রাসুল (সা.) - এর জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্ত্রি ও মিথ্যাচার করছে আল্লাহর নবীর দুষমণ জামায়াত-আহলে হাদিস-ওহাবী-সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল সম্প্রদায়
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৫ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৪৩:৫৩ সকাল
পটভুমি :
৪ ঠা জানুয়ারী ২০১৫ তারিখ মোতাবেক ১২ ই রবীউল আউয়াল ১৪৩৬ তারিখ অভিরাম ইভার মুখ-ক্ষ্যাত এটিএন সহ বিভিন্ন মিডিয়া এবং ইন্টারনেট-এ রাসুল (সা.) এর জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্ত্রি ও মিথ্যাচার করছিল আল্লাহর নবীর দুষমণ জামায়াত-আহলে হাদিস-ওহাবী-সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল সম্প্রদায় ।
অভিরাম ইভার মুখ দর্শনকারী কামালুদ্দীন জাফরী যিনি কি না ইভাকে কখনোই পর্দা করার জন্য দাওয়াত দেন নাই । কারণ এতে তার স্বামী অখুশী হবে আর তার চাকুরীও নট হয়ে যাবে । হায় রে আহলে হাদিসী ধর্ম ব্যবসায়ী
এ দিন জামায়াতী ও লামাযহাবী ধর্ম ব্যবসায়ী কামালুদ্দীন জাফরী ( লানাতুল্লাহ আলাইহি ) এটিএন-এ ইয়াওমুন নবী নামক দিবস প্রচলন করেন এবং এই কথিত দিবস উপলক্ষ্যে এই ধর্ম ব্যবসায়ী ৪ ঠা জানুয়ারী ২০১৫ তারিখ এটিএন-এ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা পরিচালনা করার সাথে প্রচার করেন ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বিদাত ও কবিরা গুনাহ ।
এটা হলো রাসুল (সা.) -এর ইতিহাস মুছে ফেলার জন্য এটা আল্লাহর নবীর দুষমণ জামায়াত-আহলে হাদিস-ওহাবী-সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল সম্প্রদায় গভীর ষড়যন্ত্র ।
তারা প্রচার করছে , নবীজির জন্ম দিন নাকি ১২ রবিউল আউয়াল নয়, অন্য কোন দিন।
অথচ সহিহ হাদীসেই প্রমাণ আছে ১২ রবিউল আউয়ালই হচ্ছে জন্মদিন ( http://goo.gl/lVKSYY ) । কিন্তু তারা সেটা বাদ দিয়ে মাহমুদ পাশা নামক এক মিশরীয় জোর্তিবিজ্ঞানীর কথাকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করছে। অথচ মাহমুদ পাশা নামক ঐ বিজ্ঞানী ছিলো কট্টর নাস্তিক, ফেরাউনবাদী ও ইসলাম বিদ্বেষী। (বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন: http://goo.gl/VFv29r )
উল্লেখ্য, মুসলিম জোর্তিবিজ্ঞানীরাই প্রমাণ করেছেন: ১২ রবিউল আউয়ালই হচ্ছে নবীজি পৃথিবীতে আগমন করেন । ( http://goo.gl/O1z3gq )
তাই যে সকল মওলানা, মসজিদের ইমাম, ওয়ায়েজ, টিভি চ্যানেলের কথিত স্কলার সহিহ হাদীস বাদ দিয়ে নাস্তিকদের কথাকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে নবীজির জন্ম ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা কখনই মুসলমান হতে পারে ন ও কাফিরদের এজেন্ট।
প্রত্যেক মুসলমান ভাইয়ের প্রতি উদ্দাত্ত আহবান:
যারা এ ধরনের বিভ্রান্তি প্রচার করছে, তাদের চিহ্নিত করুন, ইসলাম অবমাননার দায়ে তাদের নামে মামলা করুন, পুলিশে দিন। মনে রাখবেন, নবীজির ইতিহাস নিয়ে কাফিররা বিভ্রান্তি ছড়াবে, আর মুসলমান চুপ হয়ে বসে থাকবে এটা কোন ঈমানদার মুসলমানের লক্ষণ হতে পারে না।
সরকারীভাবে প্রতিটি মুসলিম দেশে ১৫৮৮ সাল হতে সরকারী ছুটি পালিত হয়ে আসছে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে আর এই দিনটি উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে । সরকারীভাবেও এই দিনটির নাম ঈদে মিলাদুন্নবী ( দেখুন : http://en.wikipedia.org/wiki/Mawlid ) । এই দিনটির নাম ইয়াওমুন নবী , নবী দিবস , সিরাতুন্নবী . ইত্যাদি নয় ।
উল্লেখিত লোকদের তৎপড়তার ধরণ :
-পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষ শিরিক গুনাহ করে
-থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি মানুষ জঘন্য হারামে নিম্মজিত হয়
-ভ্যালেন্টাইন ডে কে কেন্দ্র করে অসংখ্য মানুষ নিকৃষ্ট পাপ করে
-খেলাধূলার নামে হাজার কোটি টাকার বিজাতীয় পতাকা উড়য়ে পয়সা অপচয় করে
-নাটক-সিনেমা-গান-বাজনা-টেলিভিশনে মুসলমানদের চরিত্র ধ্বংস হচ্ছে অবিরত
কিন্তু এ লোকগুলোকে কখন দেখেছেন প্রতিবাদ করতে ? একটা মিছিল-মিটিং করতে ??
করেনি, কিন্তু ঈদে মিলাদুন্নবীতে ভাল কিছু করলেই এদের গা-জ্বালা হয়, লাঠি নিয়ে মিছিল করে, বলে: “যদি কেউ ঈদে মীলাদুন নবী পালন করে তাকে পিটিয়ে তক্তা বানানো হবে।”
এসব কামালুদ্দীন জাফরী মার্কা মাওলানাদের জন্য আজ মুসলমানদের এই অবস্থা। তারা মুসলমান মেরেই দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তারা অভিরাম ইভার মুখ দেখে দেখে ইসলাম কায়েম করতে চায় ।
জামায়াতী সংগঠণ ইসলামী ছাত্র শিবির ঈদে মিলাদুন্নবী সা পালন না করলেও তারা দুর্গা পুজা, থার্টি ফাস্ট নাইট, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস , কর্মীদের শহীদ দিবস ..... ইত্যাদি পালন করে থাকে । কারণ তাদের মতে এসব বিদাত বা গুনাহের কাজ নয় ।
ঈদে মীলাদুন নবীর বিরোধীদের দলিল সহিহ হাদীস নয়, তাদের দলীল - নাস্তিক-ইসলাম বিদ্বেষীদের কথা :
১২ই রবিউল আউয়াল তারিখই নবীজির আগমণ দিবস - এটাই সহিহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, কিন্তু ঈদে মীলাদুন নবীর বিরোধীতাকারীরা হাদীস শরীফ বাদ দিয়ে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের রেফারেন্স ব্যবহার করে নবীজির জীবনী নিয়ে মিথ্যা বলছে (নাউযুবিল্লাহ)
১২ই রবিউল আউয়াল আখিরী রাসূল সা-এর আগমনের দিন এটাই সবচেয়ে ছহীহ্ ও মশহুর মত।
এ প্রসঙ্গে হাফিয আবূ বকর ইবনে আবী শায়বাহ ছহীহ্ সনদ সহকারে বর্ণনা করেছেন,
عن عفان ن سعيد بن مينا عن جابر وابن عباس رضى الله تعالى عنهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم الاثنين الثانى عشر من شهر ربيع الاول
অর্থঃ- “হযরত আফফান থেকে বর্ণিত। তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা বলেন, রসূলুল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ ‘হস্তি বাহিনী বর্ষের ১২ই রবিউল আউয়াল সোমবার হয়েছিল।”
(বুলুগুল আমানী শরহিল ফাত্হির রব্বানী, আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া)
উক্ত হাদীস শরীফ বর্ণনার সনদের মধ্যে প্রথম বর্ণনাকারী হযরত আফফান সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ বলেছেন, “আফফান একজন উচ্চ পর্যায়ের নির্ভরযোগ্য ইমাম, প্রবল স্মরণশক্তি ও দৃঢ়প্রত্যয় সম্পন্ন ব্যক্তি।” (খুলাসাতুত্ তাহযীব)
“দ্বিতীয় বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনে মীনা। তিনিও অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য।” (খুলাসাহ্,তাক্বরীব)
আর তৃতীয় হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। এ দু’জন উচ্চ পর্যায়ের ফক্বীহ্ সাহাবীর বিশুদ্ধ সনদ সহকারে বর্ণনা থেকে প্রমাণ হয় যে, “১২ই রবিউল আউয়াল হচ্ছে, হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র বিলাদত দিবস।” এ ছহীহ্ ও নির্ভরযোগ্য বর্ণনার উপরই ইমামগণের ইজ্মা (ঐক্যমত) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (সীরাত-ই-হালবিয়াহ, যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ ইত্যাদি)
উপরোক্ত বিশুদ্ধ বর্ণনা মুতাবিক ১২ই রবিউল আউয়াল হচ্ছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র বিলাদত দিবস। এটাই ছহীহ্ ও মশহুর মত। এর বিপরীতে যেসব মত ঐতিহাসিকগণ থেকে বর্ণিত রয়েছে তা অনুমান ভিত্তিক ও দুর্বল। তা গ্রহণযোগ্য নয়।
আরো দলিল পেতে দেখেতে পারেন:
(১) রহুল মায়ানী, (২) রুহুল বয়ান, (৩) মাযহারী, (৪) ইবনে কাছীর, (৫) ইবনে আব্বাস, (৬) খাযেন, (৭) বাগবী, (৮) কুরতুবী, (৯) কবীর, (১০) তাবারী, (১১) দুররে মনছুর, (১২) বুলুগুল আমানী শরহিল ফাত্হির রব্বানী, (১৩) আল বিদায়া ওয়ান্ নিহায়া, (১৪) খুলাসাতুত্ তাহযীব, (১৫) খুলাসাহ্, (১৬) তাক্বরীব, (১৭) সীরাত-ই-হালবিয়াহ, (১৮) যুরক্বানী আলাল মাওয়াহিব, (১৯) মাসাবাতা বিস্ সুন্নাহ্, (২০) শামামাহ্-ই-আম্বরিয়াহ্, (২১) ফত্হুর রব্বানী, (২২) আল মাওরেদ আর রাবী, (২৩) হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামীন, (২৪) মাওয়াহিবে লাদুন্নিয়াহ্, (২৫) মাদারিজুন নবুওয়াত, (২৬) তাওয়ারীখে হাবীবে ইলাহ্ )
ঈদে মীলাদুন নবীর বিরোধীতা করতে গিয়ে একটি গোষ্ঠী নবীজির জীবনী নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ। তারা বলছে নবীজির বিলাদত হচ্ছে ১২ই রবিউল আউয়াল নয়, অন্যদিন। এবং এর জন্য তারা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করছে মিশরের এক কথিত জোতির্বিজ্ঞানীর, যার নাম মাহমুদ পাশা। অথচ মাহমুদ পাশা হচ্ছে নাস্তিক, ইসলাম বিদ্বেষী, ফেরাউনপন্থী এবং তুরষ্কের আতাতুর্ক পাশা’র গুরু (http://goo.gl/VFv29r)।
ফুয়াদ পাশা ও তার মুর্তী
নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তির পেছনে আল্লাহর নবীর দুষমণ জামায়াত-আহলে হাদিস-ওহাবী-সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল সম্প্রদায়ের ষড়যন্ত্র ও রাহীকুল মাখতুম নামক বই প্রসঙ্গ :
রাহীকুল মাখতুম’ ও সীরাতুন্নবী কিতাবে যে কথিত মিশরীয় জোতির্বিজ্ঞানী মাহমূদ পাশা’র রেফারেন্স দেওয়া হয়েছে সেই মাহমুদ পাশা সম্পর্কে জানা দরকার আছে, এ ব্যক্তি শুধু ১২ই রবিউল আউয়াল নিয়েই মতভেদ তৈরী করে নাই, নবীজির বয়ষ এক বছর কমিয়ে ৬২ করে দিয়েছে। তার দাবি অনুযাযী নবীজির জন্ম ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে নয় ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে।
ফুয়াদ পাশা ও তার মুর্তী
উইকিতে কথিত জোতির্বিজ্ঞানী মাহমুদ পাশা সম্পর্কে রয়েছে, মাহমুদ পাশা আল ফালাকি (1815-1885) ছিল উনবিংশ শতাব্দীর একজন মিশরীয় জ্যোতির্বিদ। সে ছিল Egyptian Renaissance বা মিশরীয় রেনেসার একজন মূল ব্যক্তি। সে ফ্রান্সের বৃত্তি নিয়ে গবেষণা ও পড়াশোনা চালিয়েছিল।
http://en.wikipedia.org/wiki/User:Dave_Light/Al-Faliki
এই মিশরীয় রেনেসাঁকে আরবীতে বলা হয় ‘আল-নাহদা’। ১৮০০-১৯০০ সালের মাঝামাঝি সময়টিতে এই কথিত ‘মিশরীয় রেনেসা’ সংঘটিত হয়। উইকিতে আল নাহদার মূল ব্যক্তি বলা হয়েছে ‘রিফা আল তাহতাবী’ (Rifa'a el-Tahtawi) নামক ব্যক্তিকে। তার সম্পর্কে উইকিতে রয়েছে যে, তাকেও ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছিল। সে মিশরে এসে প্রচার চালায় যে, মুসলমানদেরকে অবশ্যই পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
রিফা আল তাহতাবী ছাড়াও এই ‘আল-নাহদা’র আরেক মূল ব্যক্তি ছিল ‘বুরতুস আল বুসতানী’। সে মুসলমানও ছিল না, ছিল এক লেবানিজ ম্যারেনাইট খ্রিস্টান।
এই প্রত্যেকটি দলিল পাবেন উইকির এই লিঙ্কে: http://en.wikipedia.org/wiki/Al-Nahda
অর্থাৎ মিশরীয় রেনেসাঁ সংশ্লিষ্টরা ফ্রান্সপন্থী ছিল। ফ্রান্সের বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করে তারা মুসলিম মূল্যবোধ মুছে দিয়ে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি চালু করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই ছিল খ্রিস্টান, এমনকি উইকির উপরোক্ত লিঙ্ক অনুযায়ী শিয়ারাও তাদের মধ্যে ছিল।
আরেকটি বিষয় বলতে হয়। তা হলো, তারা ছিল প্রাচীন মিশরের ফেরাউনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মিশরীয় রেনেসার সাথে জড়িত এক ভাস্কর্যশিল্পী মাহমূদ মোখতার বানিয়েছিল Egypt's Renaissance বা ‘মিশরের নবজাগরণ’ নামক এক মূর্তি, যা ছিল ফেরাউন ও স্ফিংসের জোড়া ভাস্কর্য। অর্থাৎ মিশরীয় রেনেসা ছিল ফেরাউনের যুগে ফিরে যাওয়ার চেতনা ধারী।
http://en.wikipedia.org/wiki/Mahmoud_Mokhtar
ফুয়াদ পাশা ও তার মুর্তী
বিষয়টি আমাদের দেশের তথাকথিত ‘সুশীল সমাজে’র সাথে তুলনীয়। এরা ভারতে বৃত্তি পেয়ে সেদেশে পড়াশোনা করে। পড়াশোনা শেষে এদেশে ফিরে তারা ভারতের এজেন্ট হিসেবে ভারতীয় সংস্কৃতির পক্ষে প্রচার চালায়। মিশরের ইতিহাসের প্রাক-ইসলামী ফেরাউনের যামানায় ফিরে যাওয়ার মতো এদেশের সুশীলদের প্রচারণা হয় এদেশের ইতিহাসের প্রাক ইসলামী হিন্দু যুগে ফিরে যাওয়ার চেতনাবিশিষ্ট।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে মেয়েদের মধ্যে ইউরোপীয় স্টাইলে পোষাক পরার খুব চল দেখা যায়। আর কামাল আতাতুর্কের ব্যাপারে তো সবাই জানে। এ সবেরই সূচনা হয়েছিল উনবিংশ শতাব্দীর ‘আল-নাহদা’ থেকেই।
অর্থাৎ আমাদের দেশের বিশিষ্ট ‘বিজ্ঞানী’ জাফর ইকবালের মতো উনবিংশ শতাব্দীর মিশরের এক নাস্তিক ‘জ্যোতির্বিদের’র রেফারেন্সে ঈদে মীলাদুন্নবী বিরোধীরা গ্রহণ করেছে সহীহ হাদীছের বিপরীতে। ছহীহ হাদীস শরীফ, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ফতহুর রব্বানী প্রভৃতি কিতাবাদি, যা হাজার বছর ধরে ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফের পক্ষে সাক্ষ্য দিয়ে আসছে, যেসব কিতাবাদি অনুসরণীয় ইমাম-মুজতাহিদ উনাদের দ্বারা রচিত, সেগুলো বাদ দিয়ে ফেরাউনপন্থী এক ইসলামবিরোধী গোষ্ঠীর বক্তব্য চৌক্কা মৌলভীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে গেল !!!!
এটা স্পষ্ট, সনদকৃত হাদীস শরীফ (http://goo.gl/JjAhj8) বাদ দিয়ে ভ্রান্ত ইতিহাস রচনা করে তার মাধ্যমে মুসলমানদের নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা মূলত কাফিরদের ষড়যন্ত্র এবং সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সাহায্য করছে মুসলিম বেশধারী কিছু এজেন্ট। সমাজের এদের চিহ্নিত করুন এবং উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
(ছবি: মাহমুদ পাশা আল ফালাকি, ইনসেটে মাহমুদ মোখতারের ভাস্কর্য ‘মিশরীয় রেনেসাঁ)
নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তির পেছনে কাফিরদের ষড়যন্ত্র ও জামায়াতী বু্দ্ধিজীবি সুলাইমান নদভী প্রসঙ্গ
‘নবীজির জন্ম ১২ই রবিউল আউয়াল হয়নি’, এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের পেছনে আরেকটি নাম হচ্ছে সুলাইমান নদভী। ভারতীয় নাগরিক সুলাইমান নদভীর জন্ম ১৮৮৪ সালে এবং মৃত্যু ১৯৫৩ সালে। এ ব্যক্তির লিখিত (সাথে শিবলী নোমানিও ছিলো) সীরাতুন্নবী নামক গ্রন্থে মিশরের জোতির্বিজ্ঞানী মাহমূদ পাশা’র রেফারেন্স দিয়ে নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।
সুলাইমান নদভীর পরিচয় সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার দরকার নাই, শুধু বলবো ব্রিটিশ আমলে যারা একদম ব্রিটিশ খাস এজেন্ট হতে পারতো তাদেরকেই ব্রিটিশরা ডি-লিট উপাধি দিতো (এখন যেমন ইহুদী এজেন্ট হতে পারলে নোবেল দেয়া হয় ঠিক তেমন)। ১৯৪০ সালে এ সুলাইমান নদভীকে ব্রিটিশরা (আলীগড় মুসলিম বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে) ডিলিট উপাধি দেয়। উল্লেখ্য, ব্রিটিশদের গোলামি করার জন্য রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্রও ডিলিট উপাধি পেয়েছিলো।
এটা স্পষ্ট, সনদকৃত হাদীস শরীফ (http://goo.gl/JjAhj8) বাদ দিয়ে ভ্রান্ত ইতিহাস রচনা করে তার মাধ্যমে মুসলমানদের নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা মূলত কাফিরদের ষড়যন্ত্র এবং সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে সাহায্য করছে মুসলিম বেশধারী কিছু এজেন্ট। সমাজের এদের চিহ্নিত করুন এবং উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুন।
ছবি: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার রস মাসুদের (ডানে) সাথে সুলাইমান নদভী (বামে)। ব্রিটিশরা কাদেরকে স্যার উপাধি দিয়েছিলো সেটা আর বললাম না।
নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তির পেছনে কাফিরদের ষড়যন্ত্র ও আহলে হাদিসী বই ”আর-রাহীকুল মাকতু “ প্রসঙ্গ
ইহুদী-খ্রিস্টান চক্রান্তবাজরা সর্বদা মুসলমানদের ইসলামী ইতিহাস ঐতিহ্য থেকে দূরে রাখতে চায়। এজন্য তারা মুসলমানদের ইতিহাসগুলোকে বিকৃত করে প্রচার করে, যেন মুসলমানরা তাদের সঠিক গন্তব্য থেকে দূরে সরে যায়।
আপনারা কয়েকদিন ধরে শুনছেন, নবীজি’র জন্ম তারিখ নিয়ে একটি দল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের দাবি, নবীজির জন্ম তারিখ নাকি ১২ রবিউল আউয়াল নয়, অন্যদিন। তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পেছনে রয়েছে একটি বই, এ বইটির নাম ‘আর-রাহীকুল মাকতুম’, বইটি ইংরেজী-বাংলা-তামিলসহ অনেক ভাষায় অনুদিত হয়, ইংরেজী বইটির নাম The Sealed Nectar। বইটির লেখকের নাম সাইফুর রহমান মুবারকপুরী। বইটিতে মিশরের জোতির্বিজ্ঞানী মাহমূদ পাশা’র রেফারেন্স দিয়ে তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়।
উল্লেখ্য, সাফিউর রহমান মুবারকপুরীর পরিচয় হচ্ছে, সে একজন কট্টর আহলে হাদীস। এই ব্যক্তি ‘তারিখ-ই-আহলে হাদীস’ বইয়ের লেখক। ভারতের উত্তর প্রদেশের বংশোদ্ভূত এ ব্যক্তি ভ্রান্ত আহলে হাদীস আক্বিদার চূড়ান্ত শিখরে আরহণ করার কারণেই সউদী আরবের মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সে চাকুরীর সুযোগ পায়।
আপনারা খুব ভালো ভাবেই জানেন,
বর্তমানে সউদ পরিবারকে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদীরা জাজিরাতুল আরবের ক্ষমতায় বসিয়েছে। জাজিরাতুল আরবের ক্ষমতায় বসা মাত্র সউদ পরিবার মুসলমানদের ইতিহাস ঐতিহ্য ধ্বংস লীলায় মত্ত হয়। এখনও তারা নবীজির সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছের ফেলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। (সউদী ওহাবীরা ক্ষমতায় এসে মুসলমানদের কি কি ইতিহাস ঐতিহ্য ধ্বংস করেছে: http://des-wa.blogspot.com/2014/11/blog-post_13.html)
মূলত: মুসলমানদের নবীজির বিলাদতের সঠিক তারিখ সহিহ হাদীস শরীফে সনদসহ বর্ণিত আছে, এবং সেটা অবশ্যই ১২ই রবিউল আউয়াল (http://goo.gl/JjAhj8)। এতদিন মুসলমানরা এ ইতিহাসই জানতো। কিন্তু ইহুদী বংশোদ্ভূত (http://des-wa.blogspot.com/2014/12/blog-post_70.html) সউদ পরিবার ১৯৮৭ সালে এ ভ্রান্ত ইতিহাস ছড়িয়ে মুসলমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য ধ্বংস করতে চাচ্ছে। তাই এ ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরেুদ্ধে প্রত্যেক মুসলমানের প্রতিবাদ করা ঈমানী দায়িত্ব।
(বি: দ্র: দেওবন্দী আকিদার লোকেরা, নিজেদের মাহযাবী বলে দাবি করে, তারা নিজেদের আহলে হাদীসের বিরুদ্ধে বলে দাবি করে। অথচ এক কট্টর আহলে হাদীসের কিতাব পড়ে নবীজি’র জীবনী বুঝতে চায়, ভ্রান্ত পথে পরিচালিত হয় !! কতটা গণ্ডমূর্খ হলে এটা করা সম্ভব।)
নবীজির জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তির পেছনে কাফিরদের ষড়যন্ত্র ও অমুসলিমদের ভুয়া মাওলানা তেরীর পক্রিয়া প্রসঙ্গ
অনেক দিন আগে একটা লেখা বের হয়েছিল,
সেখানে লেখক বলেছিলো, যুক্তরাষ্ট্রের গহীন এলাকায় বিভিন্ন গবেষণাগার আছে। সেখানে ইহুদী-খ্রিস্টানরা পবিত্র কুরআন হাদীস নিয়ে গবেষণায় মত্ত। সেই গবেষণায় তারা কি ভাবে মুসলমানদের ক্ষতি করতে পারে, সেটাই আবিষ্কার করছে।
একই ইতিহাস কিন্তু আমরা ক্রুসেড যুদ্ধের সময় দেখতে পাই। তখনও খিষ্টান গুপ্তচররা মসজিদে হুজুর সেজে আসতো এবং মুসলমানদের ভুল পথে পরিচালিত করতো।
১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় ঢাকায় ক্যান্টনমেন্টের এক ইমাম গ্রেফতার হয়, যে ১৮ বছর যাবত মসজিদের ইমাম ছিলো, কিন্তু ধরা পড়ার পর বের হয়, সে মুসলমান নয়, শিখ গুপ্তচর।
এখনও মুসলমানদের মধ্যে ইমাম-খতিব-ওয়ায়েজ-স্কলার রূপে বহু লোক রয়ে গেছে, যারা হয় ভেতরে ভেতরে নিজেরাই ইহুদী-খ্রিস্টান, অথবা ইহুদী-খ্রিস্টানদের এজেন্ট।
আজকে সেই ধরনের একটা দলিল হাতে নাতে পেলাম। একটি দল বেড়িয়েছে, যারা ছড়াচ্ছে নবীজির আগমণ দিবস নিয়ে নাকি মতভেদ আছে এবং সেটা নাকি ৯ রবিউল আউয়াল। নাউযুবিল্লাহ।
আমার কথা হচ্ছে, সহিহ হাদীস শরীফে ((http://goo.gl/JjAhj8) স্পষ্ট বর্ণনা থাকার পরও, ইজমা হওয়ার পরও কেন তারা অনুমান ভিত্তিক ইতিহাসকে দলিল হিসেবে টেনে এতদিনের সর্বজ্ঞাত সত্যকে ঢাকার চেষ্টার করছে ?? চেষ্টা চালাচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ? কেন তারা নতুন করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এটা অবশ্যই বের করার দরবার আছে।
বিশেষ করে এ গোষ্ঠীটি টিভিতে, ওয়াজে, পত্র-পত্রিকায় এ বিভ্রান্তির জাল ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা স্পষ্ট এ বুদ্ধি একমাত্র কূটকৌশলী ইহুদীদের মাথা থেকেই এসেছে, যারা চাচ্ছে খ্রিস্টানদের মত মুসলমানদের নবীজির ইতিহাসেও বিপর্যয় ঘটুক। সেই বিকৃত ইতিহাস তারা মুসলমানদের মধ্যে প্রচার করছে তাদেরই ক্রয়কৃত হুজুরবেশী এজেন্ট দ্বারা।
উল্লেখ্য নবীজিকে নিয়ে এ বিকৃত ইতিহাস রচনার পেছনে সউদী-ওহাবীদের বিভিন্ন চ্যালেন জড়িত। আর এটা বলার অপেক্ষার রাখে না, বর্তমানে ইহুদীবাদীদের বিভিন্ন অপকর্মের ঘনিষ্ট সঙ্গী হিসেবে কাজ করছে এই সউদী ওহাবীরা।
সর্বশেষে বলতে হয়, হাদীস শরীফে বলা হয়েছে: শেষ জামানায় একদল মিথ্যাবাদী দাজ্জাল (দাজ্জালের চ্যালা) বের হবে, যারা এমন সব কথা বলবে, যা তোমরা তো শুনোই নি, তোমাদের বাব-দাদা চৌদ্দ পুরুষ শোনেনি।” নব্য গজিয়ে ওঠা এ গোষ্ঠীটি যে দাজ্জলের চ্যালা তাতে কোন সন্দেহ নাই। তাই বাংলাদেশে যে সকল ব্যক্তি এ বিকৃত ইতিহাস ছড়ানোর পেছনে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার আছে, কারণ এরা অবশ্যই অবশ্যই ইহুদীবাদীদের সোল এজেন্ট, এতে কোন সন্দেহ নাই।
তাই যে সকল মওলানা, মসজিদের ইমাম, ওয়ায়েজ, টিভি চ্যানেলের কথিত স্কলার সহিহ হাদীস বাদ দিয়ে নাস্তিকদের কথাকে দলিল হিসেবে ব্যবহার করে নবীজির জন্ম ইতিহাস নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তারা কখনই মুসলমান হতে পারে ন ও কাফিরদের এজেন্ট।
প্রত্যেক মুসলমান ভাইয়ের প্রতি উদ্দাত্ত আহবান:
যারা এ ধরনের বিভ্রান্তি প্রচার করছে, তাদের চিহ্নিত করুন, ইসলাম অবমাননার দায়ে তাদের নামে মামলা করুন, পুলিশে দিন। মনে রাখবেন, নবীজির ইতিহাস নিয়ে কাফিররা বিভ্রান্তি ছড়াবে, আর মুসলমান চুপ হয়ে বসে থাকবে এটা কোন ঈমানদার মুসলমানের লক্ষণ হতে পারে না।
(এই লেখার সব তথ্য আরিফুর রহমান, দস্তার ও ডেসওয়া ভাই । আমি শুধু সংকলন করেছি মাত্র । তারা আমাকে তাদের লেখা হুবহু কপি করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন - এজন্য তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ । আমি আল্লাহর কাছে দুয়া করছি : হে আল্লাহ । তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দাও এবং তাদের আল্লাহর নবীর দুষমণদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার সক্ষমতা দাও । আমিন । )
বিষয়: বিবিধ
৬২০৬ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।
আমি ভারতের দালাল নই । আমি আমেরকিার দালাল নই । আমার দেশ বাংলাদেশ । আমার ইহজাগতিক ঠিকানা বাংলাদেশ । আমার পারলৌকিক ঠিকানা জান্নাত । আমি বাংলাদেশের দালাল । আমি আমার দেশের দালাল । আমি ইসলামের দালাল । আমি আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা.)- এর দালাল । আমি আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা.)- এর আশেক । আমি আশেকে রাসুল সা. । আমি মুজাহিদ । আমি আল্লাহর নবীর সম্মানের জন্য নিজের শেষ রক্ত বিন্দুটুকু দিতে সদা প্রস্তুত থাকি ।
আপনাকে কুরআনের এই আয়াতটা পড়ার অনুরোদ করছি :
ادعُ إِلىٰ سَبيلِ رَبِّكَ بِالحِكمَةِ وَالمَوعِظَةِ الحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلهُم بِالَّتى هِىَ أَحسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعلَمُ بِالمُهتَدينَ
আপনার প্রতিপালকের পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়।
নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। সুরা নহল : ১২৫ ।
আমনে একজন কম্পিউটার বিষেশজ্ঞ, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিবন্ধি ছেলে ও এখন কম্পিউটার বিজ্ঞানী হইয়া উঠিছেন সুতরাং আমনে আরো বেশী পারবেন এই তারিখ সমস্যার সমাধান করিতে।
৩৫৫ দিন কয়েক ঘন্টায় এক চন্দ্র বছর হইয়া থাকে। আমনে ক্যালকুলেশন করিয়া ১৪০০ বছর পিছনের দিকে আগাইতে থাকেন! এভাবে ৫৭০ খৃষ্টাব্দের রবিউল আউয়াল মাসে পৌছিয়া যান! কি দেখিলেন? ১২ই রবিউল আউয়াল হইলে সোমবার মিলেনা আর সোমবার মিলাইলে ১২ তারিখ মিলেনা! তাই নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন। পারলে নিজে প্রচেষ্টা কইরা সমাধান করুন, ডিজিটাল সরঞ্জাম হাতের কাছেই থাকে, তারপরও গালাগালি কইরা মোনাফেরক হওয়া থেইকা বিরত থাকেন।
আমাদের রাসুল (সাঃ) সেই বছরের এই মাসে কুন একদিন আসিছেন, আমাদের সেইটা নিয়ে সমস্যা নাই। তারিখ মিত্যা হইলেও রাসূলের আগমন মিত্যা না। সমস্যা হইল তাঁর তারিখ লইয়া কাউরে কাফের, কাউরে মুতাজিলা, কাউরে আওয়ামিলীগ বইলা গালি দেওন। আমি বহুবার দেখেছি সুন্নি হুজুরেরা মীলাদুন্নবীর ওয়াজ করতে যাইয়া আবু লাহাব আর আবু জেহেলের চৌদ্দ গোষ্টীকে বস্তির স্টাইলে গালাগালি করিতে। আমনেও বুঝি তাদের থেইকা আলাদা হইতে পারলেন না। বড় আফসোস
আপনার কথা সঠিক নয় । কারণ ৩৫৩,৩৩৪ ও ৩৫৫ দিনে চন্দ্র বছর হইয়া থাকে। এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পড়ে দিবো ।
আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি,
অ্যাস্ট্রোনমারদের গবেষণায় নির্ভুলভাবে প্রমাণ হয়
১২ই রবিউল আউয়াল-ই হচ্ছে নবীজির আবির্ভাব (জন্ম) এর দিন
নবীজির বিদায় গ্রহণের দিন ছিলো:
হিজরী সন: ১১ হিজরীর ১২ই রবিউল আউয়াল
ঈসায়ী সন: ৬৩২ সাল, ৮ই জুন
বার: সোমবার
Calculation করে দেখা যায়,
৫৭০ ঈসায়ী সনে রবীউল আউায়াল মাস শুরু হয়েছিলো:
হয়,
২৩ শে এপ্রিল ৫৩ হিজরী পূর্ব সনে। (যদি সফর মাস ২৯শে দিনে হয়)
অথবা,
২৪ শে এপ্রিল ৫৩ হিজরী পূর্ব সনে। (যদি সফর মাস ৩০ শে দিনে হয়)
কিন্তু, এটা নিশ্চিত ৫৩ হিজরী পূর্ব সনে সফর মাস ৩০ দিনের হয়েছিলো।
সে অনুযায়ী আপনি নিজেই গণনা করলে পাবেন:
৫৭০ সালের ৫ই মে সোমবারই হচ্ছে ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ।
তাহলে আমরা দেখতে পেলাম-
বিলাদত দিবস : ৫ই মে, ৫৭০ ঈসায়ী সন ৫৩ পূর্ব হিজরী সোমবার
বিদায় দিবস : ৮ই জুন, ৬৩২ ঈসায়ী সন, ১১ হিজরী সোমবার
দুই ইংরেজী সনের সময়ের পার্থক্য-
৬২ বছর ১ মাস ৩ দিন
সুতরাং চন্দ্র বৎসর অনুযায়ী-
৬২x৩৬৫+৩১+৩= (২২৬৬৪ ভাগ ৩৫৫ দিন)= ৬৩+ বৎসর
১ নং দ্রষ্টব্য: আখেরী চাহার শোম্বা বলা হয় সফর মাসের শেষ বুধবারকে, কিন্তু কোন তারিখ নিদ্দিষ্ট করা হয় না। এর কারণ সফর মাসের শেষ বুধবার ছিলো হিজরী মাসের ৩০ তারিখ, যা সব সময় আসে না। তাই পরবর্তীতে এ দিনটি যেন প্রতি বছর পালন করা যায় সেই সুবিধার্থে সফর মাসের শেষ বুধবার ধরে দিনটি পালন করা হয়। এখন ৩০ তারিখ যদি বুধবার ধরা হয়, তবে আপনি নিজেই হাতে গুনে দেখুনে ১২ তারিখ সোমবার হয়।
২ নং দ্রষ্টব্য: ৫৭০ ঈসায়ী সন ৫৩ পূর্ব হিজরীতে সফর মাস যে ৩০ দিন ছিলো তার প্রমাণ দুটি:
ক) চাদ গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায়, নবীজির বিলাদতের আগে পর পর ৪ চন্দ্র মাস ৩০ দিন করে হয়েছিলো।
খ) যদি সফর মাস ৩০ না হয়, তবে বিলাদত দিবস সোমবার হয় না। অথচ সহিহ হাদীসে প্রমাণ পাওয়া যায় নবীজি নিজেই বলেছেন উনার বিলাদত গ্রহণ হচ্ছে সোমবার দিন।
তাই অ্যাস্ট্রোনমার বা জোর্তিবিজ্ঞানীদের গবেষণায় নির্ভুল ভাবে প্রমাণিত নবীজির বিলাদতের দিন অবশ্যই ১২ই রবিউল আউয়াল শরীফ।
লেখাটি দিয়েছেন:
@Al Hilaal
বাংলাদেশ প্রতিনিধি
আন্তর্জাতিক চাদ গবেষণা বিষয়ক সংস্থা ICOP
পরিশেষে বলছি : চন্দ্র বছর নির্ভুলভাবে গণনা করার আমার নিজস্ব কম্পিউটার প্রোগ্রাম আছে যার কোড আমার এই বইয়ে দিয়েছি । বইটার নতুন সংস্করণ এবারের রোজায় বের করার পরিকল্লনা আছে ।
আমি আপনার বাকি প্রশ্নের উত্তর পরবর্তীতে দিবো ।
দেখুন আমি আমার আগের কোন লেখায় গালি গালাজ মূলক কথা লিখি নাই । আমি শুধুমাত্র কিছু প্রশ্ন করেছি । আর মানুষ আবেগপ্রবন । আমারও আবেগ আছে । অনুভতি আছে ।
আমাকেই কিছু লোক হত্যার হুমকির পাশাপাশি গালি গালাজ করে যাচ্ছে । তারা আমার বিরোদ্ধেই ব্যক্তি আক্রমন করে গালি গালাজ মূলক ৪৭ টা লেখা লেখা লিখেছে । তার বিপরীতে আমি এমন কিছু করি নাই ।
আমরা নামটা তো সুন্দর করে ফেসবুক আর ব্লগে উপস্হাপন করেন । তখন শব্দ জ্ঞান আপনার কোথায় থাকে ?
সৌদি আরবের নজদ প্রদেশের লোক মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব ৭ টি মূলনীতির উপর মুয়াহিদীন নামক সংগঠণ কায়েম করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালান ওসমানীয়া খিলাফতের শাসকদের বিরোদ্ধে । তার প্রবর্তিত নীতি ভারতীয় ও পশ্চিমা লেখকরা ওহাবী মতবাদ বলে অভিহিত করে থাকেন ।
মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের সমর্থক-নেতা-কর্মীরা ১৮০৩ সাল হতে ১৮০৯ সাল পর্যন্ত হজ্জ বন্ধ করে রাখে । ১৮১৩ সাল পর্যন্ত তারা মক্কা শরীফ দখল করে রেখে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে । এভাবে তারা সিরিয়া, ইরাক, জর্দান, ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপড়তা চালায় ব্রিটিশদের ও অন্যান্য অমুসলিমদের সহযোগীতায় । তারা রাসুল ( সা. ) -এর কবরকেও অপবিত্র করে । তারা ইমাম হোসাইনের মাযার-সহ অসংখ্য ধর্মীয় স্হাপনাসহ ঐতিহাসিক স্হাপনা ধ্বংস করে ফেলে । অসংখ্য ইসলাম ধর্মবিদ্যা বিশারদকে তারা হত্যা করেন । তারা প্রকাশ্যেই ইসলামবিরোধীতায় লিপ্ত হোন এবং ওসমানীয়া খিলাফতের শাসকের বিরোধীতা করে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপড়তা চালাতে থাকেন অমুসলিম শক্তির মদদ ও সমর্থন নিয়ে । বর্তমানে তার বা তাদের উত্তর পুরুষ বা তাদের বংশধর বা মতবাদের সমর্থক হলো সৌদি শাসক সম্প্রদায় ।
সুতরাং কারো নামের খন্ডাংশ ব্যবহার করে অবশ্যই একটা দলের নাম করণ হতে পারে । এটা দোষনীয় কিছু নয় । ইয়াহিয়াহ্ শব্দের অর্থ জীবন্ত । কারো নাম ইয়াহিয়াহ্ রাখলেই সে মরে গেলেও জীবন্ত থাকতে পারে না । কোন দলের নাম ওহাবী রাখা হলেও তাদের আল্লাহর গুনবাচক নাম ওয়াহ্হাব হয়ে যায় না ।
উপরন্তু ওহাবী বলে যারা পরিচিত তারা সৌদি আরব এবং মিসরি মুসলিম পরিচয় না দিয়ে সালাফি বলে পরিচয় দেয় এবং সাধারন মুসলিমদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায় । যেমন : মিসরে অত্যাচারি শাসক সিসির সাথে জোট বেধে সে দেশের স্বাধীনতাকামী মুসলিমদের সালাফিরা অত্যাচার করছে । মিসর ও ফিলিস্তিনে সৌদি আরবের ওহাবী শাসকরা মুসলিম হত্যার জন্য ইহুদি ও অত্যাচারি শাসকদের সাহায্য করছে এবং ইরাকে আইসিস নামক সন্ত্রাসীদের দিয়ে নারী নির্যাতন ও ইসলামের স্মৃতিবিজরিত স্হান ও মাজার ধ্বংস করছে । আর বাংলাদেশে তাদের অনুসারীরা ওহাবী নামে পরিচিত হলেও তারা আহলে হাদিস এবং জামায়াতে ইসলামীর সদস্য বলে পরিচয় দেয় । জামায়াতে ইসলামীর নেতা মওদুদির দৃস্টিভঙ্গি অনুসরণ করে জামায়াতের লোকরা । এজন্য দেওবন্দী আলেমরা তাদের মওদুদি বলে অভিহিত করে থাকেন ।
সুতরাং এসব বিন্দু মাত্র গালি নয় ।
তারা যদি নিজেদের সত্যিকার মুসলিম দাবি করে তাহলে তাদের উচিত সৌদি আরবের ইসলামবিরোধি কাজ এবং মওদুদির বিকৃত ধ্যান – ধারণা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাগ করা ।
আমি কখনোই অসার ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করি না ।
বরং এই সাইটে নারীদের হাত ধরা কুফরি, যৌন জিহাদ জায়েজ, নাস্তিকদের হত্যা করা ফরজ, অমুক নাস্তিক তমুক কাফির , মেয়েদের মাসিকের কাপড় ধোয়া কাপড়ের পানি খাওয়া জায়েজ , পানিতে মাছি পড়া পানিতে প্রতিশেধক আছে , পৃথিবীর চার পাশে সূর্য ঘুরে, চিত্রশিল্পি হওয়া ও এনিমশন ফ্লিম বানানো হারাম, রক্ত দান ও অঙ্গ প্রতিস্হাপন হারাম – এসব লেখা বহুল পরিমানে লেখা হয়
আমার এলাকার জামায়াতীরা আমার জানাজার নামাজ পড়েছে । যারা গালি দিচ্ছে তাদের মতে তাদের প্রিয় পাত্র হওয়ার উপায় হলো :
১. মওদুদি-ওহাবী-সালাফি মতবাদ গ্রহণ করা ।
২. তাদের কথা অনুযায়ী ও বাছাই করা তাদের মতবাদে বিশ্বাসী নিকাব পড়া কথিত সতী-পুত-পবিত্র কোন না কোন মেয়ে (খালাম্মা)বিয়ে করা ।
৩. সৌদি আরবের রাজাদের ইসলামের রক্ষক মনে করা ।
৪. মতিউর রহমান মাদানী, কাজী ইব্রাহিম, কামালুদ্দিন জাফরিকে পীরের মত ভক্তি করা ।
৫. জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়া ।
৬. ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-দের সাথে উঠা বসা করা ।
৭. বাংলাদেশের ধর্মনিরোপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদী মতবাদে বিশ্বাসীর বিরোদ্ধে নিয়মিত গালি গালাজমূলক লেখা লিখা ।
ওয়াহাবী’ আরবি শব্দ । এর সঠিক উচ্চারণ-ওয়াহহাবী । ‘ওয়াহাবী’ শব্দের শাব্দিক অর্থ কোন ওয়াহাব নাম ধারীর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি । ব্যবহারিক অর্থে আল-আরবের নজদ (বর্তমান রিয়াদ) প্রদেশের মোহাম্মদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবের অনুসারীকে ওয়াহাবী বলে । উর্দু ভাষার শ্রেষ্ট ডিকশেনারী “ফিরুজুল লুগাতকাবীর”এর ১০২০ পৃষ্ঠায় ‘ওয়াহাবী’ শব্দের অর্থে লেখা আছে, “শেখ মোহাম্মদ ইবন আবদুল ওয়াহাবের দলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ওয়াহাবী বলা হয়”। প্রফেসর এ,এম, ফয়েজ আহমদ চৌধুরী সাহেবের বাংলা ও উর্দু আভিধানের ৩০০ পৃষ্ঠায় লেখা আছে, “মোহাম্মদ ইবন আবদুল ওয়াহহাব নজদীর অনুসারী দলকে ওয়াহাবী বলা হয়”। বাংলা ভাষায় ওয়াহাবী শব্দ ও ‘ওহাবি’ বানানে স্বীকৃত । তাই, বাংলা একাডেমী ব্যবহারিক বাংলা আভিধান ১৭৮ পৃষ্ঠায় ‘ওহাবি’ অর্থে লেখা আছে, “ধর্ম-সংস্কারক নজদবাসী মোহাম্মদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবের অনুসারী বা শিষ্য”। জন্মঃ শায়খ মোহাম্মদ আবদুল ওহাব নজদী ১৭০৩ খৃস্টাব্দ, ১১১৫ হিজরীতে আল-আরবের নজদের (বর্তমান রিয়াদ) ওয়াইনা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করে এবং ১২৮৮ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করে (ওনওয়ারুল মাজদ ফিতারী তারিখে নজদ ১ম খন্ড ৬ষ্ট পৃষ্ঠা রিয়াদে ছাপা)।
আমি এই কথাগুলো আমার এই লেখায় উল্লেখ করেছি :
ওহাবি-সালাফি-মওদুদী মতবাদ ও ইসলামের প্রেমের বানী এবং “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” ( http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50261 )
আমার মনে হয় আমার এই লেখা আপনি পড়েননি ।
আপনাকে ধন্যবাদ ।
আর তার খেদমতকে ওহহাবী আন্দলন নামে নামকরণ করে সর্বপ্রথম ইংরেজ খৃষ্টানরা। আর সেটাই ছিল গোরায় গলদ। আপনি বলেছেন কারো নামের ভগ্নাংশ দিয়ে কোন দলের নামকরণ করা মোটেই ভুল নয়, সেটা ঠিক আছে, কিন্তু নামটা যদি হয় আল্লাহর নাম, তবেই সেটা ভুল ও গোমরাহী, আপনি ইসলামী ইতিহাসের এমন কোন আন্দলনের নাম দেখাতে পারবেন কি যেটা আল্লাহর কোন গুনবাচক নামে নামকরন করা হয়েছে ? আর এ ভুলটা কোন মুসলিম করেনি করেছে খৃষ্টান ঐতিহাসিকরা, আর শীয়া ও মাজার পুজারী বেদাতিরাও সেইটা লুফে নিয়ে এখন ওহাবী গালাগালিতে লিপ্ত থাকে। যেটা আপনিও করেছেন। আমাদের দেশের আহলে হাদীসরা উনাকে অনুসরন করে বলে দাবী করলেও মুলত তা মিথ্যা। কারন উনি ছিলেন হাম্বলী মাজহাবের একজন আলেম। আর আমাদের দেশের আহলে হাদীসরা মাজহাব মানাকে শের্ক বলে থাকে।
শের্ক-বেদাত বিরুধী এই তাজদীদ বা সংস্কার মূলক কাজের ব্যাপারে এখান থেকে জানুন - http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/bloglist/2120/abdulmazed
আপনি আমার এই লেখার কথাগুলোর কোন যুক্তিই তো খন্ডন করলেন না । অনর্থক মন্তব্য করতে আসেন কেন ?
প্রত্যেক মুসলিমই আশেকে রাসুল ।
১২ রবীউল আউয়াল প্রত্যেকটা লোকই স্বীকার করে । কারণ এটা তারিখ । এই তারিখ ক্যালেন্ডারে থাকে । এই তারিখ ছাড়া ক্যালেন্ডার হয় না । বলুন, ঈদে মিলাদুন্নবী সা. , শবে রবাত, মিলাদ , বাবা-মা-পীর-বুজুর্গের জন্য কবরস্তানে যেয়ে দুয়া করা , কুলখানী, চল্লিশা ইত্যাদি স্বীকার করে না ।
আল্লাহ কাদের কাফের বলেছেন, আপনি নিজেও জানেন । আমিও জানি ।
দয়া করে বলুন, সহিহ হাদীস ((http://goo.gl/JjAhj8) স্পষ্ট বর্ণনা থাকার পরও, ইজমা হওয়ার পরও কেন কিছু লোক অনুমান ভিত্তিক ইতিহাসকে দলিল হিসেবে টেনে এতদিনের সর্বজ্ঞাত সত্যকে ঢাকার চেষ্টার করছে ??
চেষ্টা চালাচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ?
কেন তারা নতুন করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ?
বিশেষ করে এ গোষ্ঠীটি টিভিতে, ওয়াজে, পত্র-পত্রিকায় এ বিভ্রান্তির জাল ছড়িয়ে দিচ্ছে।
তারা কি না চাচ্ছে খ্রিস্টানদের মত মুসলমানদের নবীজির ইতিহাসেও বিপর্যয় ঘটুক ?
যারা এই কাজ করছে তাদের আমরা কি বলবো ?
নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন ।
ভাই আপনি চোরকে চোর বলবেন না ??? !!!
আপনি ডাকাতকে ডাকাত বলবেন না ???? !!!
আমি কাফের, মুনাফেক, মুমিন, জান্নাতী, জাান্নামী৷ সার্টিফিকেট দেওয়ার কেহ না । তবে আমার আবেগ আছে । অনুভতি আছে । আবেগ অনুভতি ভোতা হয়ে গেলে মানুষের চেতনা লোপ পায় । প্রতিটা মানুষের চেতনা আছে । চেতনা আছে বলেই ডাক্তার অপারেশন করার সময় চেতনানাশক ব্যবহার করে বেহুশ করে অপারেশন করে ।
চেষ্টা চালাচ্ছে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ?
কেন তারা নতুন করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ?
বিশেষ করে এ গোষ্ঠীটি টিভিতে, ওয়াজে, পত্র-পত্রিকায় এ বিভ্রান্তির জাল ছড়িয়ে দিচ্ছে।
তারা কি না চাচ্ছে খ্রিস্টানদের মত মুসলমানদের নবীজির ইতিহাসেও বিপর্যয় ঘটুক ?
যারা এই কাজ করছে তাদের আমরা কি বলবো ?
নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন ।
ভাই আপনি চোরকে চোর বলবেন না ??? !!!
আপনি ডাকাতকে ডাকাত বলবেন না ???? !!!
আমি কাফের, মুনাফেক, মুমিন, জান্নাতী, জাান্নামী৷ সার্টিফিকেট দেওয়ার কেহ না । তবে আমার আবেগ আছে । অনুভতি আছে । আবেগ অনুভতি ভোতা হয়ে গেলে মানুষের চেতনা লোপ পায় । প্রতিটা মানুষের চেতনা আছে । চেতনা আছে বলেই ডাক্তার অপারেশন করার সময় চেতনানাশক ব্যবহার করে বেহুশ করে অপারেশন করে ।
আমি কারো কাছ থেকে টাকা পয়সা পেয়ে লেখালেখি করি না । আমি আমার আবেগ ও নিজের কথাগুলো প্রকাশ করি ।
বর্তমানে আমি সি স্পার্পে গলা সাধছি ।
মাত্র আটটা ক্লাস করেছি । ওস্তাদ বলেছেন এবছর জুলাই মাসে রোজার মধ্যে আমাকে সরাসরি স্টেজে লোকদের সামনে এই চার গান গাইতে হবে । জানি না পারবো কি না ?
ওস্তাদ বলেছেন :
১.বাদ্যযন্ত্র ভালভাবে চর্চা করতে হবে, নিয়মিত হারমুনিয়াম দিয়ে সারগাম চর্চা করতে হবে ও নিয়মিত রেওয়াজ করতে হবে । কারণ বাদ্যযন্ত্র তো সঙ্গীতেরই একটা অংশ।
২.বাঁজনা গায়কীর জন্য, বাঁজনার জন্য গায়কী নয়। কিন্তু এই মাত্রাতিরিক্ত বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার গানগুলোকে নষ্ট করছে।
বাদ্যযন্ত্র অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যে, তা যেন প্রয়োজনের চেয়ে বেশি না হয়। আমাদের সেই সব গান যেমন মধুমালতি ডাকে বা সাত ভাই চম্পা গানগুলোর মিউজিক শুনলেই মানুষ বুঝে ফেলে যে এটা কোন গান।
তালের ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। তালের ব্যবহারে বৈচিত্র্য আসলে সুরেও বৈচিত্র্য আসবে ।
৩. ছন্দ বুঝতে হবে , গীত বুঝতে হবে । সবই বুঝতে হবে । সাধনা করতে হবে । গান বাজনা সাধনার জিনিস ।
দুয়া করবেন । চাকুরী ও লেখালেখির কারণে গানে পুরোপুরি মনযোগ দিতে পারছি না ।
উপরন্তু জামায়াত-আহলে হাদিস-ওহাবী-সৌদি রাজতন্ত্রের দালালরা আমাকে নিয়মিত হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে । কারণ আমি গান পছন্দ করি ।
অপর দিকে -
তারা গান ভালবাসে না ।
তারা মানুষের কথা করে নিতে চায় ।
তারা মানুষের সুর কেড়ে নিতে চায় ।
তারা মানুষের স্বর কেড়ে নিতে চায় ।
তারা মানুষের স্বপ্ন কেড়ে নিতে চায় । তাদের দয়া-মায়া-মহববত কম ।
তারা আমাকে গান গাইতে দিতে চায় না । তারা আমাকে লেখতে দিতে চায় না ।
হচ্ছে অনেক দুরে আগাচ্ছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন