শিবির নেতা নিজামীর ফাঁসি হওয়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৪ জুলাই, ২০১৫, ১১:৪৫:৪৫ সকাল
১৯৭৮ সালের ৬ ই ফেব্রুয়ারীর আগে ইসলামী ছাত্র শিবির পরিচিত ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ নামে । ১৯৭১ সালে এই সংগঠণ আল বদর নামে ঘাতক বাহিনী গঠণ করে ও বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনগণকে হত্যা করে ও ধ্বংসাত্মক কাজ-কর্ম করে । তখন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী একাধারে আল বদর ও ইসলামী ছাত্র শিবির (ইসলামী ছাত্র সংঘ)-এর পালের গোদা বা শীর্ষগুরু ছিলেন । তার কথায় তার শিষ্যরা যাবতীয় কর্মকান্ড করতো ।
https://www.youtube.com/watch?v=r2AAnw5FIQc
ইসলামী ছাত্র শিবিরের মহাআহমক ও ভোলাবালা শিবির কর্মী । মূলত এমন ছেলেই শিবিরে বেশী । এদের অনেকে গেলমান বলে থাকে । আর প্রায় সব শিবির কর্মী নেটে ছাগু নামে পরিচিত ।
আলহামদুলিল্লাহ । মুক্তিযুদ্ধকালে যার পরিকল্পনা, নির্দেশনা ও নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছিল, সেই মতিউর রহমান নিজামীকে যেতে হবে ফাঁসিকাষ্ঠে।
২৮ অক্টোবর, ২০১৪ তারিখ বুধবার একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল- ১ এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিজামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগের জন্য তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বাকি ৫, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নিজামীকে খালাস দেয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার নিজামীর রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছরের ২৪ জুন নিজামীর মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হলেও অসুস্থতার জন্য নিজামীকে আদালতে হাজির করতে না পারায় ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণা তৃতীয় দফায় অপেক্ষমাণ রাখেন।
২০১০ সালের ২৫ মার্চ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত দশটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে তিনটি ও ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে ছয়টি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
দ্বিতীয় দফায় যুক্তিতর্ক শেষে গত ২৪ মার্চ নিজামীর মামলাটি রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল-১। এর আগে এই ট্রাইব্যুনাল সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর গত বছরের ১৩ নভেম্বর নিজামীর মামলার কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণা অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের চাকরির বয়সসীমা পূর্ণ হওয়ায় তিনি গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অবসর নেন। সেই থেকে চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ছিল। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমকে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ২৪ জুন রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। কিন্তু ধার্য দিনে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কারাকর্তৃপ নিজামীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করেনি। পরে স্বাস্থ্যগত প্রতিবেদন চেয়ে নিজামীর মামলার রায় ঘোষণা আবারো অপেমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল। নিজামী সুস্থ এই মর্মে প্রতিবেদন আসার প্রায় চার মাস পর আজ রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
২০১২ সালের ২৮ মে নিজামীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল-১ এ তার বিচার শুরু হয়। ঐ বছরের ২৬ আগস্ট থেকে এ মামলায় স্যা গ্রহণ শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খানসহ এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন মোট ২৬ জন। আর নিজামীর পক্ষে তার ছেলে মো. নাজিবুর রহমানসহ মোট চারজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
নিজামীর যত অভিযোগ :
মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার ১৬টি অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল। যদিও রাষ্ট্রপক্ষ ১৫টি অভিযোগে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেছে ট্রাইব্যুনালে।
প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিনকে একাত্তরের ৪ জুন পাকিস্তানি সেনারা অপহরণ করে নূরপুর পাওয়ার হাউসের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে নিজামীর উপস্থিতিতে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। ১০ জুন তাকে ইছামতী নদীর পাড়ে আরো কয়েকজনের সঙ্গে হত্যা করা হয়।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১০ মে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বাউশগাড়ি গ্রামের রূপসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় শান্তি কমিটির সদস্য ও রাজাকারদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় ছিলেন নিজামী। সভার পরিকল্পনা অনুসারে ১৪ মে দুইটি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪৫০ জনকে পাকিস্তানি সেনারা হত্যা করে। এছাড়া প্রায় ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ করে রাজাকাররা।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের মে মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নিজামী ঐ ক্যাম্পে নিয়মিত যাতায়াত ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র করতেন।
চতুর্থ অভিযোগ হলো পাবনার করমজা গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ ও লুটের ঘটনায় নিজামীর সম্পৃক্ততা।
পঞ্চম অভিযোগ হলো, একাত্তরের ১৬ এপ্রিল নিজামীর সহযোগিতায় পাকিস্তানি সেনারা ঈশ্বরদী উপজেলার আড়পাড়া ও ভূতের বাড়ি গ্রামে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ২১ জন নিরস্ত্র মানুষ মারা যায়।
ষষ্ঠ অভিযোগ হলো একাত্তরের ২৭ নভেম্বর ধুলাউড়া গ্রামে ৩০ জনকে হত্যায় নেতৃত্ব ও সম্পৃক্ততার।
সপ্তম অভিযোগ হলো একাত্তরের ৩ ডিসেম্বর সোহরাব আলী নামক এক ব্যক্তিকে নির্যাতন ও হত্যার।
অষ্টম অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৩০ আগস্ট নিজামী নাখালপাড়ার পুরোনো এমপি হোস্টেলে গিয়ে আটক রুমী, বদি, জালালদের হত্যার জন্য পাকিস্তানি সেনাদের প্ররোচনা দেন।
নবম অভিযোগ হলো একই বছরের ৩ ডিসেম্বর হিন্দু অধ্যুষিত বিশালিখা গ্রামে ৭০ জনকে গণহত্যার।
দশম অভিযোগে বলা হয়েছে, নিজামীর নির্দেশে রাজাকাররা পাবনার সোনাতলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র কুন্ডুর বাড়িতে আগুন দেয়।
১১ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউটে ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়োজিত সভায় নিজামী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।
২২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক একাডেমি হলে আল মাদানীর স্মরণসভায় উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য ১২ নম্বর,
৮ সেপ্টেম্বর প্রতিরা দিবস উপলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে ছাত্রসংঘের সভায় বক্তব্যের জন্য ১৩ নম্বর
এবং ১০ সেপ্টেম্বর যশোরে রাজাকারদের প্রধান কার্যালয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্যের জন্য ১৪ নম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
১৫ নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের মে মাস থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে রাজাকার ক্যাম্প ছিল। নিজামী ও রাজাকার সামাদ মিয়ার ষড়যন্ত্রে সেখানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়।
১৬ নম্বর অভিযোগ বুদ্ধিজীবী নিধনের। জামায়াতের তত্কালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ ও আলবদর বাহিনীর প্রধান হিসেবে ওই গণহত্যার দায় নিজামীর ওপর পড়ে।
নিজামীর সংক্ষিপ্ত পরিচয় :
নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশে বলা হয়, ১৯৪৩ সালে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে জন্ম নেয়া নিজামী ১৯৬৩ সালে কামিল পাস করেন। জামায়াতের তখনকার ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের পূর্ব পাকিস্তান শাখার প্রধান হিসেবে একাত্তরে তিনি ছিলেন আলবদর বাহিনীরও প্রধান। স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর দমন-পীড়ন চালাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
http://www.ittefaq.com.bd/national/2014/10/29/4938.html
রায় ঘোষকদের অভিমত :
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বুধবার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় দেন।
মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে দণ্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়ে তিনি বলেন, “আদালত সম্মত হয়েছে যে, তিনি যে মাত্রায় হত্যা, গণহত্যা ঘটিয়েছেন, তাতে সর্বোচ্চ সাজা না দিলে তা হবে ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা।”
জামায়াতের আজকের আমির নিজামী চার দশক আগে ছিলেন জামায়াতেরই ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি এবং সেই সূত্রে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আলবদর বাহিনীর প্রধান।
স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর দমন-পীড়ন চালাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটিতেও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মামলার রায়ে উঠে এসেছে।
ট্রাইব্যুনাল বলেছে, বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করতে ‘স্বেচ্ছায় ও সচেতনভাবে’ নিজামী পবিত্র ধর্ম ইসলামের অপব্যবহার করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের ১৬টি অভিযোগের মধ্যে বুদ্ধিজীবী গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, সম্পত্তি ধ্বংস, দেশত্যাগে বাধ্য করা, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সংঘটনে সহযোগিতার আটটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে বুদ্ধিজীবী গণহত্যাসহ চার অভিযোগের প্রত্যেকটিতে তাকে সর্বোচ্চ সাজা দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বাকি চারটি অভিযোগে নিজামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আট অভিযোগে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
নিজামীর অন্যান্য অপরাধ :
৭১ বছর বয়সী নিজামী হলেন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী মর্যাদায় দায়িত্ব পালন করা চতুর্থ রাজনীতিবিদ, আদালত যাকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। এর আগে চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়।
বিগত চার দলীয় জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। তার আগে ২০০১-০৩ সময়ে ছিলেন কৃষিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এমন একজন ব্যক্তিকে প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রী নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ নারীর প্রতি ‘চপেটাঘাত’ ছিল বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে।
ফাঁসির রায় শুনে নিজামীর অবস্হা :
দণ্ড শুনে জামায়াত আমির উঠে দাঁড়াননি, কোনো কথাও বলেননি। দৃশ্যত বিমর্ষ নিজামীকে শুধু বিচারকের দিকে বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকাতে দেখা যায়।
রায় জানার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের বাইরে অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধা, উপস্থিত জনতা এবং আসামির জেলা পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে উল্লাস প্রকাশ করে।
অন্যদিকে রায়ের প্রতিবাদে নিজামীর দল জামায়াতে ইসলামী ঘোষণা করে তিন দিনের হরতাল। চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে জামায়াতকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়ায়।
এ রায়কে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট’ আখ্যায়িত করে নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম আপিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী বলেন, এই রায়ে ‘ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
রায়ের পর নিজামীকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখান থেকে রাতে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায়ের পর থেকে তিনি ছিলেন।
অভিযোগসমূহ ও রায় :
৮ অভিযোগ প্রমাণিত, ৪ অপরাধে ফাঁসি
সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত আট অভিযোগের মধ্যে ২, ৪, ৬ ও ১৬ নম্বর ঘটনায় নিজামীর ফাঁসির রায় হয়েছে।
এসব ঘটনার মধ্যে সাঁথিয়ার বাউশগাড়ি, ডেমরা ও রূপসী গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষকে হত্যা, ৩০-৪০ জন নারীকে ধর্ষণ; করমজা গ্রামে নয়জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, বাড়িঘরে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ; ধুলাউড়ি গ্রামে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫২ জনকে হত্যা এবং মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ঊষালগ্নে অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
রায়ে বলা হয়, শত শত নিরস্ত্র মানুষ, অসংখ্য বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত এই চার অপরাধ ছিল একাত্তরের বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা। বুদ্ধিজীবী হত্যা ও নিরস্ত্র মানুষকে গণহত্যা ছিলো ‘ভয়ানক’।
“এটা মানব সভ্যতার মর্যাদাহানিকর অপরাধ হিসাবে মূল্যায়িত হওয়ার দাবি রাখে।”
আর অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় ১, ৩, ৭ ও ৮ নম্বর অভিযোগে জামায়াত আমিরকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এসব ঘটনার মধ্যে পাবনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাওলানা কছিমুদ্দিনকে অপহরণ করে হত্যা; মোহাম্মদপুরের ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর ক্যাম্প খুলে মানবতাবিরোধী অপরাধের ষড়যন্ত্র ও সহযোগিতা; পাবনার বৃশালিখা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ সেলিমের বাবা সোহরাব আলীকে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে হত্যা; ঢাকার নাখালপাড়ার পুরোনো এমপি হোস্টেলে আটক মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিন বিচ্ছু জালাল, বদি, রুমি (শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে), জুয়েল ও আজাদকে হত্যার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বাকি আট অভিযোগ প্রসিকিউশন প্রমাণ করতে না পারায় এসব অভিযোগ থেকে নিজামীকে খালাস দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
রায়ে বলা হয়, একাত্তরে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আল-বদর বাহিনীর প্রধান নিজামী নিজে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অংশগ্রহণ করেন। বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় নিজামীর ভূমিকা ‘ডি-জুর ও ডি-ফ্যাক্টো’ (প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি)।
“অভিযুক্ত তার কৃতকর্মের ফল সম্পর্কে সচেতন ছিলেন এবং বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের হত্যায় তিনি আলবদর সদস্যদের উৎসাহ, সত্যায়ন, অনুমোদন এবং নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন।”
আদালত মনে করে, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা কেবল অপরাধের ভয়াবহতাকেই বৃদ্ধি করেনি, বরং বাঙালি জাতিকে এক অব্যক্ত ‘ট্রমার’ মুখোমুখি করে। শাস্তির ক্ষেত্রে এ বিষয়টিকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
“দশকের পর দশক ধরে শহীদ বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী ও নিরস্ত্র সাধারণ মানুষের স্বজন ও জাতির অব্যক্ত ব্যথার ক্ষেত্রে আইনের ভাষা নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না। ন্যায় বিচার হচ্ছে সেটাই, যা অপরাধীকে তার কৃতকর্মের ফল শোধ করে দেয়।”
‘চপেটাঘাত’ ও ধর্মের অপব্যবহার
একাত্তরে ন্যক্কারজনক ভূমিকার পরও বিগত জোট সরকারের আমলে মতিউর রহমান নিজামীকে মন্ত্রিত্ব উপহার দেওয়াকে লাখো শহীদের প্রতি চপেটাঘাত বলে মন্তব্য করেছে আদালত।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, “এটা বিশ্বাস করা খুবই কঠিন যে, সক্রিয়ভাবে যিনি বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, তাকে এই প্রজাতন্ত্রের মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
“আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, তৎকালীন সরকার কর্তৃক এই অভিযুক্তকে মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেওয়া একটা বড় ধরনের ভুল (ব্লান্ডার) ছিল। পাশাপাশি এটা ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো দুই লাখ নারীর প্রতি ছিল সুস্পষ্ট চপেটাঘাত। এই লজ্জাজনক ঘটনা পুরো জাতির জন্য অবমাননাকর।”
স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া ২০০১ সালে সরকার গঠনের সময় মন্ত্রিসভায় নিয়েছিলেন নিজামীকে। যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদও সে সময় মন্ত্রিত্ব পান।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মতিউর রহমান নিজামী একজন প্রখ্যাত ইসলামী পণ্ডিত (আসামিপক্ষের দাবি অনুযায়ী) হওয়ার পরও কোরানের আদেশ ও মহানবীর শিক্ষার পরিপন্থী হয়ে আলবদর বাহিনী গঠন করেন, যার মূল উদ্দেশ্য ছিলো বাঙালি বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিকামী মানুষদের হত্যা ও নিধন এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বর কর্মকাণ্ডকে সহযোগিতা ও অনুমোদন আদায়।
“আমরা ধরে নিতে বাধ্য হচ্ছি যে মতিউর রহমান নিজামী ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও সচেতনভাবে এবং স্বেচ্ছায় ‘আল্লাহ’ ও পবিত্র ধর্ম ‘ইসলাম’ এর নামের অপব্যবহার করে ‘বাঙালি জাতি’কে সমূলে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।”
বিহ্বল দৃষ্টি
রায়ের জন্য নিজামীকে মঙ্গলবার রাতেই কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে তাকে নিয়ে আসা হয় ট্রাইব্যুনালে।
এরপর দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় নিজামীকে রাখা হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। সাদা পাঞ্জাবির ওপর কফি রংয়ের কোটি পরিহিত জামায়াত আমিরের মাথায় এ সময় ছিল একটি জিন্নাহ টুপি।
বেলা ১১টায় আদালত কক্ষে নেওয়ার পর নিজামীকে বসতে দেওয়া হয় আসামির কাঠগড়ায় রাখা চেয়ারে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এজলাসে আসেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর তিন বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. আনোয়ারুল হক।
২০৪ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্তসারের ভূমিকা ও অভিযোগ পড়ে শোনান বিচারপতি আনোয়ারুল হক। এরপর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন পড়েন রায়ের পর্যবেক্ষণ।
সোয়া এক ঘণ্টা রায় পাঠের প্রায় পুরোটা সময় চেয়ারের ডান হাতলে ভর দিয়ে পেছন দিকে শরীর এলিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকতে দেখা যায় নিজামীকে। মাঝে মধ্যে চোখ মেলে তাকালেও খুব একটা নড়াচড়া দেখা যায়নি তার মধ্যে।
ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর চোখ মেলে বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকাতে দেখা যায় জামায়াতের এই শীর্ষ নেতাকে। এ সময় চেয়ার থেকে মাথা তুললেও তার জোরালো কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
পরে তার আইনজীবী তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “নিজামী সাহেব বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা’। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় কোনও উসকানিতে পা না দিতে তিনি কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন।”
রায়ের পর সাংবাদিকদের সামনে প্রসিকিউটর হায়দার আলী ও মোহাম্মদ আলী
রায়ের পর প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম
প্রতিক্রিয়া
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, “এ জাজমেন্ট ন্যায়ভ্রষ্ট জাজমেন্ট। আপিলে অবশ্যই এ জাজমেন্ট টিকবে না। আমরা অত্যন্ত সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করব।”
অন্যদিকে প্রসিকিউটর মো. আলী বলেন, “এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
এ মামলার সাক্ষী মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা যোদ্ধা বিচ্ছু জালাল বলেন, “মৃত্যুদণ্ডটা নিজামীর প্রাপ্য ছিল। একাত্তরে আমরা ঢাকার গেরিলারা এবং সাধারণ মানুষ এই নিজামী-মুজাহিদদের আতঙ্কে ছিলাম।
“এ আতঙ্ক এবং তার অপরাধের হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে তাকে আমরা ওই সময়ে কয়েক বার হত্যার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা পারিনি। আজ আদালত রায়ের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করল।"
বিএনপি ও ইসলামী দলগুলোর পতিক্রিয়া :
জামায়াতের জোটসঙ্গী বিএনপি এবারো রায় নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রুমির বন্ধু সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, “রুমি, বদি, জুয়েলকে ধরে যে ক্যাম্পে নেওয়া হয়েছিল সেখানে নিজামী প্রায়ই যেত।... তাদের হত্যার পরে তাদের পরিবারও কাদঁতে কাঁদতে মারা যায়। আমরা বন্ধুরাও ঠিক থাকতে পারিনি ওই সময়। বাংলাদেশের মানুষও কেঁদেছে।”
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, “আদালত রায়ে বলেছে, ধর্মকে ব্যবহার করে একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যা, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করেছে নিজামী। চারটি অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী রায়।”
স্বাধীনতাবিরোধী থেকে জনপ্রতিনিধি
শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের উত্তরসূরি হিসাবে ২০০০ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আসা মতিউর রহমান নিজামীর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামে।
স্থানীয় বোয়ালমারি মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করা নিজামী কামিল পাস করেন ১৯৬৩ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে। মাদ্রাসার ছাত্র থাকা অবস্থায় নিজামী ১৯৬১ সালে জামায়াতে ইসলামীর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৬৬ থেকে তিন বছর পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর একাত্তরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিখিল পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন নিজামী। বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের স্বাধীনতার লড়াই তখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।
১৯৭১ সালের মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর এপ্রিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে মূলত ছাত্রসংঘের কর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয় আলবদর বাহিনী। ছাত্রসংঘের নেতা হিসাবে আলবদরের নেতৃত্বও নিজামীর কাঁধে বর্তায়।
আলবদর গঠিত হওয়ার পর ২৩ শে এপ্রিল দৈনিক পাকিস্তানে ছাত্রসংঘের সভাপতি নিজামীর একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়, যাতে বলা হয়, “আলবদর একটি নাম, একটি বিস্ময়। আলবদর একটি প্রতিজ্ঞা। যেখানে তথাকথিত মুক্তিবাহিনী সেখানেই আলবদর। যেখানে দুস্কৃতকারী সেখানেই আলবদর। ভারতীয় চরদের কাছে আলবদর সাক্ষাৎ আজরাইল।”
স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের পর বাংলাদেশ সরকার জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করে।
বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমানের আমলে দেশে ফেরার সুযোগ পান জামায়াতের মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযম। স্বাধীন বাংলায় প্রকাশ্যে রাজনীতিতে ফেরে স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটি।
ওই সময় ১৯৭৮ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার আমির ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। এরপর ১৯৮৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হন।
১৯৮৮ সাল পর্যন্ত ওই পদে থেকে দলের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পান নিজামী। গোলাম আযম আমিরের পদ থেকে অবসরে গেলে ২০০০ সাল থেকে নিজামীর নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় জামায়াতে ইসলামী।
পাবনা-১ আসন থেকে তিনবার সাংসদ নির্বাচিত হওয়া নিজামীকে ২০০১ সালে মন্ত্রিত্ব দেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া। প্রথমে দুই বছর কৃষি মন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে সরকারের পরের তিন বছর ছিলেন শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্বে।
ওই সময়েই ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার জন্য পাচারের পথে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ে, যে মামলার রায়ে চলতি বছর নিজামীর ফাঁসির আদেশ হয়। কন্টেইনার ডিপোর ইজারা নিয়ে গেটকো দুর্নীতি মামলারও আসামি সাবেক শিল্পমন্ত্রী নিজামী।
২০০৮ সালে বড় পুকুরিয়া খনি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে নিজামী
২০০৮ সালে বড় পুকুরিয়া খনি দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে নিজামী
মামলার পূর্বাপর
২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেপ্তার করার পর একই বছরের ২ অগাস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর জামায়াতের আমিরের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উপস্থাপন করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ২৮ মে জামায়াত আমিরের বিচার শুরু হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক খানের জবানবন্দি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে গত বছর ২৬ অগাস্ট এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে সাক্ষ্য দেন মোট ২৬ জন।
আর নিজামীর পক্ষে তার ছেলে মো. নাজিবুর রহমানসহ মোট চারজন সাফাই সাক্ষ্য দেন।
বাকি তিনজন হলেন- অ্যাডভোকেট কে এ হামিদুর রহমান, মো. শামসুল আলম ও আবদুস সালাম মুকুল।
সাক্ষ্য ও জেরা শেষে গতবছর ৩ থেকে ৬ নভেম্বর প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রথম দফা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত না হওয়ায় তাদের লিখিত যুক্তিতর্ক জমা দিতে বলে ১৩ নভেম্বর মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বদল হওয়ায় চলতি বছর ১৬ থেকে ২৪ মার্চ নতুন করে এ মামলার যুক্তিতর্ক হয়। দ্বিতীয়বারের মতো অপেক্ষায় রাখা হয় মামলার রায়।
চলতি বছর ২৪ জুন রায়ের তারিখ রাখা হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ নিজামীকে হাজির না করায় রায় আবারো পিছিয়ে যায়।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ২৫ মার্চ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর এটি ছিল দশম রায়।
এর আগের নয়টি রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক রুকন আবুল কালাম আজাদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং একাত্তরের দুই বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আর মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড, দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় আদালত।
এর মধ্যে আপিলের রায়ে কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড হলে গত ১২ ডিসেম্বর তা কার্যকর করা হয়। আর সাঈদীর আপিলে সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
যুদ্ধাপরাধের দণ্ড ভোগের মধ্যেই গত ৩০ অগাস্ট ৮৩ বছর বয়সে মারা যান আলীম। ১১ মাস কারাবন্দি অবস্থায় হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন তিনি। আর রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলার মধ্যেই গত ২৩ অক্টোবর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৯২ বছর বয়সী জামায়াতগুরু গোলাম আযম।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article873406.bdnews
উপসংহার :
শিবিরের পোলাপানদের জন্য সত্যিই খুব মায়া হয় । তারা তাদের বসদের ৭১ এ কৃত অপরাধের বোঝা বইছে ।
৭১ এ তাদের বসেরা নিরপরাধ মুসলমান ভাইদের হত্যা করতে সাহায্য করেছিল । বিনা কারণে কাউকে হত্যা করা আল্লাহর আইনের পরিপন্থী ।
সে সময়ের দায়িত্বশীল বসেরা এটা খুব জোরেশোরেই করে গিয়েছিলেন।
এসব কাজের জন্য বসেরা তো কোনকালেও ক্ষমা চায় নি এবং শিবিরের পোলাপানদেরও মনে হয় যে এসব অপরাধকে তারা সঠিকই মনে করে ,ইসলামের তরেই মনে করে ।
এরা যদি তাদের পূর্ব পুরুষদের কৃত অপরাধের জন্য দেশবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতো সেটা তাদের জন্য ভাল হত ।
বান্দার হক বান্দা না ছাড়লে সেটা আল্লাহও মাফ করেন না ।
আপনারা কি নিশ্চিত আপনাদের যেসব নেতারা দুনিয়া থেকে চলে গেছেন ৭১ এ অপরাধ করে তারা জান্নাতের পাখি হয়ে বিচরণ করছেন ঐসব নিরীহ লোকের কাছ থেকে ক্ষমা ও আল্লাহর কাছ থেকেও ক্ষমা পেয়ে ?
(http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/bloglist/3323/HOTOVAGA http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/11184/Shahmun/67121#273475 )
বিষয়: বিবিধ
২৫৮৪ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার প্রোফাইল পিক-এর ব্যাপারে আমার আপত্তি রয়েছে । কারণ এটা আমাদের চিরায়ত সংস্কৃতি ও ঐহিত্যের সাথে খাপ খায় না ।
আমি নিজে এই লোকের সাথে এক সারিতে বসে বায়তুল মুকার্রম মসজিদের জুমার নামাজ পড়েছি । সেই নামাজ ইরানের প্রেসিডেন্ট আলী আকবর হাশেমী রফসানজানী ছিল ।
আজ সকালে জুমার নামাজ পড়ার স্বপ্ন দেখলাম । সেই নামাজে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদা দেওয়ার সময় ইমাম সাহেব সিজদা দিচ্ছেন না । কিছু মুসল্লী নিজ উদ্যোগে সিজদা দিয়ে নামাজের বাকি অংশ শেষ করছে । আর কিছু মুছল্লী নামাজ পড়ার হহে বের হয়ে আসে । আমি সেই দলের । তবে দলটা ছোট ।
সেই সময়টার কথা মনে পড়লে আজ হাসি আসে । বার বার ভাবি । আমি কতই না বোকা ছিলাম ।
আপনার দাবী মত আপনি শিবিরের সাথী ছিলেন, সদস্য প্রার্থী ছিলেন। আপনার আরোও দাবী মত শিবিরের সাবসিডিয়ারী প্রকাশনার সাথেও জড়িত ছিলেন। কয়েকমাস পরেই আপনি সদস্য হয়েও যেতেন, কেননা আপনি ঢাকায় ছিলেন।
আপনার ব্যর্থতা কিংবা তাদের ব্যর্থতায় হোক আপনি সদস্য হতে পারেন নি।
এই ক্ষেত্রে শিবিরের ভাগ্য ভাল যে, আপনি কর্মী হইয়া আজ যে বিরোধিতা করছেন, সদস্য হইয়া করিলে তার শতগুন বেশী একশন হইত।
সে হিসেবে বুঝতে পারি আপনি তাদের প্রায় বেশীর ভাগ সাহিত্য পড়েছেন। আপনি শফত নেবার সময় উপরোক্ত নেতাদের কথা মত চলেছেন কিংবা চলার ওয়াদা করেছেন।
ব্লগে অনেকে বলে থাকেন, সদস্য হবার আগে আপনি শিবির থেকে বিতাড়িত হয়েছেন আপনি অবশ্য দাবী করেছেন আপনি নিজেই সটকে পড়েছেন। সে যাই হোক,
- আপনি সাথী থাকা অবধি কিংবা সদস্য হবার প্রস্তুতি অবধি এসব নেতাদের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কোন কথা বলেছেন কিনা?
- কিংবা আপনি তাদের সাথে থাকা অবস্থায় কোন মিটিংয়ে এই কথাগুলো উল্লেখ করেছেন কিনা?
- করে থাকলে তাদের গুরুত্বপূর্ন কয়েকজনের নাম বলতে পারেন কিনা যারা এখনও নেতৃত্ব পর্যায়ে আছে কিন্তু আপনার কথা শুনে নাই?
- এই সমস্ত কথাগুলো শিবির থেকে চলে আসার পর বলাবলি করছেন নাকি সেখানে থাকার সময়ও বলেছেন?
- যদি বলে থাকেন, তাহলে তারা কি বলে আপনাকে বুঝাতে চেষ্টা করত কিংবা জোড় করে আপনার মুখ বন্ধ করত কিনা?
- ফাইনালী আপনি যদি সেখানে থাকার সময়ও বলে থাকেন, তাহলে আপনার তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আপনার কথা শুনে, উচ্ছ পর্যায়ের কোন নেতা আপনার পথ অনুসরন করেছিলেন, তাদের দুই একজনের নাম কি বলতে পারেন?
- নাকি এই লড়াইয়ে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আপনি একাই লড়াই করে যাচ্ছেন।
আপনি এই পোষ্টে যুদ্ধাপরাধী যাকে নিয়ে মন্তব্য করলেন, সে ব্যপারে আমি কোন মন্তব্য করছি না, কেননা যারা সাধারণ পাঠক তারা পজেটিভ-নেগেটিভ, বিরুদ্ধবাদি-পক্ষবাদি, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সকল খবর পড়েই কথা বলেন। কোন তথ্য বিশ্বাস করবে কার কথা মানবে সেটা জনগনের উপর ছেড়ে দেন। কারন বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা মন্ত্রী ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি আর স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে গরু চুরির অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করে!!!!!
জানতে আগ্রহ হলাম:
একদা আপনি যাদের সম্মান করে তাদের হাতে সদস্য হবার জন্য উদগ্রীব ছিলেন!
কালের বিবর্তনে কথা ও কলমে আপনি তাদের কুৎসা গাইছেন!
আবার কালের পরিবর্তনে আপনি হয়ত তাদের আবার জয়গান গাইবেন।
দুনিয়ার ইতিহাসে এটাই মতলব বাজদের প্রধান ও অন্যতম লক্ষণ হিসেবে স্বীকৃত আছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১। আপনি সাথী থাকা অবধি কিংবা সদস্য হবার প্রস্তুতি অবধি এসব নেতাদের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কোন কথা বলেছেন কিনা?
উত্তর : বলেছি । জামায়াত ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম তার কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে প্রকাশ্যে বিজয় দিবস পালন করে । সেখানে অনেক শিবির নেতাকে বলেছি । বেশ কিছু প্রশ্ন জামায়াত নেতাদের উদ্দেশ্যে পাঠাই । উত্তর পাইনি । পরবর্তীতে জামায়াত নেতাদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করার জন্য চেষ্টা করি । কিন্তু বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হই ।
২। আপনি তাদের সাথে থাকা অবস্থায় কোন মিটিংয়ে এই কথাগুলো উল্লেখ করেছেন কিনা?
উত্তর : করেছি ।
৩।করে থাকলে তাদের গুরুত্বপূর্ন কয়েকজনের নাম বলতে পারেন কিনা যারা এখনও নেতৃত্ব পর্যায়ে আছে কিন্তু আপনার কথা শুনে নাই?
উত্তর : রফিকুল ইসলাম খান , শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি । বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর শীর্ষ জামায়াত নেতা ।
তার পরবর্তী প্রায় সব শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারীসহ অফিস সম্পাদক পর্যন্ত । নিজামুদ্দীন মাহমুদ (নামটা সামান্য এদিক এদিক হতে পারে)তিনি ছিলেন অফিস সম্পাদক । দৈনিক নয়াদিগন্ত মাঝে মধ্যে তার লেখা ছাপা হতো । তার সাথে ফোনে এসব বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় । এক সময় তা গালাগালির পর্যায়ে চলে যায় । এভাবে যখন যেভাবে পেরেছি কথা বলেছি । এব্যাপারে বিন্দুমাত্র ভয় মনের মধ্যে স্হান দেইনি ।
৪।এই সমস্ত কথাগুলো শিবির থেকে চলে আসার পর বলাবলি করছেন নাকি সেখানে থাকার সময়ও বলেছেন?
উত্তর : সময় করেছি ও করে যাচ্ছি ।
এটা করার কারণ আছে । এলাকায় আমি স্হানীয় । স্হানীয় লোকরা আমার কোন সমস্যা খুজে পেতো না । তারা শুধু দোষ খুজে পেয়েছিলো : রাজাকার-আলবদরদের সংগঠণ করি । রাজাকার-আলবদর কি তা জানার জন্য পত্রিকার পুরানো দিন বিশেষ করে ১৯৭০ সাল হতে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর পড়ার চেষ্টা করি । এই লক্ষে পত্রিকায় ফ্রিল্যান্সার বা প্রদায়ক হিসেবে লেখালেখি শুরু করলাম । নামে বেনামে লেখালেখি শুরু করলাম । উদ্দেশ্য যে কোনভাবে পত্রিকাগুলো হতে এই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা । ন্যাশনাল আর্কাইভসেও দেখার সুযোগ পেলাম ।
তখন আমার কাছে ক্যামেরা ছিল না । স্ক্যানার ছিল না । যদি থাকতো অনেক তথ্য আপনাদের সম্মুখে উপস্হাপন করতে পারতাম ।
৫।যদি বলে থাকেন, তাহলে তারা কি বলে আপনাকে বুঝাতে চেষ্টা করত কিংবা জোড় করে আপনার মুখ বন্ধ করত কিনা?
উত্তর : এব্যাপারে সবচেয়ে বেশি পড়তে বলতো আবুল আসাদের লেখা কাল পঁচিশের আগে ও পরে বইটা । প্রথম প্রথম ভারতের আদিপত্যবাদ এবং মেজর মঞ্জুর ও বেশ কিছু সেক্টর কমান্ডার কেন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও ভারতের প্রতি ক্রোধান্বিত হলো - সে সব বিষয় তুলে ধরতো । পাকিস্তানের অংশ থাকলে আমরা কি সুুবিধা পেতাম - তা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে উপস্হাপন করতো । এক সময় তারা কোনভাবেই আমাকে সহ্য করতে পারতো না । তার ফল হিসেবে এক সময় সংগঠণের বড় বড় প্রোগ্রাম হলেও আমাকে জানানো হতো না । কিন্তু আমি নিজ দায়িত্বে জানতাম বা চেষ্টা করতাম । পরবর্তীতে তাদের কথা ও কাজের মধ্যে বেমিল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্যের কারণে আমি এই কথিত ইসলামী দল বা ছাত্র সংগঠণের সংশ্রব পরিত্যাগ করি ।
৬। ফাইনালী আপনি যদি সেখানে থাকার সময়ও বলে থাকেন, তাহলে আপনার তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আপনার কথা শুনে, উচ্ছ পর্যায়ের কোন নেতা আপনার পথ অনুসরন করেছিলেন, তাদের দুই একজনের নাম কি বলতে পারেন?
উত্তর : আমার কথা বা তথ্য শুনে অনেক কর্মী পর্যায়ের লোক নিষ্ক্রীয় হয়ে যায় ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায় । তাদের অনেকেই বর্তমানে ভাল অবস্হায় আছে । তবে নেতা পর্যায়ের অনেকে কামারুজ্জামান যেভাবে সংস্কার চেয়েছিলেন - সেভাবে অগ্রসর হওয়া চেষ্টা ও সাধনায় লিপ্ত হওয়ার কথা চিন্তা করতে শুরু করেন ।
৭।নাকি এই লড়াইয়ে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আপনি একাই লড়াই করে যাচ্ছেন।
উত্তর : আগের প্রশ্নের উত্তর দেখুন ।
৮।একদা আপনি যাদের সম্মান করে তাদের হাতে সদস্য হবার জন্য উদগ্রীব ছিলেন!
উত্তর : আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা ও জ্ঞান-অর্জন-চরিত্র গঠণ শুনে আমি যু্ক্ত হয়েছিলাম । আমি অসম্মানিত বা সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয় - এমন ব্যক্তিকে মর্যাদার আসনে বসাই না । তার প্রমাণ আজকের এই লেখাটা ।
৯। কালের বিবর্তনে কথা ও কলমে আপনি তাদের কুৎসা গাইছেন!আবার কালের পরিবর্তনে আপনি হয়ত তাদের আবার জয়গান গাইবেন।
উত্তর : আপনি মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন । বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতি বোঝেন না । আর বোঝলেও জামায়াত-শিবিরের চোখ দিয়ে দেখেন ।
মানব সভ্যতা পিছনের দিকে যায় না । অত্যাচারী-বর্বর-অসভ্য সম্প্রদায় কখনোই বিজয়ী হয় না ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয় ।
আর জামায়াত-শিবির কেন কোন অসভ্য-বর্বর-অনালোকিত-কুসংস্কারাচ্ছন্ন-ধর্মান্ধ কোন গ্রুপ বা দল কখনোই বিজয়ী যাতে না হয় সেজন্য আমি নিজে বিবেকবান মানুষদের সাথে নিয়ে চেষ্টা ও সাধনা চালিয়ে যাবে ।
১০।কালের বিবর্তনে কথা ও কলমে আপনি তাদের কুৎসা গাইছেন!
উত্তর : আমি যা লিখছি । তার প্রতিটা কথা সত্য ।
আজকের লেখটা পত্রিকার খবর মাত্র । এতে আমি বিন্দুমাত্র নিজের কথা যুক্ত করি নাই ।
উপরন্তু আদালতে প্রমাণ হয়েছে তিনি অপরাধী । তিনি খুনী । তিনি ধর্ষক ।
সুতরাং এমন লোক কখনোই কোন ইসলামী দলের লোক হতে পারে না । আর যদি হয়ে থাকে - তাহলে সেটা ইসলামী দল নয় । সেটা ধর্মের আবরণে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাত্র ।
১। আপনি সাথী থাকা অবধি কিংবা সদস্য হবার প্রস্তুতি অবধি এসব নেতাদের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কোন কথা বলেছেন কিনা?
উত্তর: বলেছি। জামায়াত ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম তার কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে প্রকাশ্যে বিজয় দিবস পালন করে। সেখানে অনেক শিবির নেতাকে বলেছি। বেশ কিছু প্রশ্ন জামায়াত নেতাদের উদ্দেশ্যে পাঠাই। উত্তর পাইনি। পরবর্তীতে জামায়াত নেতাদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হই।
এটাতো একটা সারাধন কর্মীর কথা হতে পারে, কেননা স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে তারা আগে থেকেই সমস্যায় ছিল। তাই হয়ত একই প্রশ্ন একজন দলীয় আমীর একজন সাধারণ কর্মীর সাথে সাক্ষাত দেওয়া সমীচিন মনে করেন নাই। কেননা একজন সাক্ষাত প্রার্থীর যোগ্যতাও তো একজন বড় মাপের নেতার কাছাকাছি হতে হয়! নয় কি? আপনার অবস্থান সে মানের ছিলনা
২। আপনি তাদের সাথে থাকা অবস্থায় কোন মিটিংয়ে এই কথাগুলো উল্লেখ করেছেন কিনা?
উত্তর: করেছি ।
আপনার দাবিটি জোড়ালো হলনা, যে ধরনের জোড়ালো দাবী আপনি লেখালেখির মাঠে করে থাকেন!
৩।করে থাকলে তাদের গুরুত্বপূর্ন কয়েকজনের নাম বলতে পারেন কিনা যারা এখনও নেতৃত্ব পর্যায়ে আছে কিন্তু আপনার কথা শুনে নাই?
উত্তর: রফিকুল ইসলাম খান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর শীর্ষ জামায়াত নেতা।
তার পরবর্তী প্রায় সব শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারীসহ অফিস সম্পাদক পর্যন্ত। নিজামুদ্দীন মাহমুদ (নামটা সামান্য এদিক এদিক হতে পারে) তিনি ছিলেন অফিস সম্পাদক। দৈনিক নয়াদিগন্ত মাঝে মধ্যে তার লেখা ছাপা হতো। তার সাথে ফোনে এসব বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। এক সময় তা গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়। এভাবে যখন যেভাবে পেরেছি কথা বলেছি। এব্যাপারে বিন্দুমাত্র ভয় মনের মধ্যে স্হান দেইনি।
আপনি যাদের সাথে আলোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম খান ও নিযামুদ্দীনের নাম নিতে পেরেছেন। বাকী কারো নাম মনে করতে পারেন নি, বলেছেন অনেকের কথা। এটা একটা দায়সারা উত্তর, যে কোন কেউ উত্তর দিতে পারে। তার মাঝে আবার নিযামুদ্দীনের নামটি পুরো নামটি আপনার মুখস্ত নাই! অথচ এই নাম ধারী ব্যক্তিটির সাথে আপনি সবচেয়ে দেশ ও জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে উভয়ে গালাগালিতে পর্যন্ত নিমত্ত হয়েছিলেন! এটা কি আদৌ সমাধানের উদ্দেশ্যে ফোন করেছিলেন নাকি উত্যেক্ত করার জন্য করেছিলেন। বলছিনা আপনি দোষি, তিনিও দোষি হতে পারেন, প্রশ্ন গালাগালির করার মত ব্যক্তিকে এই ব্যাপারে সমাধানের জন্য বাছাই করেছিলেন আজ সে ব্যক্তির নাম ও দিলেন! দলে এই ধনরের ব্যক্তির গ্রহন যোগ্যতা কতটুকু থাকতে পারে আমি বুঝিনা!
৪।এই সমস্ত কথাগুলো শিবির থেকে চলে আসার পর বলাবলি করছেন নাকি সেখানে থাকার সময়ও বলেছেন?
উত্তর : সময় করেছি ও করে যাচ্ছি ।
আপনার দাবীটা মোটেও জোড়ালে নয়। করে যাচ্ছেন সত্য কেননা আমরা তা দেখতে পাচ্ছি! তবে করেছেন সে কথাটা জানাই মুল লক্ষ্য ছিল, আপনি সেই উত্তরটা দিয়েছেন দায়সারা করে! জানিনা কেন এমন হল!
এটা করার কারণ আছে। এলাকায় আমি স্হানীয়। স্হানীয় লোকরা আমার কোন সমস্যা খুজে পেতো না। তারা শুধু দোষ খুজে পেয়েছিলো: রাজাকার-আলবদরদের সংগঠণ করি। রাজাকার-আলবদর কি তা জানার জন্য পত্রিকার পুরানো দিন বিশেষ করে ১৯৭০ সাল হতে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর পড়ার চেষ্টা করি। এই লক্ষে পত্রিকায় ফ্রিল্যান্সার বা প্রদায়ক হিসেবে লেখালেখি শুরু করলাম। নামে বেনামে লেখালেখি শুরু করলাম। উদ্দেশ্য যে কোনভাবে পত্রিকাগুলো হতে এই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা। ন্যাশনাল আর্কাইভসেও দেখার সুযোগ পেলাম।
এটা একটা সুন্দর কথা বলেছেন,
দুনিয়াবী কোন দলে গেলে, গান গাইলে, নাটক করলে, অভিনয় করলে, চারিত্রিক পরীক্ষা দিতে না হলে সেই ব্যক্তির প্রতিটি কাজেই প্রশংসা আসবে। এসব কাজে কদাকার নোংরা মানুষেরাও আক্রান্ত হয়না। তাদের প্রশংসাই আসে। যেমন সিনেমান গায়ক, গায়িকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের লম্পট শিক্ষক! তাদের বাহ্যিক গুনের কদর থাকে, চারিত্রিক বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না।
আর চারিত্রিক বিষয় নিয়ে বিবেচনা করলে মানুষের শুধু দোষ গুলোই বের হয়। বড় বড় ওলীদেরও দোষ বের হয়। শুনতে খারাপ লাগলেও এই দোষ ধরা কিন্তু মন্দ নয়। জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা এর থেকে রাস্তা পেয়ে যায়। তারা বুঝতে শিখে মানুষ হাতে গোনা যে কয়েকটি দোষ আমার বের করল, সে গুলো থেকে মুক্ত হতে পারলেই তিনি মহামানব হতে পারবেন।
তখন আমার কাছে ক্যামেরা ছিল না । স্ক্যানার ছিল না । যদি থাকতো অনেক তথ্য আপনাদের সম্মুখে উপস্হাপন করতে পারতাম ।
এ জাতীয় সকল তথ্য যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের আর্কাইভে জমা আছে। তারা দেশের সমুদয় তথ্য, পেপার কাটিং কার্টুন এমনকি মানুষ গোষ্বা করে বৈশাখী মেলায় যে কার্টুন প্রদর্শন করেছেন সেগুলো পর্যন্ত উপাত্ত হিসেবে জমা দিয়েছেন। আগ্রহী ও রিচার্স করতে চায় এমন ব্যক্তিদের জন্য সেগুলো সহজ লভ্য।
৫।যদি বলে থাকেন, তাহলে তারা কি বলে আপনাকে বুঝাতে চেষ্টা করত কিংবা জোড় করে আপনার মুখ বন্ধ করত কিনা?
উত্তর: এব্যাপারে সবচেয়ে বেশি পড়তে বলতো আবুল আসাদের লেখা কাল পঁচিশের আগে ও পরে বইটা । প্রথম প্রথম ভারতের আদিপত্যবাদ এবং মেজর মঞ্জুর ও বেশ কিছু সেক্টর কমান্ডার কেন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও ভারতের প্রতি ক্রোধান্বিত হলো - সে সব বিষয় তুলে ধরতো । পাকিস্তানের অংশ থাকলে আমরা কি সুুবিধা পেতাম - তা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে উপস্হাপন করতো । এক সময় তারা কোনভাবেই আমাকে সহ্য করতে পারতো না । তার ফল হিসেবে এক সময় সংগঠণের বড় বড় প্রোগ্রাম হলেও আমাকে জানানো হতো না । কিন্তু আমি নিজ দায়িত্বে জানতাম বা চেষ্টা করতাম । পরবর্তীতে তাদের কথা ও কাজের মধ্যে বেমিল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্যের কারণে আমি এই কথিত ইসলামী দল বা ছাত্র সংগঠণের সংশ্রব পরিত্যাগ করি ।
আপনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ঘটনা জানতে আবুল আসাদের কালো পঁচিশের আগে বইটি পড়ার দরকার নাই। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও গ্রহনযোগ্য ইতিহাস এন্থনি মাসকারান হার্সের 'এ লিগেসী অব ব্লাড' বইটি পড়েছেন কিনা? (তিনি শেষ সাহেবের সাথে তাস খেলতেন সে ধরনের ব্যক্তি), শর্মীলা বুস, মতিউর রহমান রেন্টুর কথা বাদ দিলেও বহু বই বাজারে আছে, আপনি এ বিষয়ে কোন বইটি পড়েছেন? ভারতীয় জেনারেল দের বুহ বই লিখা আছে। একদা এই বইগুলো উদাহরন দেওয়া হত। এখন সে সব বইয়ের এমন কিছু কথা বাজারে আছে, যেগুলো লেখকও চিন্তা করেন ইশ্ যদি সেই কথাটা না লিখতাম।
আমি বলতে চাচ্ছি স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্য উৎঘাটনের জন্য শুধু আওয়ামী মার্কা বই পড়েছেন নাকি তথ্য জানার জন্য নিরপেক্ষ কারো বই ও পড়েছেন।
৬। ফাইনালী আপনি যদি সেখানে থাকার সময়ও বলে থাকেন, তাহলে আপনার তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আপনার কথা শুনে, উচ্ছ পর্যায়ের কোন নেতা আপনার পথ অনুসরন করেছিলেন, তাদের দুই একজনের নাম কি বলতে পারেন?
উত্তর : আমার কথা বা তথ্য শুনে অনেক কর্মী পর্যায়ের লোক নিষ্ক্রীয় হয়ে যায় ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায় । তাদের অনেকেই বর্তমানে ভাল অবস্হায় আছে । তবে নেতা পর্যায়ের অনেকে কামারুজ্জামান যেভাবে সংস্কার চেয়েছিলেন - সেভাবে অগ্রসর হওয়া চেষ্টা ও সাধনায় লিপ্ত হওয়ার কথা চিন্তা করতে শুরু করেন ।
আপনার জোড়ালো বক্তব্য শুনে কর্মী পর্যায়ের ছেলেরা ছুটে গেছে! কথাটির অর্থ কি? আপনি যাদের কর্মী হিসেবে দলে ঢুকিয়েছেন তারাই কি চলে গেছে।
নেতা গোছের একজন কিংবা আপনার সম মানের একজন সাথীকেও আপনার কথাগুলোর গ্রহনযোগ্যতা প্রমান করতে পারেন নি। এটা দ্বারা কি বুঝা যায় না,
- আপনি কোন কারণে দল থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন?
- কিংবা দলের ভিতরে আপনার চারিত্রিক খুটি-নাটি বিষয় তুলে ধরত বলে আপনি তাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে থাকবেন?
- আপনার দাবী মত আপনি মূল্যায়িত হন নাই বলেই, আপনি ক্ষিপ্ত হয়েছেন?
কামরুজ্জমান জেলে গিয়ে দলের কর্মীদের কাছে কি লিখেছেন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত হতে পারে না, বড় জোড় পরামর্শ হতে পারে। তা ছাড়া কামরুজ্জমান যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার সাথে আপনার ব্যক্তি আক্রমনের সাথে কোন সাজুস্য পেলাম না। আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন, কামরুজ্জমান দলে সংশোধন করতে চেয়েছিলেন বলে আপনার মত তিনিও দল বিচ্যুত হয়েছেন?
৭।নাকি এই লড়াইয়ে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আপনি একাই লড়াই করে যাচ্ছেন।
উত্তর : আগের প্রশ্নের উত্তর দেখুন ।
আমি সেখানে উত্তর দিয়েছি
৮।একদা আপনি যাদের সম্মান করে তাদের হাতে সদস্য হবার জন্য উদগ্রীব ছিলেন!
উত্তর : আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা ও জ্ঞান-অর্জন-চরিত্র গঠণ শুনে আমি যু্ক্ত হয়েছিলাম । আমি অসম্মানিত বা সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয় - এমন ব্যক্তিকে মর্যাদার আসনে বসাই না । তার প্রমাণ আজকের এই লেখাটা ।
এই মর্যাদার ভিত্তি কি? কেউ কাউকে ফন্দি খাটিয়ে জেলে ঢুকাতে পারলেই কি তিনি অসম্মানিত ব্যক্তি হয়ে যান? শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া কেউ তো জেলে না গিয়ে থাকেন নি! তাই বলে এসকল ব্যক্তিদের সবাই অসম্মানিত? তাছাড়া আপনি কাউকে অসম্মানিত মনে করলেই তিনি জগতের সবার জন্য অস্মামনিত হয়ে যাবেন?
৯। কালের বিবর্তনে কথা ও কলমে আপনি তাদের কুৎসা গাইছেন!আবার কালের পরিবর্তনে আপনি হয়ত তাদের আবার জয়গান গাইবেন।
উত্তর : আপনি মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতি বোঝেন না। আর বোঝলেও জামায়াত-শিবিরের চোখ দিয়ে দেখেন।
আপনি এই কথাটা ঠিক বলেছেন, আমি মধ্যপ্রাচ্যে থাকি বলে অনেক কিছু জানিনা। আমি দাবী করিনা যে সব জানি। আমিও তো আপনার কথার সূত্র ধরে কিছু জানতে চাইলাম, আমি তার উত্তরও দিলাম। আপনার প্রতি আমার প্রশ্ন গুলো কি জামায়াত-শিবিরের চোখের কারণে হয়েছে নাকি বস্তু নিষ্ট প্রশ্ন হয়েছে?
আপনি নিজেই বলুন আপনি সেই দলের কাছাকাছি একেবারে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছাকাছি কাজ করেছেন। আপনি আপনার চিন্তা ধারা বলে মাত্র গুটিকয়েক কর্মীর মনোবলের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এটার দ্বারা কি বুঝায় হয়ত, আপনি ভুল করেছেন নয়ত তারা ভুল করেছেন! ধরলাম আপনার কথা শুনে দলের ০.১% কর্মীর মনোবল ভাঙ্গতে পেরেছেন, তারপরও কি আপনি বলবেন, আপনার চিন্তাই সঠিক, আর ৯৯% বেটিক!
মানব সভ্যতা পিছনের দিকে যায় না । অত্যাচারী-বর্বর-অসভ্য সম্প্রদায় কখনোই বিজয়ী হয় না ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয় ।
আর জামায়াত-শিবির কেন কোন অসভ্য-বর্বর-অনালোকিত-কুসংস্কারাচ্ছন্ন-ধর্মান্ধ কোন গ্রুপ বা দল কখনোই বিজয়ী যাতে না হয় সেজন্য আমি নিজে বিবেকবান মানুষদের সাথে নিয়ে চেষ্টা ও সাধনা চালিয়ে যাবে ।
১০।কালের বিবর্তনে কথা ও কলমে আপনি তাদের কুৎসা গাইছেন!
উত্তর : আমি যা লিখছি । তার প্রতিটা কথা সত্য ।
আজকের লেখটা পত্রিকার খবর মাত্র । এতে আমি বিন্দুমাত্র নিজের কথা যুক্ত করি নাই ।
উপরন্তু আদালতে প্রমাণ হয়েছে তিনি অপরাধী । তিনি খুনী । তিনি ধর্ষক ।
সুতরাং এমন লোক কখনোই কোন ইসলামী দলের লোক হতে পারে না । আর যদি হয়ে থাকে - তাহলে সেটা ইসলামী দল নয় । সেটা ধর্মের আবরণে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাত্র ।
আপনি মিডিয়ার খবর পড়ে, সেই খবরকে সত্য জ্ঞান করে, মন্তব্য করছেন, মন্তব্য ছুড়ছেন, কলম দাবাচ্ছেন, জিহাদে নেমে পড়েছেন। অথচ বাংলাদেশের মানুষ মিডিয়ার উপর বিশ্বাসই ছেড়ে দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আবুদর রহমান বিশ্বাস ক্ষমতা ছাড়ার পর। মোনাফেক, ফাসিক, কাফের ও জালেমের কথায় বিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত নিবে দূরের কথা, মন্তব্য করাও যে ভয়ঙ্কর অপরাধ সে হুশ জ্ঞান কি আছে?
আপনি ভাল থাকুন।
আপনার প্রতি মন্তব্যের উত্তর নিয়ে আমি আলাদা লেখা দিবো । সে পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে ।
জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধীতা ও মুক্তিযোদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ড নিয়ে আমি কোথায় কোথায় কার সাথে কখন কীভাবে কথা বলেছি তা আমি তুলে ধরবো । একটা ২৩-২৪ বছরের ছেলে এই ব্যাপারে যতটুকু ভুমিকা তখন রাখতে পারে - তার চেয়ে বেশী ভুমিকা সে রাখতো । এই কথাটা আমার ক্ষেত্রে শত ভাগ সত্য ।
জামায়াত-শিবিরের লোকরা কেমন ফেসবুক ও ব্লগ সাইটগুলো তেরী হওয়ার পর আরো ভালভাবে বুঝতে পারছি । আপনার উল্লেখিত মোনাফেক, ফাসিক, কাফের ও জালেমদের চেয়েও জামায়াত-শিবিরের অনেক লোক জগণ্য । জামায়াত একটা মাফিয়া চক্রের মতো দল । ইসলামের প্রাথমিক যুগের গুপ্ত ঘাতক সম্প্রদায়ের মতো জামায়াতের কর্মকান্ড ।
উপরন্তু আদালতে প্রমাণ হয়েছে তিনি অপরাধী । তিনি খুনী । তিনি ধর্ষক ।
আপনার যদি কিছু বলার থাকে আদালতে যান । যেয়ে আপনার তথ্য প্রমাণ উপস্হাপন করুন ।
১৯৭১ সালে জামায়াতের নেতারা কি করতেন - তা বাংলাদেশের প্রবীণ লোকরা ভাল করেই জানেন । ৬০ হতে ৮৫ বছর বয়স্ক লোক - এখনও বাংলাদেশে আছেন যারা ১৯৭১ সালে জামায়াত-মুসলিম লীগ-নেজামে ইসলামী-জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম-মাইজ ভান্ডারী ..... কি করেছিলো - তারা তা ভাল করেই জানেন । তাদের অনেকে মুসলিম লীগ বা অন্য কোন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দল তখন করলেও বর্তমানে জীবন সায়াহ্নে এসে অতীতের ঘটনাপ্রবাহ সুন্দরভাবে তুলে ধরেন ।
অন্তত বিবেকের খাতিরে স্বীকার তে করবেন :
পাকিস্থানী সামরিক বাহিনী সবচেয়ে উপরের কর্মকর্তা না হলেও তাদের সহায়ক শক্তি ও দালাল হিসেবে জামায়াত ছিল এক নম্বর ।
সুতরাং এমন লোক কখনোই কোন ইসলামী দলের লোক হতে পারে না । আর যদি হয়ে থাকে - তাহলে সেটা ইসলামী দল নয় । সেটা ধর্মের আবরণে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাত্র ।
কোন আদালতই ১০০% শুদ্ধ নয় ।
আল্লাহ উত্তম বিচারক । আর এজন্যই গোলাম আজম - নিজামী- মুজাহিদ-দের ফাঁসি হচ্ছে ও হবে ।
কারণ অতীতের ভুলগুলো হতে তারা শিক্ষা নেননি ।
জামায়াত ও আওয়ামী লীগের সাথে ১৯৮৬ এবং ১৯৯৬ সালে গলায় গলায় ভাব জনগণ দেখেছে ।
বিষয়টা যখন আদালতে পৌছেছে । এটা আর প্রতিহিংসার বিষয় হিসেবে নেই । আদালত চলে তথ্য-প্রমাণ-সাক্ষ্য-র উপর ।
পাগলামী বন্ধ হয়ে যাবে। নিজেও আলবদর
গ্রপের সাথে ছিল। সদস্য না পাওয়া কুফর
পথ অবলম্বন করলো। মাঝে মধ্যৈ আই এস আই এর ছবি দিয়ে জেহাদী জঙ্গী ভাব প্রকাশ করতো।
অপি বাইদানকে আমি চিনি না । তবে এই সাইটে তার লেখা ও মন্তব্য দেখছি ।
আমি বর্তমানে সুস্হ ও সাভাবিক জীবনবোধ অনুযায়ী চলাফেরা করি । যে বা যারা জামায়াত-শিবির, হিজবুত, চরমোনাই, আহলে হাদিস, সালাফী, ওহাবী , আইসিস দলভুক্ত হয় - সে বা তারা কম-বেশী অসুস্হ ও মাণষিকভাবে সমস্যাগ্রস্হ হয়ে থাকে ।
আমি যদি আগে জেহাদী জঙ্গী ভাব প্রকাশ করে থাকি ও বর্তমানে না করি, তাহলে তা আমার শরীর ও মনের জন্য সুফলদায়কই নয, বরং সমাজ ও পরিবারের জন্য কল্যাণকর ।
আপনি তো দুরে থাকতে পারলেন না । মন্তব্যও করে গেলেন ।
ধন্যবাদ ।
ভাবে বিশ্লষন করুন। কারা শহীদ।
১। আপনি সাথী থাকা অবধি কিংবা সদস্য হবার প্রস্তুতি অবধি এসব নেতাদের যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কোন কথা বলেছেন কিনা?
উত্তর: বলেছি। জামায়াত ১৯৯৫ সালে সর্বপ্রথম তার কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে প্রকাশ্যে বিজয় দিবস পালন করে। সেখানে অনেক শিবির নেতাকে বলেছি। বেশ কিছু প্রশ্ন জামায়াত নেতাদের উদ্দেশ্যে পাঠাই। উত্তর পাইনি। পরবর্তীতে জামায়াত নেতাদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করার জন্য চেষ্টা করি। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ব্যর্থ হই।
এটাতো একটা সারাধন কর্মীর কথা হতে পারে, কেননা স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে তারা আগে থেকেই সমস্যায় ছিল। তাই হয়ত একই প্রশ্ন একজন দলীয় আমীর একজন সাধারণ কর্মীর সাথে সাক্ষাত দেওয়া সমীচিন মনে করেন নাই। কেননা একজন সাক্ষাত প্রার্থীর যোগ্যতা তো একজন বড় মাপের নেতার কাছাকাছি হতে হয়! নয় কি? আপনার অবস্থান সে মানের ছিলনা বলেই আপনাকে সুযোগ দেয়নি। কেননা সূর্য কখনও চেরাগের কাছে সাক্ষাত দিতে রাজি হবেন না
২। আপনি তাদের সাথে থাকা অবস্থায় কোন মিটিংয়ে এই কথাগুলো উল্লেখ করেছেন কিনা?
উত্তর: করেছি ।
আপনার দাবিটি জোড়ালো হলনা, যে ধরনের জোড়ালো দাবী আপনি লেখালেখির মাঠে করে থাকেন! এই ক্ষেক্রে করেছি বলে কথা সেরেছেন অথছ এই শব্দে এই কথার আসেনা
৩।করে থাকলে তাদের গুরুত্বপূর্ন কয়েকজনের নাম বলতে পারেন কিনা যারা এখনও নেতৃত্ব পর্যায়ে আছে কিন্তু আপনার কথা শুনে নাই?
উত্তর: রফিকুল ইসলাম খান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর শীর্ষ জামায়াত নেতা।
তার পরবর্তী প্রায় সব শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারীসহ অফিস সম্পাদক পর্যন্ত। নিজামুদ্দীন মাহমুদ (নামটা সামান্য এদিক এদিক হতে পারে) তিনি ছিলেন অফিস সম্পাদক। দৈনিক নয়াদিগন্ত মাঝে মধ্যে তার লেখা ছাপা হতো। তার সাথে ফোনে এসব বিষয় সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়। এক সময় তা গালাগালির পর্যায়ে চলে যায়। এভাবে যখন যেভাবে পেরেছি কথা বলেছি। এব্যাপারে বিন্দুমাত্র ভয় মনের মধ্যে স্হান দেইনি।
আপনি যাদের সাথে আলোচনা করেছেন, তাদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম খান ও নিযামুদ্দীনের নাম নিতে পেরেছেন। বাকী কারো নাম মনে করতে পারেন নি। কিন্তু আপনি অনেকের কথা বলেছেন। এটা একটা দায়সারা উত্তর। যে কোন ব্যক্তি এ ধরনের উত্তর ব্লগে দিতে পারে যেহেতু এখানে চ্যালেঞ্জের ব্যবস্থা নাই, তাই বলে আপনি কেন দিবেন কেননা আপনি আদর্শের পিছনে একাই লড়ছেন। তার মাঝে আবার নিযামুদ্দীনের নামটি পুরো মুখস্ত নাই! অথচ এই নাম ধারী ব্যক্তিটির সাথে আপনি দেশ ও জাতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে, উভয়ে গালাগালিতে পর্যন্ত নিমত্ত হয়েছিলেন! এটা কি সমাধানের উদ্দেশ্যে ফোন করেছিলেন, নাকি উত্যেক্ত করার জন্য করেছিলেন? আমি বলছিনা আপনি দোষি, তিনিও দোষি হতে পারেন। প্রশ্ন হল, গালাগালির করার মত ব্যক্তিকে এই ব্যাপারে সমাধানের জন্য বাছাই করা কি ভুল বাছাই ছিলনা? আবার সেটা গর্ব ভরে আজ সে ব্যক্তির নাম ও দিলেন! দলে যদি এই ধরনের ব্যক্তি থেকেও থাকে, উচ্চ পর্যায়ে তার গ্রহন যোগ্যতা কতটুকু থাকতে পারে, আমি বুঝিনা!
৪।এই সমস্ত কথাগুলো শিবির থেকে চলে আসার পর বলাবলি করছেন নাকি সেখানে থাকার সময়ও বলেছেন?
উত্তর : সময় করেছি ও করে যাচ্ছি ।
আপনার দাবীটা মোটেও জোড়ালে নয়। করে যাচ্ছেন কথাটি সত্য কেননা আমরা তা দেখতে পাচ্ছি! তবে করেছেন বলেছেন সে কথাটা জানাই আজকে মুল লক্ষ্য ছিল, আপনি সেই উত্তরটা দিয়েছেন দায়সারা করে! জানিনা কেন এড়িয়ে গেলেন!
এটা করার কারণ আছে। এলাকায় আমি স্হানীয়। স্হানীয় লোকরা আমার কোন সমস্যা খুজে পেতো না। তারা শুধু দোষ খুজে পেয়েছিলো: রাজাকার-আলবদরদের সংগঠণ করি। রাজাকার-আলবদর কি তা জানার জন্য পত্রিকার পুরানো দিন বিশেষ করে ১৯৭০ সাল হতে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর পড়ার চেষ্টা করি। এই লক্ষে পত্রিকায় ফ্রিল্যান্সার বা প্রদায়ক হিসেবে লেখালেখি শুরু করলাম। নামে বেনামে লেখালেখি শুরু করলাম। উদ্দেশ্য যে কোনভাবে পত্রিকাগুলো হতে এই ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা। ন্যাশনাল আর্কাইভসেও দেখার সুযোগ পেলাম।
এটা একটা সুন্দর কথা বলেছেন,
দুনিয়াবী কোন দলে গেলে, গান গাইলে, নাটক করলে, অভিনয় করলে, চারিত্রিক পরীক্ষা দিতে না হলে সেই ব্যক্তির প্রতিটি কাজেই প্রশংসা আসবে। এসব কাজে কদাকার নোংরা মানুষেরাও আক্রান্ত হয়না। তাদের শুধু প্রশংসাই আসে। যেমন সিনেমার গায়ক, গায়িকা, নায়িকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের লম্পট শিক্ষক! তাদের বাহ্যিক গুনের কদর থাকে, চারিত্রিক বিষয় নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না।
আর চারিত্রিক বিষয় নিয়ে বিবেচনা করলে মানুষের শুধু দোষ গুলোই বের হয়। বস্তুত মানুষ দোষ-ত্রুটিতে ভরা। বড় বড় ওলীদেরও দোষ বের হয়। শুনতে খারাপ লাগলেও এই দোষ ধরা কিন্তু মন্দ নয়। জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান ব্যক্তিরা এর থেকে রাস্তা পেয়ে যায়। তাঁরা বুঝতে শিখে মানুষ হাতে গোনা যে কয়েকটি দোষ আমার বের করল, সে দোষ গুলো থেকে মুক্ত হতে পারলেই তিনি মহামানব হতে পারবেন। তাই মানবিক দূর্বলতা মূলক দোষ কেউ ধরে দিলে তাকে প্রকৃত বন্ধু ভাববেন, কখনও শত্রু নয়
তখন আমার কাছে ক্যামেরা ছিল না । স্ক্যানার ছিল না । যদি থাকতো অনেক তথ্য আপনাদের সম্মুখে উপস্হাপন করতে পারতাম ।
এ জাতীয় সকল তথ্য যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের আর্কাইভে জমা আছে। তারা দেশের সমুদয় তথ্য, পেপার কাটিং কার্টুন, এমনকি মানুষ গোস্বা করে বৈশাখী মেলায় যে কার্টুন প্রদর্শন করেছেন সেগুলো পর্যন্ত উপাত্ত হিসেবে জমা রেখেছেন। আগ্রহী ও রিচার্স করতে চায় এমন ব্যক্তিদের জন্য সেগুলো সহজ লভ্য।
৫।যদি বলে থাকেন, তাহলে তারা কি বলে আপনাকে বুঝাতে চেষ্টা করত কিংবা জোড় করে আপনার মুখ বন্ধ করত কিনা?
উত্তর: এব্যাপারে সবচেয়ে বেশি পড়তে বলতো আবুল আসাদের লেখা কাল পঁচিশের আগে ও পরে বইটা । প্রথম প্রথম ভারতের আদিপত্যবাদ এবং মেজর মঞ্জুর ও বেশ কিছু সেক্টর কমান্ডার কেন পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও ভারতের প্রতি ক্রোধান্বিত হলো - সে সব বিষয় তুলে ধরতো । পাকিস্তানের অংশ থাকলে আমরা কি সুুবিধা পেতাম - তা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে উপস্হাপন করতো । এক সময় তারা কোনভাবেই আমাকে সহ্য করতে পারতো না । তার ফল হিসেবে এক সময় সংগঠণের বড় বড় প্রোগ্রাম হলেও আমাকে জানানো হতো না । কিন্তু আমি নিজ দায়িত্বে জানতাম বা চেষ্টা করতাম । পরবর্তীতে তাদের কথা ও কাজের মধ্যে বেমিল ও সন্ত্রাসী কর্মকান্যের কারণে আমি এই কথিত ইসলামী দল বা ছাত্র সংগঠণের সংশ্রব পরিত্যাগ করি ।
আপনি স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ঘটনা জানতে আবুল আসাদের কালো পঁচিশের আগে বইটি পড়ার দরকার নাই। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও গ্রহনযোগ্য ইতিহাস এন্থনি মাসকারান হার্সের 'এ লিগেসী অব ব্লাড' বইটি পড়েছেন কিনা? (তিনি শেখ সাহেবের সাথে তাস খেলতেন সে ধরনের ব্যক্তি), শর্মীলা বুস, একে খন্দকার, মতিউর রহমান রেন্টুর কথা বাদ দিলেও বহু বই বাজারে আছে, আপনি এ বিষয়ে কোন বইটি পড়েছেন? ভারতীয় জেনারেল দের বুহ বই লিখা আছে। একদা এই বইগুলো উদাহরন দেওয়া হত। এখন সে সব বইয়ের এমন কিছু কথা বাজারে আছে, যেগুলো লেখকও চিন্তা করেন ইশ্ যদি সেই কথাটা না লিখতাম।
আমি বলতে চাচ্ছি স্বাধীনতা যুদ্ধের সত্য উৎঘাটনের জন্য শুধু আওয়ামী মার্কা বই পড়েছেন নাকি তথ্য জানার জন্য নিরপেক্ষ কারো বইও পড়েছেন।
৬। ফাইনালী আপনি যদি সেখানে থাকার সময়ও বলে থাকেন, তাহলে আপনার তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে আপনার কথা শুনে, উচ্ছ পর্যায়ের কোন নেতা আপনার পথ অনুসরন করেছিলেন, তাদের দুই একজনের নাম কি বলতে পারেন?
উত্তর : আমার কথা বা তথ্য শুনে অনেক কর্মী পর্যায়ের লোক নিষ্ক্রীয় হয়ে যায় ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায় । তাদের অনেকেই বর্তমানে ভাল অবস্হায় আছে । তবে নেতা পর্যায়ের অনেকে কামারুজ্জামান যেভাবে সংস্কার চেয়েছিলেন - সেভাবে অগ্রসর হওয়া চেষ্টা ও সাধনায় লিপ্ত হওয়ার কথা চিন্তা করতে শুরু করেন ।
আপনার জোড়ালো বক্তব্য শুনে কর্মী পর্যায়ের ছেলেরা ছুটে গেছে! কথাটির অর্থ কি? আপনি যাদের কর্মী হিসেবে দলে ঢুকিয়েছেন তাদেরকেই কি চলে যেতে বলেছেন? নাকি আপনার তথ্য সম্বৃদ্ধ কথা শুনে তারা বাকি জীবনে কোনদিন রাজনীতি না করার সফত নিয়েছে?
নেতা গোছের একজন কিংবা আপনার সম মানের একজন সাথীকেও আপনার কথাগুলোর গ্রহনযোগ্যতা প্রমান করতে পারেন নি। এটা দ্বারা কি বুঝা যায় না,
- আপনি কোন কারণে দল থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন?
- কিংবা দলের ভিতরে আপনার চারিত্রিক খুটি-নাটি বিষয় তুলে ধরত বলে আপনি তাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়ে থাকবেন?
- আপনার দাবী মত আপনি মূল্যায়িত হন নাই বলেই, আপনি ক্ষিপ্ত হয়েছেন?
কামরুজ্জমান জেলে গিয়ে দলের কর্মীদের কাছে কি লিখেছেন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত হতে পারে না, বড় জোড় ব্যক্তি পরামর্শ হতে পারে। তাও আবার সমস্যায় পড়ার পরে। তা ছাড়া কামরুজ্জমান যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার সাথে আপনার ব্যক্তি আক্রমনের সাথে কোন সাজুস্য পেলাম না। আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন, কামরুজ্জমান দলে সংশোধন করতে চেয়েছিলেন বলে আপনার মত তিনিও দল বিচ্যুত হয়েছেন বা ভবিষ্যতে হয়ে যেতেন? সরকার কি ব্যাপারটি আন্দাজ করতে পারেনি। পারলে সরকার তো কামরুজ্জমানকে বাচিয়ে রাখত, নতুন নাটক করার জন্য।
৭।নাকি এই লড়াইয়ে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আপনি একাই লড়াই করে যাচ্ছেন।
উত্তর : আগের প্রশ্নের উত্তর দেখুন ।
আমি সেখানে উত্তর দিয়েছি
৮।একদা আপনি যাদের সম্মান করে তাদের হাতে সদস্য হবার জন্য উদগ্রীব ছিলেন!
উত্তর : আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা ও জ্ঞান-অর্জন-চরিত্র গঠণ শুনে আমি যু্ক্ত হয়েছিলাম । আমি অসম্মানিত বা সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয় - এমন ব্যক্তিকে মর্যাদার আসনে বসাই না । তার প্রমাণ আজকের এই লেখাটা ।
এই মর্যাদার ভিত্তি কি? কেউ কাউকে ফন্দি খাটিয়ে জেলে ঢুকাতে পারলেই কি তিনি অসম্মানিত ব্যক্তি হয়ে যান? শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, তাজউদ্দীন, সৈয়দ নজরুল, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া কেউ তো জেলে না গিয়ে থাকেন নি! তাই বলে এসকল মহান ব্যক্তিদের সবাই অসম্মানিত? তাছাড়া আপনি কাউকে অসম্মানিত মনে করলেই তিনি জগতের সবার জন্য অস্মামনিত হয়ে যাবেন?
৯। কালের বিবর্তনে কথা ও কলমে আপনি তাদের কুৎসা গাইছেন!আবার কালের পরিবর্তনে আপনি হয়ত তাদের আবার জয়গান গাইবেন।
উত্তর : আপনি মধ্যপ্রাচ্যে থাকেন। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতি বোঝেন না। আর বোঝলেও জামায়াত-শিবিরের চোখ দিয়ে দেখেন।
আপনি এই কথাটা ঠিক বলেছেন, আমি মধ্যপ্রাচ্যে থাকি বলে অনেক কিছু জানিনা। আমি দাবী করিনা যে সব জানি। আমিও তো আপনার কথার সূত্র ধরে কিছু জানতে চাইলাম, আমি তার উত্তরও দিলাম। আপনার প্রতি আমার প্রশ্ন গুলো কি জামায়াত-শিবিরের চোখের কারণে হয়েছে নাকি বস্তু নিষ্ট প্রশ্ন হয়েছে?
আপনি নিজেই বলুন আপনি সেই দলের কাছাকাছি একেবারে ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছাকাছি কাজ করেছেন। আপনি আপনার চিন্তা ধারা বলে মাত্র গুটিকয়েক কর্মীর মনোবলের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এটার দ্বারা কি বুঝায়? হয়ত আপনি ভুল করেছেন নয়ত তারা ভুল করেছেন! ধরলাম আপনার কথা শুনে দলের ০.১% কর্মীর মনোবল ভাঙ্গতে পেরেছেন, তারপরও কি আপনি বলবেন, আপনার চিন্তাই সঠিক, আর ৯৯% যারা আপনার বটিকা গিলেনাই তারা সবাই…….বেটিক!
মানব সভ্যতা পিছনের দিকে যায় না । অত্যাচারী-বর্বর-অসভ্য সম্প্রদায় কখনোই বিজয়ী হয় না ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয় ।
আর জামায়াত-শিবির কেন কোন অসভ্য-বর্বর-অনালোকিত-কুসংস্কারাচ্ছন্ন-ধর্মান্ধ কোন গ্রুপ বা দল কখনোই বিজয়ী যাতে না হয় সেজন্য আমি নিজে বিবেকবান মানুষদের সাথে নিয়ে চেষ্টা ও সাধনা চালিয়ে যাবে ।
১০।কালের বিবর্তনে কথা ও কলমে আপনি তাদের কুৎসা গাইছেন!
উত্তর : আমি যা লিখছি । তার প্রতিটা কথা সত্য ।
আজকের লেখটা পত্রিকার খবর মাত্র । এতে আমি বিন্দুমাত্র নিজের কথা যুক্ত করি নাই ।
উপরন্তু আদালতে প্রমাণ হয়েছে তিনি অপরাধী । তিনি খুনী । তিনি ধর্ষক ।
সুতরাং এমন লোক কখনোই কোন ইসলামী দলের লোক হতে পারে না । আর যদি হয়ে থাকে - তাহলে সেটা ইসলামী দল নয় । সেটা ধর্মের আবরণে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মাত্র ।
আপনি মিডিয়ার খবর পড়ে, সেই খবরকে সত্য জ্ঞান করে, মন্তব্য করছেন, মন্তব্য ছুড়ছেন, কলম দাবাচ্ছেন, জিহাদে নেমে পড়েছেন। অথচ বাংলাদেশের মানুষ মিডিয়ার উপর বিশ্বাসই ছেড়ে দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আবুদর রহমান বিশ্বাস ক্ষমতা ছাড়ার পর। মোনাফেক, ফাসিক, কাফের ও জালেমের কথায় বিশ্বাস করে সিদ্ধান্ত নিবে দূরের কথা, মন্তব্য করাও যে ভয়ঙ্কর অপরাধ সে হুশ জ্ঞান কি আপনার আছে?
আপনার প্রতি মন্তব্যের উত্তর নিয়ে আমি আলাদা লেখা দিবো । সে পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে ।
জামায়াতের স্বাধীনতাবিরোধীতা ও মুক্তিযোদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ড নিয়ে আমি কোথায় কোথায় কার সাথে কখন কীভাবে কথা বলেছি তা আমি তুলে ধরবো । একটা ২৩-২৪ বছরের ছেলে এই ব্যাপারে যতটুকু ভুমিকা তখন রাখতে পারে - তার চেয়ে বেশী ভুমিকা সে রাখতো । এই কথাটা আমার ক্ষেত্রে শত ভাগ সত্য ।
জামায়াত-শিবিরের লোকরা কেমন ফেসবুক ও ব্লগ সাইটগুলো তেরী হওয়ার পর আরো ভালভাবে বুঝতে পারছি । আপনার উল্লেখিত মোনাফেক, ফাসিক, কাফের ও জালেমদের চেয়েও জামায়াত-শিবিরের অনেক লোক জগণ্য । জামায়াত একটা মাফিয়া চক্রের মতো দল । ইসলামের প্রাথমিক যুগের গুপ্ত ঘাতক সম্প্রদায়ের মতো জামায়াতের কর্মকান্ড ।
মিজামীর মতো মানুষেরা যদি এত অপকর্মই করে থাকবে তাহলে সেখানকার জনগন এমন ব্যক্তিকে এমপি নির্বাচন করেন কি করে!
যেই আদালত ''চপেটাঘাতের'' কথা বলেছেন সেই আদালত কি একবারও এই কথা মনে করেছেন যে লক্ষ লক্ষ মানুষ মিজামিকে ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছেন। তার মানে কি এই যে এই লক্ষ লক্ষ মানুষও চপেটাঘাতের হকদার!
একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, ঈমাম আবু হানিফাকে (রঃ) সহ অনেক ঈমামকেও জেলখানায় মৃত্যবরণ করতে হয়েছিল। মিশরের ইতিহাসও আমাদের জানা। নবী রাসূলদেরকেতো (আঃ) আরও নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
আশা করি নিরপেক্ষ মন নিয় আপনি আরও তুলনামূলোক বিশ্লেষন করবেন।
উত্তর : আপনার পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য নয় । জামায়াত ১৯৭১ সালে যথেষ্ঠ শক্তিশালী ছিল । ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সময় উপনির্বাচন হয় । সেখানে জামায়াত অংশ নেয়। সরকারে অংশ নিয়ে দুইজন মন্ত্রিত্বের পদও লাভ করে ।
গোলাম ঢাকার মোহাম্মদপুর হতে অংশ নেন । তিনি ৭০ এর নির্বাচনে দল-বল নিয়ে ঢাকা কেন সারা দেশে দাপিয়ে বেড়ান । রোকন ও ক্যাডারদের হিসেব বিবেচ্য নয় । কারণ এসব জামায়াতের নিজস্ব হিসেব যা জামায়াত দলীয় কর্মীদের মগজ দোলাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ।
২।প্রশ্ন হলো সারা দেশের বাকি রাজাকাররা কে ছিল, তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয় না কেন!
উত্তর : তারা সাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে ও অপরাজনীতির সাথে যুক্ত নেই ।
৩।কামারুজ্জামান আর আজহারুল ইসলামের মতো ছোট্ট ছোট্ট ছেলেদের পক্ষে এমন কিই বা করার ছিল যাতে ত্রিশ লক্ষ মানুষ মারা যাবে!
উত্তর : তারা ছিলেন পাক বাহিনীর সহায়ক শক্তি ও এদেশীয় দালাল ।
৪। এমন ছেলেদের কথায় এত বড় বড় জেনারেলরা নাচবে এটাও কি বিশ্বাস যোগ্য?
উত্তর : যুদ্ধের সময় প্রায়শই অবিশ্বাস্য কাজ হয় যা অনেকেই বিশ্বাস করে না ।
৫। নিজামীর মতো মানুষেরা যদি এত অপকর্মই করে থাকবে তাহলে সেখানকার জনগন এমন ব্যক্তিকে এমপি নির্বাচন করেন কি করে!
উত্তর : মার্কার রাজনীতি ও টাকা-ক্যাডার বাহীনী নির্ভর রাজনীতি ও জনসচেতনার অভাবেই এধরনের লোকরা নির্বাচিত হয়ে আসে । আমার এলাকায় এস এ খালেক বিভিন্ন সময় নির্বাচিত হতেন । তিনি ছিলেন ঢাকার চিহ্নিত রাজাকার । বর্তমান যে এমপি তার বাবাও চিহ্নিত রাজাকার ছিলেন ।
মার্কার রাজনীতি ও টাকার খেলাই এঅবস্হা সৃষ্টি করেছে ।
৬। যেই আদালত ''চপেটাঘাতের'' কথা বলেছেন সেই আদালত কি একবারও এই কথা মনে করেছেন যে লক্ষ লক্ষ মানুষ মিজামিকে ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছেন। তার মানে কি এই যে এই লক্ষ লক্ষ মানুষও চপেটাঘাতের হকদার!
উত্তর : হা ।
৭। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার, ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) সহ অনেক ঈমামকেও জেলখানায় মৃত্যবরণ করতে হয়েছিল। মিশরের ইতিহাসও আমাদের জানা। নবী রাসূলদেরকেতো (আঃ) আরও নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
উত্তর : ইমাম আবু হানিফা রা, মিশরের নেতাদের, নবী-রাসুল-দের সাথে জামায়াত নেতাদের তুলনা করা চরম দৃষ্টতা । কারণ জামায়াত নেতারা নিরীহ জনগণ হত্যাকারী ও জনগণ হত্যার সহায়ক ভুমিকা পালনকারী । উপরন্তু তারা জনবিরোধী ও বিকৃত ইসলাম চর্চাকারী ও প্রচারকারী দলের নেতা ।
৮।
নিরপেক্ষ মন নিয় আপনি আরও তুলনামূলোক বিশ্লেষন করবেন।
উত্তর : নিরেপেক্ষ মন ও মগজ নিয়ে চিন্তা করেই আমি বর্তমান অবস্হানে এসেছি ।
অনেক কমিউনিষ্ট পার্টি স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতা করেছিল, তাদের নেতারা এখনও বেঁচে আছে তাদের কারো দোষ নাই, কেননা তাদের ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা ক্ষমতায় যাবার সিড়ি হবার যোগ্যতা নাই। এখানে ইসলাম পালন খুব গৌন বিষয়।
ফখরুল ভাই নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়াবার মানুষ নন।
তিনি যে বৈষয়িক সার্থের কারণে শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তা তাঁর লিখনী থেকে পরিষ্কার।
তিনি আবারো বৈষয়িক সার্থের কারণে কারো ক্রিড়নক হয়ে লড়ছেন কিন্তু সেখানেও পানি পাবেন না।
ভুল ধরার জন্যই যদি অধ্যয়ন করা হয় তাহলে পবিত্র কোরআনেও ভুল পাওয়া যাবে। নবী-রাসুলের জীবনকেও ভুলে ভরা পাবেন, যেভাবে উবাই বিন কাব সহ অনেকে পেয়েছিলেন।
জামায়াত নেতাদেরও জেলে থাকতে হচ্ছে বা ফাঁসি দেওয়া হবে তেমনি কোন অভিযোগে, তাহলে আপনি এসবের বিশ্লেষন করবেন কিভাবে?
বর্তমান কোন কর্মীর ব্যাপারে যদি এই সব অভিযোগ কেউ করতো তাহলে হয়তো আমি বিশ্বাস করলেও করতাম কিন্তু যে সময়ে টিভি দেখলে কাউকে রুকন/সদস্যই বানানো হতো না, পর্দার ব্যাপারে ছিল সর্বোচ্চ কড়াকড়ি সেসময়ের ব্যাপারে অভিযোগ উঠলে কিভাবে বিশ্বাস করি!
আর আমার রুকন কর্মীর তথ্য খুব বেশি একটা ভুল নাই, হয়তো সামান্য এদিক সেদিক হতে পারে। আপনি যেহেতু সন্ধানী মানুষ আশা করি এই বিষয়েও সন্ধান করবেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন