তান রক্ষার পক্ষে আন্দোলন করছে।
১৫ই আগষ্টে খালেদা জিয়ার ভূমিকা যে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই, পার্লামেন্টে যুদ্ধাপরাধীদের বহরই এর প্রমাণ। এখন শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র। এবার টার্গেট, শেখ হাসিনা। ইরান স্টাইলে ইসলামিক অভ্যুত্থান ঘটানোই তার এখন একমাত্র ক্ষমতায় আসার শেষ রাস্তা। যেজন্য তার ইরান-চীন ব্লক ধরার আগ্রহ। ১৫ই আগষ্টের সঙ্গে জড়িত ছিল আমেরিকা, চীন, পাকিস্তান ব্লক। দেশে-বিদেশে কে তার কানে কানে কি বলছে সেটাই এখন দেখা প্রয়োজন। দেশ কি আরেকটা ১৫ই আগষ্টের জন্য তৈরি হচ্ছে? ’৭২-এর সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাই হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর অন্যতম কারণ। আবারো তা পুনর্বহাল হতে দেখে সেই সব স্বাধীনতা বিরোধী বিদেশী শক্তিরা কি বসে থাকবে? (দ্র: জীবনে যা দেখলাম, ৪র্থ খণ্ড, গোলাম আযম)।
মিনা ফারাহ, নিউইয়র্ক।
http://minafarah.com/?p=30
জামায়াতের টাকার লোভে মিনা ফারাহ’র ডিগবাজি :
কথায় আছে , “জামাতের টাকার কি গুন!লাউ হয়ে যায় বেগুন!!! “
মিনা ফারাহ-র ক্ষেত্রেও এমন ঘটছে ।
আমিও চাই দ্রুত বিচার হোক। মুক্তিযুদ্ধে আমারও আত্মীয়-স্বজন মারা গেছে। আমার নিজের বাড়িটিই ছিল কামারুজ্জামানের আলবদর হেডকোয়ার্টার, যেখানে বসে পাকিস্তানীদের সঙ্গে কামারুজ্জামান মানুষ হত্যার নীল নকশা তৈরি করতো। নয় মাস পরে ফিরে এসে দেখি, মেঝেতে রক্ত মাখা। তাদের তৈরি জেলখানা। যমটুপি। অস্ত্র। দড়ি। গর্ত। গণহত্যার নীল নকশা তৈরি শেষে কার্যকর হতো সেরিপুলে। কামারুজ্জামানের বিষয়ে আমি বহু আগে থেকেই জাগরণের কাজটি করে আসছি। যারা আমার বাড়িতে তার হয়ে কাজ করেছে, পরবর্তীতে সাক্ষী দিয়েছে, টিভিতে বহুবার প্রচার হয়েছে শেরপুরের সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়িতে রাজাকার মোহন মুন্সির মুখে কামরুজ্জামানের কুকর্মের কাহিনী।
জোট এবং তাদের বিচারের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে লবি করছে বর্তমান বিরোধীদল। যেহেতু নিউইয়র্ক শহরের প্রাণকেন্দ্রে প্রায় ২৮ বছর আছি, একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে নিয়ত দেখছি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি প্রবাসেও কতোটা শক্তিশালী। গেল একমাসে বাচ্চু রাজাকার, সাঈদী, কামারুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে বিশাল মিটিং-লবি হয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টেও তারা গেছে। ফান্ডিং করেছে নিউইয়র্কের চেনা ব্যক্তিত্বরা। এতোবড় মিটিং, লবি খোদ ঢাকায় হয়েছে কি-না সন্দেহ। নিউইয়র্কের অধিকাংশ বাংলা মিডিয়া এদের অন্যতম সমর্থক। গণতন্ত্র থাকলে এর চর্চাও যে কতোটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে, নিউইয়র্ক শহরে বসে সেই অভিজ্ঞতায় প্রায় সারাক্ষণই টইটুম্বুর আমি।
নয়া দিগন্তের সাথে মিনা ফারাহর সাক্ষাৎকার (18.3.13) প্রশ্ন আকারে এখানে তুলে ধরা হলো।
http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=142034
প্রশ্ন : যুদ্ধাপরাধ বিচারে আপনি মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে একজন সাক্ষী ছিলেন। কিন্তু আপনি সাক্ষ্য দেননি। কেন?
মিনা ফারাহ : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর ১০ এপ্রিল আমরা পরিবারের সবাই ভারত চলে যাই। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত থেকে বাড়ি ফিরে আসি। আসার পর শুনি আমাদের বাড়িতে ক্যাম্প করা হয়েছিল; কিন্তু আমি এর চেয়ে বেশি কিছু জানি না। কাউকে দেখিওনি। কারো নামও আমি সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারব না। আমার কাছে তদন্ত কর্মকর্তা গিয়েছিলেন। আমি বলেছি আমি যা শুনেছি তাই বলতে পারব। আমি নিজে কিছু দেখিনি এবং শোনা কথার বাইরে কিছু জানিও না। তারা আমার শোনা কথাই রেকর্ড করল। কিন্তু পরে আমি জানতে পারলাম আমি যা বলেছি তার সাথে তদন্ত কর্মকর্তার লিখিত জবানবন্দীর মিল নেই। এরপর আপনাদের নয়া দিগন্তেই একটি প্রবন্ধ লেখার মাধ্যমে আমি আমাকে সাক্ষী হিসেবে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেই।
অ্যানরেন্ডের স্কুল বনাম জিম জোন্সের দরগা
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৩, ০১:৩২ অপরাহ্ন
মিনা ফারাহ
ইদানীং বাংলা খবর দেখলে আগে নিশ্চিত হতে হয়, এটা মিসর নাকি বাংলাদেশ?পানির ড্রাম লুকিয়ে রেখে ঢেলে দিচ্ছে পেট্রল। মানুষের পশুবৃত্তিকে উসকে দিচ্ছে রাজনীতিবিদেরা। হয়েছে ক্যান্সার চলছে কালাজ্বরের চিকিৎসা!
রাজনীতিবিদদের রাজনীতিহীনতায় দেশটি প্রায় কলোনি। প্রতিবেশী দেশ বন্ধু হয়, আপনজন হয় না। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘হাসিনাজি আমাদের আপনজন, মনে হয় তিনি এই বাংলারই মেয়ে।’ সাম্রাজ্যবাদীদের কর্মকাণ্ডে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে ভারত, যেভাবে পশ্চিমারা সাম্রাজ্যবাদ বিস্তার করছে মধ্যপ্রাচ্য ও
আফ্রিকায়। যাদের দায়িত্ব সার্বভৌমত্ব রা করা তারাই তল্পিবাহক বুদ্ধিজীবী। জাতিসঙ্ঘের অধিবেশনের সময় ২০ মিনিটের মিটিং কেন্দ্র করে নয়া দিগন্তে যে কথা আগেই লিখেছিলাম, সেটাই সত্য হলো। ‘জঙ্গিবাদ প্রশ্নে মনমোহনকে বুঝিয়েছেন হাসিনা, ওবামাকে ম্যানেজ করলেন মনমোহন।’ এভাবেই সাম্রাজ্যবাদী অবস্থান কায়েম করছে ভারত।
সম্ভবত মার্কিনিরা চায়, খালেদা। ভারত চায়, হাসিনা। কোনপর্যায়ে নামিয়েছি দেশটাকে! মতার নাম ইয়াবা। ১/১১-এর রিহ্যাব সেন্টার থেকে বেরহয়েই রাজনীতিবিদেরা ফিরে গেছেন যার যার ইয়াবা আস্তানায়। ইয়াবা কেউ খায় না, ইয়াবাই তাকে খায়। সর্বত্রই ‘ঐশী’র কালোছায়া। ’৭৫-এর স্বৈরাচার ভুলে গেছি। আবার বাকশাল প্রত্যাবর্তনে তবুও নীরব মানুষ।অ্যাক্টিভিজমের ভিত্তিতে লেখাটি পর্যাপ্ত নমনীয় নয় বলে দুঃখিত।
মিনা ফারাহ-র অশুভ কর্মকান্ড :
১। ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্ক প্রবাসী লেখিকা মিনা ফারাহ ও তার স্বামী ফরহাদ রেজার পুত্র (ডাক নাম ছিল জয়) লং আইল্যান্ডে এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান (পানিতে ডুবে)। জয় ইসলাম ধর্ম চর্চা করতেন । মৃত্যুর এক সপ্তাহে আগেও জয় ও তার পিতা নামাজ আদায় করেছেন এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর মোল্লা সানি।
সাইদ রহমান মান্নানের (মান্নান গ্রোসারীর মালিক) বাড়িতে। জয়ের পিতা মুসলিম এবং মা হিন্দু ধর্মালম্বী। জয়ের মরদেহ ইসলাম ধর্মানুযায়ী নামাজে জানাযা দেয়ার পরপরই মায়ের ইচ্ছায় তার (জয়ের) মরদেহ হিন্দু ধর্ম মতে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটির মুসলিম সম্প্রদায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষুব্ধ মুসলমানরা দল বেধে জ্যাকসন হাইটসের মিনা ফারাহ ও ফরহার রেজার বাড়ির সামনে একাধিক দিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ঐ সময়ে হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা শীতাংশু গুহ ও তার সংগঠনের নেতারা মিনা ফারাহ’র পক্ষ নেয়। কয়েকদিন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ এসেছিল এবং নিউইয়র্ক টাইমস-এর সাংবাদিকও এসেছিলেন এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে। এ নিয়ে মুসলমানদের মনে চাপা ক্ষোভ জমে আছে। শীতাংশু গুহ গংরা মিনা ফারাহ’র পক্ষ নিয়ে তখন মুসলমানদের গালাগাল করেছিল।
২। মিনা ফারাহ-র ইসলামবিদ্বেষী ও ফ্যানিজমের উপর বেশ কিছু বই আছে । এগুলো বাজারে সহজ লভ্য । এগুলো নিয়েও আমেরিকায় অনেক উত্তেজনাকর পরিস্হিতি সৃষ্টি হয়েছিলো । এগুলোর পরিচয় বা রিভিউ তুলে ধরা হতে বিরত থাকলাম ।
জামায়াতের হিন্দু ক্ষমতায়ন ও কিছু মুসলিমের অযাচিত হিন্দুপ্রীতি এবং মিনা ফারাহর নতুন আক্কেল দাঁত
মীনা ফারাহ পেশায় দন্ত চিকিতসক। পিতৃ পরিচয়ে ব্রাক্ষণ। ফরহাদ রেজাকে বিয়ে করে মুসলিম নাম নিয়েছিলো। বছর খানেক আগে তার আক্কেল দাঁত গজিয়েছিলো। দেশে (শেরপুরে) ফিরে সে শেরপুরের যুদ্ধপরাধী নামে একখান ডকুমেন্টরী করে আমাদের সেনাবাহীনি প্রধানের কাছে সোর্পদ করেছিলেন। হঠাত হঠাৎ করে তার আক্কেল দাঁত উঠে। আরেকবার উঠেছিলো তখন মেজর জিয়াকে হিটলারের সাথে তুলনা করে একটি বইও লিখেন। দন্ত চিকিতসক হওয়ার জন্যই কি তার ঘন ঘন আক্কেল দাঁত উঠে কিনা তা বলতে পাচ্ছি না।
গত কয়েকদিন আগে তার আবার আক্কেল দাঁত উঠেছিলো।
এবারের আক্কেল দাঁতটি খুবই স্পর্শকাতর।
এবারের আক্কেল দাঁত তার ছেলেকে নিয়ে। শাফায়েত রেজা জয় তার ছেলের নাম। ধর্মে একজন মুসলমান। খবর পেলাম তার ছেলে সড়ক দূর্ঘটনায় কয়েকদিন কোমা’তে থেকে মারা গেছেন। মুসলিম ধর্মানুসারে তার লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিলে মিনা ফারাহর আক্কেল দাঁত সেখানে বাধ সাজে। মীনা ফারাহর জেদের কারনে তাকে হিন্দু ধর্মানুসারে সতকার করা হয়। কি করুন পরিস্থিতি! সুশীলের পুত্র হওয়াতে কি করুন পরিস্থিতিতে তাকে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হলো। শাফায়েতকে যদি একবার পৃথিবীতে আনা হতো সে তার সুশীল মা’কে কি বলতো?
পৃথিবীর সাঁড়ে তিন হাত জমিনও তার পাওয়া হলোনা। হায়রে সুশীল!
September 12, 2008
https://iqram.wordpress.com/
নিয়েও তামাশা করা যায় :
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বিশিষ্ট নারীবাদি লেখিকা মিনাফারাহ’র ছেলে সম্প্রতী এক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা যায় গেল সপ্তাহে। মিনা ফারাহ যে হিন্দু ছিল সেটা জানলাম গতকাল দৈনিক আমাদের সময় পএিকার শেষ পাতায় তার ছেলের হিন্দু নিয়মে আন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার খবরটি ছাপানোর ফলে। আমি লাইব্রেরী তে প্রায়ই তার লেখা জনকন্ঠতে পড়তাম। প্রথমে নিয়ইর্কের মুসলিম সম্প্রদায় তার ছেলের লাশটি দাফন করার জন্য নিয়ে গেলে মিনা ফারাহ তাতে বাঁধা দেয়। এতে মুসলিম কামিউনিটির সাথে মিনা ফারাহ পক্ষ অবলম্বন কারীদের মধ্যে এক বিবাদের সুএপাত হয়। বেচারা মিনা ফারাহর সন্তান শাফায়েত মরে ও শান্তি পেল না। আমার প্রশ্ন মিনা ফারাহর কাছে। আপনি নিজে নাম পরিবর্তন করে মুসলামান নাম নিয়ে যদি চলতে পারেন তবে মুসলিম রীতি গুলি কেন পালন করবেন না। তাছাড়া আপনি যে হিন্দু রীতি বা প্রথা গুলি মানেন সেটাতো কোন দিন আমরা দেখলাম না । হঠাৎ হিন্দু হওয়ার খায়েস কেন মনে জাগলো তা আপনি যদি আপনার কোন কলামে জানাতেন তাহলে বিষয়টা পরিস্কার হত। আজ আবার আমাদের সময় পএিকা লেখল যে আপনার ছেলে শাফায়েত নাকি নিয়মিত নামাজ পড়ত ও রোজা রাখত। পএিকার কথাটা বিশ্বাস করলাম না এই কারণে যে আপনি নিজেই লিখেছিলেন আপনার কলামে যে আপনার ছেলেরা পাশ্চাত্য সংস্ক্রতিতে চলতে অভ্যস্ত। তাই পএিকার ছাগু সং-বাদিকরা যে মিথ্যা খবর প্রকাশ করছে সেটা আমি জানি। আপনাকে অনেক বার একুশে টিভিতে দেখেছি। আপনার প্রিয় পএিকা জনকন্ঠের সময়ের কলাজ যিনি লিখতেন তিনি একবার তার অনুষ্ঠানে আপনাকে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন । সেখানে আপনার হতে, গলাতে, কপালে হিন্দুর কোন চিহ্ন আমি দেখি নাই।
আমদের সমাজে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা একটা তামাশা করে বেড়ায় সবসময়। মৃত্যুর সময় তাদের সে তামাশাটা আরো জমজমাট হয়। যেমন দেখলাম নীলিমা ইব্রাহিম নামক এক ব্যক্তির দফন। এখন মুসলমান বিয়ে করে বেচারা মুষলমান হয়েছে সে কোন দিন নামাজ রোজা পড়ত কিনা জানি না কিন্তুু তাকে দাফন করা হয়। তাই আমার প্রশ্ন হিন্দুর ঘরে জন্ম নিয়া যদি দাফন জায়েজ হয় তবে মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়া পোড়ানো কেন জায়েজ না। বরং শাফায়েতকে পেড়ানো টাতো বেশি জায়েজ কারণ তার মা তো হিন্দু ছিল অন্যদিকে ড. নীলিমা ইব্রাহিমের মা ও বাবা যে দু’জনেই হিন্দু।
http://www.somewhereinblog.net/blog/kyd11/28842997
http://sherpurtimes.com/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80-%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE/
নিউইয়র্কে ‘হিটলার থেকে জিয়া’র লেখক নাজেহাল
২৩ শে জুন, ২০০৮ রাত ১:১৭
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র কমান্ড কাউন্সিল আয়োজিত প্রবাসী নারীবাদী লেখিকা মিনা ফারাহ’র হিটলার থেকে জিয়া’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে মারমুখী জনতা কর্তৃক স্বয়ং লেখকের নাজেহাল হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কিংস কাউন্টি ব্রুকলীনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত জনপদ চার্চ-ম্যাক ডোনাল্ডের একটি জলখাবার দোকানে শনিবার সন্ধ্যায় মিনা প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে শোভনসীমা বহির্ভূত মন্তব্য করলে দর্শক শ্রোতার একাংশ প্রতিবাদমুখর হয় এবং লেখকের উপর চড়াও হয়ে তাকে নাজেহাল করে। রেস্টুরেন্টের বাইরে অপেক্ষমাণ শতাধিক প্রতিবাদী মানুষ এ সময় লেখিকা মিনা ফারাহ’র প্রকাশ্য ক্ষমা দাবি করে এবং বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এই পর্যায়ে পুলিশ মারমুখী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে ও লেখিকাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়।
পরে ইত্তেফাক প্রতিনিধিকে মিনা জানান যে, ঘটনার আকস্মিকতা তাঁকে আতংকিত করলেও সত্য প্রকাশে তিনি পিছপা নন। পক্ষান্তরে প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারী আবুল বসার নামের ব্রুকলীনের এক নির্মাণ ব্যবসায়ী মিনা ফারাহ’র ‘হিটলার থেকে জিয়া’ গ্রন্থটিকে আস্তাকুঁড়ের জঞ্জাল আখ্যা দেন এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াকে নিয়ে অশোভন মন্তব্য করার মতো ঔদ্ধত্ব আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য লেখিকাকে পরামর্শ দেন।
সুত্রঃThe Daily Ittefaq(06,23, 2008)
মাহমুদ খান তাসের
http://www.somewhereinblog.net/blog/Niputipu/28812653
হিটলার থেকে জিয়া': বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল – মিনা ফারাহ
বুদ্ধিজীবী আর বুদ্ধিহীনরা যখন একরকম চিন্তা করে দেশ তখন ডুম হয়ে যায়। স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষের শক্তিরা একসঙ্গে কিভাবে দেশ চালাবে তা আমার বোধগম্য নয়। এদেশের সাধারণ মানুষ যত সচেতন এবং বিদ্রোহী সেই তুলনায় বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবী পিছিয়ে। ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে জয়ের ভার্জিনিয়ার বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি তাঁকে জানিয়েছিলাম সাদ্দাম হোসেনের বার্থ পার্টি এবং হিটলারের নাৎসী পার্টির কথা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসী পার্টির ভূমিকার কথা সকলেই জানে। মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত-আলবদর-আলসামস্ ও শানত্মিবাহিনীর কথা আমাদেরও অজানা নয়। নাৎসী পার্টির সঙ্গে জোট সরকার আর জামায়াতের সঙ্গে জোট সরকার এক। প্রধানমন্ত্রীকে আমি জানিয়েছিলাম আমার অনুভূতি যে, যে দল এরূপ উদাহরণ রেখেছে সে দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। তিনি আমাকে বলেছেন, কোন দলকে নিষিদ্ধ করা যায় না। এ কথা তিনি কেন বলেছিলেন, তা আমার বোধগম্য নয়। বিএনপি যে স্বাধীনতাবিরোধী দল একথা তারা দলের জন্মের আগেই প্রমাণ করেছে। এর প্রতিষ্ঠাতা একজন গুপ্তচর মুক্তিযোদ্ধা যে কথা আমি বহু তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে ‘হিটলার থেকে জিয়া’ বইটিতে প্রমাণ করেছি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন পাকিস্তানপন্থী এবং এর দলও পাকিস্তানপন্থী। স্পষ্টতই এরা স্বাধীনতাবিরোধী দল, যা খালেদা জিয়ার আচরণে স্পষ্ট। তার সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী দেশের যোগাযোগ স্পষ্ট। তার পার্টির স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান স্পষ্ট। তারপরেও আমাদের দেশের মিডিয়ায় সো-কলড বুদ্ধিজীবীদের মুখ থেকে কখনোই সরাসরি একথাটি শুনি নাই যে, বিএনপি একটি পাকিস্তানপন্থী দল যারা এখনও পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে। তাদের কথাবার্তা, আচার-আচরণ, সবকিছুই স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুকে তারা সরাসরি কিছু না বললেও আভাসে ইঙ্গিতে বলে। তাদের দাবি জিয়াই স্বাধীনতা এনেছে।
বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ দু’টি প্রতিপক্ষ। এদের একজন বিশ্বাস করে বাংলাদেশে, অপর বিশ্বাস করে পাকিস্তানে। একটি গণতান্ত্রিক সংসদে দাঁড়িয়ে এ রকম দু’টি দল কিভাবে দেশ চালাবে তা বোঝার জন্য কোন বিশেষজ্ঞের দরকার নেই। এই দেশের বুদ্ধিজীবীরা সব সময়ই কামনা করেন এই দু’টি দল এক হয়ে ভবিষ্যতে কাজ করবে। স্বাধীনতাবিরোধী এবং পক্ষের দল কিভাবে একসঙ্গে কাজ করবে একথা তারা হয় বোঝেন না, না হয় বুঝেও বলেন না। শুধু চাঁন-তারা পতাকা হলেই কি তারা পাকিস্তানী? বিএনপি দলের প্রতিদিনকার প্রেস মিটিং থেকে যেসব বক্তব্য বেরিয়ে আসে তার মধ্যে কোন্টা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কথা? একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে হয় যে, গোলাম আযম একদা লন্ডনে বসে খোন্দকার আব্দুল হামিদকে বলেছিল_ “যারা পুল ভাঙ্গে তারা মুক্তিযোদ্ধা, যারা পুল রক্ষা করে তারাও মুক্তিযোদ্ধা।” (দ্র. জীবনে যা দেখলাম, ৪র্থ খণ্ড, গোলাম আযম)। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন বার বার জিয়াউর রহমানকে কেন মুক্তিযোদ্ধা বলে থাকেন? কোন্ স্বাধীনতার ঘোষক তিনি? কনফেডারেশন করে মুক্তিযুদ্ধ প- করে দেয়ার জন্য জনাব তাজউদ্দীন সাহেব তখনই কি জিয়াউর রহমানকে কোর্ট মার্শাল করার কথা বলেননি? সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে, জিয়াউর রহমান এবং তার দল সেই মুক্তিযোদ্ধা যারা পুল রক্ষা করে। গোলাম আযমের জীবন যা দেখলাম বইয়ের ৩য় ও ৪র্থ খণ্ড যে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ রয়েছে, এতে করে স্বাধীনতাবিরোধীদের চিহ্নিত করতে অনুবীক্ষণ যন্ত্রের দরকার নেই। ২০০১ সালের সংসদে খালেদা জিয়ার পাশে মতিউর রহমান নিজামী, সাঈদী, আল মুজাহিদ এবং জিয়াউর রহমানের সংসদে শাহ্ আজিজুর রহমান ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এখন বলেন, অণুবীক্ষণ যন্ত্রের কি সত্যিই দরকার আছে? স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহ্ আজিজুর রহমান এবং নিজামীর ভূমিকা একটি শিশুও জানে। আর এই দুই পাষণ্ডকে যারা আমাদের জাতীয় সংসদে নিয়ে দাঁড় করায় তারা কি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে? নাকি তারা এখনও পাকিস্তানের স্বপ্নে বুঁদ হয়ে আছে? দেশের বুদ্ধিজীবীরা এই সত্যকে কেন এড়িয়ে যায়, তারাই জানে। অর্থই সর্বনাশের মূল এটাই কি তাদের জন্য সত্য? না হলে মুখে তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে তুবড়ি ছোড়ে, ১/১১-এর নায়কদের বিচার চায় কিন্তু ‘৭৫-এর মইনউদ্দিন, ফখরুদ্দীনের কথা তারা এড়িয়ে যায়। সংসদে খালেদার পছন্দের মন্ত্রী, আল মুজাহিদের বিষয়ে বুদ্ধিজীবীরা ঘাপটি মেরে থাকে। অর্থই সকল সুখের মূল। অর্থ হলে সবই সম্ভব। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়। বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধের সময় ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন এবং পাক মেজর জেনারেল জামশেদকে জিয়াউর রহমান বেগম জিয়ার নিরাপত্তা সম্পর্কে যে চিঠিটি নিজ হাতে লিখেছিলেন, তা সহজেই পাওয়া যাবে বিখ্যাত লেখক হুমায়ূন আহমেদের “জ্যোৎস্না ও জননী” বইটিতে।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষের শক্তি নিয়ে যে সংসদ, সেই সংসদ যে ইহকালেও কার্যকর হবে না, সর্বসময়ই যে সংসদ থাকবে একটি একাত্তরের যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে, রাজাকার এবং মুক্তিযোদ্ধা যখন একই সংসদে, কে মুক্তিযোদ্ধা, কে রাজাকার এই প্রশ্নটি যখন একমাত্র ইসু্য, স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি যখন দুর্বল এবং তারা বিপক্ষ শক্তিকে যখন নিষিদ্ধ না করে তাদের সঙ্গে সংসদে যাবে, বুদ্ধিজীবীরা যখন বুদ্ধিহীনের আচরণ করে, পাকিস্তানীদের বিষয়ে বিষাদ্গার অথচ সংসদে নিজামী ও মুজাহিদকে নিয়ে সমালোচনা করে না, আমার সন্দেহ হয় আমাদের দেশেটা কি ডুম হয়ে যাবে? স্বাধীনতার পক্ষ ও বিপক্ষের শক্তিকে চুলচেরা বিচার করে খালেদা জিয়ার স্বরূপ নিয়ে জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য কোন পরিশ্রমের দরকার নেই। জিয়াউর রহমান শাহ্ আজিজকে তার প্রধানমন্ত্রী করেছিল। বেগম জিয়া বড় যুদ্ধাপরাধীদের সংসদে বসিয়েছিল। জিয়াউর রহমান এদের জেল থেকে বের করে এনে রাজনীতিতে ঢুকিয়েছে। খালেদা জিয়া এখন এদের প্রতিপালন করছে। খালেদা জিয়া না থাকলে নিজামী-মুজাহিদরা এতিম হয়ে যাবে। পর্যবেক্ষককারীদের মতে, বিএনপি সেই স্বপ্নই দেখছে যে, পাকিস্তানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারা এক হয়ে এক আদর্শে কাজ করবে। খালেদা জিয়া এবং তার দল যে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে, বুদ্ধিজীবীদের জন্য আমার উপদেশ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রেকর্ড খুলে দেখুন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে সে কি উদাহরণ রেখেছিল।
এদেশের মানুষকে বুঝতে হবে প্রতিপক্ষ শুধু যুদ্ধ করতে পারে, তারা কখনও একসঙ্গে সংসদ চালাতে পারে না।
http://notunbd.com/?p=3980
হিটলার থেকে জিয়া বইয়ের রিভিউ :
হিটলার থেকে জিয়া বইয়ের লেখককে দিয়ে বইয়ের বিচার করা উচিত কি উচিত নয় সেটা অনেক পুরোনো বিতর্ক। আমি ব্যক্তিগতভাবে শিল্প এবং সাহিত্যের ক্ষেত্রে লেখকের ব্যক্তিগত অবস্থানকে অনেক সময় পাশ কাটিয়ে যেতে পারলেও, ইতিহাস আশ্রিত বইয়ের ব্যপারে সেটা পারি না। সেটাকে কেউ যদি আমার ব্যক্তিগত সংকীর্ণতা ধরে আমাকে বিচার করেন আমি সেক্ষেত্রেও আপত্তি করব না। ইতিহাস আশ্রিত বই বিশেষ করে সেটা যদি মুক্তিযুদ্ধ বা তার পরবর্তী সময়ের আখ্যান নিয়ে হয় তাহলে আমি বইইয়ের সাথে সাথে লেককের ময়নাতদন্তেও কিছুটা আগ্রহী হয়ে উঠি। বইয়ের ময়নাতদন্তের আগে তাই লেখকের ময়নাতদন্তের কাজটা সেরে ফেলতে চাই।
মিনা ফারাহ নামটা আগে শুনিনি,তাই বই পড়ার ফাঁকে ফাঁকে গুগলের আশ্রয় নিলাম। গুগলে ওনার সাম্প্রতিক কালের বেশ কিছু সাক্ষাৎকার এবং ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের সন্ধান পেলাম। বইটি প্রকাশ হয়েছে ২০০৮ সালে। কিন্তু বইটিতে লেখকের যে অবস্থান আর লেখকের বর্তমান অবস্থানের মধ্যে বিচ্যুতির পরিমাণ অস্বাভাবিক রকমের বেশি মনে হওয়ায় পরিচিত কয়েকজনের কাছে লেখকের সুলুক সন্ধানে মনোনিবেশ করলাম। যতটুকু জানতে পারলাম, লেখক কিছুদিন আগেও প্রো-আওয়ামী এবং প্রো-মুক্তিযুদ্ধ ঘরানার পত্রিকা হিসেবে পরিচিত জনকন্ঠ পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। সাম্প্রতিককালে ওনার সব লেখালেখি আর সাক্ষাৎকার নয়াদিগন্ত আর বাঁশেরকেল্লায় প্রকাশিত হতে দেখে ব্যথিত হলাম এবং বুঝলাম, অনেকের মতই সাম্প্রতিক জামাতি আর্থিক লেনেদেন লেখকের গোলপোস্টও বদলে দিয়েছে।
লেখকের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ঢুকে লেখকের অন্যান্য বইয়ের বিজ্ঞাপন ঝোলানো দেখলেও আলোচ্য বইটির কোন হদিস পাওয়া গেল না। আমার কছেও লেখকের বর্তমান অবস্থানে বইটির অস্তিত্ব অস্বীকার করাকেই যুক্তিযুক্ত অবস্থান বলে মনে হল। উনি তাঁর একটি লেখায় মুক্তিযুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যা নিয়েও প্রচলিত জামাতি প্রোপাগান্ডার সাথে গলা মিলিয়ে উচ্চস্বর হয়েছেন। এত কিছুর পরে লেখককে নিয়ে আর বাড়তি আগ্রহ অপ্রয়োজনীয় মনে হল। ইতিহাসের অনেক বিক্রীত লেখকের সাথে এই লেখকের নামও অন্তত আমার খাতায় লেখা থাকবে।
বইটি নিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে, বইটিতে মৌলিক তেমন কিছু নেই, ইতিহাস আশ্রিত বইয়ে ব্যক্তিগত বিশেষণ প্রয়োগের খুব বেশি সুযোগ নেই, এই বইটি বেশ ভালভাবেই সেই দোষে দুষ্ট। আমি ব্যক্তিগতভাবে বইয়ের অধিকাংশ অংশের সাথে একমত হলেও, বই হিসেবে এটিকে একটি অগুরুত্বপূর্ণ বইই মনে করব।
http://www.goodreads.com/review/show/855306976
মিনা ফারাহ-র বিরোদ্ধে বর্তমানে হিন্দু সমাজের অবস্হান :
শেরপুরে সাম্প্রদায়িকতার উসকানির অভিযোগে প্রবাসী লেখক মিনা ফারাহ’র বিরুদ্ধে জিডি
শেরপুর প্রতিনিধি « আগের সংবাদ
পরের সংবাদ» ২৫ মার্চ ২০১৩, ২৩:০৪ অপরাহ্ন
প্রবাসী লেখক এবং শেরপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জয়-এর সম্পাদক মিনা ফারাহ’র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার উসকানির অভিযোগ এনে গতকাল শেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডাইরি করেছেন বিএসএস’র শেরপুর জেলা সংবাদদাতা সঞ্জীব চন্দ বিল্টু।
সাংবাদিক সঞ্জীব চন্দ বিল্টু তার ডায়েরিতে উল্লেখ করেন, ২৪ মার্চ প্রবাসী লেখক মিনা ফারাহ তারই সম্পাদিত সাপ্তাহিক জয় পত্রিকায় ‘মুক্ত চিন্তা’ কলামে ‘হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু’ লেখাটিতে হিন্দুদের আওয়ামী লীগ বলে উল্লেখ করেছেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির পোড়ানো ও ভাংচুরের সঙ্গে আওয়ামী হিন্দুরাই জড়িত বলেও তার লেখাটিতে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া মিনাহ ফারাহ তার পরিবারের গড়া শহরের কালির বাজার এলাকার শ্রী শ্রী মা ভবতাঁরা মন্দিরটি স্থানীয় আওয়ামী হিন্দু নেতাদের দখলে নেয়ার যে অভিযোগ করেছেন সেটিও সত্য নয় বলে ডায়েরিতে উল্লেখ করেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপদার্থ বলে যে মন্তব্য করেছেন তাতে রাষ্ট্রদোহিতার সামিল বলে মনে করেন সাংবাদিক বিল্টু।
তিনি সরকারের কাছে মিনাহ ফারাকে দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানান।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/26/193702#.VbO7XLVPjxI
সাপ্তাহিক ‘জয়’ সম্পাদক মিনা ফারাহ’র বিরুদ্ধে জিডি
সাপ্তাহিক ‘জয়’ সম্পাদক মিনা ফারাহ’র বিরুদ্ধে জিডি
আরটিএনএন
শেরপুর: শেরপুর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘জয়’ পত্রিকার সম্পাদক মিনা ফারাহ’র বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে শেরপুর সদর থানায় সংবাদসংস্থা বাসস’র জেলা সংবাদদাতা সঞ্জীব চন্দ্র বিল্টু এই ডিজি দায়ের করেন।
সাংবাদিক সঞ্জীব উল্লেখ করেন, গত ২৪ মার্চ প্রবাসী লেখক মিনা ফারাহ তারই সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘জয়’ পত্রিকায় ‘মুক্ত চিন্তা’ কলামে ‘হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু’ লেখাটিতে হিন্দুদের আওয়ামী লীগ উল্লেখ করেছেন এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির পোড়ানো ও ভাঙচুরের সঙ্গে আওয়ামী হিন্দুরাই জড়িত বলেও মত দিয়েছেন।
মিনাহ ফারাহ তার পরিবারের গড়া শহরের কালির বাজার এলাকার শ্রী শ্রী মা ভবতাঁরা মন্দিরটি স্থানীয় আওয়ামী হিন্দু নেতাদের দখলে নেয়ার যে অভিযোগ করেছেন সেটিও সত্য নয় বলে ডিজিতে উল্লেখ করেন।
সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ায় মিনাহ ফারাকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান সঞ্জীব।
http://www.parisvisionnews.com/2011-07-14-13-36-49/69-political-news/6526-2013-03-25-16-50-41.html
মীনা ফারাহ/মীনা রানী শাহ সন্তানের লাশ নিয়েও আপনি বিতর্কের জন্ম দিলেন!?!
https://iqram.wordpress.com/2008/09/12/%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A4/
মীনা ফারাহ/মীনা রানী শাহ সন্তানের লাশ নিয়েও আপনি বিতর্কের জন্ম দিলেন!?!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৪৩
সম্মানিত(?) মীনা ফারাহ /মীনা রানী সাহা,
সন্তানের মৃত্য শোকে কাতর মায়েদের বিলাপের ছবি আর আহাজারীর বাক্যগুলো পত্রিকার পাতায় প্রায় ছাপা হয়।বিলাপরত মায়েদের ছবি আর আহাজারির আমার মত পত্রিকা পাঠকদের প্রায় কাঁদায়।কিন্তু জীবনে এই প্রথম সন্তানের লাশ নিয়ে মায়ের আহাজারি নয় পত্রিকার পাতায় পড়তে হয়েছে আপনার মত মায়ের হীন.বিকৃত মানসিকতার খবর।গত ১২ই সেপ্টেম্বর ২০০৮ দৈনিক ইত্তেফাকে 'নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী যুবকের লাশ দাফনে জটিলতা ' শিরোনামের পুরো সংবাদে আপনার যে হীন,বিকৃত মানসিকতার পরিচয় পেয়েছে তাতে আপনার প্রতি ঘৃনায় বারবার শিহরিত হয়েছি।অপ্রিয় হলে ও সত্য আপনার জ্যেষ্ঠ পুএ শাফায়েত রেজা জয়ের মৃত্যতে আপনার প্রতি সমবেদনা নয় আনমনে থুথু বেরিয়ে এসেছে বেশ কয়েকবার।
আপনি হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করেছেন।আপনার পূর্বনাম মিনা রানী শাহা;বর্তমান নাম মিনা ফারাহ।এবং আপানর সন্তান শাফায়েত রেজা জয় আপনারই সন্তান।ব্যক্তি জীবনে শাফায়েত রেজা নিয়মিত নামাজ পড়তেন।ধর্মীয় রীতিনীতি যতটা পারতেন মেনে চলতেন।শাফায়েত যেদিন সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয় সেদিন রোজা রেখেছিল,তারাবীর নামাজও আদায় করেছিল।শাফায়েতের ধর্মীয় বিশ্বাস প্রমান করে শাফায়েত একজন মুসলমান।যে কোন বিবেকবান মানুষ মাএই স্বীকার করবে শাফয়েত রেজা জয়ের শেষ বিদায় হবে ইসলাম ধর্মানুসারে।কিন্তু আপনি কোন যৌক্তিতে শাফায়েতের লাশ হিন্দু ধর্মানুসারে ভষ্ম করার দাবী করেন?আপনি কেমন মা সন্তানের লাশ জ্বলন্ত মেশিনে ঢ়ুকিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিতে চান?আপনি তো নিজেকে আধুনিক,সুশীল,মানুষেয় মানবাধিকারে বিশ্বাসী বলে নিজেকে প্রচার করেন।কেমন আপনার আধুনিকতা ?কেমন আপনার মানবাধিকারের প্রতি বিশ্বাস য়ে মুসলিম হয়েও ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী আপনার সন্তানকে হিন্দুরীতিতে পুড়িয়ে ভস্ম করতে চান?আপনার মানবাধিকার কি আপনাকে মৃত ব্যক্তির ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখ তে শেখায় না?আপনার সন্তান যদি হিন্দু রীতিনীতি মেনে চলত তাহলে আপনার চাওয়াটা যৌক্তিক হত।
মরহুম জিয়াউর রহমানকে অসম্মান করে বই লিখে,বিভিন্ন সভা-সেমিনারে জিয়াউর রহমানকে অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে আপনি বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।অনেকে বলে আপনি বিতর্কিত হয়ে নিজেকে জনপ্রিয় করতে চান।এতদিন এ কথাঠা বিশ্বাস না করলেও এবার বিশ্বাস করতে হচ্ছে আপনি বিতকের্র মাধ্যামে জনপ্রিয় হওয়ার সস্তা মানসিকায় বিশ্বাসী।কারণ,যে নিজ সন্তানের লাশ নিয়ে অহেতুক ধর্মীয় বিতর্ক করার গর্বিত(?) মা আপনি।আগামী দিনের ইতিহাস আপনাকে ঘৃনা ছাড়া আর কি দেবে?
আপনি কি এখন মুসলমান না হিন্দু?যদি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত মিনা ফারাহ নাম ত্যাগ করে পূর্বের নাম মীনা রানী শাহা গ্রহন করা।নিজেকে হিন্দু বলে ঘোষনা দেওয়া। যেন আপনার মৃত্যর পর আপনার লাশ হিন্দু ধর্ম অনুসারে শেষকৃত্য হবে নাকি মুসলমানের মত কবরস্থ করা হবে তা নিয়ে আপনার আপনজনদের কামড়া-কামড়ি করতে না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০৩
http://www.somewhereinblog.net/blog/amrpritibiblog/28842431
গত ১২ই সেপ্টেম্বর ২০০৮ দৈনিক ইত্তেফাকে 'নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশী যুবকের লাশ দাফনে জটিলতা '
ith Maksudur Rahman Fahad and মালিহা আহসান
March 17, 2013 •
যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী কামরুজ্জামান সম্পর্কে মিনা ফারাহ ও কিছু প্রতিবাদী লোকের অভিমত :
আপিলের চূড়ান্ত রায়ে তার ফাঁসি বহাল.
সেটাও বড় কথা না।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকায় শেরপুর সরকারী কলেজের প্রিন্সিপাল শ্রদ্ধাভাজন হান্নান স্যারকে জুতার মালা পড়িয়ে শহর ঘুরিয়েছেন.
সেটাও বড় কথা না।
৭১'এ তার পরিকল্পনায় স্থানিয় সোহাগপুর গ্রামের ১২০জন পুরুষ কে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে. যা এখন বিধবা পল্লী নামে পরিচিত.
সেটাও বড় কথা না।
বড় কথা হচ্ছে-
#আমার_বাবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিলেও কেবল মাত্র মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকায়,বন্ধুমহলে, আড্ডায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধাদের পক্ষে দু'চার কথা বলার অপরাধে এই কামারুজ্জামান আমার বাবার নামটা তার কিলংলিষ্টে দিয়ে দিয়েছিলেন!
তার সহযোগী এক রাজাকার মারফত দুইশত টাকার বিনিময়ে বাবার নামটা ঐ কিলিংলিষ্ট থেকে বাদ দেয়া হয়।
স্থানিয় সুরেন্দ্র মোহন সাহার[প্রবাসী লেখিকা মিনা ফারাহ'র বাবা]বাড়ি দখল করে তা টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করেছেন কামারুজ্জামান।বাড়িটার ওয়াল ঘেসা ছিলো একটি সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়.এই স্কুলেই আমার শিক্ষা জীবনের শুরু. যা আমাদের বাসা থেকে হাটা পথে তিন মিনিটের দূরত্ব।
কিছুটা বড় হয়ে যখন এসব কথা জানতে পেরেছি তখন স্কুল ক্লাসের জানলা দিয়ে ঐ বাড়িটার দিকে তাকিয়ে থেকে কল্পন করেছি-
ঐ সময় কামারুজ্জামানের হাতে ২০০টাকা না দিতে পারলে হয়তো টর্চার সেলের এই বাড়িটার কোন এক কক্ষে আমার বাবাকে জীবন দিতে হতো। লাশটাও হয়তো পাওয়া যেতোনা.অন্য অনেক লাশের সাথে ভাসিয়ে দিতো মৃগী নদীর জলে...!
#শেষকথা>
দুঃখিত, কারো বিপদের সময় আনন্দ প্রকাশ করতে নেই। তবো কেন জানিনা আজ আমার খুব আনন্দ হচ্ছে খু উ ব
#রাশেদ
/
এখন এই যুক্তি খন্ডানোর সময়!
একজন ডানপন্থী ভাই এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন...
তার কমেন্ট টা ঠিক এইরকম...
/ মিনা ফারাহ এর বাবার কথা বলা হয়েছে। মিনা ফারাহ নয়া দিগন্ত কলামে উনার পিতার হত্যাকান্ডের কথা বলেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন কামারুজ্জামান নয় যিনি এসব করেছেন তিনি আওয়ামিলীগের জেলা সেক্রেটারি হয়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে। তারপর শেরপুর জেলা আওয়ামিলীগের বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এই বিধবা মহিলাদের নিয়ে বই লিখেছিলেন সেখানেও কামরুজ্জামানের নাম নেই। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ১৯৭২ সালে যে ৩৭০০০ রাজাকারের নাম প্রকাশিত হয়েছে সেখানে গোলাম আজম, নিজামী, সাইদী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা কারো নাম ছিল না। যুদ্ধের ৪৩ বছর পরেও যেখানে তাদের বিরুদ্ধে কোন থানায় ডায়েরী পর্যন্ত করা হয়নি সেখানে তারা রাতারাতি এত বড় অপরাধী হয়ে গেলেন কিভাবে??? কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আরেকটা অভিযোগ হচ্ছে তিনি নাকি পাকিস্তানের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল কে নির্দেশ দিয়েছিলেন এইসব কাজ করার জন্য। অথচ তার বয়স ছিলেন মাত্র ১৭। আধুনিক সেনাবাহিনীর ১ জন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ১৭ বছর বয়সী বালকের কথা শুনবে সেটা সত্যিই হাস্যকর ব্যাপার। আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৭ বছরের ১টা ছেলে ১৫০ নারীকে ধর্ষন করছে!!!!
/
উপসংহার : মিনা ফারাহ সম্পর্কে উপসংহার প্রদান করা হতে বিরত থাকলাম ।
তবে এতটুকু বলছি : এক দিন জামায়াত-শিবির এই মহিলাকে আল মাহমুদের পরে স্হান দিবে । এখন জামায়াত-শিবির এই মহিলাকে সুলেখিকা ও মানবাধিকার কর্মী বলে উপাধি দিয়েছে ।
পরিশেষে বলছি : এক দিন সত্য প্রকাশ হবে ও লোকেরা জানতে পারবে জামায়াতের পক্ষে লেখার জন্য আসিফ নজরুল, কাদের সিদ্দিকী, পিয়াস করিম ........ আমেনা মহসীন ....... - রা কি পরিমান টাকা-পয়সা পেতো ।
বিএনপি যদি জামায়াতের সঙ্গ না ছাড়ে তাহলে এক সময় বিএনপি বিলীন হয়ে যাবে ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার
:
http://www.aaezine.org/articles/vol20/20N1ShafayetReja.shtml
http://www.nytimes.com/1999/06/06/nyregion/neighborhood-report-new-york-up-close-bengali-woman-writes-book-takes-heat.html
বিষয়: বিবিধ
১০৯৬১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাঙ্গালী হবেন।
বাঙ্গালী হওয়ার জন্য পুজা করতে হবে - এমন কথা বা এমন মানদন্ডের কথা এই প্রথম শুনলাম । তবে শরৎচন্দ্রের মতো লেখকরা মুসলিমদের বাঙ্গালী বলে স্বীকার করতেন না । এসব লেখক বেচে থাকলে আজ মুসলিমদের পাচাটতেন । যেমন : মিনা ফারাহ কয়টা টাকার লোভে জামায়াত-শিবিরের পা চাটা শুরু করছেন ।
হারমুনিয়াম ব্যবহার জানা আর অনুশীলন করা এক বিষয় নয় । দিন রাত না হোক অন্তত ৫ ঘন্টা হারমনিয়াম চর্চা না করলে তাকে ওস্তাদরা অনুশীলন করা বা রেওয়াজ করা বলেন না ।
আমি আলবদর ছিলাম না । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাব বলয় থাকার কারণে ও কম জানা শোনার কারণে অনেকেই অবাঞ্চিত আদর্শভিত্তিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয় । আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে ।
আমার এই লেখার সাথে শুধু মাত্র চুপা জামায়াত-শিবির ছড়া অধিকাংশ মুসলিমই নয় চরম ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকরাও এক মত হবেন ।
উত্তর:গান ও বাজন নবী ও রসূলগন করতেন।
আমি আলবদর ছিলাম না । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাব বলয় থাকার কারণে ও কম জানা শোনার কারণে অনেকেই অবাঞ্চিত আদর্শভিত্তিক সংগঠনের সাথে যুক্ত হয় । আমার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে ।উত্তর:আলবদর আদর্শভিত্তিক সংগঠন ছিল।আপনার লেখা অনুসারে।
আপনার লেখার সাথে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকরাও এক মত হবেন । উত্তর:আপনি নাস্তিক তাই নাস্তিকরাও আপনার সাথে এক মত।
আলবদর কেমন আদর্শভিত্তিক সংগঠণ ছিল তা আমি আমার বেশ কিছু লেখায় তুলে ধরেছি ।
আমি নাস্তিক না আস্তিক তা আমার লেখাগুলোতে বার বার তুলে ধরেছি । আমি মুসলিম তা আমার প্রায় প্রতিটা লেখায় উল্লেখ করে থাকি ।
নাস্তিকরা মানব সভ্যতার অংশীদার । তাদের সাথে আস্তিকদের আস্তিকতা ও স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে দ্বিমত থাকবে - এটাই সাভাবিক । তবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও নীতি আদর্শের ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রে মুসলিমরাই নয় নাস্তিকরাও আমার অনেক কথার সাথে একমত হবেন । কারণ তারা চান না , কোন অসভ্য ও বর্বর গোষ্ঠী ও তাদের আদর্শ আমাদের এই প্রাণপ্রিয় দেশটাতে প্রবলতর হোক এবং মুক্তচিন্তা ও শুভ চিন্তার ক্ষেত্র দিন দিন সংকুচিত হোক ।
যাক, আন্নের মাইয়া মার্কা পোষ্ট আগের মত চলিতেছে, নারী বিশেসজ্ঞ হিসাবে খারাপ না, মান ভাল হইছে।
মিনা ফারাহ সম্পর্কে আমার কোন তথ্য কি মিথ্যা ?? আশা করি উত্তর দিবেন ।
আমনের প্রশ্নের উত্তর আমনের জুতা জোড়া আমনের মুখে মাইরাই দিয়াই দিলাম।
যে চিৎকার এই লেখার মূল সার, সেই জামায়াতের অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কোন তথ্য লেখার কোথাও পেলাম না!
লেখক নিশ্চই অবাক হবেন, পুনরায় নিজ লেখাটা রিভিউ করলে।
জামায়াত বিভিন্নভাবে অর্থ লেনদেন করে । আমাকে কিছু দিন আগে চাকুরীর প্রলোভনও দেখিয়েছিলো । তাদের যুক্তি আমি কম সেলারীতে কাজ করছি ও আমার বর্তমান চাকুরীতে কোন ভবিষ্যত নেই । এটাও এক ধরনের আর্থিক প্রলোভন ।
মিনাহ ফারাহ জামায়াতের মিডিয়াগুলোতে লেখালেখি করার সুযোগ পাচ্ছেন ও টক শো করছেন । এতে তার পরিচিত বাড়ছে এবং বোনাস হিসেবে জামায়াত-শিবিরের বাধা কিছু পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী পাচ্ছেন - এমন সুযোগ সুবিধা নগদ অর্থের চেয়ে কোন অংশেই কম নয় ।
আর তা না হলে এদের মত বিপরীত আদর্শের মানুষ মুসলিমদের টাকা খেয়েছে বলে হিংসাবাদীদের প্রচারণাকে সত্য বলে মেনে নিতে হবে?
টাকা আর অন্ধ দলবাজী/ধর্মবাজী ছাড়া দুনিয়াতে কি আর কোন নির্ধারক নেই!? বিবেক বলে কোন কিছুর সাথে আপনি পরিচিত? কোনদিন অমুসলিম বা বেদিন কর্তৃক সত্যকে সত্য বলার কোন ঘটনা পড়েছেন?
২- দুঃখিত, আপনার মত মৌলিক কিছু উপাদানহীন ব্যাক্তিকে জামায়াতের মত তুক্ষোড় রাজনৈতিক দল 'টাকা' দিয়ে কিনতে চেয়েছে, একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়!
আপনি তো ডঃ জাকির নায়েকের মত নন! কিংবা হাসিনার ধারে কাছেও যাবার মত নন! আবার মিনা ফারাহের মত সাহিত্য বোধের ছিটেফোঁটাও আপনার ত্রিসীমার বস্তু নয়!!
আমরা টাকা ঢালার জামায়াত মাধ্যমগুলো অনেক বড় বড় বলে জানি! জামায়াতের টাকা ঢালার রুচি যে এত নিচু নয়, তা আপনারাই প্রচার করেছেন!
৩- জ্বি! "খাইলেই প্যাট ভরে"- সবাই হয়তো এতটা সরল সমীকরণ করেননা! আরও কিছু থাকতে পারে! আরও গবেষণা করুন!
২। দ্য হান্ড্রেড গ্রন্থের লেখা বই গবেষণা গ্রন্হ ।
গান্ধী-হিটলার এরা রাজনীতিবিদ । তারা লেখক নন । ব্যক্তিগত জীবনে তারা ইসলাম ও মুসলিমদের অনেক আদর্শ ও আচরণ পছন্দ করতেন যা তাদের জীবনীতে লেখা আছে ।
৩। জামায়াত টাকা-পয়সা দিয়ে বুদ্ধিজীবি ধরনের লোকদের তাদের বশে আনে ও তাদের পক্ষে কথা বলতে আগ্রহী করে থাকে যা জামায়াতের লোকদের ফেসবুক স্যাটাস ও পেজ হতে প্রমাণিত সত্য । এধরনের কিছু প্রমাণ আমি তুলে ধরেছি ।
জামায়াত-শিবির বাংলাদেশের মুসলিম ও বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর তা হিংসুক বা তাদের বিরোধীরা বোঝে না, বরং একটু পড়াশোনা করা ও চোখ কান খোলা রাখা লোকরা সহজেই বুঝতে পারে ।
৪ । টাকা আর অন্ধ দলবাজী/ধর্মবাজী ছাড়া দুনিয়াতে কি আর কোন নির্ধারক নেই!?
উত্তর : টাকা আর অন্ধ দলবাজী/ধর্মবাজী জামায়াত-শিবিরের লোকরাই করে থাকে । এর প্রমাণ আমি আমার বেশ কিছু লেখায় তুলে ধরেছি ।
৫।
বিবেক বলে কোন কিছুর সাথে আপনি পরিচিত? কোনদিন অমুসলিম বা বেদিন কর্তৃক সত্যকে সত্য বলার কোন ঘটনা পড়েছেন?
উত্তর : বিবেক আমার আছে । বিবেক কম মনে হয় জামায়াত শিবির সমর্থকদের । তারা মিনাহ ফারাহ-এর মতো অশ্লীল লেখিকা ও নাস্তিক লেখিকা এবং ইসলামবিদ্বেষী মহিলার কাছে সত্য খুজে পেয়েছে ।
৭। দুঃখিত, আপনার মত মৌলিক কিছু উপাদানহীন ব্যাক্তিকে জামায়াতের মত তুক্ষোড় রাজনৈতিক দল 'টাকা' দিয়ে কিনতে চেয়েছে, একথা বিশ্বাসযোগ্য নয়!
উত্তর : আপনি বিশ্বাস নাও করতে পারেন । সোনার বাংলা ব্লগের জামায়াতী ব্লগার (এখানেও লেখে মনে হয় ) আবু সাইফ ইসলামী ছাত্রী সংস্হার নিকাবী ও সতী মেয়ের প্রলোভন দেখিয়েছিলো ।
জামায়াত-শিবিরের লোকরা বিপুল পরিমাণ যৌতুক ও টাকা পয়সা দিয়ে প্রভাবশালী পরিবারে ইসলামী ছাত্রী সংস্হার নিকাবী মেয়ে প্রবেশ করায় ও তাদের স্বার্থ হাসিল করে ।
৮। আপনি তো ডঃ জাকির নায়েকের মত নন! কিংবা হাসিনার ধারে কাছেও যাবার মত নন!
উত্তর :
আমি সাধারণ লোক । তবে জামায়াতীরা তাদের স্বার্থের জন্য কুলি-মুজুর ধরনের লোকদের মাথায় নিয়ে নাচে ।
৯।মিনা ফারাহের মত সাহিত্য বোধের ছিটেফোঁটাও আপনার ত্রিসীমার বস্তু নয়!!
উত্তর : মিনা ফারাহর মতো অশ্লীল সাহিত্য বা চটি সাহিত্য আমি লিখি না । যার যেই রচিবোধ । আর কি ? হায় রে সাহিত্য বোদ্ধা !!!
১০।আমরা টাকা ঢালার জামায়াত মাধ্যমগুলো অনেক বড় বড় বলে জানি! জামায়াতের টাকা ঢালার রুচি যে এত নিচু নয়, তা আপনারাই প্রচার করেছেন!
জামায়াত শিবিরের লোকরা অনেক বার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে জামায়াতের লোক বানানোর চেষ্টা করে । অনেক টাকা পয়সা ঢালে । কিন্তু ব্যর্থ হয় । এজন্য তারা তাকে অনেক গালি গালাজ করে থাকে । যেমন : ফেসবুকের এই ছবি ।
ইকবাল সোবাহান চৌধুরী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি । তিনি জামায়াতী পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ‘কুলাঙ্গার’ ও ‘অসাংবাদিক’ বলে গালি দেন।
মাহমুদুর রহমান তার জবাবে বলেন, ‘জামায়াত নেতা গোলাম আযমের নাগরিত্ব ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে যে কয়জন স্বাক্ষর করেছিলেন তার মধ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী অন্যতম। জামায়াতের টাকায় তিনি দুই বার হজ্ব করেছেন।’-
সুত্র :
https://www.facebook.com/paltan.square/photos/a.123716544472699.22809.123712794473074/130060470504973/?type=1&fref=nf
উত্তর : জামায়াতের রুচিবোধের নমুনা দেখুন :http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67025 (জামায়াতীরা দল ভারী করার জন্য জ্ঞানী ও গুনীদের টাকা পয়সা ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলে অন্তুর্ভুক্ত করে) টাকা আওয়ামী লীগের লোক কিনার জন্য জামায়াত ব্যবহার করে যদিও চরম আওয়ামী লীগার হওয়া লোকও হোক । যেমন : ইকবাল সোবহান । বিস্তারিত তথ্য আমার এই লেখায় : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67025 (জামায়াতীরা দল ভারী করার জন্য জ্ঞানী ও গুনীদের টাকা পয়সা ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলে অন্তুর্ভুক্ত করে)
১১ "খাইলেই প্যাট ভরে"- সবাই হয়তো এতটা সরল সমীকরণ করেননা! আরও কিছু থাকতে পারে! আরও গবেষণা করুন ।
উত্তর : দয়া করে বলবেন কি : মিনা ফারাহ - তার মুসলিম ছেলেকে আগুনে পোড়ানোর জন্য অনুতপ্ত কিনা ?
মিনা ফারাহ মুসলিম নন । তাহলে তিনি কেন তার হিন্দু নাম মিনা সাহা ব্যবহার করেন না ?
অন্ধ দলীয় সমর্থক দেখেছি । তবে আপনার মতো নির্লজ্জ ও বেহায়া কম দেখেছি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন