আজ মুসলিমদের কাল দিবস
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:২১:০১ রাত
পটভুমি :
আজ মঙ্গলবার । ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সাল । আজ অত্যাচারী রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ৮৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ।
২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ সালে ইহুদী - খৃস্টানদের সহায়তায় সৌদি আরব নামক দেশ প্রতিষ্ঠিত হয় । তার আগে আরব ভুখন্ড ওসমানিয়া খেলাফতের শাসনাধীন ছিল । সৌদি আরবের বর্তমান রাজার পূর্ব পরুষরা এবং মুহাম্মদ ইবনে ওয়াহ্হাব নামক সন্ত্রাসী মিলে ওসমানিয়া খেলাফতের বিরোদ্ধে ইহুদি - খৃস্টান শক্তির সাথে এক জোট হয়ে ষড়যন্ত্র করে । তারপরের ইতিহাস সুস্পষ্ট ।
হায় মুহাম্মদ মুরশী ! তুমি তোমার শত্রু চিনতে পারনি । অথচ রাজনীতি আর সমাজনীতির প্রধান সূত্রই হলো : তোমার শত্রুকে আগে চিন । মুসলিমরা তোমাদের শত্রুকে চিনে নাও ।
মুসলিমরা দেখো তো ! মক্কা-মদীনার রক্ষকের শালীনতাবোধ ও আচরন কি এমন হওয়া উচিত ?
ওসমানিয়া খেলাফত বিলীন হয়, সৌদি আরব ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষভাবে ভুমিকা নেয় এবং মুসলিম বিশ্বে ৫৭ টা রাষ্ট্রের উদ্ভব হয় । আর বিশ্বে ২২ টা স্বাধীন দেশের উদ্ভব হয় । বর্তমানে সৌদি আরব রাষ্ট্রটি সারা বিশ্বে বিকৃত ইসলাম ওহাবি মতবাদ প্রচারের সাথে সাথে ইহুদী ও খৃস্টানদের দালালীতে লিপ্ত । এজন্য সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে সৌদি আরবের জাতীয় দিবস ২৩ ই সেপ্টেম্বর হলো একটি কালো দিবস ।
এই সৌদি আরব মুসলিমদের স্মৃতি বিজরিত স্হানগুলো ধ্বংস করে যাচ্ছেই না বর্তমানে রাসুল সা. - এর মাজার বিলীন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে । আসুন , আমরা সৌদি আরব রাষ্ট্রটিকে ধ্বংস করার জন্য জিহাদে অংশ নেই । অন্যথায় পৃথিবী হতে আসল ইসলাম বিদায় হবে এবং ইয়াজিদের প্রবর্তিত ও বর্তমান জামানার ইয়াজিদ মুহাম্মদ ইবনে ওয়াহ্হাব ও তার অবৈধ সন্তান সৌদি বাদশাহদের ইয়াজিদী ইসলাম প্রবলতর হবে এবং কালক্রমে পৃথিবী হতে সত্যিকারের ইসলাম ধর্মের বিলোপ হবে । আমরা আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু থাকতে আমরা এমন হতে দিতে পারি না । এই অত্যাচারী সৌদি আরব মিশর - ফিলিস্তিন - বার্মা-থাইল্যান্ড-চীন-ইরাক-আফ্রিকা-ভারতের মুসলিমদের জন্য গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে । এই অত্যাচারী সৌদি রাজতান্ত্রিক দেশটাকে আমাদের ভেঙ্গে খান করে দেওয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ।
আমাদের উচিত এদিন এই অত্যাচারী শাসক সম্প্রদায়ের ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা এবং তাদের প্রতি ও তাদের সমর্থকদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা ।
সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস
লেখক : আসিফ রহমান ( https://www.facebook.com/meghnawa )
আবদুল্লাহ বিন সৌদ
সৌদি আরব হলো কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত পৃথিবীর একমাত্র মুসলিম দেশ। অন্য কোনো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ কোনো ব্যক্তির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রিয়াদের নিকটস্থ দিরিয়া নামের একটি কৃষিবসতির প্রধান ছিলেন মুহাম্মদ বিন সৌদ। এই উচ্চাভিলাষী মরুযোদ্ধা ১৭৪৪ সালে আরবের বিখ্যাত ধর্মীয় নেতা মুহাম্মদ বিন ওয়াহাব [ওয়াহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা]-এর সাথে মৈত্রী চুক্তি করে “দিরিয়া আমিরাত” গঠন করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে শিরক-বিদাত পালনের অভিযোগে এই দুজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ শুরু করেন। ওই “দিরিয়া আমিরাত”-ই বিশ্বের প্রথম সৌদি রাজ্য/আমিরাত। মুহাম্মদ বিন সৌদ তার পুত্র আবদুল আজিজের সাথে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মেয়ের বিয়ে দেন। এভাবেই সৌদ পরিবার ও ওয়াহাবী মতবাদের মিলনযাত্রা শুরু হয়। ১৭৬৫ সালে মুহাম্মদ বিন সৌদ-এর মৃত্যু হলে তার ছেলে আবদুল আজিজ দিরিয়ায় ক্ষমতাসীন হয়। এই আবদুল আজিজ তত্কালীন বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী মোড়ল ব্রিটেনের সাথে হাত মিলিয়ে তুরস্কের খলিফাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে থাকে। শ্বশুর ইবনে ওয়াহাবের ধর্মীয় মতবাদকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তথাকথিত শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে ব্রিটিশদের সাথে তুর্কি খিলাফত ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয় আবদুল আজিজ। ১৭৯২ সালে মুহাম্মদ বিন ওয়াহাবের মৃত্যু হয়। ১৮০১/২ সালে আবদুল আজিজ তুর্কি খিলাফতের কাছ থেকে ইরাক দখল করে হজরত আলী (রা.) ও হজরত হুসেন (রা.)-এর মাজার শরিফ ভেঙে ফেলে। এর প্রেক্ষিতে ১৮০৩ সালে একজন শিয়া মুসলিম আজিজকে দিরিয়ায় আসরের নামাজরত অবস্থায় হত্যা করে।
এর পর আবদুল আজিজের ছেলে সৌদ বিন আবদুল আজিজ ক্ষমতায় এসে তুর্কিদের পরাজিত করে ১৮০৩ সালে মক্কা ও ১৮০৪ সালে মদিনা দখল করে নেয়। দুই পবিত্র নগরী দখল করে তারা ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়। তারা মক্কা-মদিনার বহু মুসলিমকে হত্যা করে। সবই করা হয় সেই শিরক-বিদাত উচ্ছেদের নামে! ওয়াহাবী মতবাদের ধর্মীয় শুদ্ধি অভিযানের অজুহাতে তারা বহু সাহাবীর কবরস্থান ধ্বংস করে। এমনকি খোদ মহানবী (সা.)-এর পবিত্র কবরে ছায়াদানকারী মিম্বরগুলোও এরা ভেঙে ফেলে! মহানবী (সা.)-এর পবিত্র রওজাকে তুর্কি খলিফারা যেসব মণি-মুক্তায় সাজিয়েছিলেন, শুদ্ধি অভিযানের নামে সেসবও তুলে ফেলে সৌদ-এর বাহিনী। এসবই চলে ব্রিটিশদের অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা নিয়ে।
ইরাক-মক্কা-মদিনায় সৌদিদের এই ধ্বংসযজ্ঞে তত্কালীন তুর্কি খলিফাগণ ভীষণ রুষ্ট হন। ১৮০৮ সালে খলিফা ২য় মাহমুদ ক্ষমতাসীন হয়ে সৌদিদের দমনে শক্তিশালী সেনাদল পাঠান। ব্রিটিশ বাবারা এবার আর সৌদিদের বাঁচাতে পারেনি। ১৮১৮ সালে সৌদের ছেলে, তত্কালীন সৌদি শাসক আবদুল্লাহ বিন সৌদ তুর্কিদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
আবদুল্লাহ বিন সৌদকে বন্দী করে ইস্তাম্বুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই পবিত্র নগরী ও বহু মসজিদ ধ্বংসের শাস্তি হিসেবে খলিফা ২য় মাহমুদ-এর নির্দেশে আবদুল্লাহ বিন সৌদ ও তার দুই ছেলেকে ইস্তাম্বুলে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করা হয়।
তুরস্কের ওসমানিয়া খিলাফত-এর খলিফা ২য় মাহমুদ
এভাবেই প্রথম সৌদি আমিরাত (১৭৪৪-১৮১৮)-এর পতন হয় ও পবিত্র মক্কা-মদিনাসহ আরবে উসমানিয়া খিলাফতের শাসনকর্তৃত্ব ফিরে আসে।
সৌদ পরিবারের দিরিয়ার আখড়া ১৮১৮ সালে ধ্বংস হয়ে গেলে প্রথম সৌদি আমিরাতের শেষ আমীর আবদুল্লাহর তুর্কি নামের এক পুত্র মরুভূমিতে পালিয়ে যায়। এই তুর্কি বিন আবদুল্লাহ পালিয়ে বনু তামিম গোত্রে আশ্রয় নেয়। পরে ১৮২১ সালে সে আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
১৮২৪ সালে তুর্কি বিন আবদুল্লাহ উসমানিয়াদের নিয়োজিত মিশরীয়দের হটিয়ে দিরিয়া ও রিয়াদ দখল করে নেয়। রিয়াদকে রাজধানী করে গঠিত এই “নজদ আমিরাত” ইতিহাসে দ্বিতীয় সৌদি রাজ্য নামে পরিচিত। দ্বিতীয় সৌদি রাজ্যটি অবশ্য খুব কম এলাকাই দখলে নিতে পেরেছিল। এটি বেশিদিন টিকেওনি। এই নজদ আমিরাতের প্রধানকে “ইমাম” বলা হত এবং ওয়াহাবী মতাবলম্বীরাই ধর্মীয় বিষয়ে কর্তৃত্বশীল ছিল।
তবে এবার সৌদ পরিবারে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। কথিত ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহকে তাঁর এক জ্ঞাতি ভাই মুশারি বিন আবদুর রহমান বিদ্রোহ করে ১৮৩৪ সালে হত্যা করে। তবে ক্ষমতা পায়নি মুশারি। তুর্কির ছেলে ফয়সাল এরপর নজদ আমিরাতের ইমাম হয়।
সৌদ পরিবারের অন্তর্দ্বন্দ্ব চলতেই থাকে। অবশেষে ১৮৯১ সালে মুলায়দার যুদ্ধে উসমানিয়াদের অনুগত রাশিদী বাহিনীর হাতে দ্বিতীয় সৌদি আমিরাতের পতন ঘটে। সৌদিদের শেষ ইমাম আবদুর রহমান বিন ফয়সাল তার সাঙ্গোপাঙ্গসহ পালিয়ে যায়।
আবদুর রহমান বিন ফয়সাল
বিশাল বালুকাময় রুব আল খালি মরুভূমি পাড়ি দিয়ে আবদুর রহমান তার পুত্র আবদুল আজিজকে [একে মনে রাখুন - পরবর্তী গাদ্দার] নিয়ে দক্ষিণপূর্বে মুররা বেদুইন গোত্রে গিয়ে পালায়। সেখান থেকে তারা বাহরাইনের রাজপরিবারের কাছে গিয়ে কিছুদিন আশ্রয় নেয়। তার পর ১৮৯৩ সালে আবদুর রহমান ও তার পুত্র শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ দালাল কুয়েতি আল-সাবাহ রাজপরিবারের আশ্রয় পায়।
কুয়েতি রাজপরিবারের সহায়তায় সৌদিরা উসমানিয়া খিলাফতের কর্তৃত্বাধীন নজদে একের পর এক চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে। ওয়াহাবী মতবাদের আলোকে পরিশুদ্ধ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে এসব হামলা চলতে থাকে। কিন্তু এসব হামলায় সৌদিরা তেমন কোনো বড় সাফল্য পায়নি। ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে আবদুর রহমান তার হারানো রাজ্য পুনরুদ্ধারের সব উদ্যম হারায়।
১৮৯৯ সালের জানুয়ারিতে কুয়েতের আমির মুবারক আল সাবাহ ব্রিটেনের সাথে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করে কুয়েতকে ব্রিটেনের করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত করেন। তুরস্কের উসমানিয়া খিলাফতের প্রভাবের বিরুদ্ধেই কুয়েত এই চুক্তি করে ব্রিটেনের সাথে।
সৌদ পরিবারের লড়াইটিও ছিল উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধেই। তাই ১৯০১ সালে সারিফের যুদ্ধে পরাজয়ের ফলে পিতা আবদুর রহমান হতোদ্যম হলেও পুত্র আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ আবারও আশার আলো দেখে। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ১৯০১ সালের শেষের দিকে কুয়েতের আমির মুবারকের কাছে উসমানিয়াদের নিয়ন্ত্রিত রিয়াদ আক্রমণের জন্য সাহায্য চায়। ব্রিটিশ মদদপুষ্ট কুয়েত সানন্দে ইবনে সৌদকে ঘোড়া ও অস্ত্র সরবরাহ করে।
আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ – বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা
১৯০২ সালের ১৩ জানুয়ারি ইবনে সৌদ সৈন্যসহ রিয়াদের মাসমাক দুর্গ আক্রমণ করে। মাসমাকের উসমানিয়া অনুগত রাশিদী প্রশাসক ইবনে আজলানকে হত্যা করে সৌদিরা। ইবনে সৌদ যুদ্ধজয় শেষে ইবনে আজলানের ছিন্নমস্তকটি নিয়ে দুর্গশীর্ষে আসে এবং নিচে সমবেত উদ্বিগ্ন রিয়াদবাসীর দিকে ছুঁড়ে মারে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_Riyadh_(1902)
আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের রিয়াদ আমিরাত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইতিহাসে তৃতীয় সৌদি রাজ্যের সূচনা হয়।
এর পর সৌদিরা একে একে রাশিদীদের নজদের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হটিয়ে দিতে থাকে। ১৯০৭ সালের মধ্যে সৌদিরা নজদের বিরাট এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়।
১৯০৯ সালে ব্রিটিশরা সামরিক অফিসার William Henry Irvine Shakespear-কে কুয়েতে নিয়োগ দিলে সৌদ পরিবার আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে। শেক্সপিয়ারকে ইবনে সৌদ সামরিক উপদেষ্টা বানিয়ে নেয়।
https://en.wikipedia.org/wiki/William_Henry_Irvine_Shakespear
William Henry Irvine Shakespear
১৯১৩ সালে সৌদিরা উসমানিয়া সৈন্যদের কাছ থেকে পূর্ব আরবের গুরুত্বপূর্ণ মরুদ্যান হাসা শহর দখল করে নেয়। এর পর পার্শ্ববর্তী কাতিফ শহরও সৌদিরা দখলে নেয়।
পরের বছর ১৯১৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১ম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তি জার্মানি-উসমানিয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। রিয়াদে ব্রিটিশরা শেক্সপিয়ারের মাধ্যমে সৌদিদের সাথে উসমানিয়া অনুগত রাশিদীদের যুদ্ধ লাগায়।
https://en.wikipedia.org/wiki/Battle_of_Jarrab
১৯১৫ সালের জানুয়ারিতে সংঘটিত এই যুদ্ধে রাশিদীরা জয়ী হয় ও শেক্সপিয়ারকে হত্যা করে। রাশিদীরা শেক্সপিয়ারের শিরশ্ছেদ করে ও তার হেলমেট উসমানিয়াদের কাছে হস্তান্তর করে। উসমানিয়ারা সৌদিদের সাথে ব্রিটিশদের সম্পর্কের প্রমাণস্বরূপ শেক্সপিয়ারের হেলমেট মদিনার প্রধান ফটকে ঝুলিয়ে দেখায়।
শেক্সপিয়ারকে হারিয়ে বিপর্যস্ত ইবনে সৌদ ১৯১৫ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটিশদের সাথে দারিন চুক্তি স্বাক্ষর করে। ব্রিটিশদের পক্ষে ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্য প্রধান মেজর জেনারেল স্যার পার্সি কক্স ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি মোতাবেক সৌদি রাজত্ব ব্রিটিশদের করদরাজ্য (Protectorate)-এ পরিণত হয়।
https://en.wikipedia.org/wiki/Treaty_of_Darin
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন-ফ্রান্স-রাশিয়ার মিত্রশক্তির বিরুদ্ধে জার্মান-উসমানিয়া খিলাফতের দুর্বল অবস্থা ও আল-সৌদ পরিবারের সাথে ব্রিটিশদের সখ্য দেখে চিন্তিত হয়ে ওঠেন মক্কার উসমানিয়া সমর্থিত শাসক হুসাইন বিন আলী।
https://fbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/545210_227984920684603_1279436945_n.jpg
হুসাইন বিন আলী
১৯১৫ সালের ১৪ জুলাই থেকে হুসাইন মিশরের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার হেনরি ম্যাকম্যাহনের গোপনে পত্র যোগাযোগ শুরু করেন। ৩০ জানুয়ারি ১৯১৬ পর্যন্ত এই পত্র আদান-প্রদান চলতে থাকে। উসমানিয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত বিশাল আরব ভূ-খণ্ডের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা মতবিনিময় করে।
https://en.wikipedia.org/wiki/Hussein-McMahon_Correspondence
ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মদদে মক্কার শাসক সেই হুসাইন বিন আলী উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহ তৈরি করে। ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্সের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় বিশ্বাসঘাতক হুসাইন মিডল-ইস্টার্ন ফ্রন্টে উসমানিয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শুরু করলে বহু উসমানিয়া সৈন্য বন্দী হয় ও অবশেষে উসমানিয়ারা ১ম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত হয়।
ব্রিটিশ সামরিক অফিসার টি.ই. লরেন্স – আরববিশ্বে আরব জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা – হলিউডের বিখ্যাত “Lawrence of Arabia” (১৯৬২) মুভিটি একে নিয়েই নির্মিত
১৩০০ বছর পর মধ্যপ্রাচ্য মুসলিম খিলাফতের হাতছাড়া হয়ে যায়।
পুরস্কার হিসেবে ব্রিটিশরা ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর হুসাইন বিন আলীর দ্বিতীয় ছেলে আব্দুল্লাহকে জর্ডানের রাজত্ব ও তৃতীয় ছেলে ফয়সালকে ইরাকের রাজত্ব দেয়। হুসাইনকে রাখা হয় হেজাজ (পবিত্র মক্কা-মদিনা ও তাবুক অঞ্চল)-এর শাসক হিসেবে।
এভাবে ১ম বিশ্বযুদ্ধ আল-সৌদ পরিবারকে কিছুটা বেকায়দায় ফেলে। কেননা ব্রিটিশদের পা-চাটার ক্ষেত্রে তাদের প্রতিপক্ষ হুসাইন পরিবার এগিয়ে যায় এবং যুদ্ধ শেষে হুসাইন ও তার দুই ছেলে মিলে তিন দেশের রাজত্ব পায়। তবে নজদ (রিয়াদ ও তদসংলগ্ন অঞ্চল)-এর শাসক সৌদিরাই থেকে যায়।
দারিন চুক্তির আওতায় আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ ব্রিটিশদের কাছ থেকে বহু অস্ত্র ও মাসে ৫,০০০ পাউন্ড ভাতা (দালালির পুরস্কার) পেতে থাকে।
তথ্যসূত্র: Abdullah Mohammad Sindi, “The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud”
যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ইবনে সৌদকে ১ম বিশ্বযুদ্ধের উদ্বৃত্ত বিপুল গোলাবারুদ দিয়ে দেয়। ওই ব্রিটিশ অস্ত্র ও গোলাবারুদের সম্ভার নিয়ে সৌদিরা ক্রমধ্বংসমান উসমানিয়া খিলাফতের অনুগত রাশিদীদের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম আরব অঞ্চলে আক্রমণ শুরু করে। ১৯২০ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত লড়ে রাশিদীরা শেষ পর্যন্ত সৌদিদের হাতে পুরোপুরি পরাজিত হয়। ফলে আরবে আল-সৌদ পরিবার নিয়ন্ত্রিত ভূ-খণ্ডের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। ইরাকে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত Percy Cox-এর মধ্যস্থতায় ১৯২২ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত Uqair Protocol-এর আওতায় ওই বিশাল অঞ্চলে সৌদি রাজত্ব স্বীকৃতি লাভ করে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Uqair_Protocol_of_1922
এ-সময় পর্যন্ত আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কখনোই ব্রিটিশ অনুগত হেজাজের শাসক হুসাইনের সাথে সংঘাতে জড়ায়নি।
১৯২৪ সালের ৩ মার্চ আরেক ব্রিটিশ দালাল মুস্তাফা কামাল পাশা তুরস্কে অফিসিয়ালি খিলাফত বিলুপ্ত করে। সারা বিশ্বের মুসলিমদের সাথে মক্কার হুসাইন বিন আলীও মহানবী (সা.) আমল থেকে ১৩০০ বছর পর্যন্ত চলমান মুসলিমদের রাষ্ট্র খিলাফতের পতনে ব্যথিত হন। পৃথিবী থেকে খিলাফত মুছে গেছে, এটা হুসাইনের চেতনায় আঘাত করে। ব্রিটিশদের ক্ষিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও ৫ মার্চ হুসাইন নিজেকে মুসলিমদের খলিফা ঘোষণা করেন।
ব্যস, এ-সুযোগটিই কাজে লাগায় খিলাফতের দীর্ঘদিনের শত্রু আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ। ব্রিটিশরা স্বাভাবিকভাবেই হুসাইনের নিজেকে খলিফা ঘোষণা করা মেনে নেয়নি এবং হেজাজের শাসক হিসেবে হুসাইনের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়।
আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ কালবিলম্ব না করে হেজাজ আক্রমণ করে এবং ১৯২৫ সালের শেষ নাগাদ পুরো হেজাজ দখলে নিয়ে নেয়। ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ মক্কা-মদিনা-জেদ্দার গোত্রীয় নেতাদের সমর্থনে নিজেকে হেজাজের “সুলতান” ঘোষণা করে। ১৯২৭ সালের ২৭ জানুয়ারি ইবনে সৌদ আগের নজদ ও বর্তমান হেজাজ মিলিয়ে Kingdom of Nejd and Hejaz ঘোষণা করে। ৪ মাস পর সেই বছরের ২৭ মে জেদ্দা চুক্তির মাধ্যমে ব্রিটিশরা Kingdom of Nejd and Hejaz-কে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
http://en.wikipedia.org/wiki/Treaty_of_Jeddah_(1927)#1927
নতুন জেদ্দা চুক্তি, ১৯২৭-এর মাধ্যমে ব্রিটিশ-সৌদের “Protectorate” স্ট্যাটাসের দারিন চুক্তি, ১৯১৫-এর সমাপ্তি ঘটে।
পরবর্তী ৫ বছর আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে আলাদা রেখেই শাসন করে। অবশেষে ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ইবনে সৌদ তার দুই রাজত্বকে একত্রিত করে তার নিজের ও বংশের পদবি অনুসারে দেশের নাম “Kingdom of Saudi Arabia” (আরবি: المملكة العربية السعودية al-Mamlakah al-‘Arabiyyah as-Su‘ūdiyyah) ঘোষণা করে।
এভাবেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির উসমানিয়া খিলাফতবিরোধী নীতির প্রকাশ্য সমর্থক হিসেবে, পদে পদে ব্রিটিশদের মদদ নিয়ে, দালাল আল-সৌদ পরিবার ১৯৩২ সাল থেকে Kingdom of Saudi Arabia নামে মুসলিমদের পবিত্র ভূমি দখলে রেখে শাসন করে যাচ্ছে।
………………. ………………… …………………
১. মিশরের মুরসি সরকারের পতনের পর সৌদি সরকারের ভূমিকায় মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এই দালাল রাজপরিবারের ইতিহাস তাই মুসলিম উম্মাহর জেনে রাখা প্রয়োজন। বিশেষত বাংলাদেশে যেসব গণতন্ত্রবাদী কথিত ইসলামপন্থী বাস্তবে সৌদি রাজপরিবারের গুণমুগ্ধ ও মার্কিন দূতাবাসে নিয়মিত হাজিরাদানকারী হয়েও মুরসি ও মুসলিম উম্মাহর ভক্ত সেজে ব্লগে-ফেসবুকে মায়াকান্না করেন, তাদের এই দালাল রাজপরিবারের গোড়ার কাহিনি জানা বেশি প্রয়োজন।
২. সৌদি রাজপরিবারের সমালোচনাকে ওয়াহাবী মতবাদের সমালোচনা হিসেবে ভেবে যারা ক্ষুব্ধ হন, তারা লক্ষ করুন – এই নোটে কোথাও ওয়াহাবী মতবাদের প্রশংসা/সমালোচনা করা হয়নি – এটা এখানে প্রাসঙ্গিকও নয়। এখানে স্রেফ বলা হয়েছে – সৌদ পরিবার মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক উসমানিয়া খিলাফত ভাঙতে ওয়াহাবী মতবাদকে ব্যবহার করেছিল। আর সৌদ পরিবার জেনে-বুঝে দালালি করেছে তত্কালীন বিশ্বমোড়ল ও খিলাফতের শত্রু ব্রিটেনের।
৩. এই নোটে বহু বই থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে – তবে তথ্যগুলো এতই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যে, কম-বেশি সব তথ্যই Wikipedia-য় আছে। এমন কি, সৌদি দূতাবাসের ওয়েব সাইটেও আছে [অবশ্যই ব্রিটিশদের দালালির বিষয়টি বাদ দিয়ে]: http://www.saudiembassy.net/about/country-information/history.aspx
৪. যারা সৌদি আরবের ইতিহাস সামগ্রিকভাবে একটি বই থেকেই জানতে চান, তারা Cambridge University Press থেকে ২০০২ সালে প্রকাশিত Madawi al-Rasheed-এর লেখা A History of Saudi Arabia বইটি পড়তে পারেন। আমি এই বই থেকে সাহায্য নিয়েছি।
৫. প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সিন্দি রচিত ২২ পৃষ্ঠার নিবন্ধ/বুকলেট “The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud” এ-বিষয়ে একটি অনবদ্য রচনা। সময়ের অভাবে আমি এটা অনুবাদ করতে পারছি না। কেউ যদি অনুবাদ করে দেন, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।]
আরো পড়ুন:
১. সৌদিদের ভণ্ডামি: https://www.facebook.com/meghnawa/posts/218599681623127
২. Madawi al-Rasheed-এর লেখা A History of Saudi Arabia:
https://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=3&ved=0CDgQFjAC&url=http%3A%2F%2Fcatdir.loc.gov%2Fcatdir%2Fsamples%2Fcam033%2F2001043609.pdf&ei=zKEXUuTtJIGSiQKp_YCADQ&usg=AFQjCNEX9HJNqVDrSc41cDnmuMio4U0Wgw&bvm=bv.51156542,d.bmk&cad=rja
৩. প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সিন্দি রচিত “The Direct Instruments of Western Control over the Arabs: The Shining Example of the House of Saud”:
https://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=1&ved=0CCgQFjAA&url=http%3A%2F%2Fwww.social-sciences-and-humanities.com%2FPDF%2Fhouse_of_saud.pdf&ei=TaEXUq2dFsmLiALim4GIDw&usg=AFQjCNEQ7aDtX2Y8iqWswFaDmeqmHfAmPA&bvm=bv.51156542,d.bmk&cad=rja
রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য
Prince Alwaleed Bin Talal (C) & his wife, Princess Amira, inaugurate opening of The Savoy hotel in London
রাজকন্যা আমিরা-র অপবিত্র পোষাক
http://www.alarabiya.net/articles/2011/03/10/140917.html
পটভুমি : কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে দেখলাম রাজতন্ত্র জায়েজ বলে একজন স্টাটাস দিয়েছেন । সেজন্য আমি এই লেখাটা কপিপেস্ট করলাম । দেখি সবাই কি বলেন ? আমি মূর্খ মানুষ । তাই আপনাদের সামনে উপস্হাপন করলাম বিষয়টা । আমাকে দয়া করে একটু ধারণা দিন তো আসলে কি রাজতন্ত্র জায়েজ বা হালাল বিষয় ।
The destination for abaya wearing fashionistas
http://underyourabaya.blogspot.com/2010/09/lookbook-saudi-rose-princess-amira-al.html
রাজকন্যা আমিরা-র অপবিত্র পোষাকের বহর ও অপবিত্র দেহ । সবাইকে দৃষ্টিনত রাখার অনুরোদ করছি ।
১ম লেখা :
কপিপেস্ট করা হলো : এই লিংক হতে ।
http://deenilhaq.com/archives/2165
রাজতন্ত্র বা গণতন্ত্র কি ইসলাম সমর্থন করে? রাজতন্ত্র বা গণতন্ত্রের দলীল কুরআনের বা হাদিসের কোথায় আছে?
উত্তর: সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্র।
● কুরআনে আল্লাহ্ বলছেন:
মূসার পরে তুমি কি বনী ইসরাঈলের একটি দলকে দেখনি, যখন তারা বলেছে নিজেদের নবীর কাছে যে, আমাদের জন্য একজন বাদশাহ (রাজা) নির্ধারিত করে দিন যাতে আমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করতে পারি। নবী বললেন, তোমাদের প্রতিও কি এমন ধারণা করা যায় যে, লড়াইর হুকুম যদি হয়, তাহলে তখন তোমরা লড়বে না? তারা বলল, আমাদের কি হয়েছে যে, আমরা আল্লাহর পথে লড়াই করব না। অথচ আমরা বিতাড়িত হয়েছি নিজেদের ঘর-বাড়ী ও সন্তান-সন্ততি থেকে। অতঃপর যখন লড়াইয়ের নির্দেশ হলো, তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তাদের সবাই ঘুরে দাঁড়ালো। আর আল্লাহ তা’আলা জালেমদের ভাল করেই জানেন। আর তাদেরকে তাদের নবী বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ (রাজা) সাব্যস্ত করেছেন। তারা বলতে লাগল, তা কেমন করে হয় যে, তার শাসন চলবে আমাদের উপর। অথচ রাষ্ট্রক্ষমতা (রাজতন্ত্র) পাওয়ার ক্ষেত্রে তার চেয়ে আমাদেরই অধিকার বেশী। আর সে সম্পদের দিক দিয়েও সচ্ছল নয়। নবী বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তাকে পছন্দ করেছেন এবং স্বাস্থ্য ও জ্ঞানের দিক দিয়ে প্রাচুর্য দান করেছেন। বস্তুতঃ আল্লাহ তাকেই রাজ্য (রাজতন্ত্র) দান করেন, যাকে ইচ্ছা। আর আল্লাহ হলেন অনুগ্রহ দানকারী এবং সব বিষয়ে অবগত…[সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৪৬-২৪৭]
যখন মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে পয়গম্বর সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রাজ্যাধিপতি (রাজা) করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন জিনিস দিয়েছেন, যা বিশ্বজগতের কাউকে দেননি…[সূরা আল-মাইদা, আয়াত-২০]
নাকি যাকিছু আল্লাহ তাদেরকে স্বীয় অনুগ্রহে দান করেছেন সে বিষয়ের জন্য মানুষকে হিংসা করে। অবশ্যই আমি ইব্রাহীমের বংশধরদেরকে কিতাব ও হেকমত দান করেছিলাম আর তাদেরকে দান করেছিলাম বিশাল রাজ্য (রাজতন্ত্র)…[সূরা আন-নিসা, আয়াত-৫৪]
● উপরের এই আয়াত গুলি থেকে স্পষ্ট হয় যে, রাজতন্ত্র ইসলামে বৈধ, কারন কুরআনে আল্লাহ্ বলছেন: “আল্লাহ তালূতকে তোমাদের জন্য বাদশাহ (রাজা) সাব্যস্ত করেছেন”… [সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২৪৭]
তাই এ নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে না যে রাজতন্ত্র ইসলামে বৈধ কিনা। যেহেতু কুরআনে স্বয়ং আল্লাহ্ একজনকে রাজা বানিয়েছেন, বলে উল্লেখ করেছেন। তাই অবশ্যই আমাদের বিশ্বাস করা ফরয যে ইসলামে রাজতন্ত্র বৈধ।
তাই প্রশ্ন হতে পারে, বর্তমানে অনেক দেশ রাজতন্ত্র উঠিয়ে দিয়ে গণতন্ত্র শুরু করছে, এটা কতটুকু বৈধ?
● গণতন্ত্র ইসলামে বৈধ নয়, এবং কুরআন এবং হাদিসে এর কোন উল্লেখ নেই। রাসূলুল্লাহ্ আমাদের গণতন্ত্র শিখিয়ে জাননি। আর লিংকনের আগে কোন ইতিহাসে গণতন্ত্র পাওয়া যায় না। অর্থাৎ লিংকনের আগে কোন মুসলিম দেশ গণতন্ত্র মেনেছে এমন পাওয়া যাবে না, এমন কি অমুসলিম দেশও পাওয়া যাবে না।
Saudi Arabia's Princess Sara claims asylum in the UK
ভিন্ন মতাবলম্বী রাজকন্যা সারার অপবিত্র পোষাক
http://www.telegraph.co.uk/news/worldnews/middleeast/saudiarabia/9383601/Saudi-Arabias-Princess-Sara-claims-asylum-in-the-UK.html
গণতন্ত্র খৃষ্টানদের থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে, তাই এটা মানা হবে তাদের অনুকরণ করা, যা রাসূলুল্লাহ্ (সা) করতে নিষেধ করেছেন। আর যারা তাদের অনুসরণ করবে তারা তাদের দলভুক্ত বলে পরিগণিত হবে। তাই প্রশ্ন হতে পারে এখন তাদের বিরুদ্ধে কি জিহাদ করতে হবে?
● রাষ্ট্র প্রধান যদি মুসলিম হয়, নামায পড়তে বাঁধা সৃষ্টি না করে, শির্ক করতে বাধ্য না করে এবং তাদের দ্বারা স্পষ্ট কুফুরি কাজ হচ্ছে যদি প্রমান না হয়, তবে সেই দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যাবে না বরং তাদেরই মানতে হবে। তবে তাদেরকে ইসলামের জ্ঞান দিতে হবে। বিরোধী দল হয়ে, সত্য-মিথ্যা বলে, তাদের বিরুদ্ধাচরণ করা যাবে না।
তবুও অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে ইসলামে গণতন্ত্র হারাম।
এসম্পর্কে আরো তথ্য পেলাম: এই লিংক হতে ।
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=519891881404088&set=a.494105023982774.115201.493995070660436&type=1&theater
ফেসবুকের মিশন তাওহিদ পেজ হতে আরো তথ্য পেলাম যা আপনারা দেখতে পারেন: এই লিংক হতে ।
: http://www.facebook.com/missiontawheedislam
উল্লেখ্য আমার দেওয়া লিংকগুলোতে অনেক মূল্যবান তথ্য রয়েছে । আশা করি দেখবেন । পছন্দ না হলে অনেকে আমাকে গালিগালাজ করতে পারেন এবং কাফের ফাতওয়া দিতে পারেন । কারণ আমি রাজতন্ত্র কুফরী মনে করি । আর গণতন্ত্রকে দাবি আদায়ের গ্রহণযোগ্য রাস্তা মনে করি ।
আমার এসব লেখা পড়ুন , তাহলে অনেক বিষয় আপনার স্পস্ট হয়ে যাবে -
১. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50510
ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম
২. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )
৩. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/49624
সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করা মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব
৪. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/42639
মুসলিম অস্তিত্ববিরোধী ও ইসলামবিনাশী ইসরাইল ও ভারতের স্বাধীনতা লাভে সৌদি আরবের প্রধান ভুমিকা এবং মিশরের ইসলামী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে সৌদি আরব ও ওহাবী ধর্মব্যবসায়ীদের কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
৫. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32530
রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বিশ্বাস হলো ওহাবীবাদ ও সেক্সীজম (১ম পর্ব)
৬. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27711
ইসলাম ও মানবতার দুষমণ এবং ইসলামবিনাসী শক্তির তাবেদার সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস
৭. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/13231
রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য (৯৯% কপি পেস্ট)
৮. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1209#.U96ox6N3zSk
সৌদি আরবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের উপর চলছে অত্যাচার ( নিউজপোস্ট )
বিষয়: বিবিধ
৩৭৪৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঘরের ভিতরে ন্যাংটা না হইয়া রাস্তায় কেনো ন্যাংটা হইতে যাইতেছে এরা – বুঝে আসে না – ঘরে ন্যাংটা হইতে তো সমস্যা নাই!
আপনার এই কথাটা একটু ব্যাখ্যা করবেন কি - "ঘরের ভিতরে ন্যাংটা না হইয়া রাস্তায় কেনো ন্যাংটা হইতে যাইতেছে এরা – বুঝে আসে না – ঘরে ন্যাংটা হইতে তো সমস্যা নাই!" ?
ধন্যবাদ ।
ন্যাংটার ব্যাপারটা ঐ ছবিতে হবু রাণি আর রাজার ব্যাপারে; ওরাতো নিজেদের ঘরে ন্যাংটা হয়ে থাকতে পারে, রাস্তায় না হয়ে ...
এই সকল ভন্ডদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করলাম।
শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতি।
ধন্যবাদ।
আশা করি আমার বাকি লেখাগুলোও পড়বেন ও সুচিন্তিত মন্তব্য লিখে আমাকে উৎসাহ ও অণুপ্রেরণা দিবেন ।
আপনাকেও আমার পক্ষ হতে এক রাশ লাল গোলাপ শুভেচ্ছা ।
আপনাকেও ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আশা করি আমার সাথেই থাকবেন ।
আশা করি পড়ার পর অভিমত জানাবেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন