বাংলা ভাষার প্রাচীনতম ও হৃদয়গ্রাহী ঈদ সংগীত এবং বাংলা সংগীতের বিশ্বজয়

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৫ জুলাই, ২০১৫, ১০:৩৮:৩১ রাত



বাংলা ভাষায় প্রাচীনতম রেডিওতে সম্প্রচারিত ঈদ সংগীত কে লিখেছেন - তা আমরা জানি না । আর কোনটা প্রাচীণতম ঈদ সংগীত তাও জানি না । যত দিন নদী থাকবে , যত দিন পাখি থাকবে , যত দিন কথা বলার ভাষা থাকবে , যত দিন মানব সভ্যতা থাকবে – তত দিন সংগীত থাকবে । সুতরাং সংগীত নিয়ে আমরা সামান্য হলেও আলোড়িত হই ।



বাংলা বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম ভাষা । এই ভাষা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জীবন্ত ভাষা । এই ভাষার কথা বলে তাদের বড় অংশ হলো মুসলিম । মুসলিমদের অনেক ধর্মীয় পর্বাদি ও উৎসব রয়েছে । মুসলিমদের বড় উৎসব ঈদুল ফিতর যা এক মাস সিয়াম সাধনার পর তারা উদযাপন করে থাকে । এই উৎসবকে ঘিরে অনেক সংগীত রচয়িতা, সুরকার ও সংগীতজ্ঞ কাজ করেছেন । তাদের কাজের মধ্য হতে শীর্ষ দশ ঈদ সংগীতের ভিডিও আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম ।

এসব সংগীত আমরা মোবাইল ও কমিউটারে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি মনযোগ দিয়ে শুনবো । কারণ এসংগীত শিক্ষামূলক ও আমাদের হৃদয়কে সত্য-সুন্দর-আলোর পথে আসার আহবান জানায় ।

১. রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

https://www.youtube.com/watch?v=y15e803PYYw




“রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ - এই গানটি না শোনলে যেন ঈদের অপূর্ণতা থেকেই যায়।”

কবির শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ-এর অনুরোধে ১৯৩১ সালে কবি নজরুল এই গান রচনা ও সুরারোপ করেন।

গানের কথা

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।

তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ

দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে

যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,

তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী

সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।

ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,

তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।

তোরে মারল' ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা

সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ

আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।

রচনার ইতিহাস

প্রথম রেকর্ডিং

১৯৩১ সালে লেখার চারদিন পর শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের গলায় গানটি রেকর্ড করা হয়। রেকর্ড করার দুই মাস পরে ঈদের ঠিক আগে আগে এই রেকর্ড প্রকাশ করা হয়। গ্রামাফোন কোম্পানি এর রেকর্ড প্রকাশ করে। রেকর্ডের অপর গান ছিল কবির ‘ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর, বদনসীন আয়, আয় গুনাহগার নতুন করে সওদা কর। হিজ মাস্টার্স কোম্পানির রেক রেকর্ড নম্বর এন‌- ৪১১১। প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ।

শিক্ষা হলো :

১. তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।

২. তোরে মারল' ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা

সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।

২. ভারতের শিল্পী কুমার শানুর "আজকে খুশির বাঁধ ভেঙ্গেছে , ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে" ঈদের গানটি অসাধারণ।

This album 'EID ESHECHHE' has been recorded and released by 'Tips Music Co' Mumbai in the year 1998 on the auspicious occasion of 'Holy Ramzan and Idd'.Syed Ahmed was the Music director and Lyricist of this album. This was Kumar Sanu's first ever album of 'Bengali Muslim Devotional'.Its a big hit albumin the international market too!

https://www.youtube.com/watch?v=1BM9O0iGStM




৲আজকে খুশির বাঁধ ভেঙ্গেছে ৴

আজকে খুশির বাঁধ ভেঙ্গেছে,

ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে।

শাওয়াল এর চাঁদ ওকি দিয়েছে,

ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে।

৩০দিন এর পবিত্র রমজান

হয়েছে আজ শেষ তাই তো

শিশু বৃদ্ব্য যুবক ধরেছে নতুন বেশ,

বাদশা ফকির খুশিতে মেতেছে

ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে।

ঈদগাহে মসজিদে ও ভাই

দুর মাঠে ময়দানে অহ......

ঈদের নামাজ পরবে সবাই

এক মনে এক প্রাণে ......।।

বন্দ দোয়ার খুলেছে আজ

খুলেছে প্রাসাদ ভাইয়ের সাতে

মিলবে ভাই ভুলে যত আভিমান

দিন দুঃখীর মখে হাঁসি ফুটেছে ।

ঈদ এসেছে ভাই ঈদ এসেছে...।।

৩. আব্বাস উদ্দীনের গাওয়া এই ঈদের গানটি বাংলাদেশের প্রাচীণতম ঈদের গান যা অল ইন্ডিয়া রেডিও-তে প্রচার করা হয়েছিলো ।

লেখক – কবি কাজী নজরুল ইসলাম ।সুরকার - আব্বাস উদ্দীন ।

Eid Mubarak (Nazrul Geeti) -- Abbas Uddin Ahmed

https://www.youtube.com/watch?v=j_gSAsN39xo




৪. Bangla romantic Eid song Eid Mubarak

এই সংগীতটি পুরান ঢাকা কিছু সৌখিন শিল্পীরা গেয়েছেন । এর চিত্রায়ন দেখলে মনে হবে আপনি নিজে গানের চিত্রায়নে অংশ নিয়েছেন এবং ভিডিওর লোকগুলো আপনার পাশের বাড়ির লোক ।

https://www.youtube.com/watch?v=NDm_9vWUn9I




৫. Chader Palki Chore: The Eid Song

One of the bests and very much sought-after Bangla Eid-Song from 80's BTV

https://www.youtube.com/watch?v=xdAwNmqjz3I




৬.Bangla New Song 2015 Eid Mubarak By Published on Jul 8, 2015

জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের অন্যতম সুন্দর কাজ

https://www.youtube.com/watch?v=nX4IJNJ0PHE




[b]৭.Lyric, Tune, Composition_ Md. Wahidul Islam Jony


https://www.youtube.com/watch?v=fP8Yyhh_19A




৮. বাংলা সিনেমাতে অপু বিশ্বাস আর সাকিব খান ঈদের প্লেবেক করছেন

https://www.youtube.com/watch?v=TPulbKCjkPg




৯.Ajke khushir Eid (Sabir Geeti) by Tapon Roy Lyrics: Sabir Ahmed Chowdhury

https://www.youtube.com/watch?v=kf8QaYl4RCU




১০. Eid Mubarak

Lyrics and Tune: Dr. Zahir Ochinpuri, Singer: Dr. Zahir Ochinpuri, Composition: Tuhin Al-Amin,

https://www.youtube.com/watch?v=h14FKomMxoc




১১.Eid song dedicated to all world. Eid Mubarak এই ভিডিও বেশ কয়েকটি ভাষায় গাওয়া ঈদ সংগীত রয়েছে । চিত্রায়ন অসাধারণ

https://www.youtube.com/watch?v=FY5svcrRSf0






উপসংহার :


আমাদের সবাইকে কম বেশি সংগীত চর্চা ও শ্রবণ করার পাশাপাশি ঈদের তাৎপর্য সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে ও ঈদের আনন্দ গরীব-দু:খী সবার সাথে ভাগ করে নিতে হবে । আলোকিত ধার্মিক মানুষ হিসেবে মানব সভ্যতার গর্বিত অংশীদার হতে পারবো ।

বিষয়: বিবিধ

২৮০৭ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

330129
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:২২
জোনাকি লিখেছেন : খুব ভাল্লাগ্লো। প্রিয়তে রাখলাম।
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:৪৬
272355
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
330150
১৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০১:১২
বেআক্কেল লিখেছেন : বা বা বা, মাশায়াল্লাহ আমনেরে আল্লায় অনেক গুনে গুনী বানাইয়ছেন। কুথায় আমনের অবস্থান নাই! ভালা খারাপ মন্দ সব জায়গাতেই আমনের দখল দেইখা চোখ কচলাইতেছি। আমনেদের মত গুনি মানুষদের দেইখা বুড়ো কবি গুন বলছিলেন,
কিবা গাছের গুন,
একই গাছে পান সুপারী,
একই গাছে চুন।

আমনে হইলেই ইতিহাসের সেই সেরা ব্যক্তি, ধন্য হইলাম, ব্লগে আসিয়া নিজেরে ধন্য বোধ করিলাম।

আচ্ছা বলেন তো, মুসলমানদের ইদের গীতের সাথে হারমোনিয়ামের কি যোগ সাজুস আছে। হারমোনিয়াম হাতে মাজার-দরবারে গাঞ্জা খাইয়া, হুক্ক হু হুক্কা হু বলিয়া জিকির করিতে বুহ শুনিয়াছি। আমনে কি এখন সেই ব্যবসাকে সঠিক বলিয়া বসেন কিনা ভয়ে ভয়ে আছি।

আমনের কাছে,
জামায়াত খারাপ,
শিবির খারাপ,
তাবলীগ খারাপ,
চির মোনাই খারাপ,
আহলে হাদিস খারাপ,
লা মাজহাবি খারাপ,
ওয়াহাবী খারাপ,
শিয়া খারাপ,
সুন্নি খারাপ,
ইসলামী দল খারাপ,
ইসলামী রাজনীতি খারাপ,

সৌদি খারাপ, ইরান খারাপ, আফগান খারাপ, মধ্য প্রাচ্য খারাপ, বাংলা খারাপ।

হাজারো খারাপের রাজত্বের মাঝে আমনের কাছে কচি মাইয়া পোলাগোর নদর্ন কুদর্ন মাক্যা গান ভাল লাগে। ভালই আপনের কালেশনের সুনাম করা যায়, মাইয়াদের জুম করা বহু ছবি ইতিমধ্যে আপনের কল্যানে দেখিয়াছি। যাউকগ্যা শেফালী ঘোষের একটি ইসলামী সংগীত যোগ করিলে পোষ্টটা পরিপূনর্তা পাইত, আমনের কাছে না থাকিলে আমি যোগ করিয়া দিতে পারি।

সবশেষ কথা হইল, দুই একটা গান দিয়া কোন দিন সংগীত হয়না, তাই ইদ সংগীত বলিতে দুনিয়াতে কোন কথা নাই। এগুলোকে বড়জোড় গীত বলা যায় সংগীত নহে।

বাহিরে দেখিলাম আপনার ঘরে মন্তব্য পড়েছে চারটি, ভিতরে ঢুইকা দেখলাম মন্তব্য দুইটি! ব্যাপার বুঝিলাম না, মুইছা দেন নাই তো!
১৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:৫৪
272398
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিচ্ছি :
১।মুসলমানদের ইদের গীতের সাথে হারমোনিয়ামের কি যোগ সাজুস আছে।
উত্তর : সংগীত শাস্ত্র অনুযায়ী গান, বাদ্য ও নাচ - এই তিনটার মিলিত নাম সঙ্গীত । অপর দিতে খালি গলায় সুর করে কোন কিছু উপস্হাপন করা হলো গীত ।

আমি ঈদ বিষয়ের উপর সংগীতকে উপস্হাপন করেছি । সংগীতের অনেক ভাগ আছে । সংগীত লেখা ও গাওয়ার ধরনের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ভাগ আছে । যেমন : পপ সঙ্গীত বিটের উপর ভিত্তিকে গাওয়া ও লেখা হয় । বিট শব্দটির ব্যাখ্যা অন্য কোন লেখায় দিবো । স্বর ও রাগের উপর নির্ভর করে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত লেখা হয় । যেমন : আমার এই লেখার কবি কাজী নজরুল ইসলামের যে দুই গান উপস্হাপন করেছি সেগুলো ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত । ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে গান, বাদ্য ও নাচ এগুলো অপরিহার্য ।

২। হারমোনিয়াম হাতে মাজার-দরবারে গাঞ্জা খাইয়া, হুক্ক হু হুক্কা হু বলিয়া জিকির করিতে বুহ শুনিয়াছি। আমনে কি এখন সেই ব্যবসাকে সঠিক বলিয়া বসেন কিনা ভয়ে ভয়ে আছি।
উত্তর : শুদ্ধভাবে সংগীত শেখা ও সংগীত পরিবেশনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান । যার সংগীতের সাথে যুক্ত তারা এটার ব্যবহার অবশ্যই করে থাকে ।


জিকির শব্দের অর্থ স্মরণ করা । মানে আল্লাহকে স্মরণ করা । জিকির গুরুত্বপূর্ণ । কারণ আল্লাহ বলেছেন :

১।আল্লাহর জিকির-ই সবচেয়ে বড়” (সুরা আনকাবুত – ৪৫)।
২।তারাই জ্ঞানী ব্যক্তি যারা দাড়ানো বসা এবং শোয়া অবস্থায় তথা সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে (সুরা আল ইমরান – ১৯১)।
৩।সকাল সন্ধ্যা তোমরা রবের স্মারণ কর” (সুরা দাহার -২৫)
৪।আল্লাহকে বেশী বেশী স্মরণকারী এবং স্মরণ কারীনি, আল্লাহ তাদের জন্য মাগফেরাত ও প্রতিদানের ব্যবস্থা রেখেছেন” (সুরা আহযাব- ৩৫)
৫।হে মুমিনরা! তোমরা অধিক পরিমাণে আল্লাহর জিকির কর। সূরা আহযাব-৪১
৬।নিশ্চয় আসমান জমিন সৃজনে আর রাত-দিনের পরিবর্তনে নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য, যারা আল্লাহর জিকির করে দাঁড়িয়ে বসে এবং শুয়ে। সুরা আলে ইমরান-(১৯০-১৯১)
৭।একমাত্র আল্লাহর যিকিরেই মন প্রশান্তি লাভ করে।( সুরা রা,দ - ২৮)

হাদিস উল্লেখ করছি :


আবুদ্দারদা রা. থেকে বর্ণিত: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন :-

আমি কি তোমাদেরকে এমন এক আমল সম্পর্কে অবহিত করব না, যা তোমাদের অধিপতির নিকট সবচেয়ে উত্তম ও পবিত্র, এবং তোমাদের মর্যাদা অধিক বৃদ্ধিকারী, এবং তোমাদের জন্য স্বর্ণ-রূপা দান করা ও দুশমনের মুখোমুখি হয়ে তোমরা তাদের গর্দানে বা তারা তোমাদের গর্দানে আঘাত করার চেয়ে উত্তম ? তারা বলল :হ্যাঁ ইয়া রাসূলুল্লাহ ! তিনি বললেন :-জিকরুল্লাহ (আল্লাহর জিকির বা স্মরণ)। (তিরমিজি:৩২৯৯)

মদ-গাঁজা-সিগ্রেট সেবন করা হারাম । অনেকে ভাল কাজ করার সাথে সাথে খারাপ কাজও করে । সেজন্য তাদের ভাল কাজকে খারাপ বলা যায় না । আর জিকির অর্থপূর্ণ শব্দ দিয়ে অনুচ্চস্বরে করা উচিত ।


আপনার বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া হয়েছে । কোন কোন হুজুর আপনার কথিত কচি মাইয়া পোলাগোকে নিয়ে সংগীত চর্চার নামে সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদের চর্চা করেন তাদের সারা বাংলাদেশের লোক মিডিয়ার কল্যাণে চেনে ও জানে । আপনি এই ভিডিওটা দেখলেই বোঝতে পারবেন ।
https://www.youtube.com/watch?v=dkGBD72j2f8



কুরুচিকর মন্তব্য করায় এই পর্যন্ত ৪ জন ব্লগারকে ব্লক করা হয়েছে ।অশালীন ২ টা মন্তব্য মুছে ফেলেছি ।

আপনার বাকি প্রশ্নগুলোর উত্তর অনত্র দিয়েছি ।
330158
১৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:১৬
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
আপনি ভাই অলরাউন্ডার। বহুমুখী প্রতিভা আপনার। বিস্ময় নিয়ে আপনার লেখা পড়ি আর থিংক করতে থাকি... আপনাকে কেন লোকে গালাগালি করে?

১৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:১৮
272397
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : দুয়া করবেন । সংগীত শেখার ইচ্ছা ছিল । রক্ষণশীল পরিবেশ থাকায় সেটা হয়ে উঠেনি । এই বছর শেখার চেষ্টা করি । ছবি আঁকা শেখার ইচ্ছে ছিল । ভারতের শান্তিনিকেতনের এক ওস্তাদের কাছে গিয়েছিলাম । বাঁধ সাধলো রক্ষণশীল পরিবেশ ।

যা রক্ষণশীল তারাই আমাকে গালাগালি করছে ।
330212
১৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:০৩
হতভাগা লিখেছেন : রোজার সময় খায় দিনে

ঈদের ফূর্তি তারাই কিনে
১৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:২২
272416
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : উৎসব সবার । সবাই ইবাদতের মর্ম বুঝবে বা বুঝে এমন তো নয় ।
১৬ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
272431
হতভাগা লিখেছেন : হিন্দুদের দূর্গা পূঁজা বা স্বরস্বতী পূঁজার উতসবে কি মুসলমানদেরও উতসব করা উচিত?

হিন্দুরা যেভাবে তাদের দেবতাদের জন্য উতসর্গ করা প্রসাদ খায় , সেটা মুসলমানদেরকে দিলে সেটা খাওয়া উচিত ?
১৬ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:০৬
272454
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : না ।
আমার এলেখাগুলোতে এবিষয়ে আলোচনা আছে :
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/54656

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/54671

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/56680
১৬ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৩০
272459
হতভাগা লিখেছেন : তাহলে ''উতসব সবার'' কেন বলেন ?
১৬ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৩১
272461
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি ঈদ নিয়ে লিখছি । ঈদ একটা উৎসব । সেই দৃৃষ্টিকোন থেকে বলেছি ।
আমার লেখাটা তো ঈদ নিয়েই । তাই না । এখানে তো পুজা ও বড় দিন নিয়ে তো লিখি নাই ।

উপরন্তু ঈদ শব্দের একটা অর্থ উৎসব ।
১৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
272571
হতভাগা লিখেছেন : দূর্গা পূঁজা বা বড় দিন - এগুলোও তো হিন্দু বা খৃস্টানদের উতসব । ঐ দিন গুলোতে বিশেষ করে হিন্দুদের তো বেশ একটা উতসব উতসব ভাব বজায় থাকে । দিওয়ালীও তাদের আরেকটা উতসব।

মুসলমানদের কুরবানীর ঈদে কি হিন্দুরা এক সাথে বসে গরুর গোস্ত খাবে - ''উতসব সবার'' এই থিওরী এপ্লাই করে ?
১৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩৮
272575
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন :
উৎসবের মধ্যে ভাগ আছে । যেমন : ধর্মীয়,সামাজিক,রাজনৈতিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ।

ধর্মীয় : ঈদ , পুজা, বড় দিন ধর্মীয় উৎসব ।
সামাজিক : জন্মদিন , মৃত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভা, বিয়ে

রাজনৈতিক : রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ।
প্রাতিষ্ঠানিক : নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বছরপুর্তি ।

মুসলমানদের কুরবানীর ঈদে কি হিন্দুরা এক সাথে বসে গরুর গোস্ত খাবে - ''উতসব সবার'' এই থিওরী এপ্লাই করে ?

উত্তর : এক ধর্মের উৎসবে অন্য ধর্মের লোক অংশ নিতে পারে না । কারণ :
১। ধর্ম যার যার বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার ব্যাপার ।
২। হিন্দুদের আর মুসলিমদের ধর্ম পালনে পার্থক্য রয়েছে ।

ধর্মীয় কারণে হিন্দু গরুর গোস্ত খায় না । সুতরাং এটা কোন ক্রমেই বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব নয় ।
১৭ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:২৩
272580
হতভাগা লিখেছেন : তাহলে কি বুঝে নিব মুসলমানদের ঈমানকে ধ্বংস করার জন্যই সেক্যুলারপন্থীরা '' ধর্ম যার যার , উতসব সবার'' এটা বলে থাকে এবং এটা শুধু শোনায় ও এপ্লাই করাতে চায় মুসলমানদেরকে দিয়ে ?
১৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
272585
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধর্ম যার যার , উতসব সবার - এই কথার কোন ভিত্তি নেই । যেসব মুসলিম এধরনের কথা বলে তারা হাজারও চেষ্টা করলে দুর্গা পুজার যজ্ঞ-আরতি ইত্যাদি অংশ নিতে পারবে না । উল্টা হিন্দুদের লাথি খাবে । বরং হিন্দুরা বা হিন্দুদের প্রতি অতিরীক্ত অনুরাগ দেখাতে যাওয়া মুসলিমরা এসব কথা বলে । বাস্তব অবস্হা হলো হিন্দুরা তাদের উৎসবগুলোকে যাক - জমক ও জনবহুল দেখানোর জন্য মুসলিমদের জড়ো করতে চায় । কারণ হিন্দুদের সংখ্যা বাংলাদেশে কমছে । অপর দিকে পুজা আয়োজকরাও ধর্ম ব্যবসা করে । বেশী লোক পুজা বা তাদের আয়োজিত উৎসব বা মেলায় আসলে তাদের ব্যবসা ভাল হবে । আগে পুজায় এতো লোক সমাগম হতো না । কারণ হিন্দুদের মধ্যে বিভিন্ন জাত-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের কারণে তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন থাকতো । এক জাত আরেক জাতের ছায়াও মারাতো না । তবে সময় বদলেছে । তাদের বোধ ও বিশ্বাসে পরিবর্তন এসেছে ।
১৭ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:২০
272590
হতভাগা লিখেছেন : উতসব সবার - এ কথার কি ভিত্তি আছে ? আমি এখানে স্পেসিফিকভাবে ধর্মীয় উতসবকেই বোঝাচ্ছি । আপনার পোস্টটা কিন্তু ধর্মীয় উতসবকে ঘিরেই।

কারণ এটা ছাড়া অন্য উতসবগুলো সার্বজনীন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File