মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করে গায়ের রং ও পোষাকের সাথে মানানসই হাল্কা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৮:৪৮:৫৯ রাত






https://www.youtube.com/watch?v=PGyoW31Rb60

মুখ খোলা রাখা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের মনোনিত বগুড়া জেলার আদমদিঘী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আহমেদ মালা । (এই ভিডিও দেখলে সোয়াব হবে । )

পটভুমি :

আমাকে অনেক আগের থেকেই আহলে হাদিস , ওহাবী ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর কিছু সন্ত্রাসী হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন । কারণ :

১. আমি মেয়েদের নিকাব ও বোরকা পরা অপ্রয়োজনীয় শিরোনামে বই ও লেখা লিখে থাকি ।

২. মেয়েরা যৌনদাসী নয় বলে থাকি ।

উল্লেখিত লোকরা আমাকে বেশ কয়েক বার হত্যার হুমকি দিয়েছেন ।

তারপরও আমি কুসংস্কার ও কুপমন্ডুকতার বিরোদ্ধে লড়াই করে যাবে ।







ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী মেয়েদের পোষাক পরার উপর কিছু পোস্টার



মেয়েরা যেসব প্রধান কারণে মুখ ঢাকার জন্য নিকাব ও কাল বোরকা পরা দিচ্ছেন ? :


ইদানিং জায়ামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত অনেক মহিলা মুখ ঢাকার জন্য নিকাব ও বোরকা পরা বাদ দিয়েছেন । কারণ তারা মনে করেন, এসব পোষাক বাস্তবতা বর্জিত ও অস্বাস্হ্যকর এবং পরিচিতির জন্য সমস্যাবহুল । অথচ জামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত মহিলাদের ও তাদের পরিবারের মেয়েদের মুখ ঢাকার জন্য নিকাব ও কাল বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ।



যেমন :

১. এই ভিডিও :




https://www.youtube.com/watch?v=PGyoW31Rb60

২. বাংলাদেশে জামায়াতের একটা ছাত্রী সংগঠণ আছে যার নাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্হা । এসংগঠণের মেয়েরা মুখ ঢেকে চলাফেরা করে আর কাল রংয়ের বোরকা পড়ে এবং তারা ছেলেদের সাথে কথা বলে না ।(অবশ্য অনেকে অন্য রংয়েরও পড়ে) । আজব হলেও সত্য, ছাত্রী সংস্হার মেয়েরা বিদেশ গেলে মুখ ঢেকে রাখে না এবং তারা বিভিন্ন শপিং মলে এড জব করে ও অমুসলিম ছেলেদের সাথে কথা বলে । তাদের এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন : দেশের নিয়ম বিদেশে চলে না । https://www.facebook.com/photo.php?fbid=670720922957869&set=a.141166265913340.24874.100000599018799&type=1

https://www.facebook.com/photo.php?fbid=670720922957869&set=a.141166265913340.24874.100000599018799&type=1&theater





ছবি : মিশরের ব্লগার ও আহলে হাদিস সেলিব্রেটি আজাদ সাইমুম-এর সৌজন্যে


৩. জামায়াত নেতা কামরুজ্জামান-এর পরিবার









৪. সৌদি আরবের অনেক আলেম যারা আগে ওহাবী ছিলেন তারা পর্যন্ত বোরকা ও নিকাব বাদ দেওয়ার পক্ষে কথা বলে ওহাবী মতবাদ বিজর্সন দিচ্ছেন ।



সৌদি আরবের আলেম শেখ আহমেদ আল-গামেদীর স্ত্রী জাওয়াহির বিনতে শেখ আলী

যেমন :

মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করে গায়ের রং ও পোষাকের সাথে মানানসই হাল্কা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন

শেখ আহমেদ আল-গামেদী, সৌদি আরবের প্রচার ও অনৈতিকতা প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষের মক্কা অংশের সাবেক প্রধান । তার স্ত্রী জাওয়াহের বিনতে আল-শেখ আলী ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখ এমবিসি টিভিতে মুখ খোলা অবস্হায় বা নিকাব দিয়ে মুখ না ঢেকেই উপস্হিত হন । আর শেখ আহমেদ আল-গামেদীও তার সাথে উপস্হিত ছিলেন । শেখ আহমেদ আল-গামেদী বলেন যে মুখ ঢাকা শুধুমাত্র নবী মুহাম্মদ সা. – এর স্ত্রীদের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল । তিনি টিভির সাক্ষাৎকারে জনসাধারণের সামনে মহিলারা তাদের মুখ প্রকাশ করা দোষের কিছু নয় এবং মহিলারা সামান্য মেকআপ পরতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ।

ভিডিওটা দেখুন , এই লিংক হতে :

https://www.facebook.com/video.php?v=885018538187908&set=vb.831464740209955&type=2&theater



সৌদি আরবের আলেম শেখ আহমেদ আল-গামেদী

মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করবে:

মেয়েরা অবশ্যই সাজগোজ করতে পারেন । মুখ খোলা রেখে চলাফেরা করতে পারেন । তাদের মুখ ঢাকার জন্য নিকাব পড়ার প্রয়োজন নেই । তবে তাতে পরিমিতিবোধের দিকে লক্ষ্য রাখবেন । প্রয়োজনবোধে হাল্কা মেক আপ করতে পারেন । কারণ কুরআনে এসম্পর্কে ইংগিত করা হয়েছে :

أَمِ اتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنَاتٍ وَأَصْفَاكُم بِالْبَنِينَ

তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?

وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِمَا ضَرَبَ لِلرَّحْمَنِ مَثَلًا ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ

তারা রহমান আল্লাহর জন্যে যে, কন্যা-সন্তান বর্ণনা করে, যখন তাদের কাউকে তার সংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখমন্ডল কালো হয়ে যায় এবং ভীষণ মনস্তাপ ভোগ করে।

أَوَمَن يُنَشَّأُ فِي الْحِلْيَةِ وَهُوَ فِي الْخِصَامِ غَيْرُ مُبِينٍ

তারা কি এমন ব্যক্তিকে আল্লাহর জন্যে বর্ণনা করে, যে অলংকারে লালিত-পালিত হয় এবং বিতর্কে কথা বলতে অক্ষম।

( সুরা যুখরফ : ১৬ হতে ১৮ আয়াত )

মেয়েরা অবশ্যেই গায়ের রং ও পোষাকের সাথে মানানসই হাল্কা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন । কারণ এটা তাদের সাজগোজের অংশ । আর কিছু লিপস্টিক ও লিপজেল ঠোটের জন্য উপকারী ।

প্রশাধনী ব্যবহার করে প্রযোজনীয় সেজেগুজে মেয়েরা চলাফেরা করবে । তাতে দোষনীয় কিছু নেই ।

মেয়েদের পোষাক পরার সীমারেখা :

মেয়েদের হাতের কব্জি থেকে আঙ্গুল, পায়ের পাতা থেকে আঙ্গুল এবং মুখ মন্ডল ছাড়া শরীরের যাবতীয় অংশ ঢেকে রাখা ফরজ । পোশাকটা ঢিলে ঢালা হতে হবে যাতে শরীরে কোন অঙ্গ ফুটে না উঠে । এছাড়া এমনভাবে ওড়না পড়তে হবে যাতে মাথা, চুল, গলা, পিঠ, ঘাড় ও সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢাকা সম্ভব হয় । কারণ আল্লাহ বলেছেন :

” وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ” ( উচ্চারণ : ওয়াল্ ইয়াদ্ রিব্না বিখুমুরি হিন্না আলা জুয়ুবিহিন্না । ) সুরা নুর : ৩১ ।

শাব্দিক অনুবাদ : তারা যেন গলা ও বুক ওড়না দ্বারা আবৃত করে ।

ভাবানুবাদ : মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, গলা, পিঠ ও বুক ইত্যাদি অঙ্গ ভালভাবে ঢেকে রাখে ।

ইসলামে নীতি-নৈতিকতা ও শালীনতার গুরুত্ব :

যে বা যারা তার মা-বোন-স্ত্রী-মেয়ে-কর্মস্হলের মহিলা-এলাকার মহিলাদের ইসলামের শালীনতা ও নৈতিকতাসম্পন্ন পোষাক পড়তে উৎসাহ-অণুপ্রেরণা দেয় না এবং অশ্লীলতা সমাজে বিস্তার হয় তা চায় – তাদের রাসুল (সা.) দাইয়ুস বলে আক্ষায়িত করেছেন ।রাসুল (সা.) বলেছেন, দাইয়ুস কখনোই জান্নাতে যাবে না ।

আর ইসলামের নীতিমালা বিরোধী পোষাক পড়া মেয়েদের “মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ (متغيرة الريح ) “ উপাধি দেওয়া হয়েছে ।মুহাম্মদ (সা.) অসংখ্য হাদিসে জোড় দিয়ে বলেছেন যে দাইয়ুস ধরণের ছেলে ও মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ মেয়েরা কখনোই জান্নাতে যাবে না ।

শুধু মৃত্যুর পর জান্নাতে যাওয়াই নয় পৃথিবীকে সুন্দর-সুস্হ ও নৈতিকতাবোধ সম্পন্ন সমাজ গড়ার স্বার্থেই আমাদের কুরআন ও হাদিসের নীতিমালা মেনে চলতে হবে ।

কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী মেয়েদের পোষাক পড়ার নিয়মগুলো হলো :

১. মাথা, চুল, গলা, পিঠ, ঘাড় ও সম্পূর্ণ বুক ওড়না দিয়ে যথাযথভাবে ঢেকে রাখা এবং মুখ ও হাতের তালু ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখা ।

২. এমন ভাবে হাঁটা ও চলাফেরা করা যাতে শরীরের ভাঁজ অপ্রকাশিত থাকে ।

৩. স্বচ্ছ বা পাতলা কাপড়ের পোষাক না পড়া ও ঢিলা ঢালা পোষাক পড়া ।

৪. দৃষ্টি সংযত করে চলাফেরা করা এবং মন ও দেহকে পবিত্র রাখা ।

৫. সাভাবিক কন্ঠস্বর ব্যবহার করে কথা বলা ।

মুসলিম মেয়েদের এই ড্রেস কোড শুধুমাত্র পাবলিক প্লেস এর জন্য প্রযোজ্য । তারা বাড়িতে বাবা-ভাই-স্বামী-সন্তান বা যাদের বিয়ে করা হারাম এমন পুরুষদের সামনে মাথায় ওড়না ব্যবহার না করেও চলাফেরা করতে পারে । শুধু মাত্র বাড়িতে স্বামীর সাথে এক সাথে থাকার সময় ওড়না ব্যবহার না করলেও গুনাহ হবে না ।

ইসলামে ড্রেস কোড বলতে আসলে কি বোঝায় ? ও তার গুরুত্ব :

ইসলাম ধর্মের প্রবর্তিত এই ড্রেস কোড কোন মুসলিম মেয়ে না মেনে চল্লে তার নিজের কবিরা গুনাহ হবে , তেমনি তার বাবা-ভাই-স্বামী-ছেলেদের ও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা তার কর্মক্ষেত্রের প্রধানেরও কবিরা গুনাহ হবে । এই একই নির্দেশনা প্রায় সব ধর্মে আছে । হিন্দু ধর্মে এই নিয়মকে ঘুনঘাট বলা হয় । ইসলাম ধর্মে বলা হয় হিজাব বা পর্দা । খৃস্টান ও ইহুদী ধর্মে মেয়েদের ওড়না পড়া ও ঢিলা ঢালা পোষাক পড়া বাধ্যতামূলক । আর খৃস্টান ও ইহুদী ধর্মে মেয়েদের পোষাক সম্পর্কিত নির্দেশনাবলীও ইসলাম ধর্মের অনুরূপ ।




https://www.youtube.com/watch?v=4WgPJ_Bxu7o

ওড়না পরার একটা সহজ পদ্ধতির ভিডিও

ওড়না পড়ার সঠিক নিয়ম হলো পিঠ, মাথা , সব চুল, কান , গলা , ঘাঢ়, সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে । আর বুক এমনভাবে ঢাকতে হবে যাতে বুকের গড়ন কোন ক্রমেই বোঝা না যায় ।

অন্যান্য ধর্মে ড্রেস কোড ও ইসলামী নীতিমালা :

শুধু ইসলাম ধর্মই নয় হিন্দু, বৌদ্ধ , খৃষ্টান, ইহুদী, শিন্টো-সহ প্রায় ৫০ টা ধর্মে বলা আছে কোন মেয়ে বুক ও মাথা সঠিকভাবে না ঢেকে চলাফেরা করলে তার পাপ হবে এবং সে স্বর্গে যেতে পারবে না ।

ইসলাম ধর্ম পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয় :

১. মেয়েদের হাতের তালু ও মুখমন্ডল ছাড়া সমগ্র শরীর ঢিলা যে কোন পোষাক দিয়ে রাখতে হবে । (বর্তমানে কিছু মেয়ে প্রচন্ড টাইট পোষাক পড়ে থাকে যা তাদের জন্য আড়ামদায়ক নয় এবং টাইট পোষাক পড়ার জন্য তাদের গুনাহ্‌ও হচ্ছে । )

২. ব্যক্তিগত অঙ্গ (বুক, পিঠ, চুল, গলা, কান, পেট, হাটু, পায়ের গোড়ালী)ভালভাবে ঢেকে রাখতে হবে ।

৩. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে মার্জিতভাব প্রকাশ করতে হবে ।

৪. সাজ সজ্জার ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধের দিকে নজর দিতে হবে ।

৫. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে আল্লাহভীতি প্রকাশ পায় সে দিকে নজর দিতে হবে ।

সবাইকে মনে রাখতে হবে ও অনুধাবন করতে হবে, মেয়েদের ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে ফরজ বা আবশ্যক । যদি কোন মেয়ে ওড়না এভাবে না পড়ে তার তাহলে তার নিজের , তার বাবা-মা-ভাই-বোন-আত্মীয়-স্বজন-কর্মক্ষেত্রের সাথে সম্পৃত্ত সবার কবিরা গুনাহ হবে ।

ওড়না পড়া সম্পর্কে কুরআনে সুস্পষ্টভাবে বলতে যেয়ে আল্লাহ সুরা নুরের ৩১ নং আয়াতে বলেছেন :

وَليَضرِبنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلىٰ جُيوبِهِنَّ ۖ

(ওলাল ইয়াদ্রিবনা বিখুমুরিহিন্না আলা জুয়ুবিহিন্না)

অনুবাদ :

১.“আর তারা যেন তাদের ওড়নার আঁচল দিয়ে তাদের বুক ঢেকে রাখে ।“

অথবা

২.”তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে । “

অথবা

৩.”তারা যেনো ওড়না বুকে ফেলে রাখে”

ভাবানুবাদ : মুসলিম মেয়েরা যেন ওড়না দিয়ে মাথা, পিঠ, কান, গলা, সম্পূর্ণ বুক ভালভাবে ঢেকে রাখে ।

সুরা নুরের এই আয়াত নাযিল হলে মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পড়া শুরু করে ।

মেয়েদের পোষাক পড়ার নিয়ম সম্পর্কিত হাদিস :

মুসলিম মেয়েরা সঠিক পদ্ধতিতে ওড়না পরা ও পোষাক পরার ব্যাপারে একটা সহিহ হাদিস হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন । হাদিসটা হলো :

আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত,

يرحم الله نساء المهاجرات الأول، لما أنزل الله : وليضربن بخمرهن على جيوبهن شققن مورطهن فاختمرن بها.

আল্লাহ তাআলা প্রাথমিক যুগের মুহাজির মহিলাদের প্রতি দয়া করবেন । যখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াত,” তারা গলা ও বক্ষদেশকে যেন ওড়না দ্বারা আবৃত করে (সূরা নূর : ৩১ ) নাযিল করলেন, তখন তারা নিজে চাদর ছিঁড়ে ওড়না ওড়না হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে ।

হাদিসটা কোথায় আছে ? :

১. বোখারি শরীফের ৮ম খন্ডে ৪৩৯৮ নং হাদিস , বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশন ।

তবে তা প্রচলিত নিয়মে সন্নিবেশ করলে বোখারী শরিফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৬০ নং অনুচ্ছেদের ২৮২ নং হাদিস হয় ।

২. এই হাদিসটাই সামান্য কয়েকটা শব্দের পার্থক্য ছাড়াই আবু দাউদ শরীফের ৩২ অধ্যায় বা পোষাক খন্ডে বর্ণিত হয়েছে আর এই বইয়ে এই হাদিসটার নাম্বার দেওয়া হয়েছে ৪০৯১ ।

জেনে রাখা ভাল :

১. ওড়না মোটা কাপড়ে হতে হবে । পাতলা কাপড়ের ওড়না পড়লে কবিরা গুনাহ হবে । কারণ :

এসম্পর্কে হযরত আয়েশা (রা.) বলেন : সরা নুরের ৩১ নং আয়াত নাযিল হলে মেয়েরা পাতলা কাপড় পড়া বাদ দিয়ে মোটা কাপড় সংগ্রহ করে এর দ্বারা ওড়না বানিয়ে নিয়েছিলো ।

(তাফসীরে ইবনে কাসির, হাদিস গ্রন্হ : আবু দাউদ )

আয়েশা (রা) বর্ণনা করেন , আসমা বিনতে আবী বকর (রা) পাতলা কাপড় পড়ে রাসুল (সা.) -এর বাড়ি বেড়াতে আসলেন । (আয়েশা রা. হলেন আসমা রা.-এর আপন বোন) । রাসুল (সা.) আসমা (রা.) –কে দেখে মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং বললেন, হে আসমা ! মেয়েরা যখন বড় হয়ে যায় তখন তাদের এই অঙ্গ আর ওই অঙ্গ ছাড়া প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন ।

[ আবু দাউদ, হাদিস নং :৪১০৬ ; মিশকাত, হাদিস নং :৪৩৭২ ]

এসব হাদিস এবং সুরা নুরের ৩১ নং আয়াত হতে আমরা বুঝলাম : “মেয়েদের অবশ্যই মুখমন্ডল ও দুই হাতের কব্জি ছাড়া সম্পূর্ণ শরীর মোটা ঢিলা ও আরামদায়ক কাপড়ের পোষাক দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং মোটা কাপড়ের ওড়না দিয়ে সম্পূর্ণ মাথা, কান, গলা, পিঠ এবং সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখতে হবে ।“

২. সম্পূর্ণ মাথা, কান,পিঠ, গলা ও সম্পূর্ণ বুক ঢেকে রাখার জন্য ওড়না নিজের শরীরে সাথে মাপ মতো বানিয়ে নিতে হবে । বর্তমান সময়ের গামছার মতো সাইজের ওড়না ব্যবহার করে এসব অঙ্গ পুরোপুরি ঢেকে রাখা যায় না । সুতরাং এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে ।



এসম্পর্কিত আরো হাদিস :


১.

عَنْ عَائِشَةَ رضى الله عنها أَنَّ أَسْمَاءَ بِنْتَ أَبِىْ بَكْرٍ دَخَلَتْ عَلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَعَلَيْهَا ثِيَابٌ رِقَاقٌ فَأَعْرَضَ عَنْهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ يَا أَسْمَاءُ إِنَّ الْمَرْأَةَ إِذَا بَلَغَتِ الْمَحِيْضَ لَمْ تَصْلُحْ أَنْ يُرَى مِنْهَا إِلاَّ هَذَا وَهَذَا. وَأَشَارَ إِلَى وَجْهِهِ وَكَفَّيْهِ-

আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, আসমা বিনতে আবী বকর (রাঃ) পাতলা কাপড় পরিহিত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট প্রবেশ করলেন। রাসূল (ছাঃ) তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আসমা! নারী যখন যৌবনে পদার্পণ করে তখন তার এটা ওটা ব্যতীত প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। আবু দাঊদ হা/৪১০৬; মিশকাত হা/৪৩৭২ ।

২.

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ رضى الله عنهما قَالَ كَانَ الْفَضْلُ رَدِيْفَ النَّبِىِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَتِ امْرَأَةٌ مِنْ خَثْعَمَ، فَجَعَلَ الْفَضْلُ يَنْظُرُ إِلَيْهَا، وَتَنْظُرُ إِلَيْهِ فَجَعَلَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم يَصْرِفُ وَجْهَ الْفَضْلِ إِلَى الشِّقِّ الآخَرِ-

আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেন, (বিদায় হজ্জের দিন তার ভাই) ফযল রাসূল (ছাঃ)-এর পিছনে সওয়ারীতে বসে ছিল। অতঃপর খাছ‘আম গোত্রের একটা মহিলা আসল। ফযল তার দিকে তাকাতে শুরু করল এবং মহিলাটিও ফযলের দিকে তাকাচ্ছিল। অতঃপর নবী করীম (ছাঃ) ফযলের মুখমন্ডল অন্যদিকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন।

বুখারী হা/১৫১৩; মুসলিম হা/১৩৩৪, আবুদাঊদ হা/১৮১১; নাসাঈ হা/২৬১৩। এ হাদীছ প্রমাণ বহন করে যে, মহিলাটির মুখ খোলা ছিল।

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ قَالَ شَهِدْتُ مَعَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ يَوْمَ الْعِيْدِ فَبَدَأَ بِالصَّلاَةِ قَبْلَ الْخُطْبَةِ بِغَيْرِ أَذَانٍ وَلاَ إِقَامَةٍ ثُمَّ قَامَ مُتَوَكِّئًا عَلَى بِلاَلٍ فَأَمَرَ بِتَقْوَى اللهِ وَحَثَّ عَلَى طَاعَتِهِ وَوَعَظَ النَّاسَ وَذَكَّرَهُمْ ثُمَّ مَضَى حَتَّى أَتَى النِّسَاءَ فَوَعَظَهُنَّ وَذَكَّرَهُنَّ فَقَالَ تَصَدَّقْنَ فَإِنَّ أَكْثَرَكُنَّ حَطَبُ جَهَنَّمَ. فَقَامَتِ امْرَأَةٌ مِنْ سِطَةِ النِّسَاءِ سَفْعَاءُ الْخَدَّيْنِ-

জাবির (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ঈদের দিনে রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাতে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুৎবার পূর্বে আযান, ইক্বামত ব্যতীত ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর লোকদেরকে উপদেশ, নছীহত করলেন। অতঃপর মহিলাদের নিকট এসে ওয়ায-নছীহত করে বললেন, হে মহিলারা! তোমরা ছাদাক্বা কর, ……… দু’গাল লালচে কালো দাগ মিশ্রিত একজন মহিলা নারীদের মধ্যে হ’তে দাঁড়িয়ে বলল, কেন হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)?...।

[মুসলিম হা/৮৮৫।]

এই হাদিস হতে দেখা গেলো মহিলারা ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ঈদগাহ মাঠে যেতো আর ঈদের নামাজ পড়তো । আর প্রকাশ্যে মুখ খোলা রেখেই নামাজ পড়তো ।

সুতরাং আমাদের মেয়েরা এসব হাদিসকে গুরুত্ব দিয়েই মুখ খোলা রাখবে ।

ইসলাম পোষাক পড়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দেয় :

১. মেয়েদের হাতের তালু ও মুখমন্ডল ছাড়া সমগ্র শরীর ঢিলা যে কোন পোষাক দিয়ে রাখতে হবে । (বর্তমানে কিছু মেয়ে প্রচন্ড টাইট পোষাক পড়ে থাকে যা তাদের জন্য আড়ামদায়ক নয় এবং টাইট পোষাক পড়ার জন্য তাদের গুনাহ্‌ও হচ্ছে । )

২. ব্যক্তিগত অঙ্গ (বুক, পিঠ, চুল, গলা, কান, পেট, হাটু, পায়ের গোড়ালী)ভালভাবে ঢেকে রাখতে হবে ।

৩. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে মার্জিতভাব প্রকাশ করতে হবে ।

৪. সাজ সজ্জার ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধের দিকে নজর দিতে হবে ।

৫. পোষাক ও আচরনের মাধ্যমে আল্লাহভীতি প্রকাশ পায় সে দিকে নজর দিতে হবে ।

এই প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন :

يٰبَنى ءادَمَ قَد أَنزَلنا عَلَيكُم لِباسًا يُوٰرى سَوءٰتِكُم وَريشًا ۖ وَلِباسُ التَّقوىٰ ذٰلِكَ خَيرٌ ۚ

ذٰلِكَ مِن ءايٰتِ اللَّهِ لَعَلَّهُم يَذَّكَّرونَ

হে আদম সন্তান ! আমি তোমাদের জন্য অবতীর্ণ করেছি পোশাক । যা তোমাদের ব্যক্তিগত অঙ্গগুলোকে ঢেকে রাখে। আর অবতীর্ণ করেছি সাজ সজ্জার পোশাক । আল্লাহভীতির পোশাক সর্বোত্তম । (সুরা আরাফ : ২৬)



উপসংহার :

ইসলাম হুমকি ধমকি দিয়ে পালন করার বিষয় নয় । ইসলাম যুক্তি-প্রমাণ ও বাস্তবতার ধর্ম ।

যে বা যারা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন ( তা যে কোন মাধ্যমেই হোক ) , তাদের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে বাধ্য হবো এবং আইনের দারস্হ হতে বাধ্য হবো ।

পরিশেষে আমরা যারা ছেলে তাদের হাসরের মাঠে যাতে দাইয়ুস উপাধি হতে পেতে না হয় , এজন্য অধিনস্হ মেয়েদের ইসলামী নীতিমালায় জীবন যাপন করার জন্য সচেষ্ট হবো - এটা হোক আমাদের চেষ্টা-সাধনা-সংগ্রাম ।

আর যারা মেয়ে তাদের মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ (متغيرة الريح ) উপাধি হাসরের মাঠে যাতে পেতে না হয় , সেজন্য নিজেরা ইসলামী নীতিমালায় জীবন যাপন করার জন্য সচেষ্ট হবো - এটা হোক তাদের চেষ্টা-সাধনা-সংগ্রাম ।

অন্যথায় যারা দাইয়ুস ও মুতাগাইরাত্ রাইয়াহ্ (متغيرة الريح ) হাসরের মাঠে পাবেন তারা জাহান্নামী হবেন এবং দুনিয়ায় অশেষ কষ্ট ও লাঞ্চনা ভোগ করবেন ।

আল্লাহ আমাদের ইসলামী নীতিমালা মেনে পোষাক পড়ার তৌফিক দান করুন ও এই ব্যাপারে সবার দায়িত্ব অনুভুতিকে জাগ্রত করে দিন ।

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবীন ।

বিষয়: বিবিধ

৫৩৮০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

314997
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:০২
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : সাধারনভাবে যেটা বুঝি বয়ষ্ক বা বুড়োরা মুখ খোলা রাখুক, কিন্তু তরুনীদের বেলায় বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মুখ ডেকে রাখা উচিত, কারন চেহারাই বিপরীত লিঙ্গকে বেশি আকৃষ্ট করে। আর নেকাবের দরকার নেই বলে প্রচারনারও কোনো মানে হয়না। কারন এমনিতেই আমরা মুসলমানরা ফাঁক ফোকর খুঁজি বেশি। এটা ফরজ না হোক উপকার তো দিচ্ছে। তাইলে এটাকে সরাতে এত উঠপড়ে লাগতে হবে কেনো? এটাতো বেদা'তের মধ্যেও পড়েনা। তাই বড়জোর আপনি প্রচারনা না করে বলতে পারেন এটার জন্য জোরজবরদস্তি করা যাবেনা।
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৪৬
256019
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : নেকাব একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়...
আপনি যদি ইসলামের দায়ী হয়ে থাকেন আর দাওয়াতের ময়দানে সফল হওয়ার জন্য আপনার মধ্যে যদি পেরেশানী কাজ করে তাহলে জমীনের চিত্র আপনার কাছে পরিষ্কার। যাদের ইসলাম নিয়ে পেরেশানী সীমাবদ্ধ আছে শুধু ঘর আর ওয়াজ মাহফিলে অথবা মাদরাসার চারদেয়ালের ভিতরে সিলেবাসভূক্ত বই পড়ার মধ্যে তাদের চিন্তা , লেখা, কথাবার্তায় ইসলামের কাজের টেকনিক ফুটে না উঠে আবেগ , পুরানো ফতোয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি , কট্টরতা ফুটে উঠা খুবই স্বাভাবিক। যাদের সাথে সাধারন মানুষের ডিলিংস নেই , বিরোধী মতের ব্লগে বা পাড়ায় আনাগোনা নেই , ইসলাম বিরোধীদের টেকনিক নিয়ে যাদের এনালাইসিস নেই তাদের দাওয়াতী টেকনিক অপরিপক্কতায় ও বালখিল্যতায় ভরপুর হবে এটাও খুব স্বাভাবিক।

একজন মা যেভাবে তার ছোট শিশু সন্তানের কান্নার সময় তার চরিত্র ও অবয়ব পরিবর্তন করে শিশুটির কান্না বন্ধ করার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান ঠিক তেমনি আল্লাহর জমীনে আল্লাহর পথের দায়ীদের দাওয়াতী টেকনিকে ময়দান উপযোগী কথাবার্তা , চিন্তাভাবনা , কৌশল এর ছোয়া পাওয়া যাওয়ার কথা। যদি মা ও শিশুর সম্পর্ক খুব ভাল হয় তবে মা জেনে যায় শিশুর চাহিদা ঠিক তেমনি দাওয়াতের ময়দানের সাথে যদি দায়ীর সম্পর্ক গভীর হয় দায়ী অটোমেটিক জেনে যায় "হোয়াট টু ডু " কি করা উচিত ।

ফসলের জমীর কৃষক যেভাবে তার ফসল ভালবাসে , জমীর ফসলের খোজখবর নিয়মিত নেয় ও সমস্যা সমাধানের জোর তৎপরতা চালায় ঠিক তেমনি আল্লাহর দ্বীনের দায়ীদের চিন্তাভাবনাও ময়দানের সমস্যা সমাধানের নিমিত্ত হওয়ার কথা।

ব্যতিক্রম মানেই তার সাথে দাওয়াতের ময়দানের সম্পর্ক নেই।


এই মূহুর্তে সকল ইসলামপন্থীদের আহবান জানাই একটি সার্ভে কার্যক্রম হাতে নেয়ার জন্য ।

১.তাদের জানা দরকার কেন এদেশের নারীরা এদেশে ইসলামী দল ক্ষমতায় যাক তা চায় না?
২. বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা থেকে ক্যাম্পাসগুলোতে তরুনীরা পালিয়ে বেড়ায় কেন?

আমার মনে হয় কয়েকটি উত্তর পাওয়া যাবে।
১. ওরা সবাইকে বোরকা আর নেকাব পড়তে বলবে।
২. মহিলাদের ঘর থেকে বের হতে দিবেনা।
৩. মহিলাদের চাকরী করতে দিবেনা।
৪. মহিলাদের প্রেম - বিয়েতে বাধা হয়ে দাড়াবে।
৫. মহিলাদের সাজতে দিবেনা।
৬. বেড়ানো বন্ধ করে দিবে।
৭. পর্দার একটু খেলাপ দেখলেই প্রস্তর আঘাতে হত্যা করা হবে।
৯. বাড়ির মধ্যে নাটক সিনেমা দেখা বন্ধ করে দিয়ে বিনোদনের সুযোগ থেকে মহিলাদের বঞ্চিত করা হবে।
১০.অপচয় অপচয় চিৎকার চেচামেচি করতে করতে মহিলাদের গিফট পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
১১. সামগ্রিক ভাবে মহিলাদের আনন্দ কেড়ে নিবে।
১২. মহিলাদের সার্বক্ষনিক বকা ঝকা করা হবে।

এভাবে আরো অনেক কথা বের হয়ে আসবে। যেটি সবার কাছ থেকে আসবে সেটি হল নেকাব।এদেশের আধুনিক সমাজ প্রচন্ড পরিমানে নেকাবের ব্যাপারে ভীত। আধুনিক তরুনীরা নেকাবকে ফাসিঁর মত ভয় করে। স্পেশালী তরুনীরা। এদেশের ইসলামপন্থীরা মেয়েদের ইসলাম মানে বোরকা আর নেকাবে সীমাবদ্ধ এমন একটি মেসেজ জনগনকে দিয়ে রেখেছে বা জনগনের মাঝে এই চিন্তা দুরীকরনে বড় ধরনের কোন উদ্যেগ নেয়নি।

এদেশে ইসলাম আসলে সবচেয়ে সুবিধা নারী সমাজের এই কথাটি কি আমরা নারী সমাজকে বুঝাতে পেরেছি?


ইসলামী সমাজে নারী সমাজের কি অবস্থান লক্ষ্য করুন

১. আলজান্নাতু তাহতা আকদামিল উম্মেহাত। মায়ের পায়ের তলে সন্তানের বেহেস্ত। সুতরাং বেহেশত পেতে হলে সন্তানকে সার্বক্ষনিক তার মায়ের তোষামোদি আর সেবাতে ব্যস্ত থাকতে হবে।
২. খিয়ারুকুম ফি নিসাইকুম । তোমাদের মধ্য সে ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট ভাল ।সুতরাং স্ত্রীর নিকট ভাল থাকতে হলে স্বামীকে অবশ্যই কামিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। আর স্ত্রীর সন্তুষ্টির দিকে নজর রাখতে হবে।
৩. তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যার প্রথম সন্তান মেয়ে। আলহাদীস
৪. ভাইদেরকে অবশ্যই তার বোনের পৈত্রিক সম্পত্তি দিয়ে দিতে হবে।
৫. পর্দা পালনের স্বার্থে যুবকদেরকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করে তরুনীদের মনোরঞ্জন করতে হবে।
৬.রাসুলের অনুকরনে স্ত্রীদেরকে সফর সঙ্গী করতে হবে মানে বেড়াতে নিয়ে যেতে হবে।
৭. রাসুল সা: মেয়েদেরকে সাজুগোজু করতে আর হাতে মেহেদী লাগাতে উৎসাহিত করেছেন।
৮. পানজেগানা নামাজ মসজিদে পড়তে আর ঈদের নামাজে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
৯. মেয়েদের জন্য প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। কারন স্কুল কলেজে ইন্টার পর্যন্ত ছাত্রছাত্রী আলাদা করলে তাদের জন্য প্রচুর মহিলা টিচারের দরকার হবে। এভাবে প্রত্যেক ক্ষেত্রে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরী হবে। এভাবে ব্যবসা বানিজ্য , পুলিশ সেনাবাহিনী সহ অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের ৩০% কোটার চেয়েও বেশী চাকরীর সুযোগ তৈরী হবে।
১০. ইসলামী সমাজে পুরুষদের চক্ষু অবনত করার ব্যাপারে মোটিভেশন থাকার কারনে মেয়েরা সোশ্যাল সিকিউরিটি পাবে।
১১. আত্বরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ট্রেনিং পাবে।
১২. আর্থিক নিরাপত্তা পাবে।
১৩. বিধবা ভাতা , বয়স্ক ভাতা , মাতৃত্বকালীন ভাতা পাবে।
এভাবে বিস্তর সুবিধার কথা বলা যাবে।


যাদের সুবিধা আর কল্যানের জন্য আপনি ইসলাম কায়েম করতে চান সেই নারীরা আপনাকে তাদের জীবনের চরম শত্রু ভাবছে কেন?

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকগুলো কারনের মধ্যে নেকাব ভীতি অন্যতম।

স্মার্ট বোরকা আর স্কার্ফের প্রচলন করা গেলে মেয়েদের মধ্যে বোরকা ভীতি পুরোই দুরীভূত হবে। চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি যার বাস্তব উদাহরন। আইআইইউসির ছাত্রীদের প্রচলন করা বোরকা র্স্কাফ আর দিগন্ত টিভির হিজাব স্টাইল নারী সমাজে সাদরে গৃহিত হয়েছে।


গবেষক ব্লগার মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম এর ব্লগ গুলো দেখতে পারেন ।
তার মতে, সৌদি আরব ও পাকিস্তানে কেন নারী সমাজ পিছিয়ে আছে তার কারণ বহুবিধ । বোরকা ও নিকাব যে মুসলিম নারী সমাজকে পিছিয়ে রাখার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান কারণ তা বর্তমান কালের কিছু গবেষণা জোড় দিয়ে তা উপস্হাপন করেছে :

http://www.pewresearch.org/fact-tank/2014/01/08/what-is-appropriate-attire-for-women-in-muslim-countries/#utm_source=mostpopularft&utm_medium=internal&utm_campaign=PR

http://blog.foreignpolicy.com/posts/2014/01/08/survey_says_muslim_women_should_cover_their_hair_but_not_their_faces#sthash.ZamGCFvg.UYEh1ytC.dpbs

বাংলাদেশের মেয়েদের পোষাক নিয়ে অনেক মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে যাচ্ছে । বলা হচ্ছে মেয়েদের বাঙ্গালী হতে হলে বিশেষ পোষাক ও ফ্যাশন অবলম্বন করতে হবে । আমি এই বিষয়টিকে অগ্রাজ্য করে ও যুক্তিখন্ডন করে বেশ কিছু লেখা লিখেছি । আপনারা আমার এসব লেখা পড়ে দেখতে পারেন :


1. মেয়েদের যেভাবে শাড়ি পড়া উচিত
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/334


2. বাংলাদেশের মুসলিম মেয়েদের শাড়ি পড়া কি ধর্মবিরোধী ?
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/999

3. মেয়েদের পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে যেসব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/11354

4. হিজাব ব্লগিং, হিজাব পার্লার ও হিজাব সেলুন কি এবং কেন ?


http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1759


5. মেয়েদের লুঙ্গি পড়া প্রসঙ্গ

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/11658

6. ব্লগার বানুর দৃষ্টিতে বোরকা ও আমার অভিমত
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/11999

7. বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনে উপেক্ষিত ইসলামী মূল্যবোধ ( ১ম পর্ব )
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/16181

8. আমরা একটি ব্যতিক্রমধর্মী টিভি বিজ্ঞাপন বানিয়েছিলাম


http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/15367

10. মহিলাদের মহিলা ইমাম-এর পেছনে নামাজ পড়ার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/20819

11. নিকাব সুস্হ জীবনবোধের পরিপন্হী (পর্ব : ১)
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27911

12. নিকাব সুস্হ জীবনবোধের পরিপন্হী (পর্ব :২)
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27990

13. নিকাব ও সুস্হ জীবনবোধ ( পর্ব : ৩ )

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/28893

14. যৌনতা, যৌনবোধ এবং সুস্হ-সাভাবিক-নিরাপদ যৌনতা উপভোগের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা (১ম পর্ব )
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/28561

15. তুরস্কে ৯০ বছর পর হিজাব বৈধ করলো এরদুগানের দল একেপি এবং বাংলাদেশে হিজাব প্রসঙ্গ

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/29053

16. দেরিতে বিয়ে করলে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/30588

17. লাভ এন্ড রিলেশনশীপ কোচিং এখন বাংলাদেশে


http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/31120

18. তুর্কি পার্লামেন্টে হিজাব পরা নারী
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/30825
_
19. বাংলাদেশের চিরায়ত নারী (১ম পর্ব)

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32602

20. বাংলাদেশের চিরায়ত নারী এবং পর্দানশীল নারীরা (২য় পর্ব)
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32728
21. বোরকা ও নিকাব কীভাবে স্বাস্থ্যগত ও ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষতি ঢেকে আনে ? (১ম পর্ব)

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/33215

22. মওদুদী দর্শণ, মওদুদীবাদ ও মওদুদী মতবাদ কি এবং কেন ? (১ম পর্ব)

http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/33316

23. ইউনিভার্সিটি অব সাইথ এশিয়ার ছাত্র-ছাত্রীদের গ্যাংনাম স্টাইল নাচ এবং ইসলামী দৃষ্টিকোন
http://www.bdtomorrow.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/33409



24. টুডে ব্লগঃ মওদুদী দর্শণ, মওদুদীবাদ ও মওদুদী মতবাদ কি এবং কেন ? (১ম পর্ব)
http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/33316

নেকাবের পক্ষে একটি শক্তিশালী যুক্তি হল "মেয়ের চেহারা দেখে একজন পুরুষের মনে ফেতনা তৈরী হয়"।


আমি তাকে ও আরো যারা নেকাবের সমর্থক তাদের সবিনয়ে প্রশ্ন রাখতে চাই...

আরে ভাইয়েরা চেহারা দেখে যদি আপনার মনে ফেতনা তৈরী হয় সে ফেতনা বন্ধ করার দায়িত্ব মেয়েরা নেবে কেন? আপনার তাকওয়া কোথায় গেল? আপনার মনের র্পদা কোথায় গেল?
আপনার ইসলাম প্র্যাকটিস কোথায় গেল?
আপনি চক্ষু অবনমন করলেই হয়।আপনার দায়িত্ব হল চক্ষু অবনমন করা।

কুরআন হাদীস কিন্তু আপনার পর্দা রক্ষা করার দায়িত্ব , আপনার মনের ফেতনা দুরীকরনের দায়িত্ব মেয়েদেরকে দেয়নি। আপনার আমলের দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।




একটি মেয়ে যদি বলে "পুরুষের চেহারা দেখে ওর সমস্যা হয় । তাহলে পুরুষরা কি নেকাব পড়বে।"?

নেকাব যদি পড়তেই হয় "আমার মনে হয় পুরুষ মহিলা দুই প্রজাতিকেই নেকাব পড়া উচিত। "



কুরআন ও সহীহ হাদীস অলংঘনীয় কিন্তু তাফসীরকারকের দৃষ্টিভঙ্গী ঠিক পাথে গিয়েছে কিনা এটা লক্ষ্য করার সুযোগ আছে ।সামাজিক বর্তমান অবস্থাকে বিবেচনায় রেখে ইজমা কিয়াসের ব্যাপারে নতুন করে ভাবার সুযোগ ইসলামই দিয়েছে। ইজতিহাদ ,গবেষনা ,চিন্তা -ফিকির ইসলাম উৎসাহিত করে।


ইসলাম খুবই সহজ:

ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামপন্থী , ইসলামী আন্দোলনকারী, ইসলামী রাজনীতির নেতা কর্মী ও ইসলামী গবেষক, আলেম উলামা ,পীর মাশায়েখ সবারই জানা থাকার কথা যে ইসলাম সহজ।

لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কারোর উপর এমন কোন কষ্টদায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না , যা তার সাধ্যাতীত । ( সুরা বাকারা ২: ২৮৫ )

আমাদের জন্য ইসলামকে আল্লাহ জীবন ব্যবস্হা হিসেবে দিয়েছেন । কিন্তু আল্লাহ মধ্যমপন্হার নির্দেশ দিয়েছেন ।
"কাজালিকা জাআলনাকুম উম্মাতাওঁ ওয়াসাতাল লিতাকুনু শুহাদায়ি আলাননাস। "



ইসলাম শান্তির , শান্তি প্রতিষ্ঠার জীবন ব্যবস্হা । ইসলাম কঠোরতার ব্যবস্হা নয । আল্লাহ বলেছেন :

يُرِيدُ اللّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلاَ يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ
আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তা চান । যা তোমাদের জন্য কষ্টদায়ক তা চান না । ( সুরা বাকারা : ১৮৫ )


يُرِيدُ اللّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمْ وَخُلِقَ الإِنسَانُ ضَعِيفًا
মানুষ সৃষ্টিগত ভাবে দুর্বল । তাই, আল্লাহ তোমাদের বোঝা লঘু করতে চান । (সুরা নিসা :২৮ )

ইসলামী শরিয়াতের মূলনীতিমালা বর্ণিত হয়েছে এভাবে :
কোন কিছু ক্ষতিকর হবে না এবং হয়রান করা হবে না । ( ইবনে মা'যা )

"ইয়াসসিরু ওয়ালা তুয়াস্সিরু বাশ্শিরু ওয়ালা তুনাপ্পিরু"

সহজ কর কঠিন করনা সুসংবাদ দাও বিতশ্রদ্দ করনা।






দূর্ভাগ্যজনক ভাবে কট্টর ইসলামপন্থী ও কট্টর ইসলাম বিরোধীদের লক্ষ্য এক ও অভিন্ন:

ইসলাম বিরোধীরা চায় মানুষ ইসলামকে কঠিন ,বর্বর ,ব্যকডেটেড ,মধ্যযুগীয় চিন্তা হিসেবে নিক। এই জন্য তারা বুদ্ধিবৃত্তিক তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী । আর কিছু দুরদৃষ্টিহীন ইসলামপন্থী চায় ইসলামকে কঠিন করতে । তারা এমন সব বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছেন যেগুলো ফরজ ওয়াজিব সুন্নাত কিছুই নয়। যার কারনে মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। ইসলামকে কঠিন মনে করে নিজেদের জীবনে ইসলাম প্র্যাকটিস করছেনা। ফরজ মানছেনা। হারাম মানছেনা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ইসলামকে যেতে দিতে তারা ভয় পাচ্ছে।


দুরদৃষ্টিহীন কট্টর ইসলামপন্থীরা নারী সমাজকে বুঝাতে চায় যে ইসলাম মানে তোমার বোরকা পড়া আর নেকাব পড়া। অথচ ইসলাম মানে ঈমানদার হওয়া , আল্লাহর গোলামী করা , রোযা রাখা , যাকাত দেয়া, আল্লাহর আদেশ মানা, হারাম বর্জন করা আর মাকের্টে শপিং করতে গেলেও নামাজ পড়া। ইসলাম মানে নারী সমৃদ্ধি ও নারী মুক্তি।

নেকাবের অপব্যবহার:

বিশিষ্ট গবেষক ব্লগার ফখরুল ভাই লিখেছেন

নেকাব পড়ে আর কী ধরনের কাজ হয় :

১.নেকাব অনেক অপরাধমূলক কাজ করার সহায়ক ।
২.অনেক দুধর্ষ চোরাকারবারীরা নেকাব ব্যবহার করে ।
৩.পতিতারা নিজ পেশার সুবিধার্তে রাস্তায় চলাফেরা করার সময় নেকাব পড়ে । সমাজ তাদের চিনতে পারছেনা। হোটেলে আর পতিতালয়ে যাওয়ার সময় নেকাব ব্যবহার করে।
৪.বখাটে ছেলে ও অবৈধ প্রেমিকের সাথে খারাপ কাজ করার জন্য স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ও মাদ্রাসার অনেক মেয়েরা নেকাব ব্যবহার করে ।
৫. স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার সৌখিন পতিতারা অপরাধ গোপনের জন্য নেকাব পড়ে থাকেন ।এজন্য আমরা প্রায়ই এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মৌসুমে কিছু মেয়েকে নেকাব ও বোরকা পড়তে দেখি ।
৬. পরীক্ষার হলে নকল করার জন্য কিছু মেয়ে নেকাব পড়ে থাকে ।
নকল করার জন্য নেকাব পড়া মেয়েরা প্রচন্ড সুযোগ নেয় । শিক্ষকরা এবিষয়টি লক্ষ্য করে থাকেন ।৬. অনেক মেয়ে রাস্তাঘাটে পার্কে জিনা করা জন্য নেকাব ব্যবহার করে থাকে ।
http://www.youtube.com/watch?v=Vh4cLS7Ja24&feature=player_embedded
৭. ভাল পরিবারের অনেক মেয়ে বাড়ির লোকজন ও পরিচিত সমাজের চোখে ধুলো দিয়ে সিনেমা দেখার জন্য নেকাব পড়ে ।
৮. পার্কে ও হোটেলে অবৈধ প্রেম করার জন্য অনেক মেয়ে নেকাব করে ।
৯. অনেক মহিলা পকেটমার চুরি করার সুবিধার জন্য নেকাব পড়ে থাকে ।
১০. অনেক মেয়ে নিজেকে অসুন্দর মনে করে নিজেকে আড়াল করার জন্য নেকাব পড়ে ।
১১. অনেক বড় বড় মহিলা মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রব্যবসায়ী নেকাব ব্যবহার করে থাকেন ।
১২.সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নেকাব ব্যবহার করে থাকে ।
১৩.অনেক ধার্মিক লোক ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে নেকাব পড়ে থাকেন । যদিও এটা ধর্মের অবিচ্ছেদ্য বিষয় নয় । সওয়াবের উদ্দেশ্যে নেকাব পড়া বিদাত হবে কিনা ভাবার অবকাশ আছে।


আধুনিক নারী সমাজে ইসলামী আন্দোলন সম্প্রসারিত হওয়ার জন্য অন্যতম বাধা হল নেকাব। এটি ইসলামের আবশ্যকীয় বিধান নয়। ইজমা কিয়াস এর কথা বলে নেকাবের পক্ষে কোন বাড়াবাড়ি নয়। আল্লাহর ফরজ সম্প্রসারনে বাধা হয়ে দাড়ানো উপাদান নেকাব এর পক্ষে কোন অবস্থান নয়।

কারন নেকাব একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়। যেটি লক্ষ কোটি নারীকে ফরজ পালনে অনুৎসাহিত করছে। ইসলাম সম্পর্কে খারাপ মেসেজ দিচ্ছে। এক বিঘত কাপড় নেকাব থেকে ইসলামের অস্তিত্ব অকল্পনীয়ভাবে বড়।

কোন বিতর্ক নয় । নারী ময়দানে ইসলামের দাওয়াতের কাজের স্বার্থে নিকাবের পক্ষে অবস্থান পরিবর্তন করুন।

আসুন দাওয়াতের ময়দানে একজন ডাক্তারের ভূমিকা পালন করি।
লেখক : লোকমান বিন ইউসুপ - শিবিরের সাবেক সভাপতি ,আন্তজার্তিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম http://lokmanbinyousuf.blogspot.com/2013/07/blog-post_6500.html
315018
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০১:৫৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার এই মেয়ে ঘেঁসা তরিকাটার নাম কি ভাই? মেয়েদের ব্যাপারে আপনার বেশ আগ্রহ৷ মেয়েরা লিপষ্টিক লাগালে বেশ ভালই লাগে,কি বলেন?
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪৩
256043
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি এই তরিকার নাম জানি না । এক দিন আমার লেখা পড়ে কে যেনো বল্লো : আমার লেখাতে ইসলামি ফেনিনিজমের আঁচ পাওয়া যায় ।

মেয়েদের ব্যাপারে আমার আগ্রহ থাকবে । কারণ মেয়েরা আমাদের দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের ভুমিকা রাখছে আর তারা পিছিয়ে আছেন । উপরন্তু মুসলিমদের মেয়েদের উন্নায়ন-অগ্রগতি মানে মুসলিম বিশ্বের উন্নায়ন-অগ্রগতি প্রগতি ।

মেয়েদের হাল্কা রং-এর লিপিস্টিক ব্যবহার করা খারাপ কিছু নয় ।
315027
১৫ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:১৯
আনিসুর রহমান লিখেছেন : আমাকে অনেক আগের থেকেই আহলে হাদিস , ওহাবী ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর কিছু সন্ত্রাসী হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ।
স্পস্টতই বুঝা যাচ্ছে যে আপনি কাফের মুনাফিকদের মত মুসলিম উম্মার ঐক্য নয় বিভিক্ত চাছেন। আমরা আপনার তরিকাকে কী নাম দিব জানালে ভাল হয়। যেমন ধরেন, মেয়েলী ইসলাম, হেজাবে ইসলাম, মেয়েদের হেজাব আল হাদিস কিংবা হেজাবী।
আরেকটু ভাল হয় যদি আপনি আপনার উপর যে হুমকী আসছে তার প্রমান স্বরূপ কোন National or International Link দেন।
ধন্যবাদ
১৬ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫২
256400
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমাকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি অনেক বার আমি আমার লেখায় ও ফেসবুক স্যাটাসে স্ক্রীনশট-সহ উল্লেখ করছি ।

আজ ফেসবুকে দেখলাম আমাকে নাস্তিক উপাধি দিয়েছে । কয়দিন আগে মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয়ে আর বলা হয়েছে আমাকে দেখে নেওয়া হবে । কয়েক মাস আগে বলা হয়েছে আমাকে হত্যা করা হবে ।

আমার এই ব্লগ সাইটেই আমার এক লেখায় স্ক্রীন শট দিয়েছি যাতে এক সৌদি আরব প্রবাসী জামায়াতী লোক নজরুল ইসলাম টিপু তার ফেসবুক একাউন্টে আমাকে নিয়ে নোট লিখেছেন । তিনি তার এই নোটে আমাকে শীর্ষ ১৪ নাস্তিক লেখকের এক জন হিসেবে উপস্হাপন করেছেন । তারপর অনেক জামায়াত-শিবিরের লোক আমাকে হত্যার হুমকি দেন ।



আমি মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্ষতিরক সব উপাদান-গোত্র-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের অপতৎপড়তাকে তুলে ধরছি এবং তাদের নিয়ে গবেষণা করছি ।


আপনার উল্লেখিত নামগুলো আমি দেওয়ার পক্ষপাতি নই । কারণ আমি কোন মতবাদ বা তরিকা বানাচ্ছি না । আমি শুধু নীতি ও নৈতিকতার দিক থেকে লোকেরা সৎ হওয়ার পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দীতে যাতে যার যার অবস্হান থেকে মানুষ সভ্যতার জন্য অবদান রাখতে পারে সেজন্য আমি আঙ্গুল দিয়ে কী কী করণীয় সেগুলো তুলে ধরছি ।
১৮ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩২
256631
আনিসুর রহমান লিখেছেন : কাউকে নাস্তিক বলা এবং হত্যার হুমকী দেওয়া একই বিষয় না এই দূইয়ের মাঝে আছে আকাশ-পাতাল পাথ্যক। বস্তুত ইসলাম সম্পকীত বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা ও কৌশলী নাস্তিকের ব্যাখার মাঝে আমি কোন পারথক দেখছি না।
আমি মুসলিম উম্মাহর জন্য ক্ষতিরক সব উপাদান-গোত্র-গোষ্ঠী-সম্প্রদায়ের অপতৎপড়তাকে তুলে ধরছি এবং তাদের নিয়ে গবেষণা করছি ।
এক মুসলীম ভাইয়ের দোষ ত্রুটি গুল সংসধনের জন্য তার দোষ ত্রুটি গুল দেখিয়ে দেওয়া ও উপদেশ দেওয়ার মাঝে আমি কোন খারাপ কিছু দেখছি না। কিন্ত আপনি কী তা করছেন? বরং আপনি মুসলীম ভাইয়ের পিঠে ওহাবী, মওদুদী, মাদানী, --- শীল মহর মেরে তাদেরকে বলছেন শয়তান, কাফের। যারা কাফেরদেরকে ছেরে মুসলীম ভাইয়ের বিরুদ্ধে লাগে তাদেরকে নবী করিম() কি বলেছেন, তা অরেকটু ভাল করে গবেষণা করলেই জানতে পারবেন।
আপনার উল্লেখিত নামগুলো আমি দেওয়ার পক্ষপাতি নই । কারণ আমি কোন মতবাদ বা তরিকা বানাচ্ছি না । আমি শুধু নীতি ও নৈতিকতার দিক থেকে লোকেরা সৎ হওয়ার পাশাপাশি একবিংশ শতাব্দীতে যাতে যার যার অবস্হান থেকে মানুষ সভ্যতার জন্য অবদান রাখতে পারে সেজন্য আমি আঙ্গুল দিয়ে কী কী করণীয় সেগুলো তুলে ধরছি ।
আপনার দেখানো পথ ও নাস্তিক মুরদাতদের দেখানর পথ এর মাঝে কোন পাথক নেই আবং তারা তা করছে আপনার মত একই কথা বলে। খারাপ শুনালেও এটাই সত্য। ধ্যনবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File