পবিত্র মহররমের ফজিলত ও শিক্ষা

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৫০:২৫ সকাল



মহররমের ফজিলত ও শিক্ষা

প্রফেসর মাওলানা মো. সালাহউদ্দিন

আরবী হিজরী বর্ষের প্রথম মাস মহররম মাস। এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ মাসে বহু ঐতিহাসিক ঘটনা ইতিহাসে প্রসিদ্ধ হয়ে আছে। এ মাসে রয়েছে আশুরা। আশুরা আশিরুন-এর বহুবচন। এর অর্থ দশম তারিখের সমন্বয় অর্থাত্ মহররম মাসের দশ তারিখে সংঘটিত ঘটনাবলী। পৃথিবীর আদি-অন্তের ঘটনা এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।

মহররমের দশম দিবসে সংঘটিত বহু ঘটনা হতে কয়েকটি হলো :

১। আশুরার দিনে হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টি করা হয় এবং এই দিনে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন। এই তারিখেই জান্নাত থেকে পৃথিবীতে প্রেরিত হন এবং বহু বছর পর এই তারিখেই আরেফাতের ময়দানে জাবালে রহমতে তিনি ও বিবি হাওয়া (আ.)-এর পুনরায় সাক্ষাত লাভ হয় এবং তাঁদেরকে মার্জনা করা হয়।

২। এ দিবসে হযরত ইদ্রিস (আ.) কে আকাশে উত্তোলন করা হয়।

৩। এ তারিখে হযরত নূহ (আ.) কে তুফান ও প্লাবনের পানি হতে পরিত্রাণ দেয়া হয়।

৪। এ দিনে হযরত আইয়ুব (আ.) কে ১৮ বছর রোগ ভোগের পর রোগ মুক্তি দেয়া হয়।

৫। এ তারিখে হযরত ইব্রাহিম খালীলুল্লাহ (আ.) কে অগ্নিকুণ্ড হতে নিষ্কৃতি দেয়া হয়।

৬। এ দিনে হযরত দাউদ (আ.) কে বিশেষ ক্ষমা করা হয় এবং হযরত সুলাইমান (আ) কে স্বীয় হারানো বাদশাহী পুনরায় প্রদান করা হয়।

৭। এ দিবসে হযরত ইউনুছ (আ.) কে ৪০ দিন পর মাছের উদরে থাকার পর নিস্কৃতি দেওয়া হয়।

৮। আশুরায় হযরত ইয়াকূব (আ.) স্বীয় হারানো পুত্র হযরত ইউসুফ (আ.) এর সাক্ষাত লাভ করেন।

৯। এ দিনে হযরত মূসা (আ.) ফিরাউনের কবল থেকে নিস্কৃতি লাভ করেন।

১০। এই তারিখে হযরত ঈসা (আ.) কে আকাশে উত্তোলন করা হয়।

১১। আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (স.)-মক্কা শরীফ হতে হিজরত করে মদীনা শরীফে এ দিনে তাশরীফ নেন।

১২। এ দিনেই নবী করীম (স.)-এর কলিজার টুকরা ফাতেমা (রা.)-এর নয়নমণি হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) এবং তাঁর ৭৭ জন পরিজন ও ঘনিষ্ঠজন জালিম ইয়াজিদের সৈন্য কর্তৃক কারবালা প্রান্তরে ফোরাত নদীর তীরে নির্মমভাবে শহীদ হন।



এ মাসের পবিত্রতা ও আশুরার বিশেষত্ব সম্পর্কে আল-কুরআনুল-কারীম ও হাদীস শরীফের কয়েকটি উদ্ধৃতি :


ইসলামের হারাম চারটি মাসের একটি হল মহাররম। বর্ষ গণনার রীতি ও মাস সম্পর্কে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, 'নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করার দিনে মাসসমূহের গণনা আল্লাহর নিকট বার মাস, তন্মধ্যে চারটি হারাম মাস। তোমরা নিজেদের মধ্যে এসবের যুল্ম করো না। আর তোমরা মুশরিকদের সাথে ব্যাপকভাবে যুদ্ধ কর যেমনিভাবে তারা তোমাদের সাথে ব্যাপকভাবে যুদ্ধ করে, আর জেনে রাখো আল্লাহ মুত্তাকীদের সঙ্গেই রয়েছেন' (সূরা আত-তাওবা, আয়াত ৩৬)।

মহাররম মাসে যুদ্ধ হারাম। তবে যদি প্রতিপক্ষ কাফির-মুশরিক চড়াও হয় এবং আক্রমণ করে তাহলে যুদ্ধ করে তাদেরকে ঘায়েল করা বৈধ। এ প্রসঙ্গে মুকাতিল ইব্ন হায়্যান ও ইব্ন জুরাইজ (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে,

সাহাবীগণের একদল মহররম মাসে মুশরিকদের একদল লোকের সাক্ষাত লাভ করেন। তখন মুসলিম পক্ষ প্রতিপক্ষকে নিবৃত্ত রাখতে চাইলেন, যাতে তারা হারাম মাসে যুদ্ধ না করে। তারপর মুশরিক পক্ষ অস্বীকৃতি জানিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হতে প্রতিজ্ঞ হল এবং অকস্মাত্ তাদের ওপর চড়াও হল। তখন মুসলিমগণ তদের প্রতিহত করলেন এবং যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। এরপর মহান আল্লাহ তাঁদেরকে বিজয় দান করেন (ইবন কাছীর, তাফসীরে ইবন কাছীর, ৫ম খন্ড, ৪৪৯)।

হযরত আবদুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম যখন মাদীনা শরীফে তাশরীফ আনেন তখন সেখানের ইহুদীদেরকে আশুরার দিনে রোজা রাখা অবস্থায় পেলেন। তাদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলল, এদিন আল্লাহ তা'আলা হযরত মূসা (আ,) কে ফিরাউনের ওপর বিজয়ী করেন। তাই সেদিনের সম্মানার্থে আমরা রোজা পালন করি।

হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন, মূসা (আ.) এর ব্যাপারে এদিনে রোজা রাখার ক্ষেত্রে আমরা তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার (ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৪২৮ পৃ. হাদীস নং ২০৮৮)।

হযরত আবূ কাতাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত, একটি দীর্ঘ হাদীসের শেষাংশে বর্ণিত হয়েছে হযরত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাযহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আশুরার দিনের রোযার পুণ্যে আমি আশা করি পূর্ববর্তী এক বছরের পাপ আল্লাহ মোচন করে দেন (ইমাম মুসলিম, আসসাহীহ, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস নং-১৯৭৬)।



আমাদের করণীয় :


এ মাসে বিশেষত ইসলামের কল্যাণে নিবেদিত হওয়া উচিত। হযরত রসূলুল্লাহ (স.)-এর প্রতি অধিক সংখ্যক দরুদ ও সালাম পেশ, নফল নামায, কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত, আশুরা এবং অন্যদিনেও রোজা পালন, হাদীস শরীফ অধ্যয়ন, দান-সাদকাহ ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে এ মাসে আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভ করা যায়। আর কারবালার নির্মম ঘটনা দ্বারা ইসলামের জন্য আত্মত্যাগের দীক্ষা নেওয়া যায়। অন্যায়কে প্রতিহত করে সত্যকে আঁকড়ে থাকার শিক্ষাও আমরা গ্রহণ করতে পারি। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা লাভ করার এবং তাঁর প্রিয় হাবীব মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লামকে অনুসরণ করার তাওফীক দান করুন, আমীন।

লেখক :খতীব, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ

সংগ্রহ : http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTFfMDhfMTNfNF8yMl8xXzg0MDE2#sthash.YvPzssqP.dpuf

বিষয়: বিবিধ

২০৭৫ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

281042
০৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৬
বিবেক লিখেছেন : আপনার পোষ্টে নাকি যথাযত মন্তব্য করলে ব্যান হয়ে যেতে হয়! যেটা আমি আপনার আগের এক পোষ্টে উল্লেখ করেছিলাম। তাই আপনার কথার জবাবে কড়া মন্তব্য করলাম না।

- আশুরা উপলক্ষ্যে কোন পোষ্ট ষ্টিকি হয় নাই এটা অবশ্যই দুর্ভাগ্য ও হতাশাব্যঞ্জক!
- আশুরা উপলক্ষ্যে যদি ষ্টিকি করার মত পোষ্ট ব্লগে না থাকে সেটাও হতাশাব্যঞ্জক!

- যারা পোষ্ট লিখতে পারেন তাদের আচরণ যদি উদ্ধত্যপূর্ন হয়, তাদের পোষ্ট যতই মূল্যবান হোক তা ষ্টিকি না করাই যুক্তিযুক্ত।
-আপনার লিখনীতে অনেক তথ্য থাকে, উপাত্ত থাকে তবে নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে রাগ-গোস্বার আশ্রয় নিয়ে থাকেন, ফলে উপকারের চেয়ে অপকার বেশী হয়।
- আপনার লিখনীতে অপরকে আক্রমন, দুনিয়ার সকল মতবাদকে ভ্রান্ত বলা (যদিও সঠিক কোনটি সেটি এখনও জানান নাই) বলে নিজের গ্রহন যোগ্যতাকে বরাবরই আপনি প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন।

সর্বোপরি,
- আপনি যে ভাষায় পোষ্টটি শুরু করেছেন সে ভাষায় যদি আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেই, তাহলে নির্ঘাত আপনি আমাকে ব্যান মারবেন।
- সুতরাং যে পরিমিত সহ্য জ্ঞান আপনার নাই, সে ধরনের ব্যক্তির উপদেশ পরামর্শ উত্তম হলেও সর্বদা পরিত্যাজ্য হয়।

আমি খুবই দুঃখিত আপনার পোষ্টে মন্তব্য করার জন্য। আর মডারেটর গনকে অনুরোধ করছি পরিবেশ, পরিস্থিতি, সময়, কাল, পর্ব গুলো যেন মাথায় রাখা হয়। প্রয়োজনে আগে থেকেই যেন সমসাময়িক বিষয়ের উপর পোষ্ট যোগাড় করে রাখা হয়। আমরা লক্ষ্য করছি শুধুমাত্র অবহেলা ও গুরুত্ব না দেবার কারণে অনেক ব্লগার এখন আর নিয়মিত নাই।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪০
224667
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি লিখেছেন : “আপনার পোষ্টে নাকি যথাযত মন্তব্য করলে ব্যান হয়ে যেতে হয়! যেটা আমি আপনার আগের এক পোষ্টে উল্লেখ করেছিলাম। তাই আপনার কথার জবাবে কড়া মন্তব্য করলাম না।”


উত্তরে বলছি : আমি সাধারণত কারো মন্তব্য মুছি না । আমি কাউকে ব্যান করি না । অথচ আমাকে অধিকাংশ জামায়াতী ব্লগার আমাকে ব্যান করেছেন ।

আমি যাদের ব্যান বা ব্লক করেছি তারা হলেন :

পথিক
টাংসু ফকীর
বেআক্কেল
তহুরা
মেধাবিকাশ
বড়মামা
সাদা
সঠিক ইসলাম
নাবীল
জেএফটি ইসলাম
আওণ রাহ'বার
শেষ বিকেলের
মোঃ ওহিদুল ইসলাম
মেধাবিকাশিনি
যমুনার চরে
জোসনা বিবি
চেয়ারম্যান
ফুয়াদ পাশা
আকবার
বিবিয়ানা
ভিক্টোরিয়া
রক্তলাল
আমি যাদের ব্লক করেছি তাদের অধিকাংশেই নাস্তিকতাপূর্ণ বিষয়ে লেখালেখি করেন অথবা বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের মহৎ ব্যক্তি হিসেবেএবং সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাল শাসন ব্যবস্হা হিসেবে তুলে ধরে থাকে ।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৪৫
224669
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি লিখেছেন : আশুরা উপলক্ষ্যে কোন পোষ্ট ষ্টিকি হয় নাই এটা অবশ্যই দুর্ভাগ্য ও হতাশাব্যঞ্জক!
- আশুরা উপলক্ষ্যে যদি ষ্টিকি করার মত পোষ্ট ব্লগে না থাকে সেটাও হতাশাব্যঞ্জক!

উত্তরে বলছি : সম্পাদক মহোদয় বাবা - মা - বিয়ে নিয়ে পোস্ট লেখার প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারেন । আর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে পারেন না ?


আর তিনি বা তারা যাদের পোস্ট নির্বাচিত করেন বা স্টিকি পোস্ট করেন - তাদের দ্বারাও গুরুত্বপূর্ণ দিবসের উপর স্টিকি পোস্ট তেরী করাতে পারেন বা সম্পাদক নিজেই বা নিজেরাই গুরুত্বপূর্ণ দিবসের ‍উপর বা পর্বের উপর পোস্ট লিখতে পারেন । নাকি না তাদের এই কাজ করার যোগ্যতাটুকু্ পর্যন্ত নেই ।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১৩
224678
বিবেক লিখেছেন : আমি আপনার সাথে তর্কে লিপ্ত হতে লিখিনি!

তবে আশ্চর্য হয়ে দেখলাম আপনি সকালে যে পোষ্ট খানি দিয়েছিলেন, সে পোষ্টখানি এডিট করে বর্তমানের মত উপস্থাপনা করেছেন! আপনি যে বক্তব্য রাখার ইচ্ছা করবেন তা একেবারেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম। মাঝপথে পরিবর্তন করলে পরবর্তী পাঠক বিভ্রান্ত হবেন।

যদি প্রথম থেকেই এই পোষ্টখানি থাকত তাহলে আমাকে এ ধরনের মন্তব্য করা লাগত না। আপনি ট্রপিক্স পরিবর্তনে ঘটনা দাঁড়াল এমন, আপনার ভাল লেখাতে আমি আপত্তি জানিয়েছি। ফলে, আপনি হয়ে থাকলেন বিজ্ঞ লেখক আর আমরা হয়ে থাকলাম নিন্দুক পাঠক হিসেবে।

নিজের বক্তব্যের উপরে কনফিডেন্স না থাকলে, প্রয়োজনে বার বার ভাবা উচিত, যা প্রকাশ করতে যাচ্ছি তার পুরোপুরি দায়িত্ব নিব কিনা সে ব্যাপারে। জানিনা সর্বদা এমন হয় কিনা তবে আমি মর্মাহত হয়েছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২৬
224682
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমার মনেহয় উনি ব্লগের সম্পাদককে গালি দিয়ে ভয় পাইছে..... যাক সেদিকে না যাই, মামুরা সেটা চিন্তা করবে। তবে এটা ঠিক, যে কোন পাঠাক এখন এসে এইলেখা দেখলে ভাববে এত ভালো মানুষকে কেউ শয়তান বলতে পারে!!
কেউ জেন এরখম না ভাবে তাই আমি স্কৃণশর্ট দিলুম, যা ইডিটের পূর্বের শয়তানি রুপ ধারন করে।

প্রথম অংশ:


দ্বীতিয় অংশ:

০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
224688
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @বিবেক :আপনি লিখেছেন : “আশ্চর্য হয়ে দেখলাম আপনি সকালে যে পোষ্ট খানি দিয়েছিলেন, সে পোষ্টখানি এডিট করে বর্তমানের মত উপস্থাপনা করেছেন! ”


উত্তরে বলছি : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিট আমার কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার পোস্টটার শিরানাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং আমার নিজস্ব কিছু অভিমত বাদ দেওয়া হয়েছে ।
আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করার জন্য আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।

আমি পোস্টের শিরোনাম বা কোন অংশ পরিবর্তন করি নাই ।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৫৭
224689
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @ইমরান ভাই :আপনি লিখেছেন : “আমার মনেহয় উনি ব্লগের সম্পাদককে গালি দিয়ে ভয় পাইছে..... যাক সেদিকে না যাই, মামুরা সেটা চিন্তা করবে। তবে এটা ঠিক, যে কোন পাঠাক এখন এসে এইলেখা দেখলে ভাববে এত ভালো মানুষকে কেউ শয়তান বলতে পারে!!
কেউ জেন এরখম না ভাবে তাই আমি স্কৃণশর্ট দিলুম, যা ইডিটের পূর্বের শয়তানি রুপ ধারন করে। ”


উত্তরে বলছি : বাংলাদেশ সময় দুপুর ২ টা ৪৫ মিনিট আমার কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার পোস্টটার শিরানাম পরিবর্তন করা হয়েছে এবং আমার নিজস্ব কিছু অভিমত বাদ দেওয়া হয়েছে ।
আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করার জন্য আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ।

আমি পোস্টের শিরোনাম বা কোন অংশ পরিবর্তন করি নাই ।

আমি আবারও বলছি, আমি আমার অবস্হান বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করি নাই ।



০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০১
224693
বিবেক লিখেছেন : সর্বত্রই ফেতনা ছড়িয়ে পড়েছে, এখন দেখি ব্লগ জগতও রেহাই পাচ্ছেনা.... আর মন্তব্য নয়!!
281046
০৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
ইমরান ভাই লিখেছেন : মহররম ও আশুরাকেন্দ্রিক নানা কুসংস্কার:

এ মাসে পৃথিবীর বহু ঐতিহাসিক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এদিনে আল্লাহ তাআলা তাঁর কুদরত প্রকাশ করেছেন। বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রে রাস্তা বের করে দিয়েছেন এবং তাদেরকে নিরাপদে পার করে দিয়েছেন। আর একই রাস্তা দিয়ে ফেরাউন ও তার অনুসারীদেরকে ডুবিয়ে মেরেছেন।-সহীহ বুখারী ১/৪৮১

তবে এ দিনের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে অনেকে নানা ভিত্তিহীন কথাও বলে থাকেন। যেমন, এদিন হযরত ইউসুফ আ. জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হযরত ইয়াকুব আ. চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়েছেন। হযরত ইউনুস আ. মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছেন। হযরত ইদরীস আ.কে আসমানে উঠিয়ে নেওয়া হয়। অনেকে বলে, এদিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে। এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই।-আল আসারুল মারফূআ, আবদুল হাই লাখনেবী ৬৪-১০০; মা ছাবাহা বিসসুন্নাহ ফী আয়্যামিস সানাহ ২৫৩-২৫৭

এ মাসের একটি ঘটনা শাহাদাতে হুসাইন রা.। বলাবাহুল্য যে, উম্মতের জন্য এই শোক সহজ নয়। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এরই তো শিক্ষা-‘নিশ্চয়ই চোখ অশ্রুসজল হয়, হৃদয় ব্যথিত হয়, তবে আমরা মুখে এমন কিছু উচ্চারণ করি না যা আমাদের রবের কাছে অপছন্দনীয়।’
অন্য হাদীসে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই যারা মুখ চাপরায়, কাপড় ছিড়ে এবং জাহেলী যুগের কথাবার্তা বলে।’
অতএব শাহাদাতে হুসাইন রা.কে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অনৈসলামিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হওয়া এবং সব ধরনের জাহেলী রসম-রেওয়াজ থেকে দূরে থাকা প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্য কর্তব্য।

আশুরা, মহররম:

এ মাসে যেসব অনৈসলামিক কাজকর্ম ঘটতে দেখা যায় তার মধ্যে তাজিয়া, শোকগাঁথা পাঠ, শোক পালন, মিছিল ও র‌্যালি বের করা, শোক প্রকাশার্থে শরীরকে রক্তাক্ত করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এসব রসম-রেওয়াজের কারণে এ মাসটিকেই অশুভ মাস মনে করার একটা প্রবণতা অনেক মুসলমানের মধ্যেও লক্ষ করা যায়।
এজন্য অনেকে এ মাসে বিয়ে-শাদী থেকেও বিরত থাকে। বলাবাহুল্য এগুলো অনৈসলামিক ধারণা ও কুসংস্কার।
মোটকথা, এ মাসের করণীয় বিষয়গুলো যখা, তওবা- ইস্তেগফার, নফল রোযা এবং অন্যান্য নেক আমল। এসব বিষয়ে যত্নবান হওয়া এবং সব ধরনের কুসংস্কার ও গর্হিত রসম-রেওয়াজ থেকে বেঁচে কুরআন্তসুন্নাহ মোতাবেক চলাই মুসলমানের একান্ত কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। ষ
[আলকাউসার, মুহাররাম ’৩০ হিজরী সংখ্যা থেকে গৃহীত।]
Click this link
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৫
224664
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি তো আমাকে ব্লক করেছেন । আপানার কোন পোস্টে আমি মন্তব্য করতে পারছি না । আপনি আমাকে কাফের ঘোষনা দিয়েছেন । আর আপনার পরিচিতরা আমাকে বাস্তব জীবনে ও ফেসবুক-ব্লগ সাইটে হত্যার হুমকি দিয়েছে । তারপরও আমি নিরব আছি ।






আমি সাধারণত কাউকে ব্লক করি না । বা কারো মন্তব্য মুছি না ।


আর আমি নিজে কপি পেস্ট করা মন্তব্য করি না ।





আমার উপরের স্ক্রীনশটটা সম্পর্কে আপনার অভিমত কি ?

আর এই ক্ষেত্রে আমার করনীয় কি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ।
281048
০৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
নাটক লিখেছেন : ফখরুল ইসলাম ভাই,আপনার পোষ্টের ভাষা দেখে আমি নির্বাক। একজন শিক্ষক হয়ে আপনি এমন ভাষা ব্যবহার করে পুরো শিক্ষকসমাজকে কলংকৃত করেছেন। আপনার এ ধরণের কুরুচিপূর্ণ ভাষার কারণে আমি আপনার পোষ্ট থেকে সাধারণত নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখি।

আশা করি, আগামীতে নিজের সম্মান ও শিক্ষক সমাজের সম্মানের দিকে খেয়াল রেখে মন্তব্য করবেন।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৯
224662
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি শিক্ষকতায় পেশায় যুক্ত নই । আগে পড়াতাম । এখন প্রকৌশলী ।

আমি পেশায় যাই হই না কেন - তা আমার ব্যক্তিগত । তবে আপনি আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন ।


আর এই সাইটে আমি শালীন ভাষা ব্যবহার করে লেখালেখি ও মন্তব্য করি । বাস্তব অবস্হা হলে ইদানিং আমি বেশ কিছু পোস্ট যা লিখছি তা প্রতিবাদ স্বরুপ লিখছি । কেন এমন করছি তার কিছু নমুনা দেখুন :










এসব ব্যাপারে আপনার অভিমত কি ?
281061
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২১
মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটি পড়লাম। ধন্যবাদ।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
224692
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জাজাকআল্লাহ
281067
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:৩৬
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : জাজাকআল্লাহ অনেক সুন্দর লিখেছেন খতিবসাব। লেখাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
224691
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জাজাকআল্লাহ
281084
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪১
আনোয়ার আলী লিখেছেন : ভাই আপনি দেখছি জঙ্গীদের হুমকির শিকার হয়েছেন। আপনার জন্যে আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:০০
224690
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : বেশ কিছু স্ক্রীন শট দিয়েছি । এগুলো খুবই সাধারণ । তার চেয়েও জগণ্য ভাষায় লেখা আরো কিছু উদাহরণ জামায়াত-শিবির, আহলে হাদিস, ওহাবী , মওদুদী ভাইয়েরা রেখেছেন । তার কিছু অংশ জায়গা মত ৯ বার দিয়ে এসেছি । তবে এর কোন একশন হচ্ছে না বলে কিবোর্ড ব্যবহার করলাম । কয় দিন পর এর চেয়ে বড় কিছু ব্যবহার করবো ভাবছি ।
281200
০৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
মনসুর লিখেছেন : মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান। শুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।

মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
০৪ নভেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৬
224785
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খাইরান ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী দান করুন । আমীন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File