অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে ?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৯ জুলাই, ২০১৫, ১২:৩২:১৮ দুপুর
[ আগে এই সাইটে প্রতি ঘন্টায় কম করে হলেও ১২ টা লেখা আসতো । কম্পিটারের সামনে বসে বেছে বেছে লেখা পড়া যেতো । আজ দেখছি আমার লেখাটা দেওয়ার পর মাত্র এক জন লেখা দিয়েছেন । এজন্য আমি এই পোস্টটা দিলাম । পোস্টের মধ্যে কিছু ভিডিও দিলাম । আশা করি আপনারা দেখবেন । ]
আমার কথা কি শুনতে পাও না তুমি?
কেন মুখ গুঁজে আছ তবে মিছে ছলে?
কোথায় লুকাবে? ধূ ধূ মরুভূমি;
ক্ষ’য়ে ক্ষ’য়ে ছায়া ম’রে গেছে পদতলে।
আজ দিগন্তে মরীচিকাও যে নেই;
নির্বাক, নীল, নির্মম মহাকাশ।
নিষাদের মন মায়ামৃগে ম’জে নেই;
তুমি বিনা তার সমূহ সর্বনাশ।
কোথায় পলাবে? ছুটবে বা আর কত?
উদাসীন বালি ঢাকবে না পদরেখা।
প্রাকপুরাণিক বাল্যবন্ধু যত
বিগত সবাই, তুমি অসহায় একা।।
ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কী ফল পাবে?
মনস্তাপেও লাগবে না ওতে জোড়া ।
অখিল ক্ষুধায় শেষে কি নিজেকে খাবে?
কেবল শূন্যে চলবে না আগাগোড়া।
তার চেয়ে আজ আমার যুক্তি মানো,
সিকতাসাগরে সাধের তরণী হও;
মরুদ্বীপের খবর তুমিই জানো,
তুমি তো কখনও বিপদপ্রাজ্ঞ নও।
নব সংসার পাতি গে আবার চলো
যে-কোনোও নিভৃত কণ্টাকাবৃত বনে।
https://www.youtube.com/watch?v=DW9Kn40Mank
মিলবে সেখানে অনন্ত নোনা জলও,
খসবে খেজুর মাটির আকর্ষণে।।
কল্পলতার বেড়ার আড়ালে সেথা
গ’ড়ে তুলব না লোহার চিড়িয়াখানা;
ডেকে আনব না হাজার হাজার ক্রেতা
ছাঁটতে তোমার অনাবশ্যক ডানা ।
https://www.youtube.com/watch?v=9CyMfIrRdRk
ভূমিতে ছড়ালে অকারী পালকগুলি,
শ্রমণশোভন বীজন বানাব তাতে;
উধাও তারার উড্ডীন পদধূলি
পুঙ্খে পুঙ্খে খুঁজব না অমারাতে।
তোমার নিবিদে বাজাব না ঝুমঝুমি,
নির্বোধ লোভে যাবে না ভাবনা মিশে;
সে-পাড়া-জুড়নো বুলবুলি নও তুমি
বর্গীর ধান খায় সে ঊনতিরিশে।।
https://www.youtube.com/watch?v=yYH-Ix6JFfk
আমি জানি এই ধ্বংসের দায়ভাগে
আমরা দু জনে সমান অংশীদার;
অপরে পাওনা আদায় করেছে আগে,
আমাদের ‘পরে দেনা শোধবার ভার।
তাই অসহ্য লাগে ও-আত্মরতি।
https://www.youtube.com/watch?v=4cjAed3z1Ok
অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে?
আমাকে এড়িয়ে বাড়াও নিজেরই ক্ষতি।
ভ্রান্তিবিলাস সাজে না দুর্বিপাকে।
অতএব এসো আমরা সন্ধি ক’রে
প্রত্যুপকারে বিরোধী স্বার্থ সাধি ;
তুমি নিয়ে চলো আমাকে লোকোত্তরে,
তোমাকে, বন্ধু, আমি লোকায়তে বাঁধি।।
https://www.youtube.com/watch?v=1tYbRT_kBeI
( উটপাখী
– সুধীন্দ্রনাথ দত্ত )
বিষয়: বিবিধ
১০৯৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যে কোন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে/টিমের পারফরমেন্সের উঠা-নামা স্বাভাবিক ব্যাপার । এই সময়ে ভাল খেলার জন্য সে বাহবা পাবে । খারাপ খেললে পাবে গালাগাল । সে সময়ে খেলোয়ারেরও মেজাজ খারাপ হয় ।
শুধু টুডে ব্লগই না । এরকম আকাল বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে সামুতে । সেখানে মিনিটে মিনিটে পোস্ট আসে , কিন্তু কোন পোস্টে ৫-৬ টার বেশী কমেন্ট পড়তে দেখা যায় না । অনেক পোস্টই কমেন্ট শূন্য থাকে ।
সামুতে সবাই নিজেকে রাজা মনে করে । এখানে গালাগাল একটা শিল্প । গালাগালের জন্য সামুকে অনেক ব্লগারই এড়িয়ে চলে।
আসিফ গংরা যতদিন ছিল ততদিন সামু জমজমাট ছিল । সেটা ছিল কুৎসিত একটা প্রতিযোগিতা ।
আপনাদের স্বপ্নের ব্লগ নাগরিক ব্লগে তো দিনে ২-৩ টার বেশী পোস্ট আসে না । ওখানে ব্লগারও ১০-১৫ জনের বেশী দেখা যায় না এট এ টাইম। আর সেখানেও নামকরা লিজেন্ডারী ব্লগার আছে - তবে তারা ইসলামবিদ্বেষী নোংরা নোংরা কথা বলে এবং গালাগালে এদের এক একজন ডক্টরেট ।
বুঝেনই তো টোটকা মলমের চটকদার কথাবার্তায় অনেক লোক হাজির হয় । এসব ব্যবহারে কিছু তো লাভ হয়ই না বরং পাবলিসিটি শুনতে গিয়ে অনেকের পকেট খালি হবার ঘটনা খুবই কমন।
আমি চটকদার কথা-বার্তা লেখি না । আমি লেখাগুলো তথ্যবহুল করার চেষ্টা করি । আমি চেষ্টা করি সবাই নতুন কিছু জানুক - এমন সব লেখা লেখার ।
ব্লগ সাইটগুলোর খারাপ অবস্হার জন্য ব্লগ সাইটের এডমিনরা সবার আগে দায়ী । বিশেষ করে এই সাইটটির ক্ষেত্রে এডমিনরাই দায়ী ।
আমার মনে হয় তাদের পড়াশোনাও কম বা তারা পড়াশোনা করা লোক না । উপরন্তু তারা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ।
ছিল। হঠাৎ করে বাঙ্গলী হয়ে গেল।
হারমনিয়াম বাজিয়ে সারে গামা;বাদা নিসা করতো। মনে হচ্ছে ডাবল ফেইচ। একদিকে ইসলাম,অন্য দিকে জয় বাংলা। কুফরি ফেইচ।
বাঙ্গালীত্ব ও ইসলাম এক ও অভিন্ন । বাঙ্গালীত্বের মধ্যে কুফুরী নেই । হিন্দুত্ব ও পৌত্তলিকতাতে কুফুরী আছে ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে গেলে অনেক কিছুর সাথে সম্পৃত্ত হওয়ার সুযোগ সবারই কম বেশি হয় । কেহ খারাপ ও অনৈতিকতা অথবা নির্দিষ্ট ও অসম্ভব আদর্শ বা মতবাদের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে । কেহ এগুলো হতে বের হয়ে আসতে পারে বা বের হওয়ার সুযোগ পায় । কেহ পায় না । কিন্তু আমি পেরেছি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন