ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র ওহাবী-সালাফিদের অশুভ কার্যক্রম
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০২ আগস্ট, ২০১৪, ১১:০৭:৩৩ রাত
ভুয়া খলিফা আলবাগদাদী ওরফে ইব্রাহীম কসাই ওরফে মসুলের কসাই
সতর্কিকরণ : এই লেখা বা এই লেখার কোন অংশ লেখের অনুমতি ব্যতীত অন্য কোথায় প্রকাশ বা কপি পেস্ট করা যাবে না ।
দিকনির্দেশনা : লেখাটা খসড়া হলেও আপনাদের পড়তে ভাল লাগবে। আর লেখা যেখানে অসম্পূর্ণ সেখানে ব্রেকেটের মধ্য লেখা হয়েছে (এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে দেওয়া হবে) এবং এই লেখায় যে সব তথ্য দেওয়া হযেছে তা যথাসম্ভব নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে । তথ্যগুলো ভুল পাওয়া গেলে তা অবশ্যই পরিবর্তন বা সংশোধন করা হবে । (লেখা আপডেট হতে থাকবে এবং অনেক ছবি ও তথ্য যুক্ত হবে )
সর্বশেষ আপডেট : বাংলাদেশ সময় রাত ১১ : ১০ , ২ রা অগাস্ট ২০১৪ , ২য় আপডেট : সকাল ৬: ৫০, ৩ রা অগাস্ট ২০১৪ । ৩ য় আপডেট : বিকাল ৭: ২০, ৩ রা অগাস্ট ২০১৪ । এই লেখা দুই দিন ধরে আপডেট হবে । সুতরাং এই লেখা বেশ কয়েক বার পড়তে হবে । কারণ নতুন অনেক তথ্য ও ছবি যুক্ত হবে । এই লেখায় যে বা যারা মন্তব্য করবে তাদের সবার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে এবং এই লেখার উপর ভিত্তি করে আরো নতুন নতুন নিবন্ধ লেখা হবে । সবাইকে সাথে থাকার জন্য আমন্ত্রন জানাচ্ছি ।
গার্লফ্রেন্ডের সাথে বাগদাদী এবং ইনসেটে খলিফা দাবি করার পর তার বতর্মান রূপ
পটভুমি :
ISIS নামক একটা দল ইরাক ও সিরিয়া দখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে । তাদের নেতা নিজেকে খলিফা হিসেবে ঘোষনা দিয়ে তার আনুগত্য প্রকাশের জন্য বিশ্বের মুসলিমদের আদেশ করেছে । অন্যথায় তাকে খলিফা হিসেবে যারা গ্রহণ করবে না তাদের কাফের ঘোষনা করা হবে এবং তাদের হত্যা করা হবে বলে সাবধানবানী উচ্চারণ করেছেন । এই লেখায় কথিত খলিফা ও তার দলের তান্ডবলীলা এবং সৌদি আরব-ইসরাইল-খৃস্টান বিশ্বের ভূমিকা তুলে ধরা হবে এবং উপসংহারে বিশ্বের মুসলিমদের করণীয় দিকগুলো তুলে ধরা হবে ।
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বিহীন অশুভ শক্তি ISIS - এর কালো পতাকা হাতে পিচাশদের মার্চ পাস্ট । ছবি : এপি-র সৌজন্য http://www.breitbart.com/Big-Peace/2014/06/21/Kurdish-Forces-To-Fight-Against-ISIS-is-Killing-Someone-who-Already-Wants-to-Die
ISIS কারা ? :
২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় ইরাকের কিছু লোক ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (ISI) গঠণ করে । শুরু হতেই সৌদি আরব এই সংগঠণকে মদদ দিয়ে আসছিলো । প্রথমে এটা আল কায়দার শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । এটা শাখা সংগঠণ হলেও আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের পরামর্শ অনুযায়ী প্রায়ই পরিচালিত হতো না ।
সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত ক্ষমতাচুৎ শাসক সাদ্দাম হোসেনকে ইরাকের শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত প্রধানমন্ত্রী নুরে আল মালেকি ফাঁসি দেন ।
ইরাকের জনসংখ্যার মাত্র ৩০ % সুন্নী । শিয়া ৬৫ % ,এবং খৃষ্টান ও অন্যান্য ৫% । আর সুন্নীদের মধ্যে ২০% কুর্দি ভাষী সুন্নী এবং মাত্র ১০ % আরবী ভাষী সুন্নী । সুতরাং সাদ্দাম হোসেনের আরবী ভাষী সুন্নীরা ইরাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ।
সুন্নী ও খৃস্টানরা সংখ্যালঘু হলেও তারা ইরাকের স্বাধীনতার পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ সুবিধা পরিপূর্ণভাবে ভোগ করতো ।
ISIS-এর গণহত্যার ধরণ । ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা :
http://pamelageller.com/2014/06/al-graphic-jihad-group-isis-releases-photos-mass-execution.html/
সাদ্দামের ফাঁসির পর সুন্নীরা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হতে থাকে এবং সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায় সুন্নীদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে থাকে । এতে ইরাকের সংখ্যালঘু সুন্নী ও কর্দি সম্প্রদায় অসহায়বোধ করতে থাকে । তারা দলে দলে ইসরাইল ও সৌদি আরবের মদদপুস্ট এই সন্ত্রাসী সংগঠনের পতাকাতলে সমেবেত হতে থাকে । পরবর্তীতে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক (ISI) ISIS (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড সিরিয়া ) সিরিয়া নাম ধারণ করে সন্ত্রাসী কাজ করতে থাকে ।
সিরিয়া ও ইরাকের ম্যাপের কালো রংয়ে চিহ্নিত এলাকা ভুয়া খলিফার সন্ত্রাসী দল অবস্হান করছে । লাল রংয়ের এলাকা সরকার নিয়ন্ত্রন করছে এবং সবুজ রংয়ের এলাকা কুর্দী সন্ত্রাসীরা নিয়ন্ত্রন করছে ।
সৌদি আরব ও ইসরাইল কেন মধ্যপ্রাচ্যে ISIS -সহ সারা বিশ্বের সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোকে মদদ দিচ্ছে ? :
আলোচনার এপর্যায়ে আমরা জানবো, সৌদি আরব, ইসরাইল ও আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ইরাক, সিরিয়া ও বাহরাইন-সহ সর্বত্র সুন্নী সম্প্রদায়ভুক্ত ( ব্যতিক্রম ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠণগুলো ) শাসক ও সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোকে সব ধরণের সহযোগিতা কেন দেয় ।
তার কারণ অনেক । যেমন :
১. ধর্মীয় সম্প্রদায়গত বিভেদ : রাজনৈতিক কারণে ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলিমরা সুন্নী ও শিয়া এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । সারা বিশ্বে মুসলিমদের ৮০% সুন্নী হলেও তাদের মধ্যে আছে মাযহাবগতভাবে ৪ টি প্রধান ভাগ । যেমন : হানাফী-শাফেয়ী-মালেকী-হাম্বলী । উপরন্তু ইবনে তাইমিয়া ও সন্ত্রাসী মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহ্হাব-এর মতবাদ অনুসরণকারীদের বলা হয় ওহাবী । এই ওহাবী মতবাদ শুধুমাত্র সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মতবাদ ।
সৌদি আরব অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার পর সারা বিশ্বে বিপুল পরিমান অর্থ ওহাবী মতবাদ প্রচারে ব্যয় করছে এবং এজন্য ওহাবি ধর্মজাজক তৈরীর জন্য মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অসংখ্য ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও টিভি চ্যানেল-পত্রিকা ব্যবহার করছে । এই মতবাদ যুদ্ধাংদেহী-গোড়া-বর্বর-নারীবিদ্বেষী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়নি । কিন্তু সন্ত্রাসী ও তারণ্যের উচ্ছলতায় আবেগে আচ্ছন্ন তরুণদের কাছে এই মতবাদ জনপ্রিয় হয় । উপরন্তু ধর্মজাজকরা টাকা কামানোর ধান্দায় এই মতবাদে দীক্ষিত হচ্ছে এবং জনগণকেও বিভ্রান্ত করছে ।
শিয়া সম্প্রদায় সংখ্যালঘু হলেও মধ্যপ্রাচ্যে জনসংখ্যা এবং অবস্হানগত কারণে শক্তিশালী অবস্হানে রয়েছে । ইরানের রাষ্ট্রীয় মতবাদ শিয়া মতবাদ । বাহরাইন, কুয়েত, ইয়েমেন ও ওমান এবং মধ্যপ্রাচ্যের বাহিরে আজারবাইজান ও তাজিকিস্তান শিয়া প্রধান দেশ । পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৩৫ % শিয়া ।
সুতরাং সৌদি আরব ওহাবী হওয়ায় ওহাবী সন্ত্রাসীদের মদদ দিবে এটাই সাভাবিক । অপর দিকে সৌদি আরবের মিত্র ইসরাইল সৌদি আরবের রাজতন্ত্র রক্ষার জন্য এবং নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ওহাবী সন্ত্রাসীদের অস্ত্র-গোলা-বারুদ সরবরাহের মাধ্যমে সাহায্য করছে আর সৌদি আরব সেসবের অর্থ পরিশোধ করছে । এভাবে সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে ।
২. ধর্মীয় নেতাদের প্রভাব : সুন্নীদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, তাদের অবশ্যই কুরাইশ বংশীয় খলিফা পদবীধারী ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার অধীনে থাকা আবশ্যক হলেও ১৯২৪ সালের পর তাদের এমন নেতা নেই । সৌদি আরবে মুসলিমদের তীর্থস্হান মক্কা-মদিনা থাকলেও তার শাসকরা ইসলামবিরোধী শক্তির সহায়তায় ইসলামী খিলাফতকে ধ্বংস করে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় । তারা ইসলামবিরোধী শক্তির তাবেদারে পরিনত হয় ।
পক্ষান্তরে শিয়ারা আয়াতুল্লাহ-শায়খুল ইসলাম ইত্যাদি উপাধিধারী নেতাদের অধীনে সুসংবদ্ধ অবস্হায় রয়েছে । ধর্মীয় নিয়মের কারণে শিয়ারা তাদের আয়ের পাচ ভাগের এক ভাগ তাদের ধর্মীয় নেতাদের সুদুর অতীত হতে প্রদান করে আসছে । আর ধর্মীয় নেতারাও এই অঞ্চলের দেশগুলোতে শিয়াদের প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছেন ।
শিয়া রাষ্ট্রগুলোর বিরোদ্ধে প্রভাব ও প্রতিপত্তি বৃদ্ধির স্বার্থে সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের ওহাবী সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে যাচ্ছে ।
৩.বিশ্বের নির্যাতিত মুসলিমদের রক্ষার ব্যাপারে সৌদি আরবের অনীহা :
সৌদি আরব সারা বিশ্বে ওহাবি মতবাদ প্রচার করে যাচ্ছে । কিন্তু অত্যাচারিত নিপীড়িত-স্বাধীনতাকামী সুন্নীদের বিন্দুমাত্র সাহায্য করছে না । যেমন : ফিলিপাইনে মরো, থাইল্যান্ডে পাত্তানী, বার্মায় রোহিঙ্গা, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, শ্রীলংকায় মুর, চীনের তুর্কি, সোমালিয়া, এংগোলা, ইউরোপের স্হানীয় মুসলিম সম্প্রদায়সহ সারা বিশ্বের ২৫ টি স্হানে সুন্নী মুসলিমরা নির্যাতিত নিপীড়িত । সৌদি আরবকে নির্যাতিত সুন্নিরা তাদের রক্ষাকর্তা মনে করলেও তারা সৌদি আরব হতে সাহায্য না পাওয়ায় সারা বিশ্বে সুন্নীরা অসহায়বোধ করছে । সৌদি আরবের এক কথা,”তোমরা শিরক-বিদাত করা মুসলিম । তোমরা সালাফী বা ওহাবী মতবাদে দীক্ষিত হও এবং আমাদের বাদশাহদের তোমরা বৈধ শাসক হিসেবে মেনে নাও, রাজ্যতন্ত্রকে ইসলামী পদ্ধতি হিসেবে হৃদয়ে বদ্ধমূল কর আর আমাদের শাসকদের বিরোদ্ধে কোন বিদ্রোহ করবে না ।”
পক্ষান্তরে শিয়া ইরান সুন্নী অধ্যুষিত ফিলিস্তিনীদের এবং মিশরের মুক্তিকামী জনগণ সাহায্য করে যাওয়ার পাশাপাশি সারা বিশ্বে অমুসলিমদের নির্যাতন-নিপীড়নের বিরোদ্ধে সোচ্চারই নয়, মানবতার দুষমন আমেরিকা ও ইসরাইলের পতনের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ।
মুসলিম বিশ্বের উন্নায়ন, অগ্রগতি ও প্রগতির গতিকে রোধ করার জন্য এবং নির্যাতিত মুসলিমদের নির্যাতক দেশগুলোর তাবেদারি ও সমর্থন লাভের জন্য এবং নির্যাতিতদের আর্তনাদে বিশ্বমানবতা জাগ্রত না হতে পারে বা নির্যাতনের বিষয়টি আড়াল হয়ে যাওয়ার জন্য সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের ওহাবী সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে ।
৪. ক্ষমতার পালা-বদল ও আন্তজার্তিক রাজনীতি :
মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক পন্হায় মিশরের ইতিহাসে এই প্রথম কোন শাসক হিসেবে মুহাম্মদ মুরশী নির্বাচিত হন । মধ্যপ্রাচ্যের অগণতান্ত্রিক -রাজতান্ত্রিক– স্বৈরাচারী – জুলুমবাজ – অমুসলিমদের তাবেদার শাসকবৃন্দ ভয় পেয়ে যায় । তারা বেসামাল আচরন করতে থাকে । মিসরের ক্ষমতার পালা বদল দেখে অত্যাচারিত-নির্যাতিত-সত্যিকার ইসলামের অনুসারী জনগন এসব শাসকদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠে ।
বাহরাইনের পার্ল স্কোয়ারে দেশের লাখো জনতা জড়ো হলে সৌদি আরবের সেনা বাহিনীর সহায়তায় বাহরাইনের অত্যাচারী শাসক হাজার জনতাকে হত্যা করে পার্ল স্কোয়ার গুড়িয়ে দেয় । সৌদি আরবও সব ধরনের বিক্ষোভ মিছিল দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে ভন্ডূল করে ও নির্যাতিত জনগণের একাংশকে কারাগারের অন্ধাকার প্রকোষ্ঠে নিক্ষেপ করে এবং অনেককে হত্যা করে মরুভুমির তপ্ত বালিতে মাটি চাপা দেয় । আর এব্যাপারে মতিউর রহমান মাদানী ও যৌন জিহাদ প্রবর্তক আরিফি-সহ মাদখালী উপদলভুক্ত ওহাবি ধর্ম ব্যবসায়ীরা ফতোয়া জাড়ি করে শাসকদের উৎখাত করা গুনাহের কাজ , মিছিল করা গুনাহের কাজ এবং মেয়েদের মিছিল করা কবিরা গুনাহ । এই অবস্হার প্রেক্ষাপটে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর জন্য সৌদি আরব ও ইসরাইল অনেক সন্ত্রাসী সংগঠণের জন্ম দেয় । তার মধ্যে ইরাকের ISIS অন্যতম ।
৫. অত্যাচারী-বর্বর ওহাবী শাসনের বিরোদ্ধে জনগণ ও মুসলিমদের অবস্হান :
আন্তজার্তিক রাজনীতি ও ক্ষমতার পালাবদলের কারণে শিয়াদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায় । বাহরাইন-কুয়েত-কাতার-আরব আমিরাত-ইয়েমন-ওমান-সৌদি আরবের পূর্বাংশ শিয়া প্রধান এলাকা । কিন্তু এসব এলাকার শাসকদের অধিকাংশ হলো ওহাবী ও সৌদি আরব সমর্থক এবং ইসলামবিরোধী অমুসলিম শক্তির তাবেদার । যেমন : বাহরাইনের জনগণের ৭০ % শিয়া । ইয়েমেনের ৫৫% শিয়া । কুয়েতের ৬০% শিয়া । ওমানের জনসংখ্যার পুরোটাই ইবাদী শিয়া । তাদের সৌদি আরব ওহাবী মতবাদে দীক্ষিত করার অনেক চেষ্টা করেছে । কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে । আর এসব দেশের শাসক সম্প্রদায়ও তাদের বশে আনার চেষ্টা করেছে । কিন্তু বার বার ব্যর্থ হয়েছে ।
৬.শিয়াদের উৎথান :
ইরানে ইমাম খোমেনীর নেতৃত্ব ইসলামী সাধারণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সারা বিশ্বে শিয়া মুসলিমদের প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পেলেও এই অঞ্চলের শিয়া প্রধান এলাকাগুলোতে শিয়ারা শাসন ক্ষমতা হতে বিচ্ছিন্ন ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত রয়েই যায় । উপরন্তু ইরান ইসলামী সাধারণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে । অপর দিকে সৌদি আরব অত্যাচারী ও বর্বর রাজতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় অনেক বিবেকবান মুসলিমের কাছে বিস্ময়ের কারণ ।
এই বিষয়টিকে আড়াল করার জন্য সৌদি আরব ও ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে ।
৭.ইহুদীবাদী ও ফিলিস্তীনিদের এলাকা জবরদখলকারী ইসরাইলের সুরক্ষা প্রদান করা :
(এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে দেওয়া হবে)
৮.অত্যাচারী ওহাবী সৌদি রাজতন্ত্রকে অক্ষুন্ন রাখা :
(এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে দেওয়া হবে)
৯.পশ্চিমা শক্তিবর্গের ইসলামের উৎথানকে বাধাগ্রস্হ করা :
(এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে দেওয়া হবে)
১০.মুসলিম বিশ্বের সম্পদকে পশ্চিমাদের লুন্ঠন অব্যহত রাখা :
(এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে দেওয়া হবে)
ISIS নেতৃত্ব কারা আছেন ? এবং স্বঘোষিত খলিফা আসলেই বা কে ? :
ISIS নেতৃত্বে আছেন আবু বকর আল বাগদাদী পরিচিত । তিনি এই সংগঠণের দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন । প্রধান নেতা ওমর আল বাগদাদী নিহত হলে তিনি নেতৃত্ব দখল করেন ।
তার পুরো নাম হলো : ইব্রাহিম আওয়াদ ইব্রাহিম আলী আল-বদরী আল-সামারাই । তিনি আবু বকর আল-বাগদাদী নামেই অধিক পরিচিত। পূর্বে তিনি ড. ইব্রাহিম ও আবু দুইয়া নামে পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে তিনি খলিফা ইব্রাহিম নামধারণ করে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল নিয়ে একটি ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেন এবং নিজেকে উক্ত রাষ্ট্রের খলিফা ঘোষণা দেন।
আল-বাগদাদী কর্তৃক ২০১৩ সালের ৮ই এপ্রিল প্রথম ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত গঠনের ঘোষণা দেন। এটি হলো ইসলামিক স্টেট অফ ইারাক (আইএসআই) -এর উত্তরসূরী ।
২০১৪ সালের ২৯শে জুন তিনি খিলাফত ঘোষণা করেন এবং নিজেকেই খলিফা বলে ঘোষনা দেন এবং বলেন যে এখন থেকে তিনি খলিফা ইব্রাহিম নামে পরিচিত হবেন। ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ত-এর নাম পরিবর্তন করে শুধুমাত্র ইসলামিক স্টেট রাখা হয়।
এর পরবর্তীতে কথিত ইসলামিক স্টেটের অনেক কার্যক্রমকে বিভিন্ন সরকার এবং অন্যান্য জিহাদী গোষ্ঠীগুলো ব্যপকভাবে সমালোচনা করতে থাকে
। বলা হয়ে থাকে, “আল-বাগদাদী ১৯৭১ সালে ইরাকের সামারাতে জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর ইরাক অভিযানের সময় তিনি ঈমাম ছিলেন। তিনি বাগদাদের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।“
তিনি যে সন্ত্রাসী দলের নেতা সেই সন্ত্রাসী দলের নেতা-কর্মীরা আমেরিকার সিআইএ, রেন্ড, ইসরাইলের মোসাদ এবং এমআইসিক্স-এর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত । এই দলে কম করে হলেও ৩০ হাজার সন্ত্রাসী রয়েছে । দিন দিন ইরাকের বিপথগামী সুন্নী ও কুর্দি তরুণরা দলে দলে এই সন্ত্রাসী দলের সাথে সম্পৃত্ত হয়ে অশুভ কাজে অংশ নিচ্ছে ।
বর্তমানে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, আল বাগদাদী ইহুদি বাবা-মায়ের সন্তান । বর্তমান গাজায় গণহত্যার ব্যাপারে তার সংগঠণের নিরবতা , অকারণে রক্তপাত এবং শিরক – বিদাতের দোহাই দিয়ে মক্কা শরীফ আক্রমন করে ধ্বংস করার বক্তব্যের কারণে তিনি যে ইহুদী বা বিধর্মীদের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে তা সুস্পষ্ট ।
সন্ত্রাসী ISIS – কে কেন সৌদি আরব ও ইসরাইল সাহায্য করে যাচ্ছে ? :
সিরিয়ার গোলান মালভুমি ইসরাইল দখল করার পাশাপাশি সিরিয়ার অভ্যন্তরীন ব্যাপারে ইসরাইল নাক গলাতো বলে আগের থেকে ইসরাইলের সাথে সিরিয়ার খারাপ সম্পর্ক ছিল ।
অপর দিকে সৌদি আরব আর ইসরাইলের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ । ইসরাইল প্রতিষ্ঠাতায় ব্রিটিশ-ফ্রান্স-আমেরিকার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওসমানিয়া খিলাফতকে ভেঙ্গে প্রতিষ্ঠিত সৌদি আরব নামক অমুসলিমদের দালাল ও অবৈধ রাষ্ট্র প্রধান ভুমিকা পালন করে যা অধিকাংশ লোকেরই অজানা । কারণ সৌদি আরব অমুসলিম শক্তির সহায়তায় মুসলিম বিশ্বে ওহাবী মতবাদ প্রচার করে ইসলামের মহান সুহৃদ প্রমাণ করার চেষ্টা করছে ও হাজার হাজার ধর্ম ব্যবসায়ী মুসলিম বিশ্বে বিভ্রান্ত করার জন্য পাঠাচ্ছে ।
তারা টিভি-পত্র-পত্রিকা ও অধ্যাপনা-ইমামতি করার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বে সৌদি আরবকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উপস্হান করছে । সৌদি আরব প্রবর্তিত ওহাবী মতবাদই সঠিক ইসলাম বলে প্রচার করে যাচ্ছে । পাশাপাশি তার পতাকায় আল্লাহ ব্যতিত উপাস্য নেই , মুহাম্মদ আল্লাহর বার্তাবহক (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ) যুক্ত করার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে কম জানা মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভতি সার্থকভাবে ব্যবহার করছে । উপরন্তু রাজতন্ত্র ইসলামবিরোধি হলেও রাজতন্ত্র ইসলামে আছে এই কথা সৌদি আরবের পাচাটা ধর্ম ব্যবসায়ীরা প্রচার করে যাচ্ছে ।
অপর দিকে জামায়াতে ইসলামী, জামায়াতুত দাওয়া, হরকাতুর জিহাদ সহ বিভিন্ন ওহাবি রাজনৈতিক সংগঠণকে সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সহ তাদের নিজ দেশে পৃষ্ঠপোষতা দিয়ে যাচ্ছে । যেমন : জামায়াতে ইসলামীর লোকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের ৬৫% হলো সৌদি আরবের । এর ফলে সাধারণ মুসলিমরা সৌদি আরবের ব্যাপারে বিভ্রান্ত হচ্ছে ।
সৌদি আরব ও ইসরাইল মিলে মধ্যপ্রাচ্যের তুলনামূলকভাবে প্রগতিশীল ও অগ্রসর দেশ সিরিয়া হতে তার শাসক সম্প্রদায়কে উৎখাত করার জন্য ওহাবী যৌন জিহাদী সম্প্রদায়ের লোকদের ব্যবহার করে ।ওহাবী যৌন জিহাদী সম্প্রদায় সিরিয়ায় ইসরাইল ও সৌদি আরবের সহায়তায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিপথগামী মুসলিমদের তরুণদের দলভুক্ত করতে সক্ষম হয় ।
ওহাবী-সালাফি-আহলে হাদিস সম্প্রদায়ভুক্ত মেয়েরা যৌন জিহাদ তথা সন্ত্রাসীদের মনরঞ্জনের স্বার্থে জিহাদী পতিতা হওয়ার জন্য সিরিয়ায় আগমন করে । মেয়েদের এমন কাজে অংশগ্রহণ করাকে যৌন জিহাদ বলে অভিহিত করা হয় ।
যৌন জিহাদে অংশ নেওয়ার জন্য আলবাগদাদীর মেয়েদের প্রতি আহবান ।
কি লেখা আছে তার এই ঘোষনায় । তারই একটি প্রতিবেদন ( প্রচন্ড কুরুচিকর হওয়ায় বাংলা অনুবাদ করলাম না ।):
On June 12, only two day after capturing Mosul and other territories in Iraq, the Islamic State of Iraq and Syria issued a decree ordering the people to send their unmarried women to “jihad by sex.” In the proclamation ISIS threatens to impose Sharia law on all who fail to comply with the decree.
Here’s a translation of the decree, followed by the original in Arabic.
In the Name of Allah the Merciful
Subject: Mandate LOGO The Islamic State of Iraq and Syria
The State of Nineveh
In the Name of Allah the Merciful
After liberation of the State of Nineveh, and the welcome shown by the people of the state to their brotherly mujahideen, and after the great conquest, and the defeat of the Safavid [Persian] troops in the State of Nineveh, and its liberation, and Allah willing, it will become the headquarters for the mujahideen. Therefore we request that the people of this state offer their unmarried women so that they can fulfill their duty of jihad by sex to their brotherly mujahideen. Failure to comply with this mandate will result in enforcing the laws of Sharia upon them.
Allah we have notified, Allah bear witness.
Sha’ban 13, 1435
June, 12, 2014
ISIS decree calling on women to report for “jihad by sex” duty.
Translated for by Dr. Samir Johna.
এই ঘোষনায় দেশ ও স্হানের নামগুলো সন্ত্রাসীদের ঘোষিত নাম অনুযায়ী দেওয়া হয়েছে । সন্ত্রাসীরা ভারত-ইরান-মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে একত্রে খোরাসান নাম দিয়েছে । ইরানকে নাম দিয়েছে সাফাবিদ । স্পেনকে আন্দালুস । কারণ এসব নাম হাদিসে আছে । এই ঘোষনায় নিনোভা বলতে ইরাক-কে বুঝতে হবে । কারণ বাইবেল ও অনেক হাদিসগ্রন্হে এই এলাকা নিনোভা বলা হয়েছে । ----- ধর্মান্ধতা কত দুর পৌছতে তা হতেই অনুমেয় ।
সৌজন্যে :
http://themostimportantnews.com/archives/isis-forces-in-iraq-a-decree-ordering-all-families-to-send-their-unmarried-women-to-them-for-jihad-by-sex
http://www.breitbart.com/Big-Peace/2014/07/08/ISIS-Orders-Jihad-By-Sex-For-Unmarried-Women
এসব যৌন জিহাদী সাফল্যজনকভাবে সিরিয়ায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে । তারা নবি-সাহাবি-তাবেয়ী-অলি-দের মাজার , কবরগাহ ও ইসলামের স্মৃতিবিজরিত স্হানসমূহ বোমা মেরে ধ্বংস করে দেওয়ার পাশাপাশে নবি-সাহাবি-তাবেয়ী-অলি-দের পবিত্র ও তাজা লাসকে তারা পা দিয়ে মারিয়ে ও আগুনে পুরিয়ে পর্যন্ত উল্লাস প্রকাশ করতো । তারা সিরিয়ার সংখ্যলঘু শিয়া, দ্রুজ, খৃস্টান সম্প্রদায় এবং তাদের প্রতি বিরুপ মনোভাপন্ন সত্যপথগামী সুন্নী সম্প্রদায়ের লোকদের জড়ো করে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করে মাথা বিচ্ছিন্ন করে উল্লাস প্রকাশ করতো । তারা নারী সমাজের উপর ত্রাস হিসেবে উপস্হিত হয়েছিলো । তারা বিভিন্ন বয়সের নারীদের সংগ্রহে করে প্রকাশ্যে রাজপথে গণধর্ষণে লিপ্ত হতো ।
অমতাবস্হায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট তার মিত্রদের প্রতি সহযোগিতা চাইলেন । সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত প্রগতিশীল নেতা হওয়ায় রাশিয়া ও ইরান সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে বলে সন্ত্রাসীরা চরমভাবে কোনঠাসা হয়ে পড়ে এবং সিরিয়ার উল্লেখযোগ্য অংশ দখল করে সেসব অংশে তাদের কথিত ওহাবী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে ধর্মের নামে বর্বর নীতিমালা প্রবর্তন করে ।
ঠিক এমন পরিস্হিতে ইসলামি স্টেট অব ইরাক (ISI) সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের সাথে একতাবদ্ধ হয় । সিরিয়ার সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোকে ইসলামি স্টেট অব ইরাক (ISI) একত্রিত করে ইসলামি স্টেট এন্ড ইরাক এন্ড শাম (ISIS) নাম ধারণ করে । কিন্তু অনেক সন্ত্রাসী এই নবগঠিত সংগঠণের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেনি । তাদেরকে ISIS – এর সন্ত্রাসীরা হত্যা করতো এবং তাদের স্ত্রীদের যুদ্ধলব্ধ সম্পদ মনে করে তাদের যৌনদাসিতে পরিনত করতো ।
সিরিয়ার শান্তিকামি-প্রগতিশীল এবং ফিলিস্তিনি মুসলিম ভাইদের প্রতি সহানুভতিশীল রাষ্ট্রনায়ক বাসার আল আসাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী দল সিরিয়ায় অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছিলো । তারা হলো :
১.ইসলামি স্টেট অব ইরাক এন্ড শাম (ISIS)
২.ইসলামিক ফ্রন্ট
৩.জাহবাত আল নুসরা
৪.আহরার আল শাম।
সিরিয়ায় সন্ত্রাসী সংগঠণগুলোর সফলতার পরবর্তী অবস্হা :
সিরিয়ার এসব সন্ত্রাসী দল আমেরিকা-ইসরাইল-সৌদি আরবের সহায়তায় ধারণাতীত সফলতা লাভ করে । তারা সিরিয়ার দুই তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে । সিরিয়ায় সন্ত্রাস শুরুর এক পর্যায়ে জাহবাত আল নুসরা ও আহরার আল শাম আন্তজার্তিক সন্ত্রাসী দল আল কায়েদার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে ।
পরে তাদের সাথে ISIS খুনোখুনিতে লিপ্ত হলে আল কায়দা ISIS –কে ইরাকেই সীমাবদ্ধ থাকতে বলে এবং জাহবাত আল নুসরা এবং আহরার আল শাম-কে সিরিয়াতে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেয় । কিন্তু ISIS এর নেতারা আল কায়দার নির্দেশ অমান্য করে সিরিয়াতেই অবস্থান করতে থাকে। শুধু তাই নয় আহরার আল শাম ISIS এর আনুগত্য স্বীকার না করায় আহরার আল শামের কমান্ডার উসাম বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেখ আবু খলিল আবু সুরীকে গলা কেটে হত্যা করে ।
বামে উসাম বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেখ আবু খলিল আবু সুরী( জীবিত থাকতে)
সদ্দবেশী ইহুদি কিন্তু মুসলীম বলে পরিচিত Abdelmonaïm Lachiri isis নামক যুবক এবং ISIS এর সন্ত্রাসী উসাম বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেখ আবু খলিল আবু সুরীকে জানুয়ারি ২০১৪ তারিখ গলা কেটে হত্যা করছে
উসাম বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু শেখ আবু খলিল আবু সুরীকে হত্যা করার পর ইহুদী Abdelmonaïm Lachiri isis লা ইলা ইল্লাহ লেখা ISIS - এর কালো পতাকা নিয়ে উল্লাস । ইসলাম ধর্ম মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ ছাড়া , লা ইলাহা ইল্লাহ বলা অর্থহীন । কারণ : রিসালাতের ঘোষনা ছাড়া তাওহীদ ঘোষনা অর্থহীন । কিন্তু ওহাবী মত হলো আল্লাহর সাথে মুহাম্মদ সা. - এর নাম উচ্চারণ করা ও লিখা শিরক ।
সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিপর্যয় এই ঘটনার থেকেই শুরু হয়। শেখ আবু খলিল আবু সুরীকে হত্যার পর ISIS আহরার আল শামের অসংখ্য সন্ত্রাসীদের হত্যা করে । প্রতিশোধ নিতে আহরার আল শাম কিছু ISIS –এর সন্ত্রাসীকে হত্যা করে। যার প্রতীশোধ আজও নিয়ে যাচ্ছে ISIS । প্রায় দিনই আহরার আল শামের সন্ত্রাসীদের হত্যয় ISIS মেতে ওঠে। এখানে শুধু ISIS হাতে নিহত আহরার আল শামের শীর্ষ নেতাদের লিস্ট দেয়া হলো । বিস্তারিত দেখুন : http://mediawerkgroepsyrie.wordpress.com/2014/02/24/al-qaida-sheikh-abu-khalid-al-suri-gedood-door-isis/
এভাবে একের পর তাদের সমগ্রোত্রীয় সংগঠণের নেতা-কর্মীদের হত্যার ব্যাপারে আল কায়দার কেন্দ্রিয় নেতারা হুশিয়ারি উচ্চারন করে যায় । কিন্তু ISIS –এর সন্ত্রাসীরা কারো কথার কোন কর্ণপাত করেনি ।
সিরিয়ার "দারে যহর" শহরটি জাহবাত আল নুসরা ও আহরার আল শামের সন্ত্রাসীদের দখলে ছিল।ISIS -এর সন্ত্রাসীরা এই শহর দখল করতে গিয়ে এই দুুই দলের সন্ত্রাসীদের জবাই করে এবং আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে ।
ISIS-এর সন্ত্রাসের ধরন :
১. আলেম হত্যা :
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
২.যৌন জিহাদ :
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
৩.লুট তরাজ :
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
৪.ধ্বংসযজ্ঞ :
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
ভুয়া খলিফা আল বাগদাদীর সন্ত্রাসীরা মসূল শহরে অবস্হিত হযরত ইউনুস (আ.) - এর মাজার ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয় । এটি ইহুদি-খৃস্টান-মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ও আধ্যাত্মিক স্হাপনা । ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা : http://english.alarabiya.net/en/News/middle-east/2014/07/25/ISIS-destroys-tombs-of-two-prophets-in-Mosul.html
৫.মাজার - কবর - মসজিদ - ইমামবারা - ইয়াদগারে হোসাইন ধ্বংস করা :
গত কয়েক মাসে আল রাকাহ প্রদেশে অবস্থিত রাসূলের (সা.) ৩ বিশিষ্ট সাহাবি যথাক্রমে হযরত ওয়াইস কোরনি (রা.), হযরত আম্মার ইয়াসির (রা.) ও হযরত উবাই বিন কায়েস নাখয়ি'র (রা.) মাজার ধ্বংস করেছে আল বাগদাদীর সন্ত্রাসীরা । তারা প্রথমে উক্ত তিন মাজারের মিনার ও গম্বুজ নষ্ট করে। পরে তারা মাজার তিনটি পুরোপুরি ধ্বংস করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।
https://www.amarblog.com/index.php?q=Masud-Rana-007/posts/180227
https://www.facebook.com/AEBA.EU/posts/568649369842660
এই সন্ত্রাসীদের সাধারণ মুসলিমরা তাকফিরি ও ওহাবি বলে অভিহিত করে । কারণ তারা নিজেদের উগ্র মতবাদের মাধ্যমে ইসলামের অপব্যাখ্যা করে এবং নিজেরা ছাড়া অন্য সবাইকে খাটি মুসলমান মনে করে না।
গত বছর এ জঙ্গি গোষ্ঠিটি দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত রাসূলের (সা.) একনিষ্ঠ সাহাবি হিজর ইবনে আদি'র (রা.) মাজারও ধ্বংস করেছিল। এপর্যন্ত শিরক-বিদাত-কূফরীর অযুহাত দেখিয়ে ওহাবী ও তাকফিরি সন্ত্রাসীরা কয়েক হাজার মসজিদ, গীর্জা ও মাজার আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে ।
http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDhfMDJfMTRfMV8zXzFfMTQ5ODA4
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
৬.সন্ত্রাস ও খুনাখুনি :
এই লিংকে আলবাগদাদীর সন্ত্রাসীরা তাকে যারা খলিফা বলে স্বীকার করেনি, তাদের কীভাবে হত্যা করছে তার অনেক ছবি প্রদর্শিত হয়েছে ।
http://pamelageller.com/2014/06/al-graphic-jihad-group-isis-releases-photos-mass-execution.html/
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
৭.বর্বরতা ও অভ্যতা :
http://www.chicagonow.com/absolute-muslim-absolutely-american/2014/07/isis/
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
http://www.dailymail.co.uk/news/article-2665006/The-jihadist-schoolboy-Teenager-Coventry-believed-fighting-ISIS-Iraq-Syria.html
http://www.barenakedislam.com/category/beheadings-graphic
ভুয়া খলিফা আল বাগদাদির ISIS সম্পর্কে অন্যান্য সন্ত্রাসী বা জিহাদি গোষ্ঠীর নেতাদের অভিমত :
আল কায়েদার নেতা মুহাম্মাদ আল মাকদিসি ISIS সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বলেন :
আপনারা জানেন, ISIS অনেক লোককে হত্যা করেছে । তারা মুজাহিদ-উলামা ও মাশায়খদের আনুগত্য করতে অস্বীকার করেছে। তাদের সিদ্ধান্ত ও উপদেশগুলিকে প্রত্যখান করেছে। তাদের সদস্যরা শরীয়ার বিধান লংঘন করেছে । এমন কি তাদের মধ্যে অনেকেই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছে তাদের মাঝে খারিজি স্বভাব রয়েছে (খারিজি হলো ইসলামের প্রাথমিক যুগের সন্ত্রাসি সম্প্রদায় )। এধরনের ব্যক্তির সিরিয়ার মানুষদের উপর চেপে বসা,জিহাদ ও মুজাহিদদের নাম ব্যবহার করা এবং ইসলামী রাষ্ট্রের পরিচিতিমূলক নেতার পোষাক পরিধান করার ফলে ইসলাম, জিহাদ ও মুজাহিদদের বদনাম হচ্ছে।
ISIS ও তার মুখপাত্ররা শরিয়া বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ, আমাদের নেতাদের প্রতি,আলেমদের প্রতি,মাশায়েখদের প্রতি একের পর এক অমার্জনীয় অপরাধ করে যাচ্ছে । বিশেষ করে আমাদের প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব শায়খ আইমান আল জাওয়াহিরির প্রতি। তারা যখন তার আদেশের অবাধ্য হয়েছে,তার আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে ও তারা দাবি করেছে "তার হাতে তারা আনুগত্যের শপথ করেনি " - এই দাবির বিরুধ্যে যখন মুজাহিদগন সাক্ষ্য দিচ্ছে তারা নিরপরাধ মুজাহিদদের হত্যা করেছে।
এর উপর ভিত্তি করেই আমরা ঘোষণা দিচ্ছি ইরাক ও সিরিয়ার ISIS নামক এই সংগঠণটি সত্য পথ থেকে বিচ্যুত । মুজাহিদদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী ও সীমালংঘনকারী। তারা মুসলিম জনগণের রক্ত প্রবাহিতকারি সম্প্রদায় । তারা মুজাহিদদের মাল-গণিমত ও সরকার থেকে যে শহরগুলি মুক্ত করেছে সেগুলি ছিনিয়ে নেওয়ার সাথে জড়িত । তারা জিহাদের সুনাম নষ্ট করা ও মুজাহিদদের মধ্যে ফাটল সৃষ্টির কারন। তারা নিজেদের বন্দুক শত্রুদের দিক থেকে ফিরিয়ে মুজাহিদ ও মুসলমানদের দিকে তাক করেছে।
বিস্তারিত পড়ুন বংলায় https://dawahilallah.wordpress.com/2014/06/22/abu_mhammad_almaqdisi_er_guruttopurno_ahoban/
মুল স্টেটমেন্টঃ http://justpaste.it/maqdisi-ISIS
ISIS সম্পর্কে শায়খ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনির অভিমত :
আমার কাছে অত্যন্ত পরিষ্কার, এই দলটি তাদের সামরিক ও ইসলামি নেতৃত্ব এবং তাদের কর্ম সাক্ষ্য দেয় যে তারাই “জাহান্নামের কুকুর”। এবং তারাই রাসুলুল্লাহ (স) -এর এ বর্ণনার সাথে সবচাইতে বেশি উপযুক্ত- তারা মুসলিমদের মারে ও মূর্তিপূজকদের ছেড়ে দেয়, আল্লাহ্র শপথ যদি আমি তাদেরকে জীবিত অবস্থায় পাই, আমি তাদেরকে হত্যা করব যেভাবে আদ জাতিকে হত্যা করা হয়েছিল ।”
খারিজি নামটা তাদের ধর্ম বিশ্বাসর সাথে খাপ খায় । খারিজিরা বলে যারা কবিরা গুনাহ করে তারা কাফির। এরা হচ্ছে সেই লোক যারা সত্যর উপর থাকা মুজাহিদ যেমন জাবাত আল নুসরাহ-র উলেমা ও তাদের কমান্ডারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
বিস্তারিত পড়ুনঃ http://on.fb.me/1sYf16l
শেইখ মুহাইমিনিস অভিমত :
বিপর্যয় শুরু হল তখন যখন ISISএকটি শহরে প্রবেশ করল এবং এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল। লোকেরা লোকটির হাত ধরে অনুরোধ করল তাকে হত্যা না করে শরিয়া কোর্টে নেয়া হোক। ISIS তাকে অপহরণ করল এবং তার মৃতদেহ ময়লার ভাগারে পাওয়া গেল। এই ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠণের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করল। ফলাফলে সাথে সাথেই ১০ জনের মত জাহবাত আল নুসরার সদস্য নিহত হল।
বিস্তারিত পড়ুন http://abdullahqahtani.wordpress.com/2014/02/03/summary-of-sheikh-muhaysinis-speech/
ISIS সম্পর্কে শায়খ আইমান আল জাওয়াহিরির অভিমত :
আপনারা ফিরে আসুন আপনাদের আমিরের সামা ওয়া তায়া-র (শোনা ও মানার) আনুগত্যের দিকে।
আপনারা ফিরে আসুন সেদিকে যার জন্য আপনাদের পূর্ববর্তী শায়খ ও আমিররা কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছেন আর আপনাদের জন্য শহীদ হয়ে গিয়েছেন ।
এই ধরণের নির্বিচার হত্যাকাণ্ড বন্ধ করুন এবং মনযোগী হোন ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে এবং ইরাকের সুন্নী ভাইদের ব্যাপারে। আপনারা ইরাকের প্রতি আপনাদের মনযোগ গভীরভাবে নিবদ্ধ করুন । কেননা আপনাদের উদ্যমহীন প্রচেষ্টার আজ ইরাকের বড়ই প্রয়োজন। নিজেদের পরিপূর্ণভাবে ইরাকের জন্য আত্মত্যাগ করুন ।
মুসলিম ভাইদের রক্ত ঝড়ানো বন্ধ করার আমার আহবানে সাড়া দিন । মুসলিমদের একত্রিত করে জামায়াতবদ্ধ করুন তাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদের জন্য ।
বিস্তারিত পড়ুনঃ on.fb.me/1m9uyLt
বর্তমান অবস্হা :
ISIS - এর জন্ম হয়েছিল আল কায়েদার কিছু সন্ত্রাসীদের নিয়ে। এরপর এর প্রথম আমীর ওমর আল বাগদাদী শায়খ উসামা বিন লাদেনের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন । তিনি নিহত হলে আবু বকর আল বাগদাদি নেতা হন । তারপর তিনিও আল কায়েদার প্রতি আনুগত্য অব্যহত রাখে।
কয়েক মাস আগেও সে শায়খ জাওয়াহিরিকে তার নেতা হিসেবে উল্লেখ করতো । কিন্তু সেই বাগদাদী গত ২৯ জুন ২০১৪ তারিখ isis – এর কাউকে কিছু জিজ্ঞসা না করে বা কারো কোন পরামর্শ না নিয়ে আল কায়দার প্রতি আনুগত্য ত্যাগ করে সারাবিশ্বের মুসলিমদের খলিফা বলে নিজেকে ঘোষনা দেন । সন্ত্রাসীরা ঘোষনা দিয়েছে,”খলিফার অনুগত্য করা ফরজ । তার কথা শোনা প্রতিটি মুসলিমদের শোনা ফরজ । যারা বাগদাদী কে খলিফা মানবে না তাদের গুলি করে ঝাজরা করে দেয়া হবে।
বিস্তারিত : http://dawlatul-islam.tumblr.com/post/90285882420/the-islamic-state-declaration-of-khilafah-caliphate
শায়খ মুহাম্মাদ আল মাকদিসি ISIS–এর খলিফা ঘোষনার ব্যাপারে বলেন ,” বিস্তারিত : bit.ly/1maG5dw
ইরাক আর সিরিয়ার মত কিছু অঞ্চল দখল করে শরীয়াহ প্রতিষ্ঠিত করলেই যদি খিলাফাত কায়েম হয়, তাহলে সেই খিলাফাদ অনেক আগেই হয়ে গেছে।তালেবান ও আল কায়েদা এর চেয়ে ১৫ গুণ বেশি অঞ্চল দখল আছে এবং শরীয়া প্রতিষ্ঠিত আছে।কিন্তু এরপরও তারা খিলাফাত ঘোষনা করেনি। কেনো করে নি?
প্রথমত খিলাফত ঘোষনা করলেই খিলাফাত হয় না ।খিলাফাত প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। এখনো উম্মহার ৯৯.৯% ভুমি কাফেরদের (শব্দটা হবে অমুসলিমদের তাবেদার শাসকদের ) দখলে । আর সেখানে বাস করছে বিপুল সংখ্যক মুসলিম যারা নিপীড়িত নির্যাতিত হচ্ছে । এমত অবস্থ্যায় এই নাম মাত্র খিলাফার কি মুল্য আছে, যখন উম্মাহর অবস্থা আগের মত অবিকল থাকে?
আল কায়েদার বিচক্ষন নেতারা তাই এতদিনেও খিলাফাতের ঘোষনা না দিয়ে বরং খিলফাত প্রতিষ্ঠার কাজ করে যাচ্ছে ।
অন্য দিকে বাগদাদীর এত তাড়াহুড়া করে খিলফাত ঘোষনা করার কারন কি? :
তার কারণ হলো :
১.ক্ষমতার লোভ :
বাগদাদীর আকাঙ্খা সারা বিশ্বের মুসলিমদের আমিরুল মুমিনিন হওয়া। আপনারা জানেন, সারা বিশ্বের জিহাদি দলগুলি অনেক আগেই মোল্লা ওমর-এর প্রতি আনুগত্য করেছে । আর তালেবান এখন জয়ের পথে। আর কয়েক বছর গেলেই তালেবান হয়ত পাকিস্তান ও হিন্দুস্তানের বিশাল এলাকা দখল করে নিবে যা জয়ের ব্যপারে রাসুল (সা. ) ওয়াদা করেছেন। তখন খিলফাত ঘোষনা করা হলেই খলিফা হবেন মোল্লা ওমর অথবা সবার সাথে পরামর্শ করে তিনি যাকে মনোনীত করেন । এক্ষেত্রে বাগদাদীর খলিফা হওয়ার কোন সুযোগ নেই । তাই সে আগে ভাগেই ফাকা মাঠে গোল দিয়ে জোর জবর দস্তি করে খলিফা হওয়ার আকাঙ্খা পুরণ করতে চাইছে ।
২. ইসরাইল ও আমেরিকার গুপ্তচর :
আবু বকর আল বাগদাদীর আসল নাম ইব্রাহিম । সে আমেরিকার ইণ্টেলিজেন্সে কাজ করত। ইরাক যুদ্ধের সময় সে মুজাহিদদের দলে যোগ দেয়। একবার আমেরিকান বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ছাড়া পেয়ে যায় । সে যখন ISI এর আমীর হয় তখনো পূর্ণদমে ইরাক যুদ্ধ চলছিল । আর যুদ্ধ শুরু হয় সাদ্দামের আমলে । এটাও হতে পারে, ISI কে কৌশলে ব্যবহার করতে বাগদাদী-কে সিআইএ এবং মোসাদ মুজাহিদ হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের গুপ্তচর হিসেবে ISI বাহিনীতে যোগ দেয়ায় । এখন পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় ISI এর সাফল্য হলো তারা এই অঞ্চলে শিয়া প্রভাব কমিয়েছে ও অনেক তেল ক্ষেত্র দখল করে নিয়েছে ।
সুন্নিরা এতদিন সিরিয়া ও ইরাকের দখল নিতে পারত, যদি ISI অন্যান্য দলের সুন্নি মুজাহিদ দমন না করত। দেখা যাচ্ছে ISIS যে হারে শিয়া হত্যা করেছে একই হারে সুন্নি মুজাহিদ হত্যা করেছে । এর ফলে আমেরিকা ও ইসরাইলের স্বার্থ হাসিল হচ্ছে । মুসলিমরা দিন দিন দুর্বল হযে পড়ছে । আর ইসলাম ধর্মের সুনাম বিনষ্ঠ হচ্ছে । লক্ষনীয় বিষয়, দীর্ঘ ৪ বিছরের যুদ্ধে আমেরিকা জড়ায়নি। কারন জড়ালেই ISIS এর আথে যুদ্ধ করতে হত। যা আমেরিকা কখনি চায় না। কারন শিয়া সুন্নি সমান্তালে হত্যা করে ISIS আমেরিকার স্বার্থ হাসিল করে দিয়েছে। ISIS যোদ্ধাদের দিয়ে বাগদাদীর হুকুমে শত শত মুজাহিদ হত্যা এটাই প্রমান করে যে বাগদাদির মুসলিম উম্মহার স্বার্থ নিয়ে এতটুকুও মাথা ব্যথা নেই। একজন আমেরিকান গুপ্তচরই কেবল জিহাদি সংগঠনের আমীর হয়ে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এভাবে ভেঙ্গে খান খান করে দিতে পারে- তা তার কর্মকান্ডার মাধ্যমে প্রমাণ হচ্ছে ।
বিশ্বের মুসলিমদের কি করণীয় :
(এসম্পর্কে বিস্তারতি তথ্য পরে দেওয়া হবে )
ISIS - এর সন্ত্রাসীরা কালো চিহ্নিত অঞ্চলগুলো দখল করে ইসলামী খিলাফত রাষ্ট্র কায়েম করবে । কারণ তাদের মতে এই ম্যাপে চিহ্ণিত এলাকাগুলোর নাম হাদিসগ্রন্হে আছে । হাদিসগ্রন্হে এই ম্যাপের এলাকাগুলোকে যেভাবে নামকরণ করা হয়েছে - ঠিক সেভাবেই সন্ত্রাসীরা নাম করণ করবে । যেমন : স্পেন আন্দালুস । ভারতের অর্ধেক সহ পুরো মধ্য এশিয়া ও ইরানের নাম খোরাসান । তবে বিস্ময়কর ব্যাপার এই ম্যাপে বাংলাদেশ , ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া-সহ অনেক মুসলিম প্রধান দেশের নাম নেই । এমন কি দক্ষিণ আমেরিকার মুসলিম প্রধান্য দেশ সুরিনাম ও গায়ানা-র নাম নেই । কারণ এসব দেশের নাম হাদিসগ্রন্হে নেই ।------ হায় রে । ধর্মান্ধতা !!!!!
উপসংহার :
ইসলাম মধ্যপন্হা অবলম্বন করাকেই জীবন দর্শন হিসেবে নিতে হবে । মুসলিমরা যত দিন না মধ্যমপন্হা অবলম্বন না করবে বা তাদের একটা বড় অংশ চরমপন্হা বা সন্ত্রাসবাদকে বেছে নিবে – তত দিন মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না এবং মানব সভ্যতার গর্বিত অংশীদার হওয়ার পাশাপাশি মানব সভ্যতায়ও ইতিবাচক অবদান রাখতে পারবে না ।
মুসলিমদের অবশ্যই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতিতে অভ্যস্হ হতে হবে এবং কোন কথিত ও কল্পিত ঐশ্বরিক নেতার অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানব জাতির নেতৃত্বের আসনে স্হান পাওয়ার চিন্তা বাদ দিতে হবে ।
আমরা মুসলিমরা যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি চর্চা না করি, আমরা নিজেরাই পরস্পর বিভাজিত হয়ে সংঘাত ও সংঘর্ষের মাধ্যমে বিলীন হয়ে যাবো । যেমনটি আমরা সিরিয়া, ইরাক, বাহরাইন, মিশর, লিবিয়া, সৌদি আরব, বাংলাদেশ –সহ প্রায় সব মুসলিম দেশে দেখে আসছি ।
আমরা যারা বিবেকবান মানুষ তাদের উচিত চরমপন্হা-অগণতান্ত্রিক মূল্যবোধ-ধর্মান্ধতা-মধ্যযুগীয় রাজতন্ত্র- নারী পুরুষের মধ্যকার সমতা বিরোদ্ধে জনমত গঠণ করা ।
(উপসংহারটার বিস্তারিত ব্যাখ্যা পরবর্তীতে দেওয়া হবে । )
বিষয়: বিবিধ
৬৮৪২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাগদাদী, আমার মনে হয় আমেরিকার তৈরি নিউ আল কায়দা
তবে তারা ধারনাতীতভাবে বৈষয়িক দিক দিযে শক্তিশালী । তাদের বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখলাম আর তাদের অস্ত্র গোলা-বারুদের ব্যবহারের ধরণ দেখলাম । এসব দেখে আমার মনে হচ্ছে , বড় বড় দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরাও এমন অস্ত্র-গোলা বারুদ ব্যবহার করেনি বা তারা ব্যবহার করার প্রশিক্ষণ লাভ করেনি ।
তাদের কাছে ২৫০০ কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র আছে । রাসায়নিক অস্ত্র আছে । নতুন গজিয়ে ওঠা অখ্যাত সংগঠণের হাতে শুরু হতেই এমন অস্ত্র কীভাবে আসলো - তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না ।
উপরন্তু খিলাফত ঘোষনা করার পরবর্তী কার্যক্রম এবং গাজার গণহত্যার ঘটনায় এই সংগঠণের নিরবতা সাধারণ মুসলিমদের ভাবিয়ে তুলছে ।
এই অশুভ শক্তিকে যদি মুসলিমরা সমূলে উৎখাত না করে তাহলে ইসলাম ধর্মের সুনাম ভুলন্ঠিত হবে ।
তাদের গণহত্যার ধরন হিটলারের নাৎসী বাহিনীর ধরন হতেও ভয়ানক । এই দুই দিন আগে এসব সন্ত্রাসী তাদের গণহত্যার ভিডিও নেটে দিয়েছে যা এতটাই ভয়াবহ যা দেখলে অনেক লোকই হার্টফেল করে মারা যাবে ।
ধন্যবাদ । আমার সাথেই থাকুন ।
اذ تلقونه بالسنتكم وتقولون بافواهكم ما ليس لكم به علم وتحسبونه هينا وهو عند الله عظيم.....(القران)
আর এখন দুই হাজার টাকা দামের মোবাইল দিয়েই সহজে ব্লগ সাইট ও ফেসবুকে বাংলা লেখা যায় । এই ব্যাপারে আমার একটা লেখা আছে । তা এই লিংক হতে দেখুন :মোবাইল ও টেবে দ্রুতগতিতে বাংলা লেখার কৌশল http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/17528
আল্লাহ আমাদের বিবেক দিয়েছেন । যদি আমরা অন্ধ দলবাজি , হুজুরদের কথা একটু যাচাই বাছাই করি - তাহলে আমরা সত্যিকার ইসলাম কি জিনিস তা বুঝতে পারবো । শুধুমাত্র হুজুরদের কথা চল্লে বিভ্রান্তিতেই সারা জীবন থাকতে হবে এবং নিজের জ্ঞানও বৃদ্ধি পাবে না । আর অন্ধ দলবাজির মধ্যে থাকলে কখনোই সত্যিকার ভাবে ইসলামের মর্মবানী উপলব্ধি করা যাবে না ।
অন্তর প্রসঙ্গ অন্য দিকে নিবেন না । পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মন্তব্য করুন ।
মাথা ব্যাথ্যা হলে মাথা কাটার কথা কোন ডাক্তারই বলেন না । মাজারে নারী পুরুষ এক সাথে নাচে বলে মাজার একে বারে ধ্বংস করে ফেলতে হবে - এটা তো মাথা ব্যাথ্যার জন্য মাথা কেটে ফেলার জন্য । আর এজন্য সাহাবী রা. - তাবেয়ী রহ. - আওলিয়া রহ. -দের অপমান করতে হবে এবং তাদের কবর ও তাদের লাসকে অপমান করতে হবে - এটা কি ইসলামের শিক্ষা ?
আপনি নিজেই স্বীকার করে নিলেন, ওহাবীরা সন্ত্রাসী কাজ করে এবং তারা অসহিষ্ণুু ।
আমি কারো পক্ষে বিপক্ষে লিখি না । আমি যুক্তি ও প্রমাণ নির্ভর লেখা লিখি । আমি অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোন লেখা লিখি না ।
ধন্যবাদ ।
আর আপনার জন্য কি সেই নিয়মগুলো ব্লগ সাইট বিসর্জন দিবে ।
আর যদি দিয়েও থাকে তাহলে মডুরাও কি ছাগুদের খাতায় নাম লেখাবে ? আমার মনে হয় না ।
আমেরিকার মতো দেশে থাকেন আর ছেলে-মেয়ের বাবা হয়েছেন । আপনার কাছ থেকে আমাদের মতো তরুণরা কি শিখবে ?
আর আমেরিকার মতো দেশে থেকে আজও গণতান্তিক মূল্যবোধটা আয়ত্ব করতে পারলেন না । আফসুস ।
তবে আমেরিকার খারাপ দিকটা আয়ত্ব ভালই করেছেন । আর তাহলো জোড় যার মুল্লুক তার । আর তা নাহলে আমার এই লেখার কথাগুলো যুক্তি ও প্রমাণ দিয়ে খন্ডন করতেন ।
আমার প্রতিটা লেখাই যুক্তি ও প্রমাণের উপর লেখা ।
ধন্যবাদ ।
আমনে আবার নয়া করে জিগাইলেন ওহাবী সর্ম্পকে লিকতে! তিনি আভ্যন্তরিন এইসব বিষয় গুটিয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে নজর দিছেন, আমনে তাঁহাকে আবার পিছনে ফিরাইয়া আনতে চান?
ভাই, ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিজেও মাযহাবী ও তবাকায়ে শাফেঈ অনুসরন করি। তথাপি আবদুল ওয়াহহাব নজদী (রহ.) সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই উত্তম ও নেক। সেজন্যেই ওনার মতামতটা দেখতে চাই।
ওহাবী মতবাদ সম্পর্কে আমার বেশ কিছু লেখা আছে । দয়া করে সেসব লেখা পড়ুন ।
উপরন্তু আমি এই লেখায় যে সব তথ্য দিয়েছি তার অধিকাংশই সঠিক । আপনি বেশ কিছু ছবি ও লিংক ছাড়া আমার লেখার বাকি তথ্যগুলোকে অস্বীকার করতে পারবেন না ।
আর যদি আপনার হাতে সময় না থাকে তাহলে ফেসবুকের এই পেজটা ভিজিট করতে পারেন :
https://www.facebook.com/SaudiArabianMonarchy
আপনার কাছে আমি সৌদি প্রশাসন বা তথাকার শাসকদের সম্পর্কে জানতে চাইনি, জানতে চেয়েছি আবদুল ওয়াহহাব নজদী সম্পার্কে। আপনি যে তার সম্পর্কে একগাদা আপত্তিকর মন্তব্য নিয়মিত করে যাচ্ছেন-তিনি কি ছিলেন, আর এ ব্যাপারে দলীল কি?
আশা করি সাথেই থাকবেন ।
মিডিয়া যে নিরপেক্ষ নয়, এমনকি এই সব মিডিয়া সরাসরি মুসলিম বিদ্বেষী, তা দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট। সুতরাং এতে কোন সন্দেহ নেই তারা সেই সমস্ত খবরই প্রচার করবে যা দিয়ে তাদের টিআরপি বাড়বে এবং যেগুলো তাদের নীতির বিরুদ্ধে যাবে না। এমতাবস্থায়, যেহেতু আপনি নিজেই স্বীকার করলেন যে আপনি মিডিয়া বিশেষজ্ঞ নন, সেক্ষেত্রে কিভাবে যাচাই বাছাইহীন ভাবে ইহুদি-খিষ্ট্রান মিডিয়ার তথ্যকে ঢোল বানিয়ে বাজিয়ে বেড়ান? তাহলে কুরআনের উক্ত আয়াতের (হুজরাত-৬)ক্ষেত্রে আপনার অবস্থানই বা কি? আর যদি আপনি নাই জানেন তাহলে একজন মুসলমান (অবশ্যই তাকে মুসলমান বলতে হবে; যেহেতু সে প্রকাশ্যে ইসলামের শাহাদাত দিয়েছে। যদি তার অন্তরে মুনাফেকি থাকেও তা ততক্ষণ ধর্তব্য না যতক্ষন না তার মুনাফিকী প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে আবদুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের সাথে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আচরণ স্পষ্ট দলিল।)সম্পর্কে অনুমান ভিত্তিক ও পক্ষপাতমূলক এহেন মন্তব্যের পর আপনার ঈমান কি থাকবে?
অর্থাৎ যা আপনি বলছেন সে বিষয়ে আপনি নিজেও ১০০% নিশ্চিত নন। অথচ একজন মুসলমানকে সমানে ইহুদি-নাসারার চর, দালাল ইত্যাদি বিশেষণে বিশেষায়িত করে চললেন! বাহ........আসলেই আপনি পারেন।
একটা কিছুও নিরেট ভাবে প্রমাণ করতে পারলেন না, অথচ আল বাগদাদী ভূয়া! বিচার মানি, তালগাছ আমার- ইসলামে এই ধরনের চিন্তার কোন মূল্য নাই।
এবার তাহলে চিন্তা করে দেখেন, শুধুমাত্র অপ্রমাণিত কতগুলো খবরের উপর ভিত্তি করে এবং নিজের ব্যক্তিগত চিন্তার স্বপক্ষে আপনি একজন মুসলমানকে কিভাবে একের পর এক জঘন্য মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এরপর আপনার সম্পর্কে সাধারণ কি ধারণা পোষন করতে পারে?
১. খলিফা কীভাবে হয় ?
২. খলিফার বৈশিষ্ট্র কি ?
৩. কথিত খলিফার আসলে কে ?
৪. সৌদি আরবের রাজতন্ত্র কি ইসলাম সম্মত ?
৫. ইসলাম ও মুসলিমদের আসল শত্রু কে বা কারা ?
এই কয়টা প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছ হতে আশা করছি ।
তবে ৫ নম্বরটার উত্তর আমি দিবে, কারণ আমার কথার সাথে এটার দরকার আছে। ইসলাম ও মুসলমানের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো ঐ সকল ব্যক্তিরা যারা ইসলামের দোহাই দিয়ে নতুন দল কায়েম করে মূলত মুসলমানদের দ্বীধাবিভক্ত করতে চায় এবং ঐ সকল ব্যক্তিরা যারা জাহেল কূল শিরোমনী, এবং নিজেদের জাহেলিয়াতকে তারা জ্ঞান মনে করে তা প্রকাশ করে ইসলাম সম্পর্কে মানুষের মস্তিস্কে উল্টাপাল্টা ধারনার সৃষ্টি করে।
আমি মোটেও আলোচনা অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছি না । আপনি আসলে কি জানতে চান ?
উপরন্তু আমি যে সব তথ্য দিয়েছি, সেগুলোর সূত্র উল্লেখ করেছি । আপনি যদি এসবের বিকল্প তথ্যের সূত্র পান – তাহলে আমাকে দিন ।
আপনি মুহাম্মদ ইবনে আব্দুর ওয়াহ্হাব সম্পর্কে আমি কি জানি তা জানতে চেয়েছিলেন । আজ তার সম্পর্কে ধারাবাহিক লেখা দেওয়া শুরু করেছি । দেখুন : এই লেখটা - ওহাবী কারা ? সালাফি কারা ? আহলে হাদিস কারা ? মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব কে ? সৌদি রাজতন্ত্রের দালাল কারা ? ইসলামের নামে সন্ত্রাস করে কারা ? মুসলমানদের মধ্যে সদ্দবেশী ইসলামের দুষমন করা ? ( ১ম পর্ব ) : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/50577#.U96koaN3zSk আপনি বলেছেন : "এটা আমার পোস্ট হলে আমি অবশ্যই উত্তর দিতাম। আর প্রশ্নগুলোও অমূলক।"
উত্তরে বলছি : আমি যা লিখেছি তাই আমার অভিমত এবং আমার দৃষ্টিভঙ্গি এতে প্রতিফলিত হয়েছে ।
উপরন্তু আমি যা লিখেছি তার প্রতিটা তথ্যের সূত্র আছে এবং ইসলামের সত্যিকার মর্মবাণীর সাথে সম্পর্কিত । যদি আপনি দ্বিমত করেন, তাহলে কোন বিষয়ে করেন তা উল্লেখ করুন ।
তথ্যগত সমস্যা থাকলে বিকল্প উল্লেখ করুন ।
দয়া করে আমাকে গালি গালাজ করে নিজেকে ছোট করবেন না । অবাদ তথ্য প্রবাহের যুগে কোন কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না ।
যাই হোক, আমার মনে হয় আপনি বারবার কথা একই স্থানে ঘুরাচ্ছেন। আমার প্রশ্নটা পানির মতো স্বচ্ছ ও স্পষ্ট-
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রব্বুল আালামীন বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِن جَاءكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَأٍ فَتَبَيَّنُوا أَن تُصِيبُوا قَوْمًا بِجَهَالَةٍ فَتُصْبِحُوا عَلَى مَا فَعَلْتُمْ نَادِمِينَ
মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।(সুরা হুজরাত (৪৯), আয়াত-৬)
আপনার ব্লগে আপনি প্রমান হিসেবে যে সব মিডিয়ার দলীল দিয়েছেন, সেগুলোর সবগুলোই চিহ্নিত ইসলাম বিরোধী ও পক্ষপাতমূলক হিসেবে প্রমাণিত। আর আপনার কথা মতো আপনি এই বিষয়ে তাহক্বীক করতে পারেন নি।
তাহলে কিভাবে আপনি একজন মুসলমানের বিরুদ্ধে ইহুদি-খিষ্ট্রান ও চিহ্নিত মুসলিম বিরোধীদেরকে দলীল ও সাক্ষী হিসেবে গ্রহন করেন? ইসলাম কি এর অনুমোদন দেয়?
আপনি যাকে বা যাদের মুসলিম বলছেন, তারা মুসলিম নামের কলংক । তারা সন্ত্রাসী । তারা মানুষ জাতির শত্রু । তারা ইসলামের শত্রু । তারা মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করতে তৎপড় ।
পরিশেষে বলছি : মানুষ দিন দিন তার মেধা ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করছে । অপর দিকে এসব সন্ত্রাসী সন্ত্রাস করে এই বিশ্বকে অশান্ত করে তুলছে ।
মুসলিম হিসেবে আমাদের কী করণীয় তা আমি আমার এক লেখায় তুলে ধরেছি : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/243 ( মুসলিমদের এগিয়ে যেতে হবে মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে ) দয়া করে এসব সন্ত্রাসীদের পক্ষ হয়ে মন্তব্য করবেন না ।
আপনি গালি দেননি । অন্যরা তো দিচ্ছি । আর আপনি তো প্রতিবাদ করছেন না । আর আপনি আর গালিদাতারা যে একই লোক বা এক দলভুক্ত বা তারা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি - তা তো বোঝার উপায় নেই ।
রাসূল (সাঃ) কি জানতেন না আবদুল্লাহ ইবনে উবাই শুধুমাত্র লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহন করেছে? তথাপি কুরআনের আয়াত নাজিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি ঘোষনা দেননি, কারণ অন্তর দ্বারা কখনো বিচার করা যায় না, বিচার হয় আমল দ্বারা। আপনিও তাদের বিরুদ্ধে সত্যিকার দলীল না আনা পর্যন্ত তাদেরকে অমুসলমি দাবি করতে পারেন না। ইসলাম সেই অধিকার কাউকে দেয় না।
ভাবতেও অবাক লাগে আপনি নিজেকে একজন মুসলমান দাবী করছেন, অথচ দলীল প্রমাণ হাজির করছেন ইহুদি-খিষ্ট্রান মিডিয়া থেকে। অথচ কুরআন স্পষ্ট ভাবে এথেকে বিরত থাকতে হুকুম করছে। কুরআনের হুকুমের খিলাফ করে একজন মানুষ কিভাবে মুসলমান থাকে?
একজন মুসলমান হয়ে আপনি আরেকজন মুসলমানের বিরুদ্ধে সাক্ষী দাঁড় করাচ্ছেন ইহুদি খ্রিষ্টান ও মুসলিম বিদ্বেষী চক্রদের! মুসলমান না হলেও, অন্যের বিরুদ্ধেও তো এদের সাক্ষ্য গ্রহনে ফয়সালা হয় না।
আপনাকে কে কি বললো তা নিয়ে তো আর আমি যাচাই করতে যাই নি। হতে পারে আপনিও অতীতের কোন পোস্টে তাদের প্রতি আক্রমনাত্বক বক্তব্য দিয়েছেন, আবার নাও হতে পারে। কোন কিছু সঠিক ভাবে না জেনে অনুমান ভিত্তিক কথা আমি বলতে পারি না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন