শবে মেরাজ পালন করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং টুডে ব্লগের সম্পাদকের মৃত্যু কামনা করে দুয়া করা প্রসঙ্গ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৭ মে, ২০১৫, ১২:০৮:৪৭ রাত
এখন শবে মেরাজ । পবিত্র একটা ক্ষণ ।
আমি সাধারণত গালি - গালাজমূলক কোন শব্দ বাস্তব জীবন তো দুরে থাক নেটেও করি না ।
আজ আমি এই ব্লগ সাইটে দেখলাম এই দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কিত কোন স্টিকি পোস্ট নেই ।
সম্পাদক-বৃন্দের প্রতি প্রশ্ন আমার প্রশ্ন :
১। আপনারা কি মুসলমান বা মুসলমানের বাচ্চা ?
২। আপনারা কি মালাউন না মালাউনের বাচ্চা ?
৩। আপনারা কি ওহাবী কুকুর না ওহাবীদের অবৈধ সন্তান ?
৪। আপনারা কি ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল না সৌদি বাদশাহ বা কোন ওহাবীর জারজ সন্তান ?
৫ । হাসরের মাঠে কি আপনাদের গোলম আজম-নিজামী-সাইদী-কামালুদ্দীন জাফরী পার করবে ? আপনারা কি তাদের জারজ সন্তান ?
আপনারা যদি না হোন তাহলে আপনারা কোনটা ? দয়া করে জানাবেন ।
ভাল কথা । আমাকে এই দৃষ্টি আকর্ষনমূলক পোস্ট লেখার জন্য ব্যান বা ব্লক বা অন্য কিছু করা হয়, তাহলে আপনাদের সোনার বাংলা ব্লগ সাই্টের ব্লগার ও সম্পাদক আমিনুল মোহায়মেন- এর মতো ভাগ্যবরণ করতে হবে ।
এই পবিত্র রাতে আপনাদের মৃত্যু কামনা করে দুয়া করলাম । আর এটাও বল্লাম : আল্লাহ যেন আপনাদের মতো কুলাঙ্গারদের নিবংশ করে দেয় ।
আপনাদের উপর আল্লাহর আজাব ও গজব বর্ষিত হোক । হাশরের মাঠে আপনাদের স্হান হোক মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের সাথে ।
ফি নারী জাহান্নামা খালিদিনা ফিহা । আমীন ।
ওহাবীদের ও শবে মেরাজ অস্বীকারকারীদের নেতা ও ওহাবী মৌলভী যাদের আবাস্হল রাজতান্ত্রিক সৌদি আরব
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম পবিত্র রাত আজ ।
‘আস্সালাতু মিরাজুল মুমিনিন’ নামাজ মুমিনদের জন্য মিরাজস্বরূপ। ইসলামের প্রত্যেকটি ইবাদতের বিধান আল্লাহতায়ালা হজরত জিবরাঈল (আ.)-এর মাধ্যমে মহানবী (সা.)-এর কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু নামাজই একমাত্র ইবাদত যা কোনো মাধ্যম ছাড়া আল্লাহতায়ালা সরাসরি মহানবী (সা.)-এর ওপর ফরজ করেছেন। সুতরাং আমাদের উচিত হলো সমাজে নামাজ কায়েম করতে সচেষ্ট হওয়া। এবারের শবেমেরাজে এটাই হোক আমাদের একান্ত শপথ ।
বিষয়: বিবিধ
২৬৮৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জনাব ফকরুল সাব আজকের ব্লগ কি পড়েছেন?? না আপনি পড়বেন কেন ?? আপনি তো শিয়াল পণ্ডিত, সবাই আপনার লেখা পড়বে । আপনার কি দরকার অন্যদের লেখা পড়ার?? তারা আর কি লিখবে এমন, জ্ঞান ত সব আপনার কাছে বন্দক।
ব্লগে একটু ঘুরলেই দেখতে পেতেন আজকে মিনিমাম ৫টা লিখা ছিল মিরাজ নিয়ে, এর মধ্যে ব্লগার মিনাজুল ভাইয়ের লিখাটা অন্তত আপনার লেখাটার চেয়ে গুনে মানে হাজার গুণ উত্তম। সেই লিখাটি স্টিকি হওয়ার দাবি রাখে।
হুম মিরাজের উপর একটি লেখা নির্বাচিত করা মুডুদের উচিত ছিল। এটা তারা করেনি, তাই প্রতিবাদ জানাই।
আমেরিকার এক খৃস্টান মারা যাওয়ার লেখাও কয়দিন আগে স্টিকি হয়েছে । লেখক : দ্য স্লেভ ।
দয়া করে বলুন, শবে মেরাজ সম্পর্কিত কোন লেখা স্টিকি হয়েছে ।
সামনে শবে রবাত আসবে । দেখবো এই দিন কোন পোস্ট স্টিকি করে কি না ?
আর আমি এক দিন দুই দিন ধরে ব্লগ লিখি না ।
আমার পোস্ট স্টিকি করতে হবে এমন নয়, যে কারো লেখা করলেই হতো ।
আমি কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই । ঠিক আছে । আমি নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মনে করি না । জনসচেতনতা ও ইসলামের উৎসব-পর্বাদির পালন যাতে মহাসমারোহে হোক - আমি এটাই চাই । আর এগুলোর তাৎপর্য যাতে আমরা ধারণ করতে পারি - সেটা অবশ্যই আমরা সবাই চাই ।
তাহলে ইসলামী উৎসব-পর্বাদির ব্যাপারে এই ব্লগ সাইট উদাসীন কেন ?
কারণ একটা : এই ব্লগ সাইট সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ এবং জামায়াতে ইসলামী মওদুদী মতবাদ প্রচার করে যাচ্ছে ।
এবং আপনি যে শেষ পর্যন্ত এই উপসংহার টানবেন তাও জানতাম।
দয়া করে বলবে কি অন্য কোন কোন ব্লগে মিরাজের উপর লিখা স্টিকি হয়েছে, সেখানে গিয়ে একটু পড়ে আসতাম। সামু তে কি মিরাজ নিয়ে কোন লেখা আছে ?? বরং মিরাজকে কঠাক করে কিছু লেখা আছে। এদের কে আপনি অভিশাপ দিচ্ছেন কিন্তু তাদের জন্য কি , এরা অহাবি আর ওরা নাস্তিক। আপনার কাছে কি অহাবি চেয়ে নাস্তিক ভাল বলে মনে হয় ।
এই ব্লগের মডু দের উপর আমিও বিরক্ত, তবুও ভাল লাগে এরা মুসলমান নাস্তিক না।
১. দয়া করে বলবেন কি অন্য কোন কোন ব্লগে মিরাজের উপর লিখা স্টিকি হয়েছে ?
উত্তর : আমি জানি না । আমি এই সাইটে লিখি । তাই আমি শুধু এই সাইটের কথা বলবো বা বলে যাবে । কারণ্ এই সাইটে ওহাবী ও মওদুদী মতবাদবিরোধী লোক বেশি । তারা যাকে তাকে নাস্তিক , মুশরিক ও মুর্তাদ উপাধি দেয় ।
২. সামু তে কি মিরাজ নিয়ে কোন লেখা আছে ??
উত্তর : জানি না । আমি সুযোগ ও সময় পেলে সামহোয়ার ইন ব্লগের মালিক জানা ও অরিল-কে ইসলামী গণজাগরণ মঞ্চ বানিয়ে তাদের ফাসি কার্যকর করবো । এজন্য আমি প্রতি নামাজ শেষে মুনাজাতে তাদের জন্য ও শাহবাগীদের জন্য এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের জন্য বদ দুয়া করি এবং আল্লাহ যেন তাদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার শক্তি আমাকে দান করেন – সেজন্য কান্নাকাটি করি । কয়েক দিন আগে এই শাহবাগী আমাকে র্যাব ও পুলিশ দিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয় । কিন্তু এতে আমি মোটেও বিচলিত হইনি ।
৩. এদের কে আপনি অভিশাপ দিচ্ছেন কিন্তু তাদের জন্য কি , এরা অহাবি আর ওরা নাস্তিক। আপনার কাছে কি অহাবি চেয়ে নাস্তিক ভাল বলে মনে হয় ।
উত্তর : ওহাবী-আহলে হাদিস-মওদুদী এবং নাস্তিক-শাহবাগী-মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু ও উপজাতী এসবই এদেশের মুসলিম ও মুসলিমদের স্বার্থ ও অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ বলে মনে করি । এজন্য আমি ইসলামের বিশেষ দিন ও রাতগুলোতে আল্লাহর দরবারে তাদের বিরোদ্ধে ফরিয়াদ করে থাকি ।
এবং নাস্তিক-শাহবাগী-মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু ও উপজাতী প্রকাশ্য । তাদের ইসলামবিদ্বেষী ও মুসলিম অস্তিত্ববিনাসী কাজ খুব সহজে জনগন বুঝতে পারে ।
অপর দিকে ওহাবী-আহলে হাদিস-মওদুদী (জামায়াত-শিবির ) – এদের অশুভ তৎপড়তা জনগণ সহজে বুঝতে পারে না । আমারই বুঝতে সময় লেগেছে ১৩ বছর । আর তাদের বোঝার জন্য আমাকে তাদের সব সাহিত্য পড়তে হয়েছে এবং তাদের সাথে অন্তরঙ্গভাবে মিশতে হয়েছে । আমাকো তাদের শিড়া-উপশিরা-মন-মগজ-মস্তিস্কে প্রবেশ করতে হয়েছে । আল্লাহ আমাকে ওহাবী-আহলে হাদিস-মওদুদী (জামায়াত-শিবির )অশুভ কার্যক্রম বোঝার ক্ষমতা দেওয়ায় আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ (আলহামদুলিল্লাহ) ।
আল্লাহ আমাদের ঈমান ও আমলকে ওহাবী-আহলে হাদিস-মওদুদী (জামায়াত-শিবির )হতে হেফাজত করুন । আমীন ।
বাদ দেন।
উত্তরে বলছি : এব্যাপারে আমি দুই দিন ধরে দুইটা লেখা লিখেছি যা এই সাইটেই রয়েছে ।
এই ব্লগের এডমিনরা ভাল কাজ করছে - তাই তাদের পুজা করতে হবে - এটাই কি বলতে চাচ্ছেন ?
বিনামূল্যে লেখার সুযোগ তারা দিচ্ছেন ? কথাটা এভাবে না বলে বলুন, এসব বাজে লোকদের সাত পুরুষের ভাগ্য যে আমরা এই সাইটে লিখতে এসেছি । তবে জামায়াত-শিবিরের লোক যারা তাদের ব্যাপার ভিন্ন ।
আমাদের দেশের রাষ্ট্র ভাষা প্রায় ৬শ বছর ফার্সি ছিল । সেই সূত্র আমরা ফার্সি ভাষার শব্দ নামাজ-রোজা-চেহেল-চেহলাম-দেওয়ান-কোতোয়াল ইত্যাদি শব্দ পেয়েছি ।
আমাদের অনেকের ভুল ধারণা আছে যে, শবে বারাআত ও শবে ক্বদর যেমন প্রতি বছর আসে, তেমনি শবে মি‘রাজ প্রতি বছর আসে বস্তুত এ ধারণা সঠিক নয় কেননা, শবে বারাআতের সম্পর্ক হলো ১৪ শা‘বান দিবাগত রাতের সাথে, যা প্রতি বছর আগমন করে।
কিন্তু শবে মি‘রাজের সম্পর্ক হচ্ছে হযরত রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মি‘রাজ ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সাথে। বলুন তো প্রতি বছর ২৭ রজব কি রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মহান মি‘রাজ সংঘটিত হয়? নিশ্চয়ই না। সুতরাং বুঝা গেলো প্রতি বছরের ২৭ রজব শবে মি‘রাজ নয়, বরং হযরত রাসূলুল্লাহ (সা) যে বছর ২৭ রজব রাতে মি‘রাজে গমন করেছেন, সেই রাতই কেবল শবে মি‘রাজ। সেই রাত পৃথিবীতে মাত্র একটিই আর তা হচ্ছে রাসূলুল্লাহ (সা) স্বীয় জীবদ্দশায় মি‘রাজে গমন করার মহান রাত্রি। কিন্তু এরপর প্রতি বছর যেহেতু সেই মি‘রাজ সংঘটিত হয় না, তাই প্রতি বছরের ২৭শে রজব রাত্রি মি‘রাজের রাত্রি নয়।
আবার মি‘রাজের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার তারিখ ২৭ রজব হওয়াও নিশ্চিত নয় কেননা, এ বিষয়ে মুহাক্কিকগণের কয়েকটি মতামত উল্লেখ রয়েছে।
যথা
(১) কেউ বলেছেন, নবুওয়াত প্রাপ্তির বছরে অথবা ৫ম নববী বর্ষে কিংবা ১০ম নববী বর্ষে ২৭ রজব মি‘রাজ সংঘটিত হয়েছে।
(২) কেউ বলেছেন, হিজরতের ১৪ মাস পূর্বে ১৩ নববী বর্ষের মুহাররম মাসে মি‘রাজ সংঘটিত হয়েছে এবং
(৩) কেউ বলেছেন, হিজরতের এক বছর পূর্বে ১৩ নববী বর্ষের রবীউল আউয়াল মাসে মি‘রাজ সংঘটিত হয়েছে।
প্রসিদ্ধ মত:
তবে প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী ২৭শে রজবকে মি‘রাজ সংঘটিত হওয়ার তারিখ গণ্য করা হলেও তা প্রতি বছরের ২৭শে রজব হবেনা, বরং মহানবীর (সা) জীবনে উক্ত ঘটনা সংঘটিত হওয়ার বছরের সেই রাতই শুধু কেবল লাইলাতুল মি‘রাজ বা শবে মি‘রাজ বলে গণ্য হবে ।
তবে হ্যাঁ, তারিখে মিল হওয়ায় প্রতি বছরের ২৭ রজবের রাতকে সে রকম তারিখবিশিষ্ট একটি রাত্রি বলা যেতে পারে। কিন্তু শুধু এতটুকু মিল হওয়ায় সরাসরি একে শবে মি‘রাজের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা যাবে না। বড়জোর তারিখের সাথে মিল হওয়ায় প্রতি বছরের এ সময়ে সেই মহান মি‘রাজের রাত্রির কথা স্মরণ করা যায় আর তা স্মরণ করে রাসূলুল্লাহ (সা)-এর সেই মহান মি‘রাজের কথা এবং তাঁর জীবনাদর্শ সম্পর্কে আলোচনা করা যায়। তবে তাও সেই রাত্রকে খাস বা উপলক্ষ্য বানিয়ে নয়, বরং এর কাছাকাছি ভিন্ন কোন সময়ে বা জুমু‘আর সময়ে অথবা এ মাসের যে কোন সময়ে তা করা যায়। এ ব্যাপারে কিছু করতে চাইলে তা এতটুকুই। এর বেশী কিছু করার ছুবূত বা সাব্যস্ত নেই। বরং আমরা প্রতিদিন ও প্রতিরাত যেভাবে নামায-কালাম, দু‘আ-দুরূদ, তাসবীহ-তাহলীল প্রভৃতি আদায় করি, তেমনি প্রতি বছর এ রাতেও সেভাবে আমল করতে মানা নেই।কিন্তু তার বাহিরে খাস করে এ রাতের জন্য বিশেষ কোন আমল বা বিশেষ কোন নামায-রোযা আদায় বা বিশেষ কোন ইবাদাত পালনের নিয়ম শরীয়তে নেই।
অথচ আমাদের দেশে মি‘রাজ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সভা, সেমিনার, মাহফিল ইত্যাদি অনুষ্ঠানে শবে মি‘রাজের গুরুত্ব ও ফজীলত সম্পর্কে অনেক কিছুই বর্ণনা করা হয়। যার সবটুকুই বানোয়াট কল্প-কাহিনী ও ভিত্তিহীন এবং জাল-মওদ্বূ হাদীস নির্ভর।
যেমন- হাদীস বর্ণনা করা হয় যে “যে ব্যক্তি রজব মাসের ২৭ তারিখ অর্থাৎ মি‘রাজ দিবসে রোযা রাখবে, তার আমলনামায় ৬০ মাসের রোযার ছাওয়াব লেখা হবে।” (নাউযুবিল্লাহ) অথচ এ কথা কোন সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীসে বর্ণিত হয়নি।
তেমনিভাবে আরো বর্ণনা করা হয়, “যে ব্যক্তি ২৭ রজব (অর্থাৎ মি‘রাজের রাত্রিতে) ইবাদত করবে, তার আমলনামায় একশ’ বছরের ইবাদতের ছওয়াব লেখা হবে।”(নাউযুবিল্লাহ)
এটাও কোন সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীসে বর্ণিত হয়নি ।
শাইখুল ইসলাম আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহ (রহ.) বলেন, রজব মাসের ২৭ তারিখের রাতের নামাযের ব্যাপারে উলামায়ে ইসলাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, তা প্রমাণযোগ্য নয়।"
এভাবে রজব মাসে বিশেষ ধরনের রোযা বা নামায আদায়ের ফজীলত সম্পর্কেও বহু জাল হাদীছ শোনা যায়। এ বিষয়ে নিম্নে কতিপয় জাল হাদীস উদ্ধৃত হলো-
১-
যে ব্যক্তি রজবের প্রথম রজনীতে মাগরিবের নামাযের পর বিশ রাক‘আত নামায আদায় করবে, যার প্রত্যেক রাক‘আতে সূরাহ ফাতিহা ও সূরা ইখলাছ পড়বে …।” (নাউযুবিল্লাহ) অতপর দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করা হয়। ইমাম ইবনে যওজী (রহ) [মৃত ৫৯৭ হিজরী] বলেন, হাদীসটি জাল ও মওদ্বূ । [দ্রষ্টব্য : কিতাবুল মওদ্বূ'আত, ২য় খন্ড, ১২৩ পৃষ্ঠা]
২-
যে ব্যক্তি রজবের দিবসে রোযা পালন করবে এবং চার রাক‘আত নামায আদায় করবে, যার প্রথম রাক‘আতে একশত বার আয়াতুল কুরসী পড়বে…’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
ইমাম ইবনে যওজী (রহ) [মৃত ৫৯৭ হিজরী] বলেন, হাদীছটি মওদ্বূ । এর সনদে উসমান নামক রাবী রয়েছেন, যিনি মুহাদ্দিসগণের দৃষ্টিতে পরিত্যক্ত। [দ্রষ্টব্য : কিতাবুল মওদ্বূ'আত , ২য় খন্ড, ১২৩ পৃষ্ঠা]
৩-
যে ব্যক্তি রজবের রজনীতে চৌদ্দ রাক‘আত নামায আদায় করবে, যার প্রত্যেক রাক‘আতে সূরাহ ফাতিহা একবার, কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ বিশবার, কুল আঊযু বিরাববিল ফালাক্ব তিনবার, কুল আঊযু বিরাববিন নাস তিনবার পড়বে। অতপর নামায হ’তে ফারেগ হয়ে দশবার দরূদ পড়বে… ’ ইত্যাদি।
ইমাম ইবনে যওজী (রহ) [মৃত ৫৯৭ হিজরী] বলেন, হাদীসটি মওযূ। (দ্রষ্টব্য : কিতাবুল মওদ্বূ'আত ২য় খন্ড, ১২৩ পৃষ্ঠা)
সালাতুর রাগায়েব ও ফজীলত :
অনেককে এ মাসে সালাতুর রাগায়েব আদায়ের ফজীলত বর্ণনা করতে দেখা যায়।
তারা বলেন যে, “রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার যে ব্যক্তি রোযা রাখবে, তারপর ইশার নামাযের পর রাত শেষ হওয়ার পূর্বে বারো রাকাত নামায পড়বে, প্রতি রাক‘আতে এক বার সূরাহ ফাতেহা পড়বে এবং তিন বার ইন্না আনযালনাহু ফি লাইলাতিল কাদরি পড়বে, আর ১২ বার কুল হুআল্লাহু আহাদ পড়বে, প্রতি দু’রাকাত অন্তে সালাম ফিরাবে।
নামায থেকে ফারেগ হয়ে সত্তুর বার দরুদ পাঠ করবে, নামাযের সিজদাসমূহে সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রুহ সত্তুর বার পড়বে, সিজদা থেকে মাথা উঠিয়ে সত্তুর বার রব্বিগফির ওয়ারহাম ও তাজাওয়ায ‘আম্মা তা‘লাম- ইন্নাকা আনতাল আযীযুল আ‘যাম পড়বে, আল্লাহ তার প্রয়োজন মিটিয়ে দেবেন। ....
এই নামাজ আদায় করলে আদায়কারী পুরুষ হোক বা নারী- আল্লাহ তার সমস্ত পাপ মোচন করে দেবেন। হোক না তা সমুদ্রের ফেনা, পৃথিবীর তাবৎ বালি-কণা, বৃক্ষরাজির পত্রসংখ্যা ও পর্বতমালার ওজন পরিমাণ।
এরপর কেয়ামত দিবসে তার পরিবারের মধ্যে দোজখ অবধারিত হয়ে গিয়েছে এমন সাতশ ব্যক্তির ব্যাপারে তাকে শাফাআতকারী হিসেবে গ্রহণ করা হবে।”
এটাও সম্পূর্ণ মওদ্বূ ও বানোয়াট হাদীস, যা গ্রহণযোগ্য নয়।মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যাকারক আল্লামা ইমাম নববী (রহ.) বলেন : এটি এমন একটি জঘন্য বিদ‘আতযা কঠিনভাবে পরিত্যাজ্য। এতে বহু মুনকার শামিল রয়েছে।"
আল্লামা ইবনে নাহ্হাস (রহ) বলেন : এটি জঘন্য বিদ‘আত। এ ব্যাপারে বর্ণনাকৃত হাদীসসমূহ মওদ্বূ ও বানোয়াট।
[বিস্তারিত দেখুন : তাবয়ীনুল আজব ফী মা ওরাদা ফী ফাজলি রাজাব লি-ইবনে হাজর, ১২৫ পৃষ্ঠা]
অতএব, শবে মি‘রাজ বা রজব মাসের ব্যাপারে উক্ত জাল বর্ণনাসমূহ থেকে সকলকে দূরে থাকতে হবে। এ রাতকে উপলক্ষ করে যাবতীয় গর্হিত বিদ‘আত পরিহার করে আমাদের দ্বীনের সহীহ পথ অনুসরণ করতে হবে। আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন