জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা , গুরুত্ব ও তাৎপর্য (১ম পর্ব : পুন:প্রকাশ)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৭ মে, ২০১৫, ০২:১১:১৩ রাত
কৌফিয়ত :
এই লেখাটা বেশ কয়েক বার এই সাইটে প্রকাশ করেছিলাম । কিন্তু এই লেখাটার গুত্বের বিচারে আরো অনেক কথা বাকী থেকে যায় । যেমন :
১.জামায়াত-শিবিরের লোকরা কখনোই বা খুব কমই শবে মেরাজ-শবে বরাত পালন করা – মিলাদ মাহফিল করা অনুষ্ঠান করে থাকে । উপরুন্ত যেসব মুসলিম এসব কাজ করে থাকে তাদের আধা হিন্দু বা মুশরিক বা বিদাতী বলে থাকে । এমন কি এসব যারা পালন করে তাদের অনেককে তারা নির্মমভাবে হত্যাও করে থাকে । এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ইনশাআল্লাহ পরবর্তী পর্বগুলোতে দেওয়া হবে ।
২.তরুণ সমাজকে ইসলামী বিপ্লব কায়েমের কথা বলে বোমাবাজি ও হল দখল-বিশ্ববিদ্যালয় দখল-সন্ত্রাসের তালিম দিয়ে থাকে । আমার এই লেখায় এসব বিষয় অনুপস্হিত ছিল । এই ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য , অনেক দুর্লভ ভিডিও ও ছবিও ইনশাআল্লাহ পরবর্তী পর্বগুলোতে দেওয়া হবে ।
৩.উপরন্তু সারা বিশ্বের নির্যাতিত-নিপীড়িত মুসলিম তো দুরে থাক বাংলাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে জামায়াত-শিবির কখনোই পাশে দাড়ায় না । এজন্য ভারতের জামায়াতে ইসলামী মুসলিমদের কাছে একটা গালি স্বরুপ শব্দ । তবে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠণ sio এবং simi পশ্চিম বঙ্গের মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয় । আহমেদ হাসান ইমরান পশ্চিম বঙ্গ সরকারের মন্ত্রীই নয় প্রভাবশালী মুসলিম নেতা । তিনি ব্যক্তিগতভাবে মওদুদী দর্শন বিশ্বাস করেন না । এই দুই সংগঠণের নেতারা ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী মতবাদে বিশ্বাসী নয় ।
৪. নাস্তিক-শাহবাগী-মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু ও উপজাতী বাংলাদেশের মুসলিমদের প্রকাশ্য শত্রু । তাদের ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলিম অস্তিত্ববিনাসী কাজ খুব সহজে জনগন বুঝতে পারে ।
অপর দিকে ওহাবী-আহলে হাদিস-মওদুদী (জামায়াত-শিবির ) – এদের অশুভ তৎপড়তা জনগণ সহজে বুঝতে পারে না । আমারই বুঝতে সময় লেগেছে ১৩ বছর । আর তাদের বোঝার জন্য আমাকে তাদের সব সাহিত্য পড়তে হয়েছে এবং তাদের সাথে অন্তরঙ্গভাবে মিশতে হয়েছে । আমাকো তাদের শিড়া-উপশিরা-মন-মগজ-মস্তিস্কে প্রবেশ করতে হয়েছে । আল্লাহ আমাকে ওহাবী-আহলে হাদিস-মওদুদী (জামায়াত-শিবির ) অশুভ কার্যক্রম বোঝার ক্ষমতা দেওয়ায় আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ (আলহামদুলিল্লাহ) ।
এই ধারাবাহিক লেখার মাধ্যমে আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । আর এজন্য যদি আমাকে জামায়াত-শিবিরের লোকদের হুমকি - ধমকিকে আমি বিন্দু মাত্র পরোয়া করবো না । কারণ আমি শুধুমাত্র আল্লাহকেই ভয় করি এবং তাকেই আমি রক্ষাকর্তা মনে করি ।
৫. সৌদি আরবের রাজতাস্ত্রিক শাসকদের অন্ধ সমর্থক জামায়াত-শিবিরের লোকরা । আর তারা বাংলাদেশে সৌদি আরবের ধ্যান-ধারণা ও সংস্কৃতি আমদানী করছে । এর ফলে আমাদের দেশের গৌরবোজ্জ্বল সংস্কৃতি ধ্বংস হচ্ছে ।
আমাদের মনে রাখতে হবে, ভারতবর্ষে ওহাবী মতবাদ ব্রিটিশ আমলে প্রবেশ করেছে আর বাংলাদেশে মওদুদী মতবাদ ১৯৪১ সালে প্রবেশ করে । বাংলাদেশের জনসংখ্যার বড় অংশ কম করে হলেও ৫ % মওদুদী মতবাদে দীক্ষা নিয়েছে । তাদের কার্যক্রম আমাদের দেশের জন্যই নয়, ইসলামের জন্য ক্ষতিকর । তারা কীভাবে আমাদের দেশের ও ইসলাম ধর্মের ক্ষতি করছে তা আমি এই ধারাবাহিক লেখায় তুলে ধরবো ।
পটভুমি :
https://www.youtube.com/watch?v=SWgnlR0E2ww
জামায়াত-শিবিরের লোকরা সৌদি আরবের সন্ত্রাসী ইবনে তাইমিয়া ও মুহাম্মদ ইবনে ওয়াহ্হাবের বংশধর এবং আল্লাহর নবী সা-এর দুষমণ - এই কথা এই ভিডিওটাতে বলা আছে । এই ভিডিওটা ভালভাবে দেখলে সোয়াব হবে ।
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪ শুক্রবার প্রথম আলোতে জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার উপর একটা লেখা বের হয় ।
( ট্রাইব্যুনাল আইনে চতুর্থ সংশোধনী আসছে ,দোষী হলে জামায়াত নিষিদ্ধ - মোশতাক আহমেদ , সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৪ http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/330610/%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7) এই লেখাটা নিয়ে বন্ধুমহলে আলোচনা হচ্ছিলো । তার প্রেক্ষিতে সবাই যা বল্লো তা সন্নিবেশিত করায় এই পোস্ট সৃষ্টি হলো । আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে ।
সূচনা :
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল যা ১৯৪১সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । বর্তমানে সাইদীর ফাঁসির রায় রদ হওয়ার পর অনেকেই আওয়ামী লীগের সাথে জামায়াতের গোপন আঁতাত গড়ে ওঠায় সংকিত ও চিন্তিত । কারণ জাময়াতকে অনেকেই ( বিশেষত বিএনপির সমর্থকদের বড় অংশ ) মনে করেন, জামায়াত একটি অবিশ্বস্হ দল । বিভিন্ন সময় স্বার্থের কারণে বড় বড় রাজনৈতিক দলের কাঁধে জামায়াত সাওয়ার হয় । এবার হবে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে । যেমন ১৯৯৫-৯৬ সালে কেয়ারটেকার সরকারের নামে জামায়াত আওয়ামী লীগের সাথে একাত্ম হয়ে দেশে নাশকতামূলক কাজ করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে স্হবির করে ফেলেছিলো । তাদের অভিমত, “জামায়াত ১০০ টি নির্বাচনী আসনের প্রতিশ্রুতি পেলেই বিএনপি-র সাথে আন্দোলন পরিচালনা করবে । কিন্তু বিএনপি-র হাইকমান্ড এই ব্যাপারে কোন ছাড় দিবে না । “
অপর দিকে আওয়ামী লীগ জামায়াত নিষিদ্ধের পাশাপাশি দেশ হতে ইসলামবিরোধী অনেক কার্যক্রম বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে ।
আমরা এই পোস্টে দেখবে জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারটা কতটা বাস্তব ও যুক্তিযুক্ত আর আওয়ামী লীগ ইসলামবিরোধী কার্যক্রম বাস্তব রূপ দান করতে কতটা সফল হবে তা তুলে ধরবো ।
আওয়ামী লীগের জামায়াত নিষিদ্ধ করার তৎপড়তার ধরণ :
১.২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ ও সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মওলানা জিয়াউল হাসানের জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিট আবেদনটি পুনরুজ্জীবিত করেছেন। বর্তমানে এ রিটের চূড়ান্ত শুনানি চলছে আদালতে।
http://www.newsevent24.com/2013/04/16/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6/
২. আইনি প্রক্রিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে আদালতে রিট করা হয়েছে।
http://www.dainikamadershomoy.com/index.php/today-s-news/first-page/item/10981-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87.html
এব্যাপারে আইন প্রতিমন্ত্রীর অভিমত :
জামায়াত নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। যথাযথ আইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
http://www.gonojagoronmoncho.com/2013-03-23-14-37-05/359-2013-04-15-19-32-12.html
জামায়াত নিষিদ্ধ হলে জামায়াত কি করবে ? :
১.নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াতে ইসলামী আইনি লড়াইয়ে যাবে। তারা নিষেধাজ্ঞা চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে যাবে হাইকোর্টে। সেখানে সন্তোষজনক রায় না পেলে সুপ্রিম কোর্টে যাবে।
http://www.mzamin.com/details.php?nid=NDU5MDg=&ty=MA==&s=MTk=&c=MQ==
২. জামায়াত নিষিদ্ধ হলে নতুন নামে জামায়াতের জন্ম হতে পারে। অথবা জামায়াত কর্মীরা যে দলেই ঢুকবে সেটিকেই জামায়াতে পরিণত করবে।
http://www.newsevent24.com/2013/04/16/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6/
৩. জামায়াত সন্ত্রাসের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে । জামায়াত জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, ইসলামিক স্টেট, আল কায়দার সাথে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে । তার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে । ফেসবুক ও ব্লগ সাইটে ইদানিং ইসলামিক স্টেট-এর কথিত খলিফা বাগদাদির হয়ে জামায়াত-শিবিরের লোকরা জনমত গঠণ করে যাচ্ছে ।
যেসব কারণে জামায়াত নিষিদ্ধ হবে :
১.আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল যুগের সূচনা করলেও এর সকল প্রকার সুবিধা নিচ্ছে জামায়াত শিবির। জামায়াত শিবিরের তথ্য প্রযুক্তি আন্দোলনের কাছে সরকার চরমভাবে মার খেয়েছে। বাঁশের কেল্লাকে একবার বন্ধ করার কারণেই এখন তারা দেশে-বিদেশে শত শত বাঁশের কেল্লা সৃষ্টি করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। জামায়াতে শিবিরের লোকরা অসংখ্য ওয়েব সাইট , ব্লগ সাইট , ফেসবুক পেজ পরিচালনা করে তাদের মতবাদ প্রচার করছে ।
( ইসলামের নাম ব্যবহার করে যারা সন্ত্রাস করে তাদের ইসলামী সন্ত্রাসী বলা হয় । ইসলামের সন্ত্রাসবাদের স্হান নেই । প্রচলিত বাংলায় ইসলামী সন্ত্রাসকে জঙ্গীবাদ বলা হয় । মূলত জঙ্গীবাদ সব ধর্মের লোকদের মধ্যে আছে । এই শব্দটা শুধুমাত্র ইসলামী সন্তাসীদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা ঠিক নয় ।
জঙ্গী শব্দটা উর্দূ জঙ্গ শব্দ হতে এসেছে । এর অর্থ যুদ্ধ । ইসলামী সন্ত্রাসীদের অভিমত, “আমরা ইসলামের সম্মান ও বিস্তৃতির জন্য লড়াই করছি । আমাদের এ লড়াইকে কুরআনে জিহাদ বলে অভিহি করা হয়েছে ।” এই উক্তিটি জসীম উদ্দীন রহমানীর । )
২. দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াত-শিবির ও কথিত ইসলামী দলগুলো কাজ করে যাচ্ছে । ইদানিং ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়দার নতুন শাখা বিস্তারের ফলে কোমলমতি ছেলেদের এবং নিকাব পড়া ও বোরকা পড়া মেয়েদের অকার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে । তারা ফেসবুক সহ বিভিন্ন মাধ্যমে কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের সন্ত্রাস করার জন্য আহবান করছে । এতে তাদের ভবিষত ক্যারিয়ার নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে । আর এজন্য অভিভাবক মহল চিন্তিত ।
৩. আওয়ামী লীগের লোকদের মতে, ইসলামী দলগুলো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী । সুতরাং অসাম্প্রাদায়িক ও ধর্মহীন বা ধর্মনিরোপেক্ষ প্রগতিশীল রাষ্ট্র গঠণের স্বার্থে সব ইসলামী দল-সহ সব ধর্মের রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ হওয়া সময়ের দাবি । এই কথা ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসঙ্গের ভাষনের প্রধান উপজীব্য বিষয় হিসেবে ছিলো । তিনি বলেছেন যে তিনি ধর্মভিত্ত্বিক রাজনীতি ও ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করছেন এবং তার সরকার এই নীতিতে প্ররিচালিত হচ্ছে ।
৪.জামায়াতে ইসলামীসহ সব ইসলামী রাজনৈতিক দল ধর্মীয় লেবাসে ধর্ম ব্যবসায়ীদের দিয়ে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
http://www.dainikamadershomoy.com/index.php/today-s-news/first-page/item/10981-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87.html
৫. গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পরই কিছু ব্লগার কাদের মোল্লার ফাঁসি ও জামায়াত নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয়। এরপর সরকারের প্রতি সহানুভূতিশীল বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন এসে তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
দলের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের জের ধরে পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়ে সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও মহাজোটের নেতারা জামায়াত-নিষিদ্ধের জোরালো দাবি তোলে। এরপর সরকার আসামি পক্ষের মতো রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সমান সুযোগ রেখে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে। এ সময় ব্যক্তির পাশাপাশি অভিযুক্ত দলের বিচারের বিষয়টিও যোগ করে।
http://www.newsevent24.com/2013/04/16/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B9%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%A6/
জামাত নিষিদ্ধ হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির যেসব লাভ হবে :
১. জামায়াত নিষিদ্ধ হলে এই দলটি আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে, তখন এরা আর জনসমাবেশ করতে পারবে না। পারবে না কোনো মিছিল করতে। তবে দলটি নিষিদ্ধ হলেও যে বিলীন হয়ে যায়নি, তা তারা অবশ্যই জানান দিতে চাইবে। আর যেহেতু তারা কোনো মিছিল-মিটিং করতে পারবে না, তাই তারা তাদের অস্তিত্বের জানান দিতে নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারে।
২. ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হওয়ার পরে তারা কিন্তু বিলীন হয়ে যায়নি; বরং তারা গোপনে তাদের কর্মতত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং অপেক্ষায় ছিল এমন একদিনের জন্য, যেদিন তারা আবার রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বাস্তবে হয়েছিলও তাই। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়াই দেশ স্বাধীনের পর অনেক দল বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। আবার অনেক বড় বড় দল এখনও বেঁচে আছে বেঁচে না থাকার মতো, কিন্তু জামায়াতের বেলায় তা হয়নি; বরং জামায়াত নবগঠিত হওয়ার পরে এমনভাবে সুসংগঠিত হয়েছে, যা কি-না ১৯৭১ সালের আগে পূর্ব পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর যে কার্যক্রম ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।
তাই এখন যদি আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামীকে বন্ধ করেও দেয়, তাহলে তারা সেই ১৯৭১-পরবর্তী অবস্থায় যে পলিসি নিয়েছিল, সেই একই পলিসি আবারও গ্রহণ করতে পারে। আর এই পলিসির মাধ্যমে তারা যদি নতুন করে আবার ফিরে আসে, তাহলে বর্তমানে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার জন্য যে সময়, যে চিন্তা, যে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে তার সবই বিফলে পর্যবসিত হবে।
৩. বর্তমানে জামায়াতে ইসলামী একটি বড় সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী দল। এদের সাংগঠনিক ভিত্তি অনেক মজবুত। তাছাড়া বর্তমানের বাংলাদেশ যুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশ নয়। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ যত পার্সেন্ট ভোট পায়, বঙবন্ধু শেখ মুজিবের আওয়ামী লীগ তার চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেত। তাই জামায়াত নিষিদ্ধ করতে হলে আওয়ামী লীগের এবং জামায়াতে ইসলামীর অতীত এবং বর্তমান সব দিক বিবেচনা করেই তা করতে হবে।
৪. ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে বাংলাদেশের বিখ্যাত সব দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় অনেক গুরুত্বের সঙ্গে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ব্যারোনেস সৈয়দা ওয়ার্সির কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে নিজের এবং তার দেশের স্পষ্ট মনোভাব ছাপা হয়েছে। এখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে, কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করাই সমাধান নয়। সেটিকে রাজনৈতিক এবং আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে। আবার তিনি এ কথাও বলেছেন, যে আদর্শের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক দল মোকাবিলা করা হবে, সে আদর্শ জনগণ ঠিক করবে। ব্যারোনেস সৈয়দা ওয়ার্সি কোনো দলের নাম সরাসরি মুখে না বললেও তিনি যে জামায়াতে ইসলামীর কথা বলেছেন তা পরিষ্কার। এই ধারণা যদি সত্যিই হয়, তাহলে বহির্বিশ্বের দৃষ্টিতে আওয়ামী সরকার হয়ে পড়বে একটা ফ্যাসিবাদী এবং অগণতান্ত্রিক সরকার। এটা অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য এবং সরকারের জন্য মঙ্গলজনক হবে না।
৫. অনেকে বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধ হলে কিছুই হবে না। ধীরে ধীরে তারা নাৎসি বাহিনীর মতো বিলীন হয়ে যাবে। যারা জামায়াতকে নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে এমন চিন্তা করেন যে, সরকার যদি জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করে দেয়, তাহলে তা এডলফ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মতো একদিন ইতিহাসের অতলে হারিয়ে যাবে, তাদের অবশ্যই একটা কথা বুঝতে হবে যে, জামায়াতে ইসলামী আর নাৎসি বাহিনী এক নয়। নাৎসি বাহিনী ছিল একটা জাতীয়তাবাদী দল আর জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির মূল ভিত্তি হলো ধর্ম।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল তার সেনাবাহিনীর কিছু জেনারেলের বিশ্বাসঘাতকতা এবং তার দলীয় কর্মীদের মনোবল ভেঙে যাওয়া। কিন্তু জামায়াতে ইসলামী হলো ধর্মভিত্তিক দল। তারা রাজনীতি করে ধর্মকে সামনে রেখে। তাই তারা দুঃসময়ে চুপ করে থেকে অবশ্যই তাদের সময়মত জ্বলে ওঠার চেষ্টা করবে। ইতিহাসও ওই একই কথা বলে। নাৎসি বাহিনীর বিলীন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে যারা জামায়াতের পরিণতির কথা ভাবেন, তাদের একটি কথা বুঝতে হবে যে, নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে গোটা বিশ্ব ক্ষেপে গিয়েছিল। আমেরিকা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী সব দেশই নাৎসি বাহিনী ধ্বংস করার পেছনে একযোগে কাজ করেছিল। এদের সঙ্গে ছিল জার্মানির বেশিরভাগ মানুষ।
জামায়াত নিষিদ্ধকরণের জন্য কি আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমেরিকা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ জাতিসংঘও এক কাতারে দাঁড়াবে? এরা যদি আওয়ামী লীগের পাশে এসে দাঁড়ায়, তারপরও বাংলাদেশের জনগণের সমর্থন আওয়ামী লীগের অবশ্যই দরকার হবে।
৬. জামায়াতের বর্তমান প্রধান শরিক দল হলো বিএনপি। তাই জামায়াত বন্ধ হয়ে গেলে এরা যদি সবাই কৌশলগত কারণে বিএনপিতে যোগ দেয়, তাহলে তা দিলেও দিতে পারে। আর যদি তা জামায়াত করে, তাহলে তা আওয়ামী লীগের জন্য হবে সবচেয়ে হতাশার।
বর্তমানে জামায়াত আর বিএনপি এক জোট হলেও তারা কিন্তু সব আন্দোলন এক সঙ্গে করে না। সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন বিএনপি করেছে জামায়াত ছাড়া। আবার জামায়াতও অনেক আন্দোলন করেছে বিএনপির সমর্থন ছাড়া।
কিন্তু জামায়াত যদি বিএনপির সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়, তাহলে বর্তমানে জামায়াতের যে শক্তি আছে তা বিএনপির শক্তির সঙ্গে এক হলে দুই দলের যে সম্মিলিত শক্তি হবে তা সামাল দেয়া আওয়ামী লীগের জন্য আগামীতে বড় ধরনের একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
৭. আওয়ামী লীগে একটা গ্রুপ রয়েছে, যারা মুসলমানের সন্তান, তবে নিজেদের মুসলমান পরিচয় দিতে ঘৃণা করে। অন্যান্য ধর্মের প্রতি তাদের কোনো অভিযোগ না থাকলেও এদের যাবতীয় আক্রোশ হলো ইসলাম ধর্মের প্রতি। আওয়ামী লীগের এই গ্রুপটা শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, এরা বাংলাদেশ থেকে সব ইসলামী দলই উঠিয়ে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ যদি এদের মনোবাসনা পূরণের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করে, তাহলে জামায়াত হয়তো এমন এটি দল গঠন করে ফেলবে, যেখানে ইসলামের নাম থাকবে না। তবে তারা তাদের দল পরিচালনা করবে ইসলামী দলের মতো।
জামায়াত নিষিদ্ধ করতে গেলে অবশ্যই কিছু বাধা আসবে। শুধু জামায়াত নয়, যে কোনো দল নিষিদ্ধ করতে গেলেই বড়-ছোট নানা ধরনের বাধাবিপত্তি আসবে, এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে কি জনস্বার্থের বিরোধী কোনো দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যাবে না? দেশের ক্ষতি করে এমন কোনো দল নিষিদ্ধ করতে গেলে যত বাধাই আসুক না কেন সেই দলের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এমন কী উপায় আছে, যার মাধ্যমে জামায়াত নিষিদ্ধ করা সম্ভব!
সম্প্রতি বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী বলেছেন, জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করেই আইনের মাধ্যমে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব। যদি নাশকতার ওপর ভিত্তি করে জামায়াত নিষিদ্ধ হয়, তাহলে শুধু জামায়াত নয়, আওয়ামী লীগও ওই একই আইনে ফেঁসে যাবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তার দলীয় হাজার হাজার কর্মী লগি, লাঠি, বৈঠার নামে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যেভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরেছিল ইউটিউবে সার্চ দিলে তার ভিডিও এখনও দেখা যায়। হাজারখানেক মানুষের সামনে বড়াইগ্রাম উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে যেভাবে আওয়ামী লীগের নেতারা পিটিয়ে পিটিয়ে মেরেছে তার ভিডিওটা যদি আমাদের আইনজীবী এখনও না দেখে থাকেন, তাহলে তার প্রতি আমার বিশেষ অনুরোধ সময় করে একদিন ভিডিওটা দেখে নেবেন। ইউটিউব সার্চ দিয়ে বাংলাদেশে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অন্ততপক্ষে এক হাজার ঘণ্টার ভিডিওচিত্র পাওয়া যাবে। আর ওই ভিডিওচিত্র দেখে দেখে যদি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা শুরু হয়, তাহলে জামায়াতকে নিষিদ্ধের আগে অন্য আরও কিছু দল নিষিদ্ধ জরুরি হয়ে পড়বে। কারণ ইউটিউবের ভিডিওগুলোতে জামায়াতের চেয়েও ওইসব দলেরই বেশি প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। বিএনপি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে না তা কিন্তু নয়। তবে ইউটিউবে বিএনপির সন্ত্রাসের যে পরিমাণে ভিডিও রয়েছে, আওয়ামী লীগ আর জামায়াতের সন্ত্রাসের ভিডিও তার চেয়ে অনেক বেশি রয়েছে। তাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে দল নিষিদ্ধ করা শুরু হলে বিএনপিকে অন্তত প্রথম অথবা দ্বিতীয় দফায় বন্ধ করা যাবে না। তাহলে জামায়াত বন্ধের উপায় কী?
জামায়াত যদি বন্ধই করতে হয়, তাহলে আমাদের আজ থেকে ৪২ বছর আগে চলে যেতে হবে। সেই ৪২ বছর আগে আমরা যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছিলাম, তখন এই জামায়াত আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি এই অভিযোগে জামায়াত বন্ধ করাটাই একমাত্র সহজ উপায়। কিন্তু তারপরও শান্তি নেই। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ শক্তি হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ আর বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে যুগের পর যুগ যে সখ্যের ইতিহাস গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষ দূরে থাক, গোটা পৃথিবীর ছয়শ’ কোটি মানুষ মিলেও সে ইতিহাস কোনো দিনও বিলীন করতে পারবে না।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/04/11/195978#.UX6T91KdlYU
যে কারণে বাংলাদেশের জনগণ অপছন্দ করে :
https://www.youtube.com/watch?v=SWgnlR0E2ww
জামায়াত-শিবিরের লোকরা সৌদি আরবের সন্ত্রাসী ইবনে তাইমিয়া ও মুহাম্মদ ইবনে ওয়াহ্হাবের বংশধর এবং আল্লাহর নবী সা-এর দুষমণ - এই কথা এই ভিডিওটাতে বলা আছে । এই ভিডিওটা ভালভাবে দেখলে সোয়াব হবে ।
১.জামায়াত ইসলামী সিরিয়ার ইমাম ইবনে তাইমিয়া, সৌদি আরবের মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহ্হাবের দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুসরণ করে । তাদের প্রবর্তিত ইসলাম সন্ত্রাসবাদ আর যুদ্ধাংদেহী মনোভাবের উপর প্রতিষ্ঠিত । অপর দিকে বাংলাদেশের মুসলিমরা স্মরণাতীত কাল হতে সুফি মতাদর্শ এবং হানাফি মাযহারের অনুসারী । সুফি মতাদর্শ প্রেম (সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টিজগতকে ভালবাসা ) এবং হাক্কুল ইবাদ (সৃষ্টিজগতের সেবা ) –এর উপর প্রতিষ্ঠিত । বর্তমানে প্রবলতর হওয়া ইরাক ও সিরিয়ার আইএস সন্ত্রাসীরা ওহাবী মতবাদ এবং খারেজী মতবাদে দীক্ষিত ও অনুপ্রাণিত ।
http://www.facebook.com/pages/Anjuman-E-Rahmania-Ahmadia-Sunnia-Trust/121173284657608?ref=stream
সৌদি আরবের শীর্ষ ওহাবী ধর্ম ব্যবসায়ী । জামায়াত ওহাবী মতবাদ ও মওদুদী দর্শন দ্বারা পরিচালিত হয় ।
২.বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলিম হিন্দু হতে ধর্মান্তরিত হওয়ায় তাদের মধ্যে হিন্দুয়ানীভাব রয়েছে । এজন্য প্রায়ই জামায়াতের লোকদের সাথে তাদের সংঘাত হয় বিশেষ করে আহলে হাদিস বা ওহাবী প্রধান এলাকাগুলো ।
ইদানিং হেফাজতে ইসলাম-এর সাথে জামায়াতের লোকরা মিলে চট্টগ্রামের মাজার পুজারীদের সংঘাতে লিপ্ত হয় । উপরন্তু তারা মাজার পুজারীদের প্রধান পুরোহিতদের হত্যার হুমকি দিয়েছে । বর্তমানে মাজার পুজারীদের অন্যতম প্রধান নেতা মাওলানা নুরুল ইসলামী ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করা হয় ।
http://www.facebook.com/BHANDARI.TARIQAH/posts/592819067396206
http://www.facebook.com/BHANDARI.TARIQAH/posts/592494247428688
( জামায়াতের মেয়েদের সৌদী আরবের মেয়েদের মত পোষাক পড়া বাধ্যতামূলক । - মওদুদীর বই পর্দা ও ইসলাম -টাতে মেয়েদের ওহাবী মতবাদ অনুযায়ী ঘরের মধ্যে অবস্হান করা এবং বাহিরে গেলে ওহাবী মত অনুযায়ী জিলবাব বা আবআয়া বা বোরকা ও মুখ ঢাকার জন্য নিকাব পড়ে যাওয়ার কথা কথা বলা হয়েছে । বাংলাদেশে কোমলমতি মেয়েদের এই বই জামায়াত ইসলামী ছাত্রী সংস্হার মাধ্যমে তুলে দিচ্ছে । )
৩.জামায়াতে ইসলামী সৌদি আরবের মতো কঠোর পর্দা প্রথায় বিশ্বাসী । আর এই লক্ষ্যে জামায়াত তাদের দলের মহিলা কর্মিদের জন্য জিলবাব বা আবআয়া বা বোরকা ও মুখ ঢাকার জন্য নিকাবকে বাধ্যতামূলক করেছে । অপর দিকে বাংলাদেশের নারীরা এধরনের পোষাকে আবহাওয়াগত কারণে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না । কিন্তু জামায়াতে ইসলামী সৌদি আরেবর পোষাক এবং মেয়েদের উপর সৌদি আরবের রীতি নীতি চাপিয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে ।
http://www.facebook.com/EID.E.MILADUNNOBI.SM
৪.জামায়াতের প্রধান শীর্ষগুরু আবুল আলা মওদুদী -র গুরুর বইগুলোতে রাসুল সা.-এর শানে বেয়াদবীমূলক কথা রয়েছে এবং সাহাবী আজমাইন এবং অলী আউলিয়া কেরাম সম্পর্কে বেয়াদবীমূলক কথা রয়েছে । উপরন্তু তারা মাজার ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে । একারণে চট্টগ্রামের মাজারপুজারীরা তার নামকে বিকৃত করে বলে থাকে “আলু মধু বৌ দুধী” । উল্লেখ্য মাজারপুজারীদের নেতা নাম হলো আহমদ রেজা বেরলভী । যিনি আলা হযরত নামে পরিচিত । তাকেও জামায়াত ও হেফাজতের লোকরা কালা হযরত বলে থাকে । এজন্য প্রায় প্রতিদিন সেখানে মারামারি খুনোখুনি হয় ।
http://www.facebook.com/dailySunniBarta
৫. জামায়াতের লোকরা কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও গোড়ামীধারণকারী ধার্মিক । তারা জন্মদিন, মিলাদ, মিলাদুন্নবী সা., শবে বরাত, শবে মেরাজ, হিজরী নববর্ষ ও আশুরা পালন করে না । অথচ এসব পালন করাই হলো এদেশের মুসলিমদের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ।
জামায়াতে ইসলামী সমর্থক ধর্মযাজক যাদের দৃষ্টিতে জন্মদিন, মিলাদ, মিলাদুন্নবী সা., শবে বরাত, শবে মেরাজ, হিজরী নববর্ষ ও আশুরা পালন কুফরী । আর মেয়েদের বেশী পড়াশোনা গুনাহের কাজ ।
জামায়াত সমর্থক ধর্মযাজকরা এসব উৎসবের অসারতাপ্রমাণ করে বই লিখে জনসাধারণকে বিনামূল্যে বই বিতরণ করেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন না, বরং তারা টিভি চ্যানেলের টক শোগুলোতে এসব উৎসব পালন হতে দুরে থাকার জন্য জনগণকে রুঢ় ভাষায় উপদেশ দিয়ে থাকেন ।
http://www.facebook.com/EID.E.MILADUNNOBI.SM
উপসংহার :
জামায়াত একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল হওয়ায় বাংলাদেশের জনসাধারণ জামায়াতের নেতা-কর্মীদের কাছ হতে দায়িত্বশীল ভুমিকা আশা করে । আশা করা যায়, যুদ্ধপরাধীদের দল হতে বহিস্কার, ওহাবী মতবাদ ও মওদুদি দর্শন পরিত্যাগ করা, সৌদি আরবের মেয়েদের মতো কঠোর পর্দাকে বিলোপ সাধন, নতুনভাবে দলকে এক বিংশ শতাব্দীর আলোকে গড়ে তোলতে পারলে জামায়াত তার সাময়িক সমস্যা কাটিয়ে উঠবে বলে মনে করি ।
উপরন্তু ইসলাম সহশীলতা ও শান্তির ধর্ম । তাছাড়া আমরা বাংলাদেশের জনগণ শান্তিতে বাস করতে চাই । দেশের শান্তি ও স্হিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে জামায়াত-শিবিরের লোকদের অবশ্যই সহনশীল ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে ।
বিষয়: বিবিধ
২৫৩৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঘুরী আর আব্দালী-র নামে পাকিস্তান দুইটা মিশাইলের নাম রেখেছে ।
হ্যা । ভাই । ২০০৩ সাল পর্যন্ত আমি নিজেই দুই একটা মিলাদ নয়, দিনে দশবার মিলাদ, দিনে আট ঘন্টা ধরে খতমে খাজেগান, সপ্হাতে তিন দিন নফল রোজা রাখতাম ।
আল্লাহ আমার এসব ইবাদত অবশ্যই কবুল করেছেন বলেই মনে করি ।
আর আপনারা যদি মনে করেন আল্লাহ আমার দুয়া কবুল করেননি, তাহলে বলছি : আমি তার উপর নির্ভর করার জন্য আল্লাহ আমাকে অন্তত প্রশ্নের সম্মুখীন করবেন না ।
আমার মুনাজাতে যে কাজ হয় তার একটা নমুনা তুলে ধরছি :
” এক দিন এক ইসলাম প্রচারকের মাজারে যেয়ে মুনাজাত করলাম । মুনাজাতে আমার নিজের কথা ছিল না । আর মুনাজাতটা আস্তে আস্তে হলেও পাশের লোকরা শুনতে পাওয়ার মতো উপযোগী ছিল । আমার মুনাজাত শুনছিলো এক ঘুষখোর পুলিশ । পরবর্তীতে সেই পুলিশ চাকুরী ছেড়ে দেয় । যত লোকের কাছ থেকে ঘুষ খেয়েছিলো তত লোকের কাছে ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করে এবং কিছু দিনের মধ্যে সেই লোক ইন্তেকাল করে আর ইন্তেকাল করার সময় তার হাতে নাকি ছিল কুরআন শরীফ ।”
আমি ভাই নগণ্য মানুষ । আমাকে আপনারা যা খুশি তাই বলতে পারেন । দুই দিন আগে দেখলাম, আপনারা আমাকে মাজারপুজারী বলছেন । ভাগ্যিস আপনারা আমাকে মুর্তিপুজারী বলেননি । এটা বল্লে কিন্তু মাইন্ড করবো ।
ভাই । আমি সুলতান মাহমুদের মতো ২৭ বছর গলা ফাইনি । আর ঘুরী আর আব্দালীর মতো লোকও হতে পারি নাই ।
দুয়া করেন, আপনাদের এই ভাইটি তাদের মতো না হোক , অন্তত ইন্তেকালের আগে সঠিক ও ন্যায়পরায়ণ মুসলিম হিসেবে জীবন যাপন করতে পারে ।
তবে তিনি যে হিন্দুদের এক হাত দেখাতে পেরেছেন - এতে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কথা । কারণ আমরা মুসলমান । তার এক হাত দেখানোর কারণেই এই দক্ষিণ এশিয়া ইসলাম ও প্রচার-প্রসার সহজতর হয় ।
রাজ্যের জন্য অর্থ উপার্জন শাসক যে কোনভাবেই করতে পারেন । তখন ছিল সামন্ততন্ত্র । সে হিসেবে তিনি যা করেছেন তা ছিল বৈধ । এখন গণতন্ত্রের যুগ এখন চাইলে লোক লস্কক সৈন্য সামন্ত নিয়ে আমরা হিন্দুদের এক হাত দেখানোর জন্য দিল্লী যেতে পারবো না। আর বিজেপি-র গুন্ডারাও আমাদের ঢাকা পর্যন্ত আসার সাহস পাবে না ।
আমি বলতে চাচ্ছি, আমাদের শাহবাগী ও নাস্তিক এবং ইসলামবিরোধী ও ইসলাম অবমাননাকারীদের দৌড়ের উপর রাখতে হবে । এজন্য আমাদের ইতিহাস পড়তে হবে । কুরআন-হাদিস পড়তে হবে । ইসলামবিরোধী ও ইসলামবিরোধী অমুসলিমদের সব কিছু নজর রাখতে হবে । কারণ যুদ্ধবিদ্যার জনক সান জু বলেছেন : তুমি তোমার শত্রুকে যান । তাহলে তুমি বিজয়ী হবে ।
আমাদের শত্রু : নাস্তিক এবং ইসলামবিরোধী ও ইসলাম অবমাননাকারীরা এবং মুসলিম অস্তিত্ববিনাসী অমুসলিমরা ।
আমাদের শত্রু চিনতে হবে । আর তাদের বিন্দুমাত্র আমরা ছাড় দিবো না । তাহলেই আমরা দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যান লাভ করতে পারবো এবং মৃত্যুর পর জান্নাতের বাসিন্দা হতে পারো ।
আমরা যদি আমাদের শত্রুদের এক হাত না দেখাই তাহলে ইসলাম ও মুসলিম শব্দ দুইটি বিপন্ন হবে আর মুসলিম জাতি পৃথিবী হতে বিলীন হয়ে যাবে ।
আমরা মুসলিম । আমরা কোনক্রমেই আমাদের শত্রুদের কাছে মাথা নত করবো না ।
আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো কাছে এমন কিছু চাওয়া যা দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। ইসলাম এটাকে বড় কবীরা গুনা বা শির্ক বলে। কেউ যেমন দেবতার কাছে কিছু চায়, যা দেওয়ার ক্ষমতা ঐ দেবতা বা মূর্তির নেই, একইভাবে মাজার পুজারীরা মজারের পীর, গাউস- কুতুবদের কাছে এমন কিছু চায়, যা দেওয়ার ক্ষমতা ঐ ব্যাক্তিদের নেই। দুটাই একই বিষয় ও সব চেয়ে বড় জুলুম। অথচ আপনি দুটার মধ্য পাথক করছেন। শুধু তাই নয় যারাই শির্কের বিপরীত হওহীদের কথা বলছে তাদেরকে আপনি যুক্তিহীনভাবে আক্রমণ করেছেন। ব্লগার ভাইদের প্রতি অনুরোধ শয়তানের ফাঁদে পা দিবেন না। সব বিষয়গুল যুক্তি, প্রমান ও প্রকৃত পক্ষে ইসলাম কী বলেছ তার মান দণ্ডে বিচার করবেন।
আপনি বলেছেন :
১.আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো কাছে এমন কিছু চাওয়া যা দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। ইসলাম এটাকে বড় কবীরা গুনা বা শির্ক বলে।
উত্তর : আপনার সাথে একমত ।
২. কেউ যেমন দেবতার কাছে কিছু চায়, যা দেওয়ার ক্ষমতা ঐ দেবতা বা মূর্তির নেই, একইভাবে মাজার পুজারীরা মজারের পীর, গাউস- কুতুবদের কাছে এমন কিছু চায়, যা দেওয়ার ক্ষমতা ঐ ব্যাক্তিদের নেই। দুটাই একই বিষয় ও সব চেয়ে বড় জুলুম।
উত্তর : আপনি সঠিক কথা বলেছেন । এই কাজ অশিক্ষিত লোকরা করে । ইসলাম সম্পর্কে কম জ্ঞানীরা করে । আমি মাজার জিয়ারত করি । কারণ মাজার জিয়ারত করা বরকতময় কাজ । এতে ইসলামী চেতনা বৃদ্ধি পায় ।
৩. যারাই শির্কের বিপরীত হওহীদের কথা বলছে তাদেরকে আপনি যুক্তিহীনভাবে আক্রমণ করেছেন।
উত্তর : আপনার কথা সঠিক নয় । আমি অত্যাচারী রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের সমর্থক ওহাবী-আহলে হাদিস- জামায়াত-শিবির ভাইদের গঠণমূলক সমালোচনা করছি । সৌদি আরব সঠিক ইসলাম দ্বারা পরিচালিত হয় না ।তার বড় প্রমাণ সৌদি আরব কীভাবে ইয়েমেন ও মিশরে তাদের গুন্ডা বাহিনী দিয়ে জনগণকে নির্যাতন-নিপীড়ন করছে । সারা বিশ্বে মুসলিম নির্যাতন হচ্ছে । এই ব্যাপারে কখনোই সোচ্চার হয়নি । শিরক-বিদাতের কথা বলা ও প্রচার করা হলো তাদের অপকর্ম লুকানোর কৌশল মাত্র ।
আমার পোস্টটা মুলত মুসলিম বাঙ্গালী বাংলাদেশি-দের জন্য ।
প্রগতিশীল যারা তাদের জন্য নয় ।
আমি যত দুর জানি আপনার স্ত্রী একজন ইন্দোনেশিয়ান । সে হিসেবে আপনার মতো লোকদের সন্তানরা বাংলাদেশ নিয়ে ভাববে কি না বা তারা মুসলিম বাঙ্গালী বাংলাদেশি হবে কি না তা নিয়ে আমি একটা লেখা লিখবো ইনশাআল্লাহ । আশা করি পড়বেন ।
আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার উপকারীতা - শিরোনামে একটা লেখা লেখার অনুরোদ করেছেন ।
হ্যা । আমি এমন একটা লেখা লিখবো যার শিরোনাম হবে "বাংলাদেশের মুসলিম জনগণের ভালবাসা আওয়ামী লীগ কীভাবে পাবে ও তার বিরোধীপক্ষকে কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে মোকাবেলা করবে ? "
আমার এই লেখাতে দ্বৈত নাগরিক ও বিদেশি পোষ্যদের নাগরিকত্ব বাতিল করা এবং সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ ও জামায়াতে ইসলামীর ওহাবী মতবাদ আইন করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হবে ।
আমার লেখা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ । আশা করি আমার বাকি লেখাগুলোও পড়বেন ।
জামাত না থাকিলে দরবারীরা কি বইলা চিল্লাবে? সেইভাবে পীর, চির, ছুপি, গাউস সবার চিল্লানোর প্লট বন্দ হইয়া যাইবে।
জামায়াত যত দিন থাকলে তত দিন কিছু আলেম শিরক-বিদাত আর মাজার ব্যবসা নিয়ে পরস্পর ওয়াজ আর বাহাস করে ব্যস্ত থাকবে । জামায়াত নিষিদ্ধ হলে এসব বাহাস ও ওয়াজ বন্ধ হয়ে যাবে । এর ফলে অনেক ধর্মব্যবসায়ীর রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে ।
আপনার এই কথাটা ব্যপক ভাল্লাক্সে ভাই।
আর বিনিময়ে তারা অনেক কিছু পেয়েছেন । তার একটা বড় নমুনা হলো :
কায়সার জাহান নামক জামায়াতী নিকাবী খালাম্মা সিল পাটা মার্কায় নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন । তার হয়ে লীগের ভাইরাও কাজ করেছিল । কারণ তাদের স্ত্রীরা হলো : ছাত্রী সংস্হার নিকাবী কর্মী । বিশ্বাস না হলে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার লোকদের জিজ্ঞাসা করুন ।
[img]http://www.monitorbd.net/blog/bloggeruploadedimage/fakhrul/14318
50212.jpg[/img] জামায়াতী খালাম্মাদের সাথে ছাত্র লীগের ভাই ও তাদের নিকাবী জামায়াতী স্ত্রীবৃন্দ । সবাই বলেন, আলহামদুলিল্লাহ । এভাবে আওয়ামী লীগ ইসলামীকরণ হয়ে গেলে ভালোই হয় ।
তবে নিকাবী খালাম্মারা দেখতে বিশ্রী ও তাদের কন্ঠস্বর কর্কশ । তারা ভীষণ কিপ্টা । এক ছেলে বল্লো : ১০০ পোস্টার লাগাইলাম । ৫০০ টাকা দিলো না । দিলো মাত্র ৫০ টাকা ।
জামায়াতী খালাম্মাদের সাথে ছাত্র লীগের ভাই ও তাদের নিকাবী জামায়াতী স্ত্রীবৃন্দ । সবাই বলেন, আলহামদুলিল্লাহ । এভাবে আওয়ামী লীগ ইসলামীকরণ হয়ে গেলে ভালোই হয় ।
তবে নিকাবী খালাম্মারা দেখতে বিশ্রী ও তাদের কন্ঠস্বর কর্কশ । তারা ভীষণ কিপ্টা । এক ছেলে বল্লো : ১০০ পোস্টার লাগাইলাম । ৫০০ টাকা দিলো না । দিলো মাত্র ৫০ টাকা ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন