আমার কোন লেখা এই কয়েক দিনের মধ্যে সম্পাদক মহোদয় মুছে দেননি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৬ জুলাই, ২০১৫, ০৮:১৬:৪১ সকাল
কয়েক দিন ধরে জামায়াত-শিবিরের কিছু লোক আমার বিরোদ্ধে কুৎসা রটনা করে যাচ্ছন ও আমার মা-বাবা তুলে গালি গালাজ করে যাচ্ছেন ।
তারা বলছেন, আমার এই লিংকস্হ http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/6617 একটা লেখা নীতিমালাবিরোধী হওয়ায় মুছে দেওয়া হয়েছে । বাস্তব অবস্হা হলো এই লিংকে আমার কোন লেখা ছিল না ।
এই কয়েক দিনে আমি এই কয়েকটি লেখা এই সাইটে দেই:
আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এবং শিবির কর্মীদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66176
আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ এবং আমাদের ভুলে যাওয়া অতীত
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66180
ইসলামী ছাত্র শিবির হলো মিথ্যা ও সন্ত্রাসের প্রতিচ্ছবি (১ম পর্ব)
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66240
মওদুদীর বই নিষিদ্ধ করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66503
জামায়াতে ইসলামীর ইরাক ও সিরিয়ার শাখা কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে যৌনদাসী প্রদানের ঘোষনা
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66508
যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের জন্য জামায়াতের সৌদি বাদশাহর পা ধরা আর খালেদা জিয়ার সুপারিশ
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66771
বাংলাদেশের সেনা বাহিনী সম্পর্কে আমার অভিমত
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66806
গোলাম আজমের কবিতা "কেউ কথা রাখেনি"
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66170
ছাগু সংগীত
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66001
আমার কিছু লেখা ও আমার বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি
http://www.monitor-bd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/66732
আমি লক্ষ করছি , বেশ কিছু জামায়াত-শিবির সমর্থক আমার সম্পর্কে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা লিখে যাচ্ছেন । যেমন :
১. বাংলাদেশের মেয়েরা অশালীনভাবে চলাফেরা করুক – তা নাকি আমি আমার লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করছি ।
বাস্তব অবস্হা হলো আমি বাংলাদেশের মেয়েরা যাতে ধার্মিক হোক ও আদর্শ মা হোক – তা আমি আমার লেখার মাধ্যমে তুলে ধরছি ।
উপরন্তু জামায়াত-শিবির মেয়েদের পর্দার নামে মুখ ঢাকা নিকাব পরার মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েদের জড় পর্দাথে পরিনত করে তুলে ধরছে তা আমি জোড় দিয়ে বলছি ।
আমি হিজাব ও নিকাব-এর মধ্যে পার্থক্যও তুলে ধরছি ।
https://www.youtube.com/watch?v=4WgPJ_Bxu7o
https://www.youtube.com/watch?v=3_tsODi2qFA
https://www.youtube.com/watch?v=LNhWI-gL2DM
https://www.youtube.com/watch?v=2APfO9dtm6s
এই ভিডিওগুলোরর মতো মেয়েদের ওড়না পড়া ও পোষাক পরাকে হিজাব বলা হয় । হিজাব করা মেয়েদের ফরজ ।হিজাব যারা করেন তাদের বলা হয় হিজাবী বা মুহাজ্জাবাহ্ ।
এভাবে মুখ ঢাকাকে বলা হয় নিকাব পরা । নিকাব যারা পড়েন তাদের বলা হয় নিকাবী । নিকাব পরা ফরজ নয় । কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর লোকদের মতে এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের ওহাবী ও আহলে হাদিস সম্প্রদায়ভুক্ত পুরুষ লোকদের মতে মেয়েদের মুখ ঢাকা বা নিকাব পরা ফরজ । বাংলাদেশে খুব কম লোকই ওহাবী ও জামায়াতের মতবাদে বিশ্বাসী । নিকাব পরা মেয়েদের বা মহিলাদে দেখতে ভীষণ বিশ্রী । এজন্য বাংলাদেশের মেয়েরা নিকাবী মেয়েদের পছন্দ করে না । উপরন্তু বেশীর ভাগ নিকাবী জামায়াতে ইসলামী করে ।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বিশ্বাস ও ধর্ম ইসলামকে অবজ্ঞা করার পাশাপাশি হেয় করার প্রবনতা বিদ্যমান ।
সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামের বিধান অনুযায়ী পোষাক পড়া বিশেষত মেয়েদের মাথায় ও বুকে ওড়না ব্যবহার করা নিষিদ্ধ । যেমন : ঢাকার আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ । (ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী মাথা ও বুকে ওড়না এবং ঢিলা জামা পরাকে হিজাব বলা হয় । ইসলামে পোষাকের এমন নিয়ম ফরজ বা অবশ্য করণীয় কাজ । )
ঢাকার আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ- এহিজাব নিষিদ্ধকরনের বিজ্ঞপ্তী । সেনাবাহিনী পরিচালিত আর্মড ফোর্স মেডিক্যাল কলেজে (afmc) হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।
এই কলেজের ওয়েব সাইট হলো : http://www.afmcbd.com ।অথচ এই কলেজের এক তৃতীয়াংশ মেয়ে হিজাব করতো । সেনাবাহিনীর লোকদের অভিমত : হিজাব করা মেয়েরা জামায়াতে ইসলামীর লোক । বাস্তব অবস্হা হলো জামায়াতে ইসলামীর লোকদের কাছে নিকাব করা ফরজ । নিকাব হলো মুখ ঢেকে রাখার কাপড় । অথচ এসব মেয়েদের কেহই মুখ ঢেকে চলাফেরা করতো না ।
আমর্ড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজের হিজাবী ছাত্রীদের একাংশ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অশালীন পোষাক প্রবর্তন ও ইসলামী মূল্যবোধসম্পন্ন পোষাক হিজাব নিষিদ্ধের বিরোদ্ধে আমি ছিলাম সোচ্চার । শুধু তাই নয় ১-১১ এর পর অসংখ্য স্কুল কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ করণ তৎপড়তা ও দাড়ি টুপি পড়া লোকদের অবমাননা ও অপমান করার বিরোদ্ধে আমি ছিলাম সোচ্চার ।
হিজাব ও নিকাব নিয়ে ফেসবুকে জামায়াত-শিবিরের কারো সাথে ডিবেট-বিতর্ক-আলোচনা হয়নি । যে বা যারা বলে থাকেন –তা অমুলক ও অসত্য ।
হিজাব ও নিকাব কেন জামায়াত-শিবিরি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে বাস্তব জীবনে অনেকের সাথে ডিবেট-বিতর্ক-আলোচনা হয়েছে । উপরন্তু আমি অজানা ও অপরিচিত লোকের সাথে ডিবেট-বিতর্ক-আলোচনা করি না । আমি আলোচনা ও বিতর্ক প্রকাশ্যে করি ।
সুতরাং যেসব জামায়াত-শিবির কর্মী বলছেন, তাদের সাথে আমার ডিবেট-বিতর্ক-আলোচনা হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট ।
পরিশেষে বলছি :
নেটে লেখালেখি শুরুর সময় হতে কিছু লোক আমাকে অবজ্ঞামূলক কথা বলতো । তারা বিভিন্ন মত-পথ-ধর্মের । বর্তমানে এই ব্যাপারটা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
অনেকেই আমার রাজনৈতিক দর্শন সম্পর্কে কম বেশি জানেন । সুতরাং আমার মতের সাথে বা দর্শনের সাথে অনেকের মিল থাকবে না ।
কুটসা রটনা আর রম্য ও সেটায়ারের মধ্যেও তো পার্থক্য আছে ।
আমার কোন লেখায় কুৎসা নেই । অসত্য ও বানোয়াট তথ্য নেই ।
যারা আমার লেখা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাদের আমি বিনীতভাবে বলছি, লেখার জবাব লেখা দিয়েই দেওয়া উচিত ।
হুমকি - ধমকি ও বাস্তব জীবনে হত্যার হুমকি দিয়ে নির্মম সত্যকে চাঁপা দিয়ে রাখা যায় না ।
আমি বরাবরই সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকার চেষ্টা করি । আমি সত্য প্রকাশে আপোষহীন ।
জামায়াত-শিবির সম্পর্কে আমি ৬ বছর ধরে লিখছি । প্রথমে জামায়াত-শিবিরের লোকরা যাতে পরিশুদ্ধ হয় ও তার সংস্কারাচ্ছন্ন-পরিমার্জিত-সভ্য-আধুনিক হোক, সেই লক্ষ নিয়ে তাদের সম্পর্কে লেখা লিখতাম । তারা কোন ভাবে আমার কোন কথা বা তথ্যকে গুরুত্ব দিতো না । কারণ লোকেরা বলে -তারা মগজ দোলাইয়ের স্বীকার হয়ে গেছে ।
এখন জামায়াত-শিবির বাংলাদেশ হতে বিলীন হোক - তা চাই । সুতরাং আমি আমার অভিমত লেখার মাধ্যমে ব্যক্ত করতেই পারি ।
যদি আমার এই অভিমত কারো পছন্দ না হয় বা আমার নির্মম সত্য কথাগুলো কারো ভাল না লাগলেও আমার আসে যায় না । কারণ ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতাকে লুকিয়ে রাখা যায় না ।
উপরন্তু অনেক মানুষের বা ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি এক থাকে না । তাহলে জগতে ইতিবাচক পরিবর্তন হতো না । বেশির ভাগ লোক চায় জগতটা যেভাবে চলছে চলুক । পুরাতন নিয়ম বহাল থাকুক । আমি বেশির ভাগ লোকের এই নীতি অনুসরণ করে চলি না ।
একটা সময় আমি মওদুদীর বই পড়তাম । ওহাবী মতবাদনির্ভর আহলে হাদিসদের বই পড়তাম । কিন্তু পড়ার ক্ষেত্রে আমি আল্লামা ইকবালের এই নীতিটা অনুসরণ করে থাকি :
It is impossible for you to have a leisure from a book,
For you are merely a book reader not the author
আর আমি এজন্যই এই দুই পশ্চাৎপদ গোষ্ঠীর মগজ দোলাইয়ের স্বীকার হইনি । অথচ আমি তাদের প্রতিটা বই-ই নয় তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ।
বই পড়ে কেহ ভক্ত হয় । কেহ হয় গবেষক । কেহ হয় হয় লেখক ও কথিত মতাদর্শ বা মতবাদের প্রতি বিরক্ত ।
আমি এই ক্ষেত্রে শেষ দুই দলের লোক ।
অনেকে বলেন : .... লেখাগুলো কুৎসা এবং ভিন্ন মতের হ্যারাজম্যান্ট।
আমি বিনীতভাবে বলছি : নেটে অনেক কিছু আছে । নেটে পর্নমুভি আছে । নেটে জুয়া আছে । নেটে প্রতারণা আছে । তাই লোকেরা নেট ব্যবহার করা বাদ দিয়ে দিয়েছে ।
আমি মনে করি, আমার লেখাতে যদি ভুল থাকে, তাহলে কুরআনের এই আয়াতের আলোকে আপনাদের খন্ডনো উচিত :
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। সুরা নহল : ১২৫ ।
পরিশেষে বলছি : ইসলামীবিদ্বেষী নাস্তিকদের আমি পছন্দ করি না । তবে আমি তাদের কথাকে গুরুত্ব দেই না । তাদের কথাগুলোর জবাব দেওয়াও প্রয়োজন মনে করি না । এর প্রধান কারণ আমি ক্রিয়াশীল লোক । আমি প্রতিক্রিয়াশীল লোক নই । ইসলামবিদ্বেষ, ইসলাম অবমাননা ও ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকতার প্রচারই প্রমাণ করে ইসলাম ও মুসলিমরা এগিয়ে যাচ্ছে । কারণ যে গাছে ফল থাকে সে গাছেই বেশি টিল ছুড়ে মারা হয় ।
আরেকটি কথা না বল্লেই নয় :
আমি জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও ওহাবী মতবাদ - মওদুদী মতবাদ - আহলে হাদিস মতবাদ - সালাফী মতবাদ - সৌদি আরবের রাজতন্ত্র ও সৌদি আরবের অশুভ-কুসংস্কারাচ্ছন্ন-কুপন্ডুকতাপূর্ণ কাজের বিরোদ্ধে লেখালেখি করে যাবে । আজ আমি এই ক্ষেত্রে একা হলেও এই দেশে মুক্তিকামী ও প্রগতিশীল-উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তির পক্ষে থাকা মুসলিমদের বড় অংশ তাদের বিরোদ্ধে সোচ্চার হবে ইনশাল্লাহ ।
বিষয়: বিবিধ
১৫২৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রহমানের বান্দা তো তারাই যারা পৃথিবীতে বিচরণ করে শান্তভাবে এবং মূর্খেরা তাদের সাথে বাক বিতণ্ডা করতে চাইলে তারা বলে 'সালাম ( বিদায়) (আল কুরআন-২৫:৬৩)
তার ব্যাক্তিগত ঝাল মিটায় জামাতের উপর কারণ জামত তার মত ছাগলকে দলে রাখেনি।
সে নিজেরে নিয়া বড়ই ব্যাস্ত।
@ফখরুল: We are NOT worried about you or whatever crap you write.
Give yourself a break, and keep calm.
Please don't bother us.
মন্তব্য করতে লগইন করুন