মুসলিম মেয়েদের হিন্দু ও শাহবাগী ছেলেদের ধর্ষণ হতে রক্ষা পাবার কিছু কার্যকর কৌশল (১ম পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৭ মে, ২০১৫, ০৫:২৩:৩৩ বিকাল





ঢাকার প্রিপারেটরী গার্লস স্কুলের ধর্ষক গোপাল




ভিকারুন্নেসা স্কুলের ধর্ষক পরিমল ছাত্রীধর

পটভুমি :

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু ও শাহবাগী নাস্তিক সম্প্রদায়ভুক্ত ছেলেদের কিছু অংশ মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণ করে যাচ্ছে । গণমাধ্যম হিন্দু ও শাহবাগীদের দখলে থাকায় মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণের খবর সাধারণ মুসলিমরা জানতে পারছেন না ।

পত্রিকায় মেয়েদের ধর্ষনের খবর না আসলেও যে মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে না – এই বিষয়টি চাপা থাকছে না অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে ।

উপরন্তু ধর্ষকদের ও হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকার বিভিন্নভাবে আশ্রয় ও প্রশয় দিয়ে যাচ্ছে ।

কয়েক মাস আগে নিকাবী মেয়েকে ধর্ষন করার একটা ভিডিও আমার হস্তগত হয় । নিকাব লোক এমন পোষাক যা দিয়ে মুখ ডাকা হয় । সাধারণত নিকাব বোরকা ও ওড়নার সাথে পড়া হয় ।

আমি নিকাবী মেয়েটার ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে ভাবতে লাগলাম ।

( তার আগে বলে নেই । আমাকে আমার সম্পর্কে ধারণা করে বসতে পারেন, ইসলামবিষয়ক লেখক সে কি না ধর্ষণের ভিডিও উপভোগ করে । না জানি লোকটা কত খারাপ ? তার উত্তরে বলে নিচ্ছি, কোন বিষয়ের গভীরে পৌছতে গেলে সব বিষয়ের উপরই স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে । এজন্য প্রয়োজনে লেখকে ধর্ষিতার সাথে কথা বলতে হবে । কারণ যারা এর শিকার তাদের সাথে কথা না বলে কোন কিছু লেখা সঠিক হবে না । )

ভিডিওটা ভালভাবে লক্ষ্য করলাম : ধর্ষককে কাবু করা বা দুর্বল করার ক্ষেত্রে কোন ব্যবস্হাই ধর্ষিতা নিচ্ছিলো না । বার বার আল্লাহর সাহায্য কামনা করছিলো । আমি এই বিষয় অভিজ্ঞদের সাথে কথা বল্লাম ।

তারা বল্লেন যে সেই সময়ে কোন কৌশলই কাজে আসে না । আমি তাদের সাথে একমত হলাম না । আমি আইনের বই নিয়ে নাড়াচাড়া করলাম । হতাশ হলাম । কারণ ধর্ষিতা অনেক কারণে ন্যায্য বিচার হতে বঞ্চিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে এবং আইনের মারপ্যাচে ধর্ষিতাকে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে ।

আমি অনেক দিন ধরে ভাবতে লাগলাম : কীভাবে মেয়েরা চরম খারাপ অবস্হায় পড়েও নিজেদের সুরক্ষা করতে পারে ? এই বিষয়ে অনেক পড়াশোনা করলাম । এই বিষয়ে বেশ কিছু নিবন্ধও লেখলাম । কিন্তু সহজ সমাধান পাচ্ছিলাম না ।

কয়েক বছর আগে "টিভি ফাইভ মনডে" চ্যানেলে এক মুভিতে : “কম বষস্ক এক ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারী (দেখতে বিশ্বজিতকে রামদা দিয়ে কোপানো ছেলেটার মতো । তবে তার খোচা খোচা দাড়ি আছে ) । এক মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে । তাকে সাহায্য করে সম বয়সী এক মহিলা এবং আরেকটা তার বয়সী পুরুষ লোক । নায়ককে দেখে ধর্ষণ প্রচেষ্টাকারীর এই দুই সাহায্যকারী পালিয়ে গেলো এবং নায়ক ধর্ষণের চেষ্টাকারী মহিলাকে সাহায্য করতে এগিয়ে গেলো । হঠাৎ নায়কের উপর ধর্ষনের চেষ্টাকারী ঝাপিয়ে পড়লো ।

কিন্তু ধর্ষণের চেষ্টাকারী লোকটি হঠাৎ নায়ককে ধারাল এক বিশেষ অস্ত্র (যা শুধু মাত্র আংটির মধ্যেই লুকিয়ে রাখা সম্ভব) দিয়ে হাতে আঘাত করে । তাতে নায়কের ডান হাতের নিচের অংশে লম্বাভাবে কেটে যায় ।( বিষয়টি একটা ভিডিওর মাধ্যমে উপস্হাপন করলে বিষয়টি সবার স্পষ্ট হবে । তবে এই মুহুর্তে আমার কাছে ভিডিওটি নেই । সুতরাং বিষয়টি ভিডিও-র মাধ্যমে উপস্হাপন করতে পারছি না । ) নায়ক তার সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধে প্রায় হেরে যাচ্ছিলো ।

কিন্তু এক পর্যায়ে নায়ক এই পেজের বেশ কয়েকটা কৌশল ব্যবহার করে । [ ফেসবুকের এই পেজটার বিষয়বস্তুর সাথে "মেয়েদের-জন্য-আত্মরক্ষা-কৌশল" । http://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales আশা করি এই পেজটা বোনেরা ভিজিট করবেন । ]

পুলিশ হেফাজতে নিকাবী মেয়ে ধর্ষণের ঘটনা :

বাংলাদেশে এমন ঘটনা শোনা যায় । দিনাজপুরে ইয়াসমিন নামক এক মেয়ের ঘটনা আমরা হয়তো জানি । ঘটনাটি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত বিএনপি সরকারের আমলের । তখন জামায়াতীরা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ বন্ধ ছিল । তখন ধর্ষিতা ইয়াসমিনের জন্য জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে মিলে টানা ৩ দিন হরতাল করে ।

কয়েক বছর আগে আদালত পাড়ায় পুলিশ আইনের দারস্হ হওয়া এক মেয়ে ও মা-কে কি করে তাই আমরা জানি । ফেসবুকের কল্যাণে আমরা অনেক ঘটনার সাথে পরিচিত হয়েছি ।

শাহবাগী সম্প্রদায় ও পুলিশ কর্তৃক ধর্ষণ :

ফেসবুকের আরেকটা স্যাটাস হতে জানা যায় :

https://www.facebook.com/photo.php?v=488215021252162

মাওলানা নুরে আলম হামিদী ব্রিটিশ নাগরিক। ডিবি অফিসে কিভাবে চল্লিশটারও বেশি পুলিশ নরপশু একজন হিজাব পরিহিতা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে, তার চাক্ষুষ স্বাক্ষী তিনি।

ভদ্রলোককে বাইশ ফেব্রুয়ারী কাঁটাবন মসজিদ থেকে জুমার পর পুলিশ তাকে পিটিয়ে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে শাহবাগিদের হাতে তুলে দেয়, শাহবাগিরা তাকে যথেচ্ছ পেটায়। বিভিন্ন পত্রিকা ও শাহবাগিরা তাকে গ্রেফতারের ছবি দেখিয়ে প্রচার করে, পাকিস্তানী জঙ্গি গ্রেফতার!

লম্বাচওড়া ও ফর্সা টাইপের হওয়াতে হীনমন্য বাঙালীরা এসব বিশ্বাসও করে অনেকে।

কারাগারে ডাক্তার কুন্ডু তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা করেনি, ফার্মাসিষ্ট প্রাণকৃষ্ণ ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলো।

নুরে আলম হামিদীকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছিলো ডিবি অফিসে।

ওখানে নিজ চোখে দেখা এক বর্বর ঘটনার কথা তিনি বলেছেন এ ভিডিওতে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী তিনি।

তিনি https://www.facebook.com/photo.php?v=488215021252162 ফেসবুকের এই ভিডিওটাতেবল্লেন : এই মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী । আর এই মেয়ে নাকি জামায়াতের অঙ্গ সংগঠণ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হার কর্মী ।

[b]সাতক্ষীরা হতে ফেসবুকে চিঠি আকারে একটা স্যাটাস নজরে পড়ছে প্রায় সবারই । তাতে এক নিকাবী ধর্ষিতা লিখেছেন :


হঠাত করেই আমাদের পাশের বাড়ির চাচা এসে আব্বাকে বলছিলেন, আর্মি আসছে জামাতিদের ধরতে। আব্বা তেমন কোন গুরুত্ব না দিয়ে আলোচনা করতে লাগ্লেন ওই চাচার সাথে। এর কিছুক্ষন পরেই শুনতে পেলাম গুলির শব্দ, চেচামেচি, আল্লাহু আকবর, গাড়ির ইঞ্জিনের শব্দ, মহিলাদের কান্না, কেমন যেন একটা অবস্থা! আমরা প্রথমে ভেবেছি কোথাও ডাকাত পরেছে কিংবা আগুন লেগেছে। চাচা আর আব্বার সাথে আমার ১২ বছরের ভাইটিও এক্সাইটেড হয়ে গিয়ে দৌড়ে উঠান ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে গেল। কিন্তু আমাদের কার্নিশ থেকে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষ জন এদিক সেদিক পালাচ্ছে। আমরা মেয়েরা ভয়ে দরজা লাগিয়ে দিলাম। তখনও জানিনা ব্যাপারটি কি। সাথে সাথেই দরজায় টোকা পড়তে লাগলো, না খোলাতে এবার ধাম ধাম করে বারি শুরু হল! আমি আর আমার সন্তান সম্ভবা ছোট খালা খাটের নিচে ঢুকে গেলাম। আল্লাহ তায়ালা মনে হয় মেয়েদের সিক্সথ সেন্স অনেক স্ট্রং করে পাঠান। আমার ৫ বছরের খালাতো ভাই ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করল। আম্মা ওকে ধরে দাঁড়িয়ে আছেন, কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায়। আমাদের কাঠের দরজা ভাঙতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি ওদের।

আমি চোখ বন্ধ করেছিলাম না কি হয়েছিলো তা আর আমার মনে নেই। শুধু ভাংচুরের শব্দ, কান্না, আর আমার মায়ের কণ্ঠ ভেসে আসছিলো, বাবারে পায়ে ধরি , বাবা পায়ে ধরি, বাবা আমরা নিরীহ, এইসব কথার আর্তনাদ। খালাতো ভাইটাকে ধাক্কা মেরে দেয়ালে ঠেলে দেয়ার পর আর কোন সাড়া শব্দ নেই ওর। একজনের কণ্ঠ শুনলাম, ধুর ব্যাডা কি করস? দশ বারোজন লোক কারও গায়েই ইউনিফর্ম ছিলোনা। ওরা খাটের তোষক উল্টে ফেলে দেয়। খালা আর আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠি। ওরা এবার খাটের নিচে উঁকি দিয়ে দেখে আমরা! খালাটা ইতিমধ্যে অজ্ঞ্যান হয়ে পড়ে আছেন। আমাকে ওরা টেনে বের করে আমার কামিজ ধরে। আমি বলি, প্লিজ ভাইয়া। আপনারা আমার ধর্মের ভাই লাগেন, ভাইয়া প্লিজ। একজন বলে, "এল্লা পিলিজ *দাইতাসে। খা** মা** বান্ধ।" এই কথা বলেই চড় লাগিয়ে দেয়, আমার মা দৌড়ে আসেন, তাকে চুলের মুঠি ধরে চড় থাপ্পড় দেয়া হয়। বাজে গালি দেয়া হয়। আমি ওদের চড় খেয়ে দরজার কাছে ছিটকে পড়ি। সাথে সাথেই এক দৌড় দিয়ে বাইরে চলে আসি। কে আমার পেছনে আসছে নাকি আমি কোথায় যাচ্ছি তা বুঝতে পারিনি, কেবল একটা কথাই মনে ছিল, দৌড়াতে হবে। আমি একটা গয়াল ঘরের পেছনে আশ্রয় নেই। চার ঘণ্টা আমি ওখানেই ছিলাম। পড়ে আস্তে আস্তে বের হয়ে আসি সব কিছু ঠান্ডা হয়ে এলে। আমাদের বাড়ি আমি চিনতে পারছিলামনা। কাঠের স্তূপ হয়ে পড়ে আছে। মহিলারা বিলাপ করে কাঁদছে। বাবা তখনও বাসায় ফেরেনি। আমার মাকে জড়ো করে অনেক মহিলারা দাঁড়ানো। মা নিথর বসে আছেন খালার লাশের সামনে। রক্তে খালার শাড়ী ভিজে চুপচুপা। একটা বাড়িতেও কোন পুরুষ ছিলোনা, কেউ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়নি খালাকে, সবার বাড়িই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছে সব কিছু। সব কিছু। অন্তত পক্ষে ৯ জন মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি কাজের মেয়ে সহ একি পরিবারের তিনজন আছে এবং তারা ধর্ষিত হয়েছে পুলিশ দ্বারা। আমাদের বাসায় যারা এসেছিলো তারা পুলিশ ছিলোনা। খাটো ও বখাটে ধাঁচের ছিল।

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=201402763393177&set=a.141440926056028.1073741828.140693046130816&type=1

এসব ঘটনা সম্পর্কে আমার অভিমত :

বাংলাদেশের নিষ্ঠাবান মুসলিম নারীরা কি মানব বন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ বা প্রতিবাদ মিছিল বা স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে পারেন না ? এগুলো কি মেয়েদের জন্য নাজায়েজ কাজ ?

তাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ কি ? তারা কোন বিষয়ে আমাদের সমাজকে সচেতন করছেন ? তারা দেশের জন্যই বা কি অবদান রেখেছেন ?

আমি আবারও বলছি অন্যায়কে পশ্রয় দিচ্ছেন : শ্লীলতাহানির খবর প্রচারিত হলে তার জীবনকে আরো দূর্বিসহ করে তোলা হবে । আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ সা. -এর যুগে মেয়ে নিজে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন । হাদিসগ্রন্হগুলোতে তার বিবরণ আছে ।

মেয়েদের খারাপ পরিস্থিতি, ধর্ষণ এড়ানো এবং বিপদে পড়লে আত্নরক্ষার জন্য কিছু টিপস :

* ব্যাগে গুঁড়ো মরিচ বা পিপার স্প্রে রাখবেন

* নির্জন রাস্তায় সন্ধ্যা/রাতে হাঁটার সময় কানে হেডফোন লাগাবেন না বা মোবাইলে নেট চালাতে চালাতে চলবেন না। এতে কেও আপনাকে দেখলে ভাববে যে আপনি রিল্যাক্সড,তাই ঝোপ বুঝে আক্রমণ করতে পারে।

* কেও পিছু নিয়েছে বলে মনে হলে ঝটপট মোবাইল বের করে কারো সাথে কথা বলা শুরু করুন,টাকা বা নেটউয়ার্ক না থাকলে কথা বলার ভান করুন। চেষ্টা করবেন সিরিয়াস মুডে সিনিয়র কারো সাথে কথা বলছেন এমন ভান করতে। আক্রমণকারী সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে কিছু করেনা যেখানে সাক্ষী থাকে।

* পিছু নিয়েছে এমন সময় মোবাইলে কথা বললে বা কথা বলার ভান করলে এমনভাবে বলবেন যেন আপনি কিছুক্ষণের মধ্যেই কারো সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট করে '৫ মিনিট' বা '১০ মিনিট' বলবেন না। এভাবে বলবেন ''এইতো এসে গিয়েছি''।

* অন্ধকারে একা পথ চলার সময় ঝোপ,কবরস্থান,গ্যারেজ,বন্ধ মার্কেট,বন্ধ বাজার,বন্ধ স্টেশন এজাতীয় জায়গা এড়িয়ে চলবেন। অর্থাৎ যেসব জায়গায় উঁৎ পেতে থাকা ও সাধারণের চোখের আড়ালে থাকা যায় এমন জায়গা দিয়ে যাবেন না।

* আপনাকে যদি রাতের বেলা চলাচল করতে হয় তাহলে পেটিকোট,স্কার্ট জাতীয় কাপড় পরবেন না যা আপনাকে দৌড়াতে বাধার সৃষ্টি করে। স্যালোয়ার জাতীয় পোষাক পরা যেতে পারে।

* কোমরে ইলাস্টিক,রাবার দেয়া স্যালোয়ার/পাজামা পরবেন না যা জোর করে সহজে টেনে খুলা যায়।

* রেডিমেড প্যান্ট পরলে বেল্ট পরতে পারেন,বিপদের সময় বেল্ট অস্ত্র হিসেবে কাজে আসতে পারে।

* অন্ধকারে কেও পিছু নিয়েছে এবং অবশ্যই বিপদে পড়তে যাচ্ছেন মনে হলে আচমকা তীব্র চিৎকার করবেন।

* বাসায় পোষা কুকুর থাকলে সাথে নিতে পারেন সবখানে।

* লম্বা দড়িওয়ালা ভ্যানিটি ব্যাগ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাছাড়া ভ্যানিটি ব্যাগ দ্বারা আক্রমণকারীর গলায় ফাঁস দিয়ে বিপাকে ফেলা যেতে পারে।

* নির্জন অন্ধকারে হাঁটার সময় মাইক্রোবাস জাতীয় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহন এড়িয়ে চলুন।

* কোন এলাকায় প্রতিদিন যদি কেও বা কয়েকজন উত্যক্ত বা অনুসরণ করছে বলে মনে হয়,তাহলে অবশ্যই কাওকে জানানো উচিৎ…প্রয়োজনে জিডি করা যেতে পারে।

* রাতের বেলা সিএনজির চেয়ে রিকশায় ভ্রমণ করা উত্তম। আর রিকশাওয়ালা যদি অপরিচিত রাস্তা দিয়ে যাবার চেষ্টা করে তাহলে জোরে কথা বলে নির্দেশ দিন মূল সড়ক দিয়ে যেতে। ভয় পেয়েছেন এমন দেখাবেন না,দেখাবেন যেন আপনি রেগে গিয়েছেন।

* যদি একা সিএনজি নেন তাহলে ড্রাইভার দেখে এমনভাবে সিএনজির নাম্বারটা চেক করবেন এবং কাওকে মেসেজ করে পাঠিয়ে দেবেন। পরে সিএনজি চলার সময় ড্রাইভারকে শুনিয়ে শুনিয়ে তাকে এভাবে বলা যেতে পারে ''আপনাকে একটা সিএনজির নাম্বার দিয়েছি,আমি অমুক জায়গা থেকে এই মুহুর্তে উঠলাম''

* একা অন্ধকারে হাঁটার সময় আত্নবিশ্বাসের সাথে হাঁটবেন,এমন ভাব করবেন না যাতে আপনাকে দেখে কেও ভাবে যে আপনি আতঙ্কিত অথবা ভীত।

* রাতে চলাফেরা নিয়মিত করলে যথাসম্ভব সাজসজ্জা ও অলঙ্কার বর্জন করুন।

* পাবলিক বাসে লোক কম হলে,কয়েকজন লোক; সন্দেহজনক মনে হলে উঠবেন না।

* সবসময় এক রাস্তা দিয়ে যাতায়াত না করে ভিন্ন রাস্তা দিয়ে চলুন

* কেও আপনার পিছু নিলে তার সাথে আই কন্ট্যাক্ট করুন। চোখে চোখ রাখলে অনেক ক্ষেত্রে আক্রমণকারী পিছু হটে।

যদি আক্রমণের শিকার হন :

* অণ্ডকোষ বরাবর লাথি দেবার চেষ্টা করুন।

* চোখে আঙ্গুল ঢুকানোর বা মরিচের গুঁড়ো মারার চেষ্টা করুন।

* যত সম্ভব অপরাধীর শরীরে চিণ্হ রেখে দিন যাতে তাকে পরে শণাক্ত করা সহজ হয়। যেমন চোখ গেলে দেয়া,গালে কামড়,ঘুষি মেরে নাক থেঁতলে দেয়া ইত্যাদি

* আক্রমণ করতে আসলে যেভাবে পারুন বাঁচার চেষ্টা করুন,যদি এমন ও হয় যে বাঁচার চেষ্টা করলে আহত হবেন তাও…কেননা ধর্ষক সাক্ষী বিলুপ্ত করতে আপনাকে মেরে ফেলতেও পারে।

* আপনার চুলে চপস্টিক,ক্লিপ বা ব্যাগে ছুঁচালো কিছু থাকলে তা দিয়ে আক্রমণকারীর তলপেট,গোপনাঙ্গ,চোখ ইত্যাদি সংবেদনশীল অঙ্গে আঘাত করুন।

* কখনো পালিয়ে কোন বন্ধ রুম,বাথরুম,গাড়ির দিকে যাবেন না…খোলা রাস্তায় থাকার চেষ্টা করবেন।

* পেছন থেকে জাপটে ধরলে কনুই দিয়ে তলপেটে গুঁতো দিন,পেছনে লাথি দিয়ে গোপনাঙ্গে লাগানোর চেষ্টা করুন।

* যদি কয়েকজন মিলে আপনাকে ধরে ফেলে তাহলে তাদেরকে আপনার কোন গোপন/ছোঁয়াছে রোগ আছে,যেমন ঘা,গনোরিয়া,হাঁপানি,হুপিং কফ ইত্যাদির কথা বলতে পারেন। হয়তো তারা পিছু হটবে ভাগ্য ভালো হলে।

* গোপনাঙ্গ ধরে হেঁচকা টান দেয়া যেতে পারে। শক্ত অবস্থায় এমনটি করলে গোড়া থেকে আলগা হয়ে যায় স্থায়ীভাবে।

আমি ধর্ষিতাদের উদ্দেশ্য করে বলছি :

বোন ! উঠে দাড়াও । জোড় গলায় বলো । আমি ধর্ষিতা । আমাকে অমুক তুমুকে ধর্ষণ করেছে । তুমি নিজেই এর প্রতিকার খুজে বের করো ।

বোনেরা মনে রাখবেন :

১.প্রতি ২ মিনিটে ১ টা মেয়ে সম্ভ্রম হারায় ।

২.সম্ভ্রম হারানোর ফল খুবই খারাপ । আপনি মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়বেন । পোস্ট স্ট্রোমাটিক স্টেস ডিসঅডার ছাড়াও সেক্সচুয়াল্লি ট্রান্সমিডেট ডিজিজ ছাড়াও আপনার মনে পুরুষদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা বদ্ধমূল হয়ে যাবে ।

৩.৭৫% সম্ভ্রমহারা মেয়ের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয় ।

৪.৪৫ % ধর্ষকের আছে মারাত্মক সব রোগ । আপনি তাদের দ্বারা সম্ভ্রম হারালে সেসব রোগে আপনি আক্রান্ত হবেন ।

৫.৬২ % সম্ভ্রমহানীর ঘটনা কখনোই সম্ভবহারারা সারা জীবন কারো কাছেই প্রকাশ করেন না ।

সুতরাং ধর্ষণ হতে বাঁচুন । আত্মরক্ষা কৌশল শিখুন । কারণ : বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত

Women who learn self-defense have higher self-esteem.

তাহলে Stand and speak out.

আমরা আপনাদের সাথে আছি । আজই আমাদের এই পেজে লাইক করুন এবং আমাদের সাথেই থাকুন ।

উপসংহার :

ধর্ষণের স্বীকার নারীর প্রধান কর্তব্য হলো : তার ধর্ষণের ঘটনাকে যথাসম্ভব পরিচিত কারো কাছে প্রকাশ করা এবং যত দ্রুত সম্ভব আইনের দ্বারস্হ হওয়া । ধর্ষণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য আত্মরক্ষা কৌশল আয়ত্ব করার সাথে সাথে নিজেকে সদা সতর্ক অবস্হায় রাখতে হবে । আর ধর্ষণের শিকার হয়ে গেলে নিজেকে কোন ভাবে গুটিয়ে রাখা যাবে না । প্রতিটি মেয়েরই উচিত বাংলাদেশের নারি নির্যাতন ও মুসলিম পারিবারিক আইনের সাথে সম্পৃত্ত আইনের ধারা ও উপধারা সম্পর্কে ধারণা রাখা । কারণ আইন ও সচেতনতাই একটা মেয়েকে ক্যারিয়ারিস্ট হয়ে উঠতে সাহায্য করে ।

বিষয়: বিবিধ

২৫৮২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

320631
১৭ মে ২০১৫ রাত ০৯:৫০
হতভাগা লিখেছেন :





আপুদের জন্য আমারও কিছু সাজেশন ছিল ।

আপুরা এরকম মুডে চললে কোন পরিমল , গোপাল , পান্না , মানিক তো কাছে আসা দূরে থাক এলাকা থেকেই জান নিয়ে পালাবে ।
১৭ মে ২০১৫ রাত ১০:০৭
261722
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । আমি পরের পর্বগুলোতে চিত্রসহ ধর্ষণ প্রতিরোধ করার কৌশল প্রদর্শন করবো ইনশাআল্লাহ ।

আপনার প্রথম ছবিটাতে সম্ভবত ফিলিস্তিন সেনাবাহিনীর মহিলা সদস্যদের ছবি রয়েছে ।

দ্বিতীয় ছবিটা আপনি কোথার থেকে নিয়েছেন ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File