জামায়াত - শিবিরের শক্তির উৎস ? পর্ব – ১

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৩ জুলাই, ২০১৫, ০৯:৩৩:৫১ রাত



জামায়াতের শক্তির উৎস সম্পর্কে আমরা বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা তেমন কিছুই জানি না ।

অনেকে বলেন ছাত্র শিবির সারা বাংলাদেশে ৫ হাজার আস্তানা বা মেস বানিয়েছে । এগুলোতে কোমলমতি ছাত্রদের ব্রেনওয়াস করা হয় ও প্রায় বিনা মূল্যে থাকা ও খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় । এসব আস্তানাই জামায়াত- শিবিরের শক্তির উৎস ।

অনেকে বলেন, প্রতি বছর সৌদি আরব-সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো জামায়াত-শিবির-সহ প্রায় সব ইসলামী দলগুলোকে বাংলাদেশের বাজেটের দশ ভাগের এক ভাগ পরিমাণ টাকা যাকাত-ফিতরা ও দান হিসেবে দান করেন । এসব অর্থই জামায়াত-শিবিরই নয় প্রায় সব কথিত ইসলামী দলগুলোর শক্তির উৎস ।



শিবির কর্মীদের বহুল পঠিত দুইটা জিহাদী বই । ছেলেদের মগজ দোলাই করার জন্য এই দুই বই শিবিরের মেসগুলোতে প্রতি দিন নিয়মিত পড়ানো হয় । বাংলাদেশে শিবিরের ৫ হাজার ছাত্রাবাস বা মেস আছে । সেখানে প্রায় বিনামুল্যে ছেলেদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্হা ছাড়াও চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্হা রয়েছে ।

অনেকে বলেন, জামায়াত-শিবিরের শক্তির প্রধান উৎস হলো : জিহাদী বই যাকে জামায়াত-শিবিরের লোকরা ইসলামী সাহিত্য বলে থাকে । ( এগুলো মূলত ওহাবী বুকস বা সন্ত্রাসী গ্রন্হসমূহ বা মওদুদী সাহিত্য বা ওহাবী সাহিত্য বা সালাফি সাহিত্য ) ।

অনেকে বলেন, জামায়াত-শিবিরের শক্তির প্রধান উৎস হলো : ওহাবী গান যাকে জামায়াত-শিবিরের লোকরা ইসলামী সংগীত বলে থাকে । কারণ ওহাবী গান বা জিহাদী গান শুনে অনেক ছেলে জঙ্গীবাদী হয়ে হয়ে যায় ।

https://www.youtube.com/watch?v=dkGBD72j2f8




বিখ্যাত ওহাবী গান বা জিহাদ গান গায়ক ও বিখ্যাত ওহাবী ধর্মব্যবসায়ী তারেক মনোয়ার । এই গানটা শুনে আমার পরিচিত অনেকেই জামায়াত-শিবিরের প্রতি দুর্বল হয়ে যায় । সুতরাং এসব গানও জামায়াত-শিবিরের শক্তির উৎস

অনেকে বলেন, জামায়াত-শিবিরের শক্তির প্রধান উৎস হলো : ছাত্রী সংস্হার নিকাবী মেয়েরা । কারণ এসব নিকাবী মেয়ে মওদুদী মতবাদ বা ওহাবী মতবাদ প্রচার করে থাকে । উপরন্তু তাদের প্রতি অনেক ছেলে আকৃষ্ট হয়ে তাদের বিয়ে করে মওদুদী মতবাদ গ্রহণ করে থাকে ।



অনেকে বলেন থাকেন, ইসলামী ব্যাংকগুলো জামায়াত-শিবিরের শক্তির উৎস । এক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশই ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রতি বছর সারা বাংলাদেশে ৩ লাখ জামায়াত-শিবিরকে সাবলম্বী করা হয় ।

কথাগুলো যুক্তি সংঘত । আমি এই বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে এই ধারাবাহিক লেখায় তুলে ধরবো । এই লেখা মুলত জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে লেখা হলেও প্রাসঙ্গিকতার কারণে বাংলাদেশের কথিত ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর অশুভ তৎপড়তা সম্পর্কেও আলোচনা করবো । নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইট অনুযায়ী বাংলাদেশে ১২ টা নিবন্ধিত কথিত ইসলামী দল রয়েছে । এগুলোর কার্যক্রম বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অবৈধ ।



উৎস : নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহ -

http://www.ec.org.bd/Bangla/RegisteredPoliticalPartyBng.php

জামায়াত -শিবির ও গুপ্ত ঘাতক সম্প্রদায় :

জামায়াত-শিবির ইসলামের ইতিহাসের প্রাথমিক যুগের গুপ্তঘাতক সম্প্রদায়েরই মতো । আমরা জানি না কেন জামায়াত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে শক্তিশালী । ফেসবুকে এই ব্যাপারে একটা স্যাটাস দিয়েছিলাম । তা আজ এই ব্লগে শেয়ার করছি ।









সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে জামায়াতের অবস্হান মজবুত হওয়ার কারণ :

সীমান্তবর্তী ৩১টি জেলাতে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনার জামায়াত -শিবিরের জনসমর্থন বেশি । এর অনেক কারণ আছে । যেমন :

১. সীমান্তবর্তী ৩১টি জেলা দেশের দুরবর্তী স্হান হওয়ায় সরকার গুরুত্ব দিতে পারে না ।

২. সীমান্তবর্তী জেলা দুরবর্তী স্হান হওয়ায় উন্নায়ন কম হয় । উন্নায়ন কম যেখানে হয় সেখানে বিরোধী দল শক্তিশালী থাকে । যেমন : মালয়েশিয়া । এর তেরেঙ্গানু ও কেদাহ প্রদেশ থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী । অন্য অঞ্চল হতে কম উন্নত । এসব এলাকায় মালয়েশিয়ার ইসলামপন্হী রাজনৈতিক দল শক্তিশালী ও এই দল কয়েক দশক ধরে এই এলাকা শাসন করছে ।

৩. দেশের সীমান্তবর্তী ও দরিদ্র এলাকা হওয়ায় মানুষকে প্রভাবিত করা সহজ । আর জামায়াতও বিদেশ হতে টাকা এনে নাম মাত্র উন্নায়ন প্রকল্প চালু করে মানুষের মগজ দোলাই করছে ।







জামায়াতী ড্রেস কোড অনুযায়ী পোষাক পড়া জামায়াতের মহিলা কর্মীদের একাংশ

৪, সীমান্তবর্তী অনেক এলাকায় আহলে হাদিস বা ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসী লোক বেশী । যেমন : চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগা, ঠাকুরগাও ও রাজশাহী । এই মতবাদ মওদুদী মতবাদ-এর অনুরূপ । জামায়াত মওদুদ মতবাদ দ্বারা পরিচালিত হয় ।

৫. সীমান্তবর্তী অনেক জেলার লোকদের বড় অংশ গোড়া ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন ধার্মিক । এই কারণেও সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে জামায়াত শক্তিশালী ।

৬. জামায়াত বাংলাদেশকে দখল করার জন্য দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকাকে বেছে নিয়েছে । যেমন : সাতক্ষীরা । জামায়াত এই জেলায় দুই দশক ধরে রাজত্ব করছে । এই জেলার আওয়ামী লীগে ভোট দেওয়া লোকরাও জামায়াত করে । কারণ জামায়াত না করলে তারা না খেয়ে মারা যাবে । এই জেলার অর্থনীতি পুরাটাই জামায়াত দখল করে নিয়েছে । সাতক্ষীরার মতো দুর্গম জেলাকে জামায়াত দখল করে পর্যায়ক্রমে তালেবানী স্টাইলে বাংলাদেশটা দখল করতে পারবে ।

মওদুদী মত অনুযায়ী এমন স্হানকে দারুল আমান বলা হয় । দারুল আমান মূলত জিহাদ করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত । জামায়াত যেহেতু জিহাদী বা সন্ত্রাসী নীতির মাধ্যমে দেশ দখল করে মওদুদী মতবাদ প্রচার ও প্রসার করতে চায় – এজন্য জামায়াত সীমান্তের দুর্গম জেলাগুলোকে বেছে নিয়েছে । শোনা যায়, এবার সাইদীকে চাদে দেখার পর জামায়াত-শিবিরকে এক হাত দেখানোর জন্য ভারত হতে সরকার সৈন্য সংগ্রহ করেছিল । তারপরও এই জেলা হতে জামায়াতকে সমূলে উৎপাটন করা যায়নি ।

৭. সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে চোরাচালান ও অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় । জামায়াত যেহেতু মওদুদী মতবাদে বিশ্বাস করে সেহেতু চোরাচালান ও অবৈধ অর্থ লেনদেন করা জায়েজ বলে জামায়াত – শিবির বিশ্বাস করে । কারণ এতে সংগঠণ শক্তিশালী হবে ।


http://www.youtube.com/watch?v=8TBesWLI604

জামায়াতী গান বা ওহাবী সংগীত বা সালাফী গান

৮. সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও বান্দরবানে জামায়াতের প্রভাব রয়েছে । কারণ সেখানে নির্যাতিত রোহিঙ্গা জাতির মুসলিমরা জামায়াতকে সাহায্য করে । জামায়াত তাদের অবৈধভাবে বাংলাদেশী বানিয়ে ভোট ব্যাংক তেরী করেছে ।




http://www.youtube.com/watch?v=b5hlO6YC7g4

বাংলাদেশী মুসলিমদের গান যাতে আছে ধার্মিকতা ও সংস্কৃতি




http://www.youtube.com/watch?v=2imrWCIeI2Y

বাংলাদেশী মুসলিমদের গান যাতে আছে ধার্মিকতা ও সংস্কৃতি

৯. সীমান্তবর্তী প্রতিটা জেলার আশে পাশে ভারতের সন্ত্রাসী , স্বাধীনতাকামী সংগঠণ, চোরাকারবারী ও বিরোধী দলগুলো শক্তিশালী । ভারতের এসব গোষ্ঠী তাদের নিজেদের স্বার্থে জামায়াতকে পরীক্ষিত বন্ধু মনে করে । যেমন : তৃণমূল কংগ্রেস , কমিউনিস্ট পার্টী অব ইন্ডিয়া, ত্রিপুরা, কামতাপুর লিবারেশন আর্মী, জামায়াতে ইসলামী হিন্দ, উলফা, দার্জিলিং মুক্তি মোর্চা .... ইত্যাদি ।

ভারতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় সব মুসলিম নেতা জামায়াতে ইসলামী হিন্দের নেতা । এটা মূলত জামায়াতে ইসলামী ভারতীয় অংশ । তৃণমূল কংগ্রেসের জামায়াত নেতা ইমরান আহমেদ জামায়াতকে বাচানোর জন্য ভারতের নকশালপন্হি কমিউনিস্টদের সাথে মিলে অবৈধ অর্থ বাংলাদেশে পাঠান বলে আমরা জেনেছি । এজন্য ভারত ও বাংলাদেশ সরকার চিন্তিত ।



উপসংহার :

কাউকে বা কোন গোষ্ঠীকে হেও করা আমার উদ্দেশ্য নয় । আমি আমার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরলাম মাত্র ।

আমি মনে করি, বাংলাদেশের প্রতিটা রাজনৈতিক দলের উচিত স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্নভাবে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালানো ও তাদের উচিত বাংলাদেশের জনগণের প্রচলিত ধর্মবিশ্বাসকে শ্রদ্ধা করা । কারণ বাংলাদেশের মানুষ ধার্মীকতা পছন্দ করে । কিন্তু তারা উগ্র ও যুদ্ধাংদেহী কোন মতবাদকে মনে প্রাণে কখনোই গ্রহণ করেনি । কিন্তু সীমান্তবর্তী জেলার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক এর ব্যতিক্রম ।



জামায়াতের অতীত কার্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ ও নিন্দনীয় । বিশেষ করে ১৯৭১ সালে জামায়াতের বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীতার প্রসঙ্গটি ।

জামায়াত-শিবিরের লোকদের সংস্কৃতি ও ধর্ম বিশ্বাসের সাথে বাংলাদেশের সাধারণ মুসলিমদের সংস্কৃতি ও ধর্ম বিশ্বাসের পার্থক্য রয়েছে । এই পার্থক্যের কারণে জামায়াত - শিবির কখনোই সফল হতে পারবে না ।

আমি মনে করি, সরকার ও বিজ্ঞজনদের কর্ম তৎপড়তাই এই অবস্হাকে পরিবর্তন করতে পারে ।

বিষয়: বিবিধ

৩৮৮৬ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

329880
১৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৩:৪৪
রক্তলাল লিখেছেন : ফখরুল পাগলার পাগলামীতে একটা কমেন্ট কেউ দেয়না।

অভিশপ্ত শয়তান।

১৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
272120
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এই ব্লগসাইটে কেহ আমার মন্তব্যের উত্তর দিলো কি দিল না তাতে আমার যায় আসে না ।

এই ব্লগ সাইটটা ওহাবী বা সালাফী বা আহলে হাদিস বা মওদুদী মতবাদের বিশ্বাসী লোকদের সংখ্যা বেশি । এই ব্লগ সাইটের ভিজিটর বড় জোড় ৫০০ । অপর দিকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ।

আমি বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে লেখালেখি করি ।

আমি অভিশপ্ত শয়তান হলে আপনি ওহাবীদের জারজ সন্তান । যেমন মন্তব্য লেখবেন তেমনি উত্তর পাবেন ।
329903
১৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৬:৫১
ছালসাবিল লিখেছেন : Smug আপনি ওহাবীব্রেলভী কাদিয়ানী ইহুদী Smug
১৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
272121
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি ওহাবীদের জারজ সন্তান ও হারামজাদা বলতে যা বুঝায় - আপনি তেমন একটা । সহজ কথায় ওয়ালাদুজ্ জিনা ।
১৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৯:০৮
272134
ছালসাবিল লিখেছেন : গালি দেয় মুনাফিক Smug আর অন্যর পিতামাতাকে গালি দিলে নিজের পিতা মাতার উপর পরে। Smug আপনার যতত ইচছা গালি দিন আমার নো প্রবলেম Smug

তবে আপনি ওহাবীব্রেলভী এটা আপনার লেখাতে স্পষ্ট বোঝা যায়। Smug Smug এই ব্লগে সবাই আমাকে চেনেন ভােলো হিসেবে আপনি বললে কি বা আসে যায় Smug বরং আপনি সবার কাছে ক্ষারাপ হচ্ছেন Smug Frustrated
329912
১৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:১৮
রক্তলাল লিখেছেন : এই ব্লগ জামাত শিবিরে ভর্তি আর মাত্র ৫০০ জন ইউযার।
তারপরও বেহায়ার মত এখানেই পড়ে থাকতে হয়।

থাক বৎস। তুমি আর নীলাঞ্জনারা না থাকিলে আমরা বুঝিব কেমনে আমরা আলোতে আছি। অন্ধকার আছে বলিয়াই ত আলোর গুরুত্ব বুঝিতে পারা যায়।
১৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:১৮
272238
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ১৪ জুলাই ২০১৪ তারিখ রাত ৮ টা ১০ মিনিটে এই সাইট কত জন ভিজিট করছে তার একটা স্ক্রীন শট দিলাম । তাতে দেখা যাচ্ছে, ব্লগার ৪০ জন ভিজিটর ১২২ জন দেখাচ্ছে । অপর দিকে সামহোয়ার ইন ব্লগে
৬৮ জন ব্লগার
৩১৮ জন ভিজিটর
১১ জন মোবাইল থেকে
দেখাচ্ছে ।

এই অবস্হা দুই ব্লগ সাইটের জন্যই কাঙ্খিত নয় । এর কারণ অনেক ।

এই ব্লগ সাইটে এক জন ইউজারের একাধিক আইডি আছে । হয়ত এই ব্লগের ইউজার আইডি-র সংখ্যা ৩০ হাজার হতে পারে । কিন্তু বাস্তবে তারা সবাই নিয়মিত ব্লগ লিখেন না বা ব্লগ সাইটটা নিয়মিত ভিজিট করেন না । করলে এই স্ক্রীনশটটা অন্য রকম হতো ।


আমি আর আমার বন্ধু বাংলাদেশের ব্লগ সাইটগুলোর উপর গবেষণা করেন । আমি কোন গবেষণা থিসের সাথে যুক্ত না । আমার বন্ধুর গবেষণা থিসের বিষয় “ব্লগ সাইটগুলো কীভাবে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্হায় প্রভাব ফেলছে ?” । আমি ব্লগে নিয়মিত লিখতে আগ্রহী নই । আমার বন্ধুর আগ্রহ ও উৎসাহে লিখছি । আমার কারণে আমার বন্ধু অনেক তথ্য পান আর আমিও লেখালেখির অনেক নতুন উপকরণ পাই ।



আমি আমার প্রয়োজনেই বেহায়ার মতো এই সাইটে আসবো ।

আপনাদেরও বিরক্ত করবো । তবে অনুরোদ, আপনারা বিরক্ত না হওয়ার চেষ্টা করবেন । কারণ যে সহে সে রহে ।


আপনাকে ধন্যবাদ ।
329913
১৪ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:৩০
নেহায়েৎ লিখেছেন : সবগুলো ইসলামী দলের বিরুদ্ধে লিখছেন!!! আপনি মুসলিম নামধারী অন্য কোন ধর্মের???
১৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২১
272239
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি মুসলিম । আমি প্রথম প্রথম ইসলামী দলগুলো যাতে উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-ঐক্য-সংহতির দিকে অগ্রসর হয় - সে লক্ষ্যে ইসলামী দলগুলোর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লেখালেখি করতাম ।

বর্তমানে আমি ইসলামী দলগুলো অশুভ ও খারাপ দিকগুলোর ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে লিখছি ।

329927
১৪ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০১:১৭
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনার লেখায় মিথ্যার পরিমাণ বেশি। বিদ্বেষ পোষণ মানুষ কয়েক কারণে করে।
-যখন কারো স্বার্খে আঘাত লাগে
-কেউ অধিকার বঞ্চিত হলে
-কেউ অন্যায়ের শিকার হলে
-অন্যান্য
আপনার পোস্টগুলো ধর্ষিতা নারীর কান্নার মত!!..
আপনি একজন জ্ঞানী মানুষ। জ্ঞানকে অন্য কাজে ব্যবহার করুন। ভাইজান..
১৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২২
272240
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি প্রথম প্রথম ইসলামী দলগুলো যাতে উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-ঐক্য-সংহতির দিকে অগ্রসর হয় - সে লক্ষ্যে ইসলামী দলগুলোর সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে লেখালেখি করতাম ।

বর্তমানে আমি ইসলামী দলগুলো অশুভ ও খারাপ দিকগুলোর ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে লিখছি ।

আমার লেখাগুলোতে কোথায় মিথ্যা তথ্য আছে - দয়া করে প্রদর্শণ করুন । আমি সে সব মিথ্যা তথ্য ‍মুছে দিবো ইনশাআল্লাহ ।
329946
১৪ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার লেখায় সত্যরলেশ মাত্রনেই। জামাত শিবিরের শত্রু থাকবেই তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু সয়তান। আর মুনাফেকদের শত্রু নাই কারন তারা শয়তানের বন্ধু, তারা সবসময় সুযোগ সন্ধানী। বিরুধীতা করতে হলে তাদের সম্পর্কে ভাল করে জানা দরকার। না জেনে ওস্তাদী করলে তাকেইতো মূর্খ্য বলে। আজ আমাদের এই অবস্থার কারন হল একমাত্র অসৎ লোকের নেতৃত্ব। সৎ লোক আমাদের নেতা হলে প্রিয় বাংলাদেশ পৃথিবীর নেতৃত্ব দিতে পারে। ধন্যবাদ
১৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৫০
272242
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমার লেখায় কোথায় অসত্য বা মিথ্যা তথ্য আছে দয়া করে উপস্হাপন করুন ।

শয়তান সমগ্র মানব জাতীর শত্রু যা কুরআনে বলা আছে ।

যারা জামায়াতের বিরোধীতা করেন তার সাথে মুনাফিক হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই । বাংলাদেশের জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ নিচের কারণগুলোর জন্য জামায়াতের বিরোধীতা করে থাকে :

১। ১৯৭১ সালে জামায়াত বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতা করার পাশাপাশি এদেশের জনগণের উপর নির্যাতন-নিপীড়ণের ক্ষেত্রে প্রধান সহায়ক ভুমিকা পালন করে । এজন্য একটি বারের জন্য হলেও জামায়াত জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি ।

২। জামায়াতের ধর্ম সম্পর্কিত মতবাদের সাথে জনগণ বিরুপ মনোভাব পোষন করে । কারন জামায়াত ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত । অপর দিকে বাংলাদেশের মুসলিমরা হানাফী মাযহাব অনুসরণকারী ও সুফীবাদী মুসলিম ।

৩। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী ও জামায়াতের লোকদের গড়া সাহিত্য ও ইসলাম বিষয়ক বইগুলোতে চরম ইসলামবিরোধী ও ইসলামের সাথে গুরুত্বপূর্ণ লোকদের সম্পর্কে গর্তিত কথা ও উক্তি রয়েছে । যেগুলো জনগনের ধর্মানুভতিতে আঘাত হেনে যাচ্ছে ।

৪। জামায়াতের রাজনৈতিক মতবাদ এবং সংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গি এদেশের জনগণের জন্য ক্ষতিকর । কারণ জামায়াত আরব সংস্কৃতি প্রবেশ করানোর চেষ্টারত । অপর দিকে বাংলাশেদের মুসলিমদের রয়েছে সমৃদ্ধ কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ।

পরিশেষে বলছি, আমি জেনে শুনে ও পড়াশোনা করে লেখালেখি করছি ।

আমি মনে করি, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সৎ ও যোগ্য লোকরা নেতা হওয়ার পাশাপাশি জনগণকেও সৎ হতে হবে ।
329948
১৪ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:১৭
বেআক্কেল লিখেছেন : দেখতাছি শিবিরের লিঙ্গ ধইরা বহুদিন ধইরা প্যানপ্যানাইতেছেন! কামের কাম কিছু হইছে বইলা মনে করতাছেন? কামের কাম যদি করিতে চান তাইলে ড. পাগলা হাসানের টা লইয়া লাফ দিয়া উঠেন, কাম হইব কারন তিনি মন্ত্রী হইতে যাইতেছেন।

শিবিরের লাইগা তো পাহারিয়ার কবির, মুতা মামুনেরা আছেন। সেই যায়গায় আমনে তেমন একটা সুবিধা করিতে পারিবেন বইলা মনে হয়না। এই ব্লগে এক নারী খদ্দের ব্যতীত আমনের পোষ্টে লাইক মারিতে কাউরে দেখতাছি না।

শবে কদর নিয়া কবে পোষ্টাইবেন? ইদ তো দরজায় আইসা গেল। শেষ মেষ ইদের দিন কদরের পোষ্ট দিয়া আবার আগের মত চিল্লায়েন না, আমার পোষ্ট ষ্টিকি হইল না কিল্লাই......... আমনের তো আবার দরবারি ভিমরতি আছে কখন কোনটা লইয়া কানাকানি করেন তার ঠিক নাই।
১৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:৩০
272241
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি কোন নির্দিষ্ট দিন শবে কদর পালনের সর্ট কাট নীতিতে বিশ্বাসী নই । আমি যত দুর বুঝি রমজানের শেষ দশ দিনের মধ্যে শবে কদর রয়েছে । এজন্য আমাদের রমজানের শেষ দশ দিন গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত বন্দেগী করতে হবে যাতে শবে কদরকে আমরা অবদারিতভাবে পেয়ে যেতে পারি ।


আমার পোস্ট কে পড়লো কি পড়লো না তা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিহ্নিত নই ।

আমি এই ব্লগে আসি জামায়াত-শিবির বা ওহাবী বা আহলে হাদিস বা সৌদি রাজতন্ত্রের দালালদের কর্ম তৎপড়তা দেখার জন্য এবং লেখার নতুন উপকরণ খোজার জন্য ।


এই ব্লগ সাইটের সূত্র ধরে আমি এমন সব তথ্য পেয়েছি বা এমন সব জিনিস জানতে পেরেছি যে সব বই পড়েও জানা সম্ভব নয় । কথা হতে পারে অন্য ব্লগ সাইটগুলোর ক্ষেত্রে আমি এই কথাটা বলছি না কেন ?

উত্তর : অন্য সব ব্লগ সাইটে ব্যতিক্রমধর্মী তথ্য খুব একটা পাওয়া যায় না । বিশেষ করে ধর্মীয় বিষয়ের ক্ষেত্রে ।

নাস্তিকতার উপর অসংখ্য ব্লগ সাইট আছে আর বইও অসংখ্য । কিন্তু এদের সব কিছুই অন্তসার শূন্য । সুতরাং আমার মতো লোকের এসব নাস্তিকতা নির্ভর ব্লগ সাইট নিয়মিত ভিজিট করা ও লেখা অসম্ভব ।

আমি মনে করি, শবে কদরের উপর ভাল একটা লেখা এই সাইটে আসা উচিত ছিল এবং এটাকে সম্পাদকরা স্টিকিও করতে পারতেন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File