শিবিরের ভাইরা ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আমার এই কথাগুলোকে ভুল প্রমাণ করতে পারবেন কি ? ( ১৮+ পোস্ট )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৩৯:৩৯ রাত
আমি ভারত ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম । আমার আব্বু আমাকে ভারত নিয়ে যান । তিনি আমাকে বলেছিলেন, ভারত অনেক সভ্য দেশ । কারণ ভারতে খাজা মইনুদ্দীন চিশতী, নিজামুদ্দীন আউলিয়ার মাজারসহ ভারতেই রাসুল সা. – এর সময় ইসলাম প্রচার হয় ও ভারতের অনেক রাজা ইসলাম গ্রহণ করেন । আর বাংলাদেশে ১২০৪ সালে মুসলিমরা ক্ষমতা লাভ করে ও ইসলাম ধর্ম প্রবলতর হয় ।
আমি বল্লাম : আব্বা হুজুর । ভারত অভিশপ্ত দেশ । মালাউন প্রধান দেশ । ভারতে ইসলাম ধর্ম প্রবলতর নয় । মুসলিমদের মালাউনরা অবদমিত করে রেখেছে ।
আব্বু বলেন : বেটা । তুমি বেশী বোঝ । একটু কম বোঝার চেষ্টা কর । ইসলাম প্রচার করার বিষয় । আর তুমি মালাউন বলে তোমার প্রতিবেশীকে অবজ্ঞা করছো । মালাউন শব্দের অর্থ কি ?
আমি বল্লাম : অভিশপ্ত ।
আব্বু বল্লেন : আল্লাহর অভিশাপ কার উপর আছে আর কে অভিশপ্ত – এই বিষয়টা আল্লাহর উপর ছেড়ে দাও । তুমি তাদের হিন্দু বলো । মালাউন বলো না । আল্লাহ যাদের সত্য পথ দান করেন তারা হিন্দু হতে মুসলিম হয়েও ইসলামের বড় প্রচারক হতে পারেন । তুমি কি দেখোনি , বাবড়ি মসজিদ ধ্বংষকারী এক হিন্দু ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে তাবলীগ জামায়াতে যোগ দিয়ে ইসলাম প্রচার করে যাচ্ছে ।
আমার কাছে আমার আব্বুর কথাগুলো ভাল লাগছিলো না । আর তিনিও বুঝতে পারছেন আমরা তার কথা পছন্দ করছি না ।
আমার এক বোন আমাদের বলছিলেন যে আমরা ভারত ঘুরতে এসেছি মাজার পুজা করতে ।
আমার আব্বু এই কথা শুনে বল্লেন, আমরা মাজার জিয়ারত করতে এসেছি । মাজার জিয়ারত করার সাথে পুজার তুলনা করা ঠিক নয় ।
তখন বলা হলো, তাহলে আমরা ভারতের তাজমহল , লাল কেল্লা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল –সহ বিভিন্ন স্হাপনা ও ইতিহাসের স্বর্ণোজ্জ্বল সাক্ষীগুলো আমরা কেন পরিদর্শন করবো না ।
আব্বা সময়ের কথা ও টাকার সমস্যার কথা বল্লেন । আমরা কথা বাড়ালাম না ।
আজ আমি আমার লেখায় ( এটা লেখা নয় । বলতে পারেন বিক্ষিপ্ত তথ্যের সন্নিবেশ ) ভারত ও হিন্দু সম্পর্কিত আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
১. আজব হলেও সত্য ভারতের হিন্দুদের একটা বড় অংশ মরা মানুষের গোস্ত খায় । তাদের আগোরি, তান্ত্রীক বা কাপালিক বলা হয়। এরা খালি গায়ে চলাফেরা করে । আমরা বুদ্ধগয়া শহরে এমন অনেক লোক দেখেছি । দেখুন তারা কীভাবে মরা মানুষের গোস্ত খায় :
http://www.youtube.com/watch?v=orUh2do3EOs
http://www.youtube.com/watch?v=d10x8LI1NOE
যাদের হার্টের সমস্যা আছে তারা মানুষের গোস্ত খাওয়া দেখবেন না ।
২.ভারতে মন্দিরের মধ্যে ১০-১২ বছরের মেয়েদের সাথে জোড় করে মন্দিরের পুরোহিতরা যৌনতা করে । মেয়েদের সাথে যৌনতা করার জন্য তাদের বাবা-মা মন্দিরে মেয়েদের দিয়ে আসে । কারণ ধর্মের বিধান মতে সদ্য রজস্রাব হওয়া বা সদ্য যৌবন পাওয়া মেয়েদের সাথে পুরোহিতরা যৌনতা করলে মেয়েরা মঙ্গল লাভ করবে । maya নামক মুভিতে ৫ পুরোহিত মিলে মায়া মেয়েকে ধর্ষন করেছে তা দেখানো হয়েছে । maya মুভিটা জনপ্রিয় মুভি । maya মুভিতে কীভাবে মায়াকে পুরিহিতরা দর্শন করে তা এই ভিডিওতে দেওয়া আছে (১৮+ ) :
http://www.youtube.com/watch?v=3JsRkfEjdos
এটা দেখে বোঝা যায় ধর্ষন কত ভয়াবহ জিনিস একটা মেয়ের কাছে ।
৩. সাধারণ হিন্দুরা গরুর গোবর, গরুর পেশাব আর শুকরের গোস্ত খায় । তারা উৎসবের সময় দুর্গন্ধযুক্ত পাঠার গোস্ত খেতে পছন্দ করে । ধনী লোকরা মুরগীর গোস্ত খায় । হিন্দুরা গরুকে তাদের মা হিসেবে পুজা করে
৪. ভারতের বেশীর ভাগ লোক প্রকাশ্যে টয়লেটের কাজ করে । ভারতের এক মন্ত্রী কয়েক বছর আগে টয়লট বানানোর গুরুত্বের কথা বলতে যেয়ে ভীষণ সমস্যায় পড়েন ।
ভারতের মহিলারাও প্রকাশ্যে খোলা স্হানে টয়লেটের কাজ করে । আমি হাওড়া রেল স্টেশনে প্রকাশ্যে মহিলাদের দাড়িয়ে পেশাব করতে দেখেছি ।
৫.ভারতের হিন্দু ছেলেরা ধর্ষক মানষিকতার । তারা মেয়ে দেখামাত্রই ধর্ষন করে । বিশেষত বিদেশীদের । আমরা আজমীর গিয়েছিলাম । এক হিন্দু মেয়ের সাথে আমরা কথা বলেছিলাম মুসলিম মেয়ে মনে করে । কারণ মেয়েটা চোখ-মুখ ঢাকা বোরকা পড়া ছিল । মেয়েটা হিন্দু হয়েও মুসলিম মেয়েদের মতো কাল বোরকা ও চেহারা কাল রং দিয়ে বিশ্রী করে রেখেছিলো । মাত্র ৮ হাজার মুসলিম বাস করে আজমীর শহরের মাজার এলাকায় । অথচ এখানে হিন্দু মেয়েদেরই বেশী বোরকা পড়ে চলাফেরা করতে দেখা যায় । কারণ আজমিরের মতো পবিত্র শহরে ধর্ষণ বেড়ে গিয়েছে । বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় এক নির্বাচিতা মহিলা প্রতিনিধিকে হাওড়া রেল স্টেশনে হিন্দুরা ধর্ষন করে । তারপর আজমীরে যাওয়ার পথে জয়পুর শহরেও ধর্ষন করে । এই নিয়ে বাংলাদেশে কোন হৈচৈ হয়নি । পত্রিকা বিষয়টাকে চেপে গিয়েছিলো ।
আমি সবাইকে বলছি, নিজেদের মা-বোন-স্ত্রীকে ভারতে চিকিৎসা বা পড়াশোনার জন্য পাঠানোর ব্যাপারে সতর্ক হোন ।
৬. ভারতের হিন্দু ছেলে ও বেশীর ভাগ মেয়ে দীপাবলী উৎসবের সময় যৌনতা উপভোগ করে । ভারতের বেশীর ভাগ ছেলে তাদের খালাতো-ফুফাতো-মামাতো বোনের সাথে যৌনতা করে । তারা এটাকে দুষনীয় মনে করে না । তাদের ধর্মে এমন ভাই-বোন বিয়ে করা নিষিদ্ধ ।
আমি সবাইকে বলছি, নিজেদের মা-বোন-স্ত্রীকে ভারতে চিকিৎসা বা পড়াশোনার জন্য পাঠানোর ব্যাপারে সতর্ক হোন ।
৭. ভারতে বেশীর ভাগ বাড়িতে প্রাইভেসি বলে কোন শব্দ নেই । কারণ একই ঘরের মধ্যে মা-বাবা-ভাই-বোন –দাদা-দাদি থাকে । ছেলেরা পতিতালয়ে যেয়ে প্রাইভেসী শব্দটা উপভোগ করে ।
৮. আজব হলেও সত্যি ভারতে মুসলিমরা হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে । অনেক মুসলিম হিন্দুদের দেব-দেবীর পুজা করে । যেমন : শাহরুখ খান । হিন্দু ধর্মে অন্য ধর্মান্তর নিষিদ্ধ ছিল। মানে অন্য ধর্মের লোকরা হিন্দু হতে পারতো না । হিন্দু ধর্মের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এক ঋষির কাছে ধর্ণা দিলেন, যে হিন্দু ধর্মে লোক সংখ্যা কমে আসছে, অন্য ধর্মাবলম্বীদের কনভার্টের সুযোগ দেয়া হোক। ঋষি প্রথমে রাজী ছিলেন না, অনেক গাই-গুই করে রাজি হলেন, কিন্তু ধর্মীয় মতামত প্রকাশ করলেন , যে হিন্দু হবে তাকে গোবর মেশানো পানি খাইয়ে শুদ্ধ করতে হবে। আমার খুব জানার ইচ্ছা করে, আজ যারা অন্য ধর্ম হতে হিন্দু হন, তাদের আসলেই গোবর মেশানো পানি খেতে হয় কি না ? আজব হলেও সত্যি দুর্গা পুজার জন্য দশ ধরনের মাটির প্রয়োজন হয় । তার মধ্যে বেশ্যার দরজার মাটিও প্রয়োজন হয় । বেশ্যার দরজার মাটি ছাড়া দুর্গা পুজা শুদ্ধ হয় না ।
আজব হলেও সত্যি ভারতে প্রতি বছর ৫ লক্ষ মুসলিমকে আর এস এস, বজরং, দুর্গা বাহিনী, শুদ্ধি আন্দোলন সহ বিভিন্ন সংগঠণ হিন্দু বানায় । আর এই বিষয়টাকে আড়াল করার জন্য জাকির নায়েককে দিয়ে ১০-১১ জন হিন্দুকে মুসলিম বানানোর ব্যাপারটি প্রচার করা হয় । আর জাকির নায়েককে এই কাজ করার জন্য কোন সমস্যা করা হয় না ।
৯.হিন্দু ধর্ম ভারতের বাহিরের লোকরা ভারতে নিয়ে এসেছে । আর্য জাতির লোকরা ভারতে হিন্দু ধর্ম নিয়ে আছে ।এজন্য গ্রীকদের দেব-দেবীর সাথে হিন্দু ধর্মের দেব-দেবীর মিল রয়েছে। গ্রীকদের প্রধান দেবতা ‘জিউস’ আর হিন্দুদের ‘ব্রক্ষা’র ভূমিকা একই। আজ থেকে তিন-চার হাজার বছর আগে ভূ-মধ্যসাগরীয় এলাকার লোকরা সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে এরকম দেব-দেবী কেন্দ্রিক ধারণাই পোষন করতো । আর্য জাতির লোকরা ভারতে এসে হিন্দু ধর্ম চালু করে ।
‘হিন্দু’ শব্দটা এসেছে সিন্ধু নদ থেকে । আজ থেকে তিন-চার হাজার বছর আগে যে আচার-অনুষ্ঠান ভারতে এসেছিল কালের বিবর্তনে এক এক এলাকায় এক এক রকম রূপ লাভ করেছে।
বাঙ্গালী হিন্দুর প্রধান উৎসব দূর্গা পূজা । কিন্তু উত্তর ভারতে বা অন্যান্য জায়গায় পালন করা হয় না। সেখানে প্রধান উৎসব হল গণেশ পূজা।
হিন্দুরা জ্ঞানী হওয়ার জন্য বা ভাল ছাত্র-ছাত্রী হওয়ার জন্য স্বরস্বতী দেবীর পুজা করে ।
১০.প্রচলিত ধর্মানুসারে তিনজন প্রধান দেবতা পৃথিবীকে শাসন করেন। এরা হলেন, ব্রহ্মা (creator), বিষ্ণু (preserver), শিব (destroyer)। তিন দেবতারই সঙ্গিনী বা দেবী রয়েছে। ব্রহ্মার সঙ্গিনী হলেন স্বরসতী (বিদ্যার দেবী), বিষ্ণুর সঙ্গিনী লক্ষী (বাণিজ্য দেবী) এবং শিবের সঙ্গিনী পার্বতী যাকে কালী বা দূর্গা নামেও পূজা করা হয়।
হিন্দু মেয়েরা শক্তিশালী ও সেক্সী স্বামী লাভ করার জন্য শিব লিঙ্গের পুজা করে । হিন্দু ছেলেদের সেক্স পাওয়ার কম বলে অনেক হিন্দু মেয়ে মুসলিম ছেলেকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে । এটাকে হিন্দুরা লাভ জিহাদ বলে অভিহিত করে ।
১১.হিন্দু ধর্মে জাতিভেদ রযেছে এবং হিন্দু ধর্মানুযায়ী সব মানুষ সমান নয় (All men are not equal). এবং এটি একটি জাত ধর্ম অর্থাৎ আপনি জন্মের সময় যে অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেন আপনার বর্ন পরিচয়ও তাই হবে অর্থাৎ ব্রাক্ষণের পুত্রই ব্রাক্ষণ হবে, শুদ্রের পূত্র কখনো ব্রাক্ষণ হবে না।
১২.হিন্দু ধর্মে গাভী-র চেয়ে মেয়েরা কম মূল্যবান । কারণ হিন্দু ধর্মের বইয়ে বলা আছে ।
“লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মেরে দুর্বল করা উচিত যাতে শরীরের ওপরে তার কোনো অধিকার না থাকে” (শতপথ ব্রাহ্মণ ৪/৪/২/১৩),
কারণ হিন্দুদের মতে গরু তো দুধ দেয় আর গরুর পেছাব ও পবিত্র যা খেলে শরীর ভাল থাকে ।
আর মেয়েদের থেকে তো এসব পাওয়া যায় না । এজন্য তা-ই ভারতের হিন্দুরা সব ধরনের মেয়েদের ধর্ষণ করে এবং বাংলাদেশের মুসলিম মেয়েদের হিন্দু ছেলেরা ধর্ষণ করে ।
১৩.বাংলাদেশের অধিকাংশ জুতা তৈরী হয় গরুর চামড়া দিয়ে । প্রতি দিন গড়ে এগাড়ো হাজার গরু জবাই করা হয় । আর এসব গরুর চামড়া দিয়েই বাংলাদেশে জুতা বানানো হয় । …আমি ফেসবুকের জিনিয়াস পাপী–এর স্যাটাসটা সামান্য পরিমার্জিত করে শেয়ার করছি ।
ইহা একটু পাদুকা গবেশনাঃ-
আমরা ছোট বড় সবাই জুতা পড়ি । জুতার কারণে দেহের অর্ধেক সৌন্দর্য ফুটে উঠে। আমাকে একজন মেয়ে বলছিল "যে ছেলের ঘার কালো আর জুতা ভালো না সে ছেলে যত স্টাইল করুক তাকে সুন্দর দেখাবে না ।" তাই জুতার উপরে মানুষ অনেক নির্ভরশীল । আমরা সবাই চাই সব চেয়ে সুন্দর আর উন্নত মানের জুতা পড়তে । বিশেষ করে আমরা দোকানে গেলে জুতাটা আসল চামড়া কিনা ? সোল কেমন ? চামড়ার বদলে আবার রেক্সিন দিয়ে দেয় নাকি এমন বিশেষ কিছু লক্ষ্য করি । আসুন এবার একটু অন্য দিকে যাওয়া যাক ।।
হিন্দুরা গরু কে তাদের মা , ভগবান , দেবি ইত্যাদি নামে সম্মান করে । তাদের ভগবান কৃষ্ণ নাকি এই গরুর পিঠে করে ভুবন ঘুরে বেড়াতেন । অন্য সুত্রে জানা যায় তাদের ভগবান কৃষ্ণ মাঠে গরু চড়াতেন । এই কারনেই গরু তাদের কাছে এতো সম্মানের । আর তাই গরুকে তারা পুঁজো দেয় । গরুর মুত্রের মাঝে বসে সম্মানিত ভগবানদের ডাকে । গরুর মুত্র আর গরুর গোবর উভয় তাদের কাছে পবিত্র । শুধু তাই না । আপনারা সবাই জানেন কোন হিন্দুই গরুর মাংস খায় না । কারণ নিজ ভগবানকে জবাই করে দেহের মাংস কি কেউ খেতে পারে ? তাই বলে কিন্তু তাদের মায়ের দুধ খাওয়া থেকে তারা বিরত থাকেন না ।
এখন আমার প্রশ্ন হল - যেই মা কে এতো সম্মান করি , যাকে নিজের মালিকের জায়গায় বসালাম , যার হাগু মুতু সব পবিত্র , সেই মায়ের চামড়া দিয়ে বানানো জুতা কি ভাবে আমি পায়ের নিচে রাখি ? বাজারে গিয়ে আসল চামড়ার জুতা না হলে আমি সেই জুতা কিনি না । তখন কি আমি ভুলে যাই এই চামড়া আমার মায়ের গায়ের চামড়া ? নাকি সতীদাহ , বহুবিবাহ এই সব নিয়ম যেমন নিজেদের প্রয়োজনে পরিবর্তন করে নিছেন এই মায়ের গায়ের চামড়া দিয়ে বানানো জুতাও সেই রকম নয়ম পরিবর্তনের অংশ ? এ কেমন প্রথা যার নিয়ম কানুন মানুষ নিজ প্রয়োজনে পালটায় ? এতে কি আপনাদের গরু মা অথবা কৃষ্ণ সাহেব ক্রদে ফেটে পরেন না ?
অথচ আপনারা দেখেন ইসলাম ১৪৩৩ সাল আগে যেমন ছিল এখনও তেমনি আছে , কেউ নিজ প্রয়োজনে কিছুই পরিবর্তন করতে পারে নায় আর কেয়ামত পর্যন্ত পারবে না ।।
কোন হিন্দু ভাই আবার বইলেন না বাংলাদেশে বাঘের চামড়া দিয়ে জুতা বানায় গরুর না । যদি আপনাদের কোন সন্দেহ থাকে তবে দয়া করে মিরপুর এগারো নাম্বার জুতার বাজারে গিয়ে দেখে আসেন বা হাজারীবাগে ট্যানারী মোরের জুতার ফ্যাক্টরীগুলোতে গিয়ে দেখেন ।আপনার চোখের সামনে আপনার জুতা বানিয়ে দিবে আসল চামড়া দিয়ে , আর তাও গরুর চামড়া । যদি বলেন সে মুসলিম তাই এমন করে , তাহলে আপনি যে বাজার থেকে নিজ ইচ্ছায় চামড়ার জুতা কিনতেছেন সেটা কি ?
এখনও সময় আছে ,সত্য খুজে দেখেন । মনে রাখবেন , আপনাকে কেউ চর মারলে ব্যাথা পাবেন । কিন্তু অন্য কেউ না ব্যাথ্যা পাবে না । তেমনি পূর্বপুরুষের ধর্ম বলে অন্ধ ভাবে মেনে যাবেন এমন করবেন না । তাহলে আপনি ফেসবুক কেন বাস্তব জীবনেও অপমানিত হবেন । লোকেরা বলবে," বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন, ম্যাডিকেল কলেজে পড়েন । এখনও সেই কুসংস্কার ও কুপমন্ডুকতা নিয়েই আছো । "
১৪.হিন্দু ধর্মে মেয়েদের ধর্মগ্রন্হ পড়ার অধিকার নেই । মেয়েদের ধর্মগ্রন্হ পড়ার অধিকার কতটুকু সে সম্পর্কে তথ্য শেয়ার করছি ।
১. নাসত্দি স্ত্রী নাং ক্রিয়া মন্ত্রৈদিতি ধর্মে ব্যবস্থিতি।
নিবিন্দ্রিয় হামন্ত্রাশ্চ স্ত্রিয়োহ নৃতমিতি স্থিতিঃ
অর্থ: মাস্ত্রোক্ত বিধি অনুসারে নারীদের মন্ত্রে কোন অধিকার নাই,
স্মৃতি ও ধর্ম শাস্ত্রে ইহাদের অধিকার নাই, এই জন্য ইহারা নিতানত্দ হীন ও অপাদার্থ।"
(সূত্রঃ মনুসংহিতা- ৯ম অধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ২৫০, শ্লোক-১৮, মূল সংস্কৃত-মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়)
এখানে স্মৃতি বলতে গীতা আর শ্রুতি বলতে বেদ-কে বোঝানো হয়েছে ।
২.ন শূদ্রে পাতকংকিঞ্চিন্ন চ সংস্কারমর্হতি।
নাস্যাধিকারো ধর্ম্মেহসত্দি ন ধর্ম্মাৎ প্রতিষেধনম্
অর্থ: "শূদ্রের (নিষিদ্ধ দ্রব্য ভক্ষণে) কোনো পাপ নেই, সে (উপনয়নাদি) সংস্কারের যোগ্য নয়,
ধর্মে তার অধিকার নেই, (শূদ্রের জন্য বিহিত পাকযজ্ঞাদি) ধর্ম থেকে তার নিষেধ নেই।"
(মনুসংহিতা- ১০ম অধ্যায়, পৃষ্ঠা: ২৯৮, শ্লোক-১২৬। মূল সংস্কৃত-দেবতা মনু, অনুবাদ সুরেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়)
যেখানে নারী আর নিচু জাত শূদ্রের মন্ত্রে-স্মৃতিতে-শ্রুতিতে অধিকার নেই, সেখানে অন্য ধর্মাবলম্বীরা কতটুকু সম্মান পেতে পারে ?
প্রাচীন পন্থী পন্ডিতদের মতে মহাভারতের রচনাকাল ধরা হয় ৩০০০ খ্রীষ্টপুর্বাব্দ, বেদের রচনাকাল ধরা হয় ২৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৯০০ অব্দ এবং গীতার রচনাকাল খ্রীষ্টপূর্বাব্দ ২০০ থেকে ২০০ অব্দ পর্যন্ত ।
সুতরাং এই অবস্হা সুদুর অতীত হতে হয়ে আসছে ।
১৫. অনেক আগে একটা ইংরেজী লেখায় দক্ষিণ ভারতে দেবতার মঙ্গল লাভের আশায় জীবন্ত শিশু সন্তানকে মাটির নিচে ১০ মিনিট চাপা দিয়ে রাখার কথা দেখেছি । গঙ্গা নদীতে অনেক হিন্দু তার জীবন্ত শিশুদের দেবতার উদ্দেশ্যে নিক্ষেপ করে থাকে ।
আমরা মুসলিম হলেও অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানা উচিত । কারণ কুরআনের প্রথম কথাই হলো : ইকরা । মানে পড় । আপনাদেরকে নেট সার্চ দিয়ে হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানার অনুরোদ করছি । আজ আমি ভারতের হিন্দু ও মুসলিমদের মাজার পুজা সম্পর্কে কোন তথ্য শেয়ার করলম না । পরবর্তীতে আমি শেয়ার করবো ।
বিষয়: বিবিধ
১০২০৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও ধন্যবাদ ।
ইসলামী সংগঠণ বলে পরিচিত শিবির কখনোই ভারত ও উগ্রবাদী হিন্দুদের তৎপড়তার ব্যাপারে সোচ্চার ছিল না । ফেসবুক ও নেটে ভারত ও বাংলাদেশের হিন্দুরা ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী কর্ম তৎপড়তা চালায় । এব্যাপারে শিবির বরাবরই নিরব ছিল ও আছে ।
ইদানিং তারা হিন্দুদের উৎসব উপলক্ষে অঢেল টাকা পয়সা খরচ করে ব্যানার-ফেস্টুন-লিফলেট করে থাকে যা চরমভাবে ইসলামবিরোধী ।
প্রথম ছবিটা হচ্ছে শিবিরের ব্যানার । এই ব্যানার যারা বানিয়েছে ও লাগিয়েছে তারা ইসলাম হতে খারিজ হয়ে গেছে ও হাসরের মাঠে হিন্দু হয়ে উঠবে । যদি তারা প্রকাশ্যে মুসলিমদের কাছে ক্ষমা না চায় এবং হিন্দু ধর্ম হলো মিথ্যা ও পথভ্রস্টতা বলে বিবৃতি না দেয় - তাহলে মুসলিমদের উচিত তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা ও মসজিদে প্রবেশ করা হতে বিরত রাখা এবং তারা মারা গেলে তাদের জানাজা ও দাফন-কাফনে অংশ না নেওয়া ।
ইসলামী সংগঠণ বলে পরিচিত শিবির কখনোই ভারত ও উগ্রবাদী হিন্দুদের তৎপড়তার ব্যাপারে সোচ্চার ছিল না । ফেসবুক ও নেটে ভারত ও বাংলাদেশের হিন্দুরা ইসলাম ও মুসলিমবিরোধী কর্ম তৎপড়তা চালায় । এব্যাপারে শিবির বরাবরই নিরব ছিল ও আছে ।
ইদানিং তারা হিন্দুদের উৎসব উপলক্ষে অঢেল টাকা পয়সা খরচ করে ব্যানার-ফেস্টুন-লিফলেট করে থাকে যা চরমভাবে ইসলামবিরোধী ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন