ইরানের সাথে পশ্চিমাদের পরমাণু চুক্তি এবং সৌদি আরবের অন্ধকার ভবিষ্যত

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৫ জুলাই, ২০১৫, ০১:২৩:৩৩ রাত



আজ গণমাধ্যম মারফত জানতে পারলাম, ইরানের সঙ্গে ছয় জাতিগোষ্ঠীর চূড়ান্ত পরমাণু চুক্তি হয়েছে।

ইরানের কর্মকর্তারা একে ভালো চুক্তি হিসেবে অভিহিত করেছেন। এদিকে পশ্চিমা কূটনীতিবিদরা পাশ্চাত্যের সংবাদ মাধ্যমের কাছে চুক্তি হওয়ার বিষয়টি এবং পরমাণু আলোচনা শেষ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন । এর ফলে ইসরাইল ও সৌদি আরবের কুটনীতি পরাজিত হলো ।



আমি এই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে যেয়ে আমার আব্বা-আম্মার সৌদি আরবে ভ্রমণ করার কথা ভাবতে লাগলাম ।

আমার আম্মা হজ্জ করেছেন মা্ত্র এক বার । আর আব্বা করেছেন তিন বার । আমরা ভাই-বোনরা তাদের হজ্জ করার অনুভতি জানতে চাই । তারা শুধু এতটুকুই বলেন হজ্জ্ব করলেই হজ্জ্ব করার অনুভতি বোঝা যাবে । আমরা এই উত্তর না পেয়ে প্রশ্ন করি মক্কা মদিনা দেখতে কেমন ? সৌদি আরব দেশটা কেমন ? এই কথা বল্লেই আব্বা রেগে যান । বলেন : ইবাদত-বন্দেগী করতে গেছি । দেশ দেখতে যাইনি ।

গেল তিন বছর আগে আম্মা আব্বার সাথে হজ্জ করতে যান । তিনি অবশ্যই সৌদি আরব সম্পর্কে যা বলেন :

মক্কা শরিফটাকে যেমন ভেবেছিলাম তেমন মনে হলো না ।মনে হলো বাজার । মানুষকে ধরে ধরে শপিং করার জন্য গাড়িতে করে বিভিন্ন শপিং মলে নিযে যাওয়া হয । আর হাজীরা শপিং করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে । মক্কা শরিফে উদ্ভট কালো ও সবুজ রংয়ের একটা ঘড়ি বসানো হয়েছে । এটা মক্কা শহরটার সৌ্ন্দর্যকে শেষ করে দিয়েছে । মক্কা শরিফের চার পাশে শুধু বিলাস বহুল হোটেল ।বিভিন্ন ধরনের প্রাচুর্য্য । মনে হয় মক্কা শহরটা একটা সরাইখানা । হজ্জ করার সময় ছেলে-মেয়ে কোন ভেদাভেদ থাকে না ।আফ্রিাকার কালো মহিলাগুলো উশৃঙ্খল আচরণ করে । বাস্তব জীবনে পর্দার কথা বলা হয় । সেখানে পর্দার কোন বালাই নেই । নারী পুরুষের ধাক্কাধাক্কি ও অবাধ মিশ্রন পরিবেশটার ধর্মীয় আবহকে ধ্বংস করছে । ছেলে-মেয়েদের আলাদাভাবে হজ্জের আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপারে আয়োজকদের যত্মবান হওয়া উচিত । মক্কা শহরের অনেক এলাকা আবর্জনাময় । অনেক এলাকায় মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যা বেশী । আর বিড়ালগুলো দেখতে ভয়ানক । বাংলাদেশের ৫ টা বিড়াল মিলিয়ে এসব বিড়ালের সাইজ হয় । মদিনা শহরটার বেশীর ভাগ রাস্তাই খারাপ । রা্স্তাগুলো ধুলা বালিতে ভরা । অপরিচ্ছন্ন ও অযত্মের ছাপ । রাস্তাগুলো দেখতে ঢাকার বিজয় স্মরণীর মতো ভাঙ্গাচুরা । রাস্তা পরিস্কার করার লোক আছে । এরা বেশির ভাগই বাংলাদেশি ।

আম্মা শুধু খাবারের প্রশংসা করলেন । আর সেখানে নামাজ-কালাম পড়ার অভিলাস ছিল সেটা পুরণ হওয়া তিনি আনন্দিত ।



মক্কা শরীফের মধ্যে অবিস্হিত বিশ্রী স্হাপনা makkah royal clock tower hotel

আমি তার কথা শুনে অবাক হলাম । তেল আর স্বর্ণের উপর যে দেশ ভাসছে । সেই দেশ সম্পর্কে আমার আম্মার মন্তব্য আমি মেনে নিতে পারলাম না । আমার সেই দেশের শাসক সম্প্রদায় ও তাদের মতাদর্শের ব্যাপারে আপত্তি আছে । কিন্তু তার এসব কথা বার বার আমার কাছে অসত্য মনে হচ্ছিল । মনকে সান্তনা দিতে পারছিলাম না । এই কয়েক দিন আগে ফেসবুকে মদিনা শরিফের রাস্তা সম্পর্কিত ভিডিও দেখলাম । ফেসবুকের এই ভিডিওটা দেখে https://www.facebook.com/mufassil.islam/videos/675844419136431/ আমার আম্মার কথার সত্যতা প্রমাণিত হলো ।

সৌদি আরবে চরম অকর্মণ্য ও বিলাসী আরব জনগণ সৃষ্টি হয়েছে । এই দেশে যখন তেল থাকবে না, তখন এসব জনগণ হবে বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া লোক । এই দেশে বিলাস বহুল ও ব্যয় বহুল সেনা বাহিনী গড়ে তোলেছে । চার দিকে মুসলিম দেশ । অথচ কার সাথে বা কোন দেশের সাথে যুদ্ধ করার জন্য এই সেনাবাহিনী ? হ্যা । ঠিকই সৌদি আরব শত্রু খুজে পেয়েছে । ইসরাইলকে বাদ দিয়ে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ বা হুথি নামক বড় রাজনৈতিক দলের সাথে অসম ও হাস্যকর যুদ্ধ শুরু করেছে। এর ফলও হাস্যকর । সৌদি আরব পরাজয় বরন করছে । এই যুদ্ধে ইয়েমেনের এই রাজনৈতিক দলের লোকদের হাতে সৌদি আরবের বড় বড় কমান্ডার ও উচ্চ পদস্হ সেনা সদস্য নিহত হচ্ছেন । আজব হলেও সত্য সৌদি আরবের সেনা সদস্যরা ইংরেজী শুদ্ধভাবে বলা তো দুরে থাক শুদ্ধ আরবী ভাষায়ও কথা বলতে পারে না । যার কারণে তারা যুদ্ধের সময় নিজের মনের ভাবটাও শত্রুদের কাছে তুলে ধরতে পারেনি । (এব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন :

http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65669

ইয়েমেনে সৌদি আরবের আগ্রাসন ও সৌদি আরবের অন্ধকার ভবিষ্যত (১ম পর্ব )

)







সৌদি আরবের সাথে ইসরাইলের দুরত্ব মাত্র ৩ মাইল । সৌদি আরব চাইলে ইসরাইলকে এক হাত দেখাতে পারে । আরব ইসরাইল যুদ্ধের সময় কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ১১৩ বর্গকিলোমিটার আয়তনের তিরান ও সানাফির দ্বীপ ইসরাইল সৌদি আরব হতে দখল করে নেয় ও এগুলোতে ইসরাইল সেনা ঘাটি বানায় । এই কথাটা আমরা অনেকেই জানি না ।

http://www.missionislam.com/conissues/israeloccupy.html





https://en.wikipedia.org/wiki/Straits_of_Tiran

Tiran and Sanafir islands, with respective areas of 80 and 33 sq kilometers, are located at the entrance to the Gulf of Aqaba, east of the Saudi territory.

http://edition.presstv.ir/detail/392080.html



সৌদি আরব হতে ইসরাইলের দখল করা তিরান ও সানাফির দ্বীপ


আজ যখন দেখলাম ইরানের সাথে পশ্চিমারা পরমাণু চুক্তি করেছে । তখন ভাবতে লাগলাম সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের দিন এক দিন শেষ হবে এবং সৌদি আরব ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে ।

পরমাণু চুক্তি শেষ পর্যন্ত হয়েই গেল। হেরে গেল শুধু নেতানিয়াহু। ইসরাইলের এই যুদ্ধবাজ নেতা হেন কোনো পন্থা বাকি রাখে নি চুক্তির পথে বাধা দেয়ার। এমনকি সে জাল কাগজপত্র দেখিয়ে বলেছিল ইরান পরমাণু বোমা বানাচ্ছে। তবু কাজ হলো না।

এদিকে যে ছয় জাতিগেষ্ঠির সাথে দু’বছর ধরে ইরানের আলোচনা চললো তাদের সবারই কয়েক শ করে পরমাণু বোমার মজুদ রয়েছে। কারো কারো তো সহস্রাধিক। ছিল না শুধু ইরানের।



অথচ তারাই এই ‍চুক্তির মাধ্যমে পরমাণু বোমা বানানোর পর্যায় ঠিক করে দিলো । এর ফলে ইরান পরমাণু বোমা বানানোর চূড়ান্ত অবস্হার কাছাকাছি চলে যাবে । আর ইরানের উপর সব ধরনের অবরোধ উঠে যাবে ।

এর ফলে ইসরাইল মনক্ষুন্ন হয় । ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন : "ইরানের সাথে ছয় বিশ্বশক্তির একটি খারাপ চুক্তি হতে যাচ্ছে। এবার ইসরাইলের নিরাপত্তায় আমাদের নিজেদেরকেই সকল ব্যাবস্থা নিতে হবে"

‘ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের নিশ্চিত পথ পেতে যাচ্ছে। দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে ফিরিয়ে রাখতে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেওয়া হবে।’



তিনি আরো বলেন, ‘ইরান বাজির অর্থ পাবে, বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের খনি পাবে। এটা তাদের ওই অঞ্চলে এবং পুরো বিশ্বে আগ্রাসন ও সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে যেতে সাহায্য করবে। এটা একটা বাজে ধরনের ঐতিহাসিক ভুল।’

এদিকে, এ চুক্তির মাধ্যমে ইরানকে হত্যার লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলি সংস্কৃতি মন্ত্রী মিরি রেগেভ।

সৌদি আরব সব সময়ই ভুল করে :

২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে সৌদি আরব কেনো তাদের তেল উৎপাদন ক্ষমতা কেনো বহুগুনে বৃদ্ধি করার জন্য চার বছর মেয়াদে ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে ? এতে বিশ্ব বাজারে অবধারিতভাবে তেলের দাম পড়তে থাকে যার ফলে বর্তমানে বিশ্ব তেলের বাজার পরে গেছে ! সৌদি আরবের তেল প্রচুর পরিমানে উত্পাদন করে তেলের স্তর ভূগর্ভে হ্রাস পেয়েছে ! সৌদি অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিচ্ছে !

অপরদিকে আমেরিকা স্বল্প খরচে তেল কিনে অর্থ বাঁচিয়ে ২০০১ সালের যুদ্ধের ক্ষতি কাটিয়ে উঠেছে আর এর পরেও সৌদি আরবের নিরাপত্তা যোগানোর অজুহাতে যুদ্ধের অনেক খরচও সৌদি কাধে চাপিয়েছে ! এখন আবার তেলের উত্পাদন শুরু করে আমেরিকা বর্তমানে পৃথিবীর এক নম্বর তৈল উৎপাদিনকারী দেশে পরিনত হয়েছে আর তেলের বাজার যাতে আর নিয়ন্ত্রণ করা না যায় সেই প্রেক্ষিতে ওপেক ভুক্ত দেশ না হয়েও ওপেকের বিশ্ববাজার নিয়ন্ত্রনের খর্ব কমিয়ে দিয়েছে !

অপরদিকে সৌদি আরব আইন পরিবর্তন করে সৌদি থেকে যাতে আমেরিকান লগ্নিকারীরা অর্থ নিজ দেহে নিয়ে যেতে পারে তার জন্য আইন পরিবর্তন করেছে ! ঠিক এইভাবেই সৌদি পরিবার এই তেল সমৃদ্ধ দেশে কট্টর সালাফিস্ট হয়েও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার বাইরে রয়ে গেছে !!

প্রকৃতার্থে আমরা যারা পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকি তারা জানি সৌদি আরবের প্রকৃত intrastructure development বলতে কিছুই হয়নি ! দেশটিতে কিছু প্রচন্ড অপব্যয়ী পরিবার তৈরী হয়েছে ! দেশটির তেল শেষ হয়ে গেলে দেশটি মহা অর্থনৈতিক সংকটে পরবে !

সৌদি আরব ইসলামের দেশ নয় :

অনেকে বলে থাকেন আমাদের নবী মুহাম্মদ (সা.) সৌদি আরবে জন্ম গ্রহণ করেছেন । কথাটা ভুল । মুহাম্মদ (সা.) হিজাজ দেশের মক্কা শহরে জন্মগ্রহণ করেন । হাদিস গ্রন্হের কোথাও সৌদি আরব বলে শব্দ নেই । আছে হিজাজ । সৌদি আরব নামটা কুফরী ও শিরকী নাম । ১৯২৪ সালে হিজাজ দেশটা নজদ রাজ্যের ওহাবীরা দখল করে । তারা আরো দেশ দখল করে ওহাবীরা তাদের দেশের নাম দেয় ১৯৩২ সালে সৌদি আরব । হিজাজ দেশটা ওসমানিয়া খিলাফতের করদ রাজ্য হিসেবে শাসিত হত । তার শাসকের উপাদি ছিল শরীফ । সর্বশেষ শাসকের নাম ছিল শরীফ হোসাইন ।

রাসুল (সা.) - এর জন্মস্হান মক্কা আর তার দেশের নাম ছিল হিজাজ যা ১৯২৪ সাল পর্যন্ত ওসমানীয় খিলাফতের অধীনে আধা স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে ছিল । রাসুল সা. - এর সময় সৌদি আরব নামক কোন দেশ ছিল না । বরং সৌদি আরব নামটাই হাদিস ও কুরআনবিরোধী নাম । সৌদি আরব নামক দেশ ইহুদী - খৃস্টানদের সহায়তায় ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় । আর এই দেশ প্রতিষ্ঠার পর ইসলাম ও মুসলিমদের ক্ষতি হয়েছে যা কোন ক্রমেই পুরণ হওয়ার নয় ।

পৃথিবীতে একটি মাত্র দেশ সৌদি আরব যার নামকরণ করা হয়েছে একটি পরিবারের নাম অনুসারে ! "সৌদ" একটি পরিবারের নাম আর তারা আরব ভূমি দখলের পর পুরো দেশটার নাম তাদের নিজেদের পরিবারের নাম অনুসারে বদলে ১৯৩৪ সালে নামকরণ করে "সৌদি আরব" অর্থাৎ সৌদি + আরব = সৌদি আরব !! - মুফাস্সিল ইসলাম

সৌদি রাজত্বের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস দেখুন মাত্র ৩ মিনিটের এই ভিডিওতে https://www.facebook.com/mufassil.islam/videos/708335859220620/ ! সংগ্রহ - মুফাস্সিল ইসলাম

উপসংহার :

ইরান ও ছয় জাতির পরমানু চুক্তির সাথে সাথে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো। মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যের পরিবর্তন হবে । সৌদি আরবের প্রভাবও তুলনামূলকভাবে হ্রাস পাবে । তবে সৌদি আরব সত্যিকার ইসলামের আদর্শে উজ্জীবিত হয় ও দেশকে পুণর্গঠিত করে আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-চেতনার মাধ্যমে তাহলে সৌদি আরব সত্যিকারভাবে মুসলিম বিশ্বে সম্মানজনক অবস্হান লাভ করবে । আর এজন্য সৌদি আরবকে ওহাবী মতবাদ বা সালাফী মতবাদ ত্যাগ করতে হবে এবং গণতন্ত্র-প্রগতি-উন্নায়ন-শান্তির পথ গ্রহণ করতে হবে ।

আরো জানার জন্য পড়ুন :

( ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সাথে চুক্তি স্বাক্ষর - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/38750#sthash.Jo3Pe3Ms.dpuf

http://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/8/40/114124#.VaVZYLXXOf4

ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি ‘ঐতিহাসিক ভুল’: নেতানিয়াহু

ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যক্তির অভিমত :

১. পরমাণু আলোচক দলকে ধন্যবাদ দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা http://goo.gl/AEdU2h

২. প্রতিরোধই পরমাণু আলোচনায় ইরানের বিজয় নিশ্চিত করেছে: রুহানি http://goo.gl/97RpXM

৩. পরমাণু চুক্তি ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ওপর কোনো প্রভাবই ফেলবে না: ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র http://goo.gl/flaqGL

৪. ইরান চুক্তির পেছনে গোটা বিশ্বের সমর্থন রয়েছে: ওবামা http://goo.gl/7CbnLl

৫. পরমাণু চুক্তি ‘বিশাল বিজয়’: বাশার আসাদ http://goo.gl/4nFTbz

৬. পরমাণু চুক্তি মানবে না ইসরাইল: নেতানিয়াহু http://goo.gl/bb5Od8

৭. ইরানের সঙ্গে চুক্তি ইসরাইলের জন্য মৃত্যুদণ্ড: লিন্ডসে গ্রাহাম http://goo.gl/x7fsYE

৮. পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ইরান যা কিছু পাচ্ছে http://goo.gl/M2t5pK

)

বিষয়: বিবিধ

৪১৬৩ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

330032
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৩১
রক্তলাল লিখেছেন : এবার মক্কার উপরে হামলা করল এই ফখরুল পাগলা।

১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৩৯
272285
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমার লেখার মধ্যে মক্কার উপর হামলা করার কথা আছে কি ?

আপনার লেখাগুলোতে কেহ যদি দিনের পর দিন অযাচিত ও অবাঞ্চিত মন্তব্য করতে থাকে এবং আপনাকে বিরক্ত করতে থাকে , তখন আপনার কেমন লাগবে ? এসময় ঐ ব্যক্তির ক্ষেত্রে আপনি একজন লেখক হিসেবে কী করা উচিত বলে মনে করেন ।

ভাল কথা । আপনি তো শিবির । শিবিরের সিলেবাসে আদর্শ কীভাবে প্রচার করতে হয় - এমন একটা বই আছে কি ?

আপনি যেভাবে মন্তব্য করছে , তা কি শিবির কর্মীদের পঠিত বইয়ের বিষয়বস্তু অনুযায়ী হয় কি ?

যদি না হয়, তাহলে কেন আপনি বা আপনারা আমার লেখাগুলোত অবাঞ্চিত ও অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য লিখেন ?

এতে আপনার বা আপনাদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ে ? এতে আপনার বা আপনাদের সোয়াব হয় কি ?

আশা করি উত্তর দিবেন ।
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৪৮
272286
রক্তলাল লিখেছেন : আপনার কর্মকান্ডের সাথে ইসলাম, শিবির, সওয়াব, যুক্তি কিছুরই সম্পর্ক পাইনা।

শুধু মনে হয় ব্যাক্তিগত আক্রোশ থেকে এক বদ্ধ উন্মাদের খিস্তি খেউড়। নিজেকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে দাদা খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৪:১৯
272289
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমার সোয়াব হলো কি হলো না বা আমি সোয়াবের কাজ করছি কি না - এই ব্যাপারে আমি নিজে আল্লাহর কাছে জবাব দিবো । আল্লাহ কি আমি কি করছি বা করবো - এই ব্যাপারে আপনাকে পুলিশ বা নজরদারীর দায়িত্বশীল হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন কি ?


আমার এই লেখাটা একটা সংবাদ বা বড় জোড় পত্রিকার কলাম । এটার মধ্যে সোয়াব বা গুনাহ হওয়ার কি সম্পর্ক ।

আমার এই বিষয়ের লেখাটা আপনার ভাল না লাগলে আপনি চাইলে এই বিষয়ে একটা লেখা লিখতে পারেন । কেহ তো আপনাকে নিষিদ্ধ করেনি ।


এই লেখাটা একটা আন্তজার্তিক ইসু । এটার মধ্যে আমি শিবির, সওয়াব, যুক্তি - এই কথাগুলো কি ব্যবহার করেছি ?


আপনার কাছে যেটা ব্যক্তিগত আক্রোশ সেটা আমার কাছে ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতা । আমি এপর্যন্ত চারটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি । কাছ থেকে ছাত্র সংগঠণের কর্মীদের দেখেছি । তাদের কর্মকান্ড আমার কাছে বিন্দুমাত্র কল্যাণকর মনে হয়নি ।

আমি দেখেছি ডবল ফার্স্ট ডিভিশন পাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে অস্ত্র আইনে ১১ বছরের জেল খাটতে । অথচ বিন্দুমাত্র তার সহয়োগীতায় এগিয়ে আসেনি তার পৃষ্ঠপোষকরা । আমি দেখেছি হল দখল নিয়ে সংগঠণগুলো মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রতিপক্ষকে গুলি করতে যেয়ে নিজ ছাত্র সংগঠণের দুই সহযাত্রীকে ভুল বশত গুলি করে হত্যা করতে ।

আমি দেখেছি গুলিতে নিহত শিক্ষকের ছেলেকে যাকে ভুলবশত হত্যা করেছি তারই আদর্শে বিশ্বাসীরা । চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) শিক্ষার্থী মুশফিক সালেহীন- এর কথা বলছি ।


কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র না হয়েও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করার প্রস্ত্ততি হিসেবে বোমা বানাতে যেয়ে নিজের বোমাতেই আব্দুল ওয়াহিদ বোমা বিস্ফোরণে অঙ্গার হয়ে যাওয়ার মুখ আমি দেখেছি ।

আপনি কি বলবেন এগুলো আমার ব্যক্তিগত আত্রোশ । যারা অকালে মারা গেলো তারা কি আমাদের কারো ভাই নয় কি ? তাদের আপনারা কি ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন ? তাদের পরিবারগুলোকে আপনারা কি দিয়েছেন ? তাদের এঅবস্হার জন্য দায়ি কারা ?

আশা করি উত্তর দিবেন ।

আপনার প্রিয় ব্যক্তিত্ব গোলাম আজমের একটা ছেলেরও তো এমন অবস্হা হলো না - এর কারণ কি বলতে পারেন ?

খিস্তি-খেউর কে করছেন তা সবাই দেখছে । আপনি আমাকে : “এই ফখরুল পাগলা” বলেছেন । এটা কোন ধরনের শিষ্টাচার ?
330045
১৫ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৪৯
ছালসাবিল লিখেছেন : চলুন মক্কায় হামলা করি! তাদের কাছ থেকে কাবা ঘড় ছিনিয়ে নেই!!
Unlucky Unlucky Unlucky Unlucky

আপনি এততত দিন ছিলেন ওহাবীব্রেলভী, কাদিয়ানি, ইহুদী, আজকে দেখলাম আপনি একাধারে শিয়া! Smug Smug Smug Frustrated

গ্রামদেশে একটি কথা আছে যা আপনার জন্য প্রযোয্য মনেহচ্ছ Big Grin
"ছালনেই কুত্তার বাঘা নাম" Unlucky Big Grin
১৫ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:১৩
272305
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এটা একটা আন্তজার্তিক সংবাদ বিষয়ক কলাম ধরনের লেখা । কথা প্রসঙ্গে আমার আম্মার সাথে যে সব কথা হয়েছে তা তুলে ধরেছি ।

কোন বিবেকবান মানুষ বলবে না ঐহিত্যবাহী মক্কায় কুচ্ছিত স্হাপনা বানানো ভাল কাজ ???? আর মক্কার সৌন্দর্য নষ্ট করা ভাল কাজ ???
মক্কার ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য নষ্ট করা ভাল কাজ ???

আমার প্রতিটা লেখায় আপনি অপ্রসাঙ্গিক মন্তব্য লিখছেন ।

এজন্য আপনাকে ব্লক করা হলো ।
330067
১৫ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:২২
বাকপ্রবাস লিখেছেন : # ঘড়িটি নিয়ে এ প্রথম মন্তব্য শুনলাম, কেউ দেখতে মন্দ বলেনি, আমার কাছে মনে হল সৌন্দর্য আরো বেড়ছে।

# সৌদি আরব এর রাস্তাঘাট এর সাথে ইরানের পরমাণু চুক্তির কোন সংযোগ আছে বলে মনে হয়না

# সৌদি ইসরাইল স্বার্থ এখন ঝুকিতে এতে আপনার মতামত কি? এই চুক্তি কি ঠিক আছে? ইসলামের জন্য মঙ্গলজনক কিছু আছে? আপনার মতামত কি?
১৫ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:২৯
272320
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : মক্কা শরিফের প্রচলিত নান্দনিকতা ধ্বংস হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বের আর্কিটেট ও স্হাপত্যবিদরা তাদের মহল আলোচনা করেছিলেন । এই ব্যাপারে ইতিহাসবিদ আর প্রত্মতত্ববিদরাও সোচ্চার ছিলেন ।

সৌদি আরব এর রাস্তাঘাট নিয়ে অবশ্যই চিন্তা করতে হবে । কারণ আত্ তুহুরু সাতরুল ইমান । ময়লা আবর্জনা পুতিগন্ধময় পরিবেশ ইসলাম অনুমোদন করে না ।


আমার লেখাটা একটা খবরের সংকলন মাত্র । তবে এতে আমার পরিবারের কিছু অভিমত আমি যুক্ত করেছি ।

প্রশ্ন : সৌদি ইসরাইল স্বার্থ এখন ঝুকিতে এতে আপনার মতামত কি?

উত্তর : যত দিন যাবে সৌদি আরবের রাজারা নিজের গদি ঠিক রাখার জন্য ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করতে থাকবে । অপর দিকে পশ্চিমা বিশ্বও ইসরাইলের মানবতাবিরোধী কাজকে দিনের পর দিন মেনে নিবে না ।

পশ্চিমের দেশগুলোও আগের মতো তেল সমৃদ্ধ দেশগুলো নিয়ে আগের মতো মাথা ঘামাবে না । কারণ আমেরিকার তেল সমস্যা মিটে গেছে । কানাডায় বড় তেল খনি আছে । উপরন্তু বিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানী আবিস্কার হয়েছে ও ব্যবহার বেড়েছে । পশ্চিমা বিশ্বও সৌদি আরবের অগণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও চলমান রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে সামান্য হলেও বিরক্ত । কারণ সৌদি আরব সারা বিশ্বে সন্ত্রাস ও ওহাবী মতবাদ প্রচার করছে ।

প্রশ্ন : এই চুক্তি কি ঠিক আছে?
উত্তর : এই চুক্তিতে উভয় পক্ষ লাভবান হয়েছে বলে মনে করি ।

প্রশ্ন : ইসলামের জন্য মঙ্গলজনক কিছু আছে?
উত্তর : ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য এই চুক্তি মঙ্গলজনক ।

প্রশ্ন : আপনার মতামত কি?

উত্তর : ইরান মুসলিম বিশ্বের অগ্রসরমান দেশ হলেও ইরানের শিয়া মতবাদের অনেক দিক সুন্নী মুসলিমদের কাছে অগ্রহণযোগ্য । যেমন : মুতা বিয়ে, বার ইমামপন্হী মতবাদ ও ইমাম মেহেদী সম্পর্কিত শিয়া ধারণা এবং ১০ ই মহররম উপলক্ষ্যে উদ্ভট কর্মকান্ড জনসম্মুখে প্রদর্শণ ।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মতবাদ যাই হোক না কেন প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী শাসক ও ধর্মনেতাদের কারণে দিন দিন মধ্যপ্রাচ্যই নয় বিশ্বময় ইরানের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি ।

তবে সৌদি আরব যদি তার অবস্হানকে সুসংহত করতে চায় তাহলে সৌদি আরবকে ইরানের প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী শাসক ও ধর্মনেতাদের মতোই আচরণ করতে হবে এবং ওহাবী মতবাদ পরিত্যাগ করে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নির্ভর আঘুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক সৌদি আরব গড়ে তোলতে হবে । অন্যথায় সৌদি আরব বিশ্বে একটি অগুরুত্বপূর্ণ দেশে পরিনত হবে । তার মর্যাদা বড় জোড় ভ্যাটিক্যান সিটি-র মতো হয়ে দাড়াবে ।
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৩৫
272339
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67156 আমার এই লেখাটা পড়ুন । এতে আপনার মন্তব্যের জবাব রয়েছে । সৌদি আরব এর রাস্তাঘাট নিয়ে আলোচনা রয়েছে ।
330072
১৫ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:৩৯
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন :

আপনার শ্রদ্ধেয় আম্মার উপরোক্ত মন্তব্যগুলো পড়লাম, আমি কোন মন্তব্য করলাম না। কেননা সেটা তাঁর অভিব্যক্তি। আমার প্রশ্ন মুসলমানদের একটি ঐতিহাসিক নিদর্শনের সৌজন্যে এইভাবে কথাগুলো লিখে দেবার আগে কারো নিকট থেকে প্রশ্ন করেছিলেন কি মক্কার বিড়ালও বৃহদাকায়! মক্কায় নোংড়ার ছড়াছড়ি! নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা সেখানে!

কোটি কোটি মানুষ প্রতি বছর হজ করছে। তাদের কারো চোখে কি এসব পড়েনা। আমিও বহুবার মক্কা-মদিনায় গিয়েছি। আপনার সৌদি বিদ্ধেষের সাথে মুসলমানদের আন্তরিকতাকে ক্ষত করার যে প্রয়াস সেটা কি সঠিক ইসলাম প্রচারের সার্থে! নাকি কেউ যাতে ইসলাম কে নিয়ে কষে দুটো গালাগালি করে দিতে পারে তার জন্য অনুপ্রেরনা।

১। ধরুন হজ এর সময়ে ২০ লক্ষ মানুষ হজ্ করতে গেলে, প্রতি জন হাজি দৈনিক ১ কেজি করে মলত্যাগ ও তাদের পিছনে ১ কেজি করে উচ্ছিষ্ট তৈরী হলে দৈনিক ৪০ হাজার মেট্রিক টন নোংরা সৃষ্টি হবে। সুতরাং মক্কায় কোথাও নোংরা চোখে পড়তে পারে, তবে লাখ লাখ টন বর্জ্য যে তারা প্রতিনিয়ত সাফাই করছে আপনি সেটা দেখেননি! এই অভিজ্ঞতা দুনিয়ার আর কারো কাছে নাই। এসব আপনার না দেখার কথা কেননা আপনি তো ভূল-ভ্রান্তি খোজার লোক।

২। আরব দেশে কাজ করে বাংলাদেশী শ্রমিক যেভাবে কোটি কোটি টাকা দেশে নিয়ে যাচ্ছে। সেটা যদি উল্টো আমাদের দেশের বেলায় হত, কেউ অর্থকড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারত না। ঢাকা এয়ারপোট থেকে পুলিশ আর সরকারী গুন্ডারা মালামাল সহ পরনের কাপড় খুলে রাখত। এখন আরবীরা অন্যের হকের প্রতি অন্য দেশের চাইতে অনেক সহনীয়।

৩। যদি আপনার প্রিয় ভূমি আমেরিকানেরাও এই দায়িত্ব পেত তাহলেও তারা ভাস্কো দা গামা আর কলম্বাসের মত লুণ্ঠন করত।

৪। সৌদি আরব মুসলিম রাষ্ট্র তবে ইসলামী রাষ্ট্র নয়। তারা নিজেদের ইসলামী রাষ্ট্র দাবী না করেও কিছুটা ইসলামী শরিয়ত অনুসরন করে। আপনি অবিকল ইসলামী রাষ্ট্রের নমুনা নিয়ে তাদেরকে অব্যাহত, নিষ্ফল, ব্যর্থ ও হাস্যকর আক্রমন করে যাচ্ছেন। তাতে আমাদের কোন ব্যথা নাই তবে বুদ্ধিমতা, প্রজ্ঞা, কান্ডজ্ঞান হারিয়ে মাঝে মধ্যে এমন মন্তব্য করেন সেটা সরাসরি মুসলমান ও ইসলামী বুনিয়াদের উপর আঘাত করে বসে। আমার প্রশ্নটা সেখানে।

আল্লাহ ভাল জানেন আপনার প্রকৃত লক্ষ্য কি? উদ্দেশ্যই বা কি? কেনই বা আপনি এতটা উম্মাদ ও ক্ষুব্ধ। পাগল নিজেকে বাদ দিয়ে দুনিয়ার সকল মানুষকে পাগল ভাবে। আপনিও সেভাবে চোখ বন্ধ করে নিজেকে বাদ দিয়ে দুনিয়ার সকল ইজম, মতাদর্শ, দল ও গোষ্টিকে পাগল বানিয়ে ছাড়ছেন। নিজেকে প্রকৃত, সাচ্ছা মুমিন হিসেবে গন্য করে একাই জান্নাতুল ফেরদাউসের পথ আগলে রেখেছেন।
১৫ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:২৩
272325
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67146
কাবা শরীফে নারী পুরুষের ধাক্কাধাক্কি ও অবাধ মেলামেশা চরম ইসলামবিরোধী - আপনাকে আমার এই লেখাটা পড়ার অনুরোদ করছি । তাহলে আপনি আমার লেখার অংশটা জবাব পেয়ে যাবে না ।
ফেসবুকে মদিনা শরিফের রাস্তা সম্পর্কিত ভিডিও দেখলাম । ফেসবুকের এই ভিডিওটা দেখে https://www.facebook.com/mufassil.islam/videos/675844419136431/ আমার ধারণা সঠিক প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করি । কারণ আমি সৌদি আরব ভ্রমণ করি নাই ।

সৌদি আরব রাজতান্ত্রিক দেশ । এদেশ জনগণকে প্রতিভা-মেধা-দক্ষতা-যোগ্যতা বিকাশের পথকে ‍বন্ধ করে রেখেছে । জনগণের আচরণ মধ্য যুগীয় ।

আমি আপনার পয়েন্টগুলোর উত্তর দিচ্ছি :
১। আমি সৌদি আরব ভ্রমণ করি নাই । আপনার কথা শুনে আমি বাস্তব অবস্হা অনুধাবন করতে পারবো না । উপরন্তু বিভিন্ন মিডিয়ায় হজ্জের উপর অব্যবস্হাপনার উপর খবর প্রকাশ হয় । আমার আব্বা যখন প্রথম হজ্জ করেন তখন মক্কায় একটা হোটেল ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশে যায় । অসংখ্য হাজী শহীদ হয় । উল্টা হজ্জ মন্ত্রী আওয়াদ মাদানী বলেন এই দালান ভেঙ্গে পরার সাথে অবৈধ হাজীরা দায়ী । আমি চেষ্টা করলে তার এই কথার ভিডিও দেখাতে পারবো ।

২। আরব দেশে কাজ করে বাংলাদেশী শ্রমিক যেভাবে কোটি কোটি টাকা দেশে নিয়ে যাচ্ছে। সেটা যদি উল্টো আমাদের দেশের বেলায় হত, কেউ অর্থকড়ি নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারত না।

উত্তর : আপনার কথা সঠিক নয় । বাংলাদেশে ৫ লক্ষ ভারতীয় সহ ১২ লক্ষ বিদেশী কাজ করে । আমি যে অফিস চাকুরী করি এখানে ভারতীয়, চাইনিজ ও জার্মাণ নাগরিকরাও কাজ করেন । তাদের আমাদের চেয়ে ২০ গুণ বেতন ও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় । সৌদি প্রবাসীরা যত পরিমান রেমিটেন্স পাঠায় তার চেয়ে বেশী টাকা ভারতীয়রা বাংলাদেশ হতে ভারতে পাঠায় । ভারতের রেমিটেন্স পাপ্তির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ চতুর্থ ।

৩। যদি আপনার প্রিয় ভূমি আমেরিকানেরাও এই দায়িত্ব পেত তাহলেও তারা ভাস্কো দা গামা আর কলম্বাসের মত লুণ্ঠন করত।

উত্তর : আমেরিকা আমার প্রিয় দেশ না । বাংলাদেশ আমার জন্মভুমি ও স্বদেশ । বাংলাদেশ আমার প্রিয় দেশ ।

৪। সৌদি আরব মুসলিম রাষ্ট্র তবে ইসলামী রাষ্ট্র নয়। তারা নিজেদের ইসলামী রাষ্ট্র দাবী না করেও কিছুটা ইসলামী শরিয়ত অনুসরন করে।

উত্তর : সৌদি আরব মোটেও ইসলামী রাষ্ট্র নয় । তবে মানুষকে ধোকা দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে অনেক কাজ করে থাকে । আর সৌদি আরবের অনেক আইন-কানুন বর্বর এবং মানব সভ্যতা বিরোধী ।

কিছু দিন আগে খবর বের হয়, এক ধর্ম প্রচার তার ৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেন । তিনি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন । তাকে মুক্তি দেওয়া হয় ।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সী শিশু মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যাকারী সৌদি আরবের তারকা ধর্মপ্রচারক ফায়হান আল ঘামদিকে মুক্ত করে দিয়েছে দেশটির আদালত। আপন মেয়ে লামাকে উপুর্যপুরি ধর্ষণের পর নির্মম নির্যাতন করে হত্যার দায় থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে ‘রক্তপণ’ বা ব্লাড মানির বিনিময়ে।


ফায়হান আল ঘামদি তার মেয়ে লামাকে ধর্ষণের পর নির্যাতন করে তার মাথার খুলি, পিঠ, পাঁজর, বাঁ-হাত ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া নির্যাতনের সময় থেতলানোর কারণে মেয়েটির শরীরজুড়ে অসংখ্য জখম ও কালশিটে দাগ পড়ে। এমনকি মেয়েটির শরীরের একটি অংশও পুড়িয়ে দেয় ওই পাষণ্ড বাবা- তথাকথিত ধর্মপ্রচারক ফায়হান। সমাজকর্মীরা জানান মেয়েটিকে উপর্যপুরি ধর্ষণের পর আগুনেও পোড়ানো হয়।


ওমেন টু ড্রাইভ নামের একটি ক্যাম্পেইন গ্রুপ জানিয়েছে, ফায়হান আল ঘামদি নিজেও তার মেয়ে লামার কুমারীত্ব নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় মেয়েটিকে বেত ও বিদ্যুতের তার দিয়ে পেটানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।


এমন গুরুতর একটি অপরাধের জন্য ফায়হান নামের ওই ধর্মপ্রচারককে মৃত্যুদণ্ড বা দীর্ঘ কারাদণ্ড না দিয়ে শুধুমাত্র কয়েকমাসের কারাদণ্ডের পর রক্তপণের বিনিময়ে মুক্ত করে দেয় সৌদি আরবের আদালত।


আলবাওয়াবা নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর পেছনে যুক্তি হিসেবে বিচারকরা রায় দেওয়ার সময় বলেছেন, রক্তপণ দেওয়া ও লামার মৃত্যুর পর থেকে সায়হান যতদিন জেলে খেটেছে তাতেই তার যথেষ্ট শাস্তি হয়েছে।


সৌদি আরবের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ফায়হান আল ঘামদি তার স্ত্রী এবং মেয়ে লামার মা-কে রক্তপণ বাবদ প্রায় সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয়েছেন। ইসলামি শরীয়তের আইনানুযায়ীই লামার মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হিসেবে এই পরিমাণ অর্থ ধার্য করেছে আদালত। তবে লামা যদি ছেলে হত তাহলে এই অর্থের পরিমাণ হত দ্বিগুন।


ওমেন টু ড্রাইভ নামের সংগঠনটি আরো জানিয়েছে, সৌদি আরবের আইন-কানুন খুবই কঠোর হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে নিজ সন্তানকে হত্যার দায়ে পিতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিধান নেই। তেমনিভাবে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না।






https://www.youtube.com/watch?v=cSlbgV5aAjk&html5=1 vvi vvii
https://www.youtube.com/watch?v=n1EWQVcBSPg

এই দুই ভিডিওতে বিস্তারিত তথ্য আছে ।

আরো তথ্য :

https://en.wikipedia.org/wiki/Fayhan_al-Ghamdi
https://www.youtube.com/watch?v=-zDh5OkmRJQ&html5=1
http://www.independent.co.uk/news/world/middle-east/saudi-preacher-who-raped-and-tortured-his-five-yearold-daughter-to-death-is-released-after-paying-blood-money-8480440.html

http://www.dhakatimes24.com/2015/07/07/73465/শিশু-মেয়েকে-ধর্ষণের-পর-হত্যাকারী-সৌদি-ধর্মপ্রচারক-মুক্ত#sthash.SSX8OaVY.QyXXnjiL.dpuf


আমার লক্ষ্য আধুনিক-বিজ্ঞানমনস্ক-জ্ঞানভিত্তিক-সহনশীল মুসলিম উম্মাহ গঠণ করা । আর আমি সেই লক্ষ্যে জনমত গঠণ করছি ।
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৩৪
272338
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/67156 আমার এই লেখাটা পড়ুন । এতে আপনার মন্তব্যের জবাব রয়েছে ।
330132
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:২৮
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : রাস্তা নোংরা করার ব্যাপারে মানুষ নিজে সচেতন না হলে আসলে আইন করে লাভ নেই । আইন তো বাংলাদেশেও আছে কয়জন মানে? অন্য সময়ের কথা জানিনা হজ্জের সময় মিনাতে, মক্কায় যে পরিমান মানুষ হয় প্রচুর ভলান্টিয়ার কাজ করে নিজেই দেখেছি তাও পরিষ্কার রাখা সম্ভব হয়না ।
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ১১:৫২
272356
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি আম্মার কথা লিখেছি । তিনি আব্বার সাথে হজ্জ করতে যান । তার চোখে অব্যবস্হাপনা চোখে পড়েছে । বাংলাদেশিরা অল্প কয়টা রিয়াল পাওয়ার জন্য হার ভাঙ্গা খাটুনিতে ব্যস্ত । তার মতে এসব বাংলাদেশি দেশে থাকলেই দেশের উন্নতি হতো । তার কথা হলো : জমিতে ধান মাড়াই করার জন্য ১০০০ টাকা দিয়েও লোক পাওয়া যায় না । বলদিয়া কোম্পানী নামক ময়লা পরিস্কার করার কোম্পানীতে বাংলাদেশিরা স্বল্প বেতনে চাকুরী করে ও সৌদি আরবে মানবেতর জীবন যাপন করে । উপরন্তু তারা সৌদি নাগরিকদের গালি গালাজ - অত্যাচার-নিপীড়নের স্বীকার হন ।
330162
১৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:২২
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : একটা বাজে পোষ্ট
১৬ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:০৮
272406
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : কি কি কারণে বাজে পোস্ট হলো - সেসব কারণ উল্লেখ করুন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File