জামায়াত - শিবিরের ভাইদের চ্যালেঞ্জ করছি । আমি তাদের প্রকাশ্যে বাহাস ও মুনাজারায় অংশ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৫০:৫৬ রাত
জামায়াত – শিবিরের ভাইদের আমি চ্যালেঞ্জ করছি ।
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/54656#.VDVzq1dH5sI
আমার এই লেখার মধ্যে যদি অপপ্রচার থেকে থাকে, তাহলে তা সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরুন ।
আমার লেখা যে অপপ্রচার নয়, তার প্রমাণ হলো ফেসবুকে এই ছবিটা অনেক লোক শেয়ার করেছে । শেয়ার করার পর শিবিরের কেহই ছবিটা ভুয়া বা এডিটেড বলে অস্বীকার করছেন না , বরং অনেকে এমন তথ্য দিচ্ছেন যে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর অনেক জায়গায় এধরনের ব্যানার করা হয়েছে ।
আমার প্রশ্ন হলো :
১. কোন ইসলামী সংগঠণের লোকরা এমন ব্যানার বানিয়ে প্রচার করতে পারে কী না ?
২. এধরনের কাজ কতটা ইসলাম সম্মত ।
আমি জামায়াত - শিবিরের ভাইদের বলছি :
দয়া করে আল্লাহকে ভয় করুন এবং কুরআনের এসব আয়াত বার বার পড়ুন :
১.তোমার প্রভুর পথে তুমি কৌশল ও সদুপদেশ দ্বারা লোকদের ডাক । তাদের সাথে বিতর্ক করে যুক্তির সাথে । সুরা নহল : ১২৫ ।
২. দয়াময়ের বান্দা তো তারাই যারা, পৃথিবীতে বিনয়ের সাথে চলে এবং মুর্খ লোকেরা তাদের সাথে কথা বার্তা বলে, তখন তারা বলে : শান্তি । সুরা ফুরকান : ৬৩ ।
৩. আপনি কাফিরদের অনুসরণ করবেন না, আপনি কুরআন দ্বারা মোকাবেলা করুন । সুরা ফুরকান : ৫২ ।
শিবিরের ভাইরা আমার এই লেখার তো কোন জবাব দিচ্ছেন না ? কিন্তু আমার এই লেখাতে তারা গালিগালাজ করার পাশাপাশি তারা বেআক্কেল নামের এক শিবির নেতা আরেকটা লেখা লিখেছে ।
দুই জন পরস্পরের শত্রু । কিন্তু মারা যাওয়ার পর আপন দুই ভাইয়ের মত পাশাপাশি শুয়ে আছে । আর হাসরের মাঠেও এক সাথে উঠবে । কারন উভয়ের করব পাশাপাশি । আজব হলেও সত্যি তাদের দেখার জন্য তাদের বাবা-মা কেহই আসেননি । আমরা কি এমন রাজনীতি দেশে আশা করতে পারি ? আমরা কি এমন ইসলাম কায়েম করার আশা করতে পারি ?
শিবির নেতাটি নিজেই তার নিজের নাম দিয়েছেন বেআক্কেল । তিনিও তার এই লেখায় আমার লেখাটার যুক্তি খন্ডন না করে আমাকে তার দল-বল নিয়ে গালিগালাজ করেছেন - http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/7348/concrete/54658
ইসলাম গালি গালাজ করতে বলে না । ইসলামের নীতি হলো :
১. তোমার প্রভুর পথে তুমি কৌশল ও সদুপদেশ দ্বারা লোকদের ডাক । তাদের সাথে বিতর্ক করে যুক্তির সাথে । সুরা নহল : ১১৪ ।
২. দয়াময়ের বান্দা তো তারাই যারা পৃথিবীতে বিনয়ের সাথে চলে এবং যখন মুর্খ লোকরা তাদের সাথে কথাবার্তা বলে তখন তারা বলে " শান্তি " । (মানে হলো আমরা কাউকে কটু কথা বলবো না। আর তারা বল্লেও কটু কথা বলবো না ।) সুরা ফুরকান : ৬৩ ।
৩. যখন খারাপ লোকরা আমাদের কটু কথা বলবে সে সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন : তোমরা অবিশ্বাসীদের অনুসরন করবে না । তোমরা তাদের কুরআন দ্বারা মুকাবিলা কর । সুরা ফুরকান :৫২
মুসলিমরা প্রতিক্রিয়াশীল নয় । মুসলিমরা ক্রিয়াশীল জাতি । এজন্য ইসলাম ধর্মের বিস্তার ঘটছে ।
জামায়াত - শিবিরের ভাইদের বলছি :
আপনারা শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি-র ফেসবুক আইডি, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল এড্রেস দিন । আমি তার সাথে বাহাস ও মুনাজারা করতে ইচ্ছুক । বাহাস ও মুনাজারায় যে জিতবে সে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পাবে । আর যদি তিনি বাহাস ও মুনাজারা করত ইচ্ছুক না হোন - তাহলে তাকে আমি চায়ের দাওয়াত দিবো । আমার বাসায় আসলে শিবিরের কাউকে পুলিশ ধরতে আসবে না । গোপনীয়তা রক্ষিত হবে ।
বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ বলা হলেও কোন হিন্দুকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে দেখিনি । হয়ত আপনাদেরও এমন অভিজ্ঞতা হয়নি ।
আমার বস হিন্দু । আমি ঈদের ছুটি পাইনি । আমার অফিসের সামনে পুজা মন্ডপ বসেছিল । অনেক হিন্দু জমায়েত হয়েছিল । অফিস করতে এসেছি । আমি অফিস করতে আসা হিন্দু কলিগদের "ঈদ মুবারক" বলেছি । তারা চোখ বড় করে আমার দিকে তাকিয়েছে । হিন্দুরা ঠিকই শনিবার অফিস করতে আসবে । তবে যে দুই একটা হিন্দু কলিগ এসেছিল তাদের কাজে কোন মনযোগ ছিল না ।
আমার এই লেখাতে http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/54656#.VDVi-ldH5sJ শিবিরের কেহ আমার লেখার কোন জবাব দিচ্ছেন না। কিন্তু তারা আমার এই লেখাতে গালিগালাজ করছিল । আমি তাদের অনেকের বেশ কিছু মন্তব্য মুছে দিয়েছি । আমার বিরোদ্ধে লেখা লিখেছেন বেআক্কেল নামের এক শিবির নেতা । সে এই লেখায় : http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/7348/concrete/54658 তার দল-বল নিয়ে আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা ও গালি গালাজমূলক কথা প্রচার করে যাচ্ছে ।
ছেলেদের এধরনের পোষাক পড়া কতটা ইসলাম সম্মত । তাদের অনেকে নাভী দেখা যাচ্ছে । শরীরে রঙ দিয়ে লেখা কতটুকু ইসলাম সম্মত । বিনা কারণে খালি গায়ে হওয়া কতটুকু যৌক্তিক ? আর প্রতিবাদের রূপ ইসলামী নিয়মে কেমন হওয়া উচিত ?
জামায়াত - শিবিরের ভাইদের বলছি :
আপনারা আসলে কোন ধরনের ইসলাম চান বা কায়েম করতে চান ?
বিষয়: বিবিধ
৩৭৯৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বেআক্কেল কি শিবির নেতা? কনফার্ম আপনি? নাকি আমাকে যেমন একবার শিবির বলেছিলেন – সেরকমভাবে তাকেও বললেন?
আর তারা শুধু মাত্র তাদের গোত্রভুক্ত লোকদের লেখায় মন্তব্য করে । আমি অনেক বিশ্লেষণ করে বের করেছি তাদের নেতারা হলো : আবু সাইফ, ইমরান ভাই, আহমদ মুসা, সঠিক ইসলাম, বেআক্কেল, জেদ্দাবাসী, আবু জরীর, এলিট, আফরা, চেয়ারম্যান, ফারুক মৃধা, ইক্লীপস, পুস্পিতা, রেহনুমা বিনতে আনিস, .....গং । তাদের অনেকের একাধীক আইডি আছে ।
আমি মূলত বিজ্ঞান বিষয়ে লেখতে পছন্দ করি । কিন্তু এই সাইটটাতে বেশী লিখি বা সময় দেই । কারণ হলো : আমি বাংলাদেশের কিছু লোকের কার্যক্রমকে কাছ হতে দেখতে চাই । কারণ তাদের অশুভ কার্যক্রম দ্বারা আমাদের ইসলাম ধর্ম কুলষিত হতে পারে এবং আমাদের দেশ অরাজক অবস্হায় পৌছে যেতে পারে ।
এই ব্লগ সাইটটাতে শুধু মাত্র জামায়াতের রাজনীতি আর সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ নিয়ে আলোচনা হয় । এই দুইটাই আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর । এক জন বিবেকবান লোক হিসেবে আমার ও আপনার প্রতিবাদ করা নৈতিক দায়িত্ব ।
এই ব্লগ সাইটটাতে বিজ্ঞান বিষয়ক , শিল্প সাহিত্য বিষয়ক লেখা জনপ্রিয় হয় না । কারণ ওহাবী ও মওদুদী মতবাদ মতে এগুলো চর্চা করা অপরিহার্য বিষয় নয় ।
এই সাইটে সারাক্ষণ শিরক ও বিদাত কেন লেখকের লেখায় আছে তা আলোচনা হয় । অথচ কোন জামায়াত শিবির কর্মী বা ওহাবী শিরক-বিদাতমুক্ত কালজয়ী কেন লেখা আমাদের আজ পর্যন্ত উপহার দিতে পারেননি । এজন্য শিল্প সাহিত্যের দুষমন এই অপশক্তির কার্যক্রম দেখার জন্য আমি এই সাইটটাতে বিচরন করি ।
আমার এই লেখার সাথে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য আশা করছি ।
দয়া করে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মন্তব্য করুন ।
আপনার পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হলো ।
দয়া করে বলবেন কি আপনার প্রোফাইল পিকটা কতটুকু ইসলাম সম্মত ?
।
জামায়াত-শিবিরের মতো একটি আদর্শবান সংগঠন তৈরি করে মাঠে নামুন। আপনাকে ইসলাম প্রিয় লোকেরা খুঁজছে।
অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন । যদি না বুঝতে পারেন,শুধু এতটুকু বলছি :
১. মুর্তি পুজা কি ভাল কাজ ?
২. মুর্তি পুজাকে কি কোন মুসলিম সমর্থন করতে পারে ?
৩. মুর্তি পুজকদের কি কেহ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারে ?
৪. কোন ইসলামী সংগঠন কি কোন মুর্তি পুজক গোষ্ঠীকে শুভেচ্ছা জানাতে পারে ?
আমার এসব প্রশ্নের উত্তর যে বা যারা দিচ্ছে না তারা আদৌ আদর্শবান সংগঠণ বা ইসলামী সংগঠণের লোক হতে পারে না ।
হা, আমি প্রতি দিনই আদর্শবান লোক তৈরীর কাজ করছি । আমি লোক দেখানো কাজ বা প্রদর্শনেচ্ছা দ্বারা তাড়িত হই না । আমি আমার সীমাবদ্ধতাকে মেনেই আল্লাহর সন্তোষ অর্জন করার চেষ্টা ও সাধনা করে যাই ।
আমি আপনার কথিত আদর্শবান সংগঠণের মধ্যে কোন আদর্শ খুজে পাচ্ছি না বলেই মাঝে মধ্যে সংশোধনের উদ্দেশ্য কিছু লিখে থাকি । কিন্তু আপনার কথিত আদর্শবান সংগঠণের লোকরা আমাকে হত্যার হুমকি , গালি গালাজ ও অবজ্ঞামূলক কথার মাধ্যমে আমাকে অভ্যর্থনা জানায় ।
আমি মনে করি, আল্লাহ চাহেত তাদের এই খারাপ স্বভাব দুর হয়ে যাবে এবং তারা বাংলাদেশের সুনাগরিক হয়ে উঠবে । তাদের অনেক কাজ ও হাব-ভাব দেখে তারা আদৌও মুসলিম কি না তা আমার সন্দেহ হয় । তবে আমি আল্লাহর কাছে দুযা করি, তারা সত্যিকারের মুসলিম হয়ে মুসলিম বিশ্বের সেবা করবে । বর্তমানে তারা কথিত আদর্শবান সংগঠনের নেতাদের স্বার্থের জন্য ধ্বংসাত্মক কাজ করছে ।
সুতারাং আপনি যদি রাজি থাকেন শিবিরের পক্ষে হয়ে আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহন করব।
শর্ত হচ্ছে ১০ লাখ টাকার চ্যালেঞ্জটা কোরআনের কত নম্ভর আয়াতে আছে তা জানাতে হবে । আর যদি তা না পারেন তাহলে প্রমান হবে সস্তা জনপ্রিতার জন্য আপনি অপপ্রচারে নেমেছেন। বিনীত
১.তারা ইসলাম বিরুধি শক্তির মোকাবেলাই ইতিহাসের কঠিন সংকট কাল অতিক্রম করিতেছেন।দিনে পুলিশের দৌড়ানি রাতে তাহাজ্জুদে ব্যস্ত।
সংশোধনকৃত পয়েন্ট -
১ : আপনার কথিত সংগঠণের লোকরা তাদের সাবেক মিত্র ধর্মহীনতাবাদী বা ধর্মনিরোপেক্ষ আওয়ামী লীগের আক্রোশের স্বীকার হয়ে অঘোষিত ও অদৃশ্যমান আতাত গড়ে তোলছে ।
উল্লেখ্য, জামায়াত-শিবির ১৯৯৪ সাল হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে আওয়ামী লীগের ঘাড়ে সাওয়ার হয়ে কথিত তত্ত্বাধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করে । তখন আওয়ামী লীগের সাথে কথিত ইসলামী সংগঠণটার গলায় গলায় ভাব ছিল ।
ধ্বংসাত্মক ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করার জন্য পুলিশ ও র্যাবের নজর বন্দী অবস্হায় কথিত ইসলামী সংগঠণের লোকরা আছেন ।
আমি বাহাস আর মুনাজাররার আয়োজন করেছি । সুতরাং আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই ।
আপনি আরেকটা পোস্ট বা লেখা লিখুন : সেখানে আমাকে বা অন্য কাউকে বাহাস বা মুনাজারা করার আহবান জানাতে পারেন । আমি তা বিবেচনা করে দেখবো ।
তবে আপনারা কখনোই ইসলামী শাসন কায়েমের নামে - হল দখল , ঝটিকা মিছিল , প্রেক্টোল বোমা দিয়ে সাধারন লোককে হত্যা করা এবং দ্বীন কায়েমের নাম করে পড়া শোনা নষ্ট করাটাকে ক্যারিয়ার সেক্রিফাইস ইত্যাদি বিষয়গুলোর যথাযথ জবাব কখনোই দেননি এবং দিতে পারেননি ।
আমি বলেছিলাম : হলে কর্তৃত্ব ধরে রাখার জন্য রাত জেগে হলের ছাদে আমরা কেন পাহাড়া দিবো । হলটা কি ইসলামী ছাত্র শিবিরের না গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ শিবিরের । তাছাড়া আমাদের পড়াশোনা করার জন্য এত মারামারি করে হলেই বা থাকতে হবে কেন ? শহরের বাসা ভাড়া করে থাকলে আর ৩ টা টিউশনী করে ক্লাস করলেই তো আমাদের চলে । আর ভাল করে পড়লে তো আমরা এমনিতেই ভাল রেজাল্ট করতে পারি । আমাদের কেনই বা হল দখলে রাখতে হবে আর মারামারি বা কেন করতে হবে ? হল দখলে রাখা আর পড়াশোনা বাদ দিয়ে মারামারি করতে হবে - এসব কুরআন আর হাদিসে কোথায় আছে বলবেন কি ?
এই প্রশ্ন আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে দিগন্ত টিভির ডিএডি ও সাবেক শিবিরের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতিকে করেছিলাম (পরে তিনি কেন্দ্রীয় সভাপতি হন ) । তিনি আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেননি ।
পরে এই একই প্রশ্ন আমি রফিকুল ইসলাম খান (শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বর্তমানে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী পর্যায়ের শীর্ষ নেতা ) - কে করেছিলাম । তিনিও তার সন্তোষজনক জবাব দেননি । আর ছাত্র শিবিরের ছেলেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি করে মারা গেলে শহীদ বলা ইসলামের আলোকে কতটা সঠিক এই প্রশ্ন করাতে আমাকে মার দেওয়ার জন্য এক সদস্য তেড়ে আসে । আমি বলেছি শহীদ হলে তো যে কাপড় পড়া অবস্হায় মারা গেছে সেই কাপড়েই তাকে কবর দেওয়া উচিত । আর ময়নাদন্তের নামে নিহত ভাইগুলোর দেহ কেন অযথা কাটাকাটি করা হয় ? উপরন্তু এসব হত্যার বিচার তো কখনোই হবে না ।
ভাই রে । পাপ কখনো চাপা থাকে না । আজ আমি মুখ খুলেছি । আমাকে হয়ত আপনারা হত্যা করে বা বিভিন্ন হয়রানী করে বন্ধ করার চেষ্টা করবেন । কিন্তু আল্লাহ ঠিকই দুনিয়াতে এসব অপকর্মের ফল দেখিয়ে দিবেন ।
আজ আমি মুখ খুলেছি । অদুর ভবিষ্যতে আরো অনেকে মুখ খুলবেন ।
তাহলে শিবির কাকে শুভেচ্ছা দিল না দিল তার কফিয়ত আপনাকে জানাতে এত চিল্লাচিল্লি করছেন কেন ভায়া?
২। আর একটা মিথ্যা অপবাদ দিলেন "অঘোষিত ও অদৃশ্যমান আতাত গড়ে তোলছে " এটা সত্য হলে প্রমান দিন।
৩।আমি আগের পোস্টেই আপনার কাছে প্রমান ছেয়েছিলাম শিবিরেরা রিপোর্ট রাখে সুতারাং যদি শিবির করে থাকেন আপনার রিপোর্ট বই প্রমান হিসাবে পেশ করুন। কিন্তু আপনি কথা ঘুরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে যান কেন ? যদি রিপোর্ট বই প্রকাশ না করেন তাহলে আপনি যে ডাহা মিথ্যাবাদি তা প্রমান হয়ে গেল।
বিনীত
৪।??? কালকে লিখবো,এখন ঘুমাব। মা'সালামা
তাহলে শিবির কাকে শুভেচ্ছা দিল না দিল তার কফিয়ত আপনাকে জানাতে এত চিল্লাচিল্লি করছেন কেন ভায়া?
উত্তরে বলছি : জামায়াত - শিবির বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্হাকে মেনে নিয়ে রাজনীতি করছে । উপরন্তু জামায়াত-শিবিরের লোকরাই নিজেদের বাংলাদেশে একমাত্র সহী শুদ্ধ ইসলামী দল বলে দাবি করে । গণতন্ত্রের প্রধান বিষয়ই হচ্ছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আর উপরন্তু ইসলাম জনগণের জবাবদিহিতাকে গুরুত্ব দেয় । এজন্য হযরত ওমর রা.-কে এক বেদুইন প্রকাশ্যে হাজার হাজার লোকের সামনে তার গায়ের জামাটা সুন্দর ও লম্বা কীভাবে হলো তা জানার জন্য সরাসরি প্রশ্ন করতে পেরেছিলেন ।
আর আমি আপনার কথার জবাব দিবো না । কারণ আমি বাহাস ও মুনাজারার হোস্ট । আপনি কি কখনো শুনেছেন, আয়োজককে কখনো মেহমান প্রশ্ন করে ।
সুতরাং আপনি নিজে ঢাকায় এসে বাহাসের আয়োজন করেন । সেখানে আমি থাকবো আর আমার সাথে অনেক আলেম থাকবে । আপনি সেখানে আমাকে আর আমার সাথে থাকা লোকদের যে কোন প্রশ্ন করতে পারবেন ।
২। আর একটা মিথ্যা অপবাদ দিলেন "অঘোষিত ও অদৃশ্যমান আতাত গড়ে তোলছে " এটা সত্য হলে প্রমান দিন।
এর প্রমান হলো :
১.বিগত ছয় মাসে বিএনপি ও জামায়াতের অনেক লোক জামিন পেয়েছে । জামিন পাওয়ার প্রধান কারণ হলো সরকারের হয়ে মামলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকরা মামলার স্বাক্ষী হিসেবে উপস্হিত হয়নি বা তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে ।
ফেসবুকে শিবিরের অনেকে মুক্তি পাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করছে । অথচ আমি আইনের বই পড়ে যতটুকু জানতে পেরেছি তাদের যে মামলায় বা তাদের ব্যাপারে যেভাবে এফ আই আর তৈরী করা হয়েছে - সে অনুযায়ী তাদের সহজে জামিন হওয়া কথা নয় ।
২. এই তিনমাসে বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলছে । তাদের অনেকে আ্ওয়ামী লীগের লোকদের সাথে শেয়ারে ব্যবসাও করছেন ।
৩. ঢাকা মহানগরীতে প্রকাশে নির্বিগ্নে জামায়াত-শিবিরের লোকরা সভা সমাবেশ করছে । পুলিশ বাধা দিচ্ছে না । উপরন্তু শাহবাগিদের উপর গরম পানি পুলিশ নিক্ষেপ করছে ।
৪. টানা দুই বছর অনেক শিবির কর্মী পড়াশোনা করতে পারে নাই । সেসব কর্মী আবার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করছে । তাদের লীগের ছেলেরা কোনই বাদা দিচ্ছে না ।
৫. ফেসবুক আর ব্লগ সাইটগুলোতে আগের মতো জামায়াত-শিবির সরকারবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে না । তারা আগের মত "বাশের কেল্লা" নাম দেওয়া হাজার হাজার পেজে নিয়মিত পোস্ট দিচ্ছে না । তার বদলে মাজার পুজা - শিরক - বিদাত - বিয়ে - প্রেম -ভালবাসা - কবুতরের গোস্ত খাওয়া - স্বামী কেন আগের মতো মেসেজ করছে না ---- এমন ধরনের বিষয়ে জামায়াত-শিবির-ছাত্রী সংস্হার লোকরা পোস্ট বা লেখা দিচ্ছে ।
৬. তারা আগে লোকদের সাথে ভয়ে ভয়ে কথা বলতো । এখন তারা আগে চেয়ে আক্রমনাত্মক ভাষায় কথা বলছে ।
রিপোর্ট বই আমি ২০০৪ সালের পর আর রাখি না । উপরন্তু আমি মওদুদীর যত বই ছিল তা আমি আমার বাড়ির কাছের তুরাগ নদীতে বস্তায় ভরে ইট দিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছি । এসব বইয়ের সাথে শিবিরের কথিত রিপোর্ট বইও ছিল ।
দয়া করে বলুন, এধরনের রিপোর্ট বই রাখা বা ব্যবস্হাপনা করা কি বিদাত নয় ? এই কাজ কি সাহাবী রা. বা রাসুল সা. করতে বলে গেছেন বা তারা রেখেছেন ? এই কাজটা কি রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছার মধ্যে পড়ে কি না ? আমি কতটুকু নামাজ পড়লাম বা নফল ইবাদত করলাম বা ইসলামী জ্ঞান অর্জন করলাম - তার হিসেব অন্যকে দেখানোর এখতিয়ার কি অন্য লোকদের দেওয়া হয়েছে কি ? এব্যাপারে কুরআন ও হাদিস হতে দলীল দিন ।
সুরা বনী ইসরাইলের ১২ নং আয়াতটা এই ক্ষেত্রে জামায়াত-শিবিরের লোকরা অপব্যাখ্যা করে থাকে ।
আমি বেশ কিছু দায়িত্বশীলের নাম বলেছি । প্রয়োজনে আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করুন । আমাকে তারা অবশ্যই চিনবেন । বিশেষ করে পল্লবী থানার সভাপতি ও সেক্রেটারীবৃন্দ । তারাও এসময় শিবির করতেন । সভাপতি মইনুদ্দিন জিলানী ইবনে সিনায় চাকুরী করেন । আল ফাতাহ হাবিবুল্লাহ শিবির করা বাদ দিয়েছেন ।তিনি এখন "জাতীয়তাবাদী আদর্শ বাস্তবায়ন পরিয়দ" নামক সংগঠনের সেক্রটারী এবং একটা রিয়েল এস্টেট কোম্পানীর ডিরেক্টর । তাদেরও যদি বলেন আপনার রিপোর্ট বই কোথায় ? তারা তা আপনাকে প্রদর্শন করতে পারবেন না । কারণ মানুষ ১ বছরের পুরাতন কাগজ পত্র রাখার মতো স্হান সংকুলান করতে পারে না বলে তা কেজি দরে পুরাতন পত্রিকাওয়ালাদের কাছে বিক্রি করে ফেলে ।
আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন ।
একটু কষ্ট হলেও একজন ভাল মনোবিজ্ঞানির পরামর্শ নিন। পূর্ন সুস্ততার নিশ্চিয়তা পেলে ভেবে দেখবো ঢাকায় এসে আপনার সাথে বাহাসের আয়োজন করা যায় কি না?
বিনীত
আসছালামু আলাইকুম।
আমাকে একজন ই-মেইল করে অনুরোধ করেছে যে, যাতে এই মন্তব্যটি আপনার এই জায়গায় করে দেই।
আপনি একদিকে বাহাস-মোনাজেরা করার জন্য আহবান করছেন। (যেটা ইসলামে ফেতনা সৃষ্টি করে) অন্য দিকে যারা আপনার সাথে বাহাস-মোনাজেরা করতে সক্ষম কিংবা আপনার পোষ্টে অন্তত আপনার মতামতের বিরোধী! আপনি তাদেরকে আওয়ামী স্টাইলে ব্যান করে রেখেছেন! এমনকি তাদের অতীতের মন্তব্য গুলো আপনি সুবিধাজনম সময়ে মুছে দেন।
সেই ব্লগারের প্রশ্ন:
তাহলে আপনার সাথে বাহাস-মোনাজেরা করার ভিত্তিটা কি হবে? কিভাবে আপনার উপর আস্তা রাখা যাবে যে, আপনি মাঝপথে ভেগে যাবেন না কিংবা মন্তব্য মোছার মত হিনমণ্য আচরণ করবেন না!
আমি দুঃখিত যে, প্রথম বারেই আরেক জনের কথাটা আমার মাধ্যমে পেশ করতে হল। আমি অতীতে কোন দিন আপনার পোষ্টে মন্তব্য করি নাই।
আপনি সন্তোষ জনক মন্তব্য করে বুঝিয়ে বলবেন অথবা যাদের কে ব্যান করেছেন তাদের সবাইকে আন ব্যন করুন। কাদের কাদের ব্যন করেছেন সেটা আপনিই ভাল জানেন। বিএনপি কে পুলিশ দিয়া পিটিয়ে, আওয়ামীলীগ দাম্ভিকতা দেখায়, এই বলে যে, যদি সাহস থাকে তাহলে মাঠে নাম। সত্য কথা হল, সেই পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগও কোনদিন মাঠে নামবে না। আপনি একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আশা করি তাদের মত খালি মাঠে খেলবেন না। আপনি অতি শ্রীঘ্রই তাদের আন ব্যান করুন।
আপনি আন ব্যান করলে, আমি নিজেই একটি পোষ্ট দিয়ে, তাদেরকে আপনার সাথে বাহাসে বসতে আহবান করব। কেননা আপনাদের বাহাস-মোনাজেরা উপভোগ করার জন্য আমার কৌতুহল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ
শুধু জানতে ইচছা করে তুরাগ নদীতে কি পানি আছে নাকি শুধুই মওদুদী'র বই দিয়ে সেটা প্রবাহিত হয়?
বদবখত দেখার জন্য আমাদের আর অপেক্ষা করতে হবেনা।
একটা তারছেঁড়াই যথেস্ঠ।
তা গত মাসের বেতনটা কি হাতে এসে গেছে? মাশা আললাহ ইদানিং দিনাকল বেশ ভালই কাটছে মনে হয়।
মাসউদ এবং ইফা ডিজি'র কৃপা দৃষ্টি পড়লে আর কি লাগে? ইফা ডিজি বল নাচ যেমন নাচাতে পারে ফখরুল নাচ কি আর পারেনা? সে তো মসউদকে গজা মঞ্চেও নাচিয়ে নিয়েছে আর আপনার মতো নাচুনিতো তার ইশারা্য নেচে নেচে কাত হবেন তাতে আর কি?
আললাহ আপনাকে বাচিয়ে রাখুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন