ওহাবী কারা ? সালাফি কারা ? আহলে হাদিস কারা ? মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব কে ? সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল কারা ? ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে কারা ? মুসলমানদের মধ্যে সদ্দবেশী ইসলামের দুষমন করা ? ( ১ম পর্ব )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৩ আগস্ট, ২০১৪, ১১:০৭:১৭ রাত



ওহাবীদের খলিফা (বাদশাহ) আব্দুল্লাহর বেগানা মহিলার সাথে আবেগময় মুহুর্ত

সূচনা :

ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সন্ত্রাসী ও জঙ্গী দল হলো খারেজী সম্প্রদায় । এর উৎপত্তির কয়েক শতাব্দী পর সিরিয়ার অধিবাসী ইবনে তাইমিয়ার আরেকটি চরমপন্থী দল সৃষ্টি করেন। প্রথমদিকে তারা হাম্বলী মাযহাবের লোক বলে পরিচয় দিতো । পরে তাদের ধর্মবিশ্বাস ও সন্ত্রাসের কারণে ইবনে তাইমিয়া ও তার অনুসারীদেরকে মুসলিম শাসকরা ইসলাম বহির্ভুত সম্প্রদায় বা মুরতাদ বলে ঘোষণা করেন। এ প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত মুসলিম পর্যটক ইবনে বতুতা লিখেছেন,”-একদা দামেস্কের জামে মসজিদে ইবনে তাইমিয়া ঘোষণা করেছিল- আল্লাহ আসমান হতে জমীনে নামেন, ঠিক যেভাবে আমি নেমে যাচ্ছি বলে ইবনে তাইমিয়া মিম্বর থেকে নেমে পড়ে। (নাঊযুবিল্লাহ) আল্লাহ পাক মানবসুলভ আকৃতি বিশিষ্ট মতবাদের একজন দৃঢ় বিশ্বাসী হিসেবে সে কুখ্যাত।“



ওহাবীদের মরহুম খলিফা (বাদশা) ফাহাদের অপবিত্র মুহুর্তে একাংশ

“উমর ইবনুল খত্তাব (রা.) জীবনে বহু ভুল করেছেন। আলী (রা.) জীবনে তিনশো ভুল করেছিলেন। (নাঊযুবিল্লাহ) – এধরনের অসংখ্য মন্তব্য করায় ইবনে তাইমিয়াকে কয়েক বার কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় । কারাগারেই ২৭শে সেপ্টেম্বর ১২২৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন । তার মৃত্যুর পর তার ভ্রান্ত মতবাদ বিলীন হতে যাচ্ছিলো । কিন্তু ইমাম ইবনে তাইমিয়ার সেই ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বের মুসলিমদের কাছে নতুনভাবে উপস্হাপন করেন আরবের নজদ প্রদেশের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল । তার প্রবর্তিত মতবাদকেই ওহাবী মতবাদ বলা হয় । তার অনুসারীদের বলা হয় ওহাবী । বিভিন্ন দেশভেদে ওহাবীরা বিভিন্ন নামে পরিচিত । সৌদি আরব ও মিসরে সালাফি নামে ওহাবীরা পরিচিত । বাংলাদেশে ওহাবীরা নিজেদের আহলে হাদিস বলে পরিচয় দেয় । কিন্তু সাধারণ মুসলিমরা তাদের এই নাম ঘৃনা ভরে প্রত্যাক্ষ্যান করে তাদের লামাযহাবী, গায়রে মুকাল্লিদ, রাফাদানী,মওদুদী, সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল বা সোদা ইত্যাদি অভিধায় ভুষিত করেছে । (এই নামগুলোর সঠিক অর্থ ও তাৎপর্য পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করা হবে । )



ওহাবী মতবাদ সম্পর্কে ঐতিহাসিক আব্দুল মওদুদদের অভিমত :

ঐতিহাসিক আব্দুল মওদুদ এ প্রসঙ্গে লিখেন- “ইবনে তাইমিয়ার প্রায় চারশো বছর পরে ইবনে আব্দুল ওহাবের (১৭০৩-১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দ) নেতৃত্বে যে ওহাবী মযহাব প্রতিষ্ঠিত হয়। তার মৌলিক নীতিগুলি ইবনে তাইমিয়ার শিক্ষা থেকেই গৃহীত হয়েছে এ বিষয়ে কোন মতবিরোধ নেই। যার উদ্ভব প্রসঙ্গে খোদ হাদীছ শরীফ-এ ভবিষ্যৎবাণী উচ্চারিত হয়েছে যা বুখারী শরীফ-এর ২য় খন্ডের - ১০৫১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসুল ( সা.) দুয়া করলেন- “হে আল্লাহ ! আমাদের সিরিয়া এবং ইয়ামেন দেশে বরকত দান করুন। তখন সাহাবাগণ বল্লেলন, রাসুল ( সা.)দুয়া আমাদের নজদের জন্যও দুয়া করুন। রাসুল ( সা.) সিরিয়া এবং ইয়ামেনের জন্য পুনরায় বরকতের দুয়া করলেন। সাহাবাগণ আবারো নজদের জন্য বরকতের দুয়া করার আরজী পেশ করলে রাসুল (সা.) নজদের জন্য দুয়া করতে অস্বীকার করলেন এবং বললেন, “আমি নজদের জন্য কি করে দুয়া করতে পারি? সেখানেতো ভূমিকম্প, ফিতনা-ফাসাদ এবং শয়তানী দলের উৎপত্তি হবে।”

মূলত রাসুল (সা.)এর ভবিষ্যতবাণী অনুযায় ১৭০৩ সালে আরবের নজদ প্রদেশের উয়াইনা অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাব ।



ওহাবী মতবাদের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব এর বেড়ে ওঠা ও কর্মকান্ড :


মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব তামিম গোত্রের বানু সিনান বংশের লোক ছিলেন । হাম্বলী মাযহাবপন্থী আলিম পিতার ঘরে লালিত-পালিত হলেও পরিণত বয়সে সে নিজেকে অধিকতর খাঁটি আলিম দাবি করেন । বিভিন্ন ধরনের নতুন ধর্ম বিশ্বাস ও বিকৃত মতবাদ প্রচার ও প্রবর্তন করতে আরম্ভ করেন ।

মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ-এর তৎকালীন আলিমগণ এমনকি স্বয়ং তার পিতা ও ভাই এই অশুভ তৎপড়তার বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করে তাকে অপদস্থ ও অপমানিত করেন এবং তাকে তার স্বদেশ হতে বহিস্কার করেন । তারপর সে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের সহযোগিতায় এই অশুভ কাজকে চালু রাখলো । সে কীভাবে এই অশুভ কাজকে মুসলিম সমাজে প্রচার ও প্রসার করতে তার রহস্য প্রকাশ পেয়েছে তৎকালীন ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের Memoirs of Hempher নামক গ্রন্থে ।



Confession of British Spy and British enmity against Islam - এর বাংলা অনুবাদ

Memoirs of Hempher নামক গ্রন্থে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব সম্পর্কে কোন ধরণের তথ্য আছে ? :

শয়তান যে মানুষকে নেক সুরতে ধোকা দেয়, এ বিষয়টি ভালভাবে অনুধাবন করেছিল শয়তানের অনুচর ইহুদী এবং খৃষ্টানরা। মুসলমানদের সোনালী যুগ এসেছিল শুধু ইসলামের পরিপূর্ণ অনুসরণের ফলে। শয়তানের চর ইহুদী খৃষ্টানরা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ, অনৈক্য, সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই ইসলামের জাগরণ এবং বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নতুন মতবাদ প্রবেশ করিয়ে। শুরু হয় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা যার মূলে থাকে খৃষ্টীয় বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদ। জন্ম হয় ওহাবী মতবাদের। ওহাবী মতবাদ সৃষ্টির মূলে থাকে একজন বৃটিশ গুপ্তচর- হ্যাম্পার।



মিশর, ইরাক, ইরান, হেজাজ ও তুরস্কে তার গোয়েন্দা তৎপরতা চালায় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার জন্য। বৃটিশ গোয়েন্দা হ্যাম্পার তুরস্কের শায়খ ইফেন্দীর নিকট ছদ্ধবেশী মুসলমান সেজে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ চর্চা করে মুহম্মদ বিন আব্দুল ওহাবের একান্ত বন্ধু ও সহযোগী হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল। দ্বীন ইসলামের বিভিন্ন মৌলিক বিষয় নিয়ে তাদের (উভয়ের) মধ্যে যে আলাপ-আলোচনা হয়, তা হ্যাম্পার তার ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করে। বৃটিশ গোয়েন্দা হ্যাম্পারের উক্ত ডায়েরীটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যখন জার্মানীর হস্তগত হয়, তখন জার্মান পত্রিকা ইসপিগল তা "Memoirs of Hempher, The British Spy to The Middle East" শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে। এতে বৃটিশদেরকে বিশ্ব সমাজের কাছে অত্যন্ত লজ্জিত হতে হয়। ডায়েরীটি ফরাসী পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়। জনৈক লেবাননী বুদ্ধিজীবী তা আরবীতে অনুবাদ করেন।

তুরস্কের ওয়াকফ্ ইখলাছ প্রকাশনা হ্যাম্পাররের স্বীকারোক্তি মূলক উক্ত ডায়েরীটি "Confession of British Spy and British enmity against Islam" নামে গ্রন্থাকারে ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করে। হ্যাম্পারের স্বীকারোক্তির তুর্কী অনুবাদ এবং লেখক এম. সিদ্দিক গূমূজের ব্যাখ্যা মিলিয়ে ইংরেজীতে এটি প্রকাশিত হয়।

সেই বইয়ের প্রথম অনুচ্ছেদ হতে বৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দীর বঙ্গানুবাদ তুলে ধরা হয়েছে এই ব্লগে : http://www.somewhereinblog.net/blog/TUSHARZIA/29011982 যে বা যারা এই বই নেটেই পড়তে আগ্রহী তারা এই লিংক ধরে অগ্রসর হোন । অথবা এর বাংলা অনুবাদ

“এক ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়েরি (ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত)”

লেখক (অনুবাদক) – এ. জে. এ. মোমেন

প্রকাশক – জ্ঞানকোষ প্রকাশনি , বাংলাবাজার , ঢাকা হতে সংগ্রহ করে পড়ুন ্

মূল্য – ৮০ টাকা ।



মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব-কে কেন ব্রিটিশরা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ব্যবহার করেছিলো :


বর্তমানের আরব উপদ্বীপের প্রায় পুরোটাই ছিল ওসমানিয়া খিলাফতের অধিকারে । আর মক্কা শরিফ ও মদিনা শরিফ যে এলাকায় অবস্হিত তা হিজাজ প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল ।

মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের আবির্ভাবের সময়ে ব্রিটিশরা হিজাজে সরাসরি নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারছিল না । কারন ফ্রেন্চ ও জার্মান দুই বিদেশি শক্তিই নজর ছিল হিজাজের দিকে । ফ্রেন্চরা দখলে ব্যার্থ হলে ব্রিটিশরাও আর সরাসরি আগায়নি । আগালেই ফ্রেন্চ ও জার্মানদের সাথে সংঘাতে যেতে হত । কারণ জার্মানী ছিল ওসমানিয়া খিলাফতের সাহায্যকারী ও বন্ধু । ফলে রাজনীতি আরো জটিল আকার ধারন করত । সেজন্য ওই এলাকা দখলের জন্য বা এই এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য তাদের দরকার ছিল এমন একজন লোকের যে মুসলমান নামধারী ও সরাসরি খিলাফাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে । এতে ব্রিটিশরা স্রেফ অস্ত্র ও রসদ সাহায্য দিয়েই হিজাজ দখল করতে পারবে বা আরব বিশ্বে প্রভাব বিস্তার করে ওসমানিয়া খিলাফাতকে ধ্বংস করতে পারবে ।

ব্রিটিশ কমনওয়েলথ মন্ত্রনালয় থেকে তখন ওসমানিয়া খিলাফাতের বিরুদ্ধে প্রায় শতবর্ষব্যাপী প্লান অনুযায়ী প্রচুর গুপ্তচর মুসলমানদের মধ্যে পাঠানো করা হয়েছিল । তাদেরই একজন ছিল ব্রিটিশ এজেন্ট হ্যামফার । তার কর্মক্ষেত্র ছিল হিজাজ ( মক্কা-মদিনা-জেদ্দা )এবং উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের মধ্যেকার ফাটলগুলি বের করে তা ব্রিটিশদের জন্য কাজে লাগানো ।

এই ব্রিটিশ এজেন্ট হ্যামফারেরেই আবিষ্কার এবং ফিনিশড প্রডাক্ট হল নাজদ প্রদেশের মুহাম্মদ ইবনে আব্দুর ওয়াহ্হাব । সেই ওহাবী মতাবলম্বীরাই আজকে সৌউদ বংশ প্রতিষ্ঠা করে রাসূল (সা) - এর পবিত্র জন্মস্হান ও খিলাফাতের জন্মস্হানকে কব্জা করে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করেছে।

বিট্রিশ গুপ্তচর হ্যাম্পাররের স্বীকারোক্তিমূলক গ্রন্হটা কি লেখা আছে ? :

উক্ত স্বীকারোক্তিমূলক গ্রন্থ থেকে প্রতীয়মান হয়, মূলতঃ শয়তানের চর ইহুদী-নাছারারা বুঝতে পেরেছিল মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ অনৈক্য ও সংঘাত সৃষ্টি করতে পারলেই দ্বীন ইসলামের পুনর্জাগরণ ও বিশ্বশক্তি হিসেবে মুসলমানদের উত্থান ঠেকানো যাবে। আর তা করতে হবে ইসলামের মধ্যে ইসলামের নামে নিত্য নতুন মতবাদের প্রকাশ ঘটিয়ে। ক্রুসেড যুদ্ধের পর থেকে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের আধিপত্য থাকাকালীন এ বিষয়ে পরিকল্পনার বাস্তবায়নে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ১১২২ হিজরী মুতাবিক ১৭১০ ঈসায়ীতে লন্ডন থেকে উক্ত ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারকে আরো ৯ জন গুপ্তচরসহ মিশর, ইরাক, হিজাজ এবং তুরস্কে পাঠানো হয় যাতে করে অতিসত্বর মুসলমানদের মধ্যে চরম ফিতনা-ফাসাদের সূত্রপাত করা যায়।

গুপ্তচরবৃত্তি চলাকালীন ইরাকের বসরায় ইবনে ওহাব নজদীর সাথে হেমপারের প্রথম সাক্ষাত এবং ঘনিষ্ঠতা সৃষ্টি হয়। হেমপার উক্ত গ্রন্থে স্বীকার করে বলেছে যে, “ঐ সময়ই মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের বিভ্রান্তিকর স্বভাব চরিত্র দেখে তাকেই আমাদের (ইহুদী-নাছারাদের) ইচ্ছা পূরণের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি বলে মনোনীত করি। এক পর্যায়ে তাকে গোপনে মদ্যপানে অভ্যস্ত করি এবং মুতা বিবাহেও আবদ্ধ করি।” নাঊযুবিল্লাহ

মুহাম্মদ ইবনে ওয়াহ্হাব সম্পর্কে আরো তথ্য যা পরের পর্বে পড়ার জন্য কাজে লাগবে :

সে ছিল বনু তামিম গোত্রের । তার পূর্বপুরুষ ছিল ইহুদী । তার জন্ম হয় উয়াইনিয়া গ্রামে, নজদ প্রদেশের হুরাইমিলা শহরের পার্শ্বে । তার মৃত্যু হয় ১৭৯২ সালে।

প্রথমে সে ব্যবসার উদ্দেশ্যে ইরাকের বসরায় যায়। পরে ইরান, ভারত, দামেস্কেও ভ্রমণ করে। সেখানে সে “নজদের শায়খ” নামে নিজেকে পরিচয় দিত।

সে ছিল অত্যন্ত চতুর। মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে অনেক কিছু শেখে এবং একজন নেতা হবার স্বপ্ন পোষণ করে। ১৭১৩ সালে তার সাথে পরিচয় হয় ব্রিটিশ গুপ্তচর হেমপারের।

গুপ্তচর হ্যামপার এই ওহাবী নজদীর নেতা হবার অভিলাষ বুঝতে পেরে তার সাথে দীর্ঘ সময়ের জন্য সখ্যতা গড়ে তোলে। ব্রিটিশ উপনিবেশ মন্ত্রণালয়ের শেখা অনেক পদ্ধতি এবং মিথ্যা তার উপর সে প্রয়োগ করে। হ্যামপার মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের মধ্যে সব সময় ইসলাম ধর্মের নতুন অপব্যাখ্যা শুনতে পেত এবং তার মধ্যে ভিন্ন চিন্তার এক শায়খ হবার সম্ভাবনা দেখতে পেত।

মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব নজদে ফিরে এসে গ্রামের লোকদের জন্য ধর্মের বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিন্ন চিন্তার বিভিন্ন লেখা লিখতে থাকে। সে মুতাযিলা সম্প্রদায় এবং ব্রিটিশ গুপ্তচরের কাছ থেকে যা শিখেছিল তার উপর সে লিখতে ও বলতে থাকে।

গ্রামের লোকজন এবং তাদের প্রধান ইহুদী মোরদাখাই-এর বংশধর মুহম্মদ বিন সউদ তাকে অনুসরণ করতে থাকে। আরবদের কাছে বংশ পরিচয় ছিল অনেক বড় । কিন্তু যেহেতু সে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য গোত্রের ছিল না তাই সে মুহম্মদ বিন সউদকে তার মত প্রচারে ব্যবহার করতে শুরু করে। যার নাম দেয় সে ওহাবী মতবাদ।

সে নিজেকে কাজী এবং মুহম্মদ বিন সউদকে বাদশাহ হিসেবে পরিচয় দিত। তারা দু’জন পরবর্তিতে চুক্তিতে আসে যে তাদের সন্তানরা তাদের পরে ক্ষমতায় আসবে। এ চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইবনে আব্দুল ওহাবের কন্যাকে বিন সউদের পুত্রের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। ১১৫০ হিজরীতে অর্থা ১৭৩৭ সালে আব্দুল ওহাব নজদীর ওহাবী মতবাদ একটা রাজনৈতিক রূপ লাভ করে সমগ্র আরবে ছড়িয়ে পড়ে ।



সৌদি আরবে কীভাবে রাজতন্ত্র কায়েম হলো এবং ওহাবীরা কীভাবে সন্ত্রাসী কাজ করে - তা জানার জন্য সৌদি রাজবংশের এই বংশ তালিকা কাজে লাগবে পরের পর্বগুলো ভাল ভাবে অনুধাবন করার জন্য প্রয়োজন হবে ।

আরো তথ্য :

Muhammad ibn ʿAbd al-Wahhab (Arabic: محمد بن عبد الوهاب‎; 1703 – 22 June 1792)[3] was an Arabian Islamic scholar and founder of the Islamic movement, or "mission" of "Wahhabism".[4] His pact with Muhammad bin Saud helped to establish the first Saudi state[5] and began a dynastic alliance and power-sharing arrangement between their families which continues to the present day in the Kingdom of Saudi Arabia.[6]

http://en.wikipedia.org/wiki/Muhammad_ibn_Abd_al-Wahhab

Muhammad ibn Saud (Arabic: محمد بن سعود ‎) (d. 1765), also known as Ibn Saud, was the emir of Al-Dir'iyyah and is considered the founder of the First Saudi State and the Saud dynasty, which are technically named for his father – Saud ibn Muhammad ibn Migrin. Ibn Saud's family (then known as the Al Migrin) traced its descent to the tribe of 'Anizzah but, despite popular misconceptions, Muhammad ibn Saud was neither a nomadic bedouin nor was he a tribal leader. Rather, he was the chief (emir) of an agricultural settlement near modern-day Riyadh, called Diriyyah.[1] Furthermore, he was a competent and ambitious desert warrior.[1]

http://en.wikipedia.org/wiki/Muhammad_bin_Saud



First ruler of the House of Saud

The first ruler of the First House of Saud was Muhammad bin Saud (forebear of the present rulers). He started as ruler of Ad-Dar'iyah, where he joined forces with Sheikh Muhammad bin Abdul Wahhab, the eminent religious leader, in what could be called the first alliance.

Muhammad bin Saud concluded an agreement with Imam Muhammad bin Abdul Wahhab that together they would bring the Arabs of the peninsula back to the true faith of the Islamic religion. They confirmed this agreement with an oath in 1744 (1157 AH).

http://ibnsaud.info/main/9451.htm

( চলবে )



আরো জানার জন্য পড়তে পারেন :


১. ব্রিটিশ গোয়েন্দা হামফ্রের

Memoirs of Hempher, The British Spy to The Middle East

এর বাংলা অনুবাদ

“এক ব্রিটিশ গোয়েন্দার ডায়েরি (ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত)”

লেখক – এ. জে. এ. মোমেন

প্রকাশক – জ্ঞানকোষ প্রকাশনি

মূল্য – ৮০ টাকা ।

২. ওহাবী আন্দোলন

লেখক - আব্দুল মওদুদ

প্রকাশক – আহমদ পাবলিশিং হাউজ

মূল্য - ১৮০ টাকা

৩.

সুন্নী, ওহাবী, রেজভী পরিচিতি

লেখক - মাওলানা নুরুল আমীন আউলিয়াপুরী

প্রকাশক – আনোয়ার লাইব্রেরী

মূল্য – ৯০ টাকা ।

আরো জানার জন্য দেখুন এসব লিংক :

১. বৃটিশ গুপ্তচরের

স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বৃটিশ ভূমিকা-১

http://www.somewhereinblog.net/blog/TUSHARZIA/29011982

২. ওয়াহ্যাবি মতবাদ কি ও কারা ?

http://prothom-aloblog.com/posts/84/105683

৩ মৌলবাদের বিশ্বায়ন' নামক বইয়ে 'হামফ্রের তবলীগ

বিষয়: বিবিধ

২২৮৪৩ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

250611
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:০৮
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা লিখেছেন : ভাই, সৌদি কি ওহাবী ড়াষ্টড়ো?
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:২৮
194818
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । ভাই । এই দেশ হতেই ওহাবী মতবাদ প্রচার হওয়া শুরু হয় । ভাল করে লেখাটা পড়ুন । সামনের পর্বগুলোতে আরো তথ্য পাবেন । আশা করি সাথেই থাকবেন ।


আর আমার এই লেখাগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন সৌদি আরব রাজতান্ত্রিক অত্যাচারী শাসকরা ইসলামের নাম ব্যবহার করে এবং মুসলিমদের ধর্মানুভতি ব্যবহার করে দিনের পর দিন অবৈধভাবে শাসন ক্ষমতা ব্যবহার করে মুসলিম বিশ্বকে দ্বিধা-বিভক্ত করে রেখেছে ।

আমার এসব লেখা পড়ুন , তাহলে অনেক বিষয় আপনার স্পস্ট হয়ে যাবে -

১. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50510
ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম
২. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50358
ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )
৩. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/49624
সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসকদের উৎখাত করা মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব
৪. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/42639
মুসলিম অস্তিত্ববিরোধী ও ইসলামবিনাশী ইসরাইল ও ভারতের স্বাধীনতা লাভে সৌদি আরবের প্রধান ভুমিকা এবং মিশরের ইসলামী গণতান্ত্রিক সরকার উৎখাতে সৌদি আরব ও ওহাবী ধর্মব্যবসায়ীদের কার্যক্রম ( ১ম পর্ব )
৫. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/32530
রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় ধর্ম বিশ্বাস হলো ওহাবীবাদ ও সেক্সীজম (১ম পর্ব)
৬. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/27711
ইসলাম ও মানবতার দুষমণ এবং ইসলামবিনাসী শক্তির তাবেদার সৌদি রাজপরিবারের ইতিহাস
৭. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/13231
রাজতন্ত্র ইসলামে হালাল বিশেষ করে সৌদি আরবের জন্য (৯৯% কপি পেস্ট)
৮. http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1209#.U96ox6N3zSk
সৌদি আরবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের উপর চলছে অত্যাচার ( নিউজপোস্ট )


250634
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০১:৪১
সজল আহমেদ লিখেছেন : এইখানে আইজকা একটারে ধরছি ভাই[আহলে বাইয়াতের]
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/8276/sajalahmed/50576
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:৫৫
194847
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । লেখাটা দেখেছি । বিষয়টা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ।
বিষয়টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
250640
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৪:২৪
স্বপন২ লিখেছেন : ইবনে তাইমিয়ার পায়ের ধুলার জ্ঞান রাখেন না।
নিজকে পন্ডিত মনে করেন।
০৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৬:১৭
194855
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমি নিজেকে পন্ডিত মনে করি না ।
আপনার উচিত পোস্টে কোন ভুল ও মিথ্যা তথ্য থাকলে তা উপস্হাপন করা ।
250673
০৪ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০০
সুন্দরের আহবান লিখেছেন : লেখাগুলো এমন যেমন আল্লাহ কুরআনে বলেছনে ‌‌'' তোমারা নামাযের কাছেও যেও না'' এর পরের অংশ বলে না। মুহাম্মদ এর দাদার নাম ছিল আবদুল ওয়াহাব-সৌদী রাজ পরিবার কখনোই 'মুহাম্মদ'এর আন্দোলনকে সমর্থন করে ন। বরং যে ব্যাক্তিই তার সংস্কার আন্দোলনকে সমর্থন করেছে হয় তাকে জেলে পুরছেে- না হয় তাকে দেশ থেকে বিতারিত করেছে। এ লেখাটি এমন একটি লেখা যাতে বোঝা যায় ইসলামের দুশমনরা তাকে প্রচুর মাল মসলা সরবরাহ করেছে। ইমাম ইবনে তাইমিয় কুরাান সুন্নাহর আলোকে একটি ইসলামী পূনর্জাগরনের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি জীবনের দুই তৃতীয়াংশ সময় কারাগারে কাটিয়েছেন জালিম শাসকদের কোপানলে পরে। যুবক বয়সের পুরো সময় তিনি কারাগারে ছিলেন বৃদ্ধ বয়সে কারাগার থেকে বের হয়েছেন কারাগারে বসেই পাঁচ শতাধিক বই লিখেছেন। তিনি কখনো বাতিলের কাছে মাথানত করেন নি। যিনি এ লেখা লিখেছেন তার উদ্দেশ্য বিশ্বব্যাপী ইসলামী পরিচালিত ইসলামী আন্দোলনকে বিতর্কিত করা। এ জন্য সৌদী রাজ পরিবারের অন্যায় কর্মকান্ডের সাথে ইমাম ইবনে তাইমিয়াকে যুক্ত করেছে- তার কথা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য। আগে ইমাম ইবনে তাইমিয়ার বই পড়ুন, মন থেকে সকল প্রকার ভ্রান্ত চিন্তা দুর করে তার পর কুরআন পড়ুন, হাদীস পড়ৃুন এবং ইমাম ইবনে তাইমিয়ার লেখার সাথে মিলান। আর যদি মনে বক্রতা থাকে হেদায়াদ পাবার পরিবর্তে গোমরাহীর সদর দরজা আপনাকে স্বাগত জানাবে
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:১৪
195112
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ইবনে তাইমিয়া সম্পর্কে তার সময়ের বা তার পরবর্তী সময়ের নামকরা আলেমদের অভিমত ।
১.ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী রহ তাঁর “দুরারুল কামেলা” নামক বইয়ে লিখেন, “ইমাম জাহাবী রহ বলেছেন, আমি ইবনে তাইমিয়ার সকল কথার উপর আস্থা স্থাপন করতে পারিনা এবং আমি আক্বীদা ও আহ্‌কাম সংক্রান্ত মাসয়ালা-মাসায়েলে তার বিপরীত মত পোষণ করি।”
ইমাম ইবনে হাজর রহ আসকালানী “রেহ্‌লাতুল আক্‌শাহরী” বই হতে উদ্ধৃত করে বলেন, “ইবনে তাইমিয়া তার সমসাময়িক আলিমগণকে গালিগালাজ করত, নিজেকে মজতাহিদ মনে করত, তাই ছোট-বড়, প্রাচীন ও নতুন সকল আলিমগণের বিরোধীতা করত। এমনকি হযরত উমর রা.-এর সমালোচনাকালে তাঁকে কোন বিষয়ে ‘ভ্রান্ত’ বলে ফেলে। ইবনে তাইমিয়া হযরত আলী. সম্পর্কে বলে যে, তিনি (হযরত আলী রা.) ১৭টি মাসয়ালায় ভুল করেছেন এবং কুরআন শরীফ-এর খিলাফ করেছেন। (নাঊযুবিল্লাহ) তিনি “লিসানুল মীযান” কিতাবে লিখেছেন, “আমি ইবনে তাইমিয়া লিখিত ‘হোলী’ গ্রন্থের প্রতিবাদ দেখেছি।…………………… ইবনে তাইমিয়া উক্ত কিতাবের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সীমা লংঘন করেছে এবং বহু সহীহ্‌ হাদীছ শরীফ অস্বীকার করেছে।”

২.ইমাম যুরকানী রহ. “শরহে মাওয়াহেব” বইয়ে লিখেন, “ইবনে তাইমিয়া একটি বিদ্‌য়াত সৃষ্টি করেছে, তা এই যে, কবর সমূহের সম্মান না করা, কেবল দয়া প্রকাশ ও উপদেশ গ্রহণের জন্য কবর জিয়ারত করা, কিন্তু শর্ত এই যে, উক্ত জিয়ারতের জন্য যেন বিদেশ ছফর করা না হয়।”
৩.ইবনে বতুতা তার “তোহ্‌ফাতুন নাজার” বইয়ে লিখনে, “এক সময় ইবনে তাইমিয়া জুমুয়ার দিন উপদেশ সভায় উপস্থিত হয় এবং উপদেশ প্রসঙ্গে বলে ফেলে যে, আমি যেরূপ (উপরিস্থ তাক্ব থেকে নিম্ন তাক্বে) নামছি, সেরূপ আল্লাহ পাকও (আরশ হতে) প্রথম আকাশে নেমে থাকেন। (তখন) উপস্থিত সকলেই তার এ মতের প্রতিবাদ করেন।”
৪.আল্লামা ইবনে হাজর মক্কী রহ. তাঁর বিখ্যাত কিতাব “ফাতওয়ায়ে হাদীছিয়্যাহ্‌”-তে লিখেন, “ইবনে তাইমিয়া পূর্ববর্তী সাহাবা ও আলিমগণ এমনকি তার সমসাময়িক আলিমগণ সম্পর্কে বদ ধারণা পোষণ করতো।”
৫.ইমাম তাজুদ্দীন সুব্‌কী বলেন, “ইবনে তাইমিয়া নিম্নোক্ত মাসয়ালাগুলোতে ইজমার খিলাফ মত পেশ করেছে। যেমন: স্বেচ্ছায় নামায তরক করলে ক্বাজা হবে না। তরল বস্তুতে ইঁদুরের ন্যায় কোন জীব মরলে নাপাক হবেনা। রাতে নাপাক হলে গোছল ব্যতীত তাহাজ্জুদ নামায পড়ে নিবে। কুরআন শরীফ মাখলুক্ব (সৃষ্টবস্তু)। আল্লাহ পাক-এর অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও আকৃতি আছে। আল্লাহ পাক আরশে থাকেন, তিনি আরশের পরিমাণ আয়তন বিশিষ্ট। তিনি আকাশ থেকে নেমে আসেন। নবীগণ নিঃষ্পাপ নন। রওজা শরীফ যিয়ারতের নিয়তে ছফর করা হারাম। তাওরাত ও ইঞ্জিল শরীফের শব্দ পরিবর্তন হয় নাই।”
“জাওহারে মুনাজ্জাম” নামক কিতাবের ১৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে, “কবর যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বিদেশ ছফর করা জায়িয। এর উপর ইজমা হয়েছে। ইবনে তাইমিয়া উহা হারাম বলেছে। ……….. সে বহু মাসায়ালায় ইমামগণের ইজমার বিরোধীতা করেছে। ইমামগণের বিশেষতঃ সত্য পরায়ণ খলীফাগণের উপর বাতিল প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। এরূপ প্রলাপোক্তি করেছে, যা শুনলে কান বধির ও মন অসন্তুষ্ট হয়ে যায়।
এমন কি সে পবিত্র আল্লাহ পাক সম্পর্কে মহা মহা দোষারোপ করেছে। সে মিম্বরে বসে সাধারণ লোকদের সম্মুখে বলে যে, আল্লাহ পাক-এর অঙ্গ-প্রতঙ্গ ও আকৃতি রয়েছে।
…………… তার সমসাময়িক আলিমগণ ইবনে তাইমিয়াকে হত্যা অথবা কারারুদ্ধ করার জন্য বাধ্য করেন, বাদশা তাকে বন্দী করেন এবং সে উক্ত অবস্থায় মৃত্যূবরণ করে। এতে উক্ত বিদ্‌য়াত নির্বাপিত হয়ে যায়।” উল্লেখ্য, ইবনে তাইমিয়া “আল্লাহ পাক আরশে থাকার ও আকৃতি ধারী হওয়া” সম্পর্কে একখানা কিতাব রচনা করে। জনৈক ইমাম তার উক্ত কিতাবের প্রতিবাদে আরেকটি কিতাব রচনা করেন। ইমাম সুবকী রহ্‌মতুল্লাহি আলাইহি তাঁর বিখ্যাত কিতাব “তাবাক্বাতে কোব্‌রা” গ্রন্থে হুবহু উক্ত কিতাবদ্বয়ের নাম উল্লেখ করেছেন।


ইবনে তাইমিয়ার বই বাংলাদেশে জনপ্রিয় করেছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবির । আমি নিজে শিবির করতাম । আমি ভাল করেই ইবনে তাইমিয়ার বই সম্পর্কে জানি ।

৫০০ শতাধিক বই ইবনে তাইমিয়া লিখেন না কেন তাতে ইসলাম ও মুসলিমদের কিছু যায় আসে না । তিনি তার বইয়ে কি লিখেছেন তার কিছু বিবরণ তার সময়কার আলেমদের কথাতে দিলাম ।

বাংলাদেশের কথিত ইসলামী আন্দোলন বা জামায়াত-শিবির সব সময়ই বিতর্কিত থাকবেই । কারণ এসব কথিত আন্দোলন ওহাবী মতবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত ।

ইবনে তাইমিয়ার বই আমার পড়া আছে । আল্লাহ হাত আছে , পা আছে , আল্লাহর চোখ আছে - এসব কথা তার বইয়ে লেখা আছে । আর এগুলো প্রচার করছে জামায়াতের কথিত কিছু আলেম আর মহিউর রহমান মাদানীরা ।


ইসলামের দুষমনরা আমাকে মাল মসলা সরবরাহ করেনি । আমি বেশ কিছু বই দিয়েছি আর ইন্টারনেট তো আছে - সেগুলো হতেই আমি তথ্য ব্যবহার করে লিখছি ।


বাংলাদেশের মানুষরা ইসলাম সম্পর্কে কম জানে । এজন্য পিস টিভি, জামায়াত-শিবির আর মতিউর রহমান মাদানীদের ভ্রান্ত মতবাদ বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয় ।

আমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই ।
250717
০৪ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা লিখেছেন : সৌদি রাজনৈতিক মতবাদ যদি অশুদ্ধ হয় মানলাম, তাহলে শুদ্ধ রাজনৈতিক মতবাদ ইসলাম অনুযায়ী কোনটি? জানালে কৃতারথ হবো
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২১
195117
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : খিলাফাত আলা মিনহাজিন নুবায়াহ্ । তিরমিজি শরীফ , সুরা নুর : ১৫৫ নং আয়াত ।

250893
০৪ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:০৮
195111
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ । ধারাবাহিকভাবে এই লেখা চলবে । আশা করি সাথে থাকবেন ।
250940
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০৯
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা লিখেছেন : আপনার দেয়া লিনক থেকে বাংলা টাইপিংয়ের এপ নামালাম, অনেক ধন্যবাদ
০৪ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:২৬
195140
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আশা করি, আমার সাথেই থাকবেন ।
আমি আপনাদেরকে অনেক উপকারী বিষয় সরবরাহ করে যাবো ।

আমি আপনাদের জন্য অনেক কষ্ট করে ও ত্যাগ স্বীকার করছি । কারণ আমি চাই না, আমার মুসলিম ভাই-বোনেরা বিভ্রান্তিতে ডুবে থাকুক । আমি আমার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে আপনাদের উদ্দেশ্যে ইসলামের সঠিক মর্মবানী উপস্হাপন করছি । আর এজন্য আমি কোন বিনিময় চাই না । আমি শুধু আপনাদের ভালবাসা ও শ্রদ্ধা চাই । এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে আমি আমার নাজাত চাচ্ছি । আল্লাহ যদি চান তিনি আমাকে হাসরের মাঠে মুক্তি দিতে পারেন । এটা তার ইচ্ছা । কিন্তু আমি আল্লাহর একত্ববাদ তাওহিদ, রিসালাত ও আখিরাতের দাওয়াতের কাজ করেই যাবো ।
আর এই ক্ষেত্রে আমার একটাই নীতি :

ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবীন ।
251058
০৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০২:৫৬
বুড়া মিয়া লিখেছেন : ৪ নং মন্তব্যের জবাবে যা বলেছেন, সে সম্বন্ধে আপনার থেকে আরোও জানার আছে বলে মনে করি।
আমার যতুদূর মনে পড়ে – আমি কুর’আনেই আল্লাহর হাত, মুখ, চোখ এর ব্যাপারে পড়েছি; কুর’আনের যেসব আয়াতে আল্লাহর হাত, মুখ, চোখ এর কথা বলা আছে, সে ব্যাপারে কি আকীদা পোষন করতে হবে? সেসব আয়াতে আল্লাহর হাত, মুখ, চোখ এর কথা উল্লেখ থাকলেও কি বলা যাবে না যে আল্লাহর হাত, মুখ, চোখ আছে?
০৫ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০৩:০৩
195399
স্বপ্নের ফেরিওয়ালা লিখেছেন : কুরআন শুধু একটি গতানুগতিক বই নয়,এটি একটি সাহিত্য খনিও বটে, তাই সেখানে উপমা ও রূপক ভাষা থাকবে এটাই নিয়ম @ বুড়া মিয়া
০৫ আগস্ট ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
195465
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : কুরআনের যেসব আয়াতে আল্লাহর হাত, মুখ, চোখ এর কথা বলা আছে - সে সব আয়াত নিয়ে অনেক আগেই চার ইমামের সাথে সম্পৃত্ত আলেম সমাজ অনেক আলোচনা করেছেন । এটা নতুন কোন বিষয় নয় । কুরআনের অনেক বিষয় রূপকধর্মী । কুরআনের সাহিত্যধর্মীতা আছে । কুরআন নিউজ পেপারের মতো নয় । কুরআনের অনেক কিছু আক্ষরিকভাবে নিলে অনেক সময় বিভ্রতকর পরিস্হিতি পড়তে হয় । যেমন : ওহাবী বা সালাফীরা বলে কুরআনের সব কিছুই আক্ষরিকভাবে বিবেচনা করতে হবে । এক বার সৌদি আরবের ওহাবী ধর্মব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বিন বাজকে বলা হলো, হুজুর আপনি তো বলেছেন কুরআনের সব কিছুই আক্ষরিকভাবে বিবেচনা করতে হবে । তাহলে তো কুরআনের কথা অনুযায়ী আপনি তো জান্নাতে অন্ধ থাকবেন । কারণ কুরআনেই তো বলা আছে যে দুনিয়ায় অন্ধ থাকবে সে অন্ধ হয়েই উঠবে । .. এই কথা শুনা মাত্র আব্দুল আজিজ বিন বাজ আর একটাও কথা বলেননি ।
০৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:৫২
195496
বুড়া মিয়া লিখেছেন : হুম, ব্যাখ্যা জানলাম।
251922
০৭ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৩৯
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : প্রথম ছবিটি নিশ্চিত ফটোশপ-১০০%।
০৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১২:০৩
196266
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : ছবিটা আমি ফেসবুক হতে নিয়েছি । এধরনের অনেক ছবি সৌদি আরবের বিভিন্ন ফোরামে আছে । এই লেখাটা আমার একটা বইয়ের অংশ । ভবিষ্যতে এছবির চেয়ে আরো অনেক মারাত্মক ছবি দেখতে পাবেন । আপনি গুগলে ইমেজ সার্চ দিয়ে ছবিটার উৎস যাচাই করুন ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File