জামায়াত-শিবিরের লোকরা সাধারণ মানুষ হত্যা করে ইরাক ও সিরিয়ার মতো বাংলাদেশটাকে আইএস বানাতে চায়, তবে তারা সফল হবে না
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৯ জুলাই, ২০১৫, ০৪:২২:০৬ বিকাল
পটভুমি :
https://www.youtube.com/watch?v=UpRv4N1YUsA
১। ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তারিখ সময় টিভি-তে কায়সার আহমেদের উপস্হাপনায় একটা অনুষ্ঠান দেখেছিলাম । সেখানে দুই জন হুজুর জামায়াতের গুরু মওদুদী সম্পর্কে আলোচনা করে বলতে চাচ্ছেন জামায়াত কোন ইসলামী দল নয় । কারণ নিবন্ধন টিকিয়ে রাখার স্বার্থে জামায়াতের গঠণতন্ত্র বেশ কয়েক বার পরিবর্তন করতে হয়েছে । আর কায়সার আহমেদ উপসংহারে বলেন : বাংলাদেশের আইন ও সংবিধান কোনক্রমেই ধর্ম ভিত্তিক দল গঠণ করাকে অনুমোদন করে না ।
টক শো ভিত্তিক অনুষ্ঠানটা শুনে আমার কাছে মনে হলো : "জামায়াতে ইসলামী ইসলামীকে দল হওয়ারও প্রয়োজন নেই । বড় জোড় রাজনৈতিক সংগঠণ হলেও কি কোন সমস্যা আছে ?" পরে আমি চিন্তা করে বুঝতে পারলাম সমস্যা সামান্য হলেও আছে । আর সেজন্য আমি এই পোস্ট লিখেছি ।
২। ফেসবুকে ব্লগার নজরুল ইসলাম https://www.facebook.com/md.nazrulislam.5661 আমাকে নিয়ে একটা স্যাটাস দিয়েছেন । তাতে তিনি বলেছেন : " মোঃ ফকরুল ইসলাম ব্লগার ও ফেইসবুক একটিভিষ্ট । সম্প্রতি আমার পোষ্টে ওনার উপস্তিতি কমেন্টগুলো ,এতটাই ইসলামের বিরোদ্ধে বিষাদাগারে ভরা যা সালমান রুশদীকেও হার মানায়।
আল্লাহ অশেষ রহমতে আমার এই চোট্ট জিবনে ,আমি অনেক বিখ্যাত এবং অনেক কুখ্যাত লেখকের লিখা পড়েছি । সব্যসাচীর মুখোশ পরিহিত রাষ্ট্রে কিংবা আমাদের সমাজে সবএ ছডিয়ে থাকা ,কিছু মানব নামের নষ্টকীঠের তালিকা যারা নামে মাএ মুসলমান ,এদের কাজ হচ্ছে ইসলামের বিরোদ্ধে বিষাদাগারে লিপ্ত থাকা ,একটু নিচে চোখ রাখুন আমি তালিকাটা দিচ্ছি ।
১।আহমদ শরীফ
২।তসলিমা নাসরীন
৩।হুমায়ুন আজাদ
৪।আরজ আলী মাতুব্বর
৫।মুনতাসির মামুন
৬।শাহরীয়ায় কবির
৭।নাসির উদ্দীন ইউচুফ বাচ্ছু
৮।ডঃজাফর ইকবাল
৯।ইমদাদুল হক মিলন
১০।জয় মামুন
১১।মোজাম্মেল বাবু
১২।রুবাইয়াত
১৩।(এবং প্রথম আলো,আমাদের সময়,সমকাল,যুগান্তর,জনকন্ঠ,কালের কন্ঠ,মানবকন্ঠ,ডেইলি ষ্টার এই প্রত্রিকাগুলোর সম্পাদক)
এবং
১৪।মোঃ ফকরুল ইসলাম ব্লগার ও ফেইসবুক একটিভিষ্ট ।
সম্প্রতি আমার পোষ্টে ওনার উপস্তিতি কমেন্টগুলো ,এতটাই ইসলামের বিরোদ্ধে বিষাদাগারে ভরা যা সালমান রুশদীকেও হার মানায়। হায়রে এই যদি হয় মুসলমানের নীতি কথা ,তাহলে ইহুদি লাগবে না ইসলাম ধংশ করতে ! আসলে আমার মনে হয় ইসলামের দুশমন ও বির্তকিতদের মাঝে নিজেকে প্রতিষ্টিত করার লক্ষেই তিনি কমেন্টগুলো করে থাকেন ! বিশেষ কিছু আর লিখলাম না অপ্রয়োজন বলে যদি প্রয়োজন হয় তবে লিখতে বাধ্য হব ।
তার উত্তরে আমি বলেছি : ................. এরকম কয়েকটা মন্তব্যের স্ক্রীন শট দিন ।
আমাকে সালমান রুশদীর সাথে তুলনা করায় আমি আল্লাহর দরবারে নালিশ করছি : আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজেও এত বড় অপবাদ সহ্য করবে না ।
আমি যদি সালমান রুশদীর মতো কেহ হই, তাহলে এর জন্য দায়ি ইসলামী ছাত্র শিবির । কারণ আমি ১৯৯৩ সালের ২১ শে মে শিবিরের কর্মী হই । ১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে আমি সাথী হই । তারপর শিবিরের সদস্য হওয়ার জন্য পড়াশোনা করি । শিবিরের মুখপাত্র ছাত্র সংবাদের ক্যারিয়ার গাইড লাইন এবং কিশোর কণ্ঠে অনেক লেখা লিখি । মূলত এই দুই পত্রিকার মাধ্যমে আমার লেখার হাতে খড়ি । তারপর আমি দৈনিক ইনকিলাবে লেখালেখি শুরু করি । ২০০৪ সালের দিকে আমি স্বেচ্ছায় জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি । কেন জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করি, সে প্রসঙ্গই ঘুরে ফিরে বিভিন্ন স্যাটাস, মন্তব্য এবং বিভিন্ন নিবন্ধ - প্রবন্ধের মাধ্যমে তুলে ধরি ।
আমি লক্ষ করছি , বেশ কিছু জামায়াত-শিবির সমর্থক আমার সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা লিখে যাচ্ছেন । যেমন :
১. বাংলাদেশের মেয়েরা অশালীনভাবে চলাফেরা করুক – তা নাকি আমি আমার লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করছি ।
বাস্তব অবস্হা হলো আমি বাংলাদেশের মেয়েরা যাতে ধার্মিক হোক ও আদর্শ মা হোক – তা আমি আমার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরছি ।
উপরন্তু জামায়াত-শিবির মেয়েদের পর্দার নামে মুখ ঢাকা নিকাব পরার মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েদের জড় পর্দাথে পরিনত করে তুলে ধরছে তা আমি জোড় দিয়ে বলছি ।
আমি হিজাব ও নিকাব-এর মধ্যে পার্থক্যও তুলে ধরছি ।
https://www.youtube.com/watch?v=4WgPJ_Bxu7o
https://www.youtube.com/watch?v=3_tsODi2qFA
https://www.youtube.com/watch?v=LNhWI-gL2DM
https://www.youtube.com/watch?v=2APfO9dtm6s
এই ভিডিওগুলোরর মতো মেয়েদের ওড়না পড়া ও পোষাক পরাকে হিজাব বলা হয় । হিজাব করা মেয়েদের ফরজ ।হিজাব যারা করেন তাদের বলা হয় হিজাবী বা মুহাজ্জাবাহ্ ।
এভাবে মুখ ঢাকাকে বলা হয় নিকাব পরা । নিকাব যারা পড়েন তাদের বলা হয় নিকাবী । নিকাব পরা ফরজ নয় । কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর লোকদের মতে এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ওহাবী ও আহলে হাদিস সম্প্রদায়ভুক্ত পুরুষ লোকদের মতে মেয়েদের মুখ ঢাকা বা নিকাব পরা ফরজ । বাংলাদেশে খুব কম লোকই ওহাবী ও জামায়াতের মতবাদে বিশ্বাসী । নিকাব পরা মেয়েদের বা মহিলাদে দেখতে ভীষণ বিশ্রী । এজন্য বাংলাদেশের মেয়েরা নিকাবী মেয়েদের পছন্দ করে না । উপরন্তু বেশীর ভাগ নিকাবী জামায়াতে ইসলামী করে ।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস ও ধর্ম ইসলামকে অবজ্ঞা করার প্রবনতা বিদ্যমান ।
সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামের বিধান অনুযায়ী পোষাক পড়া বিশেষত মেয়েদের মাথায় ও বুকে ওড়না ব্যবহার করা নিষিদ্ধ । যেমন : ঢাকার আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ । (ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী মাথা ও বুকে ওড়না এবং ঢিলা জামা পরাকে হিজাব বলা হয় । ইসলামে পোষাকের এমন নিয়ম ফরজ বা অবশ্য করণীয় কাজ । )
ঢাকার আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ- এহিজাব নিষিদ্ধকরনের বিজ্ঞপ্তী । সেনাবাহিনী পরিচালিত আর্মড ফোর্স মেডিক্যাল কলেজে (afmc) হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
এই কলেজের ওয়েব সাইট হলো : http://www.afmcbd.com ।অথচ এই কলেজের এক তৃতীয়াংশ মেয়ে হিজাব করতো । সেনাবাহিনীর লোকদের অভিমত : হিজাব করা মেয়েরা জামায়াতে ইসলামীর লোক । বাস্তব অবস্হা হলো জামায়াতে ইসলামীর লোকদের কাছে নিকাব করা ফরজ । নিকাব হলো মুখ ঢেকে রাখার কাপড় । অথচ এসব মেয়েদের কেহই মুখ ঢেকে চলাফেরা করতো না ।
আমর্ড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের হিজাবী ছাত্রীদের একাংশ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অশালীন পোষাক প্রবর্তন ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন পোষাক হিজাব নিষিদ্ধের বিরোদ্ধে আমি ছিলাম সোচ্চার । শুধু তাই নয় ১-১১ এর পর অসংখ্য স্কুল কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করণ তৎপড়তা ও দাড়ি টুপি পড়া লোকদের অবমাননা ও অপমান করার বিরোদ্ধে আমি ছিলাম সোচ্চার ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষ্য রেখেই বলছি আর ফেসবুকের সব লোকদের উপস্হিতিতে বলছি : যত দিন জামায়াত - শিবির মিথ্যাচার ও প্রতারণার মাধ্যমে তাদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-সাম্য-সৌহার্দবিরোধী আদর্শ প্রচার করবে, তত দিন আমার তাদের মিথ্যাচার ও প্রতারণার বিরোদ্ধে জিহাদ চলবে । আমার এ জিহাদকে যদি জামায়াত-শিবিরের ভাই-বোনরা নাস্তিক সালমান রুশদীর সাথে তুলনা করে থাকেন, তাহলে আমার কিছুই বলার নেই ।
জামায়াত-শিবিরের ভাই-বোনদের বিনীতভাবে বলছি : দয়া করে কুরআনের সুরা ফুরকানের শেষের আয়াতগুলো পড়ুন আর সেগুলোকে হৃদয়ে বদ্ধমূল করুন । হাসরের মাঠে মিথ্যাচার ও প্রতারণার জন্য আল্লাহর দরবারের কঠিন জবাবদিহির সম্মুখীন হবেন ।
আপনারা যাকে তাকে নাস্তিক আর সালমান রুশদী বানানোর মেশিনে পরিনত হয়েছেন । মনে হয় আল্লাহ আপনাদের নাস্তিক-মুর্তাদ বানানোর সার্টিফিকেট শুধু আপনাদের দিয়েছেন ।
সূচনা :
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী দল ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সংগঠণ । এই দল সংসদ নির্বাচন করে সর্বোচ্চ ১২ % এবং সর্বনিম্ন ৪.৫% ভোট লাভ করে । সুতরাং বোঝা যাচ্ছে এই দলের বিপুল পরিমান সমর্থক আছে ।
যেসব কারণে এই দল বাংলাদেশে বিতর্কিত :
অনেকগুলো কারণে এই দল বাংলাদেশে বিতর্কিত । সেগুলো হলো :
১. আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি :ইমাম ইবনে তাইমিয়ার পর মওদুদী দ্বিতীয় চিন্তাবিদ যিনি ইসলামের রাজনৈতিক চিন্তাধারা-কে প্রভাবিত করেছেন ।
ইমাম ইবনে তাইমিয়ার অনেক দৃষ্টিভঙ্গি বিতর্কিত । তাছাড়া তার অনেক দৃষ্টিভঙ্গি সৌদি আরবের নজদ প্রদেশের লোক মোহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের সাথে অবিকল মিল । তিনি মূলত ইসলামের নামে সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টির প্রধান কারিগর । তার প্রচলিত মতবাদের নাম হলো ওহাবী মতবাদ বা সালাফী মতবাদ বা আহলে হাসিদ মতবাদ ।
২. এই শতাব্দীতে তার সাহিত্য ও দৃষ্টিভঙ্গি মো্টেও প্রাসঙ্গিক নয় । এই সময় প্রাসঙ্গিক তুরস্কের মরহুম নাজিমুদ্দিন আরবাকান ও বসনিয়ার মরহুম প্রেসিডেন্ট আলীয়া ইজেতবেগোভিচ ।
তিনি জন্মেছিলেন ব্রিটিশ উপনিবেশিক যুগে । তখনকার সমস্যা আর বর্তমান যুগের সমস্যা ভিন্ন ।
আল্লামা ইকবালের দৃষ্টিভঙ্গিও আর প্রাসঙ্গিক নয় - খোদ পাকিস্তানেই গুরুত্ব দিয়ে ইকবাল চর্চা হয় না । যখন পাকিস্তানের ঐক্যের প্রশ্ন আসে তখন ইকবালকে সামনে নিয়ে আসা হয় । কিন্তু বাস্তবতা হলো ইকবালের স্বপ্নে দেখা পাকিস্তানে কাশ্মির আর আফগানিস্তান নেই আর তার স্বপ্নের পাকিস্তানে বাংলাদেশের স্হানও ছিল না । (Pakistan শব্দটর উৎপত্তি হলো : P তে পাঞ্জাব, A তে আফগানিস্তান, I তে উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, K তে কাশ্মীর, S তে সিন্ধু, বেলুচিস্তানের stan শব্দটা নিয়ে Pakistan শব্দটর উৎপত্তি । )
৩.মওদুদী ভারতীয় উপমহাদেশের চরম বিতর্কিত ব্যক্তি । তার দৃষ্টিভঙ্গির অধিকাংশই মুসলিমদের স্বার্থবিরোধী ছিল । ধর্মীয় অনেক বিষয়ের সাথে তার ভিন্ন মতের জন্য অসংখ্য ইসলামী বিশেষজ্ঞ তাকে পথভ্রষ্ট বলে আক্ষ্যায়িত করেছেন ।
৪.মওদুদীর চিন্তা-চেতানা জগৎ পুরোটাই সামন্তবাদী ও অগণতান্ত্রিক ধ্যান-ধারণা নির্ভর । তার মতে সংসদ নির্বাচন কুকুরের দৌড় । থিউডেমোক্রেসি হলো তার কথিত ইসলামী রাষ্ট্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য । মওদুদী কথিত ইসলামী রাষ্ট্রে নারী সমাজ আর ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুরা হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক । তার এসব ধ্যান-ধারণার ব্যাপারে তিনি তার ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রনণয় এবং ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ (বাংলা অনুবাদ হতে অনেক আপত্তিকর অংশ বাদ দেওয়া হয়েছ । ) বইসহ বিভিন্ন বইয়ে আলোচনা করেছেন ।ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রনয়ণ বইটাতে এত বিত র্কিত কথা লেখা আছে যে তা সংশোধনের অযোগ্য । এজন্য এই বই জামায়াত-শিবিরের সাংগঠনিক সিলেবাসে ছিল না ( ২০০৪ সালের কথা । কারণ তখন আমি এই সংগঠণের সাথে যুক্ত ছিলাম । )।
জামায়াতের নেতৃবৃন্দের ব্যাপারে জামায়াতের সমর্থকদের কাছে আমি কিছু প্রশ্ন করতে বাধ্য হচ্ছি :
১.কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বিএনপির সাথে জামায়াত-শিবিরের এসব নেতা একাত্ম হচ্ছেন । আসলে তারা কি করতে চান ?
তারা যদি সত্যিকার ইসলাম কায়েম করতে চান, তাহলে তাদের কাছে কতটুকু ইসলাম আছে ?
এমন তো নয় যে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের লোকদের তারা ইসলামী লোক বানাচ্ছেন ।
২. ইসলাম এবং বাংলাদেশ কি এক বিষয় ?
এই প্রশ্নটা একটু ঘুরিয়ে করছি, পাকিস্তান আর ইসলাম কি সমার্থক ?
যখন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিল না, তখন ভারতবর্ষই নয়, বরং সারা বিশ্বে ইসলাম ছিল বা মুসলিম ছিল । তাহলে কেন পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিলো জামায়াতে ইসলামীর এসব নেতারা ?
আর তাদের এই ভুমিকার জন্য কেন তরুণ বা যুবকরা কষ্ট ভোগ করবে ?
৩. আপনারা কি সারা বিশ্বের কোথাও দেখাতে পারবেন কোন ইসলামী সংগঠণ জনগণের আশা আকাঙ্খার বিরোদ্ধে অবস্হান নিয়েছে বা নিয়েছিলো ?
ইন্দোনেশিয়া হতে ইসলামপন্হী ফ্রি আচেহ মুভমেন্ট আচেহ প্রদেশকে স্বাধীন করতে চায় । ইসলাম কায়েম করার জন্য কি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতা করা প্রয়োজন ছিল ?
আর পাকিস্তানী শাসকরা কি ভাল শাসক ছিল ?
আমাদের সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তো এখনও খারাপ । আগেও তো ছিলই ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় নির্যাতিত জনগণের বিপক্ষে কাজ করার জন্য এসব গণবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের চিরতরে ব্যান হওয়া উচিত ছিল, বিচার তো অবশ্যই !
আমি জনবিরোধী ও জনবিচ্ছিন্ন এজন্য বলছি, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে গোলাম আযম আওয়ামী লীগের অক্ষ্যাত পার্থীর বিরোদ্ধে বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছিলেন । আওয়ামী লীগের পার্থী জহিরুদ্দীন পেয়েছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজার ২০৪ ভোট । অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আযম পেয়েছিলেন মাত্র ৩৫ হাজার ৫২৭ ভোট ।
বলুন, এসব নেতা কি জনবিচ্ছিন্ন নয় ? তারা কেন আপনাদের উপর ছড়ি ঘুরাবে ।
তারা কেন আপনাদের নেতৃত্ব দিবেন ?
তাদের কি সেই নৈতিক অধিকার আছে ?
৪. রাজনীতি করার এদের কোন অধিকার থাকাই উচিত নয় বলে আমি মনে করি। আপনি কি এমন কোন নজির দেখাতে পারবেন, বিশ্বের কোথাও এধরনের পরাজিত ও জনবিরোধী নেতারা রাজনীতি করেন ?
কতটুকু লজ্জাহীন হলে এরা রাজনীতি করেন কি করে বা আপনাদের মাথার উপর ছড়ি ঘুরায় !
৫. এদের জন্য রাজনীতি করতে যেয়ে অনেক সম্ভাবনাময় তরুণ বেঘোরে প্রাণা হারিয়েছে বা হারাচ্ছেন । বলা হচ্ছে তারা শহীদ হচ্ছে । এদের পরিবার গুলো তো নি:স্হ হয়ে গেলো ।
এদের জন্য এসব নেতা কি করেছেন ? এদের যখন শহীদ হচ্ছে বলা হচ্ছে , তাহলে তারা কেন শহীদ হলেন না । তারা কেন ১৯৭১ সলারের পরে দেশে থাকলেন না ?
বাংলাদেশের জনগণের কাছে তাদের ভাত কাপড়ের সমস্যাটাই প্রধান সমস্যা । বাংলাদেশের কোন ইসলামী সংগঠণ দেশের লোকদের ভাত কাপড়ের সমস্যা নিয়ে ভাবেনি । তারা নারী অধিকার, পরিবেশ দুষণ, দেশের তেল-গ্যাস আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়া এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবে না।
আমি ইউসুফ আল কারজাভীর বেশ কিছু বই পড়েছি । শেষ বইটার নাম মনে নাই । । নামটা জানার পর বইটা খুজে বের করে আমি সেই বইয়ের উদৃতি ব্যবহার করে প্রমাণ করে দিতে পারবো বাংলাদেশের সব ইসলামী সংগঠণ ভুয়া ইসলামী সংগঠণ । এসব সংগঠণের নেতারা ধর্মের নাম ব্যবহার করে আখের গোছায় আর সাধারণ লোকদের থেকে ছলে বলে কৌশলে ইসলামের নাম করে টাকা হাতিয়ে নেয় ।
আর এরা স্বার্থপর ও নিজের স্বার্থের জন্য যা কিছু তাই করে । যেমন : মুফতি আমিনী । তার কারণে ইসলামী ঐক্যজোট ১৭ টুকারো হয়েছে । খেলাফত ছাত্র মজলিস ৬ টুকরা হয়েছে ।
এধরনের লোক দুনিয়াদার । যেমন : ১-১১ এর পর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এন বি আর -এ তার মাসিক আয় দেখিয়েছেন মাত্র ১৫০০ টাকা । এই কথা কোন পাগলেও বিশ্বাস করবে না । অথচ তার ছেলেমেয়েগুলো বিদেশে পড়াশোনা করে । এক ছেলে তো লন্ডনে বার এট ল করছিলো । বার এট ল করতে ৪৮ লাখ টাকা লাগে । এই টাকার উৎস কি ? অধিকাংশ জামায়াতের শীর্ষ নেতার ছেলে মেয়েরা অনৈসলামীক জীবন যাপন করে ।
এজন্য পরিশেষে আপনাদের বলছি,
আপনারা বাস্তবতা বুঝুন । মওদুদীর সাহিত্য আর পড়ার দরকার নেই । এক বিংশ শতাব্দীতে তিনি অপ্রাসাঙ্গিক ।
ইসলামের মূলনীতিগুলো আগে বুঝুন । তাহলে বুঝতে পারবেন মওদুদী-র লেখা আল জিহাদ ফিল ইসলাম, ইসলামের শক্তির উৎস, ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ ও ইসলামী বিপ্লবের পথ বইগুলো পাশাপাশি রেখে পড়লে বোঝতে পারবেন এই বইগুলো পরস্পর ভীষণ পরস্পর বিরোধী ।
যেমন এসব বইয়ে বলা হয়েছে :
১. ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের প্রয়োজন নেই । ইসলাম শক্তির উৎস বইটা ।
২. ইসলামের ইসলাম প্রচার ও প্রসারই নয় শক্তিমত্তা প্রদর্শনের জন্যই সশস্ত্র জিহাদ করতে হবে । আল জিহাদ ফিল ইসলাম ।
৩. ইসলামের রাজনৈতিক মতবাদ বইয়ে বলা আছে সংসদ নির্বাচন করা যাবে না । আর ইসলামী রাষ্ট্রে বিরোধী দল থাকবে না ।
৪. ইসলামী বিপ্লবের পথ বইয়ে বলা আছে অস্ত্র দিয়ে জিহাদ করাই মুসলিমদের একমাত্র উপায় ও পদ্ধতি । এই বইয়ে তাগুত শব্দটাকে এমনভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে যে আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্হা তাগুতি সমাজ ব্যবস্হা ।
জামায়াতে ইসলামী বা ইসলামী ছাত্র শিবির কখনো বাংলাদেশটাকে ইরাকের আই এস বানাতে পারবে না আর এক্ষেত্রে সফল হবে না তার বড় প্রমাণ এই পোস্টের শুরুতে দেওয়া ছবিগুলো ।
যে দল বা মতবাদ তাদের প্রতিষ্ঠানে কাজ করা একটা মহিলাকে ইসলাম অনুযায়ী নুন্যতম পর্দা বা হিজাবকে হৃদয়ে প্রবেশ করাতে পারে না, সেই দল বা দলের লোকরা মওদুদী মতবাদ বা ইরাকের ভুয়া খলিফা বাগদাদীর নিয়ম বা ওহাবী সৌদি আরবের অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতিটা মেয়েকে মুখ ঢাকা নিকাব পরা বোরকা পরাতে কিয়ামতের আগ পর্যন্ত বাধ্য করতে পারবে না, বরং তারা বাংলাদেশের মেয়েদের মারের চোটে সৌদি আরব বা পাকিস্তান পালাতে বাধ্য হবে ।
জামায়াতী চ্যানেল দিগন্ত টিভি-র সংবাদ পাঠিকা এখন বিএনপি-র চ্যানেল বাংলাভিশন-এ এভাবে খরব পড়েন । এই ভাবে খবর পড়াটা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদবিরোধী মূল্যবোধ বিরোধী । কারণ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্হা ও বিশ্বাস-এর উপর ভিত্তি করে স্হাপিত হয়েছে । ইসলামী মূল্যবোধ এভাবে শাড়ি পড়া অনুমোদন করে না ।
পরিশেষে বলছি আমি গোড়ামী-উগ্রতা-চরমপন্হার বিরোধী । দিগন্ত টিভি-র সংবাদ পাঠিকাদের কথিত ড্রেস কোড ছিলো গোড়ামী-উগ্রতা-চরমপন্হার বড় উদাহরণ । এক্ষেত্রে মধ্যমপন্হা কি তাও আমি উপস্হাপন করেছি ।
গোড়ামী-উগ্রতা-চরমপন্হা কখনো ভাল ফল বয়ে আনে না - তার বড় উদাহরণ নাদিরা আশরাফ নামক সংবাদ পাঠিকার বর্তমান পোষাক পড়ার ধরণ । অথচ সে জামায়াতের নেতাদের সুপারিশ নিয়ে দিগন্ত টিভি-তে চাকুরী করতে এসেছিলো ।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=639442929431865&set=a.639442919431866.1073741852.199798446729651&type=1&theate
টিভি যদি নাদিয়া আশরাফকে এই মন্তব্যে দেওয়া ছবিগুলোর মতো পোষাক পড়ে খবর পড়ার সুযোগ দিতো, তাহলে তাকে বাংলাভিশনে বেআব্রুভাবে দেখা যেতো না । দিগন্ত মেয়েদের উপর যে পোষাক জোড় করে চাপিয়ে দিয়েছিলো তাকে মওদুদীবাদ বা মওদুদী দর্শন বলা হয় । বিস্তারিত এই মন্তব্যে লিখছি না । আমি বেশ কিছু সংবাদ পাঠিকার সাথে কথা বলেছি, তাদের যদি এমন পোষাক পড়তে বলা হয় - তাহলে তারা সাদরে তা পড়বেন । কিন্তু আমরা মেয়েদের মতামত ও মন বোঝার চেষ্টা করি না । এজন্য আমি নতুন একটা টিভি চ্যানেল বানানোর স্বপ্ন দেখি যেখানে দেশ-মাটি-মানুষ-দেশীয় মূল্যবোধ গুরুত্ব পাবে ।
মওদুদী দর্শন অনুযায়ী চাপিয়ে দেওয়া বা জোড় করে নাদিয়া আশরাফকে চাপিয়ে দেওয়া পোষাকটা হলো :
বর্তমান গণমাধ্যম নারীকে যেভাবে উপস্হাপন করে তার ধরণ হিসেবে নাদিয়া আশরাফকে যে ধরণের সাজ পোষাকের আশ্রয় নিতে হয়েছে :
এঘটনা হতে বুঝতে পারবেন : মওদুদী দর্শন ও মতবাদ কি এবং কেন ? এবং গণমাধ্যমের পুজিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি নারীর পোষাককে কীভবে নির্ধারণ করে দেয় ?
এই দুই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের চিরায়ত মূল্যবোধ ও ধর্মবিরোধী ।
উপসংহার :
মওদুদী দর্শন মূলত মানুষের উপর জোড় করে মওদুদীর দৃস্টিভঙ্গিকে জোড় করে চাপিয়ে দেওয়ার মতো বিষয় । অপর দিকে ইসলাম শান্তির ধর্ম । ইসলাম স্হানীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতাকে অস্বীকার করে না । ইসলাম পোষাক পড়ার নীতিমালা দিয়েছে । কিন্তু কোন নির্দিষ্ট পোষাককে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপর চাপিয়ে দেয়নি । কিন্তু মওদুদী দর্শন মানুষের উপর জোড় করে নির্দিষ্ট পোষাক চাপিয়ে দেয় । এজন্য আমারা দেখি, জায়ামাতের মহিলা ও ছাত্রী শাখার মহিলাদের নির্দিষ্ট পোষাককে ড্রেস কোড হিসেবে বেছে নিতে ।
আপডেট : দিগন্ত টিভি-তে আওয়ামী চ্যানেল-এর সংবাদ পাঠিকা সামিয়া ইসলাম দিগন্ত টিভি চালু হওয়ার পর সংবাদ উপস্হাপিকা হিসেবে দিগন্ত টিভি-তে যোগ দেন। তিনি চ্যানেল আইয়ে যে সব শাড়ি পড়ে সংবাদ পড়তেন সেসব শাড়ি পড়েই দিগন্ত টিভি-তে আসতেন । সংবাদ পড়ার আগে তিনি বোরকা ও ওড়না চ্যানেল আইয়ে পড়া শাড়িগুলোর উপর পড়তেন । প্রথম প্রথম তার কষ্ট হতো । কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত এই বোরকা আর ওড়না পোষাক দুইটাকে আপন করে নিতে পারলেন না ।
আর এটা তার পক্ষে সম্ভবও নয় ।
আমি সংবাদ পাঠিকা ও উপস্হাপিকাদের বিনীত অনুরোধ করছি : দয়া করে আপনারা এভাবে শাড়ি পড়ে সংবাদ পড়ুন ও উপস্হাপনা অনুষ্ঠান করুন ।
এতে আপনাদের গুনাহ কিছুটা হলেও কমবে । কারণ ইসলাম ধর্মের নিয়ম হলো , কোন মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তাকে অবশ্যই :
১।ওড়না বা অন্য যে কোন কাপড় দিয়ে মাথার চুল প্রতিটা ঢেকে রাখতে হবে ।
২।ওড়না দিয়ে বা অন্য কোন কাপড় দিয়ে বুক, পিঠ, গলা ঢেকে রাখতে হবে ।
৩।মুখ ও হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখতে হবে ।
এই পোষাকের নীতিমালা শুধুমাত্র স্বামী - সন্তান- বাবা- ভাই ও অন্যান্য কিছু আত্মীয়ের সাথে বাড়িতে থাকার সময় শিথিলযোগ্য । জনসাধারণের সামনে অবশ্যই এই পোষাক পড়ার নীতিমালা মেনে চলা প্রতিটা মুসলিম মেয়ের জন্য ফরজ ।
আপডেট - ২:
ফেসবুকে কমেন্ট পড়ে বুঝতে পারলাম, অনেকেই আমার লেখার বিষয়বস্তু বুঝতে পারছেন না ।
অনেক বলছেন :
1.দিগন্ত টিভিতে সংবাদ পড়া নাদিরা আশারাফ ও ফারজানা মাহবুবা জামায়াত-শিবির করতো না । এজন্য অন্য চেনেলে বেআব্রুভাবে খবর পড়া দোষনীয় নয় ।
উত্তর : বেপর্দা-বেআব্রু পোষাক প্রবর্তন, জনপ্রিয় করা ও ড্রেস কোড নির্ধারণ করা এবং বেপর্দা-বেআব্রু পোষাক পরা কুফরী ও ইসলামবিরোধী কাজ । এমন কাজের বিরোদ্ধে আল্লাহ আমাদের জান ও মাল দিযে জিহাদ করতে বলেছেন ।
2.চাকুরী করার শর্ত দিগন্ত টিভিতে হিজাব পরা । চাকুরী করার শর্ত অন্য সব টিভিতে বেপর্দাভাবে পোষাক পরা । সুতরাং যে কোন মেয়ে নাদিরা আশারাফ ও ফারজানা মাহবুবা-র মতো চাকুরী করা ও পাওয়ার স্বার্থে যে কোন ধরনের পোষাক পরতে পারেন ।
উত্তর : বেপর্দা-বেআব্রু পোষাক প্রবর্তন, জনপ্রিয় করা ও ড্রেস কোড নির্ধারণ করা এবং বেপর্দা-বেআব্রু পোষাক পরা কুফরী ও ইসলামবিরোধী কাজ । এমন কাজের বিরোদ্ধে আল্লাহ আমাদের জান ও মাল দিযে জিহাদ করতে বলেছেন ।
3. জামায়াত নাদিরা আশারাফ ও ফারজানা মাহবুবা-কে হিজাব পরিয়ে সংবাদ পড়াতে বাধ্য করেছিলো । এজন্য জামায়াতে ইসলামী ও দিগন্তু টিভি ধন্যবাদ প্রাপ্য ।
উত্তর :
আমার মতে জামায়াতে ইসলামী ও দিগন্ত টিভি ধন্যবাদ পেতে পারে না । কারণ জামায়াতে ইসলামীর মতে বা মওদুদীর মতে মেয়েদের বোরকা ও নিকাব পরা ফরজ । এজন্য এজন্য জামায়াতের প্রায় সব মহিলা কর্মী ও নেত্রী নিকাব ও বোরকা পড়ে । বোরকা ও নিকাব পরা জামায়াতের কোন মহিলা কর্মীকেই দিগন্ত টিভি সংবাদ পাঠিকার চাকুরী দেয়নি । উপরন্তু দিগন্ত টিভি বা জামায়াতও এসব মেয়েদের ইসলামের আদর্শে বলীয়ান করতে পারেনি ।
4. নাদিরা আশারাফ ও ফারজানা মাহবুবা-র বে আব্রু পোষাক পরার জন্য জামায়াত দায়ী নয় , তারা নিজেরা দায়ি ।
উত্তর :
নাদিরা আশারাফ ও ফারজানা মাহবুবা-র মতো মেয়েগুলো কি করছে তার জন্য তারা সবার আগে দায়ী হবেন আল্লাহর কাছে এবং তাদের পর তাদের অভিভাবকরা আল্লার দরবারে দায়ী হবেন । তৃতীয় পর্যাযে তাদের চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দায়ী হবেন । সবার শেষে আমরা তাদরে বেপর্দা ও আব্রুভাবে চলোফেরার জন্য দায়ী হবো । কারণ আমরা তাদের সত্যিকার ইসলামী জ্ঞান দান করিনি ও তাদের জন্যে ইসলামী পরিবেশ অনুযায়ী কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করিনি ।
5. আপনি কোন ধরনের পোষাক পরে মহিলা সংবাদ পাঠ করতে পারে বলে মনে করেন ?
উত্তর :
আমি আমার লেখায় বলেছি মেয়েরা এভাবে পোষাক পরে টিভিতে সংবাদ পড়ুক ।
এতে ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষিত হবে ও দেশীয় সংস্কৃতি অক্ষুন্ন থাকবে ।
বিষয়: বিবিধ
৩৪৭০ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একই বৃন্তে নাস্তিকতার ফুল।
নাস্তিক এবং শয়তান ছাড়া কেউ এ কথা বলতে পারে না রে গাজারুল?
আপনার উচিত আমার লেখাগুলোর তথ্য ভুল প্রমাণ করা ।
নাম বিকৃত করা ও গালি গালাজ করা ইসলামের নিয়ম নয় ।
কারণ :
১।আমার লেখাতে যদি ভুল থাকে, তাহলে কুরআনের এই আয়াতের আলোকে আপনাদের খন্ডনো উচিত :
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। সুরা নহল : ১২৫ ।
২। নাম বিকৃত করা ও গালি দেওয়া গুনাহের কাজ ।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا يَسْخَرْ قَومٌ مِّن قَوْمٍ عَسَى أَن يَكُونُوا خَيْرًا مِّنْهُمْ وَلَا نِسَاء مِّن نِّسَاء عَسَى أَن يَكُنَّ خَيْرًا مِّنْهُنَّ وَلَا تَلْمِزُوا أَنفُسَكُمْ وَلَا تَنَابَزُوا بِالْأَلْقَابِ بِئْسَ الاِسْمُ الْفُسُوقُ بَعْدَ الْإِيمَانِ وَمَن لَّمْ يَتُبْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা, সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। কেউ বিশ্বাস স্থাপন করলে তাদের মন্দ নামে ডাকা গোনাহ। যারা এহেন কাজ থেকে তওবা না করে তারাই যালেম।
সুরা হুজরাত : ১১ ।
রোজার মাস । অন্তত এই মাসের পবিত্রতার কথা ভেবে অন্তত গালি-গালাজ-খিস্তি-খেউর বন্ধ রাখুন ।
তাহলে অন্যমাস গুলো অপবিত্র? ভাল তো ভাল না..?এই তো চেহারা
লতিফ,আগাচৌ, - এরা আপনার দেবতা? এদের বিরুদ্ধে কলম ধরেন ক্যা?
ওহ!আপনি কাদিয়ানী?বুজছি..
বর্তমান সময় আমি পত্র-পত্রিকা খুব কম পড়ি । পুরোপুরি না জেনে আমি কোন বিষয়ের উপর লিখি না ।
উপরন্তু জামায়াত-শিবিরকে ১৯৯৩ সাল হতে ভাল ভাবে জানি এবং জামায়াত-শিবির সম্পর্কিত তথ্য আমার কাছে যথেষ্ঠ রয়েছে । এজন্য আমি খুব তাড়াতাড়ি ব্লগে জামায়াত-শিবির সম্পর্কিত তথ্য দিতে পারি ।
অপর দিকে বাংলাদেশে হঠাৎ আর্বিভাব হওয়া নব্য নাস্তিক বা ইসলামবিদ্বেষী ব্যক্তিদের সম্পর্কে আমার কাছে যৎ সামান্য তথ্য রয়েছে । যেমন : আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী । তার সম্পর্কে আমার পড়াশোনা কম । তাছাড়া আমি তার কলাম বা লেখা বই সম্পর্কে কম জানি । সুতরাং তার সম্পর্কে না জেনে আমি তথ্য বহুল লেখা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় । আমি কাট-পেস্ট করে লেখা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করি । এই লেখায় সেনাবাহিনীর পরিচালনাধীন একটা মেডিক্যাল কলেজে ওড়না বা হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে । তা কোন পত্রিকায় আসেনি । আমি নিজে স্পটে যেয়ে মেয়েদের সাথে কথা বলেছি ।
তবে ফেসবুকে অনেকে এব্যাপারে তথ্য দিয়েছিলো । আমি তাদের কথাকে কোন গুরুত্ব দেইনি ।
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী যা বলেছেন বা আব্দুল লতিফ চৌধুরী যে সব কথা বলেছেন তা অবশ্য ইসলামবিদ্বেষী, ইসলাম অবমাননাকর এবং কঠোর শাস্তি পাওয়ার মতো উপযোগী ।
এই ক্ষেত্রে আমাদের আইনের আশ্রয় নেওয়াটাই উত্তম । তবে আইনে শাস্তি অপ্রতুল । ইসলামবিদ্বেষ, ইসলাম অবমাননা ও মুসলিমদের প্রতিপক্ষ জ্ঞানে খাটো করে তুলে ধরার কর্মকান্ড যে বা যারা পরিচালনা করতে না পারে - এজন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন করার জন্য জনমত গঠণ, জনসচেতনা বৃদ্ধি করা এবং সরকার ও বিরোধী দলকে আইন করতে বাধ্য করার জন্য তৎপড়তা চালানো প্রতিটা মুসলিমের ঈমানি দায়িত্ব । এই লক্ষ্যে আমার ও আপনার সবার কাজ করে যেতে হবে ।
আমিও আমার অবস্হান হতে কাজ করছি ।
আপনি এত কিছু জানেন আগাচৌ সম্পর্কে জানেন না? কেমনে জানবেন তলে তলে এক যে!
আমি আগে হোক বা পরেই হোক - আমি ইনশাআল্লাহ জবাব দেব ।
জামায়াতে ইসলামী বিরোধীতা করা ইসলাম বিরোধীতা করা নয় ।
জামায়াতে ইসলামী কোন ইসলামী দল নয় । এটা সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দল নয় । এটা এটা মাফিয়া চক্রের মতো আন্তজার্তিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মাত্র ।
আাপনার কাছে জাসদ-বাসদ ইসলামী দল জামায়াত ইসলাম নয়।
ইসলাম একটা জীবন ব্যবস্হা । ইসলামকে বিভ্রান্ত করা যায় না । মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায় ।
আমি মানুষকে বিভ্রান্ত করছি না । জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের লোকরা করছে ।
ইসলামী ছাত্র শিবির কীভাবে কোমলমতি ছেলেদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করার জন্য ঢাকা হতে ময়মনসিংহ নিয়ে যা তা আমি তথ্য প্রমাণ দিয়ে তুলে ধরেছি এই লেখায় :http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66240
ইসলামী ছাত্র শিবির হলো মিথ্যা ও সন্ত্রাসের প্রতিচ্ছবি (১ম পর্ব)
অস্ত্র-গোলা-বারুদ-মারামারি করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল দখল করা কবীরা গুনাহ বলে ইসলামে বিবেচিত । কারণ অস্ত্র-গোলা-বারুদ-মারামারি করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল দখল করলে হাক্কুল ইবাদ বিনষ্ট হয় এবং ছাত্র জীবনে ছাত্রদের অধ্যয়নই তপস্যা - এই কথার চর্চা ব্যহত হয় ।
ফখরুল সাব! আপনি ঠিকই বলেছেন, এরা কোনদিনই সফল হবে না বাংলাদেশটাকে আই এস বানাতে। কেন জানেন? কারণ এরা না আপনার কল্পনা অনুযায়ী মানুষ মারতে চায়, আর না তারা বাংলাদেশসহ কোন দেশকে আই এস বানাতে চায়। আপনাদের চিন্তা কতই না অনুর্বর!!!
ইসলামী ছাত্র শিবির কীভাবে কোমলমতি ছেলেদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করার জন্য ঢাকা হতে ময়মনসিংহ নিয়ে যা তা আমি তথ্য প্রমাণ দিয়ে তুলে ধরেছি এই লেখায় :http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66240
ইসলামী ছাত্র শিবির হলো মিথ্যা ও সন্ত্রাসের প্রতিচ্ছবি (১ম পর্ব)
আমার এই লেখাটা পড়লেই বুঝতে পারবেন জামায়াত-শিবিরের লোকদের মধ্যে আইএস-এর স্বভাব বিদ্যমান ।
ধরুন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকতে পারছেন না কিন্তু পড়াশোনা করতে পারছেন । কারণ প্রতিপক্ষ আপনাকে হলে থাকতে দেয় না । এই ক্ষেত্রে আপনি দুইটা কাজ করতে পারেন ।
১। হলে থাকা বাদ দিয়ে শহরে কোথায় বাসা ভাড়া নিয়ে বা মেসে থেকে আপনি পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় হতে ডিগ্রী নিয়ে বের হলেন ।
২। আপনি সন্ত্রাসী ও আপনার রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল দখল করতে পারেন এবং সব ছাত্র-ছাত্রীকে আপনার রাজনৈকি আদর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য করতে পারেন এবং পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন ।
এই দুইটার মধ্যে শেষের কাজটা দিনের পর দিন ইসলামী ছাত্র শিবির বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করে যাচ্ছে । যেমন : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।
আমি ১৯৯৬ সাল হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেদের দেখছি । আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, ইসলামী ছাত্র শিবিরের হাতে যে সব ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে তারা অন্য সাধারণ ছেলেদের চেয়ে কম মেধাবী হয়েছে এবং সমাজে চোখে পড়ার মতো কোন অবদানই রাখতে পারেনি ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠণগুলো কি করে আমরা ভাল করেই জানি ।
আপনার মনে হয় কি আমরা জাননিা?
বাংলাদেশে কোন কোন দল ইসলামিক দল একটু জাতরি উদ্দেশ্যে বয়ান করনে?
বাংলাদেশে অসংখ্য ইসলামী দল আছে । যেমন : আনজুমান মফিদুল ইসলাম , আহসানীয়া মিশন ....।
এদের অনেক গুলো সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও এনজিও বুরো দ্বারা নিবন্ধিত ।
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধিত । নির্বাচন কমিশিন রাজনৈতিক দলকেই নিবন্ধন দেয় । কোন ইসলামী দলকে নয় । কারণ নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে ইসলামী দল নিবন্ধন করার কথা বলা নেই । উপরন্তু ধর্মীয় গোষ্ঠীর ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল গঠণ সংবিধানবিরোধী । কারণ সংবিধানের ৩৮ নং অনুচ্ছেদ মতে আপনার উল্লেখিত ইসলামী দলগুলো সংবিধানবিরোধী । সংবিধানবিরোধী সব দলই বাংলাদেশের আইনবিরোধী । নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে এই কারণেই । নির্বাচন কমিশনে আপনার কথা অনুযায়ী আরো ইসলামী দল আছে । সেগুলোর নিবন্ধনও বাতিল হয়ে যাবে,যদি কেহ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে এসব দলের ব্যাপারে আপত্তি তোলে ।
দয়া করে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটের এই লিংক দেখুন : http://www.ec.org.bd/Bangla/RegisteredPoliticalPartyBng.php
১. ইসলামী সংগঠণ কাকে বলে ?
২. পাগল কি ব্লগ লিখে বা নেট ব্যবহার করতে পারে ?
৩. বাংলাদেশের সংবিধান কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
৪. বাংলাদেশের আইনের প্রধান উৎস কি ?
৫. গোলাম আজম-নিজামী-সাইদী....দের কোন আইনের ভিত্তিতে বিচার করা হচ্ছে ? এই আইনের উৎস কোনটি ?
৬. বাংলাদেশের আইন কোথায় পড়ানো হয় ? কেন পড়ানো হয় ?
আশা করি উত্তর দিবেন ।
আপনার এই লেখাটার অংশে মির্যা তাহের আহমদ কাদিয়ানীদের ৪র্থ নেতা । আর ইমাম মাহদী কাদিয়ানীদের মতে মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ।
যদি আপনি কাদিয়ানী হন, তাহলে বলতে বাধ্য হবো : কাদিয়ানীরাও যে জামায়াত-শিবিরের লোক হওয়া শুরু করেছে তা এই প্রথম জানলাম ।
নামে মুসলমানই মনে হয় - ভয় করুন মিথ্যা বলার পরিণতিকে, যার সম্মুখিন হতে হবে মৃত্যুর পর, যা সবারই অতি নিকটে।
আলবদর এবং রাজাকার ছিল।
২। তারপর ফকরুল, বাঙ্গালী এবং পূজাকারী
হলেন।
৩। এখন আওয়ামীলীগ, এবং শেখের আর্দশে বিশ্বাসী। মুজীব বাংগালী ছিলেন।
৪। আমার মনে হয়, আগামীতে ফকরুল, আমাজানের লোকদের আর্দশে বিশ্বাসী হবেন। ওদের কোন পোষাক নেই। উলঙ্গ অবস্থায় জীবন যাপন করেন।
এই কথা অন্তত আমার ক্ষেত্রে সঠিক হয়নি । এজন্য আল্লাহর অশেষ শুকরিয়া যে এই অভিশপ্ত দলের নাগপাশ হতে আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন ।
আমি কি তা আমি ভাল করে জানি ।
জামায়াতীদের দাবিতে জামায়াতীরা বাংলাদেশি ও মুসলিম ।
আমার মতে জামায়াতীরা মনে প্রাণে পাকিস্তানী ও মুসলিম নামধারী ওহাবী সন্ত্রাসী । জামায়াতীদের অনেকেই সৌদি বাদশাহকে তাদের বাবা বল্লেও গর্ববোধ করেন । সৌদি আরবের যাকাত-ফিতরা ও অর্থ ও বাহ্যিক সহায়তায় এই দেশে ইসলামী ব্যাংক সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান বানিয়ে তারা বিত্ত-বৈভব অর্জন করেছে । এখন তারা বাকি রেখেছে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের হত্যা করে ওহাবী মত অনুযায়ী ইসলাম শাসনের নাম করে বাংলাদেশ দখল করা ।
নাই কোন জায়গায়, এক সময় শিবির বিশ্বের
সব জায়গাতে পাওয়া যাবে। শিবির নিয়ে মাথা বাথ্যা।
জামায়াতের লোকদের মেয়েরা বা ছাত্রী সংস্হার মেয়েদের চেহারা কুৎসিত । এজন্য হয়ত তারা মুখ প্রদর্শন করেন না ।
তবে জামায়াতের বড় বড় আলেম টিভিতে মুখ খোলা সুন্দরী কিশোরী ও যুবতিদের সাথে প্রোগ্রাম করা পছন্দ করেন । যেমন : তারিক মনোয়ার ।
https://www.facebook.com/tpnews24/videos/584352058331949/
আমি ছবি দেওয়ার ক্ষেত্রে সুন্দর ও অসুন্দরের কথা চিন্তা করি না ।
উপরন্তু বাংলাদেশের সব মেয়েই সুন্দর । এমন কি ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী এবং গায়ের গড়ন অনুযায়ী পোষাক পড়েলে কালো ও শ্যামলা মেয়েদের সুন্দর ও সুশ্রী মনে হয় । এই কথা আমার নয়, হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে এক বিদেশী মহিলা বলেছেন ।
অদুর ভবিষ্যতে দেখবেন, তারা নিজেরাই প্রকাশ্যে আসবে এবং মওদুদীর বই প্রকাশ্যে আগুন দিয়ে পোড়াবে ।
হ্যা । জামায়াতের লোকদের অনেক মেয়ে সুন্দর । লক্ষীপুরের জামায়াত নেতা ডা. ফায়েজ-এর মেয়ে উজমা ।
উজমার ছবিটা দিলাম । ও । দেখতে ভারী সুন্দর !!!!!
উজমার বাবা সম্পর্কে কিছু তথ্য এই লিংক হতে পাবেন :
http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/305782/‘আমরা-ভাগ্যবান-বাবার-লাশ-পেয়েছি’
ওর ফেসবুক আই ডি :
https://www.facebook.com/uzma.kaiser.1/posts/972339332795832?fref=nf
ওর মুখ খোলা অবস্হায় বক্তৃতা আছে এই লিংকে তাতে তার বাবাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিবরণ তিনি দিয়েছেন ।
https://www.youtube.com/watch?v=9xZE_Im1LN4
উজামা কায়সার জামায়াত নেতা ডা. ফায়েজের মেয়ে । এই ভিডিওর ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড হতে ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড পর্যন্ত উজমা কায়সারের কথা শোনা যাবে । আর তার চেহারাও দেখা যাবে । ইসলামে মেয়েদের মুখ বা চেহারা ঢেকে রাখা প্রয়োজনীয় বা আবশ্যক বা ফরজ নয় ।
শেখ আহমেদ আল-গামেদী, সৌদি আরবের প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষের মক্কা অংশের সাবেক প্রধান । তার স্ত্রী জাওয়াহের বিনতে আল-শেখ আলী ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ এমবিসি টিভিতে মুখ খোলা অবস্হায় বা নিকাব দিয়ে মুখ না ঢেকেই উপস্হিত হন । আর শেখ আহমেদ আল-গামেদীও তার সাথে উপস্হিত ছিলেন । শেখ আহমেদ আল-গামেদী বলেন যে মুখ ঢাকা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ সা. – এর স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল । তিনি টিভির সাক্ষাৎকারে জনসাধারণের সামনে মহিলারা তাদের মুখ প্রকাশ করা দোষের কিছু নয় এবং মহিলারা সামান্য মেকআপ পরতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।
ভিডিওটা দেখুন , এই লিংক হতে :
https://www.facebook.com/video.php?v=885018538187908&set=vb.831464740209955&type=2&theater;
জামাত শিবিরের ব্যাপারে তার আক্রোশ সম্পূর্ন বয়াক্তিগত।
নিশ্চয়ই কোনো অনৈতিক কাজের জন্য গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে।
বাংলাদেশের নাস্তিক গুলারও সমান ধরনের কাহিনীর।
হয়ত ছোটবেলায় মাদ্রাসায় পড়ত - কোনো অনৈতিক মাদ্রাসা ছাত্র হয়ত যৌন কিছু করেছে পরে থাকে আর ইসলাম দেখতে পারেনা।
হয়ত ঘরে কোনো ট্রমাটিক কিছু দেখেছে তার পরে থেকে বাবা কিংবা মায়ের ধর্মকে ঘৃনা করে।
এক লোকের বাবা এক বৌদ্ধ মহিলাকে মুসলমান বানিয়ে বিয়ে করে পরে ঐ মহিলা নানা নির্যাতনের মুখে পড়তে হয়েছিল। সেই থেকে ছেলে ইসলাম ধর্ম ঘৃণা করে।
এরকম হয়। এসব ঘৃণা আর বিকৃতি এক সময় মানুষকে পুরোটাই পাগল বানিয়ে ফেলে।
ফখরুল পাগলার হয়েছে সমান গতি।
আমি মুসলিম । আমি ইসলাম ধর্মের উপর পরিপূণ আস্হাশীল ।
জামায়াত-শিবির- আহলে হাদিস - ওহাবী সৌদি আরব ও দানবীয় শক্তির বিরোদ্ধে লেখালেখিই নয়, বরং তাদের বিরোদ্ধে জিহাদ করা প্রতিটা মুসলিমের ফরজ বলে মনে করি । আমি বর্তমানের লেখােলেখির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করছি । অদুর ভবিষ্যতে জনগনই এসব অপশক্তির রুখবে । তার লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি ।
আমার বাবা-মা উভয় মুসলিম সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান । আমার মা-বাবা উভয়ই ধার্মিক মুসলিম । তবে ওহাবীদের মতো গোড়া নন ।
মেয়েদের নানা অঙ্গ ভঙ্গির ছবি
দিয়ে পোস্ট ভরে ফেলেছেন সম্পূর্ণ অপ্রাঙ্গিক কারণে।
মানসিক রোগী
নিয়েছেন। দেশের বাহিরে থাকলে,অনুমতি
বিহীন ছবির জন্য জেলে যেতে হত। মহিলাদের
প্রতি দুর্বল বিধায়, এত মহিলাদের ছবি প্রকাশ
করেছেন। গানের কতদুর। কি কি শিখলেন।
ষ্টেজে গান করা হয়েছে।
বিহীন ছবির জন্য জেলে যেতে হত।”
উত্তরে বলছি : আমি দেশে থাকি । দেশের আইন সম্পর্কে শুধু জানিই না । আমি নিজে আইনের সাথে জড়িত । বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলবি প্রোগ্রামের চতুর্থ বর্ষে সাইবার ল পড়ানো হয় । এই বিষয়টা আমি ভালভাবে আত্ত্বস্হ করেছি ।
কথায় আছে : রোমে গেলে রোমানিয়ানদের মতো আচরন কর ।
আমি রোমে যাই না । সুতরাং আমাকে রোমানিয়ানদের মতো আচরন করার প্রয়োজন নাই ।
উপরন্তু এসব ছবি কপিরাইট করা নেই । যাদের ছবি তারা তাদের ছবিগুলোকে কপিরাইট করুন । তারপর না হয়, কপিরাইট আইন অনুযায়ী তারা অগ্রসর হয় । তখন আমি আমার মতো অগ্রসর হবো ।
আপনাকে বিনীতভাবে বলছি : জামায়াত শিবিরের লোকরা আমাকে এপর্যন্ত যত বার হুমকি দিয়েছে তত বার আমি মামলা মোকাদ্দমায় অগ্রসর হলে এই ব্লগ সাইট ও ফেসবুকের কম করে হলেও পনেরটা পেজ অনেক আগেই বন্ধ হতো এবং বেশ কিছু জামায়াত-শিবিরের রাগব বোয়াল ও চুনুপুটিদের লাল দালানে যেতে হতো ।
আমার স্টেজে গান গাওয়ার ইচ্ছে নেই । তবে ওহাবী ও মওদুদীর পান্ডারা বাংলাদেশের সংগীত শিল্পকে কীভাবে ধ্বংস করছে - সেই ব্যাপারটা বোঝার জন্য গানের সাথে জড়িত লোকদের সাথে মাঝে মধ্যে বসি ।
ওহাবী ও মওদুদীর পান্ডারা বাংলাদেশের সংগীত শিল্পকে কীভাবে ধ্বংস করছে তার একটা ধারণা আমার এই লেখাটা পড়ে জানতে পারবেন -
জামায়াত-শিবির যেভাবে বাংলাদেশে ধর্ম , সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্হার উপর আঘাত হানে (১ম পর্ব)
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65361
আমি কারো দালাল না । যদি বলেন দালাল । তাহলে আমি মানবতার মহান মুক্তির দুত মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ সা- এর দালাল । কারণ তিনি হাদিসে শয়তানের শিং সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করেছেন । আমি শয়তানের শিং সৌদি আরব , ওহাবী , মওদুদী মতবাদ ও সালাফী মতবাদ সম্পর্কে লোকদের মধ্যে জনমত গঠণ করছি ।
রোমে গিয়ে রোমান হননি?
শেখ হাসিনার আইন কানুন সাইবার ল' বেশ রপ্ত করেছেন? আইনের সাথে জড়িত মনে কি?
মুখে যা আসে বলে দেন?
বুঝাই যাচ্ছে সরকার বিরিধীদের বিরোধিতার কারণ - ধুতিচেটে দুই পয়সা কামিয়ে মোসাদ, র' এর মেরুদন্ডহীন দালালদের সুনজরে থাকা।
উপরন্তু ইসলামের নাম ব্যবহার করে যারা হীনস্বার্থে সন্ত্রাস করছে তাদের সম্পর্কে আমি ২০০৪ সাল হতে গুরুত্ব দিয়ে পড়াশোনা করছি ।
কোন গোষ্ঠীর মনযোগিয়ে লেখালেখি করি না বা ফরমায়েসী লেখা আমি লিখি না বা কারো নজরে পড়ার জন্য লেখালেখি করি না বা সরকারের নজরে পরার জন্যও লেখালেখি করি না । আমি অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে লেখালেখি করি না । আমি লেখালেখির সময় নিরোপেক্ষভাবে তথ্য সংগ্রহ করি । সব সময় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে লেখালেখি করি ।
ভাল কথা । জামায়াত শিবিরের হয়ে দিন রাত চব্বিশ ঘন্টা ব্লগিং করার জন্য আপনাকে গোলাম আজম নিকাবী যৌনদাসী উপহার দিয়েছেন কি ? টাকা পয়সা দেওয়ার কথা বাদই দিলাম ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন