আইসিস সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফি-জামায়াত-শিবিরের অশুভ কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৪ মে, ২০১৫, ০১:১৫:৩৮ রাত
পটভুমি :
কিছুক্ষণ আগে কথা হলো জামায়াতের নেতাদের এবং অনেক কর্মীর নামাজ পড়ার ধরণ সাধারণ মুসলিমদের মতো নয় কেন, সৌদি আরবকে অন্ধভাবে সমর্থন করে কেন এবং ইরাক ও সিরিয়ার ভুয়া খলিফার সমর্থক কেন - এসব বিষয় নিয়ে কিছু লোকের সাথে কথা হলো ।
আমি এবাক্যে বল্লাম : জামায়াতে ইসলামীর লোকদের নামাজ ভিন্ন হওয়াই সাভাবিক । কারণ বাংলাদেশের লোকদের মুসলিমদের ৯৯% হলো হানাফী মাযহাব অনুসরণকারী সুফী মতাবলম্বী মুসলিম । অপর দিকে জামায়াতে ইসলামী ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী মতবাদ নির্ভর সংগঠণ । সুতরাং পার্থক্য থাকবেই । দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাধারণ মুসলিমদের মতো নামাজ পড়েন না । দেলোয়ার হোসাইন সাইদির
৬৮ বছরের সমস্ত নামাজই তিনি বাতিল মনে করতেন ।এজন্য শেষ জীবনে এসে তিনি নাকি ৬৮ বছরের নামাজ নতুন করে পড়ছেন মাদখালী সালাফী মতবাদ অনুযায়ী । এই ভিডিওতে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে :
https://www.facebook.com/721158897915050/videos/vb.721158897915050/943456415685296/?type=2&theater;
এই লেখায় আমি কোন ছবি ব্যবহার করবো না । কারণ আমরা আইসিসি, সৌদি আরবের ওহাবী সন্ত্রাসীদের আর জামায়াত-শিবিরের মানুষ হত্যা, হাত-পায়ের রগ কাটা, পুড়িয়ে মানুষ মারা, গলা কেটে মানুষ মারা ও কাটা মাথা নিয়ে উল্লাস করার ভিডিও দেখতে দেখতে অভ্যস্হ হয়ে গেছি ।
ISIS কারা ? ও কোন অজুহাতে তাদের উৎথান :
২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় ইরাকের কিছু লোক ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (ISI) গঠণ করে । শুরু হতেই সৌদি আরব এই সংগঠণকে মদদ দিয়ে আসছিলো । এটা আল কায়দার শাখা সংগঠণ হলেও আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের পরামর্শ অনুযায়ী প্রায়ই পরিচালিত হতো না ।
সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত ক্ষমতাচুৎ শাসক সাদ্দাম হোসেনকে ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত প্রধানমন্ত্রী নুরে আল মালেকি ফাঁসি দেন ।
সুন্নী ও খৃস্টানরা সংখ্যালঘু হলেও তারা ইরাকের স্বাধীনতার পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সুবিধা পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতো । ইরাকের জনসংখ্যার মাত্র ৩০ % সুন্নী । শিয়া ৬৫ % ,এবং খৃষ্টান ও অন্যান্য ৫% । আর সুন্নীদের মধ্যে ২০% কুর্দি ভাষী সুন্নী এবং মাত্র ১০ % আরবী ভাষী সুন্নী । সুতরাং সাদ্দাম হোসেনের আরবী ভাষী সুন্নীরা ইরাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ।
সাদ্দামের ফাঁসির পর সুন্নীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হতে থাকে এবং সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায় সুন্নীদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে । এতে ইরাকের সংখ্যালঘু সুন্নী ও কর্দি সম্প্রদায় অসহায়বোধ করতে থাকে । তারা দলে দলে ইসরাইল ও সৌদি আরবের মদদপুস্ট এই সন্ত্রাসী সংগঠনের পতাকাতলে সমেবেত হতে থাকে । পরবর্তীতে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (ISI) ISIS (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড সিরিয়া ) সিরিয়া নাম ধারণ করে সন্ত্রাসী কাজ করতে থাকে ।
সৌদি আরব ও ইসরাইলের মধ্যপ্রাচ্যে ISIS -সহ সারা বিশ্বের ওহাবী-সালাফি-জামায়াত-শিবিরী সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোকে মদদ প্রদান :
সৌদি আরব, ইসরাইল ও আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক, সিরিয়া ও বাহরাইন-সহ সর্বত্র সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত ( ব্যতিক্রম ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠণগুলো ) শাসক ও সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোকে সব ধরণের সহযোগিতা কেন দেয় ।
তার কারণ অনেক । যেমন :
১. ধর্মীয় সম্প্রদায়গত বিভেদ :
রাজনৈতিক কারণে ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলিমরা সুন্নী ও শিয়া এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । সারা বিশ্বে মুসলিমদের ৮০% সুন্নী হলেও তাদের মধ্যে আছে মাযহাবগতভাবে ৪ টি প্রধান ভাগ । যেমন : হানাফী-শাফেয়ী-মালেকী-হাম্বলী । উপরন্তু ইবনে তাইমিয়া ও সন্ত্রাসী মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব-এর মতবাদ অনুসরণকারীদের বলা হয় ওহাবী । এই ওহাবী মতবাদ শুধুমাত্র সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মতবাদ ।
সৌদি আরব অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পর সারা বিশ্বে বিপুল পরিমান অর্থ ওহাবী মতবাদ প্রচারে ব্যয় করছে এবং এজন্য ওহাবি ধর্মজাজক তৈরীর জন্য মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও টিভি চ্যানেল-পত্রিকা ব্যবহার করছে । এই মতবাদ যুদ্ধাংদেহী-গোড়া-বর্বর-নারীবিদ্বেষী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়নি । কিন্তু সন্ত্রাসী ও তারণ্যের উচ্ছলতায় আবেগে আচ্ছন্ন তরুণদের কাছে এই মতবাদ জনপ্রিয় হয় । উপরন্তু ধর্মজাজকরা টাকা কামানোর ধান্দায় এই মতবাদে দীক্ষিত হচ্ছে এবং জনগণকেও বিভ্রান্ত করছে ।
শিয়া সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হলেও মধ্যপ্রাচ্যে জনসংখ্যা এবং অবস্হানগত কারণে শক্তিশালী অবস্হানে রয়েছে । ইরানের রাষ্ট্রীয় মতবাদ শিয়া মতবাদ । বাহরাইন, কুয়েত, ইয়েমেন ও ওমান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাহিরে আজারবাইজান ও তাজিকিস্তান শিয়া প্রধান দেশ । পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৩৫ % শিয়া ।
সুতরাং সৌদি আরব ওহাবী হওয়ায় ওহাবী সন্ত্রাসীদের মদদ দিবে এটাই সাভাবিক । অপর দিকে সৌদি আরবের মিত্র ইসরাইল সৌদি আরবের রাজতন্ত্র রক্ষার জন্য এবং নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ওহাবী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র-গোলা-বারুদ সরবরাহের মাধ্যমে সাহায্য করছে আর সৌদি আরব সেসবের অর্থ পরিশোধ করছে । এভাবে সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে ।
২. ধর্মীয় নেতাদের প্রভাব :
সুন্নীদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, তাদের অবশ্যই কুরাইশ বংশীয় খলিফা পদবীধারী ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার অধীনে থাকা আবশ্যক হলেও ১৯২৪ সালের পর তাদের এমন নেতা নেই । সৌদি আরবে মুসলিমদের তীর্থস্হান মক্কা-মদিনা থাকলেও তার শাসকরা ইসলামবিরোধী শক্তির সহায়তায় ইসলামী খিলাফতকে ধ্বংস করে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় । তারা ইসলামবিরোধী শক্তির তাবেদারে পরিনত হয় ।
পক্ষান্তরে শিয়ারা আয়াতুল্লাহ-শায়খুল ইসলাম ইত্যাদি উপাধিধারী নেতাদের অধীনে সুসংবদ্ধ অবস্হায় রয়েছে । ধর্মীয় নিয়মের কারণে শিয়ারা তাদের আয়ের পাচ ভাগের এক ভাগ তাদের ধর্মীয় নেতাদের সুদুর অতীত হতে প্রদান করে আসছে । আর ধর্মীয় নেতারাও এই অঞ্চলের দেশগুলোতে শিয়াদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছেন ।
শিয়া রাষ্ট্রগুলোর বিরোদ্ধে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধির স্বার্থে সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের ওহাবী সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে ।
৩.বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের রক্ষার ব্যাপারে সৌদি আরবের অনীহা :
সৌদি আরব সারা বিশ্বে ওহাবি মতবাদ প্রচার করে যাচ্ছে । কিন্তু অত্যাচারিত নিপীড়িত-স্বাধীনতাকামী সুন্নীদের বিন্দুমাত্র সাহায্য করছে না । যেমন : ফিলিপাইনে মরো, থাইল্যান্ডে পাত্তানী, বার্মায় রোহিঙ্গা, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, শ্রীলংকায় মুর, চীনের তুর্কি, সোমালিয়া, এংগোলা, ইউরোপের স্হানীয় মুসলিম সম্প্রদায়সহ সারা বিশ্বের ২৫ টি স্হানে সুন্নী মুসলিমরা নির্যাতিত নিপীড়িত । সৌদি আরবকে নির্যাতিত সুন্নিরা তাদের রক্ষাকর্তা মনে করলেও তারা সৌদি আরব হতে সাহায্য না পাওয়ায় সারা বিশ্বে সুন্নীরা অসহায়বোধ করছে । সৌদি আরবের এক কথা,”তোমরা শিরক-বিদাত করা মুসলিম । তোমরা সালাফী বা ওহাবী মতবাদে দীক্ষিত হও এবং আমাদের বাদশাহদের তোমরা বৈধ শাসক হিসেবে মেনে নাও, রাজ্যতন্ত্রকে ইসলামী পদ্ধতি হিসেবে হৃদয়ে বদ্ধমূল কর আর আমাদের শাসকদের বিরোদ্ধে কোন বিদ্রোহ করবে না ।”
পক্ষান্তরে শিয়া ইরান সুন্নী অধ্যুষিত ফিলিস্তিনীদের এবং মিশরের মুক্তিকামী জনগণ সাহায্য করে যাওয়ার পাশাপাশি সারা বিশ্বে অমুসলিমদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরোদ্ধে সোচ্চারই নয়, মানবতার দুষমন আমেরিকা ও ইসরাইলের পতনের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ।
মুসলিম বিশ্বের উন্নায়ন, অগ্রগতি ও প্রগতির গতিকে রোধ করার জন্য এবং নির্যাতিত মুসলিমদের নির্যাতক দেশগুলোর তাবেদারি ও সমর্থন লাভের জন্য এবং নির্যাতিতদের আর্তনাদে বিশ্বমানবতা জাগ্রত না হতে পারে বা নির্যাতনের বিষয়টি আড়াল হয়ে যাওয়ার জন্য সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের ওহাবী সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে ।
৪. ক্ষমতার পালা-বদল ও আন্তজার্তিক রাজনীতি :
মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক পন্হায় মিশরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন শাসক হিসেবে মুহাম্মদ মুরশী নির্বাচিত হন । মধ্যপ্রাচ্যের অগণতান্ত্রিক -রাজতান্ত্রিক– স্বৈরাচারী – জুলুমবাজ – অমুসলিমদের তাবেদার শাসকবৃন্দ ভয় পেয়ে যায় । তারা বেসামাল আচরন করতে থাকে । মিসরের ক্ষমতার পালা বদল দেখে অত্যাচারিত-নির্যাতিত-সত্যিকার ইসলামের অনুসারী জনগন এসব শাসকদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠে ।
বাহরাইনের পার্ল স্কোয়ারে দেশের লাখো জনতা জড়ো হলে সৌদি আরবের সেনা বাহিনীর সহায়তায় বাহরাইনের অত্যাচারী শাসক হাজার জনতাকে হত্যা করে পার্ল স্কোয়ার গুড়িয়ে দেয় । সৌদি আরবও সব ধরনের বিক্ষোভ মিছিল দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে ভন্ডূল করে ও নির্যাতিত জনগণের একাংশকে কারাগারের অন্ধাকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করে এবং অনেককে হত্যা করে মরুভুমির তপ্ত বালিতে মাটি চাপা দেয় । আর এব্যাপারে মতিউর রহমান মাদানী ও যৌন জিহাদ প্রবর্তক আরিফি-সহ মাদখালী উপদলভুক্ত ওহাবি ধর্ম ব্যবসায়ীরা ফতোয়া জাড়ি করে শাসকদের উৎখাত করা গুনাহের কাজ , মিছিল করা গুনাহের কাজ এবং মেয়েদের মিছিল করা কবিরা গুনাহ । এই অবস্হার প্রেক্ষাপটে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর জন্য সৌদি আরব ও ইসরাইল অনেক সন্ত্রাসী সংগঠণের জন্ম দেয় । তার মধ্যে ইরাকের ISIS অন্যতম ।
৫. অত্যাচারী-বর্বর ওহাবী শাসনের বিরোদ্ধে জনগণ ও মুসলিমদের অবস্হান :
আন্তজার্তিক রাজনীতি ও ক্ষমতার পালাবদলের কারণে শিয়াদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায় । বাহরাইন-কুয়েত-কাতার-আরব আমিরাত-ইয়েমন-ওমান-সৌদি আরবের পূর্বাংশ শিয়া প্রধান এলাকা । কিন্তু এসব এলাকার শাসকদের অধিকাংশ হলো ওহাবী ও সৌদি আরব সমর্থক এবং ইসলামবিরোধী অমুসলিম শক্তির তাবেদার । যেমন : বাহরাইনের জনগণের ৭০ % শিয়া । ইয়েমেনের ৫৫% শিয়া । কুয়েতের ৬০% শিয়া । ওমানের জনসংখ্যার পুরোটাই ইবাদী শিয়া । তাদের সৌদি আরব ওহাবী মতবাদে দীক্ষিত করার অনেক চেষ্টা করেছে । কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে । আর এসব দেশের শাসক সম্প্রদায়ও তাদের বশে আনার চেষ্টা করেছে । কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছে ।
৬.শিয়াদের উৎথান :
ইরানে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্ব ইসলামী সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সারা বিশ্বে শিয়া মুসলিমদের প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেলেও এই অঞ্চলের শিয়া প্রধান এলাকাগুলোতে শিয়ারা শাসন ক্ষমতা হতে বিচ্ছিন্ন ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত রয়েই যায় । উপরন্তু ইরান ইসলামী সাধারণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে । অপর দিকে সৌদি আরব অত্যাচারী ও বর্বর রাজতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় অনেক বিবেকবান মুসলিমের কাছে বিস্ময়ের কারণ ।
এই বিষয়টিকে আড়াল করার জন্য সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে ।
৭.ইহুদীবাদী ও ফিলিস্তীনিদের এলাকা জবরদখলকারী ইসরাইলের সুরক্ষা প্রদান করা :
৮.অত্যাচারী ওহাবী সৌদি রাজতন্ত্রকে অক্ষুন্ন রাখা :
৯.পশ্চিমা শক্তিবর্গের ইসলামের উৎথানকে বাধাগ্রস্হ করা :
১০.মুসলিম বিশ্বের সম্পদকে পশ্চিমাদের লুন্ঠন অব্যহত রাখা :
চলবে ......।
( জামায়াত-শিবিরের ভাইদের বলছি । আপনারা আর নিচে নামবেন না । দয়া করে আমার ইমেইল ও ফেসবুক আইডি হ্যাক করার ব্যর্থ চেষ্টা করবেন না ।
আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দয়া করে অনুসরণ করবেন না ।
আমার পিছনে না লেগে অন্তত অন্য সব মানুষের হৃদয়ে স্হান করে নেওয়ার চেষ্টা করুন ।
আর অন্তত পক্ষে সমাজে সহীহ আকিদা ও সহিহ হাদিসের কথা তুলে ধরে মুসলিম সমাজকে বিভক্ত করবেন না ।
পরিশেষে বলছি : নেতাদের পুজা করবেন না । নেতারা খুনী-সন্ত্রসী-রাজাকার-আল বদর । তাদের কারণে আপনারা দুনিয়া কেন আখিরাতেও সফল হতে পারবেন না ।
)
বিষয়: বিবিধ
১৯৪৯ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি এসব তথ্য তুলে ধরবো । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য লেখালেখি করি ।
আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাসের নিমর্ম তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছি ।
এটা আমার কাছে অযথা সময় নষ্ট করার মতো মনে হচ্ছে না । এই কাজটাকে আমি ভালভাবেই উপভোগ করি । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য জামায়াতের কালো দিকগুলো তুলে ধরছি ।
আমি কারো বাহবা পাওয়ার জন্য লেখালেখি করি না ।
আপনার উচিত আমি কোন অসত্য তথ্য দিয়ে থাকলে তা উপস্হাপন করা ।
পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি মাজহাব এর গুরুত্ব বোঝাতে চাচ্ছেন। আর জামায়াত শিবিরে কোন মাজাহাবই মানে না তা বুঝাচ্ছেন।
আমি জানি না কোরআন বা হাদিসের কোন অংশে মাজহাব মেনে চলার কথা লেখা আছে। আপনি তো মহাপণ্ডিত, তো মশাই একটা কোরআন হাদিসের আলোকে যদি মাজহাবের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতেন তাহলে আপনাকে মহাপণ্ডিত হতে বিশ্বপন্ডিত ভাবতাম।
আর যদি না পারেন, তাহলে কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ না করে আগে করান হাদিস পরেন।
আর ইসলামিক স্টেট অব ইরাক কে সৌদি আরব মদদ দিয়ে আসছে আর আইএস আল কায়দার শাখা সংগঠন এ তথ্য কোন তথ্যবাবা আপনাকে দিয়েছে সেটা আল্লাহ তায়া'লাই ভাল জানেন।
শেষ কথা আপনি কয় ওয়াক্ত বা কয় পারা কোরআন পড়ে মুসলমান আমার তা জানা নায়। তবে আপনার মর্ধ্যে ইসলামের জ্ঞান আছে সেটা আমি বিশ্বাস করি না।
২। আমার কতটুকু ইসলামী জ্ঞান আছে সেটা আপনার বিশ্বাস না করারই কথা । কারণ আপনি আমার সম্পর্কে বা আমার পড়াশোনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন ।
৩। মাযহাব কুরআন ও হাদিসের বাহিরের বিষয় নয় । এব্যাপারে অদুর ভবিষ্যতে আমি লেখা দিবো । আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
আমি এসব তথ্য তুলে ধরবো । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য লেখালেখি করি ।
আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠভাবে ইতিহাসের নিমর্ম তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরছি ।
এটা আমার কাছে অযথা সময় নষ্ট করার মতো মনে হচ্ছে না । এই কাজটাকে আমি ভালভাবেই উপভোগ করি । কারণ আমি লোকদের সচেতন করার জন্য জামায়াতের কালো দিকগুলো তুলে ধরছি ।
আমি কারো বাহবা পাওয়ার জন্য লেখালেখি করি না ।
আপনার উচিত আমি কোন অসত্য তথ্য দিয়ে থাকলে তা উপস্হাপন করা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন