জামায়াতে ইসলামী (২য় পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০১ জুন, ২০১৫, ১২:১৬:৩২ রাত



গোলাম আজম ও তার ছয় ছেলে

১ম পর্ব পড়ুন এই লিংকে ক্লীক করে







গোলাম আজমের ছেলে নোমান ও তার ছেলে মিশাল ও মেয়ে নাওমী । এই ছেলে ১৯৭১ সালে প্রাপ্ত বয়স্ক থাকলে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতেন - এমন অভিমত কিছু দিন আগে কোন এক লোকের সাথে কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন । তিনি জামায়াতেরও সমালোচক । তার মতে জামায়াতকে মিশরের ইখওয়ানুল মুসলেমীনের মতো হওয়া উচিত ।



গোলাম আজমের এক মাত্র ছেলে যিনি বাংলাদেশে বাস করেন । তাঁর ভাইরা বাংলাদেশে বাস করেন না । তিনি গোলাম আজমের চরম ভক্ত ও জামায়াতের আদর্শের সাথে এক মত । আমি তাকে ফেসবুকে বেশ কিছু প্রশ্ন করি । তিনি উত্তর দেননি । তিনি আমাকে আনফ্রেন্ড করেন । তার ভক্তরাও আমার প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করে ।



বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) আব্দুল্লাহিল আমান আল আজমি-কে করা আমার সেই পাঁচটি প্রশ্ন :






অধ্যাপক গোলাম আযমের শ্রেষ্ঠ বাণী :





https://www.youtube.com/watch?v=gDI2WOBiHgM

আলী আহসান মুজাহিদের চরম অসত্য কথা :




https://www.youtube.com/watch?v=xQwRlhENNmQ

মুখোমুখি গোলাম আজম: আপনাকে সবাই রাজাকার বলে কেন ? :




https://www.youtube.com/watch?v=0BhDkt9USEo

রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও জামাতের সম্পৃক্ততার অকাট্য প্রমান :




https://www.youtube.com/watch?v=yYH-Ix6JFfk

রাসুল (সা.) বলেছেন, “ যে ব্যক্তি কোন অন্যায় কাজ হতে দেখে, যদি হাত দ্বারা বন্ধ করার শক্তি রাখে তবে তা হাত দিয়ে বন্ধ করে দিবে। যদি এই পরিমান শক্তি না রাখে তবে মুখের কথা তার প্রতিবাদ করবে। যদি এই ক্ষমতাও না থাকে তবে অন্তর দিয়ে তা ঘৃনা করবে। আর এটা ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর । (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ) "

জামায়াত-শিবির (ইসলামী ছাত্র সংঘের নতুন নাম শিবির) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করেছে । মুক্তিকামী জনগণকে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছে। বাংগালী মা-বোনদেরকে পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দিয়েছে। জামায়াত-শিবিরের যুদ্ধাপরাধ দিনের আলোর মত পরিষ্কার।

কিন্তু জামায়াতি ব্লগাররা প্রায়ই বলে যে জামাত নাকি কোন যুদ্ধাপরাধ করেনি। এমন কি তাদের নেতারা টিভি চ্যানেলে প্রকাশ্যে বলেন যে তারা স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন না , তারা রাজাকার-আল বদর ছিলেন না , তারা কোন খুন-খারাবী করেননি ।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম যে জামায়াত শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। জামায়াত লোকরা ৭১ সালে তার পাকিস্তানী বন্ধুদের সাথে বসে বসে কলা চুষত শুধু, আর কিছু করতনা। তার মানে জামায়াতি ভাইদের মতে:

১. মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত বিরোধিতা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত । জামায়াত কোন যুদ্ধাপরাধ করেনি।

২. মুক্তিযুদ্ধে মানুষ মারা গিয়েছিল পাকিস্তানী সেনাদের দ্বারা । এসব হত্যাকান্ডে জামায়াতিরা তাদের কোন সাহায্য করেনি।

এখন যদি এরকম ধরেই নিই, তাহলে কি দাঁড়ায়? জামায়াত ৭১ সালে মানব ইতিহাসের অন্যতম বড় অপরাধের ও অন্যায়ের সময় অন্যায়ের পক্ষে নিয়েছে। তারা দলগতভাবে অথবা জামায়াতিদের বড় নেতারা কেউই ব্যক্তিগতভাবে এরকম বড় মাপের একটা অন্যায়ের হাত দ্বারা প্রতিরোধ করেনি

। মুখের কথার মাধ্যমে প্রতিবাদও করেনি। এমনকি অন্তরেও ঘৃণা পোষণ করেনি, এখনও করেনা।

হাত দ্বারা প্রতিরোধ করেনি সেটা স্পষ্ট, কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। জবান দ্বারা প্রতিরোধ করেনি সেটাও স্পষ্ট, কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হত্যাকান্ডের বিপক্ষে কোন বক্তব্য-বিবৃতি দেয়নি।

অন্তরে ঘৃণা পোষণ করেনি সেটাও স্পষ্ট, কারণ কাউকে ঘৃণা করলে আপনি তার সাথে বসে নয়মাস যাবৎ তার পক্ষে থাকেননা। শুধু এটাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের পরেও কোন সময়ই তারা ৭১-এ তাদের ভুমিকার জন্য ক্ষমা চাইনি। তার মানে তারা এখনও সেই অন্যায়কে ঘৃণা করেনা।

তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম তারা তাদের অন্তরের গভীরে এই অন্যায়কে ঘৃণা করে। তাদের খুবই লজ্জা , তাই মুখ ফুটে কোনদিন বলতে পারেনি। কিন্তু হাত দিয়ে প্রতিরোধ করেনি, জবান দিয়ে প্রতিবাদ করেনি এই দুটা তো অন্তত স্পষ্ট। মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ সহীহ হাদিস গ্রন্থ বলে জামাতিরও মেনে নেয়, এমনকি উপরের হাদিসটা শিবিরের পাঠ্যসূচীতেও আছে। তাহলে এটা বুঝা যায় জামায়াতি নেতাদের ঈমান খুব বেশির বেশি হল সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

সর্বনিম্ন পর্যায়ের ঈমানদ্বার লোকরা কিভাবে ইসলাম আনবে? ইসলাম আনার মহান কর্মটির নেতারাই যদি সর্বনিম্ন ঈমানের অধিকারী হয় তাহলে ইসলাম কিভাবে আসবে? নেতাদেরই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে পাতিনেতা, কর্মী এদের ঈমানের অবস্থা কি? ইমান না থাকলে আমালের কোন দাম নেই ইসলামে। তাহলে তাদের আমালের অবস্থা কি?

[ ইসলামের চার খলিফারা বলেছিলেন যে তাঁরা ইসলামের পথে না থাকলে তাদের ক্ষমতার থেকে নামিয়ে দিতে বা তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিতে যাতে তাঁরা ইসলাম প্রচার ও প্রসার সঠিকভাবে করতে পারেন এবং তারা নিজেদের আত্মশুদ্ধি করার পাশাপাশি জনগণকেও পরিশুদ্ধ করতে পারেন ।

জামাতের নেতাদের কাজের সমালোচনা না করলে কিভাবে বোঝা যাবে তারা ইসলামের সঠিক পথে আছেন কি না ? আমাদের উচিত ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের বেশি বেশি সমালোচনা করা ।

জামায়াত-শিবিরের ভাইদের কাছে জানতে চাচ্ছি :

১. আল বদর/ রাজাকার বাহিনী গঠণে জামায়াতের ভুমিকা ছিল কি ?

উত্তর : হ্যা বা না ?

২. আপনার গোলাম আজমের দুই ছেলে ও জামায়াতের লোকরা বা ইসলামী ছাত্র সংঘের লোকরা আল বদরের সদস্য ছিলেন কি ?

উত্তর : হ্যা বা না ?

৩. আলী আহসান মুজাহিদ ও মতিউর রহমান নিজামী কি আল বদরের লিডার/ কমান্ডার/ সংগঠক ছিলেন কিনা ? উত্তর ?

উত্তর : হ্যা বা না ?

অপ্রাসংগিক সংযুক্তি:

জামায়াতি ভাইরা প্রায়ই বলেন : সবাই নাকি তাদের বিরোধিতা করে, তাই তারা সঠিক ইসলামের অনুসারী।

আসুন দেখি আর কারা কারা সঠিক ইসলামের অনুসারী -

১. সর্বাহারাদের সবাই বিরোধিতা করে। ডান, বাম, মধ্য সবাই যেহেতু সর্বহারাদের বিরোধিতা করে, তাই সর্বাহারারা সঠিক ইসলামের অনুসারী।

২. কমিউনিস্টদেরকেও কমিউনিস্সটরা ছাড়া আর সবাই বিরোধিতা করে। তাই তারা ইসলামের সবচেয়ে বড় অনুসারী।

৩. ইহুদীদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তাদেরকে সবাই ঘৃণা করত। খ্রিস্টান, মুসলিম এবং অন্যান্যরাও। তাই ইহুদীরা সবচেয়ে বড় ইসলামের অনুসারী।

৪. সর্বহারাদের মত নক্সালদেরও সবাই বিরোধিতা করে, তাই তারা সবচেয়ে বেশী ইসলামপ্রেমী।

৫. বর্তমান বিশ্বে বেশির ভাগ মুসলিমের কাছে ইহুদীরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণার পাত্র। তাই ইসলামের কান্ডারী হল ইহুদীরা ।

তাদের এই কথা অনুযায়ী ৫ শ্রেণীর লোকরা ইসলামের কান্ডারী । কারণ তাদের প্রায় সবাই বিরোধীতা করেন ।

তর্কের খাতিরে সব কিছু বিবেচনা করে ও জামায়াতি ভাইদের দাবি মেনে নিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গেল যে, জামায়াতি ভাইরা সর্বনিম্ন ঈমানের অধিকারী নয় ! কারণ তারা অন্যায় ও অপরাধের প্রতিবাদ হাদিস অনুযায়ী তিনটা পদ্ধতির একটা দিয়েও করেননি আর করছেনও না ।

চলবে ....

বিষয়: বিবিধ

২৬৩০ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323750
০১ জুন ২০১৫ রাত ১২:৪৯
রক্তলাল লিখেছেন : সন্ত্রাস, ঘুষ, দূর্নীতি, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ এসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে জামাতের পিছনে লাগা মানে হল ঐসব ঘুষ দুর্নীতিবাজদের এজেন্ট হিসাবে কিছুটা সুবিধাভোগ করা।

In other words, শয়তানের ছলচাতুরি।



০১ জুন ২০১৫ রাত ১২:৫৪
265161
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমাদের রাজনৈতিক মানসিক রোগের লক্ষণ :
__________________________
১. ধর্মের কথা বললেই আপনি জামাত ! জামাতের আর আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ সমর্থকদের মাঝে একটা মিল আছে, রাজনীতি আর ধর্মের কথা বললেই আওয়ামী লিগ বলে "ব্যাটা জামাত করে " আর জামাতের বেশিরভাগ সমর্থক মনে করে "উনি আমাদেরই লোক" !
২. স্বাধীনতার কথা বললেই আপনি আওয়ামী লিগ !
৩. জিয়াকে , মুজিবকে ভালোবাসলেই আপনাকে হাসিনা, খালেদা, তারেক আর জয়কে ভালবাসতেই হবে !
৪. পদ খলি না করেই শুন্য পদ পূরণ করার কেউ বলে ধরে নেয়া আর বর্তমান নেতাদের বিকল্প নেই বলে মেনে নেয়া !
৫. গণতন্ত্রই শেষ রাজনৈতিক সমাধান আর গণতান্ত্রিকভাবেই বিপ্লব সম্ভব মনে করা !
৬. কোনো নেতাকে ভালোবাসলে তার সকল রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করা এবং তার সিদ্ধান্ত ভুল মনে করলেই তাকে অসম্মান করা হচ্ছে ধরে নেয়া !
৭. বড় বড় আলেমদের ভুল সাধারণ মানুষের ধরার অধিকার বা ক্ষমতা নেই মেনে নেয়া !
৮. সমালোচক হতে হলে নিজেকে আগে ফেরেশতা হতে হবে মনে করা ! নেতাদের সমালোচনা করলেই তাদের আক্রমন করা !
৯. রাজনৈতিক দার্শনিক, চিন্তাবিদ আর লেখকদের সাথে মাঠ ময়দানের রাজনীতিবিদদের পার্থ্যক্য ধরতে না পারা ! কলমের সংগ্রামীদের মাঠে ডাকা ! কলমকে দুর্বল মনে করা ! লেলিন আর মার্ক্সের পার্থ্যক্য না বোঝা !
১০. জনগনের অভিমত তৈরী না করে কেবল ভাংচুরের সংগ্রাম করলেই জনমত পাওয়া যাবে ভেবে নেয়া !
১১. রাজনীতি নিয়ে ভাবলেই কোনো না কোনো দলের রাজনীতিকে সমর্থিন করতেই হবে মেনে নেয়া !
১২. কোনো রাজনৈতিক নেতাকে ভালোবাসলে তার মৃত্যুর পরও তার তৈরী দল বিপথে গেলেও তাকে অনুসরণ করতেই হবে বিশ্বাস করা !
১৩. সংসদে ভুল ইতিহাস নিয়ে রাজনৈতিক দলীয় কোন্দল চলে বলেই সত্য ইতিহাস জানা নিষ্প্রয়োজন মেনে নেয়া !
১৪. নিজের বা নিজের দলের দোষ কেউ ধরিয়ে দিলেই অন্যের বা অন্য দলের দোষের দিকে দেখিয়ে দেয়া ! আর তাই তার পরিশোধনের প্রয়োজনীয়তাকে এড়িয়ে যাওয়া ! ভুল করলেও দাম্ভিকতায় তা অস্বিকার করা !
১৫. দলের সাথে "ইসলাম" শব্দ থাকলেই সেই দল ইসলামী মূল্যবোধের দল মেনে নেয়া !
১৬. পাকিস্তানসহ ইসলামী বিশ্বের সাথে বন্ধুত্ব রক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা বললেই স্বাধীনতা বিরোধী মনে করা !
১৭. এক সময়ের খারাপ ব্যক্তি ভালো হয়ে গেলেও নিজের বোনকে তার সাথে বিয়ে দিতে না চাইলেও দেশকে তার হাতে তুলে দিয়ে পরীক্ষা করার কথা বলা !
১৮. নিজেকে প্রজা শ্রেণী মেনে নেয়া আর দেশকে চালানোর মতন মানুষ দেশে কেউ নেই মেনে নেয়া !
১৯. ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের দলে জায়গা দিয়ে প্রকৃত ধর্মের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখা !
২০. বাংলাদেশী বাঙালি মানেই ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বাংলার মানদন্ড অনুসরণ করা !
২১. ইসলামের সংস্কৃতিক পরিশোধন মানলেই কাওকে আরবি সংস্কৃতির অনুসারী মনে করা ! ভালো সংস্কৃতি যে কোনো দেশ থেকে গ্রহণ করা যেতে পারে তা না বোঝা !
২২. কারো পুরো কথা না শুনেই তার রাজনতিক মতাদর্শ সম্পর্কে নিজেকে জ্ঞানী মনে করা !
২৩. ভারতের সম্রাজ্যবাদী ইচ্ছার কথা বললেই পাকিস্তানি প্রেমী ধরে নেয়া !
২৪. ভারত বাংলাদেশকে গিলে ফেলার শক্তি রাখে মনে করা আর মদির চামচামিতে সরকারী দল আর বিরোধী দলের চামচামির মাত্র বাড়িয়ে দেয়া !
২৫. পাকিস্তানি আর আল বদর/রাজাকার বাহিনীর ধর্ষণ আর নিধন কর্মের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের কিছু ভুলের তুলনা করা !
২৬. স্বাধীনতার সক্রিয় বিরোধীদের দলের মূলে রেখেই সেই দলকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী দল মনে করা ! আর যেই সেনাসদস্য স্বাধীনতা বিরোধী পিতাকে সঠিক পরথ নির্দেশক মনে করা আবার তাকেই দেশের প্রহরী ভেবে নেয়া !
২৭. দল করলেই সেই দলের সমালোচনা করা অন্যায় ভেবে নেয়া আর নেতার সমালোচনা করলে অপমানিত হলেও সেই দল যে আসলে মাফিয়া দল তা অস্বিকার করা !

- মুফাস্সিল ইসলাম

২৫.সৌদি আরবের রাজতন্ত্র-অত্যাচার-নির্যাতন, ইয়েমেন আগ্রাসন ও মিশরের শাসক মুরশীকে উৎখাত এবং বিশ্বব্যাপী অমুসলিমদের দ্বারা মুসলিম নির্যাতন-নিপীড়নের ব্যাপারে সৌদি আরব কেন সোচ্চার নয় - এমন প্রশ্ন উৎথাপন করলে শিয়া বলে চিহ্নিত করা ।


আরো যুক্ত করা যায় ......
323753
০১ জুন ২০১৫ রাত ১২:৫৬
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : নিজেও শিবির করতেন। এখন করেনা। এক সময়
এই লোকগুলোর কথা শুনতেন। এখন শয়তানের
পথে হাটছেন। এখন বাঙ্গলী হয়ে গেছেন।
০১ জুন ২০১৫ রাত ০১:০১
265162
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : শিবির সম্পর্কেও লিখবো ।

শয়তানের পথ কোনটা তা আমি ভাল করেই জানি । কুরআন ও হাদিসে শয়তানের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়ার বিভিন্ন উপায় বলা আছে । সে সব উপায় আমার ভাল করে জানা আছে ।

দয়া করে আমাকে শয়তানের পথ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না ।

আমি বাঙ্গালী আছি ও থাকবো । কারণ আমি বাংলায় কথা বলি, বাংলায় লিখি ও বাংলায় চিন্তা করি ।

আমি মুসলিম । কারণ ইসলাম আমার ধর্ম ।

আমি বাংলাদেশি । কারণ আমি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক ।


তবে আমি আর যাই হোক জামায়াত-শিবির না । এই বোধটুকু আমার মধ্যে আছে । আশা করি আপনার মধ্যেও এই বোধটুকু জাগ্রত হবে ।
323764
০১ জুন ২০১৫ রাত ০২:০৭
রক্তলাল লিখেছেন : ফখরুল পাগলা, আপনি যে আওয়ামীদের একটু খোশ নজর চাইতেছেন তা আমরা অনেক আগেই জানি।
ইহকালে শয়তান থেকে মিস্টি, মোরগি-পোলাও আর পরকালে জান্নাতের ফল ফুরুট খাওয়ার বাসনা আমরা জানি।
জামাত-শিবিরের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা না। তারপরও এরকম ঘ্যানঘয়ানানি প্রমাণ করে দাদাবাবুদের একটু করুণার জন্য এমন নর্তন কুর্দন।

বাংলাদেশে অন্যান্য যে কোন দল বা গোষ্ঠির চেয়ে জামাত-শিবির হাজার গুনে ভাল। এটা জামাতের শত্রুরাও জানে।

তারপরও তাদের নিয়ে তেনা পেচানোর উদ্দেষহ্য যে সামান্য হালুয়া রুটির ভাগ পাওয়ার জন্য - খুব ভাল বুঝি। পাগল হবে কি হবে, ফখরুলের মত লোকেরা ভালোই জানে কিভাবে আওয়ামী পিশাচদের সুনজরে থাকতে হয়।

০১ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:৩৯
265185
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জামায়াত-শিবির কেমন তা বোঝতে আমাকে বুঝতে বেশি দিন লাগেনি । কারণ আমার যখন ভোট দেওয়ার বয়স হয়েছিলো, তখন সংগ্রামী জননেতা গোলাম আজমের মুক্তি চাই শিরোনামের দামী ও বাহারী পোস্টারে ছেয়ে থাকতো ঢাকার দেওয়ালগুলো । এসব বাহারী পোস্টারে গোলাম আজমের নুরানী ছবি মোবারক স্হান পেতে । অথচ তার কিছু দিন আগে জামায়াত নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের পোস্টারে ছবি থাকতো না । কারণ বলা হতো : ছবি আকা ও তোলা হারাম । ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের কথা বলছি ।

এবার আসি, তথন আমি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি । আমি লক্ষ্য করলাম শিবির বহিরাগত সন্ত্রাসী কর্মী দিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে বা আদিপত্য বিস্তার করে । এটা করতে যেয়ে তাদের অনেক নিরীহ (!)কর্মী বোমা বানাতে যেয়ে নিহত (শহীদ)হয় ।








শিবিরের ৮৬ তম শহীদ আব্দুল ওয়াহিদ সহ আরো দুই ওয়ালিয়ার ও হামিদ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে যায় ও বোমা তেরী করতে যেয়ে বোমা বিস্ফোরনে মারা যায় । অথচ তারা কেহই ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল না ।
আব্দুল ওয়াহিদ বাবা-মার সাথে ঢাকায় থাকতো আর ঢাকার তেজগাও কলেজে ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়তো । তাকে ও তার কিছু বন্ধু যারা শিবিরের সাথী তাদের ঢাকা মহানগরী উত্তর (বর্তমানে পশ্চিম ) শিবির নেতারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় ।
কিন্তু তারা বোমা বানানো ও মারামারি কম জানতো । কিন্তু তারা নেতার আনুগত্য করতে যেয়ে কম বয়সেই দুনিয়া ত্যাগ করে ।

ভাই রে ! আমরা যদি সত্যি কথা তুলে না ধরি । আজ আপনি আমাকে গালি দিচ্ছেন । হয়ত অদুর ভবিষ্যতে আপনিও আপনার ছেলেদের ও নাতিদের এই অবস্হা হতে দেখবেন ।


জামায়াতের শত্রুরা জামায়াতকে ভাল বলতে পারে । কারণ তারাও সম্ভবত একই ধরনের লোক । খারাপ লোকদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম খারাপদের অবশ্যই বেশী খারাপ লোকরা ভাল বলবেই ।


আমি আমার লেখায় কোন অসত্য ও বানোয়াট তথ্য দেই না ।

রুটি-রোজগার ও ধন-দৌলত দান করার মালিক আল্লাহ । উপরন্তু আমি সব সময় হালাল রোজগার অর্জন করার চেষ্টা করি ।

আমি লেখালেখি করি দেশের ভবিষ্যত কান্ডারী ও জন সাধারণকে সচেতন করার জন্য ।

আমি লেখালেখি করি আসল ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্যটাকে তুলে ধরার জন্য ।


আপনি ভুল জায়গায় এসেছেন । গালি-গালাজ-পরচর্চা-হুমকি-ধমকি দিয়ে আমার কলম আপনি বন্ধ করতে পারবেন না ।


আপনার উচিত আমার কথাগুলো ভুল প্রমাণ করা ।

মানুষ বোঝে কেন আপনারা ফেসবুক ও ব্লগে দলভেদে যুক্তি ও বস্তুনিষ্ঠভাবে জামায়াত-শিবিরের গঠণমূলক সমালোচনাকারীদের আপনারা কেন গালি-গালাজ করেন ।

দয়া করে সত্যিকার ইসলামের পথে আসুন । তারপর ইসলাম প্রচার করুন, ইসলাম কায়েমের কথা বলুন - তাহলে জনগণ আপনাদের কথা শুনবে ।
অন্যথায় রাজাকার-আলবদর গালি হজম করতেই থাকবেন ।


আপনি কি গোলাম আজম-নিজামী-সাইদী বা তাদের ছেলেদের সুনজর পেয়েছেন ???

পেয়ে থাকলে বলবেন ?

দয়া করে বলবেন কি - গোলাম আজম - নিজামী -দের ছেলে-মেয়েরা বিদেশে পড়াশোনা করে বিদেশেই বাস করে কেন ? তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশে পড়ানোর টাকা-পয়সার উৎস কি
323803
০১ জুন ২০১৫ সকাল ০৯:৩৫
রক্তলাল লিখেছেন : গোলাম আযম, সাঈদির ছেলেদের দুর্নীতির কোনো উদাহরণ নাই। কেউ তাদের ব্যাংক ডাকাত বলেনা।

তারা ধর্ষণ, মদ-গাজা, টেন্ডারবাজি, দলীয় কলহতে নাই।

কার বাবা একাত্তরে দরবেশ আর কার বাবা মুচি মেথর ছিল তা আমার কাছে মূখ্য না। কারা দেশের বারোটা বাজাচ্ছে এখন সেটাই আমি বিবেচনা করছি।

জামাত-যতই খারাপ হোক, অন্য যে কোনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক দলের চেয়ে অনেক গুনে ভালো এটা একটা মানসিক প্রতিবন্ধি ও জানে।

তারপরও যারা জামাত-শিবিরের পিছনে লেগে থাকে তাতে তাদের উদ্দেশ্য অবশ্যই সন্দেহজনক।

জামাত-শিবির সমালোচনার উর্ধে নয়। কিন্তু সব রাঘব বোয়াল দুর্নীতিবাজ, চাপাতি সম্রাট, ভোট ডাকাত স্বৈরাচারী এসব বাদ দিয়ে থিকহেডের মত দিনরাত অহেতুক তেনা প্যাচানো মানে আপনি বদ্ধ পাগল নাহয় পিশাচদের দালাল।

০১ জুন ২০১৫ রাত ১১:৪২
265580
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জামায়াত সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর
আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি,
আপনি বলেছেন :
১. গোলাম আযম, সাঈদির ছেলেদের দুর্নীতির কোনো উদাহরণ নাই। কেউ তাদের ব্যাংক ডাকাত বলেনা।
তারা ধর্ষণ, মদ-গাজা, টেন্ডারবাজি, দলীয় কলহতে নাই।
উত্তর : গোলাম আযম-নাজামি-সাইদীসহ জামায়াতের নেতাদের ছেলেদের জনগণ চিনে না ।আর তারাও তাদের ছেলে-মেয়েদের জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত করেননি । এমন কি জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদীর ছয় ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে আসমা নামের মেয়েটা জামায়াতের পাকিস্তান অংশের রাজনীতির সাথে যুক্ত । এর কারণ কি তা মওদুদীর ছেলে ফারুক মওদুদী এক সাক্ষাতকারে বলেছেন । মওদুদীর পুত্র হায়দার ফারুক মওদুদী বলেছেন,জামায়াত নেতারা নিজের সন্তান নয়, অন্যদের ব্যবহার করেন ।
"তিনি (মওদুদী)আমাদেরকে জামাত থেকে এমনভাবে দূরে রেখেছেন, যেভাবে মাদকদ্রব্যের পুরিয়া বিক্রি করে যে লোক- সে তার পুরিয়াভর্তি বস্তা বাসার বাইরে রেখে আসে। ... একজন মাদকব্যবসায়ীর মত। এবং সেজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ, যে তিনি আমাদেরকে এসবের মধ্যে জড়াননি।" বিস্তারিত জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুন : https://www.youtube.com/watch?v=u3arxZObKDY
মরলে শহীদ বাচলে গাজী – এই মুলমন্ত্র জামায়াতের নেতাদের ছেলে-মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। শুধু আপনাদের মতো মগজ দোলাইকৃত কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।

আপনি লিখেছেন :
কার বাবা একাত্তরে দরবেশ আর কার বাবা মুচি মেথর ছিল তা আমার কাছে মূখ্য না। কারা দেশের বারোটা বাজাচ্ছে এখন সেটাই আমি বিবেচনা করছি।

উত্তর : আমাদের কাছে কার বাবা একাত্তরে রাজাকার-আল বদর ছিলেন আর পাকিস্তানী হায়েনাদের কাছে আমাদের মা-খালাদের তুলে দিয়েছিলেন – তা জানা আমাদের কাছে প্রধান বিষয় । এটা আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না হতে পারে , আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

আপনি লিখেছেন :

জামাত-যতই খারাপ হোক, অন্য যে কোনো ধর্মীয় বা রাজনৈতিক দলের চেয়ে অনেক গুনে ভালো এটা একটা মানসিক প্রতিবন্ধি ও জানে।
তারপরও যারা জামাত-শিবিরের পিছনে লেগে থাকে তাতে তাদের উদ্দেশ্য অবশ্যই সন্দেহজনক।
উত্তর : হা । ভাই । আমাদের দেশটাই মানষিক প্রতিবন্দিতে পরিপূর্ণ । কারণ মওদুদী পাকিস্তানের
আন্দোলনকে ‘নাপাকিস্তান’ বলে আখ্যায়িত করেন। এরপর বাংলাদেশ সৃষ্টিরও বিরোধিতা করে দলটি।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় সশস্ত্র বিরোধীতা করে দলটি কিভাবে এদেশে এখনো টিকে আছে – তাতে আমরা আশ্চর্য হই না আর বিন্দুমাত্র চিন্তিত হই না । কারণ আমরা বাংলাদেশিরা মানষিকভাবে প্রতিবন্দি । আমরা সহজে ও খুব কম সময়ে সব কিছু ভুলে যাই ।
আমি আপনাকে বিনীতভাবে বলছি, আমি জামাত-শিবিরের পিছনে লেগে থাকবে এবং বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে সচেতন করবো ।

আপনি বলেছেন :

জামাত-শিবির সমালোচনার উর্ধে নয়।

কিন্তু সব রাঘব বোয়াল দুর্নীতিবাজ, চাপাতি সম্রাট, ভোট ডাকাত স্বৈরাচারী এসব বাদ দিয়ে থিকহেডের মত দিনরাত অহেতুক তেনা প্যাচানো মানে আপনি বদ্ধ পাগল নাহয় পিশাচদের দালাল।

উত্তরে বলছি : জামায়াত-শিবির যেহেতু সমালোচনার উর্ধে নয়, সেহেতু জামায়াত-শিবিরের লোকরা প্রকাশ্যে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাক ও তাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্হদের ক্ষতিপূরণ দিক এবং তারা ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী দর্শণ প্রচার করা হতে বিরত থাকুক । তাহলেই তো হয় ।
দুর্নীতিবাজ, চাপাতি সম্রাট, ভোট ডাকাত স্বৈরাচার – এসব রাজনৈতিক কথা আমাকে শুনিয়ে লাভ নেই । আমি শুধু মাত্র বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে জামায়াত-শিবির ও ওহাবী মতবাদ-মওদুদী দর্শণ সম্পর্কে সচেতন করছি ও লেখালেখি করছি । কারণ
জামায়াত সম্পর্কে অনেক তথ্য এদেশের তরুণ সমাজ জানে না ।
আমি এসব তথ্য তুলে ধরবো । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য লেখালেখি করি ।
আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাসের নিমর্ম তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছি ।

এটা আমার কাছে অযথা সময় নষ্ট করার মতো মনে হচ্ছে না । এই কাজটাকে আমি ভালভাবেই উপভোগ করি । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য জামায়াতের কালো দিকগুলো তুলে ধরছি ।

আমি কারো বাহবা পাওয়ার জন্য লেখালেখি করি না ।

আপনার উচিত আমি কোন অসত্য তথ্য দিয়ে থাকলে তা উপস্হাপন করা ।
323809
০১ জুন ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
আমি মুসাফির লিখেছেন : ফখ্রুল ভাইদের সম্পর্কে এক বোন লিখেছেন মানুষ অমানুষ হলে বলা হয় পশু ।
পশুর অধঃপতন হলে তাকে ডাকা হয় আওয়ামী লীগ ।
আর আওয়ামী লীগের পরে আর কোন জানোয়ারের সন্ধান
পশু বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত দিতে পারেনি ।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:০৬
265465
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি আওয়ামী লীগ করি না । যারা আওয়ামী লীগ করে তাদের এই কথাটা বলুন ।

আমার লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করুন ।
আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাসের নিমর্ম তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছি ।

আপনার উচিত আমি কোন অসত্য তথ্য দিয়ে থাকলে তা উপস্হাপন করা ।
323810
০১ জুন ২০১৫ সকাল ১০:৪৬
আমি মুসাফির লিখেছেন : এরা তাঁদের চোখে সমাজে এতো অঘটন ঘতাচ্ছে আওয়ামীরা তা দেখেনা কারণ এরা জানয়ারের চেয়ে নিচ।



০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:০৫
265463
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি আওয়ামী লীগ করি না ।

আমার লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য করুন ।

জামায়াত সম্পর্কে অনেক তথ্য এদেশের তরুণ সমাজ জানে না ।
আমি এসব তথ্য তুলে ধরবো । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য লেখালেখি করি ।
আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাসের নিমর্ম তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছি ।

এটা আমার কাছে অযথা সময় নষ্ট করার মতো মনে হচ্ছে না । এই কাজটাকে আমি ভালভাবেই উপভোগ করি । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য জামায়াতের কালো দিকগুলো তুলে ধরছি ।

আমি কারো বাহবা পাওয়ার জন্য লেখালেখি করি না ।

আপনার উচিত আমি কোন অসত্য তথ্য দিয়ে থাকলে তা উপস্হাপন করা ।

আওয়ামী লীগ কেন যারাই সমাজে খারাপ কাজ করছে আমি তার বিরোদ্ধে অবস্হান নেই ও প্রতিবাদ করি ।
323903
০১ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৬
শেখের পোলা লিখেছেন : মাসোহারাটা বেশ মোটা অংকেরই হবে, নয়ত এত লেখার সময় মিলতো না৷৷ তা বাপু ভাল থাকেন৷
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:০৩
265461
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জামায়াত সম্পর্কে অনেক তথ্য এদেশের তরুণ সমাজ জানে না ।
আমি এসব তথ্য তুলে ধরবো । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য লেখালেখি করি ।
আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাসের নিমর্ম তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছি ।

এটা আমার কাছে অযথা সময় নষ্ট করার মতো মনে হচ্ছে না । এই কাজটাকে আমি ভালভাবেই উপভোগ করি । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য জামায়াতের কালো দিকগুলো তুলে ধরছি ।

আমি কারো বাহবা পাওয়ার জন্য বা আর্থিক ও দুনিয়াবী সুবিধা লাভের জন্য লেখালেখি করি না ।

আপনার উচিত আমি কোন অসত্য তথ্য দিয়ে থাকলে তা উপস্হাপন করা ।

323983
০১ জুন ২০১৫ রাত ১১:১৫
স্বপন২ লিখেছেন : আপনার সঙ্গীত চর্চার খবর কি? এখনো ষ্টেজে
উঠেননি। আপনি আর্দশ বাঙ্গালী।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১১:৪৫
265582
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : খুব একটা চর্চা করি না । কারণ আমার উদ্দেশ্য গায়ক হওয়া নয় । সংগীত সম্পর্কে অধ্যয়ন করা ও সংগীতের বিষয়বস্তু বোঝা । এই কারণেই আমি এই লেখাটা লিখতে পেরেছি : http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/65361 জামায়াত-শিবির যেভাবে বাংলাদেশে ধর্ম , সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্হার উপর আঘাত হানে (১ম পর্ব) । আশা করি আমার এই লেখাটা মনযোগ দিয়ে পড়বেন ও সুচিন্তিত মন্তব্য লিখবেন । ধন্যবাদ ।
323992
০২ জুন ২০১৫ রাত ১২:০৮
রক্তলাল লিখেছেন : কিছু লোকে ইসলাম ফোবিয়া। আর কিছু লোকের জামাত ফোবিয়া।


ইসলামবিদ্বেষী শয়তানরা সবকিছুতে ইসালমের দোষ খোজে।
আর জামাত বিদ্বেষীরা সবকিছুতে জামাত দেখে।

সন্ত্রাস, স্বৈরাচার, ঘুষ, দূর্নীতি চাপাতি চর্চা এসব তাদের কাছে কোনো ব্যাপার না। শুধু জামাতই তাদের মাথাব্যাথা।

early age এ traumatic experience এর কারণে অনেকেই এরকম fanatic আচরণ করে।

কোনো কালে হয়ত কোনো জামাতির কাছে তর্কে বাশ খেয়েছেন - সেই trauma এখনো ভুলতে পারছেন না।





০২ জুন ২০১৫ রাত ১২:৪২
265594
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি লিখেছেন :
কিছু লোকে ইসলাম ফোবিয়া। আর কিছু লোকের জামাত ফোবিয়া।
উত্তরে বলছি : জামায়াত-আহলে হাদিস-ওহাবী মতবাদ-মওদুদী মতবাদ বাংলাদেশের যুব সমাজেই নয়, বাংলাদেশের মুসলিমদের জন্য ক্ষতিকর । তা আমি বিভিন্ন তথ্য ও প্রমাণ দ্বারা তুলে ধরছি ।
এটা জামাতফোবিয়া নয় । এটা হলো জামাত সম্পর্কে লোকদের সচেতন করার একটা পক্রিয়া ।

আপনি লিখেছেন :
ইসলামবিদ্বেষী শয়তানরা সবকিছুতে ইসালমের দোষ খোজে।
উত্তরে বলছি : জামায়াত ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । আর বাংলাদেশে ইসলাম রাসুল সা. এর সাহাবীদের সময় হতে বাংলাদেশে প্রচার হয়েছে ।

জামায়াতে ইসলামী আর ইসলাম পরস্পর সমার্থক নয় ।
মুসলিম হওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলাম করাও বাধ্যতামূলক নয় । আর কুরআন হাদিসের কোথাও বলা হয়নি মুসলিম হওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী হতে হবে ।

আপনি লিখেছেন :
আর জামাত বিদ্বেষীরা সবকিছুতে জামাত দেখে।
উত্তরে বলছি : আমি অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে লেখালেখি করি না। আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য তুলে ধরছি ।

আপনি লিখেছেন :

সন্ত্রাস, স্বৈরাচার, ঘুষ, দূর্নীতি চাপাতি চর্চা এসব তাদের কাছে কোনো ব্যাপার না। শুধু জামাতই তাদের মাথাব্যাথা।
উত্তরে বলছি :
আমি পুলিশ নই । সুতরাং সন্ত্রাস নিয়ে আমার মাথা ঘামানো আমার কাজ নয় । আমি রাজনীতিবিদ নই । আমি স্বৈরাচার বা এক নায়ক হটানোও আমার কাজহ নয় । আমি দুদকের কর্মচারী বা কর্মকর্তা নই । সুতরাং দুনীর্তি নিয়ে আমার মাথা ঘামানো বৃথা ।
আমি লেখালেখি করি । আমার লেখালেখির অন্যতম বিষয় জামায়াত-শিবির, ওহাবী মতবাদ-মওদুদী দর্শণ, আহলে হাদিস-জঙ্গীবাদ, জ্যোর্তিবিজ্ঞান, সামাজিক অসংগতি ইত্যাদি ।

আপনি লিখেছেন :
কোনো কালে হয়ত কোনো জামাতির কাছে তর্কে বাশ খেয়েছেন - সেই trauma এখনো ভুলতে পারছেন না ।
উত্তরে বলছি : জামায়াত-শিবির মেধাহীন প্রাণীর নাম । তাদের সাথে তর্কে বা আলোচনায় আমি কখনোই পরাজিত হইনি । বরং আমরা সাথে তর্ক-বিতর্কে হেরে অনেক জামায়াত-শিবির জামায়াত করা ও শিবির করা ছেড়ে দিয়েছে অথব ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী দর্শণ পরিত্যাগ করেছে ।
০২ জুন ২০১৫ রাত ০৪:৪২
265620
রক্তলাল লিখেছেন : আফনে জিতছইন।

কেউ কয় নাই আফনে জামাত করত অইব।

আমার কতা অইল হুদা জামাতের ফিছন গুতাগুতি ছাড়ইন।

নিজের বালা কাম ফ্রছার করইন - আফনার আওয়ামী নাস্তিকরার বালা কতা মাইনষেরে কইন।

আফনে যেইরকম বাংলাদেশরে ছিনইন আমরাও ঐরকম ছিনি।

কে শয়তান আর কে বালা দেশর লাগি আমরাও বুযি।


১০
326415
১৭ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৩
আমি মুসাফির লিখেছেন : ধন্যবাদ গাজারু সাহেব। এখন থেকে আপনাকে গাজারু ভাই বলে ডাকব। মনে যাহয় লিখে যান।
১১
326436
১৭ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৭
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : রাসূল (স) মক্কায় যখন ইসলামের দাওয়াত দিলেন তখন মক্কার কাফেরেরা রাসূল (স) পাগল, ভন্ড, প্রতারক, যাদুকর, কবি আরোও নানান রকম উপাধি দিয়েছিল, যদি রাসূল (স) তাদের মাঝে নবুয়তের পূর্বে ৪০ টা বছর আল-আমিন হিসেবেই ছিলেন। যখন কোন কোরানের আয়াত নাযিল হতো তখন তারা ঐ আয়াতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করার জন্য হাজারো মন গড়া কাহিনী বানাইতো। আজ বাংলার জমিনে জামাত ইসলামির বিরোধীরাও মক্কার কাফের ও মুনাফিকদের ভূমিকায় অবতীর্ণ। আর মহান আল্লাহ এই সমস্ত লোকদের সাথে তর্ক করে সময় নষ্ট করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ এদরকে হেদায়াতের পথ দেখিয়ে দিন, আর যদি হেদায়েতের উপযুক্ত না হয়, তাহলে এদের পরিনতি ফেরাউন, নমরুদের মতই করে দিন। ছুম্মা আমিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File