কেহ কি আমার প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন ? দয়া করে দিন না ....
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৬ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:০৮:০৬ রাত
আমার এই পোস্টের মন্তব্য আমার একান্ত ব্যক্তিগত উপলব্ধি । কাউকে প্রতিপক্ষ জ্ঞানে খাটো করে দেখান আমার উদ্দেশ্য নয় । আমি শুধু ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা তুলে ধরছি মাত্র ।
( যারা গান –বাজনা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-নাটক-সিনামা জায়েজ মনে করেন না বা যারা মেয়েদের কন্ঠে গান শোনা বা মেয়েদের কন্ঠের মোলায়েম বা শ্রুতি মধুর স্বর শুনতে চান না বা যারা তাদের অনুভতি বা কষ্টকে বুঝতে চান না বা মেয়েদের চেহারা দেখা হারাম মনে করেন তাদের আমর এই পোস্ট পড়ার প্রয়োজন নেই । কারণ এই পোস্ট পড়ার জন্য অবশ্যই আমার দেওয়া ভিডিওটা দেখার প্রয়োজন হবে ।অন্যথায় আমার এই লেখা বোঝা যাবে না । )
http://www.youtube.com/watch?v=7jVgW_hxPyk
আমি অবাক হই । জামায়াতে ইসলামী লোকরা নিজেদের ইসলাম ধর্মের লোক দাবি করেন । শ্রেষ্ঠতম মুসলিম দাবি করেন । সহীহ মুসলিম দাবি করেন । সহীহ হাদিস মানা লোক মনে করেন । তারা ইসলাম কায়েমের কথা বলেন । তারা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের কথা বলেন । তারা ইসলামী খিলাফত কায়েমের কথা বলেন । অথচ তাদের পক্ষে পশ্চিমা ইহুদী -খৃস্টানরা এত ওকালতি করে কেন ? কিন্তু আমরা জানি, পশ্চিমা ইহুদী - খৃস্টানরা তো ইসলামী রাষ্ট্র ও খিলাফাত রাষ্ট্রের চরমবিরোধী ।
কেন পশ্চিমা ইহুদী - খৃস্টানরা জামায়াতের জন্য ওকালতি করে তার উত্তর আমি কাল পেয়েছি । খৃস্টানরা ক্রসেড করেছিল । মুসলিমদের হত্যা করেছিল । খৃস্টানদের সেই ক্রসেড এখনও শেষ হয়নি । তারা ক্রসেড করার জন্য বা মুসলিমদের হত্যা করার জন্য বা বাঙ্গালী মুসলিমদের মেরুদন্ড শেষ করে দেওয়ার জন্য - তারা জামায়াতকে বেছে নেয় । আর এই ক্ষেত্রে তারা মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব , কাতার, কুয়েত, জর্দান ইত্যাদি রাজতান্ত্রিক দেশগুলোকে সাথে নেয় ।
অনেক জামায়াত - শিবিরের ভাইরা আজও বুঝেনি বা তাদের কাছে পরিষ্কার হয়নি : “ জামায়াত সংগঠণ হিসেবে পশ্চিমা ইহুদী - খৃস্টানদের দোষর । আর পশ্চিমা অমুসলিমরা যাদের পক্ষে থাকে, তখন পশ্চিমা অমুসলিমরা তাদের জাতীয় ও ধর্মীয় স্বার্থ বিবেচনা করে থাকে - তা সাধারণ মুসলিম মাত্রই বুঝতে পারে । কারণ সত্যিকার মুসলিমের কাছে কখনো কোন ইহুদী-খৃস্টান অন্তরঙ্গ বন্ধু হতে পারে না ।
আমার প্রশ্ন : পশ্চিমা ইহুদী খৃস্টানরা জামায়াতের লোকদের বা আমাদের মতো মুসলিমদের কি সঠিক পথের ইঙ্গিত দেয় ? আর কেনই বা দিবে ?
কারণ আমাদের বোধ-বিশ্বাস-চেতনা জগত ভিন্ন । কাল আমি ১০ মহররমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং ইসলামী নববর্ষ পালন করার গুরুত্ব আলোচনা শেষ করতে যেয়ে বুঝতে পেরেছি ।
পশ্চিমা শক্তির জামায়াতের অপরাধ ও ভুলকে ঢাকার চেষ্টা আমাদের কাছে আজ পরিস্কার । যেমনই পরিস্কার ইয়াজিদ তার শত্রু রাসুল (সা.) - এর নাতী ইমাম হুসাইন (রা.) - এর স্বপরিবারে হত্যার ঘটনাকে জামায়াত-ওহাবী সম্প্রদায় - আহলে হাদিস গোষ্ঠী - সালাফী গোষ্ঠী - সৌদি রাজতন্ত্র আড়াল করতে চায় কেন তাও আমাদের কাছে পরিস্কার ।
দলের চেয়ে নাকি দেশ বড় তারা শ্লোগান দেয় - আজ জামায়াত - শিবিরের ভাইরা । কই তাদের সেই সত্য উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ তো আমি কখনো দেখি নাই । যদি তাদের সেই বহিপ্রকাশ থাকতো , তাহলে তারা চক্ষু লজ্জার খাতিরে তারা ক্ষমা চাইত একটি বারের জন্য হলেও । বাংলাদেশের জনগণের কাছে ।
তারা এই মেয়েটি ও তার বোনটির কাছে একটি বার হলেও কর জোড়ে ক্ষমা চাইতো । বোন সাদিয়া আমি দু:ক্ষিত । আমি তোমার বোনের মতো সুন্দর মুখশ্রী ফিরিয়ে দিতে পারবো । আমি পারবো না আল্লাহর দেওয়া তোমার মুখ আবয়ব ফিরিয়ে দিতে । বোন সাদিয়া । আমাকে ক্ষমা কর ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুর মুবীন । আল্লাহ হাফিজ । ফি আমানিল্লাহ ।
বিষয়: বিবিধ
২৩৭৪ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Shame Shame Shame, to support the anti-Islamic Fasciest regime now you preach the hearted. As a Muslim I did not see anythging wrong to love all people including Jews and Christain. I know why do you do this because they reject the KANGRAOO court set by fasciest ragime. Before you try to divided Muslim Ummah by calling them various name like Mududi, Hanifhyh, salafi, Ohabi etc but fail. Do not think you get success at the end. Truth must be established and Fasciest regime must be down. Wait and see, Inshallah
ভাল করে আমার লেখাটা পড়ুন । ইতিহাস সামান্য হলেও চর্চা করুন । ১৯৪১ হতে ২০১৪ খুব বেশী বড় সময় না ।
সৌদি আরব জামায়াত-শিবিরের কিছু ভাইয়ের কাছে আদর্শ দেশ । সেই দেশের বিচার ব্যবস্হা কেমন - তা হয়ত তারা জানেন ।
আমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই ।
জামায়াত-শিবিরের বিরোধীতা করা ছাড়া এই লোকের আর কোন কাজ নেই।
নিজের কাছে ভালো কিছু থাকলে ঐটা শেয়ার করেন। আর জামায়াত-শিবিরের কর্মপন্হা যদি আপনার টার চেয়ে খারাপ হয়, সেটা এমনিতেই ছাপা পড়ে যাবে। সূর্ষ উঠলে চন্দ্রের কিরন যেমনি দেখা যায় না।
এই লোকগুলো সমাজে ইসলাম প্রচারে প্রধান বিঘ্ন। যেমন বায়তুল মোকাররমের মাসউদ টাইপের লোক আর কি!
ঠাকুর ঘরে কে রে । আমি কলা খাই না ।
১৯৭১ সালে জামায়াতের কার্যক্রম সমাজে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে খুব সহায়ক ভুমিকা পালন করে কি ? - এই প্রশ্নের উত্তর একটা বাচ্চা ছেলেও দিতে পারবে ।
আমার মধ্যে ভাল কিছু আছে বলেই আমি এই লেখাটা লিখতে পারছি । কারণ আমি সত্যকে তুলে ধরছি । আমার ভাল অনেক বিষয়ই আমি নেটে শেয়ার করছি । কারণ আমি মনে করি, সৎ ও আল্লাহভীরুতামূলক কাজে আল্লাহ আমাদের পরস্পর সহযোগি হতে বলেছেন ।
পরিশেষে আপনাকে কুরআনের এই আয়াতটা নিয়ে স্টাডি করার জন্য অনুরোদ করছি :
يٰأَيُّهَا الَّذينَ ءامَنُوا اجتَنِبوا كَثيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعضَ الظَّنِّ إِثمٌ ۖ وَلا تَجَسَّسوا وَلا يَغتَب بَعضُكُم بَعضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُم أَن يَأكُلَ لَحمَ أَخيهِ مَيتًا فَكَرِهتُموهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوّابٌ رَحيمٌ
[12] মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। সুরা হুজরাত : ১২
দয়া করে বাংলা ভাষায় মন্তব্য লিখুন । আর বাংলা বর্ণমালা ব্যবহার করে বাংলায় মন্তব্য লিখবেন । আমি আপনার মন্তব্যের উত্তর দিব । ইনশাআল্লাহ ।
১। কোন মুসলিম কিংবা মুসলিম কমিউনিটি - যদি মনে করে তার দেশের সরকার পুরোপুরি অন্যায়ভাবে, বিচারের নামে কতক মুসলিম লিডারশিপকে হত্যা করছে, পুংগু করছে, অবিচার করছে - তখন সে মুসলিম কিংবা মুসলিম কমিউনিটির ইসলামের আলোকে - কি করার আছে বলে আপনি মনে করেন?
২। বছর ১০/২০/৩০ কিংবা আরো পরে যদি প´রমান হয় - সরকার অন্যায় ভাবে মুসলিম লিডারশিপকে হত্যা করেছিল - তখন ঐ সব মুসলিম ও মুসলিম কমিউনিটি - যারা সরকার কর´তৃক আজকের হত্যা কিংবা অবিচারকে সমর´থন জুগিয়েছে, এ খুনের সমর´থনে লিখা লিখি করেছে - ইসলামের আলোকে এই সব সমর´থন কারী মুসলিমদের কি ব্যবস´থা নিশ´চিত করা উচিত হবে বলে আপনি মনে করেন?
১. আমার পোস্টের আলোচিত লোকরা মুসলিম বা মুসলিম কমিউনিটির লোক নয় । তারা নিষক রাজনৈতিক দলের নেতা মাত্র । কারণ তাদের দলটা কোন মিশনারী বা এনজিও হিসেবে নিবন্ধিত নয় ।
তাদের বিরোদ্ধে ফৌজদারী, দন্দবিধি ও মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা করা হয়েছে আর তারা বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন ।
আমার মতে এই মুহুর্তে তাদের উচিত তাদের দলটাকে চিরতরে বিলুপ্ত করা ।
তবে আমার পোস্টে যার ছবি দিয়েছি, তিনি নিজেই কারাগারে থেকে চার পর্বের একটা বিশাল লেখা লিখেছেন যাতে তিনি তার দলের লোকদের এই মুহুর্তে কি করণীয় তা তুলে ধরেছেন । কিন্তু এই দলের এক নেতার স্ত্রী তার প্রচন্ড বিরোধীতা করেছিলেন ( এটা দিয়ে বোঝা যায় এই দলটা ঘুটি কয়েক পরিবার ও নেতার কথায় চলে । ) আপনি লেখাটার চারটা পর্বই এই লিংকগুলোতে পাবেন :
প্রথম পর্ব- http://imbd.blog.com/?p=278
দ্বিতীয় পর্ব- http://imbd.blog.com/?p=281
তৃতীয় পর্ব- http://imbd.blog.com/?p=282
চতুর্থ পর্ব- http://imbd.blog.com/?p=283
আমি লেখকের লেখার ভীষণ ভক্ত । তিনি সপ্হাহিক সোনার বাংলা নামক পত্রিকা আর সংগ্রাম নামক দৈনিক পত্রিকায় লিখতেন । লোকটা খুব আধুনিক ছিল । অন্তত তার দলের অন্যান্য লোক হতে অনেক অগ্রসর ও আধুনিক-বিজ্ঞানমনস্ক-কুসংস্কারমুক্ত লোক ছিলেন ।
তিনি তার পরিবারের মহিলাদের পর্দা করার নামে মুখ ঢেকে রাখাকে ফরজ মনে করতেন না । অপর দিকে তার দলের নেতারা এই কাজকে ফরজ মনে করতেন । আল্লাহ তার ভুলগুলো মাফ করে দিন ।
২. আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর আমার প্রথম প্রশ্নের উত্তরেই রয়েছে । কারণ আমি সেখানেই বলেছি, আলোচিত লোকরা মুসলিম বা মুসলিম কমিউনিটির লোক নয় । তারা নিষক রাজনৈতিক দলের নেতা মাত্র । কারণ তাদের দলটা কোন মিশনারী বা এনজিও হিসেবে নিবন্ধিত নয় ।
বলতে পারেন, তারা বড় জোড় ধর্মাশ্রয়ী রাজনৈতিক দলের লোক মাত্র । আর যদি তারা ইসলাম ধর্মের সাাথে সম্পৃত্ত লোক হতেন বা ইসলাম ধর্মীয় সংগঠণের লোক হতেন তাহলে তারা কোন ক্রমেই ফৌজদারী, দন্দবিধি ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করতেন না । বরং তারা এসব অপরাধমূলক কাজে সবার আগে বাধা দিতেন ও লোকদের সচেতন করতেন ।
পরিশেষে বলছি : তিনি বা তারা আইনগত কারণে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন ও সুর্নিদিষ্ট কারণে গ্রেফতার হয়েছেন, সেহেতু বিষয়টি আইন ও আদালতের বিষয় । এতে আমার আর আপনার করনীয় কিছুই নেই ।
তবে আমি মনে করি, এই মুহুর্তে তাদের ও তাদের দলের নেতা-কর্মীদের তাদরে দল চিরতরে বিলুপ্ত করা তাদের প্রধান ও এক মাত্র কাজ হওয়া উচিত । এর ফলে দলের সাধারণ নেতা-কর্মী সরকার ও জন রোষ হতে রেহাই পাবে - বলে মনে করি ।
১। যে সকল ভদ্রলোকরা বাংলাদেশে রাজনীতি করছেন কিংবা রাজনৈতিক দলের নেতা হয়েছেন - ওনারা অফিসিয়ালী আর 'মুসলিম' নন। সো অনুজ্জভাবে আপনি মনে করেন তাদেরকে 'মুসলিম' হবার জন্য রাজনৈতিক দলটিকে বিলুপ্ত করা সমাধান।
২। যেহেতু ওনাদের বিরুদ্ধে সরকার ফৌজদারী মামলা রুজ্জু করেছে - সেহেতু ওনারা এ্যাবসুলুট গিল্টি মনে করে এর বিপক্ষে তথ্য প্রমান ছাড়া লিখা ও সমালোচনা করা টেকনিক্যালী জায়েজ এবং এর জন্য কোন অন্যায় সাধিত হলে তার কোন দায় দায়িত্ব সমালোচনাকারী মুসলিমের নেই।
যদি আমি আপনার বক্তব্য যথাযথ ভাবে না বুঝি তাহলে জানাবেন - ধন্যবাদ।
আওমিলিগ ছাত লিগ যা করে তা কি আপনার ডানের
চুখে ধরা পড়ে না?
আওয়ামী দুসাশন ও হত্যা-গুম-সন্ত্রাসের উপর আমি বরাবরই সোচ্চার ছিলাম ও আছি । এই ব্লগ সাইটটা নতুন । তার আগে সোনার বাংলাদেশ নামক ব্লগ সাইট ছিল । যাতে আওয়ামী দুসাশন ও হত্যা-গুম-সন্ত্রাসের উপর আমি অনেক লেখা লিখেছিলাম । এই ব্লগে আমি শাহবাগী নাস্তিক সম্প্রদায় ও শাহবাগী ধর্ম ব্যবসায়ী সম্পর্কে আমি বেশ কিছু লেখা লিখেছি । আর আমি সব সময় একই বিষয় নিয়েই লিখে যাবো বা কারো কথায় লিখে যাবো - এমন সম্ভব নয় । কারণ আমার নিজের লেখার ও চিন্তার স্বাধীনতা আছে । আমি লেখাটা আমার পেশা নয় । এটা আমার শখ ও মনের খোড়াক যা আমি আমার প্রোফাইলে উল্লেখ করতে যেয়ে লিখেছি । আমি লিখেছি : " আমি একজন সাধারন লোক । ভালবাসি জ্যোর্তিবিজ্ঞান , বই পড়তে আর উদ্দেশ্যহীনভাবে হেঁটে বেড়াতে । নিজের ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য এই ব্লগে আসা । আমি চাই আপনাদের প্রীতি - ভালবাসা - শ্রদ্ধা । যদি কেহ আমার কোন মন্তব্য বা লেখার কারণে কষ্ট পান , তাহলে আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোদ করছি । সবার প্রতি আমার শুভ কামনা । "
আপনার উচিত আমার আজকের প্রশ্নগুলোর উত্তর কুরআন ও হাদিসের আলোকে দেওয়া ।
কারণ আল্লাহ বলেছেন :
আপনি কাফিরদের অনুসরণ করবেন না, আপনি কুরআন দ্বারা মোকাবেলা করুন । সুরা ফুরকান : ৫২ ।
তোমার প্রভুর পথে তুমি কৌশল ও সদুপদেশ দ্বারা লোকদের ডাক । তাদের সাথে বিতর্ক করে যুক্তির সাথে । সুরা নহল : ১১৪ ।
দয়াময়ের বান্দা তো তারাই যারা, পৃথিবীতে বিনয়ের সাথে চলে এবং মুর্খ লোকেরা তাদের সাথে কথা বার্তা বলে, তখন তারা বলে : শান্তি । সুরা ফুরকান : ৬৩ ।
ادعُ إِلىٰ سَبيلِ رَبِّكَ بِالحِكمَةِ وَالمَوعِظَةِ الحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلهُم بِالَّتى هِىَ أَحسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبيلِهِ ۖ وَهُوَ أَعلَمُ بِالمُهتَدينَ
[125] আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। সুরা নহল : ১২৫ ।
আমরা মুসলিম । আমাদের নিয়মিত কুরআন চর্চা করা উচিত । কুরআনের আয়াত নিয়মতি মুখস্ত করা উচিত । তেলোয়াত করা উচিত । ব্যাখ্যা সহ সেগুলো জনগণের কাছে প্রচার করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যরে মধ্যে পড়ে ।
আরবী অক্ষর টাইপ করা আর কপি পেস্ট করা জানাও উচিত ।
জাজাকাল্লাহ
বুদ্ধিমান হলে এটুকুতেই বুঝবেন। অতিরিক্ত বুঝলে মনে করতে হবে যে, সঠিক বেঠিক সমস্যা না, সমস্যা এলার্জিতে!
উত্তরে বলছি : এই কথার উত্তর আমার লেখাই রয়েছে । লেখাটা ভাল করে পড়ুন । জামায়াত ইসলামী দল বলে দাবি করে, অথচ ইহুদী - খৃস্টানদের জামায়াত লবিস্ট হিসেবে বেছে নিয়েছেন । যারা লবিস্ট তারা কোন স্বার্থে আর কেনই বা জামায়াতের পক্ষে কথা বলে ?
আমি অনেক প্রশ্নের অবতারনা করেছি । যেমন :
১. জামায়াত-শিবির বরাবর ১৯৭১ সালে তাদের ভুমিকাকে বেমালুম অস্বীকার করে বা এড়িয়ে যায় বা মিথ্যাচার করে । এই কাজটা কতটুকু যুক্তি সংগত ?
২. জামায়াত - শিবিরের দৃষ্টিতে শোক মিছিল বা সময় উত্তীর্ণ শোক প্রকাশ ধর্মবিরোধী কাজ । অথচ তারা নিজেরা এটা করে কেন ?
৩. জামায়াত - শিবির হরতাল অবরোধ করে জনগণকে অবর্ননীয় কষ্ট দিচ্ছে । অথচ তারা আইনকে শ্রদ্ধা করেই আদালতে গিয়েছে বা আইনী কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে । রায়ের কারণে জামায়াত-শিবির কেন জনগণকে কষ্ট দিবে ?
৪.জামায়াত - শিবির ওহাবী ও মওদুদী মতবাদ প্রচার করছে এমন দেশে যেই দেশের জনগণ গান –বাজনা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-নাটক-সিনামা পছন্দ করে । কিন্তু তাদের অনুসৃত ওহাবী ও মওদুদী মতবাদ এসবকে পুরোপুরি বা আংশিক হারাম মনে করে । তারা হারাম মনে করছে করুক । কিন্তু গান –বাজনা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-নাটক-সিনামা পছন্দ কারী জনগণের উপর বা নিরীহ জনগনের উপর হামলা করে তাদের নিহত ও পঙ্গু করছে কেন ? অথচ তারা গণতান্ত্রিক ব্যবস্হায় রাজনৈতিক দল পরিচালনা করেই জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চায় । তাহলে জনগণের আবেগ ও মনের খোরাক গান –বাজনা-শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-নাটক-সিনামা-কে অগ্রাজ্য করে কেন ? প্রতিটা জিনিসেই খারাপ ভাল আছে । আর সেগুলোকে ইসলামীকারণও করা যায় । জামায়াত-শিবরি এগুলোকে কতটা ইসলামীকরণ করেছে ?
৫. জামায়াত-শিবির ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্হা ও খিলাফাতের কথা বলে । অথচ জামায়াত রাজতান্ত্রিক দেশ সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, আরব আমিরাত, জর্দান, মরক্কোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছে এবং তাদের থেকে টাকা পয়সা এনে বাংলাদেশে অশুভ কার্যক্রম পরিচালনা করছে কেন (তবে টাকা পয়সা দিয়ে কিছু ভাল কাজও করে থাকে ) ?
আশা করি আমার এসব প্রশ্নে উত্তর দিবেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন