আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ এবং শিবির কর্মীদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৭ জুন, ২০১৫, ১২:১৪:০৯ রাত
১৯৭১ সালে মুজাহিদ ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের প্রেসিডেন্ট ও আল বদর প্রধান।
১৯৭১ সালে এই গুপ্ত সংগঠণটার কাজ ছিল উদিয়মান বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবি ও সৃষ্টিশীল লোকদের হত্যা করা । এই গুপ্ত সংগঠণের মূল সংগঠণ ছিল ইসলামী ছাত্র সংঘ । ১৯৭৭ সালের ৬ ই ফেব্রুয়ারী এই সংগঠণ ইসলামী ছাত্র শিবির নাম ধারণ করে । ইসলামী ছাত্র শিবিরের পরিচয় ও আমার অভিজ্ঞতা নয়ত অন্য দিন শেয়ার করবো ।
https://www.youtube.com/watch?v=yYH-Ix6JFfk
স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষিত হওয়া মাত্র তিনি তার আজ্ঞাবহ রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। অতঃপর তিনি জনৈক ফিরোজ মিয়াকে এ বাহিনীর কমান্ডার নিযুক্ত করে তাদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন। মুজাহিদ ছিলেন এ সংগঠনের সামরিক এবং অর্থনৈতিক মূল চালিকাশক্তি।
তার স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকান্ড তৎকালীন সংবাদপত্রসমূহে প্রকাশিত বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ এ ফরিদপুরে ইসলামী ছাত্র সংঘের এক জনসমাবেশে তিনি বলেন যে সমগ্র ভারত হস্তগত করার আগে তার উচিত ছিলো আসাম (ভারতীয় প্রদেশ) দখল করা।
যুদ্ধ চলাকালে মুজাহিদ ১৮১, ফকিরাপুলে ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে অবস্থান করেন। জাতীয় পার্টি নেতা আবদুস সালাম, সাংবাদিক জি এম গাউস এবং মুক্তিযোদ্ধা ও কলামলেখক মাহবুব কামালের সাক্ষ্যমতে ফিরোজ মিয়া ছিলেন রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার।
ফিরোজ মিয়ার বাড়ি সে সময় এলাকার রাজাকারদের প্রধান কার্যালয় এবং মুক্তি বাহিনীর নির্যাতন কেন্দ্রের ভূমিকা পালন করত। এলাকাবাসীদের তথ্যমতে অনেককে সেখানে চোখ বেঁধে নিতে দেখা যেত এবং নির্যাতিতদের আর্তচিৎকারও শোনা যেত। মুজাহিদ ছিলেন এর মূল হোতা।
তিনি মুখ ভেংচি কেঁটে বলেছিলেন, “ বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই । কোন স্বাধীনতাবিরোধী নেই । ” আজব হলেও সত্যি , তিনি ছিলেন শীর্ষস্হানীয় আল বদর কমান্ডার ও নেতা । কিন্তু তিনি অনেক চেষ্টা করেও তার অপকর্ম লুকাতে পারেননি ।
https://www.youtube.com/watch?v=xQwRlhENNmQ
সেপ্টেম্বর থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পরাজিত হতে শুরু করলে মুজাহিদ তার কর্মপদ্ধতি পরিবর্তন করেন। তিনি মুক্তিকামী সাধারণ বাংলাদেশী জনগণের পরিবর্তে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবি ও পেশাজীবিদের হত্যা শুরু করেন। তিনি এবং তার দল ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে নিহত বুদ্ধিজীবিদের সম্পর্কে তথ্য সরবরাহকারীর ভূমিকা পালন করেন। গাউসের বক্তব্য মতে, মুজাহিদ নির্ধারিত বুদ্ধিজীবিদের হত্যার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘেরাওকর্মে মুজাহিদ ছিলেন অন্যতম নেতা। (উপরের অংশটি উইকি থেকে নেয়া)
৭১এর মুজাহিদনামা
আল বদরের নেতৃবৃন্দ
আলী আহসান মুজাহিদ জামাত-ই-ইসলামী বাংলাদেশের বর্তমান সাধারণ সচিব। তিনি ২০০১-২০০৭ সময়কালে চারদলীয় জোট সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেন এবং যুদ্ধ চলাকালে তিনি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহায়তা করেন। তিনি একাধারে গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষণে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে সহাযোগিতা দান এবং ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশী বুদ্ধিজীবি হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বদানের দায়ে অভিযুক্ত। ১৪ ডিসেম্বর তারিখটি শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস নামে পরিচিত।
মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধের দালিলিক প্রমাণ
‘ফর্টনাইটলি সিক্রেট রিপোর্ট অন দ্য সিচুয়েশন ইন ইস্ট পাকিস্তান’ প্রতিবেদনে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের তৎকালীন সভাপতি মতিউর রহমান নিজামী, ছাত্র সংঘ নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও এ টি এম আজহারুল ইসলাম কিভাবে তখন পাকিস্তানকে সহায়তা করেছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের শায়েস্তা করতে তৎপর ছিলেন এসবের বিস্তারিত উল্লেখ আছে। বর্তমানে এই তিনজন যথাক্রমে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল ও সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল।
১৯৭১ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় ভাগের সরকারি এই গোপন প্রতিবেদনে (১৩ নভেম্বর ১৯৭১ স্বরাষ্ট্র সচিব স্বাক্ষরিত) বলা হয়েছে, ১৭ অক্টোবর রংপুরে পাকিস্তান ইসলামী ছাত্র সংঘের এক সভায় আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ আল বদর বাহিনী গড়ে তুলতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ইসলামবিরোধী শক্তিদের প্রতিহত করতে হবে। এজন্য যুবকদের সংগঠিত করে আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ওপরে তিনি গুরুত্ব দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।
ওই একই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৭ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামী আল-বদর দিবস পালন করে। দলের নেতারা দিবস পালনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আল-বদর বাহিনীতে জনগণকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয় ‘যারা পকিস্তান চায় না তারা আমাদের শক্র। পাকিস্তানের অখণ্ডতা রুখতে হবে ও শক্রদের প্রতিহত করতে হবে।’
১৫ অক্টোবর ১৯৭১ সালে প্রকাশিত এক সংবাদে আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ বিবৃতি দেন এবং পুর্ব পাকিস্তানে দেশপ্রেমিক যুবকেরা ভারতীয় চরদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এসেছে এবং রাজাকার, আলবদর ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর সদস্য হিসেবে জাতির সেবা করছে। অথচ সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে কতিপয রাজনৈতিক নেতা (জনাব জেড এ ভুট্টো, কাওসার নিয়াজী, মুফতি মাহমুদ ও আসগর খান) রাজাকার আলবদর ও অন্যান্য দেশহিতৈষী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করে বিষোদ্গার করছেন। এসব নেতার এ ধএনরর কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য এবং এ ব্যাপারে কঠোর মনোভাব গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান।
৭১ এর ছাত্র সংঘ নেতা ও বদর বাহিনীর প্রধান মুজাহিদের অপতৎপরতার ছবিও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন পত্রিকায়। ১১ ডিসেম্বর দৈনিক আজাদে প্রকাশিত একটি ছবির ক্যাপশন ছিল ‘গতকাল গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে আলবদর আয়োজিত পথসভায় বক্তৃতা করিতেছেন আলবদর প্রধান জনাব মুজাহিদ।’
আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের স্বাধীনতাবিরোধী তৎপরতা ও নৃশংসতা একাত্তুরেই শেষ হয়ে যায়নি। নানাবিধ দলিলপত্রে সে প্রমাণ পাওয়া যায়। সাপ্তাহিক বিচিত্রায় ১১ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৮ সালে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ভিন্ন মতাবলম্বী ছাত্রনেতা মওলানা আবদুস সোবহানকে শিবির কর্মীরা কোরআন পাঠরত অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বও মুজাহিদ দিয়েছে বলে জানা যায়।
মামলার ইতিবৃত্ত:
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে গ্রেফতার করার পর ২ অগাস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২০১২ সালের ২১ জুন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই এই জামায়াত নেতার ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ১১ অগাস্ট আপিল করেন মুজাহিদ।
আপিল বিভাগে গত ২৯ এপ্রিল শুনানি শুরুর পর মঙ্গল ও বুধবার যুক্তি উপস্থাপনসহ নয় দিন আপিলের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে বেঞ্চের চার বিচারপতি। এ বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাজাহান। সঙ্গে ছিলেন শিশির মনির।
১৬ জুন ২০১৫ তারিখ তার ফাঁসির চুড়ান্ত রায় ঘোষনা করা হয় । আশা করা যায়, খুব শিগ্রই তার ফাসি হবে ।
সৌজন্যে :
http://www.cadetcollegeblog.com/rajibhappy/39761
http://www.banglatribune.com/news/show/101517
বিষয়: বিবিধ
২৫৫১ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১৯৭১ সালে আলী আহসান মুজাহিদ কি করতেন ও কোথায় ছিলেন - তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরুন ।
অযথা গালি গালাজ করবেন না ।
বাংলাদেশের আর্কাইভসগুলোতে ১২০৪ খৃষ্টাব্দের বই-পত্রও সংগ্রহ করা হয়েছে । সেখানে ৪৫ বছর আগের পত্র-পত্রিকা থাকবে না , তা অবাস্তব । আমি নিজে ১৯৬৮ সালের পত্রিকা পড়েছি ন্যাশনাল আর্কাইভস-এ । অবশ্য সেখানে এই সুবিধাটা পাওয়ার জন্য আমাকে অনেক চেষ্টা ও সাধনা করতে হয়েছে ।
আমাকে মাইনাস কেন আমাকে হত্যা করলেও মিথ্যা মিথ্যাই থাকবে । সত্য সত্যই থাকবে ।
বদর কমান্ডার মুজাহিদ ফাঁসিতে ঝুলে ঝটফট করার সময় আসল বিনুদুন শুরু হবে।
গনেশ বাবুর দুধ খা, তোর প্রিয় ধর্ম...
১। শেখ মুজিব কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন..?
উত্তর : শুধু মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না , মুক্তিযোদ্ধাদের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন ।
২। নির্বাচন কেন করেছিলেন?
উত্তর : নির্বাচন রাজনৈতিক দল করে থাকে । তার দল আওয়ামী লীগ নির্বাচনমূখী দল । এই দল প্রতিষ্ঠার পর হতে প্রায় সব নির্বাচনে অংশ নিয়েছে ।
৩। জামায়াত কি মুসলিমলীগ এবং পার্টির চেয়েও শক্তিসালী ছিল?
উত্তর : জনসমর্থন কম ছিল । জনপ্রিয়তা কম ছিল । কিন্তু ক্যাডারভিত্তিক শক্তিশালী কর্মী বাহিনী ছিল ।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছিল । তখনও উপনির্বাচন হয় । তখন জামায়াত অংশগ্রহণ করে ও ভাল ফল করে এবং অত্যাচারী সরকারের মন্ত্রীত্ব লাভ করে ।
. পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শূরার তিনদিন বৈঠক ঢাকার নাখালপাড়ায় দলীয় অফিসে ৩ অক্টোবর ’৭১ থেকে শুরু হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রাদেশিক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম। উদ্বোধনী ভাষণে অধ্যাপক গোলাম আযম পাকিস্তান ও দেশটির আদর্শ রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য শ্রোতাদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সমালোচনা করেন। উপনির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দলটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়। এই লক্ষ্যে অধ্যাপক গোলাম আযমকে চেয়ারম্যান ও মাওলানা সফিউল্লাহকে সেক্রেটারি করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটির দায়িত্ব হচ্ছে উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া। বৈঠকে গৃহীত প্রস্তাবসমূহে বলা হয়, পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে এবং লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক অর্ডারের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রীয় সংবিধান প্রণয়ন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেন্দ্র ও প্রতিরক্ষা বিভাগসহ সব জায়গায় বিরাজমান বৈষম্য দূর, প্রদেশগুলো থেকে যেসব আয় হবে, তা স্ব স্ব প্রদেশে ব্যয় করার সুযোগ বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানে বৈষম্য পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত তা বজায় রাখা, পৃথক নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রণয়ন, পিডিএম (বর্তমানে বিলুপ্ত) এর ৮ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে পরিপূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং মৌলিক-মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। অন্য একটি প্রস্তাবে দলটি যুব সমাজের চেতনায় নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নের দাবি জানায়। .....এই ধরনের তথ্য ১৯৭১ সালের পত্রিকাগুলোতে রয়েছে ।
১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭৯টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনে যে ৫৮ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তাতে টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম নির্বাচিত হন।
সুতরাং একটা স্বাধীনতার লড়াইয়ের সমগ্র জনগোষ্ঠীর বিপরীতে দাঁড়িয়ে রাজনৈতিক অবস্থান নেবার সমস্ত চেষ্টা করেছেন গোলাম আযম ও তার দল জামায়াতে ইসলামী।
বিনীত অনুরোদ, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন : অত্যাচারীতের পক্ষ অবলম্বন করা সোয়াবের কাজ না অত্যাচারীর পক্ষ অবলম্বন করা সোয়াবের কাজ ?
আমি যা লিখছি বা উপস্হাপন করছি, তা যদি ভুল হয়, তাহলে সত্য ঘটনা তুলে ধরুন ।
কলম সত্যিকার মুসলিমদের অস্ত্র । কারণ সুরা আলাকে কলমের কথা আছে , পড়ার কথা আছে ।
আমি এই লেখায় ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছি । এটা ইসলাম বিষয়ক লেখা নয় ।
ইতিহাস নাস্তিক আর ইসলামপন্হীরা রচনা করে না । ইতিহাস ইতিহাসের গতিতে চলে । আমরা চাইলেই স্বৈরাচারী এরশাদকে জনগনের নেতা হিসেবে প্রমাণ করতে পারবো না । আজ থেকে হাজার বছর পরও কোন ইতিহাসবিদও করতে পারবেন না ।
এত দিন শুনে এসেছি- আল্লা কুল বল্লে সব হয়ে যায়, ফেরেস্তারা ভীতির সঞ্চার করে দেয় সুতরাং গর্দনের উপর আঘাত হানো, লুত জামানার কথা, নূহের বন্যার কথা, নমুরুদ-ফেরাউন শায়েস্তা করার কথা। কিন্তু এখন দেখছি সব বাকোয়াজ কথাবার্তা। বোকোহারাম, আইসিস, আলকায়দা এরা না হয় আমেরিকান এজেন্ট। কিন্তু খোদ আল্লার বান্দা হামাস, ব্রাদার হুড, জামাতের..... সব ধরে ধরে ফাঁসিতে লটকে দিচ্ছে আর আমাদের এর বড় আল্লা হিন্দু ধর্মের নিরেট মূ্ত্তির মত চুপ মেরে আছেন। অস্বীকার করার উপায় আছে?
'আল্লা এভাবেই বান্দার ঈমান টেস্ট করেন, দেখা হবে জান্নতের সিরিতে, ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন.......' এসব বাকি বকেয়া কথায় এখন চিড়ে ভিজে না। আমরা চাই ডাইরেক্ট এ্যাকশন। এই অক্ষম আল্লার কপালে লাথি মেরে বরংচ নতুন কিছু ভাবতে হবে। কি বলেন @ কুয়েতের লেবার??
এই লোকের কাজ হল ইসলমের বাঁশ দেওয়া। নাইলে সে নিজে এতদিনে শিবিরের বিপরীতে একটা আদর্শবাদী সফল সংগঠণ গড়ে তুলে তার নিজের সংগঠণের লোকজনদের আহবান জানাতো।
আর ভাইজান ফখরুল, এগুলা আমরা কম দেখিনাই।
আমার কাছে বিচার্য আর মূখ্য হল কারা দেশের বাশ দিতেছে।
যখন দেখি শিবিরের ছেলেরা সবার চেয়ে ভাল আর জামাতের লোকেরা সবচেয়ে সৎ আর দুর্নীতিমূক্ত তখন আপনাদের মত আকাম্যা আর মেরুদন্ডহীন নপুংশকদের কথায় আর ছবিতে কিছু আসে যায়না।
আমরা জানি কাদের ছেলেরা ব্যাংক ডাকাত, আর সাত খুনের হোতা, আর জোড়া খুনের আসামী। এরা আওয়ামী কুত্তদের ছাওয়াল না? ধর্ষণের বীরপুরুষরা, চাপাতির গুরুরা কারা আমরা জানি।
নিজের পিঠের চামড়ার ভয়ে শয়তানকে খুশী করতে ইহকালকে ঝামেলমুক্ত রাখতে প্রণবের ধুতিচাটাদের পাছা চাটতে এসব ছাইপাশ লিখেন।
এসব আমার এবং আমার মত অনেকের কাছেই মূখ্য না। কারণ, আমাদের চোখ আছে। আমরা জানি এখানে কে শিয়াল আর কে মুরগি।
নীলাঞ্জনা আর আমি কেন এই ব্লগে যে যার মতো লেখালেখি করছে । সবাই স্বাধীন । সবাই নিজের মত প্রকাশ করছে । নীলাঞ্জনা বা অন্য ব্লগারের লেখা ও লেখার বিষয় নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র ভাবি না । কারণ সবাই যার মতো লিখছে । কে কি করছে সেটা নিয়েও ভাবি না । কারণ আমি আমার মত প্রকাশ করছি ও আমার লেখা আমি লিখছি ।
আমি কি কাজ করছি সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার । আমি সংগঠক না । সাধারণ লোক ও চাকুরীজীবি । পাশাপাশি দুই এক কলম লেখালেখি করার চেষ্টা করি ।
শিবিরের বিপরীতে একটা আদর্শবাদী সফল সংগঠণ গড়ে তুলা আমার কাজ নয় । আমার মতে শিবির সন্ত্রাসী সংগঠণ । এটা বিন্দুমাত্র আদর্শবাদী সংগঠণ নয় ।
জামায়াত-শিবির কেমন তা বোঝতে আমাকে বুঝতে বেশি দিন লাগেনি । কারণ আমার যখন ভোট দেওয়ার বয়স হয়েছিলো, তখন সংগ্রামী জননেতা গোলাম আজমের মুক্তি চাই শিরোনামের দামী ও বাহারী পোস্টারে ছেয়ে থাকতো ঢাকার দেওয়ালগুলো । এসব বাহারী পোস্টারে গোলাম আজমের নুরানী ছবি মোবারক স্হান পেতে । অথচ তার কিছু দিন আগে জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের পোস্টারে ছবি থাকতো না । কারণ বলা হতো : ছবি আকা ও তোলা হারাম । ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের কথা বলছি ।
এবার আসি, তথন আমি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি । আমি লক্ষ্য করলাম শিবির বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্মী দিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে বা আদিপত্য বিস্তার করে । এটা করতে যেয়ে তাদের অনেক নিরীহ (!)কর্মী বোমা বানাতে যেয়ে নিহত (শহীদ)হয় ।
শিবিরের ৮৬ তম শহীদ আব্দুল ওয়াহিদ সহ আরো দুই ওয়ালিয়ার ও হামিদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে যায় ও বোমা তেরী করতে যেয়ে বোমা বিস্ফোরনে মারা যায় । অথচ তারা কেহই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল না ।
আব্দুল ওয়াহিদ বাবা-মার সাথে ঢাকায় থাকতো আর ঢাকার তেজগাও কলেজে ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়তো । তাকে ও তার কিছু বন্ধু যারা শিবিরের সাথী তাদের ঢাকা মহানগরী উত্তর (বর্তমানে পশ্চিম ) শিবির নেতারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় ।
কিন্তু তারা বোমা বানানো ও মারামারি কম জানতো । কিন্তু তারা নেতার আনুগত্য করতে যেয়ে কম বয়সেই দুনিয়া ত্যাগ করে ।
ভাই রে ! আমরা যদি সত্যি কথা তুলে না ধরি । আজ আপনি আমাকে গালি দিচ্ছেন । হয়ত অদুর ভবিষ্যতে আপনিও আপনার ছেলেদের ও নাতিদের এই অবস্হা হতে দেখবেন ।
জামায়াতের শত্রুরা জামায়াতকে ভাল বলতে পারে । কারণ তারাও সম্ভবত একই ধরনের লোক । খারাপ লোকদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম খারাপদের অবশ্যই বেশী খারাপ লোকরা ভাল বলবেই ।
আমি আমার লেখায় কোন অসত্য ও বানোয়াট তথ্য দেই না ।
রুটি-রোজগার ও ধন-দৌলত দান করার মালিক আল্লাহ । উপরন্তু আমি সব সময় হালাল রোজগার অর্জন করার চেষ্টা করি ।
আমি লেখালেখি করি দেশের ভবিষ্যত কান্ডারী ও জন সাধারণকে সচেতন করার জন্য ।
আমি লেখালেখি করি আসল ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্যটাকে তুলে ধরার জন্য ।
আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন । গালি-গালাজ-পরচর্চা-হুমকি-ধমকি দিয়ে আমার কলম আপনি বন্ধ করতে পারবেন না ।
আপনার উচিত আমার কথাগুলো ভুল প্রমাণ করা ।
মানুষ বোঝে কেন আপনারা ফেসবুক ও ব্লগে দলভেদে যুক্তি ও বস্তুনিষ্ঠভাবে জামায়াত-শিবিরের গঠণমূলক সমালোচনাকারীদের আপনারা কেন গালি-গালাজ করেন ।
আপনারা বলেন, ”গোলাম আযম, সাঈদির ছেলেদের দুর্নীতির কোনো উদাহরণ নাই। কেউ তাদের ব্যাংক ডাকাত বলেনা।
তারা ধর্ষণ, মদ-গাজা, টেন্ডারবাজি, দলীয় কলহতে নাই “
গোলাম আযম-নাজামি-সাইদীসহ জামায়াতের নেতাদের ছেলেদের জনগণ চিনে না ।আর তারাও তাদের ছেলে-মেয়েদের জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত করেননি । এমন কি জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে আসমা নামের মেয়েটা জামায়াতের পাকিস্তান অংশের রাজনীতির সাথে যুক্ত । এর কারণ কি তা মওদুদীর ছেলে ফারুক মওদুদী এক সাক্ষাতকারে বলেছেন । মওদুদীর পুত্র হায়দার ফারুক মওদুদী বলেছেন,জামায়াত নেতারা নিজের সন্তান নয়, অন্যদের ব্যবহার করেন ।
"তিনি (মওদুদী)আমাদেরকে জামাত থেকে এমনভাবে দূরে রেখেছেন, যেভাবে মাদকদ্রব্যের পুরিয়া বিক্রি করে যে লোক- সে তার পুরিয়াভর্তি বস্তা বাসার বাইরে রেখে আসে। ... একজন মাদকব্যবসায়ীর মত। এবং সেজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ, যে তিনি আমাদেরকে এসবের মধ্যে জড়াননি।" বিস্তারিত জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুন : https://www.youtube.com/watch?v=u3arxZObKDY
মরলে শহীদ বাচলে গাজী – এই মুলমন্ত্র জামায়াতের নেতাদের ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। শুধু আপনাদের মতো মগজ দোলাইকৃত কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।
৪৪ বছরের আগের কেচ্ছা কাহিনী আমাদের জানা দরকার আছে । আমাদের কাছে কার বাবা একাত্তরে রাজাকার-আল বদর ছিলেন আর পাকিস্তানী হায়েনাদের কাছে আমাদের মা-খালাদের তুলে দিয়েছিলেন – তা জানা আমাদের কাছে প্রধান বিষয় । এটা আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হতে পারে , আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । আড়াই লাখ মা-খালা ধর্ষিতা হয়েছে, তারা আটত্রিশ হাজার জারজ সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন ও তারা অবর্ণণীয় কষ্ট পেয়েছিলেন । অসংখ্য লোক নিহত ও আহত হয়েছিলেন এবং আমাদের বাপ-মা-দাদা-দাদী-নানা-নানী-রা কষ্ট করেছিলেন প্রায় নয় মাস এবং তারা পাকিস্তানীদের শোষণ ও শাসনের শিকার হয়েছিলেন ।
জামায়াত-শিবির মুসলিমদের জন্য অভিশপ্ত দল । মওদুদী পাকিস্তানের
আন্দোলনকে ‘নাপাকিস্তান’ বলে আখ্যায়িত করেন। এরপর বাংলাদেশ সৃষ্টিরও বিরোধিতা করে দলটি।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সশস্ত্র বিরোধীতা করে দলটি কিভাবে এদেশে এখনো টিকে আছে – তাতে আমরা আশ্চর্য হই না আর বিন্দুমাত্র চিন্তিত হই না । কারণ আমরা বাংলাদেশিরা মানষিকভাবে প্রতিবন্দি । আমরা সহজে ও খুব কম সময়ে সব কিছু ভুলে যাই ।
আমি আপনাকে বিনীতভাবে বলছি, আমি জামাত-শিবিরের পিছনে লেগে থাকবে এবং বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সচেতন করবো ।
ধরেন এইতো শহীদ?
াআমাদের চোখের সামনে গত বছরগুলাতে কি হচ্ছে তা দেখে আমাদের চিন্তা, বুদ্ধির যথেষ্ট খোরাক পাচ্ছি।
াঅন্তত নরপিশাচ, গণতন্ত্র হত্যা, গণহত্যাকারীদের থেকে জামাত ভাল। যতদিন ধরে আপনার মত আকাম্যারা জামাত-শিবিরের চেয়ে ভাল কিছু সমান্তরালভাবে প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন ততদিন পর্যন্ত প্রণবের ধুতিচাটাদের অবস্থান পাল্টে ভালো কিছু করেন।
জামায়াত-শিবির মুসলিমদের জন্য অভিশপ্ত দল । মওদুদী পাকিস্তানের
আন্দোলনকে ‘নাপাকিস্তান’ বলে আখ্যায়িত করেন। এরপর বাংলাদেশ সৃষ্টিরও বিরোধিতা করে দলটি।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সশস্ত্র বিরোধীতা করে দলটি কিভাবে এদেশে এখনো টিকে আছে – তাতে আমরা আশ্চর্য হই না আর বিন্দুমাত্র চিন্তিত হই না । কারণ আমরা বাংলাদেশিরা মানষিকভাবে প্রতিবন্দি । আমরা সহজে ও খুব কম সময়ে সব কিছু ভুলে যাই ।
আমি আপনাকে বিনীতভাবে বলছি, আমি জামাত-শিবিরের পিছনে লেগে থাকবে এবং বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সচেতন করবো ।
আপনি আপনার এক মন্তব্যে বলেছেন :
নিজের পিঠের চামড়ার ভয়ে শয়তানকে খুশী করতে ইহকালকে ঝামেলমুক্ত রাখতে প্রণবের ধুতিচাটাদের পাছা চাটতে এসব ছাইপাশ লিখেন।
উত্তরে বলছি :
জামায়াত ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । আর বাংলাদেশে ইসলাম রাসুল সা. এর সাহাবীদের সময় হতে বাংলাদেশে প্রচার হয়েছে ।
জামায়াতে ইসলামী আর ইসলাম পরস্পর সমার্থক নয় ।
মুসলিম হওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলাম করাও বাধ্যতামূলক নয় । আর কুরআন হাদিসের কোথাও বলা হয়নি মুসলিম হওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী হতে হবে ।
আমি জনগণকে সচেতন করার জন্য লেখালেখি করি । আমি কারো কথায় বা কারো বা কোন শক্তির প্রলোভনে পরোচিত হয়ে লেখালেখি করি না ।
আপনি লিখেছেন :
এসব (জামায়াতের যুদ্ধাপরাধ ও স্বাধীনতাবিরোধীতা ) আমার এবং আমার মত অনেকের কাছেই মূখ্য না। কারণ, আমাদের চোখ আছে। আমরা জানি এখানে কে শিয়াল আর কে মুরগি।
আমাদের চোখের সামনে গত বছরগুলাতে কি হচ্ছে তা দেখে আমাদের চিন্তা, বুদ্ধির যথেষ্ট খোরাক পাচ্ছি।
অন্তত নরপিশাচ, গণতন্ত্র হত্যা, গণহত্যাকারীদের থেকে জামাত ভাল। যতদিন ধরে আপনার মত আকাম্যারা জামাত-শিবিরের চেয়ে ভাল কিছু সমান্তরালভাবে প্রতিষ্ঠা করতে না পারেন ততদিন পর্যন্ত প্রণবের ধুতিচাটাদের অবস্থান পাল্টে ভালো কিছু করেন।
উত্তরে বলছি :
আমি পুলিশ নই । সুতরাং সন্ত্রাস নিয়ে আমার মাথা ঘামানো আমার কাজ নয় । আমি রাজনীতিবিদ নই । আমি স্বৈরাচার বা এক নায়ক হটানোও আমার কাজহ নয় । আমি দুদকের কর্মচারী বা কর্মকর্তা নই । সুতরাং দুনীর্তি নিয়ে আমার মাথা ঘামানো বৃথা ।
আমি লেখালেখি করি । আমার লেখালেখির অন্যতম বিষয় জামায়াত-শিবির, ওহাবী মতবাদ-মওদুদী দর্শণ, আহলে হাদিস-জঙ্গীবাদ, জ্যোর্তিবিজ্ঞান, সামাজিক অসংগতি ইত্যাদি ।
জামায়াতে ইসলামী আর ইসলাম পরস্পর সমার্থক নয় ।
মুসলিম হওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলাম করাও বাধ্যতামূলক নয় । আর কুরআন হাদিসের কোথাও বলা হয়নি মুসলিম হওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী হতে হবে ।
আর আমি সংগঠক নই । আমার জামাত-শিবিরের মতো মাফিয়া বা সন্ত্রাসী দল বা ইতিবাচক কাজ করার উপযোগী সংগঠণ বানানোও আমার ইচ্ছা নেই ।
জামায়াত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দল নয় । জামায়াত-শিবিরের লোকদের কাছেঞ গণতন্ত্রের কথা শুনলে অবাক নই । জামায়াত-শিবির কথিত স্বর্গরাজ্য খিলাফত রাষ্ট্র চায় । এজন্য তারা তরুণদের জিহাদ করে দেশ দখল করতে উদ্বুদ্দ করে থাকে । আর এজন্য সংঘাতে তারা অংশ নেয় । সে হিসাবে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির জঙ্গী সংগঠণ ।
জঙ্গি দল বানানো আমার কাজ নয় । এটা না হয় জামায়াতী সন্ত্রাসীরাই করুক ।
পরিশেষে বলছি, আওয়ামী লীগ কি করলো বা করলো না – তা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই । কারণ আমি নগণ্য মানুষ । তবে আওয়ামী লীগ জামায়াত-শিবির ও ওহাবী মতবাদ-মওদুদী দর্শনের উপর মরণ আঘাত হেনেছে – তাতে আমি খুশি । কারণ আমি চাই না, বাংলাদেশে ওহাবী মতবাদ-মওদুদী দর্শন প্রবলতর হোক ।
লাখো শহীদের রক্ত ব্যাবসা আর কত?
আমাদের চোখ আছে, আমরা দেখতে পারি কারা ধর্ষণ মা-খালাদের ধর্ষণ করে। এসব লালসালু মার্কা কথা বেচে আর কত?
শিবির কি করে শিখাচ্ছেন?
আমরা এই শহরের অলি গলিতে শিবির, ছাত্রলীগ, চাত্রদল করে খুব ভালো করে চিনি।
কারা ক্যাম্পাসে ছাত্রী ধর্ষণ করে পতিতাবৃত্তি করে চিনি তাদেরকে।
বহিরাগত অছাত্রদের এনে কারা অবিরাম গুলি করে, কোমরে ঠেকিয়ে গুলি করে তার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আমি। বেশী হলে ১০/১৫ ফিট দুর থেকে দেখেছি। দেখেছি করিডোর রক্তে ভেসে যেতে।
আপনার মত ভিতু নপুংশক হলে আমিও এসব গৎবাঁধা খিস্তি খেওড় আওড়াতাম।
লাখো শহীদের রক্ত ব্যাবসা আর কত?
না, ব্যাবসা আর বেশি দিন করতে হবে না। অবশিষ্ট 'ধারি রাজাকার' গুলোকে বেছে/বেছে ঝুলিয়ে দিলেই মূল সমস্যার সমাধান হবে। আর নতুন গেজিয়ে উঠা নেংটি রাজাকার গুলো এমনিতেই রহিঙ্গাদের মত বঙ্গোপসাগরে ভেসে বিলিন হয়ে যাবে। @ ছাগুলাল।
১- আপনার পোষ্টকৃত ছবিতে ফটোশপের কাজ আছে।
২-যারা মদ খেয়ে এসব বই লিখেছে, আপনি তাদের রেফারেন্স টেেনেছেন।
৩-আপনি যাদের তথ্যকে যুক্তি প্রমান দেখিয়েছেন এসব ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে, ওরা ইসলামকে জীবনের সব কিছু মনে করেনা।
এমতাবস্থায় আপনি মুলত আম্লীগের পক্ষেই কলম ধরেছেন। নিরপেক্ষ নয়। জাতির এ দুর্দিনে আপনার ভুমিকা দু:খ জনক।
]
মন্তব্য করতে লগইন করুন