আহেল হাদিস-ওহাবী-সালাফী-জামাত-শিবির নামক অশুভ শক্তির উৎপত্তি ও তাদের পরিচয় ( ১ম পর্ব )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৩ জুন, ২০১৫, ১২:৪১:১৩ রাত
পটভুমি :
আজ শবে বরাত । অন্য বছরের চেয়ে এবারের বছরটা ভিন্নভাবে কাটলো । প্রতি বছর আমার নিয়ম অনুযায়ী ইবাদত বন্দেগী করে আমার সময় কাটতো । আজ ব্যতিক্রম করলাম ।
পিস পিভির বদৌলতে আজ জাকির নায়েকী সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হয়েছে । দিগন্ত টিভির বদৌলতে আজ কাজী ইব্রাহিমী গ্রুপ তেরী হয়েছে । আর সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের দালাল আহলে হাদিস সম্প্রদায় বা ওহাবী সম্প্রদায় তো আছেই ।
জামায়াত নেতা সাইদীরও একটা গ্রুপ আছে । আর জামায়াত-শিবির তো মওদুদী মতবাদ অনুসরণকারী গ্রুপ । মূলত তারা ওহাবী সম্প্রদায়ের উপদল ।
তারা ইদানিং তাদের পরিচয় সালাফী বলে দিচ্ছে । তাদের অনেকে বলে তারা নাকি সহিহ আকিদার লোক ।
তারা নামাজে-রোজা-জানাজা হতে সাধারণ মুসলিমদের সব ইবাদতকে সহিহ হাদিসবিরোধী বলে উৎথাপন করেন ।
আজ ব্লগ ও বাস্তব জীবনে তাদের সাথে বাহাস হলো ।
সূচনা :
( সূচনাটা নেট হতে বা শায়খ গুগল !!! হতে কপি পেস্ট করা )
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর(রা) হতে বর্নিত রাসুলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেন,"হযরত দাউদের -পুত্র সোলায়মান(আ)শয়তানদেরকে সমুদ্রে নিযুক্ত করে দিয়েছিলেন।কিন্তু এখন সেই জমানা নিকটবর্তী যাতে শয়তানরা তোমাদের মাঝে প্রকাশ পাবে।তোমাদের সাথ তোমাদের মসজিদে নামাজ পড়বে।তোমাদের সাথে কোরান পাঠ করবে এবং তোমাদের সাথে দ্বীন ইসলামের বিষয়ে ঝগড়া-বিবাদ করবে।সাবধান ওরা হবে মানুষরুপি শয়তান।( সুত্র: তাবারানী,জামে কবির;সুয়ুতী-১খন্ড হাদীস নং- ১০১৯,কাণ্জুল উম্মাল-১০খন্ড হাদীস নং- ২৯১২৬,বায়হাকি ৬ খন্ড হাদীস নং-৫৫০।)
মানুষ রুপি শয়তান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন সুরা নাস এর খন্নাস শব্দের তাফসির।
একমাত্র আহলে হাদিস বা ওহাবী বা কিছু জামায়াত-শিবির হাটে বাজারে,মসজিদে মাদ্রাসায়,পথ ঘাটে,যেখানে সেখানে সাধারন মানুষের সাথে তর্ক-বিতর্ক করে।
আজ থেকে দশ বছর আগেও এসব খারাপ লোকদের সংখ্যা খুব একটা বেশী ছিল না । তারা ওহাবী মতবাদ দ্বারা পরিচালিত সৌদি আরব হতে টাকা পেয়ে অবৈধ উপাসনালয় ( এগুলোর নামের সাথে আহলে হাদিস মসজিদ লেখা থাকে ) , মাদ্রাসা ও টিভি চেনেলের অনুষ্ঠান কিনে মানুষকে বিভ্রান্ত করা শুরু করে ।
তারা শহর-নগর-বন্দরে মানুষদের ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে । তারা এলাকার হুজুরদের কথা শুনতে চায় না । তারা ইসলাম নিয়ে বিভক্তির আত্মঘাতি খেলায় মত্ত হয়েছে । আগে মাজার ও কবরপূজারী থেকেও মসজিদ ছিল নিরাপদ। সেখানে কোন হাঙ্গামা ছিল না। নামায পড়া নিয়ে কোন দ্বন্দ ছিল না।
শুধু বাংলাদেশ নয়, এই পুরো উপমহাদেশে ছিল মুসলিমদের মাঝে একতা এ ভাতৃত্ববোধ। প্রতিটি ইবাদত এবং দ্বীনী উৎসব পালিত হতো একতা ও ভাতৃত্বের সাথে। যেদিন থেকে এদেশে ইসলাম এসেছিল সেদিন থেকে নামায, রোযা, হজ্বসহ কোন ইবাদত নিয়ে কোন ঝগড়া বিবাদ কলহ ছিল না এ উপমহাদেশে।
কিন্তু খৃস্টান ইংরেজ শক্তি ও ওহাবী সৌদি আরবের মদদপুষ্ট হয়ে এসব লোক মুসলমানদের প্রতিটি ইবাদতে ছড়াতে লাগল সন্দেহ আর ওয়াসওয়াসার বিষবাষ্প।এখন মসজিদে নামায পড়তে গেলে একতা রেখে বেঁধে যায় বিবাদ।
বছরের মাঝে এক মাসের পবিত্র মাসে তারাবীহ নামায পড়তে গেলেও রক্ষা নেই সাধারণ মুসলমানদের। সেখানেও ছড়ানো হয়েছে বিবাদের নোংড়ামী।
বছরের দুইটি উৎসব ঈদের নামায পড়তে গিয়েও এক থাকার কোন সুযোগ রাখেনি এসব লোকরা । বার তাকবীর আর ছয় তাকবীরের স্লোগান তুলে মুসলিম উম্মাহের একতাকে খান খান করে দিয়েছে। বাকি ছিল হজ্ব। সেটিকেও কলুষিত করেছে ।
জানাযা। আহ! প্রতিটি মুমিনের মনে ভয় আর আফসোসের এক মজমা। যেখানে সবাই থাকে শোকাতুর। কিন্তু সেই শোকাতুর মজমাকেও এখন এসব লোকরা ঝগড়া আর বিবাদের কেন্দ্র বানিয়ে তুলেছেন।এদেশে ইসলাম আসার পর থেকে নিয়ে রাসূল (সা.) হতে সূত্র পরম্পরায় যে জানাযা নামায এ উম্মতের মাঝে চলে আসছে সেটিকে ভুল সাব্যস্ত করে আরেকটি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথকে সুগম করে তুলেছে। মৃত্যুর ভয় আর চিন্তার অবস্থাকে হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে জারি করে দিল ফাতওয়া-“এতদিনকার পড়ে আসা জানাযা হয়নি। কোন বুজুর্গ, কোন আল্লাহওয়ালা, কোন মুহাদ্দিস, কোন মুফতী, কোন শাইখুল হাদীস, কোন পীর মাশায়েখ, এদেশের জমিনে ইন্তেকাল হওয়া কোটি মানুষ কারো জানাযা হয়নি। সবাইকে সহীহ পদ্ধতির জানাযাহীনভাবে দাফন করা হয়েছে”।
তারা মেয়েদের ছায়া মারানোও পাপ মনে করে । তারা মেয়েদের যৌনদাসি ও শুধুমাত্র বাচ্চা দেওয়ার মেশিন মনে করছে । এনিয়েও সমাজে বিশৃঙ্খলা তেরী হচ্ছে ।
আল্লাহ । আমাদের সবাইকে এই বিপদগামী গোষ্ঠী হতে দুরে থাকার তৌফিক দান করুন এবং তাদের খারাপ প্রভাব হতে আমাদের সমাজকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবাই যাতে তৎপড় হই বা সচেতন হই – সেই আহবান আমি সবাই জানাচ্ছি ।
সংযুক্তি : এসব গ্রুপের মতে মিলাদ মাহফিল করা কবিরা গুনাহ ও শিরকী । আজ এক সাইদী পুজারীরা সাথে এমন কথা হলো । দেখুন : সাইদী সাহেবের মিলাদ মাহফিল
মুফতি কাজী ইব্রাহিম এর আসল পরিচয় :
টিভি চেনেলে এক কথা
https://www.youtube.com/watch?v=i65bDQ0ecnQ
আর আহলে হাদিসদের আস্তানায় যেয়ে কাজী ইব্রাহিম কি বলেন
https://www.youtube.com/watch?v=ffOo8b3o2SA
https://www.facebook.com/Islamicalo/videos/712915012162258/
দেখুন আহেল হাদিস-ওহাবী-সালাফী-জামাত-শিবির-এর কামড়া কামড়ি :
https://www.youtube.com/watch?v=G6zJyS9V7Tk
কোন মাযহাব মানবেন ? না কি আহলে হাদিস হবেন ?
বিষয়: বিবিধ
৩৩৭৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উত্তরে বলছি :
আমাদের বাপ-দাদারা ভুল করেননি । ব্রিটিশরা আসার আগে মুসলিমদের মধ্যে কোন মূর্খ ছিল না । আমাদের ভুখন্ডের রাজধানী সোনারগায়ে সুদুর মক্কা হতে এসে লোকরা ইসলাম শিখতো ।
বর্তমানে বৌদ্দ পন্ডিত অতিশ দিপংকরের নামে বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হচ্ছে । রবীন্দ্রনাথের নামে বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হচ্ছে ।
অথচ শরফুদ্দীন আবু তোয়ামা (রহ), নুর কুতুল আলম (রহ)- তাদের নাম আমরা জানি না । তাদের অবদান আমরা জানি না ।
আমরা জানানো হয়ে আগেকার মুসলিমরা হিন্দুদের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংষ করেছে ও বৌদ্দদের বিহার ধ্বংষ করেছে আর দেশ দখল করে ধরে ধরে হিন্দুদের - বৌদ্দদের মুসলিম বানিয়েছে ।
অথচ শরফুদ্দীন আবু তোয়ামা (রহ), নুর কুতুল আলম (রহ)- দের না চিনি ও তাদের জীবন ও কর্ম না জানি আর আমাদের ইতিহাস না জানি , তাহলে আহেল হাদিস-ওহাবী-সালাফী-জামাত-শিবির নামক অশুভ শক্তির প্রবর্তিত ও বর্তমানে প্রচারিত ইসলামই আসল ইসলাম হবে আর এই ইসলাম নকল ও যুদ্ধাংদেহী মতবাদ এবং এর সাথে ইসলামের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই ।
আমরা জানানো হয়ে আগেকার মুসলিমরা হিন্দুদের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংষ করেছে ও বৌদ্দদের বিহার ধ্বংষ করেছে আর দেশ দখল করে ধরে ধরে হিন্দুদের - বৌদ্দদের মুসলিম বানিয়েছে!!!!!!
আপনার এই জবাবের উৎস কি?
আপনি কোরআন হাদিসের প্রচার না করে মাযাহাব নিয়ে পড়ে আছেন!!
মতবিরোধ হলে কোরআন ও সহী হাদিসের কাছে যেতে বলা হয়েছে।
কি ভাবে বললেন বাপ দাদারা ভুল করেননি? মাজার বানিয়ে নাচ গান ওরস ইত্যাদি কি আজকে শুরু হয়েছে?
কি ভাবে বললেন বাপ দাদারা ভুল করেননি? মাজার বানিয়ে নাচ গান ওরস ইত্যাদি কি আজকে শুরু হয়েছে ?
দু:ক্ষিত । আমার বাপ-দাদারা মাজার বানিয়ে নাচ গান করেননি । যারা করেছে তারা ভুল করেছে । কিছু লোকের ভুল সবার উপর বর্তায় না ।
মাযহাব কি এবং কেন তা আগে পড়াশোনা করুন ।
যারা নিজেদের আহেল হাদিস-ওহাবী-সালাফী-জামাত-শিবির পরিচয় দিচ্ছেন - তারাও মাযহাবী ।
মাযহাব শব্দের অর্থ পথ বা মত । তাদের মাযহাব খারাপ ও অশুভ শক্তি তারা । সুতরাং তাদের মাযহাব মানা বাংলাদেশের মুসলিমদের মানা সম্ভব নয় ।
মাযহাব কুরআন-হাদিসের বাহিরের কোন বিষয় নয় ।
আগেকার মুসলিমরা হিন্দুদের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংষ করেছে ও বৌদ্দদের বিহার ধ্বংষ করেছে আর দেশ দখল করে ধরে ধরে হিন্দুদের - বৌদ্দদের মুসলিম বানিয়েছে!!!!!! - এই কথাটা এজন্য বলছি, বাংলাদেশের আগেকার মুসলিমরা কোন জ্ঞান চর্চা করেননি । এজন্য এখন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আগত ওহাবী সম্প্রদায়ভুক্ত কিছু মৌলভীর কথা এদেশের লোকরা শুনছে ও তারা সত্যিকার ইসলাম হতে দুরে সরে যাচ্ছে ও সন্ত্রাসী হয়ে যাচ্ছে বা শায়খ রহমান-বাংলা ভাই হয়ে যাচ্ছে । এজন্য ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ও অমুসলিমরা বলছে বা বলার সাহস পাচ্ছে ,আগেকার মুসলিমরা হিন্দুদের নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংষ করেছে ও বৌদ্দদের বিহার ধ্বংষ করেছে আর দেশ দখল করে ধরে ধরে হিন্দুদের - বৌদ্দদের মুসলিম বানিয়েছে!
আমি আপনাকে প্রশ্ন করছি : আপনি কি শরফুদ্দীন আবু তোয়ামা (রহ)এবং নুর কুতুল আলম (রহ)- দ্বয়কে চিনেন ? তাদের কি অবদান দয়া করে বলতে পারবেন কি ?
আমার মনে হয় পারবেন না ।
কারণ মওদুদী মতবাদ ও ওহাবী দর্শন আমাদের ইতিহাস ও এদেশের মুসলিমদের ইতিহাস পড়তে উৎসাহিত করে না ।
লোকে মানেনা আপনি মোড়ল
,
,
বিদ্ধেষ হানা-হানি ছড়ানো পোস্ট এবং হিংসাত্বকও বটে
মন্তব্য করতে লগইন করুন