কাবা শরীফে নারী পুরুষের ধাক্কাধাক্কি ও অবাধ মেলামেশা চরম ইসলামবিরোধী
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৫ জুলাই, ২০১৫, ০১:৫৭:৪২ দুপুর
আমি "ইরানের সাথে পশ্চিমাদের পরমাণু চুক্তি এবং সৌদি আরবের অন্ধকার ভবিষ্যত" শিরোনামে একটা লেখা লিখি ( http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67126)।
আমার এই লেখাটা পড়ে আমাকে অনেকে আমাকে আজে বাজে কথা বলার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দিচ্ছে ।
আমি সেই লেখায় যা লিখেছি :
"গেল তিন বছর আগে আম্মা আব্বার সাথে হজ্জ করতে যান । তিনি অবশ্যই সৌদি আরব সম্পর্কে যা বলেন :
মক্কা শরিফটাকে যেমন ভেবেছিলাম তেমন মনে হলো না ।মনে হলো বাজার । মানুষকে ধরে ধরে শপিং করার জন্য গাড়িতে করে বিভিন্ন শপিং মলে নিযে যাওয়া হয । আর হাজীরা শপিং করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । মক্কা শরিফে উদ্ভট কালো ও সবুজ রংয়ের একটা ঘড়ি বসানো হয়েছে । এটা মক্কা শহরটার সৌ্ন্দর্যকে শেষ করে দিয়েছে । মক্কা শরিফের চার পাশে শুধু বিলাস বহুল হোটেল ।বিভিন্ন ধরনের প্রাচুর্য্য । মনে হয় মক্কা শহরটা একটা সরাইখানা । হজ্জ করার সময় ছেলে-মেয়ে কোন ভেদাভেদ থাকে না ।আফ্রিাকার কালো মহিলাগুলো উশৃঙ্খল আচরণ করে । বাস্তব জীবনে পর্দার কথা বলা হয় । সেখানে পর্দার কোন বালাই নেই । নারী পুরুষের ধাক্কাধাক্কি ও অবাধ মিশ্রন পরিবেশটার ধর্মীয় আবহকে ধ্বংস করছে । ছেলে-মেয়েদের আলাদাভাবে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে আয়োজকদের যত্মবান হওয়া উচিত । মক্কা শহরের অনেক এলাকা আবর্জনাময় । অনেক এলাকায় মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যা বেশী । আর বিড়ালগুলো দেখতে ভয়ানক । বাংলাদেশের ৫ টা বিড়াল মিলিয়ে এসব বিড়ালের সাইজ হয় । মদিনা শহরটার বেশীর ভাগ রাস্তাই খারাপ । রা্স্তাগুলো ধুলা বালিতে ভরা । অপরিচ্ছন্ন ও অযত্মের ছাপ । রাস্তাগুলো দেখতে ঢাকার বিজয় স্মরণীর মতো ভাঙ্গাচুরা । রাস্তা পরিস্কার করার লোক আছে । এরা বেশির ভাগই বাংলাদেশি ।
আম্মা শুধু খাবারের প্রশংসা করলেন । আর সেখানে নামাজ-কালাম পড়ার অভিলাস ছিল সেটা পুরণ হওয়া তিনি আনন্দিত । "
আমি মনে করি,
নারী-পুরুষের লাগামহীন অবাধ মেলামেশা বেহায়াপনা ও অনাকাঙ্খিত পরিবেশের সৃষ্টি করে । এজন্য নারী-পুরুষের মেলা-মেশা মসজিদে এবং মসজিদের বাইরে নিষিদ্ধ । কিন্ত কাবা শরীফের মধ্যে ও হজ্জ্বে আনুষ্ঠানিকতার সময় এর ব্যতিক্রম লক্ষণীয় ।
কাবা শরীফে করিডোরে এবং জামরাতে ক্ষণস্থায়ী মেলা-মেশা হয়, আর তাওয়াফের সময় দীর্ঘস্থায়ী মেলা-মেশা হয় ।
তাওয়াফের মত সাফা-মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সাইও নারী-পুরুষ এক সাথেই করে ।
কাবা শরীফে ও মক্কা শহরের প্রতিটা মসজিদে মহিলাদের জন্য আদালা তালা বা ফ্লোর এবং প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা দরজা ও রাস্তা নির্দিষ্ট করা নেই ।
নারী ও পুরুষের মেলা-মেশার ফলে কোন নিষিদ্ধ সম্পর্কের জন্ম নিলে যারা মেলা-মেশা সুযোগ দিয়েছে তারা ঐ নিষিদ্ধ সম্পর্কেরই জন্য দায়ী হবে এবং তাদের অবশ্যই শাস্তির আওয়াত আনতে হবে ।
অর্থাৎ 'নিষিদ্ধ সম্পর্ক' গড়ে উঠে, তাহলে তার জন্য দায়ী হবেন সৌদী বাদশাহ। কারণ পবিত্র স্থানসমূহের পরিচালনার দায়-দায়িত্ব তাঁরই এবং দায়ী হওয়ায় তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে ।
অনেকে বলেন, "নারী-পুরুষের পৃথকীকরণ দুই লিঙ্গের মধ্যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক সৃষ্টি না করে বরং তাকে ব্যাহত করে।" আমি বিনীতভাবে বলছি, কাবা শরীফ বা হজ্জ বা মসজিদে নামাজ পড়ার সাথে বা ধর্ম-কর্ম করার সাথে নারী-পুরুষের শ্রদ্ধার সম্পর্ক জড়িত নেই । ধর্ম-কর্ম ও কাবা শরীফ বা হজ্জ বা মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যাপারগুলো শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পৃত্ত বিষয় । এসব বিষয় আধ্যাত্মিক বিষয় । জাগতিক বা বস্তুবাদী বিষয় নয় । এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে আল্লাহর সাথে তার বান্দার সম্পর্ক গাঢ় হয় । কাবা শরীফ বা হজ্জ বা মসজিদে নামাজ পড়ার সাথে নারী-পুরুষের শ্রদ্ধা বা সম্মান বৃদ্ধি বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই ।
আমাকে যারা গালি-গালাজ ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন তার একটা নমুনা নিচে প্রদর্শন করলাম :
আমাকে সুন্দর সুন্দর উপাধিতে ভুষিতকারী লোকটার ছবি (রবিউল ইসলাম যিনি ফরিদপুর পলিটেকনিকে পড়েন এবং ইসলামী ছাত্র শিবির করেন )
আলোচিত লোকের ফেসবুক আইডি : https://www.facebook.com/profile.php?id=100008224500103
বিষয়: বিবিধ
২৩৭২ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দেখলাম আপনার জ্ঞান। অবশ্য দেখলাম আপনিও গালি দিতে ওস্তাদ!
তবে আপনি গালি দিন আর যেই দিক গালি দেয়া নিষিদ্ধ।
আর আলোচিত লোকের এক ছেলে সম্পর্কে আমি খুব শিগ্রই লেখা দিবো ।
আমি মানুষ । মহামানব নই । আপনারা আমাকে গালি দিবেন । দিনের পর দিন । দিনের পর দিন হত্যার হুমকি দিবেন । আমার ম-বোন তুলে গালি দিবেন । আর আমিও চুপ চাপ বসে থাকবো - তা হয় না ।
আমি কোথায় লিখবো আর লিখবো না - এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার । আমার লেখা ভাল না লাগলে আমি কাউকে ধরে এনে পড়াই না ।
আপনার সমস্যা হলে বা আমার লেখা পড়তে আপনার আপত্তি হলে পড়বেন না । অযথা গালি গালাজ করবেন না । তার ফলও আপনার জন্য সম্মানজনক হবে না ।
নিজেকে বেশি জান্তা মনে করা, এটা লক্ষন কিন্তু ভালো না!
তবে আমি জনগণকে সচেতন করার কাজ করছি । এজন্য লেখালেখিকে বেছে নিয়েছি ।
আশা করি আমার এই লেখাটা পড়বেন : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67156
আমার এই লেখাগুলোতে কি কুরআন ও হাদিসবিরোধী কোন বক্তব্য আছে ? যদি থাকে তাহলে বলুন । আমি সংশোধন করবো ।
কাবা শরীফে ও মক্কা শহরের প্রতিটা মসজিদে মহিলাদের জন্য আদালা তালা বা ফ্লোর এবং প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা দরজা ও রাস্তা নির্দিষ্ট করা নেই ।
হাজীরা হজ্জ করা ছাড়াও ব্যক্তি অনুযায়ী ১৫ হতে প্রায় দুই মাস সৌদি আরবে থাকার সুযোগ পায় । তখন অনেক মহিলাই নিয়মিত মসজিদে ইবাদত বন্দেগী করতে আগ্রহী হয় ।
পর্দা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । মসজিদ ও বাহিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে আচরণ বিধি ও নীতিমালা রয়েছে । উপরন্তু হজ ব্যবস্হাপনাই নয় মক্কা শরীফের আধ্যত্মিক পরিবেশ ও ভাবগাম্ভীর্য নষ্ট করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে ও বিশ্ব মুসলিমদের অগোচরে । এই ব্যাপারে আপনার অভিমত কি ?
মক্কা শরীফের এড়িয়াতে এমন ছবিও অনেকের কাছে আছে যা মক্কার ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যকে ক্ষুন্ন করে ।
স্ত্রীও এক অর্থে প্রেমিকা । প্রেম যখন অবৈধ হয় তখনই প্রেম দুষণীয় । সুতরাং শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত ।
তাওয়াফ সাধারণত কেউ যেহেতু কারও দিকে তাকায় না । কিন্তু অনেকেই অবাঞ্চিত ব্যাপার দেখলে তাকাতে বাধ্য হয় ।
অনেকেই সেখানে ছবি তোলে । এক জন কাবার ছাদে নিচের ছবিটা তুলেছিল যাতে প্রেমিক বা স্বামীর মাথা কোলে নিয়ে কোরআন তেলওয়াত করছেন প্রেমিকা বা স্ত্রী । এধরনের অবস্হা আধ্যাত্মিক পরিবেশকে ক্ষুন্ন করে ।
অনেক ছেলে বা পুরুষ তাওয়াফ করার সময় শরীরের উপরাংশে কাপড় রাখেন না । অথচ তারা মেয়েদের সাথেই তাওয়াফ করছেন । অনেক মহিলা মুখ খোলা রাখার সাথে সাথে মাথার চুলও খোলা রাখছেন । কিন্তু সব চুল ঢেকে রাখা ফরজ ।
দয়া করে বলবেন কি - এসব বিষয় দেখাশোনার দায়িত্ব কার সবচেয়ে বেশি ?
আমি আপনার ব্লগ পোস্টগুলোতে মন্তব্য করতে পারছি না । আমাকে ব্লক করার কারণ জানতে পারি কি ?
কাবা শরীফে করিডোরে এবং জামরাতে ক্ষণস্থায়ী মেলা-মেশা হয়, আর তাওয়াফের সময় দীর্ঘস্থায়ী মেলা-মেশা হয় ।
আরো লিখেছেন,
নারী ও পুরুষের মেলা-মেশার ফলে কোন নিষিদ্ধ সম্পর্কের জন্ম নিলে যারা মেলা-মেশা সুযোগ দিয়েছে তারা ঐ নিষিদ্ধ সম্পর্কেরই জন্য দায়ী হবে এবং তাদের অবশ্যই শাস্তির আওয়াত আনতে হবে ।
আরো লিখেছেন,
অর্থাৎ 'নিষিদ্ধ সম্পর্ক' গড়ে উঠে, তাহলে তার জন্য দায়ী হবেন সৌদী বাদশাহ। কারণ পবিত্র স্থানসমূহের পরিচালনার দায়-দায়িত্ব তাঁরই এবং দায়ী হওয়ায় তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে ।
পবিত্র জায়গাতে যাইয়া পরনারীর সাথে ধাক্কাধাক্ষি, অবৈধ মেলামেশা, নিষিদ্ধ সম্পকর্, ক্ষনস্থায়ী মেলামেশা সহ কত জাতের কথা আনিলেন। শুধু কন্ডম রাখার কথাডা বাদ রাখিলেন, কেননা আমনের আপন জনেরাও হজে গেছিল, নতুবা সেইটাও বইলা দিতেন।
হ্জ ভাল মানুষ করতে যায়, লম্পট মানুষ হজ করতে যায়না। তাই বইলা মক্কায় লম্পট নাই সেই কথা বলিব না অন্তত মাত্তাফে লম্পট থাকেনা, সেটা সিকিউর থাকে। আপনাদের যেহেতু দোষ ধরার বাতিক আছে তাই আল্লাহ আপনাদের সাথে দোষি মানুষই সংগী বানাইছেন । আমনে ব্লগে যেখানে চল্লিশ জন মানুষ জোগাড় করিতে পারেন নাই, সেই খানে মক্কায় চল্লিশ লক্ষ মানুষ কিভাবে চলিবে তাহার পরামশর্ দেওয়া ছাগলামী ছাড়া আর কিছু ইতে পারে না।
উত্তর : হজ চরম খারাপ মানুষও করতে যায় । বাংলাদেশের পর্ন ছবিটা যিনি বানান তার নাম সুমন । তিনি হজ করে রবি মোবাইল কোম্পানীর নেলি নামক এক কর্মকর্তাকে নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম পর্ন মুভি বানান । এই ব্যাপারে একুশে টিভিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করা হয় ।
হজ করার নামে অনেক লোক ব্যবসা করতে যায় ।
অনেকে নাম কামানোর জন্য হজ করতে যায় ।
প্রশ্ন : আমনে ব্লগে যেখানে চল্লিশ জন মানুষ জোগাড় করিতে পারেন নাই, সেই খানে মক্কায় চল্লিশ লক্ষ মানুষ কিভাবে চলিবে তাহার পরামশর্ দেওয়া ছাগলামী ছাড়া আর কিছু ইতে পারে না।
উত্তর : সত্যের আলো সব সময় নিভু নিভু করে জ্বলে ।
এই ব্লগে অধিকাংশ ব্লগারদের জ্ঞানের পরিধি কেমন তা আপনিও জানেন আর আমিও জানি । এই ব্লগে ক্লাস ফাইভ পাশ করা লোক সেলিব্রেটি ব্লগার হয় । এই ব্লগে স্কুলের বাচ্চাদের মতো বাবা-মা-প্রিয় বই নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতা হয় । ব্লগ সাইটের ক্ষেত্রে তার চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন