মুসলিম মেয়েদের সাঁতার শেখার গুরুত্ব ও তাৎপর্য (পর্ব - ১)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২০ মার্চ, ২০১৫, ০৬:০৩:৩০ সন্ধ্যা
সুচনা :
মুসলিম মেয়েদের সাতার শেখা ও আত্মরক্ষা কৌশল শেখা অবশ্য করণীয় কাজ । আজ পিনাক ৬ নামক লঞ্চ ডুবিতে বেঁচে যাওয়া লোকের দেখা পেলাম । এবিষয়টার উপর আমি অভিভাবকদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোদ করছি । যদিও জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলামীর সাথে যুক্ত লোকরা এবং বাংলাদেশের আলেম সমাজের বড় অংশ মেয়েদের সাঁতার শেখার চরমবিরোধী । তাদের মতে যে সব মেয়ে সাঁতার শিখবে তার ও তাদের অভিভাবকদের কবিরা গুনাহ হবে । আর সাঁতার শিখলে মেয়েরা পর্দা ও বেআব্রু হয়ে যাবে ।
পিনাক ৬ লঞ্চ ডুবির ভিডিও :
১. https://www.youtube.com/watch?v=qJIbRawbu8U
২. https://www.youtube.com/watch?v=VhV0DsdMMQI
৩. https://www.youtube.com/watch?v=0n8m6jQ_Z4w
৪. https://www.youtube.com/watch?v=G_YlnfUzqa4
পিনাক ৬ লঞ্চ ও তিন বোন :
পিনাক ৬ নামক লঞ্চ জন তিন মেধাবীছাত্রী ও বোন ছিলেন । তারা পড়াশোনায় ও সমাজ-কল্যানমুলক কাজে ভীষণ অগ্রগামী ছিলেন । বাড়িতে আসার জন্য তারা কাওড়াকান্দি লঞ্চঘাটে এসেছিলেন ।পথিমধ্যে তারা একটি সেলফি তোলেন।পরে তাদেরই একজন ৪ অগাস্ট ২০১৪ সোমবার সকাল ৯টা ৩৬ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে বোনেরএকটি ছবি আপলোড করেন। ছবিটির ক্যাপশন ছিল‘অন দ্য ওয়ে সিস্টার জার্নি’।
মেধাবী তিন বোন : জান্নাতুন নাঈম লাকী,নূসরাত জাহান হীরা,ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা -র জীবনের শেষ সেলফি
তাদের আনন্দ যাত্রাকে বিষাদে ডুবিয়ে এ সেলফিই হয়ে থাকলো তাদের জীবনের শেষ স্মৃতি,যেটা পাওয়া গেছে মাওয়ার লঞ্চ দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ জান্নাতুন নাঈম লাকী - র ফেসবুক পেজে। আসলেও তিন বোনের এ যাত্রা ছিল অন্য রকম ! উদ্দেশ্যটাই যেন তিন বোনের হারিয়ে যাওয়া।কে জানতো প্রমত্তা পদ্মায় মরণেও তিনবোন একই সঙ্গে যাত্রা করবে !
তখনও তারা জানতেন না তাদের আর ফেরা হবে না ঢাকায়, ফেরা হবে না প্রিয় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে, পাওয়া হবে না প্রিয় বন্ধুদের সান্নিধ্য। ২৬শে আগস্ট ২০১৪ জন্মদিন ছিল নূসরাত জাহান হীরার।জয়নুল হক শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তার সহপাঠীদের কথা দিয়েছিলেন,ঈদের ছুটি কাটিয়ে যথা সময়ে ফিরে আসবেন তাদের মাঝে। বড় হওয়ার পরে সচরাচর জন্মদিন পালন হয়নি তার। এবার অন্তত বেশ ঘটা করে বন্ধুদের নিয়ে জন্মদিন পালন করবেন। কিন্তু সে স্বপ্নস্বপ্নই থেকে গেল নূসরাত জাহান হীরার । আজীবন একজন ভাল চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন মেধাবী হীরা। বাবামাকে কথা দিয়ে ছিলেন, নামী একজন চিকিৎসক হবেন। উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন গরিব রোগীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেবেন বলে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে পরিবার ও দেশেরমুখ উজ্জ্বল করবেন।একই সঙ্গে ছোট বোনকেও চিকিৎসক বানাবেন। কিন্তু কিছুতেই কিছুহলো না। সর্বনাশা পদ্মা কেড়ে নিয়েছে হীরাও তার ছোট বোন ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা (১৭) -কে ।
তাদের সঙ্গে হারিয়ে গেছে তাদের খালাতো বোন চীনের জইন জুইউ নিভার্সিটির চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম লাকী (২২)। শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আবদুল জব্বার সরদার ও পারভীন আক্তারের তিন কন্যার মধ্যে দ্বিতীয় জান্নাতুল নাঈম। ঢাকায় তারা বসবাস করতেন ৪২/২ বিসি দাস লেন লালবাগ এলাকায় । লঞ্চ দুর্ঘটনায় হীরার লাশ পাওয়া গেলেও অন্য দু’বোন স্বর্ণা ও লাকী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ।ধারণা করা হচ্ছে পদ্মা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় তাদেরও সলিল সমাধি ঘটেছে ।
সোমবার মাদারীপুরের কাওড়াকান্দিথেকে ছেড়েআসা এমএল পিনাক-৬ নামেরলঞ্চটি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া লঞ্চ ঘাট থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।এ লঞ্চের যাত্রী ছিলেন মাদারীপুরের শিবচরের নুরুল হক হাওলাদার (৫০)। তার দুইকন্যা নূসরাত জাহান হীরা (২০), ফাতেমা আক্তার স্বর্ণা (১৭) ওতাদের খালাতো বোন জান্নাত নাঈম লাকী (২২)। বাড়িতে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন তারা । নদী থেকে উদ্ধার হওয়া প্রথম লাশটিই ছিল হতভাগী হীরার । দুর্ঘটনায় নিজে বাঁচলেও দুই কন্যাকে বাঁচাতে পারেননি পিতা নুরুল হক হাওলাদার।
ছোটবেলা থেকে যেভাবে দু’কন্যাকে বুকে আগলে রেখেছিলেন, এম এল পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময়ও তাদের সেভাবেই আগলে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও তা পারেননি। চোখের সামনে সর্বনাশা পদ্মা হীরা ও স্বর্ণাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। সেই সঙ্গে ভেসে যায় তার আজীবন লালিত স্বপ্নও সাধ। একই সঙ্গে বিলীন হয়ে যায় হীরা ও স্বর্ণার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন। কন্যা শোকে পাগল প্রায় নুরুল হক হাওলাদার কন্যা হীরার লাশ পেয়ে শোকে হত বিহবল হয়ে যান।একই সঙ্গে দুই কন্যাকে হারিয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন হীরাও স্বর্ণার মা মাকসুদা বেগম। কেবলই মাতম করছেন তিনি। শোকের ছায়া নেমেএসেছে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার তাদের গ্রামের বাড়িতে।মেধাবী তিন বোনের এমন অকাল করুণ মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না এলাকাবাসী । সূত্রে জানা গেছে,মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার গুয়াতলা গ্রামের বাসিন্দানু রুল হক হাওলাদার ।পেশায় শিবচর সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক তিনি। দুই মেধাবী কন্যা হীরা ও স্বর্ণাকে নিয়ে ছিল তার স্বপ্ন। এ নিয়ে গর্ববোধ করতেন তিনি সকলের কাছে। ওদের চিকিৎসক বানাতে চেয়েছিলেন নুরুল হক হাওলাদার। সেজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছিলেন তিনি ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম। দু বোন এক ভাইদের মধ্যে বড় বোন হীরামাদারীপুরের শিবচর নন্দকুমার ইনস্টিটিউট থেকে২০১০ সালেরজিপিএ ৫পেয়ে এসএসসিও ২০১২সালে ফরিদপুরসারদা সুন্দরীমহিলা কলেজথেকে জিপিএ৫ পেয়েএইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ধানমন্ডির রায়েরবাজারে অবস্থিত জয়নুল হক শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিলেন।ভর্তি পরীক্ষায় তার মেরিট স্কোর ছিল ১৩৭। যা ‘খুবইভাল’ বলে মন্তব্য করেছেন তার কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। কিছুদিন আগেএমবিবিএস প্রথমবর্ষ (প্রথম পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষার্থী ) লিখিত পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি ।আজ (৬ইআগস্ট) মৌখিক পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নের অপেক্ষায় ছিলেন হীরা। বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার তাড়া ছিল একারণেই। ছোট বোনস্বর্ণা চলতি বছর শিবচরের শেখ ফজিলাতুন্নেসা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ রাইফেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেপ্ রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছিলেন। ৭ই আগস্ট তার কলেজ ছুটি শেষে তার ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল।সেজন্য ঢাকায় ফেরার তাড়া ছিল তারও। জীবনে বড় হওয়ার সাধ ছিল দু’বোনের। কিন্তু মাওয়ায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় তাদের স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটেছে।
গতকাল হীরা ওস্বর্ণার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধানমন্ডির রায়েরবাজার বধ্যভূমির পাশেই জয়নুল হকশিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজও হাসপাতালও পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায় শোকাতুর পরিবেশ। সহপাঠী প্রাণোচ্ছল হীরাকে হারিয়ে শোকে স্তব্দ হয়ে গেছেতার বন্ধুরা। শিকদার মেডিকেল কলেজে হীরার কয়েকজন সহপাঠী জানান,খুবই প্রাণোচ্ছলও বন্ধুবৎসলছিল হীরা। একইসঙ্গে ছিলমেধাবী ও পরোপকারী। কোন অহঙ্কার ছিল না তার।৭ই আগস্ট মৌখিক পরীক্ষার আগেই ঢাকা ফিরতে চেয়েছিল। এছাড়া ২৬শে আগষ্ট তার জন্মদিন বান্ধবীদের নিয়ে বেশ ঘটা করে পালন করার কথা ছিল। কলেজের অধ্যক্ষ মেজর জেনারেল (অব.) প্রফেসর বিজয়কুমার সরকার বলেন, হীরার অকাল মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক। যতদূর জানতে পেরেছি হীরা ছিল অমায়িক ও চনমনে। দুর্ঘটনায় একজন মেধাবীর প্রাণ ঝরে গেল।আমরাও হারিয়েছি ভবিষ্যতের একজন মেধাবী চিকিৎসককে। ইতিমধ্যে আমরা তার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছি। তিনি বলেন, শুধু হীরা বা স্বর্ণা নয় এভাবে লঞ্চ দুর্ঘটনায় একের পর এক প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে।এর কি কোন প্রতিকার নেই? এধরনের ঘটনায় যাতে এভাবে অকালে প্রাণ ঝরে না যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। স্বর্ণার সহপাঠী সাজিয়া আক্তার বলেন, ছোট বেলা থেকেই মেধাবী স্বর্ণা এসএসসিতে ভাল ফলাফল করে কলেজে ভর্তি হয়েছিল । তার স্বপ্ন ছিল নামী একজন চিকিৎসক হওয়ার। মেধাবী বড় বোনকে নিয়েও গর্ব ছিল তার। স্বর্ণাকে হারিয়ে আমরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।
কাজী শহীদ আল জারিন শিবচর(মাদারীপুর) থেকে জানান, নুরুলহক হাওলাদারের শিবচর পৌরএলাকার গুয়াতলার বাড়িতে গেলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায়।এক মেয়ের লাশ পেয়েছেন। আরেক মেয়ে এখনও নিখোঁজ। দুই মেয়েকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা মাকসুদা বেগম ও পিতা নুরুল ইসলাম হাওলাদার। এ প্রতিবেদক তাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মেয়েদের কথা বলে তারা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।আত্মীয়স্ বজন ও দুই সহোদরার সহপাঠীদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস তখন ভারি হয়ে ওঠে। কোন বাঁধ মানছেনা কন্যা হারা এপিতামাতার।আত্মীয় স্বজন যাকেই কাছে পাচ্ছেন জড়িয়ে ধরে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলছেন আমার মেয়েদের এনে দাও। ওদের খুব কষ্ট হচ্ছে।ওদের এনে দাও।মেয়েদের ছাড়া আমরা বাঁচব কি করে ? তাদের আহাজারিতে সান্ত্বনা দিতে আসা স্বজন ও এলাকাবাসীও চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না। নুরুলহক হাওলাদারের গ্রামের বাড়ি উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের গাছিকান্দি গ্রামে । ছেলেমেয়েদের পড়ানোর জন্য পৌর এলাকার গুয়াতলার বাড়িতে বসবাস করতেন তিনি। দুই বোনেরঅতি আদরের একমাত্র ছোটভাই নাঈম চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। বাবা-মায়েরস্ বপ্ন ছিল দুই মেয়েকে ডাক্তার বানাবেন। তারা মানুষের সেবা করবে।বিশেষ করে গরিব, দুখী ও সুবিধা বঞ্চিতদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা সেবা দেবে। সে লক্ষ্যে দুই মেয়েকে অনেক কষ্টে শিক্ষিত করে ছিলেন হীরা ও স্বর্ণার মা-বাবা। মাওয়ায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তাদের সে স্বপ্নের অপমৃত্যু ঘটলো। গত সোমবার সন্ধ্যায় শিবচর পৌরসভার গুয়াতলার বাড়িতে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িকাদিরপুরের গাছিকান্দির পারিবারিক কবরস্থানে হীরাকে দাফন করা হয়।
খবরের উৎস : মানব জমিন
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MzUyOTE=
(পরবর্তী পর্বে থাকবে মুসলিম মেয়েরা কীভাবে ও কোন ধরনের পোষাক পড়ে সাঁতার শেখবে । সবাইকে পড়ার জন্য অগ্রীম আমন্ত্রন রইল ।)
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৭ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
েএই লোকের প্রত্যেকটা লেখার বিষয় হল ফিৎনা, মানে লোকটা টাকা খাওয়া ইসলাম বিরোধী এজেন্ট।
ইসরায়েলি এজেন্টরা ইমাম সেজে এরকম ফিৎনা তৈরী করত মিশরে।
গ্রাম অঞ্চলে চরমোনাই পীর ও কওমী মাদ্রাসার লোকরা মেয়েদের পুকুর পারেই যেতে দেয় না । তারা গোসল করার সময় ও কাপড় ধোয়ার জন্য পুকুরে যায় । কিন্তু তাদের পুকুর পাড়ে ছোট্ট খুপড়ী ঘর বানিয়ে দেওয়া হয় । এর মধ্যে বসে তারা কাপড় কাচে ও গোসল করে । কুমিল্লার আঞ্চলিক ভাষায় এই খুপড়ি ঘরকে ঘাটলা বলা হয় ।
জামায়াত-শিবির বাংলাদেশের জন্য বড় বিপর্যয় সৃষ্টিকারী শক্তি । আরবীতে বিপর্যয়কারী শক্তিকে ফিতনা বলা হয় । আরবীতে ঝগড়াকে ফাসাদ বলা হয় ।
আমি মোটেই ফিতনা ফাসাদের সাথে যুক্ত নই । আমি লোকদের সচেতন করছি আর বিপর্যয়কারী শক্তিদের অশুভ-উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তি-সংহতিবিরোধী কাজগুলোও তুলে ধরছি ।
মিশরের বাজে অবস্হা সৃৃষ্টির পেছনে দায়ি জামায়াত-শিবিরের প্রভু সৌদি আরব ও ওহাবী বা আহলে হাদিসরা ।
আর জামায়াত-শিবিরের লোকদের কত জন সাতার জানে । আর জামায়াত-শিবিরের পড়াশোনার বিষয় বা সিলেবাসের বিষয়ে সাতার অন্তর্ভুক্ত আছে কি না ?
আমার জানা মতে, জামায়াত-শিবিরের সিলেবাসে বোমা বানানো ও মারামারি শেখা অন্তভুক্ত আছে ।
১৭ মার্চ হতে এই কয়দিন পত্রিকায় এমন খবর দেওয়া হচ্ছে :
http://www.dainikamadershomoy.com/2015/03/19/19774.php
http://www.ittefaq.com.bd/wholecountry/2015/03/18/16634.html
এই দুই লিংক হতে সামান্য ধারণা পাবেন ।
আমি আপনার বেশ কিছু লিখা পড়েছি, আপনি জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে সব সময় লেগে থাকেন কেন? তাতে কি লাভ হচ্ছে? আবার মেয়েদের গা থেকে বোরখা খোলার জন্যও মুহুর্মু পোস্ট করেন!!!!
সব কিছুতে বিষোধগার করে অন্যের ক্ষতি করতে পারলেও নিজের লাভ হবে কি?
ভাই আমার অনুরোধ, এতো বিদ্বেষ মনে রাখা ভাল নয়।
উনি যে কোন টাইপের লোক, তা উনার মন্তব্য "আমার জানা মতে, জামায়াত-শিবিরের সিলেবাসে বোমা বানানো ও মারামারি শেখা অন্তভুক্ত আছে ।" থেকে সহজে বোধগম্য।
উনি যে কোন টাইপের লোক, তা উনার মন্তব্য "আমার জানা মতে, জামায়াত-শিবিরের সিলেবাসে বোমা বানানো ও মারামারি শেখা অন্তভুক্ত আছে ।" থেকে সহজে বোধগম্য।
এলার্জি স্থায়ী কোন অসুখ নয়, কিন্তু উনার এলার্জিটা চিরবিদ্যমান এলার্জি।
আপনি আমাকে পত্রিকার লিংক দিচ্ছেন কেন? এইসব জামাত শিবিরের বই নয়!
আজব বটে। আপনি পত্রিকার খবর কে কোট করছেন? আপনাকে ভেবেছিলাম অনেক কিছু জানেন, হা জানতেও পারেন, কিন্তু কারো প্রতি বিদ্বেষ পরায়ন হয়ে যে ফাঁকা আওয়াজও ছাড়েন সেটা আপনার লিখায় প্রমাণ হয়ে গেলো!
আর হা, এইভাবে মানুষ কে সচেতন করলে, মানুষ সচেতন হয়য় না, বিভ্রান্ত হয়।
আপনি আমাকে পত্রিকার লিংক দিচ্ছেন কেন? এইসব জামাত শিবিরের বই নয়!
আজব বটে। আপনি পত্রিকার খবর কে কোট করছেন? আপনাকে ভেবেছিলাম অনেক কিছু জানেন, হা জানতেও পারেন, কিন্তু কারো প্রতি বিদ্বেষ পরায়ন হয়ে যে ফাঁকা আওয়াজও ছাড়েন সেটা আপনার লিখায় প্রমাণ হয়ে গেলো!
আর হা, এইভাবে মানুষ কে সচেতন করলে, মানুষ সচেতন হয়য় না, বিভ্রান্ত হয়।
ঐ লঞ্চ ডুবিতে যে কয়জন মেয়ে মারা গেছে, তাতে কয়জন ছাত্রী সংস্থার মেয়ে ছিল যারা সাঁতার না জানার কারণে মারা গেছে দয়া জানাবেন কি? যেখানে রাস্ট্র মেয়েদের সাতারের জন্য উদ্যোগ নেয় না, যদি নিতো তাহলে এতো মানুষ মারা যেতো না, সেখানে জামাত শিবির কে নিয়ে এতো মাথা ব্যথা কেন?
আর হা, আপনি যে কি তথ্য প্রমাণ হাজির করবেন, তা সহজেই বোধগম্য। শীঘ্রই আপনাকে দেখব পুলিশের মতই গাঁজাখুরি গল্প সাজিয়ে তথ্য প্রমাণ হাজির করতে।
আপনার প্রচেষ্টায় কয়জন মেয়ের গা থেকে বোরখা খসে পড়েছে, তার একটা পরিসংখ্যা দিলে উপকৃত হতাম।
একটা কথা মনে রাখবেন, আপনার কারণে যদি দশটা মানুষ সঠিক পথে আসে, তার উত্তম আপনি পাবেন, আবার আপনার কথায় বিভ্রান্ত হয়ে একটি মানুষও বিপথগামী হয়য় তাহলে আল্লাহর কাছে আপনি কঠিন জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং সে অনুযায়ী দাওয়াতী কাজ করুন।
গান শুরু করছেন।
১. জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহুর্তে বাংলা ছাড় (কথা ও সুর : সংগৃহিত , এই গানটা স্টেজে করলে ভীষণ সারা জাগবে । আর জামায়াত-শিবির দেখলেই লোকেরা তেড়ে আসবে । )
২. বড় আশা করে এসেছি গো - রবীন্দ্র সংগীত ।
৩. হেরা হতে হেলে দুলে - নজরুল সংগীত ।
৪. ঈদ মুবারক - কথা : পল্লী কবি জসিম উদ্দীন ও সুর : আব্বাস উদ্দীন । এই গানটা বাংলা ভাষায় গাওয়া প্রাচীনতম ঈদের গান । https://www.youtube.com/watch?v=j_gSAsN39xo
আপাতত এই গুলো । আর হারমুনিয়ামে সি সার্প স্কেলে রেওয়াজ করছি ।
সবাই বুঝে নিন কিসের ছদ্নাবরণে এই ইসলাম ও দেশ-বিরোধী এজেন্ট কার স্বার্থে কাজ করছে।
লোকটা আমাকে প্রশ্ন করেছে শিবির সাতার শেখায় কি না - কেমন উদ্ভট আজব পাগলামি প্রশ্ন - শিবির মেয়েদের কোলে করে সাতার শিখাবে?
সাতার ছোটবেলাতেই বাবা-মা শেখায়, ছেলে মেয়ে যে-ই
হোক।
এমন বিকৃত মানসিকতার লোক ইসলামের জ্ঞান দিচ্ছে!! চিনে রাখুন এই শয়তান মোনাফেককে।
১৯৭১ সালে জামায়াতের ভুমিকা কি ছিল বাংলাদেশের একটা বাচ্চাও জানে । জানে না জামায়াত-শিবিরের লোকরা । ১৯৪৭ সালে জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধীতা ও ব্রিটিশের দালালী করা এবং তিনি যে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্হার এজেন্ট ছিলেন - তা একটু জানা-শোনা লোকরা ভাল করেই জানেন ।
জামায়াত-শিবিরের লোকদের খুব কমই মেয়েদের গুরুত্ব দেয় । মেয়েদের সাতার শেখানোর ব্যাপারটা তাদের কল্পনার বাহিরে ।
জামায়াত-শিবিরের বেশির ভাগ লোক যৌন বিকারগ্রস্হ ও মানষিক রোগী ।
আমি আর বিশেষ কিছু বলতে চাচ্ছি না ।
তৈরী করেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন