মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে যেমন দেখেছি, জামায়াতে ইসলামীর ধর্ষিতা নিকাবী মেয়েকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে আমার আগ্রহ পোষন এবং জামায়াত-শিবিরের নিকাবহীন মেয়ে প্রসঙ্গ (২য় পর্ব )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৩৮:১৭ দুপুর
শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ( বামে ) এবং তার সংক্ষিপ্ত পোষাক পড়া তার বোন ও আত্মীয়াবৃন্দ
মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী – কে নিয়ে লেখার আজ দ্বিতীয় পর্ব । [ লেখার প্রথম পর্ব পড়ুন এই লিংক হতে : http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/52545 ]
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীদের ফেসবুকে তৎপড়তা ও আমার স্মৃতিচারণ :
আজ আমি আমার স্মৃতি চারণ করবো । স্মৃতির আলমারি ঘেটে আমি আমার অতীতের বেশ কিছু বিষয় সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো । এজন্য আলোচনার গতি অন্য দিকে সামান্য হলেও মোড় নিবে । এই লেখাটা লেখার পর দেখলাম, ফেসবুকে আমার ব্যক্তি জীবন সম্পর্কে অনেক অশোভন মন্তব্য করছেন । তাদের অধিকাংশই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের লোক । এদের অনেকেই সন্ত্রাসী ধরনের এবং ইভটিজার ।
ইসলাম শান্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম । আমার মতে সন্ত্রাসী ও অশালীন বাক্য ব্যবহারকারী কখনোই ইসলামের প্রচার ও প্রসারের জন্য সহায়ক নয় । আমি আশা করি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী ও ইভটিজার ধরনের কর্মীদের দল হতে বহিস্হার করা অথবা পরিশুদ্ধ করার জন্য তাদের দায়িত্বশীলরা যত্মবান হবেন । আলহামদুলিল্লাহ । শিবিরের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি শিবির কর্মীদের মধ্যে অশ্লীলতা ও ইভটিজিং প্রবনতা বেড়ে যাওয়ায় তার কর্মী বাহিনীকে ফেসবুক ও সোসাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে বেগানা মেয়ে (কুরআন অনুযায়ী যে সব মেয়েদের বিয়ে করা জায়েজ ) –দের ফ্রেন্ডলিস্ট হতে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন । (বিষয়টা অনেকটা মাথা ব্যাথ্যা হলে মাথা ব্যাথা সারানোর জন্য মাথা কেটে ফেলের মতো হলেও – এটা মন্দের ভাল । )
আমার এই আলোচনা বা স্মৃতি চারনমূলক এসব তথ্য পড়ার পর তাদের অনেকের মধ্যে আমার সম্পর্কে খারাপ ধারণা সামান্য হলেও দুর হবে । কারণ মুসলিম মাত্রই ভাই ভাই । কুরআনে বলা হয়েছে :
نَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوا بَيْنَ أَخَوَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
মুমিনরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাহকে ভয় করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও। সুরা হুজরাত : ১০ ।
। আর আমি যেহেতু গঠণমূলক কাজ করছি, আমার উচিত তাদের ভুল ধারনা দুর করা ও তাদের প্রতি সহানুভতিশীল ও সম্মানজনক আচরন করা । আমি সেই কাজটিই করার চেষ্টা করবো ।
বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির ও বাংলাদেশ ছাত্র লীগ সন্ত্রাস করে যাচ্ছে । আর বাস্তব জীবনেও এসব সংগঠণের কার্যক্রমও প্রশ্নবিদ্ধ । এজন্য সংশিল্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি ।
মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর ওয়াজের একাংশ । তার এই ওয়াজের সাথে অনেক হুজুর একমত নন । যেমন : তারেক মনোয়ার এবং মাওলানা কামালুদ্দিন জাফরি । তারা জামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত এবং রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের ওহাবী মতবাদ প্রচারক । খবরে প্রকাশ তাকে হত্যা করার আগে তারেক মনোয়ার তাকে হুমকি প্রদান করেছিলো । যা তিনি এক ওয়াজে বলেছেন : https://www.youtube.com/watch?v=YcJOwLfVFPU এই ভিডিও-র ১ মিনিট ১০ সেকেন্ড হতে তাকে কারা হত্যা করার পরিকল্পনা নিচ্ছে - তার বিবরণ দিয়েছেন । তিনি বলেছেন , তাকে সৌদি আরবের দুতাবাসের লোকরা এবং তারা বিরোধী আলেমরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন ।
তার হত্যার ঘটনা ঘটার দিন দশেক আগে ওয়ানবাজার ট্রেড সেন্টারে ইসলামী অনুষ্ঠান উপস্থাপকদের মধ্যে তারেক মনোয়ার (এটিএন ও এনটিভির উপস্থাপক) বলেন, ‘ফারুকীর পক্ষে দালালি করবি না। এখানে ফারুকীর শেরেকি-বেদাতি চলবে না। তাকে প্রতিহত করার জন্য আমরা সবাই একত্রিত থাকলে তাকে (ফারুকী) মেরে ফেলা যাবে। এগুলোকে বাদ দিয়ে কীভাবে কমিটি করা যায়, তা কর।’ এতে এটিএন বাংলার ইসলামী অনুষ্ঠানের পরিচালক আরাকান উল্লাহ হারুনী, রেডিও টুডে ও আরটিভির খালেদ সাইফুল্লাহ বকশি, এনটিভির পিএইচপি কোরআনের আলোর মোক্তার আহমেদ, এসএ টিভির মোস্তাফিজুর রহমান, কারবালার পথের কেফায়েত উল্লাহ, এটিএন বাংলার আবুল কালাম আজাদ তাকে সমর্থন দেন।’
আমি যেসব কারণে সব মত ও পথের মুসলিমদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখায় উগ্রীব :
আমি অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম, মুসলিম বিশ্বের সব মুসলিম কাছাকাছি আসার জন্য দুইটা কাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । তাহলো :
সব মুসলিমের আরবী ভাষায় দক্ষতা অর্জন করা ফরজ :
১. অনারব মুসলিমদের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে আরবীকে বাধ্যতামূলক করা এবং ইসলামী জ্ঞানকে সহজভাবে উপস্হাপন করা । এই কাজটা ওআইসি-র অন্যতম অগ্রাধিকার মূলক কাজ । কিন্তু বাস্তবে ওআইসি-র অবস্হা হলো : “ওহ ! আই সি !”
২. একটা ইসলামী ক্যালেন্ডার ব্যবহার মুসলিমদের মধ্যে চালু করা যা দিয়ে নামাজ-রোজা-হজ্জ সহ যাবতীয় কাজ সারা বিশ্বের মুসলিমরা যার যার স্হানীয় সময় অনুযায়ী একই দিনে করতে পারবে । অর্থাৎ সারা বিশ্বের সব মুসলিম যাতে একই দিনে যার যার স্হানীয় সময় অনুযায়ী একই বার ও তারিখে রোজা-ঈদ-হিজরী নববর্ষ একই দিনে পালন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা ও সাধনা করা । এই কাজটা ওআইস-র ঘোষিত শীর্ষ দশ বাস্তবায়নযোগ্য অগ্রাধিকার মূলক কাজের একটা । কিন্তু বাস্তবে ওআইসি-র অবস্হা হলো : “ওহ ! আই সি !”
এই দুইটা বিষয়কে আলেমদের সামনে আনার জন্য আমি অনেক দিন ধরে চেষ্টা করছিলাম । তার অংশ হিসেবে অনেক আলেমের সাথে আমি দেখা করার চেষ্টা করেছি ।
প্রথম বিষয়টার জন্য মুসলিম মাত্রই তার মাতৃভাষার মতো আরবদের মতো আরবী ভাষায় যাতে কথা বলতে পারে এজন্য সহজবোধ্যভাবে আরবী ভাষা শেখার কোর্স কারিকুলাম তৈরী করার প্রয়োজনীতা অনুভব করলাম । এব্যাপারে সাহায্যও পেলাম । এমন একটা কোর্স কারিকুলাম পেলাম – তাতে মোটামোটি তিন মাসেই আরবীতে কথা বলতে সক্ষম হবে যে কোন মুসলিম ।
কিন্তু সমস্যা হলো : ইসলামী জ্ঞানকে সহজবোধ্য ভাবে তুলে ধরার সহজ উপায় কি হতে পারে । এই বিষয়ে গবেষনা শুরু করলাম । গবেষনা শেষে ILTS (ইসলামীক লার্নিং টেস্টিং সিস্টেম) নামক একটা শিক্ষণ পদ্ধতি উদ্ভাবন করলাম । বিষয়টা খুবই মজার ও অদ্ভুত । এই শিক্ষণ পদ্ধতিতে শুধু মুসলিমই নয় অমুসলিমরা পর্যন্ত মাত্র ২০ ঘন্টা পড়া শোনা করেই ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে জ্ঞান অর্জন করার পাশাপাশি নিজেকে ইসলামের আলোকে গড়ে তোলতে পারবে ।
আর এই বিষয়টাকে পুরোপুরি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর করার অবস্হায় নিয়ে এসেছি । যার ফলে মোবাইল ও কম্পিউটারের মাধ্যমেই খেলারছলে আরবি ভাষা ও ইসলামের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবে । বিষয়টি অনেকের কাছেই নতুন বলে মনে হতে পারে ।
আমার কথা শুনে আপনাদের কাছে নিজের ঢোল নিজে পেটানোর মতো মনে হতে পারে । এজন্য আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন । কারণ আমি আলোচনার প্রেক্ষিতে এই বিষয়টা অন্য কোন উপায়ে উপস্হাপন করতে পারছি না ।
শুধু মুসলিমই নয় সমগ্র মানব জাতির জন্য একক ইসলামী ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা ফরজ এবং আবশ্যক :
শুধু মুসলিমই নয় সমগ্র মানব জাতির জন্য একক ইসলামী ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা ফরজ এবং আবশ্যক । কারণ আল্লহ বলেছেন :
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الأهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ
লোকেরা আপনাকে জিজ্ঞেস করে নবচন্দ্রসমূহ সম্পর্কে। বলে দিন, এগুলো সমগ্র মানুষ জাতি ও হজ্বের জন্য সময়সমূহ আরম্ভ করার মাধ্যম। ( সুরা বাকার : ১৮৯ । )
এই কজটা নিয়ে আমি অনেক সময় ব্যয় করেছি । এই কাজটা হলো সারা বিশ্বব্যাপী একই বার ও তারিখে স্হানীয় সময় অনুযায়ী রোজা-ঈদ-হিজরী নববর্ষ পালন করার জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জনমত সৃষ্টি করা । কারণ এটা ব্যক্তির একার কাজ নয় । এই লক্ষ্যে বই লিখতে হয়েছে এবং কম করে হলেও ২০ জন লোককে বিষয়ে বই লেখার জন্য উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দেওয়ার মতো কাজ করতে হয়েছে । যার ফল হিসেবে ড. এম শমসের আলীর মতো বিজ্ঞানী পর্যন্ত টিভি চ্যানেলগুলোতে সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ করার ব্যাপারে বক্তব্য দিয়ে থাকেন । উপরন্তু তিনি বর্তমানে এই বিষয়ের উপর একটি সংগঠণ ( হিজরী ক্যালেন্ডার বাস্তবায়ন পরিষদ )-এর সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন ।
আলহামদুলিল্লাহ । আজ সারা বাংলাদেশে সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই বিষয়টি এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে । বিষয়টি গুরুত্ববহ হওয়ায় ওআইসি-র গুরুত্বপুর্ণ প্রধান বাস্তবায়নযোগ্য কাজ বলে স্বীকৃত হয়েছে ।
আরো দুইটা বিষয় আমাকে ভীষণ কষ্ট দেয় ।
আলেমদের গণমাধ্যমে মেয়েদের অশালীন পোষাক পড়ায় উৎসাহ প্রদান করা :
বাংলাদেশের মেয়েদের ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক না পরে অশালীন ও সংক্ষিপ্ত পোষাক পড়তে গণমাধ্যমে উৎসাহিত করা হচ্ছে ।
এই ক্ষেত্রে আলেমরা নিরবতা পালন করে অশালীন পোষাক পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ ও অণুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন আর অধিকাংশ অালেম ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী পোষাক পড়ার অর্থ কালো বোরকা আর মুখ ঢেকে চলাফেরা করাকে বুঝিয়ে থাকেন এবং এই কথাটাকেই ইসলামের পোষাকের নীতিমালা বলে সমাজে প্রচার করে থাকেন ।
মেয়েদের এভাবে পোষাক পড়া বর্তমানে দোষনীয় কাজ মনে করা হয় । অথচ মুসলিম মেয়েদের মুখ ও হাতের কব্জি ছাড়া সমগ্র শরীর ঢেকে রাখা এবং ওড়না দিয়ে সমগ্র বুক-পিঠ-চুল-কান-গলা ঢেকে রাখা ফরজ । অন্যথায় সমাজের সব মুসলিমের কবিরা গুনাহ হবে ।
বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে অংশ নেওয়া প্রায় সব আলেম জাহান্নামে যাবেন এবং মৃত্যুর পর তাদের কঠিন কবর আজাব হবে :
যদিও বিষয়টা আমার ব্যক্তিগত । তারপরও তুলে ধরছি । আমি এক বার স্বপ্নে দেখলাম : বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে অংশ নেওয়া প্রায় সব আলেম জাহান্নামে অবস্হান করছেন । স্বপ্নটা বিস্তারিত তুলে ধরছি : প্রথমে কিছু হুজুরের চেহারা খুবই হাসোজ্জ্বল ছিল । তারপর তাদের চেহারা বিমলীন হয়ে গেলো । এক সময় দেখা গেলো টিভি চ্যানেলের এক এক জন নায়িকা, সংবাদ পাঠিকা, গায়িকা, উপস্হাপিকা এবং মহিলা কলা কৌশলী আসলো । তাদের পোষাক টিভিতে প্রদর্শিত পোষাকগুলোর মতো । তারপর তারা আগুনের তৈরী মেয়েদের মতো হয়ে গেলো । তারপর এসব মহিলা বল্লো : হুজুর আমাদের সাথে জিনা করুন । (নাউজুবিল্লাহ । ) .... এই স্বপ্নে আমি নিজেও ছিলাম । কিন্তু আমি কখনোই মাদ্রাসায় পড়ি নাই । আমাদের সমাজে মাদ্রাসায় পড়া লোকদের আলেম বলা হয় । স্বপ্নের এক পর্যায়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলা হলো : এই লোককে এখান স্হান হতে অনত্র নিয়ে যাও । আমাকে এক লোক অন্য একটা স্হানে নিয়ে গেলো, যদি তুমি এসব মেয়েদের পরিশুদ্ধ ও পরিমার্জিত করতে পারো এবং এক লক্ষ লোককে সুরা ফাতিহা, সুরা ইখলাম ও সুরা আসর শেখাতে পারো এবং এক লক্ষ লোকের খাদ্যের সংস্হান করতে পারো, তাহলে তোমাকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে ।
এই স্বপ্নে দেখলাম : শাকিলা জাফরের খুব খারাপ অবস্হা । তাকে ভীষণভাবে মারা হচ্ছে । এবং বলা হচ্ছে তুমি এই গানটা গাও : "বলতো কোকিল কেন ডাকে ? ফাগুন আসে বলে । বলতো প্রেম কেন আসে ? মনে রং লেগেছে বলে । " (এই গানটা তিনি রবি চৌধুরীর সাথে গেয়েছেন । )
তিনি গাইতে চাচ্ছেন । তারপর তাকে আগুনের চাবুক দিয়ে পিটানো হচ্ছে । আর বলা হচ্ছে : এসব গান গেয়ে গেয়ে পৃথিবীতে মেয়েদের লাভ ক্রেজী করছো । (লাভ ক্রেজী বা লাভ ক্রেজ শব্দটার সাথে পরিচয় হয় আমার স্বপ্নেই । তারপর আমেরিকাস্হ বোন মনিকা সরকার-এর লাভ ক্রেজ বিষয়ক ওয়াজ শুনে এই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলাম । আপনারা যারা কিশোরী ও তরুণী তাদের লাভ ক্রেজ বিষয়ে মনিকা সরকারের বরকতময় ওয়াজটা মনোযোগ দিয়ে শুনেতে পারেন : http://www.youtube.com/watch?v=skCxY6cxIjs এই ওয়াজ শুনে বাস্তব জীবনে এই ওয়াজের বিষয়বস্তু কাজে লাগালে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান লাভ করার পাশাপাশি জান্নাতে যেতে পারবেন । )
........বাকী অংশ অামি অন্য কোন লেখায় উল্লেখ করবো ।
শুধু মাত্র দুই হুজুরকে ব্যতিক্রম দেখলাম । তারা হলেন :
১. হাফেজ মাওলানা আব্দুর মোমেন
২. মাওলানা লুৎফর রহমান ফরাজী
[আমি আমার কথা বলেছি । এতে যে বা যারা মনক্ষুন্ন হোন - তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই । ]
বাংলাদেশের মেয়েদের স্কুল ড্রেস এতটাই আটসাট ও বিশ্রী যা সমাজে বখাটে ছেলেদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে ।
উপরন্তু অফিস আদালতে ড্রেস কোডের নামে মেয়েদের উপর বেআব্রু পোষাক কর্তৃপক্ষ চাপিয়ে দিয়েছে ।
এই বিষয়ে জনমত গঠণ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলাম । দেশীয় ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রেখেই ইসলামী নীতিমালা অনুযায়ী মেয়েদের জন্য আরাম দায়ক পোষাক প্রবর্তনের ব্যাপারে চিন্তা ও গবেষণা করার জন্য কিছু লোককে আগ্রহান্বিত করার পাশাপাশি এই বিষয়ে আমি নিজেই পড়াশোনা করতে থাকলাম এবং আলেম সমাজেরও দৃষ্টি আকর্ষন করলাম ।
শীর্ষ আলেমদের কয়েক জনের অভিমত, "বাংলাদেশের মেয়েরা সর্বক্ষেত্রে বিচরণ করছে । এটা বাস্তবতা । মেয়েদের ঘরের চার দেওয়ালে আবদ্ধ করে রাখা যাবে না । কিন্তু পোষাকের বিষয়টা মেয়েদের অভিরুচির উপর ছেড়ে দিলে চলবে না । এব্যাপারে নীতিমালা প্রনয়ন করতে হবে এবং মেয়েয়েয়েদের বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে প্রবেশের ব্যবস্হা করলেই মেয়েরা তাদের পোষাকের ব্যাপারে যত্মবান হবে । কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন । সমাজের আলেমদের বড় অংশই মেয়েদের মসজিদে নামাজ পড়ার চরমবিরোধী । অথচ মেয়েদের বাংলাদেশের সব স্হানে প্রবেশের অধিকার আছে । শুধু নেই মসজিদে ।" [এসব আলেমের নাম উল্লেখ করা হতে বিরত থাকলাম । পরবর্তীতে তাদের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের নাম উল্লেখ করবো । ]
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ইসলামীকরণ করার পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসাকে জনপ্রিয় করা :
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্হাকে কীভাবে ইসলামীকরণ করা যায় এবং ইসলামের আলোকে কীভাবে সামাজিক ব্যবসা পদ্ধতি পরিচালনা করে দেশের তরুণ সমাজকে স্কুলে পড়া কালীন সময়ই অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যুক্ত করা যায় – এই বিষয়ে অভিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান লোকদের সাথে আলোচনা করা । এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো না । কারণ বিষয়টি মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর সাথে সম্পর্কিত নয় । বিষয়টি অনেকটা ড. মুহম্মদ ইউনুস আর বিভিন্ন এনজিও সাথে সম্পৃত্ত বিষয় ।
একটি জাতীয় দৈনিকে লেখালেখির সূত্র ধরে ইসলামী ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তার সাথে পরিচয় হয় । তিনিই বাংলাদেশে সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ করার উপর সর্বপ্রথম বই লিখেছেন । তিনি ছিলেন আলেম । তিনি মাদ্রাসা শিক্ষার সব ডিগ্রী অর্জন করেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অনার্স মাস্টার্স করার পাশাপাশি তিনি মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং পিএইচডি করেন । তিনি জীবনের কোন পরীক্ষায় দ্বিতীয় হননি । তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ৯০ টা বই লিখেছেন । তার নাম আমি তার আসল নাম প্রকাশ করছি না । কারণ তিনি সরকারী চাকুরী করেন । এই কারণে অনেক বাধা নিষেধের মধ্যে তাকে থাকতে হয় । আমি তাকে আমার লেখায় আবু আহমাদ হিসেবে উল্লেখ করবো ।
মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর সাথে আমার পরিচয় :
আবু আহমাদ জেনারেল মইনুদ্দীনের শাসনামালের প্রথম বছরের ১৫ অগাস্ট আমাকে বল্লেন, ফখরুল আজ তোমাকে এক আলেমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো । তার সাথে দেখা হলে তুমি নিজেই অবাক হবে । আমি তাকে কিছুই বল্লাম না । কারণ জিজ্ঞাসা করলেই বিস্ময়ের বিষয়ে অভাব হওয়ার কিছু থাকবে না । তার কথা মতো ঢাকার মিরপুর ১০ নং সেকশনের একটা চাইনিজ রেস্টুরেন্টে গেলাম । আমরা তিন জন সেখানে বসে খাবার খেলাম । প্রায় ১ ঘন্টা ইসলামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো । বলতে গেলে আলোচনার পুরোটা সময় তিনি নিজেই কথা বল্লেন । টিভিতে তিনি উপস্হাপক হিসেবে থাকতেন । কিন্তু আলোচকদের চেয়ে তিনি নিজে প্রায়ই বেশী কথা বলতেন । আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হলো । আমরা তাকে তার টিভি অনুষ্ঠানের বেশ কিছু পর্বে সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ করার উপর আলোচনা করার জন্য অনুরোদ করলাম । তিনি আপত্তি জানালেন না । এই বিষয়ের পক্ষ-বিপক্ষের লোকরা উপস্হিত থেকে আলোচনাকে প্রানবন্ত করবে – বলে অভিমত জানালেন । এদিকে “চান্দ্রমাস” বইয়ের লেখক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক সারা বিশ্বব্যাপী একই বার ও তারিখে স্হানীয় সময় অনুযায়ী রোজা-ঈদ করার উপর নিজে একাই আলোচনা করবেন বলে রোজার মধ্যে চ্যানেল আই-এ তারই উপস্হাপিত অনুষ্ঠানে আগ্রহ পোষন করেন । আমি বিস্মিত হলাম যে শুধুমাত্র তাকেই তিনি অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন । ঞ্জিনিয়ার এনামুল হক-এর চান্দ্রমাস বইটি মূলত সারা বিশ্বব্যাপী একই বার ও তারিখে স্হানীয় সময় অনুযায়ী রোজা-ঈদ করার উপর একটি পামান্য গ্রন্হ (এর পিডিএফ ভার্সন আমি পরে নেটে দিবো ইনশাআল্লাহ )
তারপর চ্যানেল আইয়ে তার উপস্হাপিত বেশ কিছু অনুষ্ঠানে ড. এম শমসের আলী , ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক – সহ সারা বিশ্বব্যাপী একই বার ও তারিখে স্হানীয় সময় অনুযায়ী রোজা-ঈদ বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞরা আলোচনা করার সুযোগ পেলেন । এই ক্ষেত্রে তার অবদান অনস্বীকার্য ।
আমি সেই দিন তার সাথে কোন কথাই বলি নাই । আমি শুধু শ্রোতার ভুমিকায় ছিলাম । তবে কথার ফাকে বলেছিলাম : টিভি চ্যানেলগুলোতে মাজার ও ইসলামের স্মৃতিবিজরিত স্হানগুলোতে শিরকী ও কুফরী ধরনের অনেক কাজ হয় । এসব পবিত্র স্হানগুলো দেখা যায় নোংড়া ও আবর্জনাময় । এসব এলাকায় গেলে লোকের কোন শিক্ষনীয় কোন বিষয় খুজে পায় না । দয়া করে এই দিকটা আলোচনায় তুলে আনুন । আর মক্কা-মদীনার বাহিরেও ইসলামের স্মৃতি বিজরিত অনেক স্হান আছে । যেমন : তুরস্ক, সাইপ্রাস, বসনিয়া আর ভারত, উজবেকিস্তান, রাশিয়া .... । তিনি শুনলেন । শুধু এতটুকু বল্লেন , ভিসা পেলে আর চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ সার্বিকভাবে সহায়তা করলে সব কিছুই করা সম্ভব । কয়েক বছর পর দেখলাম , তিনি মিশর , তুরস্ক, জর্দান, ভারতের আজমীরের অনেক ইসলামী স্হাপনা ও প্রত্মতাত্ত্বিক স্হান উপস্হাপন করেন । তার এই অনুষ্ঠানটা বাংলাদেশই নয় সারা বিশ্বের বাংলা ভাষা-ভাষীদের মধ্য জনপ্রিয় হয় ।
এটাই ছিল তার সাথে আমার প্রথম ও শেষ সাক্ষাৎ ।
কাফেলা অনুষ্ঠানে বিভ্রান্তিকার তথ্য :
পরবর্তীতে টিভিতে কাফেলা অনুষ্ঠানে উজবেকিস্তানে ইসমাইল সামানীর মাজার , উলুগ বেগের মানমন্দির এবং তৈমুর লং এর মাজার ও মদ বানানোর ফ্যাক্টরী সম্পর্কে এমন সব তথ্য দিলেন যা ছিল সম্পূর্ণ ভুল এবং বিভ্রান্তিকর । তিনি তৈমুল লং-কে ধার্মিক ও প্রজ্ঞাবান শাসক হিসেবে তুলে ধরেছিলেন আর ইসমাইল সামানীর অলৌকিতার বিবরণ দিতে যেয়ে বলেছিলেন তিনি নাকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় কামানের গোলার ক্ষতিকর প্রভাব নিজের হাত দিয়ে ফিরিয়েছিলেন । (মৃত মানুষ বাস্তবে জীবিত হয়ে এমন কাজ করতে পারে । কিন্তু বাস্তবে কি এমন কাজ হওয়া কি সম্ভব ? ) । তৈমুর লং ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম অত্যাচারী দেশ দখল ও লুটপাটকারী । মুসলিম নামধারী লোকদের মধ্যে এমন ব্যক্তি থাকলে তিনিই সেই ব্যক্তি । তাকে তুলনা করা যায় হিটলার এবং হালুকু খানের সাথে । তিনি মুসলিম হয়েও তার সৈন্যদের চাঙ্গা রাখার জন্য মদকে জনপ্রিয় করেছিলেন । আর সেই মদ বানানোর ফ্যাক্টরিকে তিনি এনার্জি ডিংকের ফ্যাক্টরি হিসেবে উপস্হাপন করেন । তৈমুর লং মুসলিম দেশ হয়েও ৩২ টা মুসলিম দেশকে দখল করে সেসব দেশের রাজা ও প্রজাদের হত্যা করেছেন । অপর দিকে মাত্র ১০ টা মুসলিম দেশ দখল করেছিলেন , কিন্তু তাদের ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করেননি । মূলত তৈমুর লং- এর পর বুখারা, সমরখন্দ, তিরমিজ ও কাশগড় শহরগুলো হতে জ্ঞানের সাধনা লোপ পায় । বুখারা শহরেই হাদিসের শুদ্ধতম গ্রন্হ বুখারী সংকলক ইমাম ইসমাইল বুখারী জন্মগ্রহণ করেন । তিরমিজ শহরে তিরমিজি শরীফের রচয়িতা জন্মগ্রহণ করেন । এই বুখারা ও তিরমিজ শহর উজবেকিস্তানে অবস্হিত । অপর দিকে কাশগড় শহরটা এখন চীনের দখলে । কাশগড় শহরটাতে মুলত চীনের উগুর তুর্কি জাতির লোকরা বাস করে । চীন তাদের দেশ পূর্ব তুর্কিস্তানকে দখল করে সিনকিয়াং নাম দিয়েছে ।
তৈমুর লং - সম্পর্কিত কিছু তথ্য :
তৈমুর লং-এর আসল নাম হলো তৈমুর বিন তারাগাই বারলাস । জীবন কাল : ১৩৩৬ - ফেব্রুয়ারি, ১৪০৫ । ১৪শ শতকের একজন তুর্কী-মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ। তিনি পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ দখলে এনে তিমুরীয় সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত নেতৃত্বে আসীন ছিল। এছাড়াও তাঁর কারণেই তিমুরীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোন না কোনভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি তিমুরে ল্যাংগ্ নামে পরিচিত যার অর্থ খোঁড়া তৈমুর। বাল্যকালে একটি ভেড়া চুরি করতে গিয়ে তিনি আহত হন যার ফলে তাঁর একটি পা অকেজো হয়ে যায়। তাঁর সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, পাকিস্তান, ভারত এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম তুজুক ই তৈমুরী
কিন্তু কাফেলা অনুষ্ঠানে তিনি তৈমুর লং সম্পর্কে অনেক বিভান্তিকর তথ্য দিযেছিলেন । আমি কাফেলা অনুষ্ঠানে এমন সব বিভ্রান্তিকর তথ্য শুনতে পেয়ে সামান্য হলেও মর্মাহত হই । কিন্তু তারপরও আমি সামান্য হলেও খুশি হয়েছি । কারণ আমি কাফেলা অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত ইসলামের সাথে সম্পর্কিত স্মৃতি বিজরিত মুসলিম দেশগুলোর নির্দশন দেখার সুযোগ পেয়েছি ।
আল্লাহ মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর ভুলগুলো মাফ করে দিন এবং জান্নাত দান করুন – এই কামনাই করছি । আশা করি, তার হত্যাকারিদের ধরে বিচারের কাঠগোড়ায় দাড় করানোর ব্যাপারে সরকারের সাথে সম্পৃত্ত লোকরা যত্মবান হবেন এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনবেন ।
বিষয়: বিবিধ
৭৫৮২ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উচ্চমানের শিরক কারী। তাকে মহান আল্লাহ
দোজখে রাখবেন।
তবে আমি স্বপ্নে যা দেখেছি, তা তার উপরই নয়, বরং অধিকাংশ আলেমদের উপরই হচ্ছে । আমি দেখেছি, টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান করা প্রায় সব আলেম জাহান্নামে নায়িকা, গায়িকা, সংবাদ পাঠিকা, উপস্হাপিকা, নৃত্য শিল্পী ইত্যাদিদের সাথে জিনা করছেন । আর জাহান্নামে নায়িকা, গায়িকা, সংবাদ পাঠিকা, উপস্হাপিকা, নৃত্য শিল্পী-দের শরীরগুলোকে আগুন দিয়ে বানানো হয়েছে । মুহুর্তের মধ্যে হুজুররা আগুনে গলে পুরে বিলীন হয়ে যাচ্ছেন । তারপর আবার তাদের চেহারা টিভি চ্যানেলে অনুষ্ঠান করা চেহারার মতো হয়ে যাচ্ছে । তারপর জাহান্নামে নায়িকা, গায়িকা, সংবাদ পাঠিকা, উপস্হাপিকা, নৃত্য শিল্পী -রা হুজুরদের বলছেন , হুজুর আমার সাথে আবার জেনা করুন । হুজুররা রাজি না হলে তারা জোড় করে হুজুরদের সাথে জিনা করতে শুরু করে । এর কারণ আমার মনে হয় :
তারা তাদের নাম যশ বৃদ্ধির জন্য অনেক উল্টা পাল্টা কথা বলেন । তারা ছোট খাট বিষয় নিয়ে তর্ক করেন । এক জন আরেক জন হুজুরকে গালি দেন প্রকাশ্য লাইভ অনুষ্ঠানে । তার একটা নমুনা এই লেখায় দিয়েছি । কিন্তু নামাজী মুসলিম বৃদ্ধি পাক এবং শালীন পোষাক পড়া মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক - তারা তা চান না । এজন্য ইভা রহমান, নায়লা নাইম , পারিশা শাকুর , প্রভা, বিন্দু, বাধন, রাহা নামক ইত্যাদি নামকরা বেশ্যার উত্পতি হয়েছে । বাবা-মা-রাও তাদের এধরনের বেশ্যা হওয়াকে সম্মানজনক মনে করে ।
তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে হুজুররা কোন কথা বলেন না ।
জামায়াত শিবিরের নেতাদের ছেলেরাও এসব বেশ্যাদের সাথে যোগাযোগ রাখে । আর এজন্য আল্লাহর গজব জামায়াত-শিবিরের উপর অবতীর্ণ হয়েছে ।
(২)জামায়াতে ইসলামীর ধর্ষিতা নিকাবী মেয়েকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে আপনার আগ্রহ পোষন । এদের বিয়ে করা ,আপনার আগ্রহ কেন?
আমাদের প্রায় সব হুজুরের মধ্যে অনেক খারাপ দিক আছে । তারা তাদের নাম যশ বৃদ্ধির জন্য অনেক উল্টা পাল্টা কথা বলেন । কিন্তু নামাজী মুসলিম বৃদ্ধি পাক এবং শালীন পোষাক পড়া মেয়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাক - তারা তা চান না । এজন্য বলতে পারেন , প্রায় সব হুজুরের মধ্যে কম বেশী ভন্ডামী ও গোড়ামি আছে ।
২. জামায়াতে ইসলামীর ধর্ষিতা নিকাবী মেয়েকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে আগ্রহ পোষন করার যথেষ্ঠ কারণ আছে । পরবর্তী পর্বগুলোতে উল্লেখ করবো ।
ভাল কথা । আপনার এক মেয়ে তো আমেরিকার মিশিগান রাজ্যের এক ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়েন । তাকে তো আপনি জামায়াতী স্টাইলে নিকাবী হিসেবে গড়ে তোলেননি । তার কারণ কি বলতে পারেন ? আপনিই তো ব্লগার আয়না শাহ বা রেজাউল করিম , তাই না ?
তবে আগের লেখায় অনেকের অনেক মন্তব্যের উত্তর দিতে পারিনি । ব্যস্ততা কমে আসলে আমি সবার প্রশ্নের উত্তর দিবো ।
সিলেটি ভাই .... এটা কোন ধরনের শব্দ ?
আমেরিকায় আছেন । আমেরিকানদের মতো আচরণ করুন । অমুসলিমদের মুসলিম বানান । হাসরের মাঠে আল্লাহ আপনাকে বাংলাদেশি বা আরব দেশীয় বলে গুরুত্ব দিবেন না । আপনি ভাল মুসলিম হয়েছেন কি না - তা হাসরের মাঠে গুরুত্ব পাবে ।
আমার সাইটগুলোর কাজ চলছে ।
(A) আপনি আমাকে বলছেন:আমি নোংরা মানসিকতা প্রকাশ করি । আপনার লেখাটা দেখেন,
(১) জামায়াতে ইসলামীর ধর্ষিতা নিকাবী মেয়েকে
(২)বেশ্যার উৎপত্তি হয়েছে।
(৩) জামায়াত শিবিরের নেতাদের ছেলেরাও এসব বেশ্যাদের সাথে যোগাযোগ রাখে । আর এজন্য আল্লাহর গজব জামায়াত-শিবিরের উপর অবতীর্ণ হয়েছে ।
(৪) হুজুররা রাজি না হলে তারা জোড় করে হুজুরদের সাথে জিনা করতে শুরু করে।
পঞ্চাশটি এস্টেটের কোন মসজিদের ইমামের নিকট
কখনও শুনিনি, পীর, মাজার,পূজার কথা। কেবল শুনেছি। মৃত্যু হওয়ার সাথে সাথে আমল বন্ধ হয়ে যায়। আপনি পীর, মাজার ছুঁয়ে ইসলাম কায়েম করবেন। এম,এন, হাসান ভাইয়ের দুটো
ব্লগ রয়েছে। আপনার আজও একটা হয় নাই। আপনি মনে হয় শিক্ষকতা পেশায় জড়ীত।
আপনার বেশ কিছু দিক আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হচ্ছে :
১.আপনি চরম পার্টিজান লোক ।
২.আপনি আপনার কথার মধ্যে জেলাবাজির প্রবনতা আছে ।
৩. আপনি আমেরিকাকে সেবা করছেন এবং স্পর্শকাতর একটা বিষয়ে গবেষণা করছেন । আমেরিকা আপনার এই গবেষণার ফল ব্যবহার করে মুসলিমদের ক্ষতি সাধন করবেন । আপনি আমার কাছে বড় জোড় স্টুপিড স্ল্যাব অব আমেরিকা । আপনার জন্য আমার করুণা হয় ।
৪.এক সময় বাংলা লিখতে পারতেন না। এই কথা বলার মধ্যে আপনার বিন্দুমাত্র লজ্জার ভাব দেখা যাচ্ছে না । বরং এটাকে আপনি গর্বের বিষয় মনে করছেন ।
৫. আপনি আমার সম্পর্কে লিখেছেন :
মধ্যে আপনার মত বিজ্ঞ লোকের ব্লগে কমেন্ট করি। যাতে বাংলা ভুলে না যাই।
(A) আপনি আমাকে বলছেন:আমি নোংরা মানসিকতা প্রকাশ করি । আপনার লেখাটা দেখেন,
(১) জামায়াতে ইসলামীর ধর্ষিতা নিকাবী মেয়েকে
(২)বেশ্যার উৎপত্তি হয়েছে।
(৩) জামায়াত শিবিরের নেতাদের ছেলেরাও এসব বেশ্যাদের সাথে যোগাযোগ রাখে । আর এজন্য আল্লাহর গজব জামায়াত-শিবিরের উপর অবতীর্ণ হয়েছে ।
(৪) হুজুররা রাজি না হলে তারা জোড় করে হুজুরদের সাথে জিনা করতে শুরু করে।
পঞ্চাশটি এস্টেটের কোন মসজিদের ইমামের নিকট
কখনও শুনিনি, পীর, মাজার,পূজার কথা। কেবল শুনেছি। মৃত্যু হওয়ার সাথে সাথে আমল বন্ধ হয়ে যায়। আপনি পীর, মাজার ছুঁয়ে ইসলাম কায়েম করবেন। এম,এন, হাসান ভাইয়ের দুটো
ব্লগ রয়েছে। আপনার আজও একটা হয় নাই। আপনি মনে হয় শিক্ষকতা পেশায় জড়ীত।
তার উত্তরে বলছি :
১. আমি যা লিখেছি তা কোন ফেরেশ্তার লেখা নয় । আমি মাটির মানুষ । আর যা লিখেছি সত্য ও বস্তুনিষ্টভাবে লিখেছি ।
২. ধর্ষিতা নিকাবী জামায়াতী মেয়েকে কেন বিয়ে করার ইচ্ছা পোষন করেছি - তার ব্যাখ্যা এখনও দেইনি । সুতরাং এজন্য আপনাকে আরো কয়েকটা লেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে ।
৩. আপনি বাংলাদেশে থাকেন না । সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রীদের একটা বড় অংশের জীবনবোধ সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই । আমার কাছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ আছে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক মেয়েই পতিতাবৃত্তির সাথে সম্পৃত্ত । কারণ আমি নিজেই এক সময় সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলাম । বেলাল আহমেদ এবং মাহমুদ কাসেম দৈনিক ইনকিলাব ও সপ্তাহিক পূর্ণিমায় এব্যাপারে অনেক লেখা লিখেছেন । এবিষয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সাথে আমার যোগাযোগও হয়েছিলো ।
৪. জামায়াতের লোকরা কি করে তাও আমার নখ দর্পনে ছিল । কারণ আমি নিজেই প্রতি সপ্তাহের প্রতিটা দিনই পুরানা পল্টনের শিবির আর জামায়াতের কার্যালয়ে যাতায়াত করতাম । কারণ আমি এক সময় জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম । কিন্তু সময়ের আবর্তে আমার জ্ঞান-গম্যি বৃদ্ধির সাথে সাথে আমার চিন্তা-চেতনা-বোধ-বিশ্বাস-রাজনৈতিক দর্শনের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে বলে আমি জামায়াত-শিবিরকে মানিষিকভাবে হৃদয় হতে মুছে ফেলেছি ।
৫. হুজুররা রাজি না হলে তারা জোড় করে হুজুরদের সাথে জিনা করতে শুরু করে। ...... এই বাক্যটা
আমি এজন্য লিখেছি যে আমি স্বপ্নে তা দেখেছি । মানুষ স্বপ্নে অনেক কিছুই দেখে থাকে । তার অনেক কিছুই খারাপ হলেও তার ব্যাখ্যা বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্যপর্ণ । আমি আমার স্বপ্নটা পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরি নাই । তবে অন্য কোন লেখায় তুলে ধরবো ব্যাখ্যা সহ ।
মৃত্যু হওয়ার সাথে সাথে আমল বন্ধ হয়ে যায়। কথাটা আংশিক সত্য । কারণ আবু হুরায়রা রা. - হতে সহিহ হাদিসে বলা আছে মৃত্যুর পর তিনটা কাজের দ্বারা লোকরা উপকৃত হবে । আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : " মানুষ মারা যাওয়ার পর তার সব কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি ভাল কাজ, যা তার মৃত্যুর পরও চালু থাকে- ১. সদকায়ে জারিয়া, ২. তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞানভাণ্ডার, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ৩. তার সৎ সন্তান, যারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। (সহিহ মুসলিম, আল ওসিয়্যাহ, অনু. মৃত্যুর পর মানুষের যে সওয়াব যোগ হয়, ৩ খ, পৃ. ১২৫৫, নম্বর ১৬৩১)।
৬. আপনি লিখেছেন : " আপনি পীর, মাজার ছুঁয়ে ইসলাম কায়েম করবেন। "
আমি কোথাও এমন কথা বলি নাই । আমি হযরত শাহ জালাল রা. - এর কথা বলেছি । আমি কোন পীরের অনুসারী নই । জামায়াতের লোকরাই গোলাম আজম - নিজামী - সাইদী-কে পীরদের চাইতে বেশী ভক্তি ও সম্মান করে । তারা তাদের খারাপ কাজগুলোকে ভাল কাজ মনে করে ।
ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজ করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ । মুসলিম মাত্রই একজন মিশনারী ।
আমি মনে করি, ইসলাম প্রসার ও প্রসার করতে হবে । তাই বলে জামায়াতের কথিত ইসলাম কায়েমের দাওয়াত মুসলিমদের গ্রহণ করা উচিত নয় । কারণ জামায়াতে ইসলামী ইসলামবিরোধী মওদুদী দর্শন ও ওহাবী মতবাদ দ্বারা পরিচালিত হয় ।
এই জন্য, আপনাকে বলছিলাম,আমি আলবদর
বলছি বইটি পড়েন এবং জামাত রিসার্স পর্ব পড়েন।
২.আপনি আপনার কথার মধ্যে জেলাবাজির প্রবনতা আছে ।
উত্তর: না,আমাদের এখানে বৃহত্তর বরিশালের সংগঠন রয়েছে। আমি কখনো যোগ দেইনি। ইসলামে আঞ্চলিকতা নেই। আমি কোন জেলার লোক, সেটা বলছি মাএ। এর অর্থ এই নয় যে আমি পাপ করেছি। এতে দোষের কিছু ছিল না।
২। আপনার লেখা থেকে:তিনটি ভাল কাজ, যা তার মৃত্যুর পরও চালু থাকে- ১. সদকায়ে জারিয়া, ২. তাঁর রেখে যাওয়া জ্ঞানভাণ্ডার, যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং ৩. তার সৎ সন্তান, যারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। এ ব্যাপারে একমত। এর অর্থ এই নয়, মাজার ও কবর পূজা।
(৩)মওদুদী ও গোলাম আযমের বই, আমেরিকার
পাবলিক লাইব্রেরীতে পাওয়া যায়। ওনারা ইসলামী আনন্দোলনের পথিকৃত। আপনার যতটুকু ভাল লাগলো ততটুকু ওখান থেকে নিলেন।
(৪)আপনার প্রশ্ন:স্পর্শকাতর একটা বিষয়ে গবেষণা করছেন,উওর না। (i) Water resource Engineering (ii)Environmental engineering
(iii) Geotechnical Engineering
(iv)Atmospheric Geoengineering
(v) Hydrology and hydraulics.
এর সমন্বয়ে একটি Modeling software এ
রয়েছে। এতে কাজ করি। যদিও আমিও পছন্দ করি না। বাস্তবে স্ট্রাকচার তেরি আগেই,ল্যাবে তৈরী করা হয়। ১০০ বছর পরে স্ট্রাকচার কতদুর নষ্ট হবে। এগুলো মাথায় রাখতে হয়। ল্যান্ড অব দ্য "ল" মেনে চলতে হয়।
(৫)আপনার ইনকিলাব এখন আইএসে পক্ষে লিখছে। এক সময়ে Brotherhood বিরুদ্ধে লিখত।
(৬) আপনার লেখা থেকে:ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজ করা প্রতিটি মুসলিমের জন্য ফরজ । মুসলিম মাত্রই একজন মিশনারী ।
উত্তর:একমত। গোটা বাইবেল সম্পর্ক ধারন থাকতে হবে।(মার্ক,মেথিউ,লুক,ওল্ড টেষ্টম্যান,নিউ টেষ্টম্যান)
যারা খৃষ্টান হচ্ছে ওদের বাইবেল এবং কোরানের উপর যথেষ্ট পড়াশুনা রয়েছে ।যেমন:ডা: জাকির নায়েক।
আয়না শাহ ভাইকে ছোট করার জন্য বলা হয়নি।
উনি সিলেটের লোক। উনি দেশেও জামাতের সাথে ছিলেন এখন এই প্রবাসেও মুসলিম উম্মা নর্থ আমেরিকার সাথে আছেন। এই ব্লগেও লেখেন। আমি তাকে রেসফেক্ট করি। আপনার আগামী পর্বের লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন