সবাইকে শবে বরাতের শুভেচ্ছা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০২ জুন, ২০১৫, ০৭:১৮:১৮ সন্ধ্যা

আজ শবে বরাত । সবাইকে শবে বরাতের শুভেচ্ছা ।

সারা বিশ্বে শবে বরাত পালন হয় ।



বিভিন্ন দেশে শবে বরাত পালনের ভিডিও দেওয়া হল -

মালয়েশিয়া




https://www.youtube.com/watch?v=KcBSE7CoW28




https://www.youtube.com/watch?v=VV3ITCyg_aE

ইন্দোনেশিয়া




https://www.youtube.com/watch?v=Ah7sz4AEXeI

তুরস্ক




https://www.youtube.com/watch?v=YBwfBFQmWgY




https://www.youtube.com/watch?v=Kr58C7eXcWA




https://www.youtube.com/watch?v=sMGVtldz3Lc

পাকিস্তান




https://www.youtube.com/watch?v=2qnzpTDzNCA

বসনিয়া




https://www.youtube.com/watch?v=yjzibjFnuyA




https://www.youtube.com/watch?v=s3aBUNQJnds




https://www.youtube.com/watch?v=JjZ5jbDAkj8

সিঙ্গাপুর




https://www.youtube.com/watch?v=VKAR0TuNAjc

ভারত




https://www.youtube.com/watch?v=_gQVZayut0Q

সুইডেন




https://www.youtube.com/watch?v=ZDI0e4oIeis

স্পেন




https://www.youtube.com/watch?v=l4GuYvjPo5w

শবে বরাত বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত । যেমন :

ইরান ও আফগানিস্তানে নিম শা'বান।

আরবী ভাষাভাষীর বলে নিসফ্ শা'বান।

মালয় ভাষাভাষীর বলে নিসফু শা'বান।

তুর্কি ভাষাভাষীর বলে বিরাত কান্দিলি।

বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান-নেপাল-শ্রীলংকা-মায়ানমার-এ বলা হয় শবে বরাত।

কিছু দেশে বলা হয় লাইলাতুল বরাত।

কিছু দেশে বলা হয় লাইলাতুল দোয়া।

Şeva Beratê ও Berat Kandili বলা হয় তুরস্ক ও তুর্কি ভাষার দেশগুলোতে ।

হাদিসের পরিভাষায় এই রাতটিকে বলা হয় "লাইলাতুন্ নিসফু মিন সাবান" অর্থাৎ সাবান মাসের মাঝের রাত বা সাবান মাসের পনেরতম রাত । এই রাতটিকে আমরা শবে বরাত বলে থাকি । কারণ বাংলাদেশসহ সারা ভারত ও পাকিস্তানে প্রায় এক হাজার বছর রাষ্ট্র ভাষা ছিল ফার্সি ভাষা (ইরানি ভাষা) । ইংরেজরা ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ফার্সি ভাষার পর রাষ্ট্রভাষা ইংরেজী চালু করে । ফার্সি ভাষায় শব শব্দের অর্থ রাত আর বরাত শব্দের অর্থ পবিত্রতা, মুক্তি । সুতরাং শবে বরাত শব্দের অর্থ হলো পবিত্রতার রাত বা মুক্তির রাত বা নাজাত লাভের জন্য নতুনভাবে উজ্জিবীত হওয়ার রাত ।

বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের সময় হতে শবে বরাত পালিত হয়ে আসছে । ফার্সি ভাষায় লিখিত বাংলাদেশের প্রাচীনতম ইতিহাস গ্রন্হ তবকাতে নাসিরী -তে বলা আছে, মুসলিম শাসকরা এদিন জাকজমকের সাথে পালন করতো । (বাংলা একাডেমির অনুবাদ : ১৫৮ পৃষ্ঠা । )



ফার্সি ভাষায় লিখিত বাংলাদেশের মোগল আমলের ইতিহাস গ্রন্হ বাহারিস্তানে গায়বিতে মির্যা নাথান বলেছেন : শবে বরাতে শাসকরা কামানের গোলা নিক্ষেপ করে জনগণকে শবে বরাতের সুসংবাদ দিতেন । আমার আম্মা শবে বরাতের জন্য শিউলী ফুলের বোটার রং মিশ্রীত করে সুস্বাদু হালুয়া রান্না করতেন । (বাংলা একাডেমীর অনুবাদ )

ইংরেজ আমল ও পাকিস্তান আমলে জাক জমকের সাথে শবে বরাত পালনের ইতিহাস পাওয়া যায় । সুতরাং আমরা কেন এই বরকতময় রাতকে অবহেলা করবো । এটা আমাদের বরকতময় ঐতিহ্য ।

এবার আমরা হাদিসের গ্রন্হগুলোতে দেখি শবে বরাত সম্পর্কে কি তথ্য রয়েছে -

১. আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সা) কে খুজে না পেয়ে তাকে খুজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সা) আমাকে বললেন: 'তুমি কি মনে কর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবে?' আমি বললাম: 'হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গেছেন। তখন রাসূল (সা) বললেন: 'মহান আল্লাহ তা'লা শা'বানের মধ্য রাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন।

মুসনাদে আহমাদ (৬/২৩৮), তিরমিঝি (২/১২১,১২২), ইবনে মাজাহ (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯)

২. রাসূল (সা) বলেছেন- যখন শাবান চাঁদের ১৫-এর রাত আসবে তখন তোমরা জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করবে। আর পরদিন রোজা রাখবে । কেননা আল্লাহ এ রাতে সূর্যাস্তের পরই সর্বনিম্ন আসমানে নেমে আসেন এবং তার বান্দাদের ডেকে বলেন, ওহে আছো কোন ক্ষমা প্রার্থী? আমি তোমাকে ক্ষমা করব। আছো কোন রিজিক প্রার্থী? আমি তোমাকে রিজিক দেব। আছো কোন বিপদগ্রস্ত? আমি তোমাকে বিপদমুক্ত করব। আছো কোন তওবাকারী? আমি তোমার তওবা কবুল করব। এভাবে সুবহে সাদেক পর্যন্ত আল্লাহ আহবান করতে থাকেন (ইবনে মাজাহ)

৩. আব্দুল্লাহ বিন আবী ক্বায়স (রা) বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি উম্মুল মুমিনীন সায়্যিদাতুনা আয়িশা(রা) কে বলতে শুনেছেন, আমার মাথার তাজ, সাহিবে মিরাজ, মহানবী(সা) এর পছন্দের মাস শাবানুল মুআজ্জাম ছিল কারণ এতে তিনি রোযা রাখতেন অতপর(এভাবে)এটাকে রামজানুর মুবারাকের সাথে মিলিয়ে দিতেন ।

( আবু দাউদ শরীফ হাদিস নং ২৪৩১ ২য় খণ্ড )

৪. আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন : "যখন শা'বানের মধ্য রাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্য ডোবার সাথে সাথে আল্লাহ তা'আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করে দেব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্থ কেউ কি আছে যে আমার কাছে বিমুক্তি চাইবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এ ভাবে বলতে থাকেন"।

হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন।

৫. রাসূল (সা) থেকে বহু সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি শা'বান মাসে সবচেয়ে বেশী রোযা রাখতেন। (এর জন্য দেখুনঃ বুখারী, হাদীস নং ১৯৬৯, ১৯৭০, মুসলিম, হাদীস নং ১১৫৬, ১১৬১, মুসনাদে আহমাদ ৬/১৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ২৪৩১, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ২০৭৭, সুনানে তিরমিঝি, হাদীস নং ৬৫৭)।

সুতরাং এসব হাদিস দ্বারা শবে বরাত পালন করা মুস্তাহাব বলে প্রমানিত হলো ।

ইবাদতগত কাজ ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, সুন্নাতে জায়িদা, মুস্তাহাব,নফল হয় তার গুরুত্বের বিচার করে । কিন্তু সব ধরনের ইবাদতগত কাজই গুরুত্বপূর্ণ ।

সুতরাং আমরা সবাই আজ নফল ইবাদত করবো, আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবো ও সাহায্য চাইবো এবং রমাজান মাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করবো ।




https://www.youtube.com/watch?v=dCgzRBJU9gs

শবে বরাতের তাৎপর্যে নিয়ে একটি গান যা ভারতের একটি বিখ্যাত সিনেমায় ব্যবহার হয়েছে



শবে বরাত সম্পর্কিত আরো তথ্য জানার জন্য পড়ুন :


শবে বরাত পালন করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65662

বিষয়: বিবিধ

৩৪০১ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

324177
০২ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
ইয়াফি লিখেছেন : ফখরুল ভাই একজন জ্ঞানতাপস!
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৮:১৮
265799
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
324180
০২ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
খান জুলহাস লিখেছেন : নামটা ফখরুল ইসলাম না হয়ে ফখরুশ শয়তান হওয়া উচিৎ ছিলো।
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৮:১৪
265797
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ফখরুল ইসলাম শব্দটার অর্থ ইসলামের গর্ব , ইসলামের আলো , ইসলামের অর্থ ।

আমার দাদু আমার এই নাম রেখেছেন । আমার বাবা-মা দাদুর নামটাও গ্রহণ করেছেন ।

আপনার এই মন্তব্য পাওয়ার পর আমি আমার দাদুকে স্মরণ করলাম । আমার পরিকল্পনায় ছিল না তার ও আমার ভাইয়ের কবর জিয়ারত করার ।

আমার মন্তব্য পাওয়ার পর আমি তাদের কবর জিয়ারত করার জন্য গ্রামের বাড়িতে যাবো ও দরিদ্রদের দান খয়রাত করবো ।

মাঝে মধ্যে আমার লেখাগুলোতে এসে এমন মন্তব্য করবেন ।

আপনার মন্তব্যটা পাওয়ার পর আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে ।

আমার চোখ দিয়ে সাধারণত সহজে পানি বের হয় না । বড় ধরনের ব্যাথ্যা পেলেও না ।

আপনাকে ধন্যবাদ অন্তত আপনি আমার এই কাজটা সহজ করে দিয়েছেন । এর ফলে আমি অনেকটা হাল্কা হয়েছি ।
324184
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৮:২০
ছালসাবিল লিখেছেন : আপনার প্রিয় এলাকা সৌদি আরবের ওহাবীদের ভিডিও কই ভাইয়া Smug আপনি ওহাবী হয়ে তাদের ফলো করেন না Smug
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৩০
265803
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আজ একটা পবিত্র রাত । আশা করি এই দিনের পবিত্রতা রক্ষা করবেন ।
তবে বিনীতভাবে বলছি, সৌদি আরবে শবে বরাত পালিত হয় । কিন্তু তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে নয় । কারণ সৌদি আরবের শাসন ক্ষমতায় ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী রাজতান্ত্রিক সৌদ বংশ ।

সৌদি আরবই নয় বিশ্বের আরো অনেক দেশের ভিডিও আমি সংগ্রহ করে আপনাদের উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ ।
324186
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৩০
ইসলামিক বই লিখেছেন : ভিডিও দিয়ে ইসলাম চলে না। ইসলাম চলে কোরআন ও সহীহ হাদীস দিয়ে। বিস্তারিত এখানে Click this link
Click this link
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৩৪
265804
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি কুরআন হাদিস উপস্হাপন করেছি । ভিডিও দিয়েও ইসলাম হয় । যেমন : জাকির নায়েক ও পিস টিভি । কারণ এগুলোতে কুরআন ও হাদিস আছে ।

আমার লেখায় হাদিস আছে । আর হাদিসগুলো সহিহ ।

লিংক না দিয়ে লেখে মন্তব্য করুন ।
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
265813
ইসলামিক বই লিখেছেন : ডা: জাকির নায়েকের ভিডিওতে কোরআন ও সহীহ হাদীস থাকে। আপনার ভিডিওতে বেদআত থাকে। পার্থক্য তো তখনি বুঝবেন যখন আপনার চোখ, কান, অন্তর খোলা থাকবে। ওগুলতো সিলমোহর মারা।

লিংক আপনার জন্য নয়। যারা আপনার পোস্ট পড়তে আসবে তাদের জন্য। আপনি ঐলিংকের যোগ্যনন, আল্লাহ জদি না চান।
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৯:০৮
265819
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন :
আমিও সহিহ হাদিস উপস্হাপন করেছি । দয়া করে আমার এই লেখাটা দেখুন :

শবে বরাত পালন করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65662

আর সবাই সব সময় সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ কথা বলবে এমনও নয় । যেমন : জাকির নায়েকের কথাও পরস্পরবিরোধীতা আছে আর ভ্রান্তিও আছে । https://www.facebook.com/mufassil.islam/videos/834677313253140/ এই ভিডিওটাতে সামান্য ধারণা পাবেন ।

জাকির নায়েকে সালাহ্ লেকচারটা অনুযায়ী বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক নামাজ পড়েন না আর তারা অনুযায়ী রাফে ইয়াদাইনও করে না । তাহলে কি বাংলাদেশের লোকরা সহিহ হাদিসের বিরোধীতা করে নামাজ পড়ছে ?

দয়া করে অযথা কথা না বাড়িয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ুন । আর সহিহ হাদিস অনুযায়ী আইয়ামে ভীদের রোজা রাখুন ।
আপনার লিংকগুলোর লোকদের শবে বরাত সম্পর্কিত ওয়াজ পড়েই লেখা লিখেছি । অদুর ভবিষ্যতে তাদের প্রকাশে বাহাস করার জন্য আহবান জানানো হবে ।
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৯:১৮
265828
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনার লিংকের লেখা দুইটার ভিডিওগুলো দেখছি ও নোট করছি ।

এগুলোতে অনেক অসত্য কথা আছে । সেগুলো অদুর ভবিষ্যতে তুলে ধরার ইচ্ছে আছে ।

আপনার এক লেখায় মন্তব্যে অনেকে অসত্য কথা লিখেছে । যেমন : শবে বরাত ভারত উপমহাদেশে পালিত হয় । ভারত উপমহাদেশে নবী আসেননি । ইত্যাদি । তারা যদি আমার লেখা পড়েন তাহলে তাদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে ।

আল্লাহ কুরআনেই বলেছেন প্রত্যেক জাতির মধ্যে পথ প্রদর্শক পাঠিয়েছেন । কিন্তু কুরআনে ২৭ জন নবী ও রাসুলের নাম পাওয়া যায় । ২ লক্ষ ২৭ হাজার জন নবী ও রাসুলের কথা হাদিসে এসেছে । ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানী লোকরা যদি এমন কথা বলেন তাহলে আমাদের মতো সাধারণ লোকরা তো তাদের কাছে একে বারে অসহায় ।
০২ জুন ২০১৫ রাত ১০:১৩
265849
ইসলামিক বই লিখেছেন : আপনার সবগুলো হাদীসের ত্বাহ্বক্কীক এই লিংকে দেয়া আছে Click this link
দুদিনের বৈরাগী ভাতেরে বলে অন্য। কথাটি খেয়াল রাখবেন তাহলে আপনার গবেষনায় কিছুটা সাহায্য হবে।
সুন্নাহ পালন না করা আর বিদআত পালন করা একজিনিস নয় সেটা অবশ্য আপনার বুঝতে অনেক কষ্টহবে।

আর "২ লক্ষ ২৭ হাজার জন নবী ও রাসুলের কথা হাদিসে এসেছে" কোন হাদীসে এসেছে এই সংখ্যা দেয়া হয়েছে সেই হাদীসটি আমাকে দিন দেখি। মনে রাখবেন "যা শোনে তাই বর্ননা করে সে মিথ্যাবাদীদের একজন" (মুুসলিম)
০২ জুন ২০১৫ রাত ১০:৩৭
265861
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : কামাল আহমাদ ভাইয়ের সাথে খুব সম্ভবত আমার সাথে দেখা হয়েছে । তিনি সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ করার উপর বই লিখেছেন । সেই সুত্র ধরে তার সাথে আমার দেখা হয়েছিলো মনে হয় ।

আমি এই মুহুর্তে হাদিসটা দিতে পারছি না । দয়া করে আপনি দিন । আমি বুঝতে পারবো ।

অশালীন ও আক্রমনাত্মক ভাষা ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন ।

নফল ইবাদত করা বিদাত নয় । নফল ইবাদত যে কোন দিন করা যায় । উপরন্তু আল্লাহ আমাদের ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন । আল্লাহ বলেছেন :


উপরন্তু শাবান মাসের মধ্য রাতে ইবাদত করা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত আর এটা নতুন কোন কাজ নয় যা আমি আমার লেখায় প্রমাণ হিসেবে উপস্হাপন করেছি ।

সহিহ হাদিস অনুযায়ী বাংলাদেশের মুসলিমরা ইবাদত করে থাকে । সহিহ হাদিস শুধুমাত্র বুখারী ও মুসলিম শরীফেই নেই । বাকি হাদিসগ্রন্হগুলোতে আছে ।

ছয়টা শুদ্ধতম হাদীস গ্রন্থ, এর সংকলকদের নাম এবং হাদিস সংখ্যা :
১। সহীহ বুখারী- ইমাম বুখারী (র) হাদীস সংখ্যা- ৭৩৯৭
২। সহীহ মুসলিম - ইমাম মুসলিম (র) হাদীস সংখ্যা- ৪০০০
৩। জামি তিরমিযী- ইমাম তিরমিযী (র) হাদীস সংখ্যা- ৩৮১২
৪। সুনানে আবুদাউদ- আবু দাউদ (র) হাদীস সংখ্যা- ৪৮০০
৫। সুনানে নাসায়ী - ইমাম নাসাই (র) হাদীস সংখ্যা- ৪৪৮২
৬। সুনানে ইবনে মাজাহ -ইবনে মাজাহ(র) হাদীস সংখ্যা- ৪৩৩৮

সর্বমোট ছয়টা শুদ্ধতম হাদিসগ্রন্হে হাদিস আছে - ২৮ হাজার ৮২৯ টা ।

সব হাদিসের গ্রন্হের বাহিরে আরো ১০ টা শুদ্ধতম হাসিস গ্রন্হ আছে । সেগুলোতে আরো ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ২৫৮ টা হাদিস আছে ।
০২ জুন ২০১৫ রাত ১০:৪৩
265866
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হাদিস গ্রন্থ থেকে আমরা জানতে পারি যে আল্লাহ ১২৪০০০ মতান্তরে ২২৪০০০ পয়গম্বর বা নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন।

পয়গম্বর সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:

وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ

অর্থাৎ এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাদের নিকট সতর্ককারী প্রেরণ করা হয় নি (সূরা ফতির ২৪)

وَلِكُلِّ قَوْمٍ هَادٍ

অর্থাৎ, এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য পথ প্রদর্শক ছিল। (সূরা রাদ ৭)

সুতরাং ১২৪০০০ মতান্তরে ২২৪০০০ নাকি অগণিত পয়গম্বরে আমরা বিশ্বাস করবো? এক্ষেত্রে আমাদের উচিত কোরানের বক্তব্যকেই গ্রহণ করা।মিশকাতুল মাসাবিহ, ৩য় খণ্ড, হাদিস নং ৫৭৩৭ এবং মোসনাদে আহমদ, ৫ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ২৬৫-২৬৬
সব নবী যাদের আ্ল্লাহ স্বীকৃতি দিয়েছেন, আমরা তাদের মানি। যেহেতু আর কোন নবী আসবেন না অতএব চেনার ঝামেলাও নেই। কুরআনে যাদের পরিচয় আছে, আমরা তাদেরই চিনি।

নবী রসুল গনের সংখ্যা নিয়ে মাথা না ঘামনোই ভাল। আমি আমার মন্তব্যে ২ লক্ষ ২৭ হাজার লিখেছি । ২৪ লিখতে যেয়ে ২৭ হয়েছে । বিষয়টা অবশ্যই ভুল ।

কিন্তু এর ফলে কি আমার লেখাটা ও লেখার সারমর্ম কি ভুল প্রমাণিত হয় ?
০২ জুন ২০১৫ রাত ১০:৫১
265868
ইসলামিক বই লিখেছেন : জানাব,
হাদীসটি মেশকাত থেকে বা মুসনাদ থেকে এনে আরবি সহ দিন। শুধু বাংলা গোগল থেকে নিয়ে তো চলবে না।

প্রসঙ্গ না পাল্টিয়ে হাদীসটি এনে দিন।
كَفَى بِالْمَرْءِ كَذِبًا أَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ তানাহলে আপনি মিথ্যাবদীদের অন্তভুক্ত যা হাদীস দারাই প্রমানিত।
০২ জুন ২০১৫ রাত ১০:৫৮
265869
ইসলামিক বই লিখেছেন : এখান থেকে শায়খ গোগল দারা নিয়ে এসে কপি করছেন। বেশ ভালোই!
দারুন চালাক আপনি!!

হাদীসটি আরবি ইবারত চাই। সাথে ত্বাহক্কীক ও জানাবেন জনাব। দৈড় দিয়েন না আবার ভয়ে।
০৩ জুন ২০১৫ রাত ১২:২৭
265902
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ইসলামিক বই : না ভাই । আমি নিজেকে কখনো চালাক মনে করি না । আর আমি নিজেকে কখনো চালাক বলি না ।

আমি দু:ক্ষিতি । আপনি যা চাচ্ছেন, আমি তা দিতে পারছি না ।

কারণ আমি বৃথা সময় নষ্ট করি না ।

তাছাড়া কয়েক ঘন্টা পর এই সাইটেই আমি আরেকটা লেখা লিখবো । আর কাল ঢাকার বাহিরেও যাবো ।

আপনি যা চাচ্ছেন অদুর ভবিষ্যতেও দিবো না । কারণ আমি বৃথা সময় নষ্ট করি না ।

আলোচনা হচ্ছে শবে বরাত নিয়ে । নবী-রাসুলের সংখ্যা আর পয়গাম্বর নিয়ে আলোচনা করছি না ।

আপনি প্রয়োজন মনে করলে এই বিষয়ে লেখা দিন । আমি পড়বো ও মন্তব্য করবো ইনশাআল্লাহ ।
০৩ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৭
266084
ইসলামিক বই লিখেছেন : হাহাহা, হাদীস দিতে কি সমস্যা! হাদীস দিলে অযাথা সময় নষ্ট হয়!!

চালাকি করেন যে তার প্রমান হয়ে গেল।
কোন ব্যাক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে সে জা শোনে তাই বর্ণনা করে। (মুসলিম)

আপনি মিথ্যার সাথে জরিত। আমিও আর আপনার সাথে কমেন্ট করে আমার সময় নষ্ট করতে চাই না। আপনার দৈড় দেখা শেষ।
324297
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ০৬:৫৩
শেখের পোলা লিখেছেন : আল্লাহ প্রথম দিনেই আপনার ভাগ্যে সমালোচণা লিখে দিলেন?
০৩ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:৩৯
265969
ছালসাবিল লিখেছেন : কমেন্টস আবদি ইয়ার Rolling on the Floor Tongue দাদুভাই জাজাকাল্লাহ Love Struck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File