রাসুল (সা.)-এর জন্মস্থান, রাসুল (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী খাদিজা (রা.)-এর বাড়ি ও বহু ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ভেঙ্গে ফেলা হয় মক্কায় জাবাল ওমর কমপ্লেক্স তৈরির সময়
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৬ জুলাই, ২০১৫, ০৭:২০:১৩ সন্ধ্যা
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67156
মক্কা ক্লক টাওয়ারঃ কাবা শরীফের চুড়ান্ত অপমান করলো সৌদিরা (কপি-পেস্ট লেখা)
- তে ব্লগার সাদাচোখের মন্তব্য যাতে আমাকে অসত্য কথা প্রচার করা হতে বিরত থাকতে বলেছেন । আমার কথা অসত্য হলে অবশ্যই আমি বিরত থাকবো ও তওবা করবো ইনশাআল্লাহ
‘মসজিদে নববী’কে নিয়ে মহাউন্নয়ন পরিকল্পনা!
বিশ্ব ডেস্ক, ২৯ অক্টোবর (রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম)-- সৌদি আরব সরকার ‘মসজিদে নববী’কে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভবনে রুপান্তর করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সুপ্রাচীন তিনটি মসজিদ ধ্বংস করতে হবে। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ দাবি করেছেন।
মহাউন্নয়ন পরিকল্পনায় যে তিনটি মসজিদ ধ্বংস করতে হবে তার একটি হচ্ছে, ঘামামা মসজিদ। এটি মসজিদে নববীর পশ্চিম পাশে অবস্থিত।
এই সেই মসজিদ যেখানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ঈদের নামাজ পড়িয়েছিলেন।
সম্প্রতি মসজিদে নববী’র সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। তবে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ঐতিহাসিক মসজিদ ধ্বংস করা হবে কিনা নাকি তা অক্ষত রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয় স্পষ্ট কিছু বা কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে মহানবী (সা.)’র স্মৃতি বিজড়িত মসজিদ ধ্বংসের পরিকল্পনার খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন মহল তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
এই কবরটাও ধ্বংস করা হয়েছে । https://en.wikipedia.org/wiki/Jannat_al-Mu%27alla
যেসব এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তা এই ছবিতে প্রদর্শিত হয়েছে এবং বর্তমানে সেখানে কী আছে তা তুলে ধরা হয়েছে http://www.correctislamicfaith.com/apps/photos/photo?photoid=71670485
ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের শীর্ষকর্তা ড. ইরফান আল আলাভি বলেছেন, সৌদি আরব সরকার ওই সব ইসলামী স্থাপনা নষ্ট না করেই মসজিদে নববীর সম্প্রসারণ সম্পন্ন করতে পারতো, কিন্তু তারা তা করছে না।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক পার্সিয়ান গাল্ফ ইনস্টিটিউট বলেছে, সৌদি আরব সরকার গত ২০ বছরে মক্কা ও মদিনা শহরে অবস্থিত হাজার বছরের প্রাচীন ভবনগুলোর ৯৫ শতাংশই ধ্বংস করেছে।
তিনি বলেন, এগুলো করা হয়েছে শপিং সেন্টার, বহুতল ভবন ও বিলাসবহুল হোটেল তৈরির জন্য।
এখন প্রতিবছর হাজির সংখ্যা বাড়ছে এবং এ বাড়তি চাপ মেটানোর জন্যে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বলা হচ্ছে, ঐতিহ্যবাহী যে তিনটি মসজিদ ভাঙ্গা হবে এবং সেখানে সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে বাড়তি ষোল লাখ হাজি হজ করার সুযোগ পাবেন।
কিন্তু এজন্যে মসজিদে নববীর যে পশ্চিম অংশ ভেঙ্গে ফেলতে হবে সেখানে গম্বুজের ভিত্তি স্খাপন করেছিলেন স্বয়ং মহানবী (সা.)।
আর ঘামামা মসজিদে মহানবী(সা.) ঈদের নামাজে ইমামতি করেছিলেন। মজজিদে নববীর পশ্চিম অংশের দেয়াল সংলগ্ন স্থানে নবীজী নামাজ আদায় করেন।
কিন্তু এ মহাপরিকল্পনার কিছুই আগেভাগে প্রকাশ করছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। অটোমান সাম্রাজ্যের বহু স্মৃতিবিজড়িত ইতিহাস এসব মসজিদ ও স্থাপনার সাথে জড়িয়ে আছে।
তবে এসব মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সৌদি আরব সরকার আন্তর্জাতিক খ্যাতি রয়েছে এমন বিশ্বমানের প্রকৌশলী ও নগর উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদদের নিয়ে খুবই গোপনে কাজ করছে। অথচ সৌদি আরবের সরকার মক্কা ও মদীনার সমস্ত ইসলামী সংস্কৃতি, ঐতিহ্য রক্ষা ও দেখভাল করার বিশ্ব স্বীকৃত অভিভাবক।
ইসলামিক হেরিটেজ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের শীর্ষকর্তা ড. ইরফান আল আলাভি বলেন, যেভাবে পরিকল্পনা আগাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে সৌদি আরব ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষা না করে দ্রুত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।
এর আগে এধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মক্কা ও মদীনার হাজার বছরের পুরাতন ভবন ভেঙ্গে ফেলা হয়। আর এগুলো করা হয়েছে শপিং সেন্টার, গগনচু্ম্বি অট্টালিকা আর বিলাসবহুল হোটেল তৈরির জন্যে।
মক্কায় জাবাল ওমর কমপ্লেক্স তৈরির সময় মসজিদ আল হারাম সংলগ্ন অনেক স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হয়ে যার মধ্যে মহানবী (সা.)’র জন্মস্থান, মহানবী (সা.)এর প্রথম বিবি খাদিজা (রা.)এর বাড়ি ও বহু ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ভেঙ্গে ফেলা হয়। এরপর সেখানে লাইব্রেরী, টয়লেটসহ অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
খন্দকের যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানে যেখানে ওই যুদ্ধে সাতজন সাহাবীকে মোতায়েন করেছিলেন মহানবী (সা.) এবং এরপর ওই সাতটি স্থানে সাতটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। অথচ দশ বছর আগে ওসব স্থানে ডিনামাইট ব্যবহার করে অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এসব উন্নয়ন পরিকল্পনা বরাবরাই সৌদি আরব সরকার খুবই গোপনভাবে বাস্তবায়ন করে।
অভিযোগ উঠেছে সৌদ আরব সরকার ও রাজতন্ত্রের সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গের কেউ কেউ এধরনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে বিশেষ তাগিদ দেন।
নবীজীর রওজা মোবারক সংলগ্ন যে বিখ্যাত সবুজ গম্বুজটি রয়েছে, নতুন সম্প্রসারণ পরিকল্পনায় তা ভেঙ্গে ফেলার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মসজিদে নববীর উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নের পর ওই গম্বুজ বর্তমান স্থান থেকে আরো পূর্ব দিকে সরিয়ে নেয়া হবে যার ফলে মসজিদের কেন্দ্রস্থলে নামাজের সুযোগ আর থাকবে না।
অথচ ওই এলাকায় রিয়াদ আল জান্নাহ বা জান্নাতের বাগান বলে পরিচিত যা ছিল মহানবী(সা.)’র স্মৃতি বিজড়িতে স্থান।
রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট /আরআই_ ০০১০ ঘ.
http://www.english.rtnn.net/?/newsdetail/detail/8/40/53784#.VaetlrVPjxI
বিষয়: বিবিধ
১৯২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন