জামায়াতীরা দল ভারী করার জন্য জ্ঞানী ও গুনীদের টাকা পয়সা ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলে অন্তুর্ভুক্ত করে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১২ জুলাই, ২০১৫, ১২:৩৫:৩০ রাত
আল মাহমুদ ছিলেন বামপন্হী ও আধা নাস্তিক । টাকা পয়সার লোভে তিনি জামায়াতী সাহিত্য বা ওহাবী সাহিত্য লেখা শুরু করেন । ১৯৪১ সাল হতে জামায়াতে ইসলামী কাজ করছে বাংলাদেশে । আজব হলেও সত্যি, জামায়াতী পরিবারগুলো হতে বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক-গবেষক-বিজ্ঞানী-অর্থনীতিবিদ জন্ম নেয়নি । কারণ তারা অভিশপ্ত ।
ফেসবুকে আমি এমন একটা মন্তব্য করায় জামায়াতী সন্ত্রাসীরা কিছুক্ষণ আগে ক্ষিপ্ত হয় । আমি ফেসবুকে কি লিখেছি তা আপনাদের কাছে তুলে ধরছি ।
বামপন্হী কেন ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পর্যন্ত ইসলামের দাওযাত দিচ্ছি । তবে তাদের ওহাবী সন্ত্রাসী বানাইনি । জামায়াত-সহ কথিত ইসলামী দলগুলো জ্ঞানী ও গুণি লোক তেরী করে না । তারা সন্ত্রাসী তেরী করে । তারা জ্ঞানী ও গুনীদের দল ভারী করার জন্য টাকা পয়সা ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে দলে অন্তুর্ভুক্ত করে এবং তাদের ওহাবী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদুদী দর্শণে দীক্ষিত করে ।
জামায়াত-শিবির-সহ প্রায় সব কথিত ইসলামী দলগুলোর লোকরা আমার মতো সাধারণ মুসলিমদের মাজার পুজারী বলে থাকে । তাগুত বা শয়তানের উপাসক বলে থাকে । তারা আমাদের গালি গালাজ করে । তারা আমাদের বোমা মেরে, গলা কেটে ও প্রেক্টোল বোমা মেরে হত্যা করে ।
আমরা সাধারণ মুসলিমরা মাজার পুজা করি না । আমরা জিয়ারত করি । কবর জিয়ারত করি । ফাতেহা পড়ি । এসব ইবাদত ।
ওহাবীরা আল্লাহর নবীর দুষমণ ।এসব কথিত ইসলামী সংগঠণ ওহাবী সংগঠণ । বুখারী হাদিসে ওহাবীদের শয়তানের শিং বলা হয়েছে ।
আমি জামায়াত-শিবিরের লোকদের কাছে জানতে চা্চ্ছি :
১৯৪১ সাল হতে জামায়াত বাংলাদেশে আছে । জামায়াতী পরিবারগুলো হতে কয় জন নামকরা কবি-শিল্পী-গায়ক-গবেষক-বিজ্ঞানী-অর্থনীতিবিদ বের হয়েছে - তার একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা দিন । তাহলেই আপনাদের মতো জামায়াতীদের ব্যাপারে আমার আর কোন কথা থাকবে না ।
আল মাহমুদ গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক ছিল শেখ মজিবের শাসনামলে । এটা ছিল সরকারবিরোধীদের পত্রিকা । তার আত্মজীবনীমুলক লেখাতে আছে তাকে জেলে যেতে হয় । জেলে জামায়াতের আল বদর ও সন্ত্রাসীরা ছিল। তার পরিবার চলতো না । তখন জামায়াতী সন্ত্রাসী ও আলবদররা এগিয়ে আসে । ( ১। http://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/06/16/149882#.VaF9j7XXO1s গ্রেফতার করা হয়েছিল গণকণ্ঠ সম্পাদক আল মাহমুদ ও হলিডে সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খানকে ২। https://www.facebook.com/DitioAlo/videos/vb.525384600837587/1416383765251222/?type=2&theater ) টাকার অভাবে তার অনেক বই তিনি প্রকাশ করতে পারছিলেন না । এগিয়ে আসে জামায়াতীরা ।
আমি জামায়াতী প্রতিষ্ঠান বিপরীত উচ্চারন ও প্রত্যাশা প্রাঙ্গনে যেতাম । এগুলো জামায়াতী কবি-সাহিত্যিকদের সংগঠণ । সেখানে আল মাহমুদ, আব্দুল হাই সিকদার, নায়ক মিঠুন, নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন , শবনম মুস্তারী বক্তৃতা দিতো ও হাতে কলমে কবি সাহিত্যিক হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতো । আমিও এসব আস্তানায় যেয়ে তাদের সানিধ্য পেয়েছি । তাদের সাথে সরাসরি কথা বলেছি ।
জামায়াতী পত্রিকা দৈনিক সংগ্রামের সাহিত্য সম্পাদকের পদও লাভ করেন আল মাহদুদ । সুতরাং টাকা পয়সা ও পদ পদবী দিয়ে জামায়াত লোকদের দলে ভিড়ায় তা আমি প্রমাণ করলাম ।
উপরন্তু আল মাহমুদ বেচে আছেন । আপনারা তার কাছ হতে জানতে পারবেন 1974 সাল হতে 1985 সাল পর্যন্ত তাকে কারা কারা আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন ও তার পরিবার চালানোতে কারা সহায়তা করেছেন ?
সাংবাদিক পরিচয়ে তিনি জামায়াতের বা ৪ দলীয় জোটের সহায়তায় সাংবাদিক পল্ট-এ সুরম্য ৬ তলা বাড়ি করেন । অবশ্য তারা ছেলেরা এটা বিক্রি করে ফেলে ।
তার এক ছেলে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় পড়তে যায় জামায়াতের সহায়তায় । দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদের ছেলে সোহাইব আব্দুল্লাহ শাকিলের কাছে শোনা, তার এই ছেলে সেখানে যেয়ে শিবির না করায় জামায়াতের লোকরা নাখোস হয় ।
জামায়াত শিবিরের লোকরা অনেক বার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে জামায়াতের লোক বানানোর চেষ্টা করে । অনেক টাকা পয়সা ঢালে । কিন্তু ব্যর্থ হয় । এজন্য তারা তাকে অনেক গালি গালাজ করে থাকে । যেমন : ফেসবুকের এই ছবি ।
ইকবাল সোবাহান চৌধুরী বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি । তিনি জামায়াতী পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ‘কুলাঙ্গার’ ও ‘অসাংবাদিক’ বলে গালি দেন।
মাহমুদুর রহমান তার জবাবে বলেন, ‘জামায়াত নেতা গোলাম আযমের নাগরিত্ব ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়ে যে কয়জন স্বাক্ষর করেছিলেন তার মধ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী অন্যতম। জামায়াতের টাকায় তিনি দুই বার হজ্ব করেছেন।’-
সুত্র :
https://www.facebook.com/paltan.square/photos/a.123716544472699.22809.123712794473074/130060470504973/?type=1&fref=nf
শান্তিকামী জনগণের কাছে আমার আরজ :
জামায়াত-শিবিরের লোকরা নাকি ঈদের আগেই আমাকে হত্যা করবে । সবাই আমার জন্য দুয়া করুন । আমার অপরাধ :
1.আমি কেন তাদের খারাপ দিক তুলে ধরে লেখালেখি করি ?
2.আমি কেন আওয়ামী লীগকে গালি গালাজ করে লেখালেখি করি না ?
3.আমি কেন শিবির করা ছেড়ে দিয়ে শিবিরের বিরোদ্ধে লেখালেখি করি ?
4.আমি কেন মওদুদীর বই আগুন দিয়ে পুড়িয়েছি ?
আমার অপরাধের লিস্ট দীর্ঘ হচ্ছে ..
মূলত আমার এই দুই লেখা নেটে প্রকাশ হওয়ার পর তারা রেগে আগুন হয়ে গেছে -
1.জামায়াত-শিবিরের লোকরা সাধারণ মানুষ হত্যা করে ইরাক ও সিরিয়ার মতো বাংলাদেশটাকে আইএস বানাতে চায়, তবে তারা সফল হবে না : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66938
2.ইসলামী ছাত্র শিবির হলো মিথ্যা ও সন্ত্রাসের প্রতিচ্ছবি (১ম পর্ব) : http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66240
আশা করি সবাই মনযোগ দিয়ে পড়বেন এবং আমার জন্য দুয়া করবেন । আমি তাদের বিরোদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য কীভাবে অগ্রসর হবো - সে ব্যাপারে আপনাদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছি ।
তবে আমি কোন ক্রমেই জামায়াত-শিবির-ওহাবী মতবাদ-সালাফী মতবাদ- আহলে হাদিস মতবাদ- সৌদি রাজতন্ত্র সম্পর্কিত লেখা কোনক্রমেই বাদ দিতে পারবো না । এব্যাপারে অনুরোদ করলেও অনুরোদ রক্ষিত হবে না ।
বিষয়: বিবিধ
২৭৩৯ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তার প্রথম দিককার লেখা গল্প-উপন্যাস-কলামগুলো পড়ুন । তাহলে আমার কথার সত্যতা খুজে পাবেন । যেমন : http://eisamay.indiatimes.com/moviereview/31056473.cms
তবে আপনি আমার এই লেখায় বা পোস্টে যে মন্তব্য করেছেন - তার সাথে আমি একমত ।
ববিতা ও ইলিয়াস কাঞ্চনকে জামায়াতী বানানোর আপ্রাণ চেষ্টা করা হয় । তবে ইলিয়াস কাঞ্চন ইদানিং ভীষণ ধার্মিক হয়েছেন । এর পেছনে জামায়াতের অবদান আছে -এটা আমি স্বীকার করি । তবে তিনি জামায়াতী হননি ।
ববিতাকে জামায়াতী বানানোর চেষ্টা করা হয় । ইদানিং ববিতা ধার্মিক হন । কারণ তার ছেলেটা কানাডায় যায় এবং চরম মেধাবী ছাত্র হওয়ার পাশাপাশি সেই দেশে ইসলাম প্রচারক হয়ে উঠে । সে তার মাকে ধাপে ধাপে ধার্মিক করে তোলে । এর পেছন জামায়াত বা তাবলীগ জামায়াত জাতীয় কোন সংগঠণের কোন অবদান নেই ।
জামায়াতের লোকরা ধার্মিক ধরনের লোকদেরই আগে টার্গেট করে । জ্ঞানী-গুণি-সেলিব্রেটি ধরনের লোকদের টার্গেট করার ক্ষেত্রে প্রথম সারিতে রাখে ।
যেমন : ইকবাল সোবহান চৌধুরী আগের থেকেই ধার্মিক হলেও ইসলামী কোন দলের সাথে যুক্ত ছিলেন না । বড় জোড় নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো জীবন যাপন করতেন । তার এই দিকটির দিকে নজর যায় জামায়াতের লোকদের । তার পেছনে অনেক টাকা ঢালে । তাকে দুই বার হজ্জ করানোর ব্যবস্হা করে । আরে অনেক সুবিধা দেয় । কিন্তু তিনি জামায়াতী হননি । তাই তার প্রতি জামায়াতীরা ক্ষ্যাপা । তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগ করেন ।
আমার পর্যবেক্ষণ :
১. জামায়াত শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সাথে যুক্ত লোকদের দলীল স্বার্থে ব্যবহার করে । এর ফলে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা করা লোকগুলোর কাজের মানও কমে যায় । যেমন : নায়ক মিথুন । তিনি বলতে গেলে অভিনয় ছেড়ে দেন । তিনি জামায়াতে যুক্ত হওয়ার পর ইরানের মতো বা হলিউডের কোন ইসলাম বিষয়ক বা জীবন ঘনিষ্ঠ ছবির মতো কোন ছবি নির্মান করতে পারেননি । অথচ জামায়াতের অনেক টাকা । জামায়াত মূলত টাকার উপর ভাসছে ।
ঢাকা শহরে শিবিরের ছেলেরা যেভাবে মেসে থাকে সাধারণ ছেলেদের কাছে তা স্বর্গের মতো । এজন্য অনেক অধার্মিক ছেলেও শিবিরের মেসে উঠে শিবির হয়ে যায় ।
২. জামায়াত-সহ বাংলাদেশে সব ইসলামী দল শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-সৃজণশীলতা-র চরম দুষমণ । এসব দল সৃজণশীলতা-উদ্ভবনী শক্তিকে চরম ভয় পায় ।
৩. আল মাহমুদের জীবনের প্রথম দিককার সাহত্যি কর্ম আর বর্তমান সময়ের সাহিত্য কর্মের মধ্যে যথেষ্ঠ পার্থক্য বিরাজমান । বিষয়বস্তু ও শব্দ চয়নের মধ্যেও পার্থক্য চোখে পড়ার মতো । তার জীবনের শেষ দিকের সাহিত্যে আরবী ভাষা ও আরব সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । এটা ওহাবী ও জামায়াতী মতবাদের প্রভাব বলে মনে করি । কারণ ওহাবী ও মওদুদী দর্শণ অনুযায়ী মুসলিম হওয়া মানে আরব হওয়া ও আরবী সংস্কৃতিকে গ্রহণ করা ।
আল মাহমুদের কবিতায় লোবানের গন্ধের কথা আছে । এই লোবানের সাথে সাধারণ মানুষের পরিচয় নেই । লোবান হলো আরবের এক ধরনের সুগন্ধি । আল মাহমুদ ও তার শিষ্যরা নামাজ শব্দ পরিহার করে । তার বদলে সালাত শব্দটা ব্যবহার করে ।
সুতরাং আমরা সাধারণ মুসলিমরা এই ব্যাপারে আপত্তি তুলতেই পারি ।
তোর চুলকানি,
বাড়ছে শয়তানি..!!
তোর পাছা দিয়ে কেউ ডুকায় দিছে নি?
--ওর কাছে লা জবাব, সেক্টর কমাণ্ডার (অব)এম এ জলিল, এ কে থন্দকারও রাজাকার? জবাব দে? বীরাঙ্গনার পুত। ব্লক মারিস না উত্তর দিতে না পারলে। সাহস থাকলে লেখার জবাব দে..
রাজাকার হলো জামায়াত-শিবির ।
নোবেল জয়ী ড ইউনুস নামকরা অর্থনীতিবিদ যার তত্ত্ব ও গবেষণা সারা বিশ্বের আদর্শ । বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক ”সামাজিক ব্যবসা” । আমি নিজেই ”সামাজিক ব্যবসা” প্রত্যয়টার সমোজদার ।
রাজাকার হলো জামায়াত-শিবির ।
নোবেল জয়ী ড ইউনুস নামকরা অর্থনীতিবিদ যার তত্ত্ব ও গবেষণা সারা বিশ্বের আদর্শ । বিশেষ করে তার সাম্প্রতিক ”সামাজিক ব্যবসা” । আমি নিজেই ”সামাজিক ব্যবসা” প্রত্যয়টার সমোজদার ।
২। ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীদের যাকাত দেওয়া যায় কি ? কারণ তারা বলে তারা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ করছে । উপরন্তু যাকাতের একটা খাতে রয়েছে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ যারা করে তাদের যাকাত দেওয়া যায় ।
তিনি আমার কথা শুনে এক বাক্যে বল্লেন :তাদের কোনক্রমেই যাকাত দেওয়া যাবে না । উপরন্ত জামায়াতের সাথে যুক্ত লোকদেরও না । কারণ জামায়াত একটা নিষক রাজনৈতিক দল মাত্র । রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যাকাত ব্যবহার করা গুনাহ । যাকাত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিষয় এবং যাকাতের প্রধান কাজ হলো দারিদ্র বিমোচন ও মুসলিম সমাজকে পবিত্র রাখা । এই কথা বলেছেন মুফতি দিলওয়ার হোসাইন , মসজিদুল আকবার কমপ্লেক্স, মিরপুর-১ ঢাকা ।
আমি জামায়াত-শিবির বা ওহাবী বা আহলে হাদিস ও ওহাবী সৌদি আরবের অশুভ তৎপড়তার ব্যাপারে লোকদের সচেতন করছি ও জনমত গঠণ করছি ।
বলেছেন, "আগে শিবির করতেন, এখন তাদের বিরুদ্ধে লিখেন" দারুন বলেছেন!
আমার প্রশ্ন হলো কাদের বিরুদ্ধে দাড়াতে বা কোন স্বার্থহাসিলের জন্য শিবির করতেন? আর এখন শিবিরের কাছে কি কি না পায়ে বা কার কাছে থেকে কি পেয়ে শিবিরের বিরুদ্ধে লিখছেন?
আমি জামায়াত-শিবির থেকে কোন সুযোগ সুবিধা নেই নি । বরং তারা প্রতি মাসে বায়তুল মালে এয়ানত দানের নাম আমার কাছ হতে চাদা নিতো । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে আমার বৈধ সিট পর্যন্ত শিবির নিয়ে নেয় ও হিন্দুদের দলভুক্ত করার জন্য এক হিন্দুকে আমার সিটটা দিয়ে দেয় ।
আমি স্বার্থ হাসিল করার জন্য শিবির করতে যাইনি । আমি শিবিরের এক প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম : আমি বলেছিলাম জ্ঞান অর্জন ও চবিত্র গঠণের জন্য এবং সমাজ বিপ্লবের জন্য শিবিরের সাথী হতে চাই । আমার এই উত্তর গ্রহণ করা হয়নি । শিবিরের নেতাদের মতে সঠিক হলো : দ্বীন কায়েম করার জন্য আল্লাহর রাস্তার জান ও মাল দিয়ে জিহাদ করার জন্য শিবিরের সাথী হতে হবে ।
এজন্য আমাকে সাথী বানানো হয়নি । সাথী হলো শিবিরের সন্ত্রাসীদের তৃতীয় ধাপ । শিবিরের সন্ত্রাসীদের জামায়াতের নেতাদের পা চাটার জন্য মোটামোটি ৪ টা ধাপ পার হতে হয় । ধাপগুলো হলো : ১. সমর্থক ২. কর্মী ৩. সাথী ৪. সদস্য । যে বা যারা সদস্য হয় তাদের গোলাম আজম - নিজামী - সাইদীর পা চাটার সুযোগ দেওয়া হয় । বিনিময়ে তাদের গোলাম আজম - নিজামী- সাইদী ইসলামী ব্যাংকসহ জামায়াতী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেয় বা ভাল ব্যবসা ধরিয়ে দেয় । কিছু দিন চাকুরী করার পর তাদের ছাত্রী সংস্হার নিকাবী মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে বিয়ে করতে বলা হয় ।
(আমাকে যেভাবে প্রশ্ন করেছেন , আমিও ঠিক সেভাবে উত্তর দিলাম । )
প্রিয়: এটা তো আপনার ধর্মীয় বিশ্বাস। প্রত্যেকেরই তার ধর্মের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে। জানতে চাচ্ছিলাম আপনার রাজনৈতিক অবস্থানের জায়গা। একটা বির্তক তো অনেক পুরাতন। সেটা হলো আপনি নাকি বাংলাদশে জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন করেন...
আল মাহমুদ: দেখেন আমি কোনো দিন এবং অতিতেও জামায়াত পন্থী ছিলাম না। এরা আমাকে জামায়াত বানিয়েছে। এবং যারা বানিয়েছে তারা তো দৈত্য বানিয়েছে। এখন দৈত্য তারা সামাল দিতে পারে না। জামাতী কাউকে আমি চিনতামই না। কিন্তু আমার যারা ক্ষতি করতে চেয়েছিলো তারা এটা করেছিলো। আর আপনাকে আমার বলতে কোনো দ্বিধা নাই, তারা কিন্তু নাই। আমি কিন্তু আছি। কারণ আমি তো সাহিত্য করি। আমি কবিতা লিখি, গল্প উপন্যাস লিখি, আমাকে তো গুলি করে মারা যায় না। গুলি করে মারলেও আমি সাহিত্যে থাকবো। না মারলেও থাকবো - See more at: http://www.priyo.com/2015/Jul/10/156986-এরাই-আমাকে-জামায়াত-বানিয়েছে-আল-মাহমুদ#sthash.wJFrbtxh.dpuf
তার কথা-বার্তা ও বক্তৃতার ধরনের মধ্যে জামায়াতী নেতাদের ছায়া দেখা গিয়েছিলো । তিনি স্বীকার করুন আর নাই করুন - তিনি এখন জামায়াতের আদর্শে বিশ্বাস করেন । তিনি ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী মতবাদকে তার জীবনাদর্শ বলে মনে করেন ।
র এর এজেন্ট হলে এতক্ষণে আপনার নয় আপনাকে সহ আপনার চৌদ্দগোষ্ঠীর ভবলীলা সাঙ্গ করে দিতাম ।
যেমন মন্তব্য করবেন, তেমনি জবাব পাবেন ।
-র মানে রাম=তুই রামের দাস। ধুতি গোলাম হবা? হরি বল?...
আপনি একজন ওহাবীব্রেলভী
আপনি যে সৌদি আরবের রাজতন্ত্র ও ধর্মবিশ্বাসের দালাল বা ওহাবী তাতো আপনার লেখাগুলোতেই প্রমাণ পাওয়া যায় । হাদিসে বলা হয়েছে সৌদি আরব ও ওহাবীরা শয়তানের শিং ।
আমাকেও তো আপনারা দল বল নিয়ে গালি দিয়ে যাচ্ছেন । সুতরাং যেমন কাজ করবেন তার বিপরীতেও এমনই জবাব পাবেন ।
বার্তা কেন্দ্র :
তুই গোলাম আজমের বীর্জে জন্মানো গোলাম আজমের জারজ সন্তান । গোলাম আজমের কবরে যেয়ে পড়ে থাক । যা রাজাকার শুয়োরের বাচ্চা ।
তুই গোলাম আজমের বীর্জে জন্মানো গোলাম আজমের জারজ সন্তান । গোলাম আজমের কবরে যেয়ে পড়ে থাক । যা রাজাকার শুয়োরের বাচ্চা ।
প্রচন্ড ঘৃণায় কারণে আপনার বা আপনাদের আসল পরিচয় বলতে হলো ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন