বৃষ্টি ও আষাঢ়ের কাব্য

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৯ জুলাই, ২০১৫, ১০:৩২:০৮ সকাল

১। মেঘলা দিনের ঠান্ডা হাওয়া

রিমঝিম বৃষ্টির বেলা

মনে পড়ে যায় সেই দিনগুলি

শৈশবে বৃষ্টি নিয়ে খেলা |



২।

মেঘে ঢাকা আকাশে খুঁজি

খুঁজি কষ্টের নীল রং

দু:খগুলো চাপায়ে বুকে

করি সুখের ঢং ।



৩।

রিমঝিম বৃষ্টির দিনে

বারান্দায় দাড়িয়ে দেখি বৃষ্টি

দুষ্ট ছেলের দল ভিজে ভিজে একাকার

দেখতে লাগে কি যে মিষ্টি ।



৪।

ঝুম বৃষ্টিতে নজর পড়ে

বৃষ্টি নিয়ে খেলছে পাশের বাড়ির আনাছ

হায় হায় একি হল !!!!!!!

সে যে পা পিছলে হঠাৎই ধফাস ।



৫।

রিমঝিম শব্দ

টিনের চালে অবিরাম

কাথামুড়ি দিয়ে শুই

ভুলে সব কাজ কাম ।



৬। ঝম ঝমা ঝম বৃষ্টির দিনে

ডুব দিয়ে পুকরে

ঝপ ঝপ শব্দ

লাগে কি যে মধুর আহারে ।



৭।

টিনের চালে গাছের ডালে

শুনি বৃষ্টির রিমঝিম গান

খুজে ফিরি মনে মনে

সুরের ঐকতান ।



৮।

আজ সারাদিন

বৃষ্টিতে ভিজে হলাম সারা

থামছে না মধুর বৃষ্টি

বইছে অবিচল বারির ধারা ।



৯। বৃষ্টিতে মিশে যায়

কত সুখ দু:খের গান

কাব্যরসের ধারায় মিশে

জাগায় নতুন প্রাণ ।



১০।

ঘন কালো মেঘে ঢেকে

গেছে যামিনী

এই বর্ষায় ফুটেছে গাছে

কদম কেয়া আর কামিনী ।



১১।

জুড়ায় দেহমন

শীতল হাওয়ার পরশে

আনন্দে ছেয়ে গেল মন

অঝোর ধারা বরষে ।



১২।

বৃষ্টি ভেজা দিনে

বৃষ্টি ভেজা কিরণ

নিত্য নতুন আনন্দে

তাকেই করি বরণ ।



১৩।

মেঘ গুড় গুড় মেঘলা দিনে

কালো মেঘের সাজ

গুড়ুম গুড়ুম শব্দে

খালি পড়ে ভাজ ।



১৪।

মেঘের খেয়ার ভেসে যাব

অচিনপুরের দেশে

দেশা দেশান্তরে বেড়াব ঘুরে

রাজকন্যার বেশে ।



১৫। নীল আকাশে মেঘের বাতাসে

আকাশপটে কত যে স্বপ্নআঁকা

রঙধনু রঙে আকাশে দেখি

নীল রং হাসে ঠোঁট করে বাঁকা ।



১৬। এখানে এই শহরে

বৃষ্টির শব্দ কানে আসে না

কখন আসে কখন যায়

মনে যে থাকে না ।



১৭। যান্ত্রিক শহরে

বৃষ্টির ছায়া কারো উপর পড়ে না

কাজে কামে ব্যস্ত সবে

বৃষ্টির রোমান্টিকতা মনে যে আসে না ।



১৮। গ্রামের বাদলা দিনের দিনগুলোয়

চাল ভাজা আর নারকেল

শহরের মানুষগুলো পায় না যে এর স্বাদ

কেমন যেন সব বেআক্কেল.........



১৯। কষ্টের মেঘগুলো

বৃষ্টি হয়ে ঝরে এই শহরে

সবুজ পাতার হলুদবর্ণ

দেয় যে নিমিষে সরিয়ে ।



২০।

বর্ষন মুখর দিনগুলোতে

অপরূপ সাজে প্রকৃতি সেজেছে আজ

বৃষ্টিতে ভিজে হলদে পাতারা

নিয়েছে গাঢ় সবুজের সাজ ।



বৃষ্টির গান

-ফররুখ আহমদ

বৃষ্টি এলো কাশবনে

জাগলো সাড়া ঘাসবনে

বকের সারি কোথায় রে

লুকিয়ে গেলো বাঁশবনে।

নদীতে নাই খেয়া যে

ডাকলো দূরে দেয়া যে

কোন সে বনের আড়ালে

ফুটলো আবার কেয়া যে।

গাঁয়ের নামটি হাটখোলা

বৃষ্টি-বাদল দেয় দোলা

রাখাল ছেলে মেঘ দেখে

যায় দাঁড়িয়ে পথ ভোলা।

মেঘের আধার মন টানে

যায় সে ছুটে কোনখানে

আউস ধানের মাঠ ছেড়ে

আমন ধানের মাঠ পানে।




https://www.youtube.com/watch?v=L-Fd_SIQwzs




https://www.youtube.com/watch?v=Mg5NrO7r88c




https://www.youtube.com/watch?v=tBO-sIniw0Y




https://www.youtube.com/watch?v=AFlRCpRoifA




https://www.youtube.com/watch?v=s1JRcp9gJeE







সংগৃহীত

বিষয়: বিবিধ

২৯৯৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

330620
১৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:২৭
কথার_খই লিখেছেন : ভালো লাগলো ছন্দে ছন্দে ছবির দারুণ মিল ধন্যবাদ।
১৯ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:০৮
272876
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন :
এই কয় দিন বৃষ্টি হচ্ছে । আমার নতুন নতুন অভিজ্ঞতাও হচ্ছে ।

আমার যে রুমটায় থাকি । তার তিন দিকে জানালা আছে । বৃষ্টির ছবিগুলো তারই প্রতিচ্ছবি ।

এই লেখায় যতগুলো ছবি আছে তার সবগুলোই আমার কাছে বাস্তব হিসেবে ধরা দিয়েছিলো । তাই এসব ছবি শেয়ার করেছি ।

উপরন্তু বর্ষা ও শরৎকাল আমার প্রিয় দুই ঋতু ।


https://www.youtube.com/watch?v=GxKOxUAtC-8

আজ আমার রূমে কিছুক্ষণ আগে একটা দোয়েল পাখি প্রবেশ করে । সামনের জানালায় ডানা জাপটাতে থাকে । আমি মোবাইলে এটার ছবি তোল্লাম । সামনা সামনি দোয়েল পাখি দেখার অভিজ্ঞতা হলো । আমি পাখিটাকে হাত দিয়ে ধরলাম ও ছেড়ে দিলাম ।
বাড়ির ছোটদের বিশেষত বোন ও ভাইদের ছেলে-মেয়েদের পাখিটা দেখার জন্য ঢেকে আনি নাই । কারণ তাদের ডেকে আনলে তারা পাখিটাকে খাচায় বন্দি করতো । আমি মুক্ত পাখিকে মুক্ত করে দিলাম ।
পাখিটা আরেকটা ভবনের দেয়ালের কাছে উড়ে যেয়ে বসে থাকলো প্রায় ২০ মিনিট আর আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো অনেক ক্ষণ । হয়ত পাখিটা আমাকে ধন্যবাদ দিচ্ছে ও আমাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে ।

আপনাকে ধন্যবাদ ।
১৯ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:০৯
272880
কথার_খই লিখেছেন : আবারো ধন্যবাদ দোয়েল পাখির ভিডিও শেয়ার করার জন্য।
১৯ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:০৯
272906
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : দোয়েল পাখি একে বারে কাছ দিয়ে দেখা, হাত দিয়ে ধরা ও এর ভিডিও করার মুহুর্তটা আমার জীবনের অন্যতম স্মরনীয় মুহুর্ত । কারণ আমরা শহরের লোকরা জাতীয় পাখি দোয়েল একে বারেই কম দেখি আর তাদের বাসস্হান কেহ দেখেছে কি না সন্দেহ । এত পাখি থাকতে এটাকে কেন জাতীয় পাখি করা হলো তাও আমার কাছে বিস্ময়কর লাগে ।

সাদা শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল । গ্রামে এটাকে তরকারী হিসেবে খায় । অথচ এটার চেয়ে লাল শাপলা খুব সুন্দর ও এটা বাংলাদেশি প্রজাতি । কিন্তু লাল শাপলাকে জাতীয় ফুল করা হয়নি ।


আমরা ছাদে গরুকে পানি খাওয়ানোর চারির মধ্যে লাল শাপলা লাগিয়েছি । আশা করি এটাও আপনার ভাল লাগবে ।
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:০৯
272917
কথার_খই লিখেছেন : ভালো লাগলো।
330655
১৯ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৯
চোথাবাজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৯ জুলাই ২০১৫ রাত ০৯:৩৬
272903
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।
330743
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:২৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভালো লাগল, অনেক ধন্যবাদ ।
333296
০৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৪:২২
সেরা ব্লগ নির্বাচক লিখেছেন : ১৮... বুদ্ধিজীবিদের অজ্ঞতা ও ইসলাম বিশেষ-অজ্ঞতা লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ১৮ জুলাই, ২০১৫, ০৫:৫৪:৩৫ বিকাল http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/4038/drazad/67261#.Vb6WrHOoVAg ১৯....

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File