মেয়েদের ঈদের নামাজ ও মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়ার গুরুত্ব

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৭ জুলাই, ২০১৫, ১০:৪৮:৫৩ সকাল



নারী পুরুষ এক সঙ্গে হজ্জ্ব পালন করে অথচ তারা বাংলাদেশের অধিকাংশ মসজিদগুলোতে মেয়েরা নামাজ আদায় করতে পারেনা। মেয়েদের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে আলাদা স্হানও নেই । মসজিদে মেয়েদের নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অনেক হুজুর বাঁধা দেন বা নিরুৎসাহমূলক কথা বলেন ।



মেয়েরাও এখন প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে দাবি তুলেছেন এবং হুজুরদের সাথে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হচ্ছেন । এই ভিডিও তারই প্রমাণ বহন করে ।

https://www.youtube.com/watch?v=HaitXC_1t58




তবে ঢাকায় কিছু মসজিদে মেয়েদের জন্য নামাজ পড়ার আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে এবং ঈদের জামাতে অংশ নেয়ার জন্য মেয়েদের জন্য করা হয় আলাদা স্হান রাখা হয়।






https://www.youtube.com/watch?v=8ML9fv3lPKU

ঈদের সময় সব টেলিভিশন চ্যানেল রিপোর্ট করে পুরুষদের ঈদ নামাজ নিয়ে । ২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে ঈদুল আযহার সময় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক Farzana Shova বাংলাদেশে মেয়েদের ঈদের নামাজ পড়ার উপর রির্পোট করেছেন । মেয়েদের নামাজের স্হানে পুরুষ ক্যামেরাম্যান ভেতরে প্রবেশে বিধিনিষেধ আছে বলে তিনি নিজেই ক্যামেরা অপারেশন করেছেন । বাংলাদেশে সম্ভবত এই প্রথম নারীদের ঈদের নামাজ নিয়ে রিপোর্ট হলো।

মেয়েদের মসজিদ ও ঈদগাহে নামাজ পড়তে বাঁধা দেওয়া খারাপ কাজ ।

কারণ হাদিসে আছে :

১. আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহহাব (রহঃ) উম্মে আতীয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (ঈদের সালাত এর উদ্দেশ্যে) যুবতী ও পর্দানশীন মেয়েদের নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আদেশ করা হত।

আইয়্যুব- (রহঃ) থেকে হাফসা (রাঃ) সূত্রে অনুরূপ বর্ণিত আছে এবং হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রেওয়ায়েতে অতিরিক্ত বর্ণনা আছে যে, ঈদগাহে মাসিকচলা মহিলারা আলাদা থাকতেন।

[সহীহ বুখারি-দুই ঈদ]

২. আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেছিলেন:

"আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি- তোমাদের স্ত্রীগণ যখন তোমাদের কাছে মসজিদে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে তখন তাদেরকে বাধা দিও না।" তার ছেলে বেলাল বললেন: আল্লাহর কসম! অবশ্যই বাধাঁ দেব। অতঃপর তিনি তার কাছে গিয়ে তাকে ভৎসনা করলেন; তাকে কটু কথা বললেন; যা তার কাছ থেকে আমি (বর্ণনাকারী; সালেম বিন আব্দুল্লাহ বিন উমার) কখনও শুনিনি। আর বললেন: আমি বলছি রাসুল (সাঃ) এর কথা আর তুমি বলছ অবশ্যই বাধা দেব ?!

[মুসলিম শরীফ: হাদীস নং ৪৪২]

মুসনাদে আবি ইয়ালা হাদিসগ্রন্হে এসেছে, তখন তিনি ছেলেকে থাপ্পড় দিয়েছিলেন। [হাদীস নং ২০০৬]

কারণ রাসূল (সা.)- এর কথার উপর অন্য কারো কথা গুরুত্বপূর্ণ নয় । কারণ আল্লাহ বলেছেন :

يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنوا أَطيعُوا اللَّهَ وَرَسولَهُ وَلا تَوَلَّوا عَنهُ وَأَنتُم تَسمَعونَ

হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। ( সুরা আনফাল : ২০)

مَن يُطِعِ الرَّسولَ فَقَد أَطاعَ اللَّهَ

যে রাসুলের হুকুম মান্য করলো সে আল্লাহর হুকুম মান্য করলো । ( সুরা নিসা : ৮০ )

সুতরাং মেয়েরা ছেলেদের মতো মসজিদে যাবে, সেখানে নামাজ পড়বে এবং সব ইবাদত ও দুনিয়ার প্রয়োজনীয় কাজ সেখানে করবে ।




https://www.youtube.com/watch?v=A2zlTq21k_4

মহিলাদের মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফা (রহ)-এর অভিমত জানত এই ভিডিওটা দেখুন । তার মতে, মেয়েরা মসজিদে নামাজ পড়তে যাবে ও তাদের বাধা দেওয়া যাবে না ।

মেয়েদের মসজিদে নামাজ ও ঈদের নামাজ পড়ার গুরুত্ব :

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেয়েরা জুমার নামাজসহ বিভিন্ন নামাজ মসজিদে যেয়ে পড়ছে ।

বাংলাদেশের সব মসজিদে জুমার নামাজ কেন সব নামাজ পড়ার জন্য মেয়েদের জন্য মসজিদে আলাদা অংশ বানানোর জন্য জনমত গঠণ করতে হবে । কারণ :

১. মহিলারা তাদের প্রয়োজনে ও ইসলামের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে । ষাটের দশক হতে মহিলারা ঘরের বাহিরে কাজ করছে । প্রতি দিনই মহিলারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন । শুধুমাত্র কিছু পীরের সমর্থক ছাড়া বাংলাদেশের সব পরিবারের মেয়েরাই ঘরের বাহিরে যায় । তাছাড়া ক্ষুদ্র ঋণ ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি মহিলাকে ঘরের বাহিরে যেতে হয় । এমন কি তারা ধান গাছ লাগায় , পাট গাছ কাটে , ইট ভাঙ্গে, রাস্তা মেরামত করে ।স্কু-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-অফিস-আদালত-হাট-বাজার সর্বত্র মেয়েরা বিচরণ করছে । তাহলে ইসলামের কাজ করার জন্য কেন মেয়েরা ঘর হতে বের হবে না ? নামাজ পড়ার জন্য কেন মসজিদে যাবে না ?

২. বাংলাদেশের মেয়েরা ধর্ম সম্পর্কে একে বারেই অজ্ঞ । তার উপর কিছু আজে বাজে ধর্মীয় বইয়ে বাজার সয়লাব । তা পড়ে মেয়েরা ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে । মেয়েরা মসজিদমুখী হলে তারা অনেক বিষয় জানবে এবং সে সব বিষয় বাস্তব জীবনে অনুসরণ ও চর্চা করতে পারবে ।

৩ .এ যুগে মহিলারা অফিস করছেন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় যাচ্ছেন, স্বামীর সাথে বাজার করছেন। সালাতের সময় হলে তারা তা আদায় করবেন কোথায়। তাদের জন্য মসজিদে উপস্থিত হয়ে সালাত আদায় করলে অন্যায় হবে?

৪. বয়স্ক মহিলারা মসজিদে উপস্থিত হয়ে ওয়াজ-নসিহত ও খুতবা শুনলে ভালো ছাড়া মন্দ কোথায়? মসজিদে মহিলাদের স্বতন্ত্র নামাজের স্থান থাকলে এবং পুরুষরা রাস্তায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে জামাতে নামাজই তো উত্তম হয়।

৫. শত শত এমনকি হাজার হাজার মহিলা মাদ্রাসা, কলেজ ও ভার্সিটির হলে বাস করছেন। তারা যদি নির্দিষ্ট সময়ে এক সাথে জামাতে নামাজ আদায় করেন তাহলে তাদের জীবনে নিয়মানুবর্তিতা অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে। অফিসের মহিলা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জামাতে নামাজের আওতায় আনা যায় তাহলে নামাজির সংখ্যা বাড়বে বৈ কমবে না। জামাতে নামাজ এমন একটি পন্থা যা মানুষের জীবনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।

কোনো কোনো কল-কারখানায় দেখা যায় পুরুষদের জন্য জামাতে নামাজের ব্যবস্থা আছে। কিন্তু মহিলাদের জন্য সেখানে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা নেই। এটি হওয়া উচিত নয়।




https://www.youtube.com/watch?v=KtKlkjP8fMI

এই ভিডিওতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মেয়েদের মসজিদে বাঁধা দেওয়া চরম খারাপ কাজ

উপসংহার :

জাগতিক শিক্ষার এই চরম উৎকর্ষতার যুগে মহিলাদের ইসলামের শিক্ষায় অনুপ্রাণিত করা ও ইসলামি ধ্যান-ধারণার প্রতি উজ্জীবিত করা উলামায়ে কেরামের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। প্রত্যেক মসজিদ মহিলাদের জন্য আলাদা স্থান তৈরি করে তাদের নামাজে আনার ব্যবস্থা করা দরকার। তবেই, আমাদের মুসলিম নারীসমাজ কুরআনের জ্ঞানে সমৃদ্ধ ও বলীয়ান হয়ে উঠতে পারবে ।

মেয়েদের নামাজ আদায় করার জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্হানের ব্যবস্হা করতে হবে যাতে মেয়েরা কোন রকম সমস্যা ছাড়াই নামাজ আদায় করতে পারে ।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার :

https://www.facebook.com/WomenWillPrayInTheMosquesRegularly

আমরা বাংলাদেশী নারীরা বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে নিয়মিত নামাজ পড়তে চাই

বিষয়: বিবিধ

৪৭৪৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

330357
১৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৩০
হতভাগা লিখেছেন : মহিলাদের মাসজিদে নামাজ পড়াটা পুরুষদের মত অতটা ম্যান্ডেটরি বলে শুনি নাই । তাদের জন্য ঘরে নামাজ পড়াই শ্রেয়তর বলে শুনেছি ।

আর যেসব নামাজ ঘরে পড়া যায় না যেমন : জুম্মার নামাজ , ঈদের নামাজ - সেগুলোর জন্য ব্যবস্থা করা জরুরী ।

মহিলাদেরকে আমরা শরীয়তের দিকে আনার চেষ্টা করি না তবে মার্কেটে নিয়ে যাই ।সেখানে তাদের যাবার জন্য নানা প্রলোভন দেখানো হলেও জুম্মা বা ঈদের সময় মাসজিদে আনার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না ।

এটা শতাব্দীকাল ধরেই চলে আসছে বিধায় সমাজ ও মহিলারা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে ।
১৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
272584
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি আমার লেখার মূলভাবটা ধরতে পারেননি বলে মনে হচ্ছে ।
লেখার মূলভাব :
১। মেয়েরা সর্বত্র বিচরণ করছে । সুতরাং তাদের সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে তাদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্হা রাখতে হবে । যেমন : অফিস-আদালত-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ।

২। ইসলাম ইবাদত পালন করার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে আলাদা করেনি । তবে মেয়েদের সীমাবদ্ধতার কারণে মাসে কয়েক দিনের জন্য নামাজ আদায় রহিত করা হয়েছে ।
সুতরাং নারী-পুরুষ ইবাদত পালন ও ধর্ম-কর্মের স্হানে যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমান সুযোগের অধিকারী ।

৩। মহিলারা স্বইচ্চায়ই প্রয়োজনেই মার্কেট কেন সর্বত্র বিচরণ করে । কিন্তু মসজিদের প্রসঙ্গ আসলে তাদরে বাধা দান গর্হিত কাজ ।

৪। মহিলারা নিজেরাই এখন মসজিদে নামাজ পড়তে চাচ্ছে এবং কর্মক্ষেত্রে নামাজের আলাদা স্হান দাবি করছে । এই দাবির পক্ষে আমি শুরুতেই এমন একটা ভিডিও দিয়েছি ।

৫। ঘরে নামাজ পড়া অবশ্যই মেয়েদের জন্য উত্তম । কিন্তু মসজিদ মসলিমদের সকল কাজের কেন্দ্রবিন্দু । মসজিদে শুধু নামাজ হয় না, সেখানে শিক্ষা-ধর্মালোচনার কাজ হতে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠানও হয় । এসব কাজে অংশ নেওয়ার জন্য মেয়েদের অবশ্যই মসজিদে আসা জরুরী । কারণ ‍মুসলিম মেয়েরাও মুসলিম জাতির সদস্যা । তারা যদি এসব কাজ হতে বঞ্চিত হয়, তাহলে মুসলিম জাতি অনগ্রসর ও অনালোকিত হয়ে থাকবে ।

৬ । আপনার কথা হলো : “এটা শতাব্দীকাল ধরেই চলে আসছে বিধায় সমাজ ও মহিলারা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে ।”

আপনার কথা ভিত্তীহীন । বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদ যেমন : সুলতানী আমলের সব মসজিদগুলোতে জেনানা গ্যালারী বা মহিলাদের নামাজের পৃথক স্হান বরাদ্দ ছিল । আজও সেসব মসজিদ অক্ষত আছে যাদের প্রত্মতত্ত্ব অধিদপ্তর সংরক্ষণ করছেন । ১৩৩৮ হতে ১৪৩৮ সাল পর্যন্ত সময়কে সুলতানী আমল বলা হয় । মুসলিমদের অনালোকিত অবস্হা সৃষ্টি হয় ব্রিটিশ আমলে ও পাকিস্তান আমলে ।
১৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
272591
হতভাগা লিখেছেন : বাঁধা দিলে কি মহিলারা কথা শোনে ? শুধু মাসজিদে যাবার ব্যাপারে এটার ব্যতিক্রম হয় কেন ?

আপনি আপনার স্ত্রীকে মার্কেটে যেতে যদি নিষেধ করেন তাহলে তুল-কালাম বাঁধিয়ে ফেলবে এবং শেষে তার ইচ্ছারই জয় হবে।

যদি মাসজিদে যাবার ব্যাপারে বাধা দেন তাহলে সে কি একই রকম রিয়েক্ট করবে যে রকমটা সে মার্কেটে যাবার জন্য করেছিল ?

সুলতানী আমল আজ থেকে কয় বছর আগের ? সেখানে কি এখনকার মহিলারা যায় ? মার্কেটে যাওয়া/ বেগানা পুরুষদের সাথে অফিসে যাওয়া থেকে যদি তাদেরকে আটকে রাখা না যায় তাহলে মাসজিদে যাওয়া কেন আটকে থাকে ?

মাসজিদে যাওয়া কি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় Yes Card পাবার বা পরিমল টাইপ টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার চেয়েও কঠিন ?
১৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
272677
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি ।
১।বাঁধা দিলে কি মহিলারা কথা শোনে ? শুধু মাসজিদে যাবার ব্যাপারে এটার ব্যতিক্রম হয় কেন ?
উত্তর : যে সব মহিলা মসজিদে যেতে চায় বা আগ্রহী তাদের জন্য এই লেখা । যারা যেতে চায় না তাদের আগ্রহী করতে হবে ।

২।আপনি আপনার স্ত্রীকে মার্কেটে যেতে যদি নিষেধ করেন তাহলে তুল-কালাম বাঁধিয়ে ফেলবে এবং শেষে তার ইচ্ছারই জয় হবে।

যদি মাসজিদে যাবার ব্যাপারে বাধা দেন তাহলে সে কি একই রকম রিয়েক্ট করবে যে রকমটা সে মার্কেটে যাবার জন্য করেছিল ?

উত্তর : আপনার কথা সঠিক নয় । তবে ভাল কাজে আগ্রহী করার জন্য সবাইকে যার যার অবস্হান হতে চেষ্টা করতে হবে । এই ক্ষেত্রে ভালভাসা ও শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্ক সহায়ক ভুমিকা পালন করবে ।

৩।সুলতানী আমল আজ থেকে কয় বছর আগের ? সেখানে কি এখনকার মহিলারা যায় ?

উত্তর : অনেক আগের । সেখানে মহিলা সব কর্মকান্ডে অংশ নিতো ।

৪।মার্কেটে যাওয়া/ বেগানা পুরুষদের সাথে অফিসে যাওয়া থেকে যদি তাদেরকে আটকে রাখা না যায় তাহলে মাসজিদে যাওয়া কেন আটকে থাকে ?

উত্তর : আটকে থাকে অদুরদর্শী আলেম সমাজ এবং সমাজের অসচেতনতা ।

৫।মাসজিদে যাওয়া কি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় Yes Card পাবার বা পরিমল টাইপ টিচারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার চেয়েও কঠিন ?

উত্তর : না ।
330422
১৭ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:৩৪
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : বাংলাদেশে বহূ কাল থেকে সো কল মৌলভীরা
মহিলাদের মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত রেখেছে।এর ফল হিসাবে পুরো জাতী পঙ্গু হবার পথে। আমেরিকায় প্রতিটি মসজিদে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশে মহিলাদের জন্য মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া দরকার।
১৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩৯
272676
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার সুন্দর মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File