RAND , বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাশ্রয়ী সংগঠণ এবং বাংলাদেশের জন্য বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অপরিহার্যতা (১ম পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০১ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৩৩:৩১ রাত



পটভূমি :

বাংলাদেশের রাজনীতির পট পরিবর্তন হয়েছে । ইসলাম ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোর পক্ষে আমেরিকা ও আন্তজার্তিক মানবাধিকার সংস্হাগুলো কথা বলা শুরু করছে । অপর দিকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ রাজনীতিবিদরা দিন দিন কোনঠাসা হয়ে পড়ছেন । তাদের দর্শন ও দৃষ্টিভঙ্গিকে আগেও ইসলাম ধর্মাশ্রয়ী দলগুলো বুঝার চেষ্টা করেনি । অথচ তাদের সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে । বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নিষক কোন ধর্মাশ্রয়ী দর্শন নয় । এটা বাংলাদেশের মাটি – সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধারণকারী দর্শন যাতে ইসলাম ধর্ম একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাত্র । বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার সার্থক দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ।



ইদানিং ফেসবুকে আমার বেশ কিছু স্যাটাস ও মন্তব্য ইসলাম ধর্মাশ্রয়ী চরমপন্হী দলগুলোর সমর্থকদরে নজরে আসার পর আমাকে বিভিন্নভাবে হেয় করার চেষ্টা করে যায় । তার কারণ এখন এই মুহুর্তে উল্লেখ করছি না । লেখাটা অনেক বড় । পরবর্তি পর্বগুলোতে বিস্তারিতভাবে তা তুলে ধরবো । আগে সবাইকে মনযোগ দিয়ে আমেরিকার RANDসংগঠণটার কার্যক্রম সম্পর্কিত নিবন্ধটা পড়তে হবে । উল্লেখ্য এটার ৫৫ % - ই হলো কপি পেস্ট । এই মুহুর্তে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করার মতো নাম ও লিংক আমার কাছে নেই ।



পরিচিতি :

RAND শব্দটির পরিপূর্ণ রুপ হচ্ছে Research and Development Corporation । এটা একটা এনজিও । সহজ কথায় : The Rand Corporation: The Think Tank That Controls America

এটার গবেষণার উপর ভিত্তি করেই আমেরিকার নীতি বা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । আমেরিকা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক দিয়ে শক্তিশালী হওয়ায় সারা বিশ্ব বলতে গেলে আমেরিকার কথায় উঠে বসে । এমনকি ইসলাম ধর্মাশ্রয়ী দলগুলো পর্যন্ত আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা করে ও আমেরিকার তাবেদারী করে ।

অপর দিকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন কোন দেশ বা ঐশ্বরিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি (খলিফা / আয়াতুল্লাহ / রাব্বী / লামা ) – র শাসনকে ও কতৃত্বকে স্বীকার করে না । আর কোন আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করে না ।

উৎপত্তি :

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে আমেরিকা সফলভাবে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় । এই ঘটনার পর জেনারেল হেনরি হাপ আর্নল্ড আমেরিকাকে একক পরাশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন ।

তিনি ১৯৪৬ সালে কয়েকজন বিজ্ঞানীকে নিয়ে ১০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ করে একটি প্রতিষ্ঠান বানান । তিনি এটা নাম দেন RAND। তিনি চিন্তা করলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী হলেই আমেরিকা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারবে । এজন্য তার প্রতিষ্ঠান RAND প্রথমে রকেট সাইন্স নিয়ে গবেষণা শুরু করে। কারণ এই বিদ্যার মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহ জয় করার পাশাপাশি পরমাণু বোমা বহনকারী ক্ষেপনাস্ত্র মেরে আমেরিকার শত্রু দেশগুলোকে মুহুর্তের মধ্যেই ধ্বংস করে দেওয়া যাবে ।

কম সময়ের মধ্যে তার প্রতিষ্ঠান মহাশূন্যে রকেট পাঠাতে সক্ষম হয় এবং মহাশূণ্য স্টেসন বানায়। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ট্রুমান তাদের মহাশূ্ন্য স্টেসন পরিদর্শন করেন। আমেরিকার সেনাবাহিনী তাদেরে সাফল্য দেখে অবাক হয়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে RAND আমেরিকার রাজনীতিবিদ ও বু্দ্ধিজীবিদের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয় ।

RAND এর একের পর এক প্রতিভবান আবিষ্কারের ফলে একসময় যুদ্ধ ক্ষেত্রে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেয়ে আমেরিকা এগিয়ে যায় এবং প্রতাপশালী হয়ে হয়ে ওঠে।আমেরিকার সামরিক বাহিনীর কাছে RAND এর গুরুত্ব বহু গুণে বেড়ে যায়। গুরুত্ব এতই বেড়ে যায় যে RAND যেভাবে বলত আমেরিকার যুদ্ধ নীতি সেভাবেই পরিচালিত হত। মুলত RAND এর সিদ্ধান্ত কোন একক ব্যাক্তির হুকুম ছিল না।RAND শত শত এর গবেষকরা গবেষনা করে যে ঐক্য মতে পৌছায় ওটাই RAND এর সিদ্ধান্ত।

ধীরে ধীরে RAND এর পরিধি বাড়তে থাকে।RAND শুধু যুদ্ধের জন্য প্রযুক্তি অনুসন্ধান করেই ক্ষান্ত থাকেনি। কিভাবে শত্রু পক্ষকে বিভক্ত করা যায়,জাতিগত দাঙ্গা হাঙ্গামা লাগিয়ে কীভাবে বিনা যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায় সেটাও অনুসন্ধান করতে থাকে।একেক দেশ ও জাতির জন্য তারা একেক ধরণের নীতি অনুসন্ধান করে বের করে যাতে যুদ্ধ না করে সে দেশ বা জাতিকে আমেরিকার কতৃত্বাধীন করা যায়। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে খান খান করা মুলত RAND এর গবেষণার বাস্তবায়ন মাত্র।

মুসলিমরাও যাতে কখনো পরাশক্তি না হয়ে উঠতে পারে বা আমেরিকার অধীনস্ত থাকে সেজন্য RAND বিপুল গবেষনা করে অনুসন্ধানী রিপোর্ট বের করেছে।আমেরিকার সরকারের কাছে সেই অনুসন্ধানী রিপোর্ট জমা দেয়ার পর আমেরিকা তা বাস্তবায়ন করছে। সেই ৬০ এর দশক থেকেই এই কার্যক্রম চলছে। সারা বিশ্বে আমেরিকান কতৃত্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষে সব দেশের উপরেই গবেষনা চালিয়েছে RAND।

সফলভাবে মহাশুন্যে রকেট উৎক্ষেপণের পর RAND মিসাইল ও রকেট লাঞ্চার হেলিকপ্টার প্রযুক্তি আবিস্কার করে ফেলে।তাদের সাফল্য দেখে আমেরিকান এয়ার ফোর্স RAND এর সাথে চুক্তি করে।১৯৫৭ সালে এয়ার ফোর্স RAND এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাশুন্যে স্পাই স্যাটেলাইট তৈরী করতে সক্ষম হয়।এর নাম দেয়া হয়েছিল CORONA । দুই বছরের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত মোকাবেলায় এটি আমেরিকার সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্রে পরিনত হয়। এটি দিয়ে আমেরিকা প্রথম বারের মত রাশিয়া ও চীন সীমান্তে গোয়েন্দাগিরি করতে সক্ষম হয়। এজন্য সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত পত্রিকা ”Pravda “ RAND এর নাম দেয় the academy of science and death and destruction । ১৯৬০ সালের মধ্যে এভাবেই RAND নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সারা আমেরিকা সহ সারা বিশ্বের মধ্যে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।



মুসলিমদের কীভাবে RANDবিভক্ত করে ব্যবহার করে :

পশ্চিমা সভ্যতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়ানোর প্রেক্ষিতে ইসলামপন্থাকে সর্বোত্তম উপায়ে সামাল দেয়ার জন্য RAND করপোরেশন মুসলিমদের ৪ ভাগ ভাগ করেছে । অনেকটা ব্রিটিশদের ডিভাইড এন্ড রুল থিউরীর মতো । সেগুলি হচ্ছে-



১। ঐতিহ্যবাদী (Traditionalist) :
বিভিন্ন পীর ও এদের অনুসারী এবং আরব দেশগুলোর রাজতন্ত্র সমর্থকদের । যেমন : আহলে হাদিস, ওহাবী ও জামায়াতে ইসলামী ।

২। চরমপন্থী (Extremist) : বিভিন্ন দেশে শরীয়া আইন বাস্তনবায়ন করার নামে সন্ত্রাসী তৎপড়তা পরিচালনাকারীরা । চরমপন্হী ইসলামি দলসমূহ । যেমন : হেফাজতে ইসলামী , বাংলাদেশি তালেবানী সংগঠণসমূহ ।

৩। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী বা ইহজাগতিকতাবাদী (Secularist) : মুসলিম কিন্তু সৌদি আরবের মতো যুগীয় শরীয়া আইন পছন্দ করে না এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্হাকে পছন্দ করে। যেমন : আওয়ামী লীগ, বিএনপি , জাতীয় পার্টি । (উদাহরণ হিসেবে বোঝার সুবিধার্থে নামগুলো ব্যবহার করা হয়েছে । কেন ব্যবহার করা হয়েছে তা পরে ব্যাখ্যা করা হবে । )

৪। আধুনিকতাবাদী (Modernist) : পশ্চিমা ইহুদী খৃস্টান সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে ও রাজনীতিনিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামায় না । খাও-দাও-ফুর্তি কর এবং প্রয়োজনে দেশপ্রেমিক ও মানবতাবাদী সাজা - তাদের নীতি । যেমন : শাহবাগী নাস্তিক সম্প্রদায় এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় সব ছাত্র – ছাত্রী । এদের বাংলাদেশি প্রধান কেন্দ্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় । এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত কন্ডম ও জন্মনিরোদ সামগ্রী সরবরাহ করা হয় ।









আধুনিক মুসলিম মেয়ে, আধুনিক মুসলিমরেদর ইসলামী চিন্তাবিদ ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শাহ আব্দুল হান্নান


উপরোক্ত ভাগগুলো RAND- এর করা ।

RAND সব ধরনের মুসলিমদের সন্দেহের চোখে দেখে । চরমপন্থিদের(Extremist) -কেই আমেরিকার জন্য জন্য সবচেয়ে বেশী হুমকি বলে মনে করে । আর খুব সম্ভবত এজন্য আমরা ৫ ই মে শাপলা চত্তরের ঘটনা অবলোকন করেছি ।



আল্লামা শফি হুজুরের ৫ ই মে ২০১৩ তারিখ রাতের জিহাদ করার ধরণ

RAND মুসলিমদের দমন করার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে :

একটি দেশের মুলে হচ্ছে সরকার।সরকার কে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে সেই দেশের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।তাই RAND মুসলিমদের অধীনস্হ করতে মুসলিম দেশের সরকারগুলোকে সর্ব প্রথম হাত করে।



Traditionalist (ঐতিহ্যবাদী) সরকার কে আমেরিকা যেভাবে নিয়ন্ত্রন করে :

Traditionalist দেশের উদাহরণ হচ্ছে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন আরব দেশগুলি । যেমন : সৌদি আরব । এই দেশ গুলির সরকারকে আমেরিকা বলে, “তোমাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যা করার তাই করব। তোমাদের দেশের ভিতরের বিদ্রোহ বা বহিরাগত কোন আক্রোমণ সব প্রতিহত করব। বিনিময়ে তোমরা মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ রক্ষায় মনযোগী হবে না । আর তোমরা সব ক্ষেত্রে আমাদের স্বার্থ রক্ষা করে চলবে । ইসরাইলের সাথে বেয়াদবি করবে না । কারণ ইসরাইল আমেরিকার আত্মা । ইহুদীরা আমেরিকার অর্ধেক সম্পদের মালিক । ইহুদীরা গবেষণা করে নতুন কিছু আবিস্কার করে আমেরিকাকে টিকিয়ে রাখছে । “

আবার এই ধরণের ভয়ও দেখানো হয় যে যদি তোমারা ইসরাইল আর আমেরিকার সরকারের কথা না শুনো তবে যেভাবেই হোক অস্ত্রের জোরে কিংবা কুট কৌশলে তোমাদের রাজতন্ত্র পতন করে দেব। আরব দেশগুলোর এসব রাজারা তখন ক্ষমতার লোভে কিংবা ক্ষমতা না হারানোর ভয়ে আমেরিকা যা বলে তাই শুনে।

যেমন : সৌদী রাজা । সৌদি রাজা ফয়সালকে হত্যা করা হয় আমেরিকার দালালি করতে অস্বীকার করায়।আবার মিশরের গণতান্ত্রিক মুরশী সরকারকে নির্মমভাবে উৎখাত করার মাধ্যমে ইতিহাসের জঘন্যতম দালালি করার পরও সৌদি রাজা আব্দুল্লাহ টিকে আছে । আর সৌদি রাজা আব্দুল্লাহ মিশরে আহলে হাদিস বা মাদখালী সালাফী নামক গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন যারা সেনা শাসক সিসি-কে পুজা করে ।









ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী (Secularist) সরকারকে আমেরিকা যেভাবে নিয়ন্ত্রন করে :


ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী বা ইহজাগতিক (Secularist) সরকার প্রধানরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্হায় নির্বাচিত হয়। এরা নীতিগতভাবেই আমেরিকার মতাদর্শের হয়ে থাকে। কারণ আমেরিকা বিশ্ব পরিচালকের ভূমিকায় অবতীর্ণ । অনেক সময় দেখা যায় একটি দেশে দুইটি ধর্মনিরোপেক্ষ গণতান্ত্রিক দল আছে। সেক্ষেত্রে আমেরিকার দালালীতে যে দলটি বেশি অগ্রগামী হয়, আমেরিকা সেই দলটিকেই সমর্থন দিতে সুপারিশ করে ।

গণতান্ত্রিক কিন্তু ইসলামি ভাবাপন্ন দলের ক্ষেত্রে RAND বা আমেরিকার নীতি হচ্ছে :

১. উদারনৈতিক পশ্চিমা ঐতিহ্য অনুসরণ করে গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে ।

২. ইসলামিক রাষ্ট্রের ধারণার সম্পূর্ণ বিরোধী গণতন্ত্রের সমর্থক হতে হবে।

৩. কোন দল নিজেদেরকে গণতান্ত্রিক দল বলে দাবি করার অধিকার

রাখবে না- যদি গণতন্ত্রকে তারা নিছক ক্ষমতায় আরোহণ ও সরকার গঠনের মাধ্যম মনে করে । অর্থাৎ আমেরিকার তাবেদারি করার মানষিকতা থাকতে হবে ।

৪. চরমপন্থী মুসলিম ও মডারেট মুসলিমদের মধ্যে আসল পার্থক্য হলো শরিয়া আইন চাওয়া আর না চাওয়া।

কখনো যদি এমন দল ক্ষমতায় এসে যায় যা ইসলাম ও দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে কাজ করে , তবে সেনাবাহিনী কিংবা অন্য কোন পরাশক্তির সহায়তায় বিলিয়ন ডলার খরচ করে হলেও দলটিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে সুপারিশ করে RAND ।

কোন ইসলামি দল যদি শরীয়া কায়েম করতে না চায় , তবে সেক্ষত্রে আমেরিকার নীতি হবে : গণতন্ত্রমনা বলতে সেই গণতন্ত্রের প্রতি আস্থাশীল হতে হবে, উদারনৈতিক পশ্চিমা ঐতিহ্য বলতে যা বুঝায়।

মিসরের বর্তমান ইখওয়ানুল মুসলিমীন বা মুসলিম ব্রাদারহুড সীমিত পরিসরে শরীয়া আইন বাস্তবায়নের কারণে, সৌদি আরবের কথা অনুযায়ী না চলায় ও ইসরাইলের বন্ধু না হওয়ায় RAND এর সুপারিশে ক্ষমাতচ্যুত করে আমেরিকা । অপরদিকে ইসলামি দল হওয়া সত্ত্বেও শরীয়া বাস্তবায়ন না করেই ১২ বছর ধরে তুরস্কের একে পার্টি ক্ষমতায় রয়েছে ।



সত্যিকার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী মুসলিম মেয়ের পোষাক পড়ার ধরণ যাতে ধর্মীয় মূল্যবোধ, দেশীয় ঐতিহ্য ও আধুনিকতা উপস্হিত ।



বাংলাদেশী মুসলিম পরিবারের সদস্য ও সদস্যাদের ধর্মাচারের ধরণ



বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী নেত্রীদের সত্যিকার পোষাক



বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের সাধারণ পোষাক পড়ার ধরণ

RAND মিডিয়া তৈরী :

RAND-এর সুপারিশে বহু আগেই আমেরিকা বিশ্ব ব্যাপী মিডিয়া নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে।

এই মিডিয়াগুলি Traditionalist, Secularist, Modernist পূর্বে উল্লেখ করা এই তিন ক্যাটাগরীর মুসলিমদের সত্যিকার মুসলিম হিসেবে তুলে ধরে। বাকি extremist গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত সকল মুসলিমকে সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরে।যেহেতু মিডিয়া আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে । সেহেতু আমেরিকা যেসব খবর দেয় দেশীয় মিডিয়াগুলি সব খরব প্রচার করে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।

সব দেশের মিডিয়াগুলি আমেরিকাকে পরাক্রমশালী হিসেবে প্রচার করে। দেশীয় মিডিয়াগুলোতে অন্য দেশের খবর থাকুক বা না থাকুক আমেরিকাকে নিয়ে নিউজ থাকবেই । এজন্য আমাদের দেশের লোকাল মিডিয়াগুলিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সেভ করার সময় গালে আচড় লাগলে তা হলেও হেড লাইন করে । যেমন : বিল ক্লিন্টনের এক বার এমন হওয়ায় প্রতিটা পত্রিকা এই খবরকে প্রথম পৃষ্ঠায় স্হান দিয়েছিল ।

তাছারা পশ্চিমা মিডিয়া ও দেশীয় মিডিয়া পশ্চিমের সমকামিতা,অরাল সেক্স,বিবাহ বহির্ভূত সেক্স,পশ্চিমা পোষাক আশাক খাবার কে এমন ভাবে উপস্থাপন করে যেন এগুলিই অনুসরনীয় – অনুকরনীয় । এগুলি সবই RAND এর গবেষনার বাস্তবায়ন মাত্র।

উদাহরণঃ বিবিসি,সিএনএন ,আল জাজিরা - এই মিডিয়াগুলি তৈরী করা হয়েছে RAND সুপারিশক্রমে।

RAND এরকার্যক্রম শুরুর পর পরই এই মিডিয়া গুলির জন্ম।

3. চরমপন্থিদের দমন করা :

RAND এর অস্ত্রধারী কিংবা গণতান্ত্রিকভাবে শরীয়া আইনের বাস্তবায়ন চাওয়া লোকদের ব্যাপারে দুইটা নীতি আছে । যারা অস্ত্রের জোরে শরীয়া প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এমন দলগুলোর প্রতি RAND এর নির্দেশ হচ্ছে এদেরকে অস্ত্রের জোরেই দমন করতে হবে।এজন্যই পৃথিবীর বিভিন্য দেশে শরীয়া প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সন্ত্রাসকারীদের বিরুদ্ধে লড়ে যাচ্ছে আমেরিকা ।



বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শন অনুযায়ী স্কুল-কলেজ ড্রেস



আমেরিকার আনুকুল্য পাওয়ার স্বার্থে মহৎ কাজ যাতে ইসলাম ধর্মাশ্রয়ীরা নিরব ছিল

গণতান্ত্রিক কিন্তু শরীয়া আইন প্রতিষ্ঠা করতে চায় এমন চরম্পন্থীদের ব্যাপারে RAND এর নীতি হচ্ছে ক্ষমতায় আসা মাত্র উৎখাত করতে হবে।

উদাহরন : জনগনের ভোটে নির্বাচিত মুরসি সরকারকে মিশরে উৎখাত করা হয় সীমিত পরিসরে শরীয়া আইন বাস্তবায়নের কাজ শুরু করায় আর ইসরাইলের সাথে ভালভাবে সুসম্পর্ক তেরী না করায় ও সৌদি আরবের উপর খবরদারী মূলক কাজ করায় ।

RAND মাজহাব তৈরীঃ

RAND এর গবেষণায় দেখা যায় যেসব মুসলিম পশ্চিমা শাসক নিয়ন্ত্রিত দেশে বাস করেও পশ্চিমা মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয় না, তাদের মধ্যে চরমপন্থী (যারা শরীয়া আইন চায়) তৈরী হয় ।এটা ঠেকানোর লক্ষে RAND এমন একটি মুসলিম প্রজন্ম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় যারা জানবেনা ইসলামে শরীয়া আইন ,জিহাদ ও খিলাফা বলে কিছু আছে এবং এমন কি শালীনতাবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে বেড়ে না ‍ উঠার ব্যাপারে কৌশল ব্যবহার করা হয় । এজন্য RAND নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় শাহ আব্দুল হান্নান ও সৈয়দ আলী আশরাফের মতো কথিত চিন্তাবিদ দিয়ে অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তেরী করে ( এসব নাম বোঝার সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে । উপরন্তু তারা বিদেশী শক্তির সাথে সম্পর্ক রাখেন । ) ।

ইসলামের প্রাথমিক যুগে সৃষ্ট চার মাজহাবে জিহাদ - খলিফা ও শরীয়া আইনের গুরুত্ব সোনালি হরফেই লেখা আছে।মুসলিমরা যদি প্রচলিত মাজহাবের অনুসারী হয় খুব সহজেই তারা জিহাদ খলিফা ও শরীয়া আইন সম্পর্কে জেনে যাবে। তাই RAND ষাটের দশকেই সৌদি রাজার কেনা দালালদের দিয়ে নতুন মাজহাব সৃষ্টি করে।এই মাজহাব সৃষ্টির সময় RAND কয়েকটি মুলনীতি তৈরী করে দেয় যে যা অনুসারে নতুন মাজহাব সৃষ্টি হয়। মুলনীতিগুল হচ্ছে-

১. ইসলামে জিহাদ বলে কিছু নেই।জিহাদের নামে সন্ত্রাস করা হচ্ছে । বাস্তবে তারা এমন সন্ত্রাসী বাহিনী তেরীও করে । যেমন : ইরাকে আইসিস । আফগানিস্তানে তালেবান । এর উদ্দেশ্য কাশ্মীর, ভারত ,থাইল্যান্ড-সহ সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত মুসলিমদের অবস্হাকে ধামা চাপা দেওয়া ।

২. ইসলামী আইন বলে কিছু নেই।

৩. ইসসালামে খিলাফাত বলে কিছু নেই । ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্হা বলে কিছু নেই । খিলাফতের নামে যা হয়েছে তা রাজতন্ত্র । সৌদী রাজা হচ্ছে খলিফা বা আমিরুল মুমিনীন ।

৪.ইসলামকে নামাজ রোজা হজ্জ আর বিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে । পোষাক আশাকের ক্ষেত্রে ইসলামকে আনা যাবে না । আর এজন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনী আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে ওড়না পড়া বা হিজাব করা নিষিদ্ধ করেছে ।









বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত মেডিক্যাল কলেজে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী পোষাক নিষিদ্ধ হয়েছে যা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শণবিরোধী

৫.প্রচার করতে হবে মাজহাব বলে কিছু নেই ।মানতে হবে কুরান হাদিস আর আমরাই হলাম একমাত্র সহিহ হাদিস। এ দ্বারা উদ্দেশ্য হল যাতে লোকেরা মাজহাবের ইমামদের ফাতওয়ার বই পড়ে জিহাদ,খলিফা ও শরীয়ার গুরুত্ব শিখে না ফেলে । বর্তমানে এই কাজটা করছে টিভি চ্যানেলগুলোর হুজুররা, আহলে হাদিস নামক একটা গোষ্ঠী এবং জামায়াতে ইসলামীর লোকরা ।



এই বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয় নতুন মাজহাব । ইউরোপের দেশ আলবেনিয়ার ঘড়ি মেরামতকারী নাসিরুদ্দীন আলবানী-কে করা হয় সেই মাজহাবের অঘোষিত মুজতাহিদ বা গবেষক । তখন থেকেই মিডিয়া কভারেজ পাওয়ার শুরু করেন আলবানী। উল্লেখ্য আলবানীকে RAND এর কার্যক্রম শুরুর আগে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষও চিনতো না । RAND এবং সৌদ আরবের রাজাকে হতাশ করেননি আলবানী । তিনি আলজেরিয়ায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া ও ৮৫ % ভোট পাওয়া ”ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্ট”-কে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী ফতোয়া দেন। তার দুটি ফতোয়ায় এখানে পাবেন : http://www.alalbany.net/misc024.php

বর্তমানে সৌদি আরবের সব হুজুর মিশরের ইখওয়ানুল মুসলেমীন ও ফিলিস্তিনের হামাসকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী ফতোয়া দিয়েছে ।





বাংলা ভাষায় ওয়াজকারী এধরনের সৌদি হুজুর হলেন মতিউর রহমান মাদানী । তিনি আহলে হাদিস ও জামায়াতের লোকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় । তবে কিছু দিন আগে তিনি আল্লামা শফি হুজুরকে বড় নাস্তিক ও সাইদীকে মুর্খ সন্ত্রাসী বলে ফতোয়া দিয়ে জামায়াতের লোকদের বিরাগ ভাজন হয়েছেন ।

RAND মাজহাব উপমহাদেশে আহলে হাদিস নামে পরিচিত এবং আরবে মাদখালি নামে পরিচিত । বাংলাদেশ তারা ১৫ টা ভাগে বিভক্ত । এরা মানুষকে ধোকা দিতে নিজদের সালাফি দাবি করে। অরজিনাল সালাফিদের সাথে RAND মাজহাবের পার্থক্য রয়েছে । সালাফী মূলত ভিন্ন আরেকটি মাযহাব ।



RAND আলেম ও মৌলবী তৈরী:


মুলত যে উদ্দেশ্যে নিয়ে RAND মাজহাব প্রতিষ্ঠা করা হল সেই একই উদ্দেশ্যে আরো শক্তভাবে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে RAND আলেম ও মৌলভী তৈরীর পরিকল্পনা প্রকাশ করে RAND Corporation ।

RAND মাজহাব যাতে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় সেজন্যই RAND আলেমদের ব্যবস্থা করা। RAND তার ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে,মানুষের সাভাবিক প্রবৃত্তি হল যাকে খুব ভালবাসে তাকে অন্ধের মত অনুসরণ করে।আমাদের এমন কিছু ইসলামি স্কলার তৈরী করতে হবে যারা আমাদের ঘোষিত নীতি মেনে চলবে। তারা ইসলামকে শুধু নামাজ রোজা হজ্জ বিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে ফেলবে তারা শুধু বার বার সহিহ হাদিস অনুযায়ী নামাজ পড়তে বলবে । আর অন্য দিকে লোকদের আলোচনা করার সুযোগ দিবে না । আর তারাবীর নামাজ আট রাকাত বলে চিৎকার করবে । সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশ হঠাৎ সৃষ্টি হওয়া ইসলাম প্রচার কেন্দ্রগুলো মুলত RAND এর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মাত্র।

যেমন : RAND এর ঘোষিত মুল নীতি মেনে চলে এমন কোন আলেমের

কিছু অবস্হা হলো :






এই তোরা আমাকে ধর । আমি হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম । হা হা হা হা ...

১. আব্দুল আযিয বিন বাজ : সৌদী আরবের সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি। রাশিয়া জিহাদের সময় তালেবানের জন্য ফান্ড কালেক্ট করেন।কিন্তু তালেবান যখন আমেরিকার সাথে যুদ্ধ শুরু করে তিনিই ফতোয়া দেন তালেবান খারেজি ও কাফের ।তিনি উসামা বিন লাদেনকেও খারেজি ফতোয়া দেন।

খারেজি ফতোয়ার ভিডিও : http://www.youtube.com/watch?v=RoxsjwP-iLs

বিন বাজের প্রতি ওসামা বিন লাদেন – এর খোলা চিঠিঃ http://en.wikisource.org/wiki/Open_Letter_to_Shaykh_Bin_Baz_on_the_Invalidity_of_his_Fatwa_on_Peace_with_the_Jews

২. মনের জিহাদ বড় জিহাদ - ইয়াসির কাদি : http://www.youtube.com/watch?v=_8qgMZZHeFE

৩. নুমান আলি খান : কিছুদিন আগে বলেছে খিলাফত বলে কিছু নেই : https://www.youtube.com/watch?v=Bh9ffWwdcfw#t=18

উপমাহদেশ এবং বাংলাদেশে কিছু RAND এর অনুচর আছে। যেমন :

১. মতিউর রহমান মাদানি (ভারতী ও কাফির ঘোষনার মেশিন) : তালেবান ও আল কায়েদা কাফের ও খারেজি : http://goo.gl/t3QRg2

২. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (বাংলাদেশ , আহলে হাদিসদের নেতা ) : ইসলামে জিহাদ বলে কিছু নেই , জিহাদের নামে যা হচ্ছে সব জঙ্গীবাদ : http://www.somewhereinblog.net/blog/abdullahmfa/29496562

৩. আসাদুল্লাহ গালিব (বাংলাদেশ , আহলে হাদিসদের নেতা ) : সবচেয়ে বড় জিহাদ কলমের জিহাদ - http://archive.org/details/JihadOQital2ndEditionByProf.Dr.MuhammadAsadullahAlGhalib

তথ্যের উৎস :

1.Voices of Jihad- http://www.rand.org/pubs/monographs/2008/RAND_MG602.pdf

2.Civil Democratic Islam. Partners, Resources, and Strategies-http://www.rand.org/pubs/monograph_reports/MR1716/MR1716.pdf

3.Maritime Terrorism Risk and Liability- http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG520.pdf

4.Counterinsurgency in Afghanistan- http://www.rand.org/pubs/monographs/2008/RAND_MG595.pdf

5.Radical Islam in East Africa- http://www.rand.org/pubs/monographs/2009/RAND_MG782.pdf

6.Beyond al qaeda. Part one. The Global Jihadist Movement-http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG429.pdf

7.Beyond al qaeda. Part two. the Outer Rings of the Terrorist Universe-http://www.rand.org/pubs/monographs/2006/RAND_MG430.pdf

8.The Muslim World After 9/11- http://www.rand.org/pubs/monographs/2004/RAND_MG246.pdf

আজকের পর্বের অধিকাংশই কপি পেস্ট । কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হবে পরবর্তীতে । কারণ যাদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হবে তাদের পরিপূর্ণ তথ্য এই মুহুর্তে নেই । এজন্য আমি আন্তরীকভাবে দু:ক্ষিত ।

লেখা প্রকাশের সময় : বাংলাদেশ সময় ৩.১৩ এএম , ১ নভেম্বর ২০১৪ খ্রী.



পোস্টের প্রথম ছবিটা নিয়ে প্রশ্ন :


১। এই ছবিটা কি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শন অনুযায়ী হয়েছে কি ?

২। এই ছবিটা কোন কোন দর্শনকে অনুসরণ করে ?

৩। এই ছবির বিষয়বস্তু কি ?

৪। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রধান উপাদানগুলো কি কি ?

৫। ওহাবী মতবাদ কাকে বলে ?

৬। ওহাবী মতবাদের প্রধান উদ্দেশ্য কি ?

৭। বাংলাদেশি হিসেবে আমরা কেন গর্ববোধ করবো ?

এসব প্রশ্নের উত্তর যে বা যারা ইমেইল বা ফেসবুকে আমার নির্দিষ্ট একাউন্টে ওয়ার্ড ফাইল আকারে পাঠাবে তাদের মধ্য হতে ২ জনকে ৫০০ টা বিকাশ করে পাঠানো হবে অথবা আত্মগঠণমূলক বই উপহার স্বরুপ পাঠানো হবে ।

বিষয়: বিবিধ

৫৪৩০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

280156
০১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৬:৪৫
তায়িফ লিখেছেন : জাতীয়তাবাদ হারাম
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১৬
227223
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : " মওদুদী মতবাদ গোমরাহী ,ওহাবি মতবাদ হলো আল্লাহ ও তার রাসুল সা. - এর সাথে দুশমনী এবং রাজতন্ত্র জুলুম - শিরক - কুফরী " - আমার এই কথার সাথে কি এক মত ?
280166
০১ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৩৮
মামুন লিখেছেন : আপনার লিখাটি পড়লাম। ধন্যবাদ।
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১৪
227222
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
280588
০২ নভেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:২৫
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : RAND এর কার্যক্রম সর্ম্পকে আগেই জেনেছিলম। আরো অনকেকিছু জানা হলো। তবে এ ব্যাপারে আপনার কোরআন হাদীস থেকে আপনাকে আরো কিছু জানা লাগবে।
১৪ নভেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:১৪
227221
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমাকে কোরআন হাদীস থেকে আর কি কি জানা লাগবে ????
১৪ নভেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:৫৭
227254
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : অবশ্যই ইসলাম সর্ম্পকে জানতে হবে। RAND এর কার্যক্রম নিয়ে সবগুলো দলকে কালারিং করা হযেছে। আপনাকে একটা বিশ্বাস রাখতে হবে, যে একটি দল সবসময় সঠিক পথে থাকবে। আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত এমন একটি ছোট দল থাকবে যারা, সসস্ত্র লড়ায় চালিযে যাবে, তারা নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবে না আর তারাই আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্ত দল। এজন্য কোরআন হাদীস নিরপেক্ষভাবে অধ্যয়ন করে নাজাতপ্রাপ্ত দলকে খুজে বের করুন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File