সাধারণ মুসলিম হিসেবে আজ আমাদের নূন্যতম করনীয় আসলে কি ছিল ?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:০৫:০১ রাত
আজ ছিল আশুরা । আমি কাল ও আজ রোজা রেখেছি । কাল ও আজ তিনটা আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছি । আলোচনায় আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা শুনেছি ও নিজে কিছু বলেছি ।
বাড়িতে এসে আশুরার সাথে সম্পৃত্ত কিছু হাদিস পড়েছি যাতে ইমাম হাসান ও হুসাইন রা - কে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তা তুলে ধরা হয়েছে । আর বাড়ির সবার সাথে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি ।
বাড়ির সব মহিলা ও ছোট বাচ্চাদের (মা-বোন-ভাইয়ের স্ত্রী-ভাইগ্না-ভাগ্নি) নিয়ে জামায়াতে মাগরিবের নামাজ পড়েছি যাতে আমি ইমাম ছিলাম । তাদের আজকের দিনের গুরুত্ব বলেছি ।
এই ছবিতে আমি বা আমার পরিবারের কেহ নেই । এতে নাসিহা পারভীন ও মনিকা সরকার এবং তার আম্মা ও ভাই আছে । তারা এভাবে পরিবারে নামাজ কায়েম করেছেন এবং ইসলামের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে ও ইসলামের মর্মবানী তুলে ধরে ১০ জন অমুসলিমকে মুসলিম বানিয়েছে । আর তারা মেয়ে হয়েও একটা এতিমখানা চালায় । আমরা ছেলে হয়েও কি এভাবে ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করি ?
আর আজ কম্পিউটারের সামনে বসে এই ব্লগের এডমিনদের কড়া কথাও বলিছি । কারণ তারা এই দিনের গুরুত্ব প্রকাশ করে কোন পোস্ট স্টিকি করেন নাই ।
ইমাম - হাসান রা - দ্বয়কে সাধারণ মুসলিমরা ততটুকুই ভালোবাসে, যতটুকু আমীর হামজা, যোবায়ের,উসমান,উমর,আলী,আবু বকরসহ সমস্ত সাহাবী রা: - গণকে ভালোবাসে।
আর ইমাম হাসান - হুসাইন রা - দ্বয়কে ভালবাসে বেশী । কারণ তারা জান্নাতে যুবকদের সর্দার । রাসুল সা- এর নাতী । সুতরাং ভালবাসার ধরনটা কেমন হওয়া উচিত তা তাদের মর্যাদা দিয়েই বোঝা যায় ।
বাংলা সাহিত্যে ১০ ই মহররম নিয়ে বিশাল মার্সিয়া সাহিত্য গড়ে ওঠেছে যাতে ইমাম হাসান - হুসাইনের শাহাদাত ও ইসলামী খিলাফত কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা তুলে ধরা হয়েছে । এসব কি এমনি এমনি গড়ে ওঠেছে ।
ইসলামে অনেক বিষয়ই আছে প্রকাশ্য বিষয় । যেমন : অন্যায়ের প্রতিবাদ করা । বাংলাদেশে আশুরা উপলক্ষ্যে শোক মিছিল হয় । লাখো মানুষের অংশগ্রহন করে । আমি নিজেও এমন শোক মিছিলে অংশ নেওয়ার দাওয়াত পেয়েছিলাম । আমাকে মূলত ইসলামী চিন্তাবিদ হিসেবে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল । সেই ২০০৬ সালের কথা । আমি দাওয়াত রক্ষা করেছিলাম । আমি মুলত এই অনুষ্ঠানটাতে সারাক্ষণ ভিডিও করা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম । কারণ অনুষ্ঠানটার শোকাবহ অবস্হাটা বার বার দেখার সুযোগ হবে না । কারণ আয়োজকরা উর্দুভাষী বিহারী হোসাইনী সুন্নী ও শিয়া ।
বলা হয় আমরা নাকি মুয়াবিয়ার সুন্নী । অবশ্য আমি নিজেকে শুধু মাত্র মুসলিম পরিচয় দিলেও বাংলাদেশের প্রচলিত ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করি যা হানাফী মাযহাব ও সুফিবাদ নামে পরিচিত ।
আর সৌদি আরবে শোক মিছিল তো দুরে থাক দুই ঈদ ছাড়া কোন উৎসব্ বা অনুষ্ঠান এটা হয় না । এমন কি ২৩ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠা দিবসও পালিত হয় না । অনেকে বলেন এর কারণ সেখানে ইয়াজিদী শাসন চালু আছে বা সৌদি আরব ওহাবী মতবাদ দ্বারা পরিচালিত হয় ।
আমাদের দেশে রাসুল (স.) কে কেউ গালি দিলে, ইসলামকে অপমান করলে তার প্রতিরোধ কিংবা নূন্যতম প্রতিবাদ করার লোক বাংলাদেশে অসংখ্য । কারণ আমরা নিষ্ঠাবান মুসলিম । উদাহরণ স্বরুপ, লতিফ সিদ্দিকির কথার প্রতিবাদে মানুষ গুলি বিদ্ধ হয়েছে, কারাগারে গিয়েছে । তারপর সরকার তার মন্ত্রীত্ব বাতিল করেছে । তার দলীয় সব পদ বাতিল করেছে । শাস্তি দেওয়ার চিন্তাও করছে বলে জানা যায় ।
জান্নাতের যুবকদের সর্দার শহীদ হয়েছে ১০ মহররম । তার জন্য শোক করা যাবে না । আর তিনি কীভাবে শহীদ হয়েছেন - তা আলোচনা করা যাবে না । যারা এমন কথা বলছেন তারা কি আদৌ মুসলিম কি না সন্দেহ ।
অথচ তারা নিজেরােই শোক দিবস পালন করেন । তাদের এমন শোক দিবস পালন করার দলীল তারা কুরআন হাদিস ঘেটে দিতে পারবেন না । যেমন : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সালের ঘটনা নিয়ে জামায়াত শিবিরের শোক মিছিল ও শহীদ দিবস পালন ।
তাহলে কি তারা ইমাম হাসান - হুসাইন রা - এর হত্যাকারীদের নিরাপদ করতে বা সঠিক ইতিহাস ঢেকে রাখার জন্য বা এসব ইসলাম বিরোধী রাজতন্ত্র সঠিক মতবাদ তা প্রকাশ করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন - বলে আমরা মনে করবো ?
মুয়াবিয়া ইসলামের খিলাফত ধংষ করে ৯০ বছরের উমাইয়া রাজতন্ত্র কায়েম করেছিল। এই সেই মুয়াবিয়া যে ইসলাম এর বৈধ খলিফা আলি (রা.)- এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ৪৫ হাজার মুসলিম দের হত্যা করেছিল। উল্লেখ্য বৈধ খলিফার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা কুফুরি ।
এই মুয়াবিয়া যে ইমাম হাসানের সাথে চুক্তি করেছিল তার মৃত্যুর পর ইমাম. হোসেন রা.- কে খলিফা করা হবে । অথচ তিনি ( শহীদদের সর্দার আমীর হামজা রা. - এর কলিজা চিবিয়ে খাওয়া মহিলা হিন্দার পুত্র হলেন মুয়াবিয়া ) ওয়াদা ভংগ করে তার পুত্র ইয়াজিদকে পরবর্তী খলিফা মনোনিত করে যান।
এই ঘটনা ও তার পরবর্তী ইতিহাস পড়া ও আলোচনা নিষিদ্ধ ঘোষনা করার জন্য কিছু লোক পায়তারা করছে ।
আর সেই ধারাবাহিকতায় আজ এই বিষয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে কোন পোস্ট স্টিকি হয়নি ।
এই মন্তব্য লেখার পর আমাকে অনেক ভাই শিয়া ঘোষনা করে গালি গালাজও করতে পারেন ।
উল্লেখ্য আমি শিয়া নই । বাংলাদেশের প্রচলিত ইসলাম অনুসরণ করি । প্রচলিত ইসলাম বলতে হানাফী মাজহাবকে বুঝাচ্ছি ।
আল্লাহ আমাদের ইসলামের মর্মবানী ভালভাবে বুঝার ক্ষমতা দান করুন এবং আমাদের সবাইকে জান্নাতে ইমাম হাসান - হুসাইন রা. - এর সহযাত্রী হওয়ার তৌফিক দান করুন । আমীন ।
বিষয়: বিবিধ
৩৫১৩ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি এই কয় দিন জিহাদ করেও মহররমের গুরুত্ব তুলে ধরে একটা পোস্টকে স্টিকি করাতে পারলাম না ।
আমার পোস্ট স্টিকি করতে হবে এমন কথাও আমি বলি নাই ।
আল্লাহ আমাদের ভুলগুলো ক্ষমা করুন । আমীন ।
আপনাকে সব সময় ব্লগ সাইটের সব পোস্টে একই কথা লিখতে দেখি । আর আপনাকে ব্লগ সাইটটার শীর্ষ মন্তব্যকারীর তালিকায় দেখা যায় ।
দয়া করে আমার কোন পোস্টেই কপি পেস্ট করা মন্তব্য লিখবেন না । অন্তত পোস্ট ভাল করে এক বার পড়ে পোস্টের সাথে সম্পৃত্ত বিষয়ে দুয়েক লাইন লিখবেন ।
পোস্ট তো সবাই পড়ে । সবাইকে মন্তব্য করতে হবে - এমনও নয় । আর মন্তব্য করলে সবারই উচিত গঠণমূলক ও তথ্যবহুল মন্তব্য করা ।
একই মন্তব্য আমি আরো অনেকের লিখায় করেছি, কারো বাধলো না, আপনার কেন সমস্যা হচ্ছে?
আমি শীর্ষ মন্তব্যকারী হলে আমার কি লাভ? আমি সকলের লিখায়ই মন্তব্য করি, তবে যে সকল লিখা সমস্যা মনে হয়, এর বেশী কমেন্ট করলে আমার লিখায় লেখক কষ্ট পেতে পারে, সেজন্য তার লিখাটি যে আমি পড়েছি সেটা জানাই। তাতে অন্যায় কোথায়? আর আমি কোনো কমেন্ট ব্লগার নই, আমি নিজে একজন লেখকও, অন্তত আপনার মত বিভেদ সৃষ্টিকারী অশালীন লিখা লিখি না, আবার লিখে চোরের মত এডিটও করি না, সম্পাদককে ধমক ধামকিও দেই না।
আপনি এ দেশের এমন কিছু হয়ে যান নাই, যে বিরাট কিছু একজন, স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রীর খাস লোক মনে হয় আপনার লিখায় এগ্রেসিভ এটিচিউড দেখলে।
অন্যরাও সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেন। আমার এই পর্যন্ত সকল মন্তব্যগুলো পর্যালোচনা করলে আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারবেন। আমি সকল লিখায় কপি পেষ্ট মন্তব্য করিনা।
আপনার কোনো পোষ্টে আমি আর আসছি না, নিশ্চিত থাকেন।
আমাকে নিয়ে আপনার চিন্তা ভাবনা করে কষ্ট পেয়ে লাভ নেই। আপনি নিজেকে বিরাট বড় ইসলামিক চিন্তাবিদ মনে করেন, করতে থাকেন। একজন সঠিক মুসলমান কাউকে আপনার মত আক্রমনাত্বক মনোভাব নিয়ে কি লিখায় কি মন্তব্যে নিজেকে তুলে ধরে না। আমি মুসলমানের ঘরে জন্ম নেয়া এক নামধারী মুসলমান যে স্বল্প জ্ঞান নিয়ে ইসলামকে বুঝবার চেষ্টা করছি, নিজেকে জাহির করাতে নয়।
আপনি কি একজন মুফতি? বা ইসলামিক স্কলার? আপনার ইসলামিক জ্ঞান কতটুকু বড্ড জানতে ইচ্ছে করে? আরো আপনার সম্পর্কে জানতে ইচ্ছে করে যে, আপনার ক্ষমতার দৌড় ও দেখতে চাই আমি। দু'একটি লিখায় আপনি ব্লগের সম্পাদকের পরিণতি অন্য কারো সাথে হবার কথা উল্লেখ করেন।
মনে করেন আমিও এই সম্পাদকের মত একই দোষে দোষী। আপনি আপনার অফুরন্ত ক্ষমতাবলে আমাকে কিছু করে দেখান।
আপনার অপেক্ষায় রইলাম আ্মি।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য মিঃ ফখরুল ইসলাম।
১.আমি অশালীন লিখা লিখি না । বরং সম্পাদকের অশালীন পোস্ট স্টিকি করার বিরোদ্ধে জোড়াল অবস্হান নেই ।
২. চোরের মত কোন পোস্ট এডিট করি না । তবে এবার সম্পাদকই আমার একটা লেখার শিরোনাম বদল করার পাশাপাশি লেখার গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ দিয়েছেন । ৩. সম্পাদককে সতর্ক করা আমার আওতায় পড়ে । কারণ তিনি প্রায়ই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আদর্শবিরোধী পোস্ট স্টিকি করেন ও নির্বাচিত করেন ।
৪.আপনি লিখেছেন : আপনি আপনার অফুরন্ত ক্ষমতাবলে আমাকে কিছু করে দেখান।
উত্তরে বলছি : আমি যথেষ্ঠ মহানুভব ব্যক্তি । আমি সেই ধরনের ক্ষমতা দেখাবো না । আর যদি দেখাই তার পরিনতিও শুভ হবে না ।
হ্যা । পরিশেষে বলছি , আপনি অন্য সব কপি পেস্ট করা মন্তব্যবাজদের মতো নন । আপনি এক জন ভাল ব্লগার ।
আশা করি, আমাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
শ্রদ্ধেয় মামুন ভাই! 'ছাল নাই কুত্তার বাগডাশ নাম' আলোচ্য পোস্টের লেখক জনাব ফখরুল ইসলাম সাহেবের জন্যেই এমন বাগধারা!
উনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ক্ষমতার পরিধি আমারও জানতে মন চায়!ধর্মীয় বিষয়ে উনার কতটুকু জানা তা পোস্ট দেখলেই বুঝা যায়!আশুরা কি শুধুই কারবালা কেন্দ্রিক? কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা এতে একটু মাত্রা যোগ করেছে শুধু!
ফখরুল ইসলাম সাহেবের কাছে অনুরুধ জানাবো-আগে নিজে ভালো ভাবে জেনে,নিজেকে সংশোধন করে অপরের চিন্তা করুণ!
আরোও বিস্তারিত জানার জন্য ও এর কারণ জানার জন্য আপনি আমার লেখা আগের পোস্ট দেখতে পারেন ।
আমি এজন্য আপনাদের কাছে ক্ষমাপার্থী । আশা করি আপনারা আমার ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
ইতিহাস বিকৃতি বাদ দেন। এইসব রাফেজী শিআদের তাবেদারী করে লাভ হবে না। আপনার এই অসাড় বক্তব্যগুলোর জবাব http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/6079/mhabd/56347#.VFj4EWdaUtV
এই লিঙ্কে দিয়ে এসেছি। দেখে আসেন, আর পারলে জবাবটাও দিয়ে আসেন। দেখি, এত বড় একজন বক্তা, যিনি নাকি আবার মানুষকে মুসলমান বানিয়ে বেড়ান, কি জবাব টা দেয়।
শুধু এতটুকু বলছি :
১. আমি কারো দালালী করি না ।
২. যারা আমাকে ভালবাসে আমি তাদের আদর আবদার সামান্য হলেও রক্ষা করি । যেমন : আমার এলাকার উর্দুভাষী বিহারীরা সম্প্রদায় । তারা আমাকে অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়ায় আমি দাওয়াত রক্ষা করি ।
এমন কি হিন্দুরা আমাকে দাওয়াত দিলে আমি দাওয়াত রক্ষা করি । তবে তাদের তাদের কোন পুজা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাই ।
আপনি আমার অসাড় বক্তব্যগুলো এখানেই উল্লেখ করুন ।
আপনার উচিত শিবিরের ভাইদের বলা , ভাইরা শোক মিছিল করবেন না । ইসলামে শোক মিছিল করার নিয়ম নেই ।
উর্দূভাষী বিহারী, এমনকি শিআ আমার এলাকায়ও কম নেই। এদের অনেকেই আমার বাল্যবন্ধু, যাদের সাথে আমার হৃদাত্মপূর্ণ সম্পর্ক। তাই বলে যাচ্ছেতাই মার্কা একটা অনুষ্ঠানে দাওয়াত করে বসলো, আর বন্ধুত্বের খাতিরে আমিও লেজ উঠিয়ে গিয়ে হাজির হলাম, এটা কি শরীআ সম্মত? বরং একজন মুসলমান হিসেবে আমার দায়িত্ব তাদেরকে যতটুকু সম্ভব বুঝিয়ে এই সব শিরক আর বিদআত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।
শিবিরদের দোহাই দিয়ে মিছিল করতে চাইছেন আপনি, আর বলবো আমি!!!!! অন্ধ ভালোবাসা এবং অন্ধ শত্রুতা উভয় কিন্তু জাহান্নামের পথই দেখায়।
আর আমি আমার এলাকার উর্দুভাষী বিহারীরা সম্প্রদায়রে অনুষ্ঠানে যেয়ে কোন ইসলামবিরোধী কাজে অংশ নেই নাই । আমি শুধু মাত্র জানার জন্য তাদের অনুষ্ঠান ভিডিও করেছি যাতে তাদের আবেগ ও অনুভতি প্রকাশ পেয়েছে । উপরন্তু আমি তাদের সাক্ষাৎকারও রেকর্ড করেছি । আমার ইচ্ছা ছিল তাদের অনুষ্ঠানের উপর প্রমান্য চিত্র বানানো ।
আমি আপনার পরবর্তী মন্তব্যেল উত্তর সুক্ষ্মাতিসুক্ষভাবে দিবো । ইনশাআল্লাহ ।
আলোচনা করতে আপনাকে কে মানা করেছে? নাকি আপনার মুখ চেপে ধরে রেখেছে? আলোচনা কি হচ্ছে না? সম্মানিত উলামায়ে কিরাম শুধু আপনাদের মতো মৌসুমি নয়, বরং সারা বছরই বিভিন্ন ভাবে এই আলোচনা গুলো চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সেটা শোনার মতো কান থাকতে হবে তো!
হযরত হুসাইনের শাহাদাত; রাসূল (সাঃ) কি এই ঘটনার ইঙ্গিত আগে থেকেই দিয়েছিলেন কিনা? অবশ্যই দিয়েছিলেন। তথাপি, ইসলামে মৃত ব্যক্তির জন্য ৩ দিনের বেশি শোক করার অনুমতি রাসূল (সাঃ) দেননি। বরং স্বামী ব্যতিত অন্য কারো জন্য ৩ দিনের অধিক শোক পালন করা বৈধ নয়। (বুখারী-২৩৭১) পাশাপাশি জাহেলি প্রথার অনুকরণের শোক পালন, বুক চাপড়ানো ও কাপড় ছেঁড়াকে রাসূল (সাঃ)কঠোর ভাষায় বারণ করেছেন (মুত্তাফাকুন আলাই বুখারি-১২৯৪, মুসলিম-১০৩)। এরপরও যারা এরকম মাতম করে এবং সমর্থন করে তাদের উপর রাসূলের (সাঃ) লানত।
আর শোক যদি করতেই হয়, তাহলে রাসূলের (সাঃ) ওফাতের দিন কেন শোক করা হয় না? হযরত উমরের (রাযি.) শাহাদাতের কেন রোনাজারি হয় না? হযরত উসমানের (রাযি.) মর্মান্তিক শাহাদাতের দিন কেন ছাতি পেটা হয় না? এমনকি যে রাফেজি শিআরা হুসাইনের (রাযি.) জন্য তথাকথিত শোক দেখিয়ে বেড়ায়, তারা কেন তাদের প্রথম দুই ইমাম হযরত আলী (রাযি.) ও হযরত হাসান (রাযি.) এর শাহাদাতের দিন এমন মাতম মিছিল বের করে না? নাকি মাতমের ফাতওয়া শুধু হুসাইন (রাযি.) পর্যন্তই সীমাবদ্ধ? মূর্খতার বোধ হয় শেষ আছে, কিন্তু রাফেজি ও তদ্বীয় দালালদের কান্ডজ্ঞানহীনতার শেষ নেই।
তাহলে তো দোষটা উল্টো হযরত হুসাইনের (রাযি.) উপর আপতিত হবে।(আল্লাহ জানেন হযরত হুসাইন (রাযি) কখনোই এরূপ দোষে দোষি ছিলেন না। এটা পরবর্তীর কিছু রাফেজি শিআ ও তাদের ভক্তকূলের ষড়যন্ত্র) ইয়াযিদ বিন মুআবিয়ার খিলাফত লাভকে কিছু রাফেজি শিআ আর পরবর্তীকালের দু'একজন বাদে বিদগ্ধ উলামায়ে কিরামগন বৈধই মনে করেছেন। কারণ, এই মনোনয়ন পারিবারিক প্রথা বিবেচনায় নয় বরং যোগ্যতার ভিত্তিতেই নির্ধারিত হয়েছিলো। যদিও হযরত মুআবিয়ার (রাযি.) প্রথম মনোনয়ন ছিলেন হযরত হাসান বিন আলী (রাযি.); কিন্তু তার ইন্তেকালের পর যোগতার ভিত্তিতে ইয়াজিদকে মনোনিত করেন। এমনকি জুমুআর খুতবায় মুআবিয়া (রায.) প্রকাশ্য দুআ করেন, "হে আল্লাহ! খিলাফতের যোগ্য বিবেচনা করেই যদি তাকে মনোনীত করে থাকি তাহলে তুমি তার অনুকূলে আমার এ সিন্ধান্তকে পূর্ণতা দান করো। পক্ষান্তরে পুত্রের প্রতি পিতার মোহই যদি হয় এর কারণ, তাহলে তুমি তা ব্যর্থ করে দাও।" উক্ত দুআর সাথে "আমিন" বলেছিলেন উপস্থিত কয়েকশত সাহাবা। নিন্দুকদের ভেবে দেখা উচিত, তাঁর এ দুআ কবুল হয়েছে কিনা। (যাহাবী কৃত তারিখুল ইসলাম, ২/২৬৭, সূয়ূতী কৃত তারিখুল খুলাফা -১৪৯)
এছাড়াও আল্লামা ইবনে কাসিরের তা'রিখে উল্লেখ আছে, আলী (রাযি.)-এর পুত্র ও হুসাইন (রাযি.)-এর বৈমাত্রিয় ভাই মুহাম্মাদ বিন হানফিয়া কে হাররাহ এর গোলযোগ চলাকালে আবদুল্লাহ বিন মুতি বললো- "ইয়াযিদ তো মদ্যপ, বেনামাযী ও কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধাচরণকারী"। তিনি উত্তর দিলেন, "কিছুদিন আমি তার সংস্পর্শে ছিলাম তখন তো তাকে নামাযে পাবন্দ ও কুরআন সুন্নাহর অনুগত দেখেছি। এমনকি ফিকাহ শাস্ত্র নিয়েও তাকে আলোচনা করতে দেখেছি।" ইবনে মুতি বললো, হয়তো সে আপনার সামনে কপটতা করেছে। তিনি উত্তর দিলেন, কিন্তু কিসের ভয়ে সে এমন করবে? পাল্টা প্রশ্ন করলেন, তুমি কি সচক্ষে তাকে এমন দেখেছ? ইবনে মুতি উত্তর দিলো- আমি নিজে দেখিনি তবে সত্য বলেই মনে হয়। তখন তিনি বললেন, "আল্লাহ এ ধরনের সাক্ষের অনুমতি দেয় না। অতএব তোমার কথা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই।" (আল বিদায়া ৮/২২৩)
এভাবেই ইতিহাস থেকে প্রমান করা যায়, আর অতীতে ইবনে খালদুন, ইবনে কাছির, তাবারী, শাহ ওয়ালিউল্লাহ, ইবনে তাইমিয়ার মতো আলেমগনও বলে গেছেন, ইয়াযিদ সর্বাপেক্ষা যোগ্য লোক ছিলো না বটে, কিন্তু তার খিলাফত বৈধ ছিলো। কেননা, বিরোধকারীর তুলনায় স্বীকারকারীর সংখ্যা বেশি ছিলো।
এবার নিজের কথার উত্তর বের করুন, বৈধ খলিফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জায়েজ নয়।
মোদ্দা কথা হলো, ইয়াযিদ সে জমানার সবচেয়ে যোগ্য লোক না হলেও অযোগ্য ছিলো না। আর হাল আমলের শিআদের কর্ণধারেরা তার বিরুদ্ধে যেভাবে দাড়িকমা ছাড়া বলে যায়, তেমন লোকও সে ছিলো না। সে দুধে ধোয়া তুলশি পাতা ছিলো না বটে, কিন্তু মদ্যপ,মুনাফিক, নাস্তিক ইত্যাদিও ছিলো না।
ইয়াযিদের মনোনয়োন হযরত মুআবিয়ার (রাযি.) একটা ইজতিহাদী সিদ্ধান্ত ছিলো। বলতে দ্বিধা নেই, যদিও হযরত মুআবিয়ার (রাযি.)এই ইজতিহাদী সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হয়নি, কিন্তু এর বদলে তাকে দোষারোপ করাও সর্বশ্রেষ্ট মূর্খতা।
আশ্চর্যের বিষয়, যে সব মহামুর্খ বেয়াদব কাতেবে ওহী হযরত মুআবিয়ার (রাযি.) নখের সমপরিমান হওয়ার যোগ্যতাও রাখে না; তারা এই জলীল কদর সাহাবার নামে যা ইচ্ছা বলে বেড়াচ্ছে। মুর্খতার সীমা থাকা উচিত।
রাসূল (সাঃ)-কে কি আল্লাহ ভবিষ্যৎ ফেতনা সম্পর্কে অবহিত করেন নি? তিনি কি জানতেন না কে বিশস্ত আর কে মুনাফিক? আবদুল্লাহ বিন উবাইয়ের মতো মুনাফিকদের বিষয় কি তার সামনে স্পষ্ট হয় নি?
যদি হয়ে থাকে, তাহলে রাসূল (সাঃ) মুআবিয়া সম্পর্কে সতর্ক করতে কিসে আটকে রাখলো? অথচ উল্টো কিনা রাসূল (সাঃ) তার জন্য দুআ করে গেলেন ,"হে আল্লাহ! মুআবিয়াকে হিসাব ও কিতাবের জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ করো।" (উসদুল গাবাহ ৪/৩৮৬) "হে আল্লাহ! তাকে পথ প্রদর্শক ও পথ প্রাপ্ত করে দাও এবং তার মাধ্যমে মানুষকে হেদায়েত দান করো।" (জামিউস সহীহ, ২/২৪৭। রাসূল (সাঃ) তাকে পরামর্শ দানে সক্ষম এবং বিশস্ত বলে গেলেন (মাজমাউ যাওয়ায়িদ ৯/৩৫৬)। এমনকি তাঁকে খিলাফতের ভবিষ্যৎ বানী করে বলেছিলেন, "মুআবিয়া! তোমার হাতে যদি শাসন ক্ষমতা অর্পিত হয় তাহলে তুমি আল্লাহকে ভয় করবে এবং ইনসাফ কায়েম করবে।" (আল ইসাবাহ ৪১৩) হযরত উমর (রাযি.) ইবনে আব্বাস (রাযি.)র মতো মর্যাদাবান সাহাবা, এমনি যার সাথে তার বিবাদ, সেই আলী (রাযি.) পর্যন্ত মুআবিয়ার সততা, ন্যায়পরতা, ইনসাফ, আকল ও খোদাভীরুতার প্রশংসা করে গেছেন। (বুখারী ১/৩৩১, তাবারী ৬/১৮৭, বায়হাকী ৩/১৬, আল ইসতিয়াব, ৩/৩৭৭, আল ইসাবাহ ৩/৪৪৭, আল বিদায়া ২/২৪৭, ৮/৩১, ১৩৫ ইত্যাদি)
আফসোস; মুআবিয়ার মুনাফিকী, গাদ্দারী ও ওয়াদার বরখেলাফ তথা আহলে বাইয়েতর সাথে প্রতারণা হাল আমলের রাফেজী ও সমমনা বিজ্ঞদের চোখে পড়লো, রাসূলের (সাঃ) ও তাঁর মর্যাদাবান সাহাবাদের (রাযি.) দৃষ্টিতে আসলো না! (নাউজুবিল্লাহ)
আল্লাহকে ভয় করেন। সঠিক ভাবে না জেনে আন্দাযের উপর কথা বলা থেকে বিরত থাকেন। নিরপেক্ষ ভাবে না জেনে, সত্য-মিথ্যা নির্ণয় না করে শোনা কথা প্রচার করে বেড়ানো শয়তানের কাজ, মুমিনের নয়। (আল-মুসনাদ ৩/৩৪১, মাজমাউয যাওয়াইদ ১/৯২)। বিশেষ করে সাহাবায়ে কিরামের (রাযি.) সম্পর্কে কিছু বলার আগে সাবধান হয়ে বলবেন। রাসূল (স.) বলেন, "আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম তারা যারা আমার যুগে রয়েছে। অতঃপর তাদরে পরবর্তী যুগের উম্মাত (তথা তাবেয়ীগনের যুগ) অতঃপর তাদের পরবর্তী যুগের উম্মাত। (অর্থাৎ, তাবয়ে তাবেয়ীনের যুগ)" (বুখারী ৪/২৮৭- ২৮৮- মুসলিম ৪/১৯৬৪)
"সাবধান!তোমরা আমার সাহাবীগণের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। আমার পরে তোমরা তাঁদেরকে (তিরস্কারের) লক্ষ্যবস্তু বানাইও না। যে ব্যক্তি তাঁদের প্রতি ভালোবাসা পোষণ করে সে আমার প্রতি ভালোবাসা বশেই তাঁদেরকে ভালোবাসে। আর যে ব্যক্তি তাঁদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে সে আমার প্রতি বিদ্বেষবশতঃ তাঁদের প্রতি শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে”।(তিরমিযী-৩৮৬১, ইবনে হিব্বান, হা. ২২৮৪, মুসনাদে আহমদ ৪/৮৭, আস-সুন্নাহ, ইবনে আবি আসেম, হা.৯৯২)
"তোমরা আমার সাহাবীদেরকে গালি দিওনা। তোমাদের মধ্যে যদি কেহ উহুদ সমপরিমাণ স্বর্ণও যদি আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করে,তবেও তাঁদের এক মুদ্দ বা তার অর্ধেক পরিমাণ(এক মুদ=১ রতল। আল্লামা শামী(রাঃ)বয়ান করেছেন যে, এক মুদ্দ ২৬০ দিরহামের সমপরিমাণ।"( বুখারী,হা. ৩৭১৭)
"তোমরা আমার সাহাবীগণকে সম্মান কর। কেননা তাঁহারা তোমাদের মধ্যকার উত্তম মানব।"
[মুসনাদে আহমাদ ১/১১২, তাহকীক, আহমাদ শাকের, নাসায়ী, হাকেম, মেশকাত ৩/১৬৯৫]
যারা সাহাবীদের পুত পবিত্র চরিত্রে কলঙ্ক লেপনের চেষ্ঠা করে তাদের সম্পর্কে মুজতাহিদ ইমামগনের মন্তব্য-
ইমাম মালেক রহ. বলেন, "যারা সাহাবাদের ব্যপারে কুৎসা রটনা করে এবং তাদেরকে গালি দেয় এরা মূলত: রসূল (স.) এর বিরুদ্ধেও কুৎসা রটাতে চেয়েছিলো, কিন্তু তাদের দ্বারা তা সম্ভব হয়নি। তাই তারা সাহাবাগণের ব্যাপারে মিথ্যা রটিয়েছে এবং বলেছে, অমুক সাহাবী নিকৃষ্ট লোক ছিল, অমুকে এমন ছিল তেমন ছিল ইত্যাদি। রাসূল স. যদি নেককার ও সৎ হয়ে থাকেন, তবে তাদের নিকট তার সাহাবীরাও সৎ ও নেককার বিবেচিত হতো।"(আস-সরিমূল মাসলূল, পৃ. ৫৫৩)
ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. বলেন, "যদি কাউকে রাসূল স. এর কোন সাহাবীর সমালোচনা করতে দেখো, তবে তার ইসলামের ব্যাপারে সংশয় পোষণ করো।"[আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খ.৮, পৃ.১৪২]
আবূ যুর’আ রহ. বলেন,"তোমরা যখন কাউকে কোন সাহাবীর অবমাননা করতে দেখ, তখন বিশ্বাস করে নাও যে, সে যিন্দীক ও বির্ধমী। তা এ জন্য যে, আমাদের নিকট রাসূল স. সত্য নবী, পবিত্র কুরআন সত্য; কুরআন হাদীস তথা পুরা দ্বীন যা আমাদের পর্যন্ত পৌছেছে, তার প্রথম যোগসূত্র হলেন সম্মানিত এ জামাত। সুতরাং যে ব্যক্তি সাহাবাগণের সমলোচনা করবে, সে আমাদের বিশ্বস্ত সাক্ষীদের সমালোচনার মাধ্যমে সম্পূর্ণ দ্বীনকেঅগ্রাহ্য বলে ঘোষণা করতে চায়। অর্থাত্ ইসলামের মূলভিত্তি ধ্বংস করে দিতে চায়। সুতরাং এজাতীয় লোকদের সমালোচনা করা উত্তম বরং এরা হলো যিন্দিক।" [আল-কিফায়া, খতীব বাগদাদী, পৃ.৯৭]
ইমাম আবূ আমর ইবনুস সালাহ রহ. বলেন, "কুরআন হাদীস ও উম্মতের ইজমা হতে এ বিষয়টি সিদ্ধান্তকৃত যে, কোন সাহাবী রাযি. এর পূত- পবিত্রতা সম্পর্কে প্রশ্ন করারও সুযোগ নেই। "(উলূমুল হাদীসঃ ২৬৪)
ইমাম ইবনে হুমাম রহ. বলেন- "আহলুস-সুন্নাত ওয়াল-জামা’আতের আকীদা হল, সমস্ত সাহাবায়ে কিরাম রাযি. কে পূত ও পবিত্র মনে করা, তাঁদের উপর আপত্তি উত্থাপন থেকে বেঁচে থাকা এবং তাদের প্রশংসা করা ওয়াজিব। "(মুসায়েরা- ১৩২পৃঃ)
আমি আপনার এই মন্তব্যটার উত্তর একটা পোস্ট আকারে দিব , ইনশাআল্লাহ ।
তারপরও অপেক্ষায় থাকলাম, দেখি কি উত্তর দ্যান।
আর একটি কথা শুধুমাত্র তিন দিন শোক করা যাবে এটা কোথায় পেলেন? যেখানে কোরানেই স্পষ্ট বলা আছে হযরত ইয়াকুব (আ) তার পুত্র ইউসুফ (আ) এর জন্য কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ! তো ভাই উনি কি মাত্র তিন কেঁদেই অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন? হোসাইন (আ) এর শাহাদাত থেকে মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতেই উমাইয়া খলিফাগণ কর্তৃক দরবারী আলেমগণ এসব জাল হাদিস বানিয়েছে !
Click this link
শোক করার অর্থই কি মিছিল করা, ছাটি পেতা আর বুক চাপড়ানো? তাহলে শুধূ হুসাইনের (রাযি.) শাহাদাতের দিনে শোক কেন? রাসূলের (সাঃ) ওফাতের দিন কেন শোক করা হয় না? হযরত উমরের (রাযি.) শাহাদাতের কেন রোনাজারি হয় না? হযরত উসমানের (রাযি.) মর্মান্তিক শাহাদাতের দিন কেন ছাতি পেটা হয় না? এমনকি যে রাফেজি শিআরা হুসাইনের (রাযি.) জন্য তথাকথিত শোক দেখিয়ে বেড়ায়, তারা কেন তাদের প্রথম দুই ইমাম হযরত আলী (রাযি.) ও হযরত হাসান (রাযি.) এর শাহাদাতের দিন এমন মাতম মিছিল বের করে না? নাকি মাতমের ফাতওয়া শুধু হুসাইন (রাযি.) পর্যন্তই সীমাবদ্ধ? মূর্খতার বোধ হয় শেষ আছে, কিন্তু রাফেজি ও তদ্বীয় দালালদের কান্ডজ্ঞানহীনতার শেষ নেই।
আল্লাহ মাথায় মগজ নামে একটা মহামূল্যবান বস্তু দিয়েছেন, সেটাকে ব্যবহার করতে শিখেন। দ্বীন সম্পর্কে আগে জানেন। গন্ডমূর্খের মতো যা ইচ্ছা তাই বলে ঈমানটাকে খোয়াবেন না।
ধন্যবাদ।
কাফের।
মন্তব্য করতে লগইন করুন