ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ ( পর্ব ২ )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৫ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৩৭:৪৪ রাত
এই লেখাটা পড়ার আগে প্রথম পর্বটা এক নজর দেখে নিতে পারেন এই লিংক হতে : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
রাশিয়ার সম্রাট আইভান দ্যা টেরিবল বা নিষ্ঠুর আইভান । তিনিই সর্বপ্রথম মুসলিম প্রধান ও মুসলিম শাসিত সাইবেরিয়া, ভলগা অঞ্চল এবং মধ্য এশিয়া আক্রমন করে দখল করে এই এলাকার মুসলিমদের খৃস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা শুরু করেন । তার একটা কথা খৃস্টানদের কাছে জনপ্রিয় । এই কথাটা হলো : খৃস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে ও আমার প্রতি অনুগত তাদের ধ্বংস আমার আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত চাই না । আমি চাই মুসলিমদের ধ্বংস । ইসলামের ধবংস । আমি শুধু মাত্র যুদ্ধ করি অর্থোডাক্স খৃস্টান ধর্ম প্রচারের জন্য । কথিত আছে তিনি দেশ জয় করে মুসলিম হত্যা করে বা তার বিরোধীদের হত্যা করে মাথা কেটে বিলিয়ার্ড খেলতেন । তিনি ধ্বংস করেছেন হাজার হাজার মসজিদ, মাজার, করবস্তান । তিনি কেটে নিয়েছে লাখ লাখ মুসলিম নারীর স্তন । তিনি হিজড়া করেছেন হাজার হাজার তাতার , কাজাখ ও মুগল জাতির মুসলিম ছেলেকে । কিন্তু তারপরও রাশিয়ায় ইসলাম ধর্ম স্বমহিমায় উজ্জ্বল আছে ও থাকবে ।
http://www.islam.ru/en/content/news/russian-muslims-union-provide-school-hijab-models
খৃস্টানদের ব্যর্থ ক্রসেড :
খৃস্টানরা জেরুজালেম অধিকার ও মুসলমানদের থেকে তাদের দেশগুলো উদ্দার করতে ব্যর্থ হয় । উপরন্তু খৃস্টানদের প্রধান আস্তানা কনস্টান্টিনোপল ( ইস্তাম্বুল) শহর ওসমানিয়া খলিফা ২য় মুহাম্মদ অধিকার করায় তারা আরো বেশী ইসলামবিদ্বেষী হয়ে যায় । খৃস্টানরা মুসলিমদের বড় ধরনে শত্রু হিসেবে ভাবতে থাকে ও পৃথিবী হতে মুসলিমদের বিলীন করে দেওয়ার মতবল করতে থাকে ।
কনস্টান্টিনোপল শহর মুসলিমরা দখল করায় এবং এই শহরের মালিক ও খৃস্টানদের রাজাকে হত্যাকে হত্যা করায় রাশিয়ার সম্রাট আইভান ভয় পেয়ে যায় । সে ভাবতে থাকে, পরবর্তীতে আমাকেও মুসলিমরা হত্যা করে আমার রাজ্য দখল করে নেবে এবং খৃস্টানদের ধরে ধরে বলবে :
হে অবিশ্বাসী সম্প্রদায় । তোমরা “আল্লাহ ব্যত্যিত কোন উপাস্য নেই , মুহাম্মদ আল্লাহর বার্তাবাহক” বলে মুসলিম হয়ে যাও এবং সুরা বনী ইসরাইলের ১৮ দফা কর্মসূচী গ্রহণ করে ইসলামী খিলাফতের গর্বিত নাগরিক হয়ে যাও । এতেই তোমারা দুনিয়াতে শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি পাবে । অন্যথায় তোমরা নিরাপত্তা কর দাও ।“
সে শুধু রাশিয়াই নয় বিশ্বের অনত্র মুসলিমদের প্রধান শত্রু হয়ে দাড়ায় । সে হয়ে যায় নিষ্ঠুরতার প্রতিমূর্তি । এজন্য ঐতিহাসিকরা তার নাম দেন আইভান দ্য টেরিবল । নিষ্ঠুর আইভান । এই শয়তান মুসলিম প্রধান কাজান সম্রাজ্য, অস্ট্রোখান সম্রাজ্য এবং সাইবেরিয়াসহ প্রায় ৪২ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা অধিকার করে এই এলাকার মুসলিমদের খৃস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে ।
রাশিয়ার সম্রাট কনস্টান্টিনোপলের পরাজিত খৃস্টান রাজার ভাইয়ের মেয়ে সোফিয়া প্যালিও লোগাসকে এই শয়তান বিয়ে করেন এবং তিনি নিজেকে খৃস্টানদের নেতা বলে দাবি করেন । তিনি বলেন, “আগে ইটালির রোম ছিল খৃস্টান জগতের রাজধানি । তার পতন হয়েছে । কনস্টান্টিনোপল তারপর খৃস্টানদের রাজধানি হয়েছিলো । তাও মুসলমানরা দখল করে নিয়েছে । সুতরাং রাশিয়ার রাজধানি মস্কো শহরই এখন খৃস্টানদের রাজধানী ও প্রধান আস্তানা হবে ।“
এই শয়তান মুসলিম প্রধান কাজান সম্রাজ্য ধ্বংস করে বর্তমান রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ক্রেমলিন নামক আস্তানা বানায় । এটা আজও আছে । এর মধ্যে এই শয়তান একটা গীর্জা বানিয়েছে তাতে চাদের উপর ক্রশ চিহ্ন বসিয়েছে । এর অর্থ হলো মুসলিমরা খৃস্টানদের পায়ের তলায় থাকবে ।
রাশিয়ার বিখ্যাত ক্রেমলিন প্রসাদ
রাশিয়ার কাজান শহরের বিখ্যাত কুল শরিফ মসজিদ
মুসলমানদের বিরোদ্ধে খৃস্টানদের ষড়যন্ত্র :
ফ্রান্সে নাস্তিকরা ফরাসী বিপ্লব করে ও ফ্রান্সের রাজাকে ধর্মের নামে অত্যাচার করায় ও জনগণের অধিকার যথাযথভাবে না দেওয়া হত্যা করে । ফ্রান্সে বেশির ভাগ খৃস্টানরা নাস্তিকদের প্রভাবে নাস্তিক হয়ে যায় । এর ফলে ইউরোপে নাস্তিকতা বেড়ে যায় । খৃস্টান ধর্মগুরুরা এব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে । খৃস্টান ধর্মের অবস্হান শক্তিশালী করার জন্য তারা ওসমানিয়া খিলাফতে বাস করা খৃস্টানদের সাথে যোগযোগ করে । খৃস্টান ধর্মের লোকরা ধর্মগুরুদের বলে :
“হে ধর্মের রক্ষক । আমরা ওসমানিয়া খিলাফতের মধ্যে মিল্লাত প্রথার জন্য সুখে – শান্তিতে বসবাস করছি । মসজিদের পাশাপাশি গির্জা রয়েছে । যে যার বিশ্বাস অনুযায়ী এগুলোতে প্রবেশ করে । কারো ধর্মবিশ্বাসের উপর হস্তক্ষেপ ওসমানিয়া খলিফার নীতি নয় । মুসলিম মিল্লাত, খৃস্টান মিল্লাত , ইহুদী মিল্লাত হিসেবেই জনগণ স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। যার মিল্লাতের সমস্যা তার তার মিল্লাতের প্রধানই সমাধান করেন । মিল্লাতের সদস্যগণ অপরাধ করলে তার শাস্তি মিল্লাত প্রধানই তাদের আইন অনুযায়ী বিচার করেন । ইসলাম ধর্মের লোকরা আমাদের উপর অত্যাচার করেন না ।”
খৃস্টানদের ধর্মগুরুরা তাদের বল্লেন :
“হে তিন সৃস্টিকর্তায় বিশ্বাসীবৃন্দ । তোমরা প্রভু যিশুর সুসমাচারে সঠিকভাবে বিশ্বাসী নও । আমরা বার বার মুসলিমদের সাথে ক্রসেড করে হেরে যাচ্ছি আর মুসলিমরা আমাদের সাথে জিহাদ করে জয়ী হয়ে যাচ্ছে । তোমরা বাইবেলে বর্ণিত পৃথিবীর শেষ জামানার আলামত সম্পর্কে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নও বলে মনে হচ্ছে । তোমরা কি জানো না ধর্মের বিলীন হওয়ার জন্য কারা দায়ী হবে । সুতরাং প্রভু যিশুর সুসমাচার প্রচারে ব্রতী হও আর মুসলিম দেশ ধ্বংস করা ও দুর্বল করাই হোক তোমাদের প্রধান ব্রত । কারণ ইশ্বর পুত্র তোমাদের পাপ বয়ে নিয়ে স্বর্গারহন করেছেন এবং তোমাদের নাজাত সুসম্পন্ন হয়েছে । ”
এসব কথা বলে খৃস্টান ধর্মগুরুরা কীভাবে মুসলিমদের অপদস্ত করতে হবে ও মুসলিমদের ঈমানহারা করতে হবে তার পরামর্শ দেন । এর পর থেকে খৃস্টানরা ওসমানিয়া খিলাফাতের বিরোদ্ধে খৃষ্টানরা ষড়যন্ত্র করতে থাকে ।
মুসলিমদের অদুরদর্শীতা ও অমুসলিমদের অন্তরের বন্ধু বানানোর খারাপ প্রভাব :
অমুসলিমরা কখনোই মুসলিমদের অন্তরের বন্ধু হতে পারে না । ওসমানিয়া খিলাফতে খৃস্টানরা মুসলিমদের বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্র করলেও মুসলিমরা এই বিষয়টিকে মোটেও গুরুত্ব দেয়নি । এরফল হয়েছিলো মারাত্মক ।
মুসলিমদের উচিত ছিল তখন নিচের কাজগুলো করা । কিন্তু তারা তা করেনি :
১. সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র তৈরী ও বানানোতে গবেষণা না করা :
রাসুল সা. এর উপদেশ : হে মুসলিমরা । তোমরা তোমাদের শত্রুদের চেয়েও উত্তম অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত থাকবে । কারণ আল্লাহ বলেছেন : তোমরা যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সদা সতর্ক থাকবে ।
এসব কথা মুসলিমরা ভুলে গিয়েছিলো । কারণ ওহাবী-সালাফী ধর্ম ব্যবসায়ীরা বলতো : নতুন কিছু করা বিদাত । কারণ রাসুল সা. যা করেননি । তাই বিদাত । সব বিদাতই পরিতাজ্য । আর বিদাতের পরিনাম জাহান্নাম ।
মুসলিমরা যে তখন ওহাবী-সালাফী ধর্ম ব্যবসায়ীদের কারণে মুসলিমরা কত বড় আহম্মক হয়ে গিয়েছিলো তার একটা উদাহরণ দিচ্ছি ।
মিসরের শাসক আশরাফ তুমান বে মামলুকীর কাছে পর্তুগালের কিছু ব্যবসায়ী বারুদ-বন্দুক-কামান বিক্রি করতে আসেন । আশরাফ তুমান বে মামলুকীর অধীনে ছিল তখন মক্কা-মদিনা । পর্তুগালের ব্যবসায়ীরা বল্লেন :
“হে মুসলিম নৃপতি । হে ইসলাম ধর্মের রক্ষক । হে ইসলামের পবিত্র স্হানদ্বয়ের রক্ষক । আপনার জন্য আমরা নতুন যুদ্ধাস্ত্র উপহার স্বরুপ এনেছি । আমাদের উপহার গ্রহণ করে আমাদের সম্মানিত করুন । এসব ব্যবহার করের বহুদুর পর্যন্ত লোহার গোলা নিক্ষেপ করে দুর্গ ভেঙ্গে চুরমার করে দেওয়া যায় । এসব দেশ জয়ের জন্য খুবই কাজের হবে ।“
মিসরের শাসক আশরাফ তুমান বে মামলুকী পর্তুগালের কিছু ব্যবসায়ী বল্লেন : “হে সুদুর ইউরোপের প্রান্ত হতে আগত ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ! আমার হৃদয়ের অন্তস্হর হতে শুভেচ্ছা ও প্রীতি গ্রহণ করুন । তোমাদের সমোজদারী ও অস্ত্রবিদ্যার জ্ঞান-গর্ভ কথায় আমি আহ্লাদিত ও প্রীত । তোমাদের অবশ্যই সম্মানিত করে সম্মানী প্রদান করা হবে । কিন্তু । ”
পর্তুগালের ব্যবসায়ীরা বল্লেন : কিন্তু কি ?
ওহাবী ধর্মব্যবসায়ী ও শাহবাগী উলামা সম্প্রদায়
মিসরের শাসক আশরাফ তুমান বে মামলুকী বল্লেন : আল্লাহর বার্তাবাহক মুহাম্মদ সা. বারুদ-কামান-বন্দুক ব্যবহার করেননি । তাছাড়া আমাদের ওহাবী হুজুরা বলছেন যে, এসব ব্যবহার করা বিদাত । আর বিদাত মাত্রই পরিতাজ্য ও গুনাহের কাজ । সুতরাং তোমাদের বারুদ-বন্দুক আর কামানের প্রয়োজন নেই ।
ওহাবীদের মস্তিকের ব্যবহার ।
পর্তুগালের ব্যবসায়ীরা এসব কথা শুনে চলে গেলেন এবং তারা বল্লেন অচিরেই আশরাফ তুমান বে মামলুকী সমূলে বিনাস হয়ে যাবেন তার বদলে অন্য জাতি তার দেশ দখল করে নিবে । তার কিছু দিন পরই ওসমানিয়া খলিফা সেলিম মিশর রারুদ-বন্দুক-কামান ব্যবহার করে আশরাফ তুমান বে মামলুকীর দেশ মিশর ও হিজাজ (মক্কা-মদিনা) অধিকার করেন এবং মক্কা-মদীনার তত্ত্বাবধায়ক উপাধিতে ভুষিত হন ।
ওসমানিয়া খলিফা সেলিম পর্তুগীজদের হতে রারুদ-বন্দুক-কামানের প্রযুক্তি হস্হগত করে একে একে খৃস্টানদের রাজ্যগুলো অধিকার করতে থাকেন । আর না জানি তারা প্রভু যিশুর ধর্ম পৃথিবী হতে বিলীন হয়ে যায় এই ভয়ে খৃস্টানরাও ভীত হয়ে যায় । তখন অনেক খৃস্টান ছেলে ভয় পেয়ে নুনু কেটে ফেলে মেয়ে বা হিজাড়া হয়ে যায় । কারণ মেয়ে আর হিজাড়াদের খৃস্টান ধর্ম মতে অপবিত্র এবং তাদের জন্য ধর্ম যুদ্ধ আবশ্যক নয় । অপর দিকে ইসলাম ধর্মে ইসলাম ধর্মের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ও ইসলাম ধর্ম বিস্তার করার জন্য জিহাদ বা অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করা ছেলে-মেয়ে-হিজড়া নির্বিশেষে সবার জন্য ফরজ ইবাদত বলে স্বীকৃত ।
চলবে
সম্মানিত ভাই ও দোস্ত !
সম্মানিত বোন ও খালাম্মা !
আমার হৃদয়ে অন্তস্হল হতে সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন ।
আমার লেখা যদি ভাল লাগে আমার জন্য আপনারা দুয়া করবেন । প্রচন্ড পড়াশোনা করে আমি লেখালেখি করে থাকি । শুধুমাত্র আপনাদের কাছে ইসলামের সত্যিকার মর্মবানীর সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ।
কিন্তু ইদানিং বিপথগামী মুসলিম আমাকে ক্রমাগত হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন যাতে আমি কোনক্রমেই নেট ব্যবহার না করি এবং মসজিদে যাতায়াত না করি ।
তাদের অনেকে আমাকে প্রকাশ্যেই হত্যার হুমকি দিয়েছেন এবং আমার বিয়ে পর্যন্ত ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য তারা হেন কাজ নেই করছেন না । । আমি অত্যন্ত ধৈর্যশীল হওয়ায় আমি তাদের সাথে বিনয়ী আচরণ করে যাচ্ছি এবং আমি তাদের সত্যিকারভাবে ইসলামের আদর্শকে ধারণ করার আহবান জানাচ্ছি ।
আর কিছু লোক এই ব্লগে আর ফেসবুকে আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলে যাচ্ছে । আর কুচ্ছিত ভাষায় মন্তব্য লিখে যাচ্ছেন । অথচ তারা এক সময় প্রচন্ড ভদ্র ও অমায়িকভাবেই এই ব্লগ সাইটে মন্তব্য লিখতেন । এই ব্যাপারে সবাইকে বিনয়ী ও নম্র হওয়ার আহবান জানাচ্ছি । অন্যথায় আল্লাহ আমাদের সবাইকে হাসরের মাঠে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বিনষ্ট করার জন্য পাকড়াও করবেন ।
সবাইকে আমার জন্য এবং আমার বিরোধী মুসলিম ভাই-বোনদের জন্য দুয়া করার জন্য অনুরোদ করছি ।
আমি চাই আপনাদের প্রেম,ভালবাসা,প্রীতি,শ্রদ্ধাঞ্জলি ও স্নেহ ।
আল্লাহই সব । বাকি সব মিথ্যা ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবিন ।
বিষয়: বিবিধ
৩২৩২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন