হে জামায়াতী বোন ও খালাম্মাবৃন্দ । আপনাদের প্রতি জরুরী ঘোষনাটি মনযোগ দিয়ে পড়ুন ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৩৭:৫৩ রাত
এতধারা জামায়াতী বোন ও খালাম্মাবৃন্দকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে যে ইদানিং অনেক জামায়াতী বোন ও খালাম্মা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বেআব্রুভাবে নিজেদের উপস্হাপন করছেন এবং তাদের অনেক আচরণ ও হাব-ভাব প্রশ্নবিদ্ধ । এর ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে ।
অতএব জামায়াতী বোন ও খালাম্মাবৃন্দ বিনীত অনুরোদ যে তারা ইসলামের নীতিমালা অনুযায়ী জনসম্মুখে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যত্মবান হওয়ার পাশাপাশি ইসলাম যে একটি বিজয়ী মতাদর্শ তা তাদের কথা-কাজ-হাব-ভাব-চাল-চলনের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ।
অনুরোদক্রমে
মুহাম্মদিয়া মিশন, বাংলাদেশ ।
https://www.facebook.com/pages/Muhammadiyah-Mission-Bangladesh/288830894619402?ref=hl
জামায়াতী মেয়েদের প্রতি কিছু পর্যবেক্ষণ ও অভিযোগ :
১. সাংগঠনিক বাধ্য বাদকতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিকাব ও বোরকা পড়ে যাতায়াত করা অনেক নিকাবী আপু চরম বেআব্রুভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্হিত হন ।
২. বিয়ের ক্ষেত্রে ঈমানদার – দ্বীনদার বর বাছাই না করে নাসায় জব করা অথবা ইহুদি – নাসারাদের দেশে বাস করা ও মাঝে মধ্যে নাইট ক্লাবে যাওয়া অথবা আল্লাহ ও রাসুলের প্রেমে পাগল নয় এমন বাজে লোক অথবা সমাজবিরোধী কিন্তু চরম প্রভাবশালী লোকদের বর বা স্বামী হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ।
৩. ইসলামের দাওয়াত প্রচারের নাম করে ফেসবুক ও ব্লগ সাইটগুলোতে অসংখ্য ফেক আইডি বানিয়ে চরম বেপর্দা ও বেআব্রু ছেলেদের সাথে সময় নষ্ট করার পাশাপাশি নিজেরাও তাদের সাথে বেপর্দা হয়ে খারাপ কাজে অংশ নিচ্ছেন ।
৪. সাধারণ মেয়েদের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক না রেখে সমাজের প্রভাবশালী লোকদের চরম বেপর্দা মেয়েদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সর্বত্র ঘোরাফেরা করা অনেক জামায়াতী বোনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হয়ে দাড়িয়েছে । যেমন : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যে পাওয়া কন্ডমকে বাস্তব জীবনে ব্যবহারকারিনী এমন অপবিত্র মেয়েদের সাথে অনেক নিকাবী আপু নিয়মিত চলাফেরা করে থাকেন । এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম বেপর্দা ও বেআব্রু মেয়েদের সাথেই তারা বেশি উঠা-বসা করেন । বিষয়টি দু:খজনক । বিস্তারিত জানতে দেখুন :
এভাবে কোন জামায়াতী মেয়ে তো দুরে থাক কোন মুসলিম মেয়ে এমনভাবে বিয়ের পোষাক পড়তে পারে না । যদি কেহ পড়ে থাকে তাহলে তারা বাবা-মা-ভাই-পাড়া-প্রতিবেশি সবার কবিরা গুনাহ হবে এবং তার বিয়ে ও বৈবাহিক জীবন বরকতময় হবে না । আমি মনে করি যিনি এমনভাবে পোষাক পড়েছেন বা বিয়ের শাড়ি পড়েছেন – তিনি ইসলামে মেয়েদের পোষাকের যে নীতিমালা আছে তা সম্পর্কে তিনি ভীষণ অজ্ঞ । আর সেজন্য আমি দুয়া করছি যাতে তিনি ইসলামের মর্মবানী সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন ।
তার দাম্পত্য জীবনে সুখের হোক - এই কামনা করছি । এই দুয়া করছি ।
জামায়াতী মেয়েদের নিচের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের পোষাক পড়ার জন্য অনুরোদ করা হলো ।
যারা মুখ ঢাকতে চান তারা মুখ ঢাকার জন্য ২ ফুট দের্ঘ্যের ও দেড় ফুট প্রস্হের কাপড় ব্যবহার করতে পারেন ।
এই বিষয়ে দক্ষতা না থাকলে আমাদের বোনদের আপনাদের কাছে পাঠানো হবে । এজন্য তাদের কোন সম্মানী দেওয়ার প্রয়োজন নেই ।
ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী পোষাক পড়ার কৌশল জানার জন্য দল-বল-সৈন্য-সামন্ত নিয়ে আজই এসব পেজ দেখুন এবং দোজাহানের অশেষ নেকি হাসিল করুন :
১। https://www.facebook.com/SareeHijab/
২। https://www.facebook.com/WrapSareeInProperWay
৩। https://www.facebook.com/WrapOrnaInProperWay
জামায়াতী খালাম্মা তাজকিয়া বিনতে নাজিবকে বিয়ের সময় ইসলামী ব্যাংকের পরিচালকদের সাথে এভাবে দেখা যাবে তা অনেকেই স্বপ্নেও ভাবেনি ।
নিচের পোষাকগুলো পড়ে জামায়াতী মেয়েদের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচরণ করা কি গুনাহের কাজ ? তাহলে কেন তারা সৌদি আরবের মেয়েদের মতো পোষাক পড়ে ভাব দেখিয়ে চলে এবং সাধারণ মেয়েদের থেকে দুরে থাকে বা দুরত্ব বজায় রাখে ?
ইসলাম নিয়ে অনেক দাওয়াতী কাজ করেন জামায়াতী আপু ও খালাম্মারা । কিন্তু তারা মসজিদে যেয়ে নামাজ পড়ার ব্যাপারে কেন সোচ্চার ভুমিকা পালন করছেন না :
আমরা বাংলাদেশী নারীরা বাংলাদেশের মসজিদগুলোতে নিয়মিত নামাজ পড়তে চাই :
https://www.facebook.com/WomenWillPrayInTheMosquesRegularly?ref=hl
এই পেজে যেসব আপু ও খালাম্মা লাইক দিবে, তাদের সোয়াব হবে যত দিন এই পেজ থাকবে এবং মেয়েরা মসজিদে যত দিন মসজিদে যেতে থাকবে তত দিন ।
খারাপ কোন কথা বলে থাকলে, আপত্তিকর কথা বলে থাকলে - এজন্য আমি ক্ষমাপার্থী ।
সবাইকে শুভেচ্ছা ও সালাম ।
বিষয়: বিবিধ
৩৯৮২ বার পঠিত, ৩৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার বয়স কত ?
জনসচেতনামূলক ও ইসলামের বুনিয়াদী বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত এই লেখার সাথে আমার বয়সের কি সম্পর্ক ? - দয়া করে বলবেন কি ?
অনেকেই আমাকে আমার বয়স কত তা জানতে চান । আমার লেখাগুলোর বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ , না আমার লেখাগুলোর বিষয়বস্তু গুরুত্বপূর্ণ ?
আমি তো অনেক কষ্ট করে ও পড়াশোনা করে লেখা লিখে থাকি । তাহলে আমার লেখা মূল্যায়ন না করে আমার বয়স নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনা করার কি কারণ থাকতে পারে ?
আপনার লেখার বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তবে মন্তব্যকারীদের মতামতের আলোচনায় দেখি যেসব রেফারেন্স ব্যবহার করেন, সেটা দূর্বল প্রমাণ হয়। আমিও আপনার সাথে হিজাব নিকাব নিয়ে আলোচনায় মেতেছিলাম – হিজাবী-নিকাবী ছাড়াগুলার চালচলনের কারণে - ধর্ষন বেশী হোক, এটা বলেছিলাম; এই ম্যাগাজিনের একটা রিপোর্টে জানতে পেরেছি যে – ধর্ষন এখন সবচাইতে বেশী হচ্ছে!
হিজাব - নিকাব বা পর্দা কখনোই ধর্ষণ দুর করার ক্ষেত্রে সহায়ক নয় । কুরআন আর হাদিসের কোথাও বলা হয়নি যে হিজাব বা পর্দা করলে ধর্ষণ হবে না । যদি হিজাব বা পর্দা করার পরও রাসুল সা - এর যুগে মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া মহিলা সাহাবীকে এক লম্পট ধর্ষণ করেছিলো যার বিবরন তিরমিজি শরীফে রযেছে ।
সুতরাং অমুক পোষাক পড়লে ধর্ষণ হবে না আর ধর্ষন কমে যাবে - এসব কথা অবান্তর । অনেক সৌদি আরবে ধর্ষণ হয় না - এমন তথ্য উপস্হাপন করেন । সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় কোন পরিসংখ্যানই বিশ্বাসযোগ্য নয় । কারণ অত্যাচারী রাজতান্ত্রিক শাসনের কারণ এই দেশের কোন তথ্যই সরকার সঠিকভাবে উপস্হাপন করে না । এই দেশে বিদেশী মেয়েরা কাজ করতে এসে প্রথম ৩ দিনের মধ্যেই মালিকের বাড়িতে ধর্ষিতা হয় ।
ঘুমাতে যাবো । আর বিশেষ কিছু লিখছি না ।
এটা আপনি বিন্ধু মাত্র মিথ্যা বলেন-নি! আমার জীবনে আমি কাউকে ধর্ষন করিনি আর অন্য কাউকেও ধর্ষন করতে দেখিনি (ফিল্ম ছাড়া); তাই আমার ধারণা না থাকাই স্বাভাবিক।
তবে আমার মনে হয় প্রত্যেক ক্রিয়ার-ই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে, বাদ বাকী তো আল্লাহ-ই জানেন।
আমি তার সাথে বাহাস করতে চাইলাম না । তার এক দলিল সৌদি আরবের আলেমরা বলেছেন । তার থেকে কি আমি বা আমরা বেশি জানি । তারপর কুরআনের উদৃতি । আমি যদি সেই উদৃতিটার আরেকটা ব্যাখ্যা দিতে যাই । তাহলে তারা (ওহাবী ও আহলে হাদিসরা)মুতরাদ ও কাফির বলে ঘোষনা দিবে ।
এর আগে নামাজ কীভাবে পড়তে হবে - এই নিয়ে বাহাসের সময় আমাকে মার দেওয়ার জন্য ওহাবি বা আহলে হাদিসরা প্রস্তুত হয় । আজব হলেও সত্যি শিবিরের ভাইরাও আহলে হাদিসদের পক্ষে নিয়েছিলো । তাদের কথা বুখারীর হাদিস মুসতাদরাকে হাকেমের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ।
বাধ্য হয়ে বলছি, এসব মূর্খ আর সন্ত্রাসীদের জন্য সৌদি আরব হল শরিয়ত !
তাদের কাছে সহিহ আকিদার মানদন্ড হলো : সৌদি আরব ৯৫% ইসলাম অনুযায়ি চলে । সোদি আরবে নাই । সুতরাং এটা বিদাত । সৌদি আরবের অমুক আলেম বলেছেন । সুতরাং এটা সঠিক । আর জামায়াতের ভাইদের তো একটাই কথা : মওদুদি আখিরি জামানার মুজাদ্দেদ । সুতরাং তার সব কথা দাড়ি কমা সেমিকোলন সহ মানতে হবে । ঠিক যেমন : মওদুদির "পর্দা ও ইসলাম বই পড়ে জামায়াতের খালাম্মারা আর ইসলামী ছাত্রী সংস্হার বোনরা নিকাব পড়ে মুখ ঢেকে চলাফেরা করেন । ব্যাপারখানা এমন যে তারা মিশরের ইখওয়ানুল মুসলেমীনের বোনদের থেকে বেশী আল্লাহভীরু এবং দুনিয়াদারীর দিক থেকে সফল । কিন্তু বাস্তব অবস্হা ভিন্ন । তাদের তাকওয়ার ধরন কেমন তাদের বিয়ের পরই বোঝা যায় । আল্লাহ আমাদের মাফ করুন ।
ধন্যবাদ চালিয়ে যান পুরুস্কার মিলবে।
এরকম কমেন্ট আমি আপনার পোস্টে আগেও করেছি যখন আপুদের আত্মরক্ষার জন্য মারপিট শেখার তালিম দিচ্ছিলেন ।
উপরন্তু মৌলবাদী দর্শনে বিশ্বাসীদের খুব কমই সংলাপ ও মতবিনিময়ে বিশ্বাস করে থাকে । তাদের জীবন দর্শনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য :
১. আমার কথা ও দৃষ্টিভঙ্গিগুলোই সঠিক ।
২. আমিই সব সময় সঠিক পথে থাকি ।
৩. তারা যুক্তি ও প্রমাণে বিশ্বাসে নয় ।
৪. তারা বাস্তবতাকে অস্বীকার করে তারা তাদের নিজস্ব গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকে ।
মৌলবাদ শব্দটা খৃষ্টানদের বিষয় । এটা ইসলামে খৃস্টান মিডিয়ারাই প্রবেশ করিয়েছে । প্রথমে এটা ছিল একটা গালি । তারপর এটাকে সন্ত্রাসীরা তাদের আদর্শ হিসেবে বেছে নিয়েছে ।
ইসলামে মৌলবাদ নেই । তার একটা প্রমাণ হলো :
وَجٰهِدوا فِى اللَّهِ حَقَّ جِهادِهِ ۚ هُوَ اجتَبىٰكُم وَما جَعَلَ عَلَيكُم فِى الدّينِ مِن حَرَجٍ ۚ مِلَّةَ أَبيكُم إِبرٰهيمَ ۚ هُوَ سَمّىٰكُمُ المُسلِمينَ مِن قَبلُ وَفى هٰذا لِيَكونَ الرَّسولُ شَهيدًا عَلَيكُم وَتَكونوا شُهَداءَ عَلَى النّاسِ ۚ فَأَقيمُوا الصَّلوٰةَ وَءاتُوا الزَّكوٰةَ وَاعتَصِموا بِاللَّهِ هُوَ مَولىٰكُم ۖ فَنِعمَ المَولىٰ وَنِعمَ النَّصيرُ
[78] তোমরা আল্লাহর জন্যে শ্রম স্বীকার কর যেভাবে শ্রম স্বীকার করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। তোমরা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের ধর্মে কায়েম থাক। তিনিই তোমাদের নাম মুসলমান রেখেছেন পূর্বেও এবং এই কোরআনেও, যাতে রসূল তোমাদের জন্যে সাক্ষ্যদাতা এবং তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলির জন্যে। সুতরাং তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর। তিনিই তোমাদের মালিক। অতএব তিনি কত উত্তম মালিক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী।
সুরা হজ্জ : ৭৮ ।
মাওলানা দেলওয়ার হোসেন সাইদী, চরমোনাই পীর ফজলুল করিম আর কলামিস্ট জুহুরী মৌলবাদ শব্দটাকে তাদের রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃত্ত করেছেন । আর তারা বলেন আমরা মৌলবাদী মুসলিম । আর অন্যরা মূল ছাড়া মুসলিম ।
মৌলবাদ শব্দের অর্থ হলো- যে কোন ধর্ম বা মতবাদের মূলতত্ত্ব, মৌলিক বা মূল বিষয়সমূহ অথবা মৌলিক বা মূল মতবাদসমূহ। আর ব্যবহারিক অর্থে ধর্মান্ধ চরমপন্থী আমেরিকান খ্রিস্টান প্রোটেস্ট্যান্ট সমপ্রদায়ের বাইবেল সম্পর্কীয় মতবাদকে মৌলবাদ বলে । এ অর্থেই এটা ব্যাপকভাবে পরিচিত । আর এই ধর্মান্ধ চরমপন্থী আমেরিকান খ্রিস্টান প্রোটেস্ট্যান্ট সমপ্রদায়ই মৌলবাদী বলে পরিচিত। কাজেই মুসলমানদেরকে মৌলবাদী বলা বা মুসলমানগণ নিজেদেরকে মৌলবাদী বলে দাবি করা কখনো কোন মতেই শরীয়তসম্মত হবে না। কারণ এটা খ্রিস্টানদের শেয়ার বা চিহ্ন বা আলামত।
শব্দ ব্যবহারের কুচিন্তায় যোগসাধনের ষড়যন্ত্র ইহুদী খ্রিস্টানদের ঐতিহ্যগত প্রবৃত্তি। স্বয়ং রাসুল সা.-এর সময়ও ইহুদী খ্রিস্টানদের এরূপ ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার ছিল। আল্লাহ বলেছেন, “হে ঈমানদারগণ! তোমরা রঈনা বলো না উনজুরনা বলো এবং শ্রবণ কর (বা শুনতে থাক) আর কাফিরদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” (সূরা বাক্বারা ১০৪)
আয়াতের শানে নযুলে বলা হয়েছে, ইহুদীরা রাসুল সা.-কে কষ্ট দেবার জন্য ‘রঈনা’ শব্দ ব্যবহার করত । যার একাধিক অর্থ। একটি অর্থ হল ‘আমাদের দিকে লক্ষ্য করুন’ যা ভাল অর্থে ব্যবহার হয় আর খারাপ অর্থ হল ‘হে মূর্খ, হে মেষ শাবক’ এবং হিব্রু ভাষায় একটি বদদোয়া।
ইহুদীরা রাসুল সা.-কে রঈনা বলে সম্বোধন করত। যাতে প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল খারাপ অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করা। আর সাহাবি (রা.)-গণ ‘রঈনা’ শব্দের ভাল অর্থের প্রতি ইঙ্গিত করে রাসুল সা.-কে সম্বোধন করলে ইহুদীরা খারাপ অর্থ চিন্তা করে হাসাহাসি করত। এতে রাসুল সা. কষ্ট পেতেন তবুও কিছু বলতেন না। কেননা রাসুল সা. ওহী ছাড়া কোন কথা বলতেন না। যেমন কুরআন শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি ওহী ব্যতীত নিজের থেকে মনগড়া কোন কথা বলেন না’। (সূরা নজম-৩, ৪)
এর ফলশ্রুতিতে আল্লাহু তায়াল এই আয়াত নাযিল করে ‘রঈনা’ শব্দের বদলে ‘উনজুরনা’ শব্দ ব্যবহার করতে বললেন। কারণ ‘রঈনা’ শব্দ ভাল-খারাপ উভয় অর্থে ব্যবহার হলেও ‘উনজুরনা’ শব্দ শুধুমাত্র ভাল অর্থে ব্যবহার। তাই যে সকল শব্দের ভাল-খারাপ উভয় অর্থে ব্যবহার হয়, সে সকল শব্দের পরিবর্তে উপরোক্ত আয়াত মুতাবিক ওটার সমার্থক অর্থবোধক শব্দ ব্যবহার করতে হবে, যা শুধুমাত্র ভাল অর্থেই ব্যবহার হয়।
আপাতত এতটুকু লিখেই থেমে যেতাম । কিন্তু হাতে একটি নিবন্ধ থাকায় তা শেয়ার করছি ।
আশা করি এটা পড়লে মৌলবাদ সম্পর্কে আপনার ভুল ধারনা দুর হবে ।
মৌলবাদ: যে কথা বলা হয় না
( লেখক-মোহাম্মদ সালেক পারভেজ)
(কেন এই লেখা? বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াই। সে সুবাদে অনেকের অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়। জীবনে বহুবার ‘মৌলবাদ’ নিয়ে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি। ঐ সকল প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে যা পেলাম, তা নিয়েই আজকের এ লেখা। মৌলবাদের মূল-সন্ধানী এ লেখার মুখবন্ধে এটা বলতে পারি— এ যেন কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপের সন্ধান পাওয়া׀)
মৌলবাদ কোনো উর্দু, আরবি বা ফার্সি শব্দের বাংলা অনুবাদ নয় ׀ Fundamentalism একটি ইংরেজি শব্দ, যার বাংলা করা হয়েছে ‘মৌলবাদ’ শব্দটি দ্বারা ׀
মৌলবাদের জন্ম
ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় যে, শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় আমেরিকায় এবং ১৯২২ সালে׀ ১৮০০ সালের পর থেকে শুরু হয় বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের স্রোত ׀ সেই স্রোতধারায় ভেসে যাবার উপক্রম হয় খ্রিস্টধর্মের অনেক বিশ্বাস ও প্রচলিত ধারণা׀ নাস্তিক্যবাদের (aethism) প্রসার ব্যাপকতা লাভ করে ׀ তখন আমেরিকান খ্রিস্টানদের Protestant সমাজের একটি অংশ খ্রিস্টধর্মের হেফাজতের জন্য একটি আন্দোলন শুরু করে׀ এই আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন Milton এবং Lyman Stewart নামের দুই ভাই। তারা ছিলেন তেল ব্যাবসায়ী׀ তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে ৬৪ জন লেখক (যাদের মধ্যে ছিলেন পণ্ডিত, পাদ্রী এমন কি মন্ত্রীও; কিন্তু কোনো মুসলমান— অবশ্যই নয়) ধারাবাহিকভাবে ১২টি ভলিউমে খ্রিস্টধর্মের মূল বিষয়াদি বর্ণনা করেন। এই ভলিউমগুলোর নাম দেয়া হলো The Fundamentals. ধীরে ধীরে ধর্ম-কর্ম ছেড়ে দেয়া অনেক খ্রিস্টান এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয় ׀ এই মতবাদের নাম দেয়া হল Fundamentalism (মৌলবাদ) এবং এই মতবাদে যারা বিশ্বাস স্থাপন করতে লাগল তাদেরকে বলা হল Fundamentalist বাংলায় যার সরাসরি অর্থ হয় ‘মৌলবাদী’।
নিরপেক্ষ পাঠক মাত্রই অকুণ্ঠ চিত্তে স্বীকার করবেন যে, এই Fundamentalism বা মৌলবাদের উত্পত্তির সঙ্গে কোরান-হাদিস-ইসলাম-মুসলমান এবং কোনো মুসলিম দেশের দূরতম সম্পর্কও নেই׀কিন্তু এটা বড়ই দুঃখজনক এবং আফসোসের বিষয় যে, মৌলবাদের জন্মস্হান এবং সংরক্ষণাগার আমেরিকা আজ মুসলমানদেরকে মৌলবাদী বলছে এবং মুসলিম দেশসমূহে মৌলবাদ খুঁজে বেড়াচ্ছে ׀অথচ কোথাও কেউ প্রতিবাদ করারও নেই। এর প্রধান কারণ ভীরুতা এবং অজ্ঞতা ׀ এই দুটো জগদ্দল পাথরের মত দুনিয়ার সকল মুসলমান এবং মুসলিম দেশসমূহের ওপর চেপে বসেছে׀
প্রসঙ্গতঃ এ কথাটি বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, নাস্তিক্যবাদ (যা প্রতিহতের জন্য খ্রিস্টান তথা মার্কিন মৌলবাদের জন্ম) এবং ইসলামী পরিভাষায় প্রচলিত `কুফর` একই অর্থ বহন করে না׀ নাস্তিক্যবাদের (aethism) অর্থ স্রষ্টাকে অস্বীকার করা এবং যারা এই কাজ করে তাদেরকে নাস্তিক(aethist) বলে। পক্ষান্তরে ইসলামের যে কোনো বিষয়কে অস্বীকার করাকে `কুফর` বলে׀ যেমন আবু জেহেল, আবু লাহাব প্রমূখ স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা সত্বেও নিঃসন্দেহে কাফের কারণ তারা `রিসালাতে` অবিশ্বাসী ছিল׀ এই যুগেও ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক `কাদিয়ানীরা` সন্দেহাতীতভাবে `কাফের` কারণ তারা বিশ্বাস করে না যে হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল। অথচ কাদিয়ানিদেরকে কেউ নাস্তিক বলে না। আরও উদাহরণ দেয়া যায়, মুসলমানদের মধ্যে সুদ খাওয়াকে হালাল মনে করলে কেউ নাস্তিক হয় না কিন্তু সে কাফের হয়ে যায়׀
একটি ধূর্তামি
খোমেনির অনুসারী কিছু ইরানি ছাত্র ০৪-১১-১৯৭৯ ইংরেজিতে তেহরানস্থ আমেরিকান দূতাবাসে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ৬৬ জন আমেরিকানকে পণবন্দী করে׀ দিন কয়েক পরে প্রথম দফায় ১৩ জন ও পরে ১ জন মোট এই ১৪ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়׀ বাকী ৫২ জনকে ছাত্ররা দীর্ঘ সময় ধরে আটক রাখে ও বিভিন্ন দাবী-দাওয়া উত্থাপন করতে থাকে׀ এই ৫২ জন সুদীর্ঘ ৪৪৪ দিন বন্দীদশায় অতিবাহিত করার পরে ২১-০১-১৯৮১ তে মুক্তি পায়׀ ঐ সময়ে পশ্চিমা মিডিয়া খোমেনির ও ইরানের বিপ্লবের আদর্শকে `প্রচারের জন্য` ইসলামী মৌলবাদ (Islamic Fundamentalism)` পরিভাষাটি তৈরি করে׀ এ কথা সর্বজনবিদিত যে খোমেনি ছিলেন একজন কট্টর শিয়া׀ খোমেনির চিন্তা-চেতনা-মতবাদ ইত্যাদি ইসলামের শ্বাশত ধ্যান-ধারণার সাথে সাংঘর্সিক׀ সুতরাং এখানেও একথা স্পষ্ট হয়ে গেল যে, `ইসলামী মৌলবাদ` আর `দ্বীন ইসলাম` কস্মিনকালেও এক জিনিস নয় ׀
বাংলাদেশে মৌলবাদ
‘বাংলাদেশে মৌলবাদ বিস্তার লাভ করছে’ কিংবা ‘বাংলাদেশ মৌলবাদীদের দখলে চলে যাচ্ছে’ ইত্যাদি বলতে বলতে ইদানিং কিছু কিছু বিদেশি ও তাদের এদেশি বশংবদ দেশবাসীর ঘুম হারাম করে দেবার উপক্রম করেছে׀ এ কথাগুলোতে আসলে কি কোনো সত্য নিহিত আছে? এ প্রশ্নের সোজা সাপ্টা উত্তর হচ্ছে `না`׀ জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া এগুলো আর কিছুই নয় ׀ মিথ্যাচার এ জন্য বলা হচ্ছে, কারণ এদেশে জনসংখ্যার ৫% জনও খ্রিস্টান নয় ׀তাহলে এদেশে Fundamentalism বা মৌলবাদ কীভাবে বিস্তার লাভ করে? দ্বিতীয়ত খোমেনির মতবাদই (যাকে কদর্থে ইসলামী মৌলবাদ বলা হয়ে থাকে) বা কীরূপে প্রতিষ্ঠা পাবে যেখানে এদেশের মুসলমানদের ৫% জনও শিয়া নয়! এদেশে শিয়াদের কোনো মাদ্রাসা নেই; অধিকন্তু এদেশের প্রতিটি ইসলাম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (কওমী কিংবা আলীয়া) ও সেসবের নেতৃবৃন্দ শিয়াদেরকে ইসলাম হতে বিচ্যুত একটি গোমরাহী দল বলে বিশ্বাস করে। এতে কারো কোনো সন্দেহ থাকলে যে কোনো মসজিদ-মাদ্রাসার ইমাম-ওস্তাদদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখুন উনারা কী বলে। ঢাকার মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে অবস্থিত শিয়া মসজিদ ছাড়া এদেশের আর কোথাও শিয়াদের কোনো কার্যক্রম নেই׀ অতএব, ইরান কর্তৃক রফতানিকৃত তথাকথিত ইসলামী মৌলবাদ খুঁজতে হলে সর্বাগ্রে সেটা শিয়া মসজিদেই তালাশ করা উচিত׀ অথচ সেখানে সেনা-পুলিশ-র্যাব অভিযান পরিচালিত হতে কখনো শোনা যায়নি׀ এর কারণ কি অজ্ঞতা, না অনিচ্ছা— সেটা দেশের সরকারই বলতে পারবেন׀
বরং আমরা দেখি যে মৌলবাদ খুঁজতে আর মৌলবাদী ধরতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় সময়ে বিভিন্ন মাদ্রাসায় অভিযান চালায়, অনেক ক্ষেত্রে নিরীহ ছাত্র-ওস্তাদদের ধরে এনে নির্যাতন চালায়׀
সেলুকাস! সত্যিই বিচিত্র׀ যাদের আজীবন সাধনা মৌলবাদের (চাই সেটা আমেরিকার হোক কিংবা ইরানের হোক) বিরুদ্ধে, তাদেরকে অপবাদ দেয়া হয় মৌলবাদী নামে!
একটি উদাহরণ দিচ্ছি׀ ধরা যাক, বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতীব সাহেবকে অথবা মুফতি আমিনীকে অথবা চরমোনাইর পীর সাহেবকে কিংবা হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম সাহেবকে মৌলবাদী নামে অভিহিত করা হল ׀ এর মানে হচ্ছে উনারা খ্রিস্টান ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করছেন׀ প্রিয় পাঠক! এর চেয়ে আজীব বা হাস্যকর কথা আদৌ শুনেছেন কি? বরং প্রকৃত সত্য এটা, যেখানে মাদ্রাসা নেই সেখানেই মৌলবাদ বিস্তার লাভ করে ׀ প্রমাণস্বরূপ পার্বত্য চত্তগ্রামের সাজেক নামক এলাকার কথা উল্লেখ করা যায়׀ এলাকটি আজ খ্রিস্টান প্রধান যদিও বছর বিশেক আগেও তা ছিল না।
মৌলবাদী নয় মুসলমান
মৌলবাদ একটি পারিভাষিক শব্দ যার রযেছে সুনির্দিষ্ট অর্থ׀ মসজিদ-মন্দির-গির্জার অর্থ যেমন সুনির্দিষ্ট, পাদ্রী–পুরোহিতকে ইমাম সাহেব বললে যেমন ভুল হয়, যুদ্ধকে জিহাদ বলা যেমন সত্যের অপলাপ, উপবাস যেরূপ রোজা হয় না, পীর-বুজুর্গকে সাধু-সন্ন্যাসী বলা যেমন ভুল ঠিক তেমনি একজন মুসলমানকে মৌলবাদী বলে অভিহিত করা চরম অসাধুতা׀ যারা এ কাজ করে তারাই জ্ঞানপাপী׀
অনেক সময় অনেক নিষ্ঠাবান মুসলমানকেও রাগের মাথায় বলতে শোনা যায় “আমিও একজন মৌলবাদী।” যিনি একথা বলেন তিনি মৌলবাদের মানে জানেন না এবং না বুঝে নিজকে অনেক বড় মিথ্যাবাদী বানাচ্ছেন׀ একজন মুসলমানের পক্ষে নিজকে মৌলবাদী দাবি করা চরম অজ্ঞতার নিদর্শন׀ যে চুরি করে নাই সে কক্ষনো নিজকে চোর বলে স্বীকার করবে না, যতই সে রাগের মাথায় থাকুক না কেন׀ তদ্রুপ মৌলবাদের মানে জানা আছে এমন কোনো মুসলমান নিজকে কস্মিনকালেও মৌলবাদী ভাবতে নারাজ, স্বীকার করাতো দূরের কথা׀ বাস্তব হচ্ছে, মুসলমান মাত্রই মৌলবাদের বিরোধী׀
ধোঁকায় পড়ে অনেকে বলতে পারেন যে মৌলবাদী দ্বারা তারা ঐ সকল মুসলমানদেরকে বুঝাতে চাচ্ছেন যারা ইসলাম ধর্মের মৌলিক বিষয়ের প্রতি আস্থাশীল׀ এটা এক মারাতামক বিভ্রান্তি׀ এর কোনো দরকারই নেই। আর আমাদের মহান প্রতিপালকও দ্বীনের রাহবারদের কী বলতে হবে তা শিখিয়ে দিয়েছেন “কথায় কে উত্তম ঐ লোক অপেক্ষা যে আল্লাহ্র প্রতি মানুষকে আহবান করে, নেক কাজ করে এবং বলে , ‘নিশ্চয়ই আমিতো মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত ’ (৪১: ৩৩)।”
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি
লেখাটি- http://www.banglanews24.com থেকে সংগৃহীত ।
আল্লাহ সবই দেখছেন । আল্লাহই উত্তম বিচারক ।
আমি সব দল-মত-পথের মেয়েদের নিয়েই লিখে থাকি ।
আপনার সুচিন্তিত পরামর্শ আমার লেখাকে আরো সমৃদ্ধ করবে । আপনাকে ধন্যবাদ । আশা করি সাথেই থাকবেন ।
এই দেখলেন না কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের এক লোক এক জামায়াতী বোনকে কীভাবে বিয়ে করলেন ।
ভাই । ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় । সে দিকেও লক্ষ্য রাখবেন ।
জামায়াতী বোন আর খালাম্বারা তাদের শালীনতার কারণেই তারা খালাম্মা বা বোন হতে পেরেছে, তাদেরকে কেউ আপু বা ভাবী বলেনা।
পোষ্টটার মর্যাদায় ক্ষতি করেছে কিছু অপ্রয়োজনীয় ছবি এবং বিভ্রান্তিকর ছবি।
প্রথম ছবিটা রিয়েল। একই ভাবে রিয়েল তাযকিয়া বিনতে নজিব এর ছবিটাও।
প্রথম ছবির ব্যাপারে ফখরুল ভাই বা সকলের কোন আপত্তি না থাকারই কথা।
কিন্তু তাযকিয়া বিনতে নজিবের ছবির ব্যাপারে কারো আপত্তি না থাকলেও আমার আপত্তি আছে।
কিন্তু! তাযকিয়া বিনতে নজিব কি জামায়াত করে? আমার জানা মতে উনি জামায়াতের সাথে কোন সম্পর্ক নাই।
কেবলমাত্র দিগন্ত টেলিভিশনে চাকুরী করলেই কেউ জামায়াতী হয়না।
আর ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে ছবি উঠালেই কেউ জামাতী হয়ে যায়না।
তাজকিয়া বিনতে নাজিব - এর সব আত্মীয় স্বজন, এমন কি দুই ভাই ও স্বামী ছাত্র শিবির এবং জামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত ।
উপরন্তু প্রায়শই তাজকিয়া বিনতে নাজিব ফেসবুকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে জনমত গঠণ করার চেষ্টা করেন এবং জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গীকে সুকৌশলে উপস্হাপন করেন যা জামায়াত-শিবিরের নিষ্ঠাবান নেতা-কর্মীরাও করে না ।
এই লেখায় তার একটা ছবি জামায়াতের মওদুদী দর্শন তো দুরে থাক ইসলামের নীতিমালার সাথে খাপ না খেলেও তিনি আগা গোড়া জামায়াতী দৃষ্টিভঙ্গি ও মওদুদী দর্শনের ভক্ত । তিনি এক বার এক স্যাটাসে বাংলাদেশটা ইসলামী রাষ্ট্র হোক - এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন ।
আমিও তার এই আশাবাদের সাথে এক মত । তবে মওদুদী দর্শনের সাথে ইসলামের সত্যিকার মর্মবানীর অনেক পার্থক্য রয়েছে ।
= তাজকিয়া বিনতে নাজিব এর সব আত্মীয় স্বজন জামায়াতী হওয়া মানে উনিও জামায়াতী হওয়া বুঝায় না। যেমন রাশেদ খান মেনন কড়া কমিউনিষ্ট। কিন্তু উনার বোন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
- আমার ফ্রেন্ডস তালিকায় মেয়েদের এক্সেপ্ট করিনা বলে তাযকিয়া বিনতে নজিবের জামায়াত সমর্থিত স্টেটাস আমার কাছে পৌছেনি।
- জামায়াতের সমর্থকদের সংখ্যা তো অসংখ্য অগনিত। সবাইকে কি জামায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? যেমন আমি আপনার একজন সমর্থক, তাই বলে কি আপনাকে আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি?
- তাযকিয়া বিনতে নজিবের বিয়ের যে ছবিটা পোষ্ট করেছেন, তা তিনি জামায়াতী দর্শনে আসক্ত হওয়ার আগের না পরের?
রাশেদ খানের পুরো পরিবার কমিউনিস্ট মতাদর্শের । ঠিক একই অবস্হা নাজমুল হুদারও । তাদের পরিবারের সব লোক ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়ন করতো । বিএনপি হলো সব ধরনের লোকদের চিড়িয়াখানা ।
আমরা আধা শিক্ষিত মানুষ। আপনাদের জানা শোনার কাছে আমরা রীতিমতো অসহায়। কিন্তু আধা আধা জানা থেকে এইটুকু জানি যে, জামায়াত একটি ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন। যেখানে তার রুকনদের মর্যাদা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, মুমিনের স্টেটাস সম্পর্কে যদি তুলানা করা হয় একটি বহুতল ভবনের সাথে তাহেল তার সর্বোচ্চ চূড়ায় অবস্থান করছেন আম্বিয়া আ. গন। আর তার নিচে সাহাবায়ে কিরামগন। আর জামায়াতের রুকনরা সেই ভবনের সিড়ির প্রথম ধাপে পা রেখেছেন। গন্তব্য অনেক অনেক চূড়ায়। আর সেখানে কর্মী বা প্রাথমিক সদস্যদের কোন অবস্থানই নাই। তাই জামায়াতে কর্মী বা প্রাথমিক সদস্যদের কোন ভোটাধিকার নাই।
এখন কে কোথায় বাস করেন, কে কার আত্মীয়, আর কে কার পাশে বাস করেন তা না বলে খোলাসা করে বলুন যে, তাজকিয়া বিনতে নজিব কি জামায়াতে ইসলামীর মহিলা রুকন।
আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি একজন জামাতী লোক, কিন্তু আমি জামায়াতের রুকন নই।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে জীবনে অনেক অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত। আমার এই অপকর্মের কারণে কি জামায়াত দায়ী। না জামায়াতের নীতি আদর্শ অনুযায়ী না চলার কারণে আমি নিজে দায়ি এবং আমার মতো তাযকিয়ারা দায়ী।
দ্বিতীয়তঃ দূনিয়াব্যাপী এতো অপকর্ম আর বেশ্যাদের ছড়াছড়ি থাকতে আপনি তাযকিয়ার পিছনে কেন ছুটছেন?
উপর পি,এইচ,ডি করার জন্য উত্তর
আমেরিকায় আসার জন্য আমন্ত্রন।
আপনি অনুরোন,স্বপ২,এদের
কমেন্ট মুছে ফেলেছেন। কমেন্টে ভাল,মন্দ
থাকে। তাই দরকার থিক স্কিন। সহ্য করার ক্ষমতা।
যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝবে ।
পড়া শোনা করার জন্য বাংলাদেশই যথেষ্ঠ । বাংলাদেশেই বিশ্বমানের গবেষণা হয় । বাংলাদেশেই বিশ্বের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে ।
আমার যথেষ্ঠ ধৈর্য ও অধ্যবসায় আছে । এটা তো নেটে লেখেছি মাত্র । আমার এলাকায় অনেক অসভ্য আর শয়তান আছে । তাদের সাথে আমাকে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় । কর্মক্ষেত্রেও প্রতিটা মিনিট ও সেকেন্ড যুদ্ধ করি । কাজ করার চেয়ে সবাই আমি কি করি , আমি কি খাই, আমি কি বলি, আমি কি পড়ি - তা নিয়ে সবার নজর থাকে । সবাই আমাকে কথিত স্বপন১ ,অনুরণন - দের মতো লোকরা এভাবেই সম্মানিত করে যাচ্ছে । তবে সমস্যা হলো তাদের কাজ কারবার অনেক লোক পছন্দ করেন না । তারা বলেন : তাদের তুমি ভালবাস ঠিক আছে । কিন্তু তাদের মহৎ কাজগুলো তুমি স্বর্নাক্ষরে স্হান দিচ্ছো কেন ? তাদের কাজগুলো মুছে দাও । এরা প্রতিক্রীয়াশীল । তাদের অস্ত্র গালি আর খিস্তি খেউর ।
তবে আমি জামায়াতী বা ওহাবী বা আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের ধর্মবিশ্বাস ও অত্যাচারী রাজতান্ত্রীক সৌদি আরবের বাদশাহদের দালালী সম্পর্কে আমি লিখে যাবো । এব্যাপারে তারা যতই মনক্ষুন্ন হোক না কেন ।
এবং অনুরণন ভাইয়ের কমেন্ট মুছে দিয়েছেন।
আপনি যা লিখেন,তার পেক্ষাপটে কমেন্ট করা হয়েছিল। নর্থ সাউত বিশ্ব বিদ্যালয়ের ঘটনা আপনি লিখেছন। আমরা দেশের বাহিরে থাকি,এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আপনার লেখা থেকে পি.এইচ.ডি করার অর্থ হলো পিজ্জা হাট ডেলিভারী। এখানে যার যার যোগ্যতার নিরীক্ষে কাজ পেয়ে থাকে।
মানুষের ধৈর্য ও অধ্যবসায় সীমিত ।
আপনারা যারা বিদেশে আছেন এবং জামায়াত করেন তারা বাংলাদেশে যারা জামায়াত করেন তাদের স্বভাব ও চরিত্র সম্পর্কে সামান্য হলেও কম জানেন বা তাদের প্রতি অনুরাগের কারণে তাদের অনেক খারাপ কাজ আপনাদের চোখে পড়ে না ।
আমি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেখার সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নোংড়ামি বিস্তারের পেছনে জামায়াতের লোকরা জড়িত তা আমি প্রমাণ সহকারে তুলে ধরেছি ।
আমি কখনোই প্রমাণ ও যুক্তি নির্ভর তথ্য ছাড়া লেখালেখি করি না ।
কোন আত্মীয় জামায়াত করে এ ছুতোয় সন্ত্রাসী তাহের পুত্রের নাবালিকা বধূকেও আপনি জামায়াত বানিয়ে ছাড়লেন। সেলুকাস!
ফেসবুকে দেখলাম আপনি এ নিকের পাশাপাশি আরো দুটি নারী নিক ধারণ করে একই ভাষায়, একই কায়দায়, একই পদ্ধতিতে জামায়াত এর বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাহ! বেশ বেশ!!
তবে মনে রাখবেনঃ
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ [١٠٤:١]
-ধ্বংস তাদের জন্য যারা অগ্র-পশ্চাতে দোষ খুঁজে বেড়ায়।(সূরা হুমাজাহঃ আয়াত ১)।
ফেসবুকে দেখলাম আপনি এ নিকের পাশাপাশি আরো দুটি নারী নিক ধারণ করে একই ভাষায়, একই কায়দায়, একই পদ্ধতিতে জামায়াত এর বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাহ! বেশ বেশ!!
উত্তরে বলছি : আপনি যাদের কথা বলেছেন শুধু তারাই নয়, আমার অনেক ভক্ত আছেন যারা আমার লেখা পড়েন এবং আমার কথাকে গুরুত্ব দেন । আপনি কাদের কথা বলছেন জানি না । তবে আমার হিসেবে ফেসবুকেই আছেন কম করে হলেও ৫০ জন । আমি তাদের আমার একাউন্টে এড করতে চাই না । আমি তাদের বৃথা সময় নস্ট না করার পরামর্শ দিয়ে থাকি ।
আমি সঠিক ও বস্তুনিষ্ট তথ্য উপস্হাপন করছি ।
দলের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ নয় । আামদের দেশে কে কোন রাজনৈতিক পরিবারের সাথে যুক্ত তার উপর নির্ভর করে বলা হয় - সে আওয়ামী পরিবারের লোক , সে বিএনপি পরিবারের লোক । সে জামায়াতী পরিবারের লোক ।
টুডে ব্লগেই দেখেছি আলোচিত লোকের মেয়েকে বিয়ে করেছে এক শিবিরের সাথী । আর যে মেয়ের ছবি দেওয়া হয়েছে সে যদি নাবালিকা হয় - সাবালিকার সংগা কি ?
মুখ ঢেকে রাখার ব্যাপারটি জামায়াতে ইসলামী কৌশলে মেয়েদের উপর চাপিয়ে দেয় যা আমার এক আত্মীয়াই আমাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ।
জামায়াত যা করে তা শুধু মুখ ঢাকা নয় - এটা একটা স্প্রীট ।
বিষয়টা অবশ্য বুঝতে পারছেন না । কয়েক দিন আগে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছিলেন যারা জিন্দাবাদ বলেন তাদের পাকিস্তান চলে যাওয়া উচিত । তার এই কথার ব্যাখ্যায় তার বন্ধু আরাফাত টক শো-তে বলেছিলেন জিন্দাবাদ শুধু শব্দ নয় এটা স্প্রীট ।
জামায়াতের নিকাব পড়ার ব্যাপারটি শুধু মুখ ঢাকা নয় - এটা একটা পশ্চাৎপদ চিন্তা - চেতনাকে জাগ্রত করে মেয়েদের জড় পদার্থে পরিনত করে । এক সময় তারা হয়ে যায় জামায়াতী লোকদের বা তাদের স্বামীদের যৌনদাসী । তাদের মেধা-যোগ্যতা-দক্ষতা-প্রতিভা বিকাশের সব পথ রুদ্ধ হয়ে যায় । কোন জামায়াতের কোন নিকাবী কখনোই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা পুলিশের অফিসার পদে চাকুরী করার আগ্রহ পোষন তো দুরে থাক তারা এসব বিষয়ে চাকুরী করাকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাক্ষান করে থাকে । উপরন্তু এখন পর্যন্ত আমি কোন জামায়াতী নিকাবী খুজে পাইনি তাদের চোখে পড়ার মতো কোন সফলতা আছে । তারা হয় প্রচন্ড বদমেজাজী ও রুঢ় ব্যবহারের অধিকারিনী । তারা তাদের ছেলে-মেয়েদেরও প্রতিভাবান ও মেধাবী হিসেবে গড়ে তোলতে পারে না ।
সুতরাং এই ধরনের নিকাব পড়াকে কোনভাবেই শ্রদ্ধা ও ভক্তি নজরে কোন বিবেকবান মানুষ দেখতে পারে না ।
জামায়াত বাংলাদেশের জনগণের জন্য কখনোই কল্যাণকর কোন পরিনতি বয়ে আনেনি । সুতরাং আমি আগে তাদের ছাত্র সংগঠণের সাথে যুক্ত থাকি না কেন, বর্তমানে আমি আমার অবস্হান বদল করেছি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন