জামায়াত-শিবির যেভাবে বাংলাদেশে ধর্ম , সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্হার উপর আঘাত হানে (১ম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২১ মে, ২০১৫, ০৯:৫০:২২ রাত
পটভূমি : আমি এই ধারাবাহিক লেখাটার সাধারণ একটা ভূমিকা বা পটভূমি দিবো না । আমি শুরুতেই সবাইকে শুধু মনযোগ দিয়ে লেখাটা পড়ার ও লেখার ভিডিওগুলো বার বার দেখার অনুরোদ করবো । এর ফলে আপনারা সত্য জানতে পারবেন আর আলোকিত হতে পারবেন ।
গোলাম আজম এবং তার ছয় ছেলের মধ্যে ৪ ছেলের ছবি । তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান হওয়ার অবস্হায় চলে যাচ্ছিলো এবং এদের এক জন স্বীকার করেছে - তার দুই ভাই আল বদর ছিল
একটা সময় আমি নিজে জামায়াতে ইসলামী-র ছাত্র উইং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের নিষ্ঠাবান বড় ধরনের কর্মী ছিলাম । শিবিরের ভাষায় সাথী ও সদস্যপাথী । ইসলামী ছাত্র শিবির সংগঠণটা মূলত ইসলামী ছাত্র সংঘের বর্তমান নাম । নতুন নাম ধারণ করার কারণও আছে । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামী ছাত্র সংঘ আলবদর নাম ধরণ করে এদেশের বুদ্ধিজীবি ও মেধাবী লোকদের হত্যা করতো । ১৯৭৭ সালের ৬ ই ফেব্রুয়ারী আল বদর ও ছাত্র সংঘের কালিমা মুছার স্বার্থে নতুন নাম গ্রহণ করলেও আলবদরের নেতা-কর্মীরাই ছিলো তার চালিকা শক্তি । ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত আল বদর নেতা-কর্মীরা ছাত্রশিবির চালাতো । তারপর নবীন কর্মী ও নেতারা শীর্ষ নেতৃত্বে আসে । তার ফলও বাংলাদেশে ভাল হয়নি । কারণ বিষাক্ত কাটা গাছ ফলের মাধ্যমে বিষাক্ত কাটা গাছই জন্ম দেয় ।
আল বদর সম্পর্কিত একটা ভিডিওতে দেখা যায় গোলাম আজমের দুই ছেলে পর্যন্ত আলবদরের সাথে যুক্ত ছিল যা গোলাম আজমের এক ছেলে স্বীকার করছে ।
https://www.youtube.com/watch?v=9CyMfIrRdRk
জামায়াত-শিবির কীভাবে আমাদের ধর্ম, সংস্কৃতি ও শিক্ষা ব্যবস্হার উপর অশুভ কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা তুলে ধরাই এই লেখার উদ্দেশ্য । তবে কথা প্রসঙ্গে অন্যান্য উগ্রপন্হী ও সন্ত্রাসী ইসলামী দল এবং সন্ত্রাসী হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান-নাস্তিক দলসমূহের কথাও উঠে আসবে । আমি দেখানোর চেষ্টা করবো সব ধরনের সন্ত্রাসী দলের সাথে পরস্পর যোগাযোগ থাকে তাদের অস্তিত্ত্ব রক্ষার তাগিদে । এমনকি তারা ভিন্ন ধর্ম ও মতেরই হোক না কেন ? যেমন : ইসরাইল গোপনে সৌদি আরবের সাথে সম্পর্ক রাখে । এই বিষয়টি প্রকাশ্য হলে উভয় ধর্মীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ বা মতবাদীদের (ওহাবী মতবাদ বনাম জায়নিজম বা ইহুদীবাদ ) সমর্থকরা তাদের নেতাদের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে । তবে ইদানিং মিশর ও ইয়েমেনে সৌদি আরবের অবৈধ হস্তেক্ষেপ ও আক্রমনের পর এই বিষয়টি অনেকেরই নজরে এসেছে ।
জামায়াত-শিবিরের অশুভ তৎপড়তা ও সংগীত :
উগ্র ধর্মীয় মতবাদে বিশ্বাসীরা জীবনের সর্বক্ষেত্রে আঘাত হানে । এমন কি আমাদের খাদ্যাভাসের উপরও । পোষাকের উপর । অর্থনীতির উপর তো অবশ্যই ।
আজ আমি সংগীত নিয়ে আলোচনা করবো । সংগীতের ক্ষেত্রে উগ্র ধর্মীয় গ্রুপগুলো কীভাবে আঘাত হানে তা একটা উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরবো ।
সংগীত বিষয়টা আসলেই কি জিনিস :
সংগীত শব্দটা যখনই ব্যবহার হবে, তখন মুখের সুর নির্ভর কথার সাথে বাদ্যযন্দ্র ও নাঁচের প্রসঙ্গ অবধারিতভাবে আসবেই । কারণ সংগীত বিদ্যা মতে, গীত-বাদ্য-নৃত্যু মিলে সংগীত । খালি গলায় গাওয়া গান কখনোই সংগীতের মর্যাদা পায় না । সুতরাং বাজনাহীন ও নাঁচহীন ইসলাম ধর্ম নির্ভর গান কখনোই সংগীতের মর্যাদা পাবে না । আর এসব সংগীত প্রতিযোগিতায় বিন্দুমাত গুরুত্বও পায় না ।
জামায়াত-শিবির কাজী নজরুল ইসলামের অনেক সংগীতকে বাজনাহীন-নৃত্যহীন ও বিকৃতভাবে তুলে ধরছে । তাদের যুক্তি ইসলামে বাজনা বা বাদ্যযন্ত্র এবং নাঁচ হারাম ।
জামায়াত-শিবিরের নজরুল সঙ্গীতের সুর বিকৃতি করে যাচ্ছেই না এমন কি তারা অনেক গানকে ইসলামী সংগীত বলে অভিহিত করছে ।
উদাহরণের মাধ্যমে এই বিষয়টা তুলে ধরছি । যেমন : হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে – নজরুল সংগীতটা । এটা একটা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত । এটার তাল কাহার্বা ।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তাল হলো ছন্দের প্রধানতম বিষয় এবং ছন্দের ভাগগুলোর লঘুত্ব বা গুরুত্বের নির্ধারণ করে । হিন্দু শাস্ত্র মতে,
"ত-কারঃ শঙ্করঃ ল-কারঃ শক্তিরুচ্যতে। শিব-শক্তিসমযোগ তালনামাভিধেয়তে।"
অর্থাৎ শিবের তাণ্ডব ও শক্তির লাস্যের সংযাজনে তালের জন্ম ( শিব হলো হিন্দুদের অন্যতম প্রধান দেবতা ) । নৃত্য ও সঙ্গীতের সঙ্গে হিন্দু দেবতা শিব সম্পর্ক ভারত উপমহাদেশে স্মরণাতীত কাল হতে ।
নৃত্যের ভংগিতে হিন্দু দেবতা শিব । তাকে নটরাজও বলা । কারণ শিব সুর-বাদ্য-নৃত্য পছন্দ করেন । এজন্য হিন্দুদের কাছে নাঁচের দেবতা শিব বা নটরাজ ।
সুতরাং ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পুরোটাই হিন্দু ঐহিত্য নির্ভর ।
ইসলাম ধর্ম ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবলতর হয় ১৫ শতাব্দীর দিকে । ইসলাম ধর্মাবলম্বী শাসকরা কখনোই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর বিরুপ মনোভাব প্রকাশ করেননি । বরং তারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন । তারা তানসেন-এর মতো সঙ্গীতজ্ঞদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন ।
নজরুল সংগীত হিন্দু ঐতিহ্যনির্ভর :
নজরুল সংগীত হিন্দু ঐতিহ্যনির্ভর । কিন্তু প্রায় এক হাজার গানের কথায় ইসলাম ধর্ম ও মুসলিমদের জীবনাচার নিয়ে আলোচনা হয়েছে ।
সংগীতে লয়, মাত্রা ও তাল :
এবার আসি লয়, মাত্রা ও তাল-এর সম্পর্কে ।
সঙ্গীতের গতিকে লয় বলে। গতির তারতম্যের জন্য লয়কে তিন ভাগে ভাগ করা যায় –
১) ধীরগতির সঙ্গীতের জন্য বিলম্বিত লয়,
২) দ্রুতগতির সঙ্গীতের জন্য দ্রুত লয় এবং
৩) মধ্যগতির সঙ্গীতের জন্য মধ্য লয়।
মধ্য লয় বিলম্বিত লয়ের দ্বিগুণ ও দ্রুত লয়ের অর্ধেক গতির হয়ে থাকে।
মাত্রা সঙ্গীতের লয় বা গতির দুরত্ব মাপার জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেকটি মাত্রার মধ্যবর্তী ব্যবধান সমান হয়। কয়েকটি ছন্দোবদ্ধ মাত্রার সমষ্টি দিয়ে তৈরী হয় একটি তাল।
কাহার্বা তাল :
কাহার্বা, কাহেরবা, কার্ফা, ইত্যাদি নামে পরিচিত। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে ৪-৪ ছন্দের জন্যে ত্রিতাল ব্যবহার বেশী হলেও লঘু সঙ্গীতের ক্ষেত্রে ৪-৪ ছন্দের জন্যে কাহারবাই সর্বাধিক ব্যবহৃত। কাহার্বা আট মাত্রার একটি সমপদী তাল। চতুর্মাত্রিক (৪-৪) ছন্দ। এর দুটি বিভাগ - একটি তালি ও একটি খালি। কাহারবার বোল:
+ধাˈ গেˈ নাˈ তিˈ । ০নাˈ কˈ ধিˈ নাˈ ।। [১]
+ধাˈ গেˈ তেˈ টেˈ । ০নাˈ কˈ ধিˈ নাˈ ।।
Kaharba taal - Theka and layakaari
https://www.youtube.com/watch?v=h-faTARuGQw
Learn the Dadra Taal on Tabla - Online tabla lessons
https://www.youtube.com/watch?v=-HhLQTm8yTg
ইসলাম পছন্দ দল ও গ্রুপগুলোর নজরুল সংগীতবিকৃতি :
জামায়াত-শিবিরের প্রতিষ্ঠান সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী বিভিন্ন গানের সুর বিকৃতি করে তা গণমাধ্যম এবং ইন্টারনেটে প্রচার করছে ।
চরমোনাই পীরের প্রতিষ্ঠান কলোরব শিল্পী গোষ্ঠীও এই কাজ করে যাচ্ছেন ।
অনেক দিন ধরে মাজার পুজারীরা লোকরা গানের সুর বিকৃতির সাথে সাথে ইসলামের সঠিক বিশ্বাসবিরোধী কথা প্রচার করছেন ।
এসব লোকদের অনেক কাজই শিল্পী সুলভ নয় । তারা অনেক সময় গানের নামে শব্দ দুষণ করে যাচ্ছেন ।
নজরুল সংগীত “হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে ”:
আমি আজ “ হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে “ এই নজরুল সংগীতটির ইতিহাস তুলে ধরবো ।
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে :
এই গানটা একটা বিখ্যাত নজরুল সংগীত । এই গানটাকে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী সুর ও তাল বিকৃত করেছে যা এই ভিডিও-তে আছে :
https://www.youtube.com/watch?v=xJtFUiPHw48
গানের কথাগুলো হলো :
হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও?
আখেরি নবী প্রিয় আল-আরবি বারেক ফিরে চাও।।
পিঁজরার পাখি সম অন্ধকারায়
বন্ধ থাকি' এ জীবন কেটে' যায়;
কাঁদে প্রাণ ছুটে যেতে তব মদিনায়
মরণের এই জিঞ্জির খুলে' দাও।।
ফতেমার মেয়েদের হেরি' আঁখি-নীর
বেহেশতে কেমনে আছ তুমি থির!
যেতে নারি মসজিদে শুনিয়া আজান,
বাহিরে ওয়াজ হয়, ঘরে কাঁদে প্রাণ
ঝুটা এই বোরখার হোক অবসান-
আঁধারে হেরেমে আশা-আলোক দেখাও।।
তালঃ কাহার্বা
উৎস :
http://nazrulgeeti.org/index.php/shokol-ganer-bani/27-ha/688-heremer-bondini-kadiya-dake
কাহার্বা ও অন্যান্য তালে গাওয়া কিছু বিখ্যাত নজরুল সংগীত :
আসিলে কে গো বিদেশী - ফিরোজা বেগম Firoza Begum - asile ke go bideshi
https://www.youtube.com/watch?v=FjPAi6XYWew
'নামাজ রোজ হজ্জ্ব যাকাতের পসারিনী আমি" - সাদিয়া আফরীন মল্লিক
https://www.youtube.com/watch?v=AOIbcyQFINo
শাওনো রাতে যদি - ফেরদৌস আরা
https://www.youtube.com/watch?v=IqpTwJB7eXw
SHAONO RATE JODI - ELECTRIC GUITAR
https://www.youtube.com/watch?v=qA3uFdOaONI
Amar Noyoney Noyon Rakhi- Nazrul geeti
https://www.youtube.com/watch?v=I9v-EN_GzNM
Amar Noyone Noyon Rakhi ...by Farhana Rahman kanta
https://www.youtube.com/watch?v=ya10fSQeHZw
এই গানের সুরকার ও প্রথম শিল্পী :
উপমহাদেশের অন্যতম প্রথিতযশা সঙ্গীতশিল্পী, প্রসিদ্ধ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত। কমল দাশগুপ্ত শুধু বাংলা গানের সুরস্রষ্টা নন, তার সুরের নিবিড় পরিচর্যা পেয়েছে হিন্দি, উর্দু, মারাঠিসহ বেশ কয়েকটি ভাষার গান।
নজরুল সংগীত সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুরকার কমল দাসগুপ্ত ( মাইলস্ - এর হামিন আহম্মেদ ও শাফিন আহম্মেদের বাবা এবং নজরুল সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগমের স্বামী )
তিনি ইসলামী গান সুরারোপ করেও সমান খ্যাতি পেয়েছেন। তার সুরে রওশন আরা বেগমের গাওয়া 'হে প্রিয় নবী রাসূল', 'হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে তুমি শুনিতে কি পাও' গান দুটি উল্লেখযোগ্য।
প্রথিতযশা এ সঙ্গীতজ্ঞ আধুনিক গানসহ আট হাজারেরও বেশি গানের সুর করেছিলেন। তালিকা থেকে বাদ যায়নি আধুনিক, নজরুলসঙ্গীত, গীত, গজল, ভজন, কাওয়ালিসহ সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা।
ত্রিশ এবং চল্লিশের দশকে গ্রামোফোন ডিস্কে তাঁর সুরে গাওয়া বহু গান অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। গানগুলোর গীতিকার ছিলেন প্রণব রায় এবং কণ্ঠশিল্পী ছিলেন যুথিকা রায়। তার সুর করা সাঁঝের তারকা আমি, আমি ভোরের যুথিকা প্রভৃতি গান আজও সমাদৃত। তাঁর কয়েকটি রাগাশ্রিত, কীর্তনাঙ্গ এবং ছন্দ-প্রধান গানও সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাশগুপ্ত ১৯১২ সালের আজকের দিনে যশোরের কালিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৫ সালে ৪৭ বছর বয়সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন । ১৯৫৬ সালে বাংলাদেশের তথা ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম নজরুল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ফরিদপুর জেলার খান বাহাদুর ইসমাইল হোসেনের কন্যা ফিরোজা বেগমকে বিয়ে করেন কমল দাশগুপ্ত।
তাঁদের সংসারে তিন সন্তান - তাহসিন, হামীন ও শাফীন রয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=SWrN0jENPPg
হামীন ও শাফীন কারা তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই । তারা জনপ্রিয় ব্যান্ড সংগীত গ্রপ মাইলস্ এর প্রতিষ্ঠাতা ।
https://www.youtube.com/watch?v=
https://www.youtube.com/watch?v=C2Oq_b1R2Rw
https://www.youtube.com/watch?v=JdeHyzeMa9A
উপসংহার :
এমন একটা বিখ্যাত গানকে বিকৃত করতে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর সামান্যতম অনুশোচনাবোধ হলো না দেখে অবাক হলাম । আমি তাদের উদ্দেশ্য করে বলছি, যদি তারা (সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীর ) এই গানটি বিখ্যাত নজরুল সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরার কাছে আধুনিক বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে শিখে এসেব আমাদের সামনে উপস্হাপন করেন তাহলে আমি নিজে সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠীকে এক লাখ টাকা উপহার স্বরুপ দিবো ।
আমার মনে হয় না, তারা আমার এই উপহার গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে শুদ্ধতম উপায়ে নজরুল সংগীত শিখতে যাবে । কারণ এর ফলে তারা আধা হিন্দু হয়ে যাবে । আধা মর্তাদ (ইসলাম ধর্মত্যাগকারী ব্যক্তি )হয়ে যাবে ।
কৃতজ্ঞতা:
http://nazrulgeeti.org
নজরুল একাডেমী
নজরুল ইনস্টিটউট
মাইলস্
ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ
গোলাম আজম ও তার ছেলেদের সম্পর্কে আরো তথ্য :
গোলাম আযম - এর ছয় ছেলে :
১. আব্দুল্লাহহিল মামুন আল আযমী : খিলগাঁও গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে
এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি।
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার থেকে অর্থনীতিতে এমএ।
২. আব্দুল্লাহ হিল আমিন আল আযমী :
খিলগাঁও গর্ভমেন্ট স্কুল থেকে এসএসসি,
ঢাকা কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বাংলাদেশ স্বাধীন হলে দেশত্যাগ
এবং লন্ডনে নিটিং ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন।
৩. আব্দুল্লাহ হিল মোমেন আল আযমী :
সিদ্ধেশ্বরী স্কুল থেকে এসএসসি, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ থেকে এইচএসসি।
একই কলেজ থেকে বিকম পাস করেছেন।
৪. আব্দুল্লাহ হিল আমান আল আযমী :
আমান আযমী ১৯৭৫ সালে সিলেট সরকারি অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে এসএসসি,
ঢাকা সেন্ট্রাল কলেজ থেকে তৃতীয় বিভাগে এইচএসসি পাস।
এরপর ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন
(সবার জন্য নির্ধারিত তারিখের একমাস পর,
তিনি মিলিটারি একাডেমীতে যোগদান করেন)।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণী পাওয়া একজন অতি সাধারণ ছাত্র,
জিয়ার সময় সেনাবাহিনীতে কিভাবে কমিশন পেলেন ?
সে প্রশ্ন অনেকেরই।
২০০৯ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত অবস্থায় বরখাস্ত।
৫. আব্দুল্লাহ হিল নোমান আল আযমী
ঢাকা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে এসএসসি,
ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনায় অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন।
৬. আব্দুল্লাহ হিল সালমান আল আযমী :
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল থেকে এসএসসি,
এইচএসসি ঢাকা কলেজ থেকে,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে অর্নাসে ভর্তি হয়েছিলেন
কিন্তু শেষ করতে পারেননি।
এরপর আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মার্স্টাস করেন।
জামায়াতে ইসলামীর প্রাক্তন আমির গোলাম আযমের ছয় ছেলের সবাই স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তার কোনো কন্যা সন্তান নেই। গোলাম আযম ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিলেও তিনি ছিলেন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত।
গোলাম আযমের সন্তানদেরও তিনি ইংরেজি ও আধুনিক শিক্ষা দিয়েছেন। তার একটি ছেলেকেও মাদ্রাসায় পড়াননি।
১। গোলাম আযমের বড় ছেলের নাম মামুন আল আযমী। ঢাকায় থাকাকালীন পড়াশুনা করেছেন খিলগাঁও গর্ভমেন্ট হাইস্কুলে। এরপর ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘদিন তিনি ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সৌদি আরবের জেদ্দায় স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করছেন।
২। দ্বিতীয় ছেলে আমিন আল আযমী লন্ডনে পড়ালেখা শেষ করে সৌদি আরবে ব্যবসা ও বসবাস করছেন।
৩। তৃতীয় ছেলে আবদুল্লাহিল মোমেন আযমী। মোমেন ঢাকায় থাকাকালীন পড়াশুনা করেছেন ধানমন্ডি বয়েজ স্কুল ও আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। এরপর লন্ডনে গিয়ে তিনি উচ্চ শিক্ষা অর্জন করেন। বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটিতে পরিবারসহ বাস করছেন।
৪। চতুর্থ ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আযমী। নটরডেম কলেজে পড়ালেখা শেষ করে এরশাদ সরকারের প্রথমদিকে সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করেন। সর্বশেষ সেনাবাহিনীতে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি বরখাস্ত হন। ভাইদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বাংলাদেশে বাস করছেন।
৫।পঞ্চম ছেলে নোমান আল আযমী। লন্ডনে পড়ালেখা শেষ করে সেখানেই ব্যবসা ও বসবাস করছেন।
৬। ছোট ছেলে সালমান আল আযমী ভারতের আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি লিভারপুর হোপ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা করছেন।
সবচেয়ে বিখ্যাত ৪ নং ছেলে (সাবেক সেনা অফিসার আব্দুল্লাহির আজমি ) -টার ফেসবুক আইডি : https://www.facebook.com/abdullahil.azmi
সংগীত বিষয়ক আরো তথ্য :
লেখাটা লেখার সময় রাশিয়ান ভাষায় এই সংগীতটা শুনছিলাম । আমার কাছে এটাকে আদর্শ সংগীত বলে মনে হচ্ছে । কারণ সংগীত যিনি গান এই গানটার গায়িকার মধ্যে সব বৈশিষ্ট্য রয়েছে । অর্থাৎ সংগীত শিল্পী যারা হবেন তাদের তার মতো বৈশিষ্ট্যগুলো থাকতে হবে :
https://www.youtube.com/watch?v=
Летка -енка ,Добрый жук -Марина Девятова.
https://www.youtube.com/watch?v=iop3u8ytGsk
আমি যদি এই ধরনের লেখা অব্যহত রাখি তাহলে আমাকেও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়কার শহীদ হওয়া বুদ্ধিজীবিদের মতো হতে পারে । কারণ জামায়াত-শিবিরের লোকরা আমাকে নেট ও ব্লগ সাইটগুলোতে কুটক্তি করার পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ।
বিষয়: বিবিধ
৫৪১২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি কি আমাকে হত্যা করবেন ?
এই কথাটা বলার কারণ হলো : আপনার পুর্বতনরা এই কাজটাই করতেন ১৯৭১ সালে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এই কাজ করছেন । ইসলাম কায়েমের নামে ।
ইসলাম কায়েম কি হয়েছে ! ভাই ? না হলে আপনাদের ইসলাম কায়েম কবে হবে ?
পোস্টের আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না
১. ইসলামী ছাত্র শিবির হলো ১৯৭১ সালের আধুনিকতম রূপ । এটা একটা সন্ত্রাসী সংগঠণই নয় , এটা শিশু ও যুবকদের সৃজনশীলতা ও প্রতিভা ধ্বংস করে দিয়ে তাদের রিলিজিয়াস ফেনাটিক হিসেবে গড়ে তোলে ।
২. গোলাম আজমের দুই ছেলে আল বদরের সাথে যুক্ত থেকে গোলাম আজমের নির্দেশে হত্যাকান্ড করতো ।
৩. জামায়াত-শিবিরই নয় ইসলামী উগ্রপন্হী দলগুলো শক্তিশালী হলে বাংলাদেশে সংগীত ও নৃত্য চর্চা ধ্বংস হয়ে যাবে ।
৪. ইসলামী সংগীত বলতে কিছু নেই । কারণ সংগীত বিদ্যা মতে, গীত-বাদ্য-নৃত্যু মিলে সংগীত ।
জামায়াত-শিবির কাজী নজরুল ইসলামের অনেক সংগীতকে বাজনাহীন-নৃত্যহীন ও বিকৃতভাবে তুলে ধরছে । তাদের যুক্তি ইসলামে বাজনা বা বাদ্যযন্ত্র এবং নাঁচ হারাম ।
৫. হেরেমের বন্দিনী কাঁদিয়া ডাকে “ এই নজরুল সংগীতটির মতো অসংখ্য সংগীত ইসলামী উগ্রপন্হী দলের লোকরা বিকৃত করে যাচ্ছে ।
৬. ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পুরোটাই হিন্দু ঐহিত্য নির্ভর ।
ইসলাম ধর্ম ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবলতর হয় ১৫ শতাব্দীর দিকে । ইসলাম ধর্মাবলম্বী শাসকরা কখনোই ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের উপর বিরুপ মনোভাব প্রকাশ করেননি । বরং তারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন । তারা তানসেন-এর মতো সঙ্গীতজ্ঞদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন ।
৭. বাংলাদেশের সংগীত ও নৃত্য শিল্পের সাথে জড়িতদের বড় অংশ হলো অমুসলিম । মুসলিমদের একটা বড় অংশ সংগীত ও নৃত্য চর্চা করে না - উগ্রপন্হী ইসলামী দলগুলোর তৎপড়তার কারণে । অথচ এক সময় মুসলিমদের বড় অংশই সংগীত ও নৃত্য কলার সমাজদার ও পৃষ্ঠপোষক ছিল । এভাবেই ইসলামী দলগুলো আমাদের সংস্কৃতির উপর আঘাত হেনে যাচ্ছে ।
৮. শুধু গোলাম আজমই নয়, তার ছেলেদের প্রায় সবাই বাংলাদেশবিরোধী তৎপড়তার সাথে যুক্ত । এভাবে জামায়াতের অন্য নেতাদের ছেলে-মেয়েরাও বাংলাদেশবিরোধী তৎপড়তার সাথে যুক্ত বা যুক্ত ছিল । এমন কি তাদের অনেকে ১৯৭১ সালে এদেশের লোকদের হত্যা করতো ।
৯. জামায়াত-শিবিরের লোকরা বুদ্ধিবৃক্তিকভাবে যখন দুর্বল হয়ে যায়, তখন তারা গালি গালাজ ও হুমকি ধমকি ব্যবহার করে প্রতিপক্ষকে গায়েল করার চেষ্টা করে এবং সর্বশেষে তারা তাদের প্রতিপক্ষকে হত্যা করে ।
১০. ইসলামী ছাত্র শিবির শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও ধর্মান্ধতা বিস্তারের মাধ্যমে প্রভাব বলয় সৃষ্টি করেছে ।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/56376
ইসলামে গান –বাজনা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-নাটক-সিনামা জায়েজ , ভাল নিয়তে এসব করলে সোয়াব হবে
আপনি বলেছেন :
1.
অযথা জামায়াত- শিবিরের কুৎসা গেয়ে এসবকে কি বৈধ করা যায়?
উত্তরে বলছি :
1.নাচ গান জায়েজ না হলে জামায়াতের দিগন্ত টিভিতে কীভাবে নাচ-গানের অনুষ্ঠান প্রচার হতো ।
2.নাচ গান জায়েজ না হলে জামায়াতী সন্ত্রাসী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সন্ত্রাসী এবং দিগন্ত টিভির ডিএডি ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি গান লিখেন এবং তা বেপর্দা শিল্পী ঝিনুককে দিয়ে গাওয়ার ব্যবস্হা করে দিগন্ত টিভিতে প্রচার করতেন ।
এই দেখুন তার একটা নমুনা :
https://www.youtube.com/watch?v=p5Ti8tFB8uQ
https://www.youtube.com/watch?v=8LDOVeZFWp0
৩. নাচ গান যদি না জায়েজ হয়ে থাকে, তাহলে কেন জামায়াতী মহিলা তাজকিয়া বিনতে নাজিব দিগন্ত টিভিতে ইংরেজী ভাষায় গান গেয়ে নেচেছিলো । এই দেখুন তার কিছু নমুনা :
https://www.youtube.com/watch?v=8CaGDjeTxBM
জামায়াত-শিবির গান বাজনা পছন্দ করে না । এজন্য শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির জগতটাকে কীভাবে বিকৃত করছে – তা আমি তুলে ধরেছি ।
আপনার উচিত আমার লেখায় তুলে ধরা নজরুল সংগীতটা জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসীরা বিকৃত করে নাই – তা প্রমাণ করা । আমি আমার লেখায় প্রমাণ উপস্হাপন করেছি , তারা কীভাবে হেরেমের বন্দিনী কাদিয়া ডাকে – নজরুল সংগীতটাকে বিকৃত করেছে ।
জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী দল এবং বাংলাদেশের জনগনের জন্য ক্ষতিকর একটা দল । এরা আমাদের ধর্ম-সাহিত্য-সংস্কৃতি-শিক্ষা ব্যবস্হার উপর কৌশলে আঘাত হনে যাচ্ছে । আমি আমার এই লেখাটায় ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরছি ।
আমি আমার লেখাতে একটা ভিডিও-এর লিংক দিয়েছি যাতে বলা হয়েছে গোলাম আজম নিজে আল বদর বাহিনী পরিচালনা করতো এবং তার দুই ছেলেও আল বদর বাহিনীর নেতা ছিল ও তারা বাংলাদেশের মেধাবী ও বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করতো । এব্যাপারে আপনার অভিমত কি ?
আমি এভাব এই ভিডিও দিচ্ছি যাতে বলা হচ্ছে নিজামীর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হতো :https://www.facebook.com/mufassil.islam/videos/853230191397852/?pnref=story
এব্যাপারে আপনার অভিমত কি ?
সংযুক্ত করুন। এর ফলে অনেকেই এগিয়ে আসবে। বাংগালী কালচারে এগিয়ে আসুন।
পোস্টের সাথে প্রাসংগিক বিষয়ে মন্তব্য করুন ।
দয়া করে বলুন, আমি এই লেখার মধ্যে কোন ভুল ও মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছি কি না ?
আপনার বিবেক কি বলে - আল বদর সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের জনগণকে দিন পর দিন বোকা বানিয়ে রাখবে আর তাদের অপকর্ম আড়াল করে নিজেদের ইসলামের রক্ষক বলে উপস্হাপন করে যাবে আর আমরাও তা মেনে নিবো ?
আমি সংগঠক নই । আপাতত আমার কোন রাজনৈতিক দল বানানোর ইচ্ছে নেই । ভবিষ্যতে অযাচিতভাবে আমাকে এমন পরামর্শ না দেওয়ার অনুরোদ করছি ।
আমার ও আপনার নৈতিক দায়িত্ব হলো : জামায়াত-শিবিরসহ সব ইসলামের নাম ব্যবহারকারী অশুভ ও উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতিবিরোধী-কুসংস্কারাচ্ছন্ন-কুপমন্ডুক শক্তির বিরোদ্ধে রুখে দাড়ানো ।
দিনের লেখা গুলো পড়ে বুঝাগেল, মুসলিমলীগ ও আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি এই তিন দলের মিশ্রনে ,আপনার দল হবে,তাই আমার বিবেক বলে,। তাই না। যেখানে নাচ, গান, সবই থাকবে। এবার লেখার সাথে কিছুটা সংগত হবে। দেশের বাহিরে থাকি, তাই বাংলা ভুলে যাচ্ছি।
আমরা চাইলেই আরবদের কালচার অনুযায়ী খাবার খেতে পারবো না ।
আমাদের নিজস্ব কালচার রয়েছে । আমরা চাইলেই আরব কালচার অনুসরণ করে আরব হতে পারবো না ।
আর আমরা হিন্দুও হতে পারবো না বাঙ্গালী সংস্কৃতি অনুসরণ করে । ইদানিং অনেকেই বলে মুসলিমরা বাঙ্গালী নয় । বাঙ্গালীত্ব ও হিন্দুত্ব এক জিনিস । এই কথা ভুল ।
আমার দল কীভাবে হবে বা আমি আদৌও দল করবো কি না - সেই ব্যাপারে আমি এখন ভাবছি না ।
নাচ-গান-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি আমাদের জীবনের অংশই নয় - এগুলো আমাদের মূলধন । যদি কেহ নাচ-গান ভাল জানে, তাহলে সে নাচ-গানকে ব্যবহার করে নিজেকে ভালভাবে উপস্হাপন করতে পারে ও অনেক অর্থ রোজগার করতে পারে ।
আধুনিক-বিজ্ঞামনস্ক-সংস্কৃতবান-ধার্মিক লোক হওয়ার জন্য নাচ-গান-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করা বা এগুলোর সমোজদার বা পৃষ্ঠপোষক হওয়া আবশ্যক ।
অথচ
তার ছেলেদের এভাবে গুনকিত্তন করলেন ।
কোথাও বাংলাদেশবিরোধী তৎপড়তার সাথে যুক্ত বা যুক্ত ছিল" " প্রমান করলেন না কেন?
কারো বিষয়ে অভিযোগ উৎথাপন করার আগে তাদের পরিচিতি তুলে ধরতে হয় । আমি সেই কাজটাই করেছি ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন