বাংলাদেশ কখনো ইসলামী রাষ্ট্রে পরিনত হবে না এবং আহম্মকরাই এধরনের আন্দোলনে ছাত্র জীবনে যোগ দেয়
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ অক্টোবর, ২০১৪, ০৭:৫১:৫৭ সন্ধ্যা
কিছু লোক বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খিলাফত রাষ্ট্র ও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার কথা বলে ছাত্রদের মগজ দোলাই করে থাকে আর কিছু ছাত্রীদের জড় পদার্থ বা প্রকারান্তে যৌনদাসীতে পরিনত করে । আর এলক্ষ্যে তারা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ।
ইদানিং অনেক আহম্মক ইরাকের আইএস বা আইসিস নামক সন্ত্রাসী দলের সর্দার আলবাগদাদী ওরফে মসুলের কসাই ওরফে কসাই ইব্রাহিম-কে খলিফা বলে সর্বত্র প্রচার করে যাচ্ছে এবং এই সন্ত্রাসীর দলভুক্ত করার জন্য লোকদের মগজ দোলাই করে যাচ্ছে ।
অনেককেই দেখছি, আমার সাথে গায়ে পড়ে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছে । কিন্তু আমি বিষয়টা এড়িয়ে যেতে চাইলেও বিবেকের তাড়নায় ছাত্র সমাজকে সচেতন করার জন্য আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করছি ।
খলিফা মাত্র চার জন :
রাসুল সা. –এর ইন্তেকালের পর মাত্র চার জন সাহাবী রা. – রাসুল সা.-এর প্রতিনিধিত্ব করেন বা ইসলামী বিশ্ব পরিচালনা করেন। তারপর ইয়াজিদ হত্যা – খুনের মাধ্যমে খিলাফত ব্যবস্হাকে বাতিল করে রাজতন্ত্র প্রবর্তন করে । রাজতন্ত্র প্রবর্তিত হলেও তখন মুসলিম বিশ্বের বড় দেশটার শাসকদের পদবি ছিল খলিফা । তারা উপাধিতে খলিফা হলেও তারা মূলত ছিলেন রাজা বা সম্রাট । চার খলিফার পর উমাইয়া বংশ, আব্বাসীয় বংশ এবং তুরস্কের ওসমানিয়া বংশ মুসলিম বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয় । কিন্তু এসব বংশের রাজত্বের বাহিরেও অনেক স্বাধীন মুসলিম দেশ ছিল । সুতরাং তারাই যে এককভাবে মুসলিম বিশ্ব রাজত্ব করেছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন – এই কথা ভিত্তিহীন ।
ইরাকের বর্তমানে ইসলামী খিলাফতের কার্যক্রম ।
আরো তথ্য ও ছবি : https://m.facebook.com/notes/rusho-karim/%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE-%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%B8%E0%A7%8C%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F-isil-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-isis-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-/657558200989572
মুসলিম বিশ্বে কোন খলিফা নেই, আছে রাজা অথবা সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি) :
প্রথম মহাযুদ্ধের পর সৌদি আরবের বর্তমান রাজাদের পূর্ব পুরুষ ও বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আজিজ ইবনে সৌদ এবং মক্কার শাসক শরিফ হোসেনের বিশ্বাসঘাতকতায় ওসমানিয়া সম্রাজ্য ভেঙ্গে যাওয়ার আগে পর্যন্ত ২য় আব্দুল হামিদ ছিলেন সর্বশেষ খলিফা পদবিধারী শাসক । এখন পৃথিবীতে এতগুলি মুসলিম দেশ কিন্তু একটি দেশের শাসককেও খলিফা বলা হয় না। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও দূর প্রাচ্যের এতগুলি মুসলিম প্রধান দেশ থাকা সত্ত্বেও একজন খলিফা নাই।
ইরান ও পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী সাধারণতন্ত্র বা ইসলামী রাষ্ট্র । সেখানেও কোন খলিফা নাই। উপরন্ত খলিফা মেয়েরা হতে পারে না বলে থাকে মগজ দোলাইকৃত লোকরা । কিন্তু বেনজীর ভুট্টো নামক অপবিত্র মহিলা (ইমরানের খানের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক থাকায় এই মহিলা অপবিত্র হয়ে গেছে । ) পাকিস্তান শাসন করেছেন । কোন হুজুর তার মুখের উপর কোন কথা বলতে পারেনি ।
ধর্মব্যবসায়ী ও শয়তানের সাকরেদ কানা দাজ্জালের চামচা এবং বিবেকসম্পন্ন মেয়ে ( কথিত খিলাফতী বা ইসলামী মেয়েদের মতো যৌনদাসী নয় - এমন মেয়ে) - র ছবি । আপনাদের কাছে কাকে ভাল লাগে ?
পাকিস্তান নিজেকে ইসলামী রাষ্ট্র বললেও সেখানে গণতন্ত্র বিদ্যমান। মগজ দোলাইকৃত লোকরা বলে থাকেন গণতন্ত্র বিদাত ও কুফরি । কিন্তু পাকিস্তান হতে মগজ দোলাইকৃত লোকরা কোনক্রমেই গণতন্ত্র উৎখাত করে তাদের স্বপ্ন-সুখের খিলাফত রাষ্ট্রে পরিনত করতে পারেনি ।
সৌদি আরব-সহ আরব বিশ্বের ৮ টি দেশে পৃথিবীর প্রাচীনতম স্বৈরাচারী ও অত্যাচারী ব্যবস্হা রাজতন্ত্র রয়েছে । বাহরাইন, কুয়েত,কাতার,আরব আমিরাত, ওমান, জর্দান,মরক্কো-র শাসকরা হলেন রাজা । ইসলাম তো রাজতন্ত্র সমর্থন করে না । কিন্তু এসব অত্যাচারী রাজারা ধর্মব্যবসায়ীদের ব্যবহার করে রাজতন্ত্রকে জায়েজ বলে প্রমাণ করার পাশাপাশি এসব রাজারা যতই অত্যাচার করুক না কেন তাদের বিরোদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না । আর বল্লে কখনোই জান্নাতে যাওয়া যাবে না – এমন কথা হাদিসের অপব্যাখ্যা করে প্রচার করে যাচ্ছে ।
সিরিয়া,মিশর,সুদান-এ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত যা রাজতন্ত্রের মতোই। তুরস্ক, লেবানন ও ফিলিস্তিনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। অন্য দিকে আফ্রিকার লিবিয়া, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া প্রভৃতি দেশগুলো গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করছে ।
আরব বিশ্বের বাহিরের দেশগুলোর অবস্হাও একই । ইন্দোনেশিয়া - যা জনসংখ্যার বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মুসলিম রাষ্ট্র । সেখানে গণতন্ত্র রয়েছে । মালয়েশিয়াতেও গণতন্ত্র।
জনসংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র। এই দেশে গণতান্ত্রিক পন্থাকে স্বীকার করে ইসলামী দলগুলো ভোটের রাজনীতিতে বা সংসদীয় ব্যবস্হায় অংশগ্রহণ করে থাকে।
আলোচনার এই পর্যায়ে আমরা বোঝলাম,
রাসুল সা.-এর ইন্তেকালের পর তার চার সাহাবী রা. ছাড়া চার কোন খলিফা পৃথিবীতে ছিল না । আর যাদের পদবি খলিফা ছিল তারা ছিলেন মূলত রাজা । ৫০ টার বেশী ভাগে বিভক্ত মুসলিম বিশ্বের বাস্তব চিত্র থেকে আমাদের বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে ।
মাত্র চার জন খলিফা হওয়ার পরে পৃথিবী থেকে খেলাফত ব্যবস্থা বিলুপ্ত হলো কেন ? :
১. খেলাফত ব্যবস্থা অনেকটা কনিউনিষ্টদের মতো। এক জন রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে যান। যেমন :কয়েক বছর আগে কিউবায় মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ট্রো। তার মৃত্যুর পর তার ভাই রাউফ ক্যাস্ট্র তার পদ দখল করেছেন । অন্য দিকে খলিফাদের ক্ষেত্রেও আমরা দেখেছি, একই নিয়ম। একজন খলিফা তার মৃত্যু পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকেছেন।
২. মৃত্যুর আগে একজন খলিফা নির্ধারণ করে দিয়ে যেতেন পরবর্তী খলিফা কে হবেন। মজলিসে সুরা বা নীতি নির্ধারকরা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তার উত্তরাধিকারকে অনুমোদন দেবেন বা দেবেন না। এ ব্যাপারটিও কমিউনিষ্টদের সাথে মিলে যায়। যেমন ফিদের ক্যাস্ট্র তার ছোটভাই রাউলকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
৩. গণতন্ত্রের সাথে খেলাফতের কোন মিল নেই । গনতন্ত্র হইল সাধারন নাগরিকের ভোটে নির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা । আব্রাহাম লিংকনের মতে "Democracy is the government of the people, by the people and for the people."
আর খেলাফতে সব লোকের ভোট দেয়ার ক্ষমতা নাই। শুধু মাত্র রাজতন্ত্র নামের (শুরা সদস্যরা) সারা সংগঠণ - দেশ - জাতির জন্য খলিফা নির্বাচিত করতে পারবেন। যেমন : এই ব্যবস্হা জামায়াতে ইসলামীর মধ্য প্রচলিত আছে । নিজামী মারা না যাওয়া পর্যন্ত নিজামী জামায়াতের আমীর থাকবেন আর তাকে নির্বাচন করে তার মগজ দোলাইকৃত ও মননায়নকৃত নেতারা ।
৪. মগজ দোলাইকৃত লোকদের কাছ হতে জানা যায় । খলিফা হতে হলে –
১. মুসলমান হওয়া (সন্ত্রাসী দল আইসিস-এর সদস্যা হতে হবে । যেমন : আল বাগদাদী । )
২. আক্বেল হওয়া (সন্ত্রাসী মানষিকতার হতে হবে । কথায় কথায় বিরোধী পক্ষের মাথা কেটে ফেলতে হবে ।)
৩. যৌন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে (যৌন উম্মাদ হতে হবে । আর এই লক্ষ্যে যৌন জিহাদ আয়োজন করতে হবে । )
৪. পুরুষ হওয়া (নারিবিদ্বেষী ও কামুক পুরুষ হতে হবে । যেমন : মোল্লা ওমর, ওসামা বিন লাদেন, আলবাগদাদী । )
৫. কুরাঈশ বংশীয় হতে হবে । (বিষয়টা জটিল । মক্কার শাসক শরীফ হোসেন ছিলেন কুরাইশ বংশীয় । তিনি কিন্তু ১ম বিশ্ব যুদ্ধের সময় ওসমানীয় খেলাফত উচ্ছেদের জন্য ষড়যন্ত্র করেন । তার বংশধরদের একাংশ জর্দান ও মরক্কো শাসন করছেন এবং তারা কিন্তু অমুসলিম শক্তির এক নম্বর দালাল । কথায় আছে না : জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল । )
এসব কারণে বিবেকবান ও সভ্য লোকরা খেলাফত ব্যবস্হা পছন্দ করে না ।
খিলাফত সংক্রান্ত আলোচনাতে কারা বেশী বর্তমানে মাতামাতি করে থাকে :
১. তারা নাকি ইসলাম প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে সম্পৃক্ত। এজন্য তারা সন্ত্রাস করাকে ধর্মীক কাজ মনে করেন । নিরীহ মানুষ হত্যা করা ভয়ংকর অপরাধ। অথচ তারা এই কাজ করাকে সোয়াবের কাজ মনে করে ।
২. জীবন ও জগত সম্পর্কে হতাশ লোকরা ।
মানুষ জীবনটা পায় একবারই। এই জীবন আর পাওয়া যাবে না। এই সুন্দর পৃথিবীটার জন্য এবং নিজের জন্য কত কিছুই তো করার আছে। যদি মানুষের জন্য করার ইচ্ছা না থাকে তো নিজের জন্য করা যেতে পারে। নিজের মেধা-যোগ্যতা-দক্ষতা দিয়ে পৃথিবীটা ইসলামীকরণের সুযোগ আছে – এই কথাটাকে তারা বিশ্বাস করে না ।
৩. প্রতিটি মুসলমান নর নারীর জন্য জ্ঞান অর্জন ফরজ। জ্ঞান অর্জন করলে কেউ ইসলামের নামে নিরীহ মুসলমান হত্যা করতে পারে না। কারণ জ্ঞান হলো আলো । এসব কথা তারা মানে না বা বুঝতে চায় না ।
৪. ধর্ম তো প্রচারের বিষয়। কাউকে স্বমতে আনার বিষয়। মানুষ মারার বিষয় নয়। যদি মানুষ মারাই ধর্মের মূল উদ্দেশ্য হত – তাহলে তিনি রাহমাতুল্লিল আলামীন উপাধি লাভ করতেন না । মক্কা বিজয়ের পর তিনি হাতে গোনা দুই একজন অমুসলিম ছাড়া সবাইকে মাফ করে দিয়েছিলেন। এই মাফের ফলেই অমুসলিমরা দলে দলে মুসলমান হয়েছিল। অথচ এক সময় অমুসলিমরা তাকে রক্ষাক্ত করেছিলো তার সাহাবীদের অনেক অত্যাচার করেছিলো এবং তাদের মাতৃভূমিতে থাকতে দেয়নি । এসব কথা মগজ দোলাইকৃত লোকরা বুঝতে চায় না ।
৫. তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ইসলামের বিপক্ষে যারা আছে তাদের মারা ইসলামে জায়েজ। তাহলে এসব লোকদের হামলা করার কথা এমন রাষ্ট্রে বা এলাকায় যেখানে মুসলমান নাই। তাদের টার্গেট হওয়ার কথা অমুসলিমরা। কিন্তু বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের মতো মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে তারা বোমা কাকে মারতে চায় ?
৬. একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের জাল বিছানো হয়েছে যাতে করে কিছু আহম্মককে সহজেই সন্ত্রাসী বানানো যায়। জঙ্গীবাদের দোহাই দিয়া কিছু রাষ্ট্র দখল করা বা কিছু রাষ্ট্রকে চাপে রাখা এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য। এই গাছভুদাইগুলি সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে জীবন হারাচ্ছে। যেমন : ইরাক ও সিরিয়াতে ।
৭. চোখ কান খোলা নাই, এমনকি নিজের ধর্মটাকেও ঠিক মতো জানা নাই। যেই মতবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেই মতবাদটা নিজে শেখে নাই। কেবল আরেকজনের কথা শুনে জান কোরবান করার জন্য রাজি হয় আহম্মক ছাড়া আর কে ? যেমন : বাংলাদেশের জেএমবি এবং সাইদীর ফাসির রায়ের পর সাইদীকে চাদে দেখার কথা শুনে ১২৮ জনের আত্মহুতি ।
৮. যদি ধর্মের বিধান সত্য হয়, তবে ধর্মকে অমান্য করে মারা যাওয়া এই আহম্মকগুলির পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু প্রাপ্য নাই।
উপসংহার :
আমার কথা ফুরোলো । নটে গাছটি নুরোলো । আমাকে যত খুশি গালি দেন । আপত্তি নাই ।
আর যদি খলিফা খলিফা করেন । তাহলে বলছি, ইরাকে চলে যান বা সৌদি রাজা খবিস শয়তান আব্দুল্লাহর পা চাটেন । আর তাকে খলিফা বানানোর চেষ্টা করেন ।
আর এসব এক চোখ অন্ধ বা অন্ধ ধর্ম ব্যবসায়ীদের সত্যিকার ইসলামের জ্ঞান দান করেন ।
আরো জানার জন্য পড়ুন :
১. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50510
ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম
২. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )
৩. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/49624
সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করা মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব
৪. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/42639
মুসলিম অস্তিত্ববিরোধী ও ইসলামবিনাশী ইসরাইল ও ভারতের স্বাধীনতা লাভে সৌদি আরবের প্রধান ভুমিকা এবং মিশরের ইসলামী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে সৌদি আরব ও ওহাবী ধর্মব্যবসায়ীদের কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
৫. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32530
রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বিশ্বাস হলো ওহাবীবাদ ও সেক্সীজম (১ম পর্ব)
৬. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27711
ইসলাম ও মানবতার দুষমণ এবং ইসলামবিনাসী শক্তির তাবেদার সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস
৭. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/13231
রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য (৯৯% কপি পেস্ট)
৮. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1209#.U96ox6N3zSk
সৌদি আরবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের উপর চলছে অত্যাচার ( নিউজপোস্ট )
বিষয়: বিবিধ
১৮২৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর আপনি আইএস কিংবা আল কায়েদার বিরোধীতা করতে গিয়ে পুরো ইসলামের বিরোধীতা করেছেন। যে জ্ঞানহীন মানুষের কাজ।
আপনি লিংকনের গনতন্ত্রের প্রসংশা করেছেন। পৃথিবী অনেক দিন যাবতই তো এই গনতন্ত্র বিদ্যমান সংঘাত সংঘর্ষ রক্ত ছাড়া কিছু দেখেছেন? দেখেন নি। হরতাল অবরোধের নামে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি। মানুষকে কষ্ট দেয়া ইত্যাদি।
তবে সৌদিতে যে প্রথা চলছে তা ইসলাম সম্মত নয়।
উত্তরে বলছি : পানির পাত্রে মাছি পড়লে তা কীভাবে পানি বা পানীয় পান করতে হবে - সেই বিষয়ে পর্যন্ত হাদিস আছে । আপনার কথাই প্রমাণ করে মুসলিম বিশ্বে খিলাফত ব্যবস্হার প্রয়োজন নেই । আর যদি প্রয়োজন থাকতো , তাহলে দাড়ি-কমা-সেমিকোলন-সহ এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকতো ।
ওয়া শাবিরহুম ফিল আমরি - আয়াত সহ অনেক আয়াতে জনগণকে গুরুত্ব দেওয়া কথা রয়েছে । ইসলাম পরামর্শ ও মত প্রকাশকে গুরুত্ব দেয় । এজন্য আল্লাহ ফেরেশ্তাদের বলেছেন : ইন্নি জায়িলুন ফিল আরদি খলিফা ।
আমি ইসলামের বিরুধীতা করি নাই । বরং যারা ইসলামকে ভুলভাবে উপস্হাপন করে তাদের কিছু কাজ তুলে ধরেছি ।
সংঘাত সংঘর্ষ রক্ত মানব সভ্যতার বৈশিষ্ট্য । চার খলিফা (রা.)- দের মধ্যে তিনজন সংঘাত-সংঘর্ষ-রক্তপাতের কারণে শহীদ হন । হযরত ওমর রা. একজন ইরানী অগ্নিপুজক ( পরবর্তীতে খৃষ্টান ধর্মগ্রহণকারী ) হত্যা করে । হযরত ওসমান রা.-কে কুরআন পাঠরত অবস্হায় কিছু নিষ্ঠাবান মুসলিম হত্যা করেন । হযরত আলী রা. -কে খারেজীরা মসজিদে হত্যা করে ।
দয়া করে কথিত উমাইয়া খলিফা ও আব্বাসীয় খলিফাদের জীবনী পড়ুন ।তাদের প্রায় সবাই সংঘাত সংঘর্ষ রক্তপাতের মধ্যেই ছিলেন ।
আপনার জ্ঞানের বহর দেখে অবাকই হলাম৷
> ভুল information, ইয়াজিদ নয় হবে মুআবিয়া
You totally failed to understand the Islamic Concept of খিলাফত and you put lots of wrong information in your post as a result your thinking totally go against the truth.
আপনার জ্ঞানের বহর দেখে অবাকই হলাম৷
প্রথম জামায়াতের আমীর নির্বাচিত হয় গোপন ভোটের মাধ্যমে। আপনার উক্তিটি পক্ষপাতদুষ্ট।
দ্বিতীয়ত আব্রাহম লিংকনের গণতন্ত্রে মানুষের অধিকার হরণ করা হয়। এখানে জবাবদিহীতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেই লোক তৈরী করার নির্দেশনা নেই।
শেখ হাসিনার মত একজন রাষ্ট্রদ্রোহী, হত্যাকারী মহিলা যখন গনতন্ত্রের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী হয়, এবং নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে, তখন সেই গণতন্ত্রকামী মানুষগুলোই উল্টো হাসিনার খোলা জেলে বন্দী হয়ে যায়।
আমরা আসল জায়গা নিয়ে কথা বললে এমনটি হয়না। পৃথিবীতে যে সব জাতি আজ উন্নত, তাদের মুলে রয়েছে দেশ প্রেমিক কিছু নিবেদিত নেতা। যারা নিজেদেরকে জাতির সামনে শ্রেষ্ট মডেল হিসেবে পেশ করে জনগনের কাছে এটি মুলনীতি হিসেবে পেশ করেছেন।
ইসলামের চার খলিফার মত খলিফার প্রয়োজনীয়তা আজো পুরিয়ে যায়নি। কিন্তু সমস্যা হল আমাদের চিন্তার সীমাবদ্ধতা। আমরা জিহাদ বলতে অন্যর বিরুদ্ভে বুঝি। কিন্তু নিজের ভেতরের অামানুষটাকে শেষ না করে সামাজিক জিহাদ যে কত ক্ষতিকর তা আজকের বিশ্বের চিত্রই যথেষ্ট।
আমাদের জাতীয় নেতাগুলো দেখেন। কয়জন আছে অনুসরন করার মত? বিএনপি আম্লীগ নেতাগুলো দেখলে বুঝার সাধ্য নেই যে এরা মুসলিম না খ্রীষ্টান। আমাদের অইডিন্টিটি ক্রাইসেস সমস্যা। আর এরাই রাষ্টের মুল সমস্যা।
জামায়াত সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে গেলেো উল্লেখযোগ্য অংশ এখনো নিজেদের জাতির কাছে মডেল হিসেবে পেশ করতে পারেনি। একটি গ্রামের কাছে যদি জামায়াত আদর্শ হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে, তার প্রভাব রাষ্ট্রে পড়বে এটাই স্বাভাবিক।
কাজেই সমালোচনার পরিবর্তে গঠনমুলক আলোচনা যদি দিশেহারা এ জনগোষ্ঠীকে কিছুটা হলেো স্বস্তি দিতে পারে তাতেই আমার আপনার স্বার্থকতা। ধন্যবাদ।
আপনার ত বহুউত বিবেক ও আক্কেল! এতো বুদ্ধি নিয়া ঘুমান কেমনে!
অসহনীয় পরিস্হিতিতেও আপনার লেখনী কিছুটা হলেও বিনোদনের অভাব মিটাইছে! চালাইয়া যান!
একটা পার্টি বানাইতে পারেন আপনি! নাম দিবেন.... "বিশ্ব গোবইরা মাথাওয়ালা পার্টি" সংক্ষেপে 'বিগোমাপা'
মন্তব্য করতে লগইন করুন