ইয়েমেনে সৌদি আরবের আগ্রাসন ও সৌদি আরবের অন্ধকার ভবিষ্যত (১ম পর্ব )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ মে, ২০১৫, ১২:৩৫:৩১ রাত




https://www.youtube.com/watch?v=9iu_fSQl3GE

সৌদি আরবে কখনোই আত্মঘাতি বোমা হামলা হতো না । কিন্তু এই লেখাটা যখন লিখতে বসছি, সেই সময়ই নেটে দেখলাম সৌদি আরবে এই সাত দিনের মাথায় আবারও মসজিদে আত্মঘাতি বোমা হামলা হয়েছে । এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে মক্কা-মদিনাতে এমন বোমা হামলা হওয়া অসাভবিক বলে মনে হবে না । কারণ আবু বকর আল বাগদাদী-র দলের লোকরা এই হুমকি বেশ কয়েক বার দিয়েছে ।

আপনারা দেখছেন মিশরের ইতিহাসে সর্বপ্রথম যোগ্য-দক্ষ-জনপ্রিয়-আল্লাহর ওলী মুহাম্মদ মুরশীকে ও মিশরের মুক্তিকামী জনতাকে সৌদি আরব ইসরাইল ও আমেরিকার সহায়তায় কি করছে ???

২৭ মার্চ ২০১৩ তারিখ সৌদি আরব বৈধ (!) শাসক মনসুর হাদির শাসন ক্ষমতাকে সুরক্ষিত করার জন্য ইয়েমেন আক্রমন করলো । অথচ এই সৌদি আরব-ই মিশরের বৈধ শাসককে উৎখাত করলো ।

আর এদিকে সৌদি আরবে মসজিদে বোমা হামলা শুরু হলো । আর এর দায় স্বীকারও করছে আবু বকর আল বাগদাদী-র দলের লোকরা । অথচ এই দলটাকে সৌদি আরব ও ইসরাইল নিজ হাতে তেরী করেছে ।

এসব ঘটনার পরিনতি কি হবে ? আর আমরা বাংলাদেশি মুসলিমরা কি সৌদি আরবকে সমর্থন করবো ? - এই দুইটা প্রশ্ন অনেকের মনে উদয় হয়েছে । আর যাদের হয়নি, তাদের বলছি , এই দুই প্রশ্নের উত্তর জানা ও প্রশ্নের উত্তর দুইটফ হৃদয়ে বদ্ধমুল করা অবশ্য প্রয়োজনীয় বিষয় । আমরা যুক্তি সংঘত কারণে সৌদি আরবের আগ্রাসন ও হটকারী কাজকে কোনভাবেই আমরা সমর্থন করতে পারি না ।

[ এই লেখায় কোন ভীষৎস ও ভয়ানক ছবি ব্যবহার করা হবে না । এই লেখায় ভিডিও দেওয়া হবে । এই ভিডিওগুলোতে লেখার চেয়ে বেশী তথ্য আছে । যাদের ভিডিও দেখার সুযোগ আছে দয়া করে তারা দেখে নিতে পারেন । ]




https://www.youtube.com/watch?v=joHC12tIi4o

সূচনা :

ইয়েমেন একটি প্রাচীন দেশ । এই দেশটা অনেক বড় ছিল । সৌদি আরব এই দেশের অনেক অংশ ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত আগ্রাসন চালিয়ে দখল করে নেয় । ইয়েমেনের জনগণ মুসলিম । শিয়া ও সুন্নী মতাবলম্বী মুসলিমরা ছিল প্রায় সমান সমান । আর তারা নির্দিষ্ট প্রদেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকতো । কিন্তু বর্তমানে ইয়েমেনের জনসংখ্যার ভারসাম্য পরিবর্তিত হয়েছে । ইয়েমেনের উত্তর অংশে শিয়া মতাবলম্বী মুসলিমরা বাস করলেও তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে । শিক্ষা-দীক্ষাতে তারা যথেষ্ঠ গুরুত্ব দেওয়ায় তারা বেশী রাজনীতি সচেতন ।

ইয়েমেনের রাজনৈতিক অবস্হা :

হুতি বা হাউসি ইয়েমেনের শিয়াদের একটি দল । এই দলের নেতার নাম আব্দুল মালেক আল- হাউসি । তার নাম অনুসারেই তাঁদেরকে হুতি বা হাউসি বলা হয়। তাদের রাজনৈতিক দলটার নাম আনসারুল্লাহ । এই দলটার গঠণ ও কর্মকৌশল লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো । এরা বর্তমানে ইয়েমেনে প্রভাশালী হয়ে যায় । তাদের শিক্ষিত ও প্রগতিশীল সুন্নীরাও সমর্থন করে । আর এজন্য ইয়েমেনের স্বেরাচারী শাসক আলী আব্দুল্লাহ সালেহ এবং মনসুর হাদি জনরোষের কারণে সৌদি আরব পালিয়ে যান ।




https://www.youtube.com/watch?v=pdZgkGI5h0A

ইয়েমেনের শিয়াদের সৌদি আরব প্রচন্ড ভয়ের চোখে দেখে । কারণ তারা যোদ্ধা জাতি । তারা সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ প্রচারকারী শাসককে পছন্দ করে না । উপরন্তু সৌদি আরব ইয়েমেনের অনেক এলাকা ১৯৩২ সাল হতে দখল করে রেখেছে যেখানে শিয়ারা জনসংখ্যায় বেশী ।



উপরন্তু ইয়েমেন সংলগ্ন সৌদি আরবের প্রদেশগুলোতে এবং পারশ্য উপসাগরের তীরবর্তী প্রদেশগুলোতে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ । তারাও সৌদি আরবের শাসকদের দ্বারা বিমাতাসুলভ আচরনের স্বীকার হচ্ছেন । সৌদি আরবের ওহাবী শাসকরা সৌদি আরবের শিয়া জনগণকে পছন্দ করে না । সৌদি শাসকরা তাদের নির্যাতন-নিপীড়ন-অত্যাচার করে থাকে ।

https://www.youtube.com/watch?v=uTdEAm3WhmA




শিয়াদের সৌদি আরব কেন ভয় পায় :

মুসলিমরা মুলত শিয়া – সুন্নী এই প্রধান ভাগে বিভক্ত হলেও তার বাহিরে আরেকটা প্রভাবশালী ধর্মীয় দল রয়েছে । এই দলটাকে ওহাবী বলা হয় । ওহাবীরা সৌদি আরবে মাত্র ২২ % । শুধুমাত্র নজদ প্রদেশে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও শাসন ক্ষমতা ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রন করে ওহাবীরা ।

সৌদি আরবের শাসকরা মনে করে করেন যে শিয়ারা এক হয়ে সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ দুর করে শিয়া মতবাদ নির্ভর আরব বিশ্ব গড়ে তোলবে । এই ভয় সৌদি আরবের ওহাবী শাসকদের দিন-রাত তাড়া করে বেড়াচ্ছে ।

উপরন্তু সারা বিশ্বের সুন্নীরা ওহাবীদের গোড়ামী ও কুসংস্কার এবং ইহুদী-খৃস্টানদের তাবেদারি করার কারণে পছন্দ করে না ।




https://www.youtube.com/watch?v=-0LTrAEjcGc

ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ দলের তৎপড়তা :

শিয়া নেতা আব্দুল মালেক আল- হাউসি তারই নেতৃত্বে স্বৈরাচার শাসককে উৎখাত করার জন্য ইয়েমেনের জনগণ আন্দোলন করা শুরু করে । তারা আনসারুল্লাহ নামক দল গঠণ করে । এই দলটাকে হুথি বিদ্রোহী বা হা্উসি বিদ্রোহী বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে ।

https://www.youtube.com/watch?v=cxALV1h4Y2w




এই দলে শিয়াদের সংখ্যা বেশী হওয়ায় শিয়াপ্রধান দেশ লেবানন ও ইরানের সমর্থন লাভ করে ।

আনসারুল্লাহ দলের সমর্থক স্বৈরাচারী শাসক মনসুর হাদির বিরোদ্ধে আন্দোলন শুরু করে । জনগন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে । এর ফলে ইয়েমেনের অধিকাংশ এলাকা আনসারুল্লাহ দলের অধিকৃত হয় । আর মনসুর হাদি দল-বল নিয়ে সৌদি আরব পালিয়ে যায় ।



ইয়েমেনের পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দো রাব্বো মানসুর হাদি ও সৌদি আরবের মরহুম বাদশাহ আব্দুল্লাহ

সৌদি আরবের ইয়েমেন আক্রমন :

স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আনসারুল্লাহ পুরো দেশের নিয়ন্ত্রন নেয় । দক্ষিণের চারটা ছোট প্রদেশ স্বৈরাচারী শাসক মনসুর হাদির সমর্থকদের অধিকারে থাকে । এমন অবস্হায় সৌদি আরব ও সারা বিশ্বের ওহাবীরা ভয় পেয়ে যায় । কারণ ইয়েমেন সব সময় স্বৈরাচারী শাসকদের মাধ্যমে সৌদি আরবই আড়ালে শাসন করতো ও শিয়াদের দমন করতো । এখন অত্যাচারিতরা জেগে ওঠেঠে । সুতরাং ওহাবীদের আর রেহাই দিবেই না পুরো সৌদি আরবই শিয়ারা দখল করে নিবে – এই ভয় ওহাবীদের তাড়া করতে থাকে ।




https://www.youtube.com/watch?v=PKPlRuABaQY

সৌদি বাদশাহ ইয়েমেনকে কীভাবে এক হাত দেখানো যায় তা নিয়ে আমেরিকার ও ইসরাইলের সাথে আলোচনা করে । কারণ ওহাবীদের বন্ধু হলো ইহুদী ও খৃস্টানরা । সৌদি আরবের রাজাকে আমেরিকা ও ইসরাইল বল্লো : হে হৃদয়ের বন্ধু । ইয়েমেনকে এক হাত দেখানোর জন্য ইয়েমেনকে মাটির সাথে মিশিয়ে দাও । অস্ত্র-গোলা-বারুদ যা লাগে আমরা দেবে । আমাদের শুধু তেল আর টাকা দাও ।”

এজন্য ২৭ মার্চ ২০১৩ তারিখ হতে ইয়েমেনে বিমান ও স্হল হামলা করে যাচ্ছে সৌদি আরব এবং তার আরব মিত্ররা।

অপর দিকে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ দলের মুখপাত্র বলে যাচ্ছেন, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আল্লাহর সহায়তায় আমরা শয়তানের শিং নামে সহিহ হাদিসে অভিহিত সৌদি আরবকে প্রতিরোধ করে যাবো । আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন ।

সৌদি আরবের সাথে মিসর,মরক্কো,জর্দান ও সুদান-সহ ১০ টি দেশ ইয়েমেন আক্রমনে অংশ নিয়েছে ।

সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী ইয়েমেনের বন্দরে না ভিড়তে বিদেশী জাহাজকে সতর্ক করে দিচ্ছে । এছাড়া ইয়েমেনের আকাশসীমাকে ‘নিয়ন্ত্রিত স্থান’ ঘোষণা করেছে। আর সৌদি আরব এপর্যন্ত বিমান হামলা করে ৫ হাজার নিরীহ জনগণকে হত্যা করেছে । ৫ লাখ লোককে আহত করেছে । ১ কোটি লোককে গৃহহীন করেছে ।

কিন্তু এই অসময় যুদ্ধে ইয়েমেন বীরত্ব প্রদর্শন করে যাচ্ছে । সৌদি আরব প্রতি দিন ১০০ জঙ্গি বিমান দিয়ে ইয়েমেনের কৌশলগত লক্ষ্যস্হলে হামলা করা সত্বেও ইয়েমেন এই যুদ্ধে সৌদি আরবের অনেক বিমান ভুপাতিত করেছে । সৌদি আরবের অনেক এলাকা অধিকার করেছে এবং সৌদি আরবের অসংখ্য সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে ।



এপর্যন্ত সৌদি সরকার ও তার দশটি মিত্র সরকার ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন হামলায় অংশ নিয়েছে। আরব আমিরাতের ৩০টি, কুয়েতের ১৫টি ও মরক্কোর ৬টি জঙ্গি বিমান এ হামলায় শরিক হয়েছে এবং এ হামলায় মিসর ও পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজও অংশ নিয়েছে।’ সৌদি আরবের বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যসহ মোট দেড় লাখ সৌদি সেনা ইয়েমেনবিরোধী এ হামলায় অংশ নিয়েছে। আমেরিকা ইয়েমেনে হামলায় সৌদি আরবকে অস্ত্রপাতি সরবরাহ ও গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে ।

ইয়েমেনের হুদাইদাহ সমুদ্র বন্দর সৌদি বিমান হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। হুদাইদাহ প্রদেশে একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরেক হামলায় কয়েক ডজন মানুষ হতাহত হয়েছে। ফ্রিডম হাউজ ফাউন্ডেশন সম্প্রতি এক হিসাবে বলেছে, সৌদি আরবের আগ্রাসনে ইয়েমেনের ৪০২১ জন নাগরিক নিহত ও ৭,০১৭ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭৬টি শিশু ও ২৬১ জন নারী নিহত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যা অনেক বেশী ।



আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র বেরনাদেত মিহান এক বিবৃতিতে বলেন : “ উপসাগরীয় জোট (জিসিসি) নেতৃত্বাধীন সামরিক অপারেশনে অস্ত্রপাতি ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এ সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে না। বরং সৌদি আরব ও জিসিসির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করছে। আমরা হুথিদের (আনসারুল্লাহ সংগঠণকে) আহ্বান জানাচ্ছি, তারা সামরিক কার্যক্রম ছেড়ে রাজনৈতিক সংলাপের জন্য সমঝোতার পথে আসুক।

বিষয়: বিবিধ

৪৫০০ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323375
৩০ মে ২০১৫ রাত ০১:৩৪
সরল মন লিখেছেন : অনেক সময় ব্যায় করে তথ্যবহুল পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
৩০ মে ২০১৫ রাত ০১:৫৪
264766
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : টানা এক মাস ধরে পড়াশোনা করে এই লেখাটা লিখছি ।

আমি চাইলে এই লেখাটাকে ১০ পর্ব পর্যন্ত লেখতে পারি । কিন্তু আমি পাঠকের কথা ভেবে লেখাটাকে ৩ পর্বে সীমাবদ্ধ রাখবো ।

লেখাটাতে অনেক তথ্য না দিয়ে ভিডিও দিয়েছি । ভিডিওতে অনেক তথ্য আছে । ইয়েমেন ও লেবাননের আরবী ভাষা-ভাষী শিয়ারা কতটা আধুনিক তাদের গান-বাজনা ও যুদ্ধ কৌশল দেখলে বোঝা যায় । উপরন্তু শিয়াদের আরব খৃস্টানরা পছন্দ করে । এটার বড় কারণ হলো : ইহুদীরা খৃস্টানদের নবী যিশুকে হত্যা করে ( আমাদের বিশ্বাস মতে ইশা আ.-কে আকাশে তুলে নেওয়া হয় । ) । শিয়ারা এই বিষয়টা খৃস্টানদের কাছে তুলে ধরে ।

আরবদের মধ্যে অনেক খৃস্টান আছে । সারা বিশ্বে যত আরবী ভাষার লোক আছে তার মধ্যে ২০% খৃস্টান । ইরাকের এক প্রধানমন্ত্রী তারেক আজিজ খৃস্টান ছিল । লেবাননের প্রধানমন্ত্রী খৃস্টান ।

আরব বিশ্বের মুসলিমরা বিভিন্ন মাযহাবে বিভক্ত । যেমন : ইয়েমেন শাফেয়ী ও জায়েদী শিয়া মতবাদ । সৌদি আরব চার মাযহাব ও ওহাবী মতবাদ । মিশর হানাফী ও মালেকী মাযহাব ও ওহাবী মতবাদ । ইরাক বার ইমামপন্হী শিয়া ও সুন্নী ।

আমাদের দেশটাতে শুধুমাত্র হানাফী মাযহাব । কিন্তু ওহাবী মতবাদ মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার হচ্ছে । এর ফলে মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তিও বাড়ছে ।
323384
৩০ মে ২০১৫ রাত ০৩:৩৩
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : তথ্যবহুল লেখাটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ Good Luck Good Luck পরের পর্ব পড়ার আশা রাখছি
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:২৫
264787
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।
323386
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৫:১৪
সাদাচোখে লিখেছেন : এখন পয্যন্ত ইমপারশিয়াল লিখা।

নিজের মতামত চাপিয়ে দেন নি বলে ধন্যবাদ।

আজকের পৃথিবীকে বুঝতে চায়, জানতে চায় - এমন প্রতিটি মানুষ জানে ও বুঝে যে, সৌদী আরব তার 'ট্রু' প্রভুদের নির্দেশে অন্যায় ভাবে মুসলিম নিধন করছে ইয়েমেনে।

আখেরী জামানা নিয়ে কোরান ও হাদীসকে বোঝার চেষ্টায় রত প্রতিটি মানুষ বুঝে যে, মোহাম্মদ সঃ এর প্রফেসীর 'নজদ' এর মাথার দু'পাশ তথা সৌদি ও ওহাবী - রাসুলুল্লাহর প্রিয় ও আশীর্বাদ প্রাপ্ত মানুষগুলোকে হত্যা করছে এবং এর পরিনতিতে ইয়েমেনবাসীর বিদ্রোহ আলটিমেটলী আগুন হয়ে জাজমেন্ট এর জন্য সৌদী ঐ প্রতারকদেরকে এ্যাসম্বলী মাঠে সমবেত করবে। আল্লাহ সব থেকে ভাল জানেন।
৩০ মে ২০১৫ সকাল ০৭:৩৭
264797
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ইতিহাস ও অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করার সময় লেখক তার নিজের মত পাঠকের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না ।

কারণ ইতিহাস ও অর্থনৈতিক বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত অপরিবর্তনীয় । আমি চলমান রাজনৈতিক বিষয়টার সাথে অর্থনীতি ও ইতিহাসকে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেছি । ধর্মীয় বিষয়টাকে আমি তুলে ধরিনি । কারণ বিষয়টা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ।

আপনি আমার লেখার প্রথম ম্যাপটা লক্ষ্য করুন । সৌদি আরবের তেল সমৃদ্ধ এলাকায় শিয়ারা বাস করে । আর তারাই বিমাতাসুলভ আচরণের শিকার । তার উপর তাদের পরিচালনাধীন মসজিদে বোমা হামলা হচ্ছে । দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাপ হতে দেখা যাচ্ছ শিয়ারা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্হানগুলোতে বাস করে । ওহাবীরা সৌদি আরবের পূর্ব দিকের ক্ষুদ্র এলাকাতে বাস করে ।

সুতরাং এই অবস্হা হতে বোঝা যায় সৌদি আরব কেন এত মরিয়া হয়ে ইয়েেমেনে আক্রমন করছে বা করতে বাধ্য হয়েছে । এক কথায় বলা যায়, সৌদি আরবের রাজতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই ইয়েমেন আক্রমন ও মিশরের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ ।

তবে সৌদি আরবের এমন হটকারী রাজনীতি অমুসলিম বিশ্বে মৌখিক সমর্থন পেলে মুসলিম বিশ্বের মুসলিমদের কাছে গ্রহণযোগ্যতাতা পাবে না । আজব হলেও সত্যি, জাতিসঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী এক দেশ আরেক দেশের উপর আগ্রাসন চালাতে পারে না । কিন্তু সৌদি আরব এই নিয়ম ভঙ্গ করেছে । উপরন্তু পশ্চিমা দেশসমূহের সমর্থনও লাভ করেছে । পাকিস্তানের মতো দেশও সৌদি আরবকে সমর্থন করেছে ।


কিন্তু আমরা বাংলাদেশিরা মনে করি, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের একাত্মতা ঘোষনা করা সঠিক কাজ হবে না ।
৩১ মে ২০১৫ সকাল ০৬:১৮
264950
সাদাচোখে লিখেছেন : আমি দুঃখিত। আপনার দুটি স্টেইটমেন্ট এর সাথে একমত হতে না পারার জন্য।

আপনি বলেছেন, 'ইতিহাস ও অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করার সময় লেখক তার নিজের মত পাঠকের উপর চাপিয়ে দিতে পারে না। কারণ ইতিহাস ও অর্থনৈতিক বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত অপরিবর্তনীয়'।

ফ্যাক্টচুয়ালী আমরা ইতিহাস ও অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশী ফ্রড তথা জালিয়াতির আশ্রয় নিতে দেখি। এবং এ বিষয়ের তথ্য উপাত্ত - বিজিতের পক্ষে বলে সবসময়ই তা এক চোখা দর্শী হয় এবং হয়েছে। ইতিহাসে ইউরোপিয়ান যুদ্ধে ইয়াহুদীর ফিগার দেখুন, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধে হত্যার শিকার হওয়া মানুষের ফিগার দেখুন - আর নূন্যতম রিসার্চ হয়েছে অমন পরিসংখ্যান দেখুন। আবার অর্থনীতি তো এ টু জেড পুরোটাই ফ্রড এর উপর প্রতিষ্ঠিত - অন্ততঃ আইএমএফ, ওয়ার্ল্ডব্যাংক, জাইকা, এডিবি আর বাংলাদেশের সিপিডি, পরিকল্পনা কমিশন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য উপাত্ত ঘাটলে আর কিছু বেসিক প্রশ্ন উত্থাপন করলেই তো তার প্রমান পাওয়া যায় - মনে হবে পুরোটাই লিটারেলী শিল্পীর তুলিতে আকাঁ উপাত্ত যেন। আমার জানা ও বিচার বিশ্লেষন মতে অপরিবর্তনীয় আছে শুধু মাত্র 'আল কোরান' - যা ফ্যাক্টচুয়ালী ট্রু।

২। আপনি বলেছেন, 'ধর্মীয় বিষয়টাকে আমি তুলে ধরিনি। কারন বিষয়টা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক'। স্যেকুলার দৃষ্টিভংগীতে দেখলে তাই ই মনে হবে। কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কোরান ও হাদীসের আলোকে দেখলে ভিন্ন হবে বিশেষ করে সূরা মায়েদার ৫১ নং আয়াত, সুরা আম্বিয়ার ৯৫ ও ৯৬ নং আয়াত, মোহাম্মদ সঃ এর ইয়েমেন ও সিরিয়া সংশ্লিষ্ট হাদীস সমূহ পড়লে ও বিচার বিশ্লেষন করলে ভিন্ন চিত্রই পাওয়া যাবে।
এ্যানিওয়ে আপনার স্যেকুলার বিচার বিশ্লেষনকে স্বাগতম এবং সুখপাঠ্য। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:১১
265469
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : সাদাচোখে : মুসলিম দেশগুলোতে ধর্মীয় কারণে বা মুসলিমদের মধ্যে উপদলগত সংঘাত নিয়ে আমি কুরআন ও হাদিসের আলোকে অন্য লেখায় আলোচনা করবো ।

আমি ওহাবীরা বা রাজতান্ত্রিক সৌদি আরব ও এদেশের সমর্থকরা শয়তানের শিং তা আমি হাদিস দ্বারা প্রমাণ করবো । আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
323408
৩০ মে ২০১৫ সকাল ১১:০০
নীলাঞ্জনা লিখেছেন : কিন্তু আমরা বাংলাদেশিরা মনে করি, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের একাত্মতা ঘোষনা করা সঠিক কাজ হবে না ।

মুসলিমরা পরনির্ভরশীল ভিক্ষুক জাতি। এরা আবার সঠিক/বেঠিক বুঝে নাকি! আমেরিকা কান টানলে সৌদি আরব উঠবস করে। সৌদি আরব কান টানলে বাংলাদেশ জিঁ হুজুর করে। আর রাশিয়া/চীন কান টানলে ইরান খুশিতে গদগদ করে।

সর্বশ্রেষ্ঠ! গ্রন্থ্য কোরাণ আক্রে থাকলে যা হয় আর কি। ধন্যবাদ।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:১১
265470
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ।
323432
৩০ মে ২০১৫ দুপুর ০১:৫৫
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : তথ্যবহুল পোস্ট দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:১২
265471
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ ।
323493
৩০ মে ২০১৫ রাত ০৮:২৫
ছালসাবিল লিখেছেন : Surprised আপনি শিয়া নকি Surprised আগে জানতাম ওহাবী পরে জানলাম ব্রেলবী এখন দেখি শিয়া Surprised ভয়ংকর ব্যাপার Smug
আপনার কাছ থেকে দুরে থাকাই উত্তম Smug
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:১৪
265474
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ


মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। সুরা হুজরাত : ১২
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:১৯
265476
ছালসাবিল লিখেছেন : Rolling on the Floor আপনি কি এই আয়াতের বাহিরে Rolling on the Floor
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:২৩
265485
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ছালসাবিল : আমি বিনয়ী ও ভদ্র হওয়ার জন্য যথা সম্ভব চেষ্টা করি ।

তবে আমি বরাবরই ওহাবী বা মানবতাবিরোধী ও মুসলিমদের উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-সংহতিবিরোধী যে কোন শক্তির বিরোদ্ধে আমার অবস্হান তুলে ধরে থাকি । এর ফলে আমি মাঝে মধ্যে তাদের অপতৎপড়তার জবাব সামান্য হলেও রূঢ়ভাবে দিয়ে থাকি ।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৩০
265496
ছালসাবিল লিখেছেন : তাহলে আমি যখন আপনার ব্লগে আপনাকে সরাসরি বললাম তখন আমাকে এই আয়াত দিলন কেন Smug
আপনি যা করেন সেগুলোকি এই আয়াতের বাহিরে :D/
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৩৬
265516
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ছালসাবিল : আমি কারো পরনিন্দা ও পরচর্চা এবং অনুমান নির্ভর কথা বলি না । আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্হাপন করি । সুতরাং আমার কাজ এই আয়াতের বাহিরে ।

আপনি আমার সম্পর্কে না জেনে আমাকে শিয়া , ওহাবী , ব্রেলবী .. ইত্যাদি বলেছেন ।

অপর দিকে আমি ওহাবীদের বা সৌদি আরবের রাজতন্ত্রের সমর্থকদেরই আমি ওহাবী বলে থাকি । কারণ তারা তাদের লেখা ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের চিন্তাধারা প্রকাশ করে ।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১০:৪০
265520
ছালসাবিল লিখেছেন : আপনি বিনয়ী Surprised মডারেটরদের যে গালি দিয়েছিলেন সেটা কি তারা ভুলে গেছে Surprised

আপনার পোস্ট পড়ে মনেহয় আপনি ওহাবী+ব্রেলভী তাই বলি Smug আপনি ওহাবী হলে বা আমার কি Smug ব্রেলভি হলেই বা আমার কি Smug
০১ জুন ২০১৫ রাত ১১:১১
265568
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ছালসাবিল : মডারেটরদের আমি গালি দেইনি - আমি কিছু প্রশ্ন করেছি :

সম্পাদক-বৃন্দের প্রতি প্রশ্ন আমার প্রশ্ন :

১। আপনারা কি মুসলিম ? বা মুসলমানের বাচ্চা ?

২। আপনারা কি মালাউন না মালাউনের বাচ্চা ?

৩। আপনারা কি ওহাবী কুকুর না ওহাবীদের অবৈধ সন্তান ?

৪। আপনারা কি ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল না সৌদি বাদশাহ বা কোন ওহাবীর জারজ সন্তান ?

আপনারা যদি প্রথমটা না হোন তাহলে আপনারা কোনটা ? দয়া করে জানাবেন ।




আমি প্রশ্নের উত্তর পাইনি । আমার ইচ্ছা এদের প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া । কিন্তু সম্ভব নয় । তবে অদুর ভবিষ্যতে ওহাবী মতবাদ প্রচার করার জন্য তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার দিকে অগ্রসর হবো । কিছু ব্লগার তাদের আশ্রয় ও প্রশয় পেয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলো । তারা হুমকিমূলক সে সব মন্তব্য মুছে ফেলার পাশাপাশি আমর অনেক মন্তব্য ও লেখা মুছে ফেলেছে ।
০১ জুন ২০১৫ রাত ১১:১৭
265573
ছালসাবিল লিখেছেন : Surprised সাবই কি হিন্দিতে এই ব্লগ পড়ে Surprised আপানর দেয়া স্কৃণশর্ট তো স্পষ্ট বলেদিচছে আপনি গালি দিয়েছেন Smug গালি দেয়া মুনাফিকের লক্ষণ তাকি জানেন নাহ Smug

পৃথিবীর যে কোন কাউকে দেখালে আপনার ভাষাকে প্রশ্ন বলবেনা বলবে গালি Smug

যাক, এতে আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই। Smug আপনার যা মনেচায় তাই করুন। মরে গেলই হিসেব শুরু Crying
০১ জুন ২০১৫ রাত ১১:৫২
265586
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি প্রশ্ন করে জানতে চেয়েছি :

১। আপনারা কি মুসলিম ? বা মুসলমানের বাচ্চা ?

২। আপনারা কি মালাউন না মালাউনের বাচ্চা ?

৩। আপনারা কি ওহাবী কুকুর না ওহাবীদের অবৈধ সন্তান ?

৪। আপনারা কি ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল না সৌদি বাদশাহ বা কোন ওহাবীর জারজ সন্তান ?

আপনারা যদি প্রথমটা না হোন তাহলে আপনারা কোনটা ?

এসব প্রশ্নের উত্তর দিলেই তো হয়ে যায় ।

আর কোথায় গালি দিলাম । ওহাবী , ওহাবী কুকুর, মালাউন , অবৈধ সন্তান ... এসব তো ? ! আচ্ছা । বলুন তো - এসব কিছু কাল্পনিক কিছু জিনিস ? বাস্তবে কি এসবের অস্তিত্ব নেই ।

আপনি বলেছেন :
যাক, এতে আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই। আপনার যা মনেচায় তাই করুন। মরে গেলই হিসেব শুরু ।

উত্তরে বলছি : মুসলিমরা মরে যায় না । ইন্তেকাল করে । আমি ইন্তেকাল করলে এসব প্র্রশ্ন যাদের করেছি - সে কারণে আমি শোয়াব পাব । কারণ আমি প্রতিবাদ করেছি ।

আপনার ইন্টারেস্ট না থাকতে পারে । আমার এসব এডমিন ও তাদের সমর্থক-শুভাকাঙ্খিদের ব্যাপারে আগ্রহ আছে । এরা কত বড় সন্ত্রাসী আর ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী দর্শণ প্রচারকারী তার শেষ আমি দেখে ছাড়বো ।

এক্ষেত্রে আমি তাদের হুমকি-ধমকি ও হত্যার হুমকিকেও বিন্দুমাত্র পরোয়া করি না ।
০২ জুন ২০১৫ সকাল ০৭:০৬
265624
ছালসাবিল লিখেছেন : কোনটা গালি আর কোনটা গালি না তা পার্থক্য করা আগে শিখুন Smug গালিদেয়া মুনাফিকের কাজ। অবশ্য আপনি ওহাবী+ব্রেলভী Smug

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File