ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ (পর্ব : ১ )
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ৩০ জুলাই, ২০১৪, ০৪:২৭:১০ বিকাল
পটভুমি :
আজ আমি আমার লেখা একটা বই এই ব্লগে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করতে যাচ্ছি । বইটার নাম হলো : “ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরব ও মক্কার শাসক শরিফ হোসাইনের প্রধান ভূমিকা এবং ওহাবী-সালাফি মতবাদ” । বইটা প্রায় ১৫০ পৃষ্ঠার । কিন্তু এই সাইটে গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করে যাবো, ইনশাআল্লাহ ।
আমার এই বইয়ে অনেক তথ্য থাকবে যেগুলো অনেকের কাছে বিস্ময়কর মনে হবে । কিন্তু এসব তথ্য সঠিক-সত্য-বস্তুনিষ্ঠ ।
আজকের পর্বে বইটির ভুমিকা ও প্রথম দিকের অনেকগুলো পৃষ্ঠা দেওয়া হলো না । তারপরও এটিকে ১ম পর্ব হিসেবেই দিলাম ।
আশা করি আমার মনযোগ দিয়ে আমার এই বইটা পড়বেন । যারা আমার এই বইটার খন্ডিত অংশগুলো পড়বেন এবং সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করবেন তাদের বইটা প্রকাশ হলে একটা অনুষ্ঠান করে তাদের উপহার দেওয়া হবে । ইনশাআল্লাহ ।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরণ : লেখকের অনুমতি ব্যতিত লেখকের লেখার কোন অংশই কপি পেস্ট নিষিদ্ধ ।
আমার লেখায় দ্রুত টাইপ করার জন্য অনেক বানান ভুল রয়েছে । পরবর্তীতে সেগুলো সংশোধন করা হবে । আশা করি সবাই মার্জনা করবেন ।
ইসলাম ধর্মের বিস্তার :
৬২৪ সালে বদরের যুদ্ধে মুসলমানরা জয় লাভের পর হতে মুসলমানরা বিজয়ী শক্তি হিসেবে উদয় হয় । ৬৩৪ সালে মুসলমানরা মক্কা অধিকার করে ইসলামবিরোধী শক্তিকে নাস্তানুবাদ করেন । মুসলমানরা একের পর এক দেশ অধিকার করে ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসার করতে থাকেন । রাসুল সা.-এর চার খলিফার সময়ই ইরাক, সিরিয়া ও ইরান যুদ্ধ করে ইসলামি খিলাফতের সাথে যুক্ত করেন ।
আবু বকর - ওমর - ওসমান - আলী (রা.) - এর গড়া ইসলামী খিলাফতের বিস্তৃতি ।
তারপর আসেন উমাইয়া খলিফারা । তারা চীনের সিনচিয়াং-এর কাশগড় হতে ফ্রান্সের এভিগনন ও লিয়নস্ পর্যন্ত অধিকার করে ইসলামী খিলাফতকে সুসংহত করে । তারা সাল হতে সাল পর্যন্ত দীর্ঘ বছর মুসলমানদের মহান ত্রানকর্তা ও ইসলাম ধর্মের মহান রক্ষকের স্হানে অধিষ্ঠিত ছিলেন ।
৭৫৫ সাল পর্যন্ত উমাইয়া খলিফাদের প্রতিষ্ঠিত ইসলামী খিলাফাতের বিস্তৃতি । তারা ইউরোপের স্পেনও অধিভুক্ত করেছিলো ।
উমাইয়াদের পর মুসলমানদের মহান ত্রানকর্তা ও ইসলাম ধর্মের মহান রক্ষকের পদে অধিষ্ঠিত হন আব্বাসীয় খিলাফাগণ । তারা ইসলামী খিলাফতে বেশী করে নতুন এলাকা অন্তর্ভুক্ত করতে না পরলেও তারা খৃষ্টানপ্রধান বাইজান্টাইন সম্রাজ্যকে করদ রাজ্যে পরিনত করেন । তাদের সময়ের পরে ইসলামী খিলাফতের বাহিরে এশিয়া ও আফ্রিকায় স্হানে মুসলিম শাসনাধীন ও মুসলিম প্রধান অনেক দেশ সৃষ্টি হয় । যেমন : পারশ্য, মধ্য এশিয়ায় খাওরিজম, কিপচাক, আফগান, হিন্দ , মাজাপাহাত, মালয় এবং আফ্রিকায় সাংগাই , মারাবুত , আগলাবী, জান্জ ইত্যাদি সম্রাজ্যের উৎপত্তি হয় এবং ইসলাম ধর্মের বিস্তৃতি ঘটে বিশ্বময় ।
৮৫০ সালে আব্বাসীয় খিলাফাতের বিস্তারন । তাদের সময় স্পেনসহ আফ্রিকার বিভিন্ন অংশ নিয়ে উমাইয়া খিলাফতের লোকরা আলাদা আলাদা কতকগুলো দেশ সৃষ্টি করে । উপরন্তু এশিয়া ও আফ্রিকায় অনেক মুসলিম শাসনাধীন দেশের উদয় হয় ।
আব্বাসীয় সম্রাজের পতন হলে সেলজুক তুর্কি জাতি মুসলিমদের মহান ত্রানকর্তা হিসেবে উদয় হয় । সেলজুক তুর্কিদের নেতা মালেক শাহ ১০৭১ সালে মার্জিতকার্তের যুদ্ধে ( Battle of Manzikert ) খৃষ্টানপ্রধান বাইজান্টাইন সম্রাজ্যকে সমূলে বিনাশ সাধন করেন এবং পরাজিত খৃষ্টান সম্রাটকে বন্দি করে জাহান্নামে পাঠান । এই যুদ্ধে খৃষ্টানপ্রধান আনাতোলিয়া (বর্তমান তুরস্কের সব এলাকা ) মসলিমদের দখলে আসে এবং মধ্য এশিয়া হতে তুর্কি জাতির লোকরা এই অংশে বসবাস করার জন্য বিপুল পরিমানে আগমন করে ।
৫৫৫ সালে খৃষ্টানপ্রধান বাইজাইন্টান সম্রাজ্য । এটা ছিল খৃষ্টানদের কেন্দ্রীয় ও প্রধান সম্রাজ্য । ইসলামের ৬১০ সালে ইসলামের আবির্ভারের পর হতে এটি দুর্বল হতে থাকে ।
মার্জিতকার্তের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী খৃষ্টান প্রধান এই এলাকা অধিকার করে । বর্তমানে এই অংশে তুরস্কের তুর্কি ভাষা কথা বরা মুসলিমরা বাস করছে ।
(মুলত তুর্কি জাতির লোকরা বাস করতো মোঙ্গলিয়া,চীনের সিনচিয়াং ও বরফ শীতল রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় । তারা ইসলামের প্রাথমিক যুগেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে । তারা যাযাবর ও যোদ্ধা জাতি হওয়া আজ তারা মানচিত্রের এসব দেশে ছড়িয়ে আছে । চীনের মুসলিম প্রধান সিনচিয়াং-এর ভাষাও তুর্কি । যে বা যারা তুর্কি ভাষা জানে তারা তুরস্ক ওমধ্য এশিয়ার সব দেশ সহ রাশিয়ার অনেক এলাকার লোকদের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে পারবে । )
মুসলমানরা ছিল তখন ছিল শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য । কারণ তারা ছিল শুধুমাত্র ইসলােমের জন্যই নিবেদিতপ্রাণ । তারা শুধু আল্লাহর প্রভুত্ব পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠার জন্য ও মুহাম্মদ (সা.) এর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্যএবং মানুষের দাসত্ব দুর করার জন্য কাজ করছিলো । তাদের কাছে তখন ভাষাভিত্তিক জাতীয়তার বা অঞ্চলভিত্তিক বা বংশভিত্তিক জাতিয়তার কোনই মূল ছিল না । তারা শুধু্ নিজেদের মুসলিম মনে করতো । তারা তাদের দেহ ও মন দিয়ে : আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই , মুহাম্মদ আল্লাহর বার্তাবাহক - এই কথাকে বিশ্বময় পৌছে দেওয়ার জন্য জীবন বাজি রাখতো । তাদের এক হাতে ছিল কুরআন আরেক হাতে ছিল যুদ্ধাস্ত্র ।
সেলজুক তুর্কিদের পর ইসলাম ও মুসলমানদের মহান ত্রানকর্তা হিসেবে উদয় হয় ওসমানিয়া খিলাফত http://en.wikipedia.org/wiki/Ottoman_Empire । এই খিলাফতের প্রতিষ্ঠাতা হলেন তুর্কি জাতির নেতা আর্ত ত্রোগিল । তার ছেলের নাম ছিল ওসমান । ওসমান থেকেই ওসমানিয়া খিলাফতের নামকরণ করা হয় । আর অমুসলিমরা বিকৃত নাম বিকৃত করে বলতো অটোম্যান সম্রাজ্য ।
ওসমানিয়া খিলাফত ১৬৮৩ সাল
ওসমানিয়া খলিফা ওসমান রহ ।
ওসমানিয়া খলিফা ওসমানের মাজার শরীফ যা তুরস্কের বার্সা শহরে অবস্হিত । সম্মানিত ব্যক্তিদের মাজার যিয়ারত করা উত্তম ইবাদত ।
ওসামানিয়া খিলাফতের বিস্তার ( ১৮ শতকের মাঝামাঝি )
ইতোমধ্যে ইউরোপের খৃস্টান রাজারা দেখলো যত দিন যাচ্ছে ইসলাম ধর্ম প্রবলতর হচ্ছে এবং মুসলিম দেশগুলো শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে । এজন্য তারা সম্মিলিতভাবে খৃস্টানদের নিয়ে খৃস্টান ধর্ম রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা শুরু । তারা এই যুদ্ধের নাম দেয় ক্রসেড । এর অর্থ হলো তিন সৃষ্টিকর্তা রক্ষার যুদ্ধ । খৃস্টানদের বিশ্বাস মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা তিন জন । কিন্তু মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা হলো একজন ।
খৃস্টানরা মুসলিমদের অধিকারে থাকা জেরুজালেম শহর উদ্ধারের জন্য তারা অভিযান পরিচালনা করতে থাকে । জেরুজালেমে মুসলমানদের পবিত্র স্হান আল আকসা মসজিদ রয়েছে এবং এখান থেকে রাসুল সা. আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন ও মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য পরিপূর্ণভাবে জানার জন্য যাত্রা শুরু করেন । অপর দিকে খৃস্টানদের অন্যতম সৃস্টিকর্তা যিশু খৃস্টের জন্মস্হানও জেরুজালেম এবং ইহুদিদের কাছেও এই শহর পবিত্র শহর ।
জেলরুজালেম এর মধ্যে খৃস্টানরা সন্ত্রাস – জ্বালাও –পোড়াও – মুসলিম মেয়েদের গণধর্ষণ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দখল করে ফেলে । সালাউদ্দীন আইয়ুবী তার দল বল নিয়ে ১১৮৭ সালে জিদিনের যুদ্ধে খৃস্টানদের পরাজিত করে জেরুজালেম উদ্দার করেন । এজন্য মেয়েদের দিয়ে তিনি একটা বড় সৈন্য দল বানান যারা খৃস্টানদের হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখতো ।
ইসলামের বীর সেনাপতি সালাউদ্দীন আয়ুবী ।
১২৯১ সালে মামলুক সুলতানরা এশিয়া হতে সর্বশেষ খৃস্টান যোদ্ধাকে বিদায় করেন । এর পর আর এই অংশে কোন খৃস্টানের চিহ্নই ছিল না ।
তারপর ওসমানীয় খিলাফত ইউরোপের মূল ভুখন্ডে প্রবেশ করে পূর্ব ইউরোপ অধিকার করে এবং অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা অবরোধ করে ।
তারপর ইউরোপের খৃস্টানরা খৃস্টান ধর্ম রক্ষার জন্য ক্রসেড শুরু করে ।
ওসমানীয় খলিফা বায়োজিদ রহ.
ওসমানীয় খলিফা বায়োজিদ নাইকোপলিসের যুদ্ধে ইউরোপের খৃস্টান ধর্ম যোদ্ধাদের সমূলে বিনাস করেন ।
খলিফা ২য় মুহাম্মদের খৃষ্টানের রাজধানী কনস্টেনটিনোপল (ইস্তাম্বুল) জয় http://en.wikipedia.org/wiki/Mehmed_II
খলিফা ২য় মুহাম্মদ খৃস্টান জগতের মর্যাদার প্রতীক কনস্টেনটিনোপল অধিকার করেন এবং তার নামকরণ করেন ইসলাম বল । এই নাম লোক মুখে পরিবর্তিত হয়ে ইস্তাম্বুল নাম ধারণ করে । বর্তমানে ইস্তাম্বুল তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর http://en.wikipedia.org/wiki/Istanbul ।
ওসমানিয়া খলিফা সেলিম মিসর জয় করে মসজিদে যান জুমার নামাজ পড়তে গেলে খুতবায় তাকে মক্কা মদিনার রক্ষক হিসেবে উল্লেখ করলে তিনি দাড়িয়ে বলেন তিনি তত্ত্বাবধায়ক বা সেবক মাত্র । ওসমানিয়া খিলাফতের খলিফারা ছিলেন ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ইসলামের জন্যই তারা যুদ্ধ করতো । ৪০০বছর ওসমানিয়া খিলাফতের শাসনে মধ্যপ্রাচ্য ছিল । ওসমানিয়া খিলাফতের শাসন আরবের উন্নায়ন ও অগ্রগতিকে বেগবান করেছিলো । ওসমানিয়া খলিফারা তুর্কি ভাষার লোক হলেও তারা আরবদের ভাষা-লোকাচার-সংস্কৃতিকে সম্মান করেছে । ওসমানিয়া খিলাফাতে ছিল ৩০ এর অধিক ভাষা ও জাতির লোক । আরবগণ তুলনামূলকভাবে অন্য জাতি অপেক্ষা বেশি সম্মান ও স্বাধীনতা পেতেন ।
ধর্মের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই – কুরআনের এই আয়াতকে বাস্তবে রূপ দান করেছিলেন । সার্বিয়া ওসমানিয়া খিলাফতের অংশ হলে খলিফা সেলিম সার্বিয়ার পরাজিত রাজা ব্রাবেকে বলেন : “মসজিদের পাশাপাশে গির্জা থাকবে । যে যার বিশ্বাস অনুযায়ী এগুলোতে প্রবেশ করবে । কারো ধর্মবিশ্বাসের উপর হস্তক্ষেপে আমাদের নীতি নয় । মুসলিম মিল্লাত, খৃস্টান মিল্লাত , ইহুদী মিল্লাত হিসেবেই জনগণ স্বীকৃতি পেয়ে থাকে। যার মিল্লাতের সমস্যা তার তার মিল্লাতের প্রধানই সমাধান করেন । মিল্লাতের সদস্যগণ অপরাধ করলে তার শাস্তি মিল্লাত প্রধানই তাদের আইন অনুযায়ী বিচার করেন । ইসলাম অমুসলিমদের প্রতি উদারতার ভাবাদর্শ । “
বিষয়: বিবিধ
৪৫৮১ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে দু:খজনক যে ওহাবি-সালাফি-আহলে হাদিসদের মতে "মেয়েরা ফিতনা । ,মেয়েরা শ্রেফ পুরুষের যৌন দাসি । ঘরের ভিতর চার দেওয়ালে থাকবে । ঘর থেকে বের হলে বাপ-ভাই-স্বামী-ছেলে নিয়ে বের হবে । "
কয়েক দিন আগে গাজার বিক্ষোভে যাতে মেয়েরা অংশ না নেয় এজন্য ওহাবী ধর্ম ব্যবসায়ীরা ফতোয়া জারি করেছে । মেয়েদের মিছিল করা তো দুরে থাক ইসলামে মিছিল না জায়েজ । কারণ এমন কাজ আল্লাহর রাসুল সা. আমাদের করতে বলে জাননি । নাউজুবিল্লাহ ।
ভাই জান । আমারে নাকি আপনি হত্যা করবেন ? তা ভাই কবে করবেন ।
আমার অপরাধ নাকি আমি জামায়াত , সৌদি আরব আর ওহাবী - মতবাদ নিয়ে লিখি ।
এই অপরাদে আমার যদি মৃত্যুদ্বন্দ শাস্তি হয়, তাহলে আমি মাথা পেতে নেব ।
ভাল কথা : আপনার সর্বশেষ মন্তব্যটা আমি মুছে দিয়েছি ।
আর আপনাকে কেন কাউকেই আমি ব্লক করবো না ।
আপনারা যত খুশি আমার মোবাইল, ফেসবুক আর বাস্তব জীবনে হুমকি দেন না কেন । আপনাদের বিরোদ্ধে আমি অভিযোগ করবো না । আমি আপনাদের জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করি । হে আল্লাহ । বিভ্রান্তিতে থাকা আমাদের ভাইদের বিভ্রান্তি দুর করে দাও । তাদের সত্যিকারভাবে ইসলামের জন্য নিবেদিতপ্রাণ করুন । আমিন ।
আমার এলাকার শিবিরের লোকরা বলেছেন, তারা সৌদি আরবের বাদশাহকে ইহুদীদের চর এবং ইহুদীদের বংশধর মনে করে । তাদের অনেকেই ইসলামী ব্যাংক হতে টাকা তুলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও সোসাল ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখা শুরু করেছে । কারণ এই ব্যাংকের শেয়ারের ৭০% সৌদি আরবের । সৌদি আরব এই ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের দেশে করা লাভের টাকা নিয়ে আমেরিকার থেকে ২ বিলিয়ন ডলার অস্ত্র কিনছে । আর আমেরিকা ২ বিলিয়ন ডলার টাকার সাথে আরো এক বিলিয়ন ডলার যোগ করে ৩ বিলিয়ন টাকা ইসরাইলকে দিচ্ছে মুসলিম হত্যা করার জন্য ।
দেখেন না কীভাবে ইসরাইল গাজায় মুসলিম হত্যা করছে ?আর সৌদি যুবরাজ তুর্কি বলছে : মুসলিম হত্যার জন্য ইসলামী সংগঠণ হামাস দায়ি ।
আপনি কি এসব খবর পড়েন না ।
আপনার বিবেক কি একটুও আলোড়িত হয় না ?
আপনার হৃদয় কি গাজার শহিদ হওয়া কোমলমতি বাচ্চাদের দেখে আলোড়িত হয় না ?
আপনি কি মানুষ ?
ছি !
কিন্তু জামায়াত-শিবিরের মধ্যে বহুল পরিমানে আহলে হাদিস বা ওহাবী সম্প্রদায়ের লোক প্রবেশ করেছে । তারা বলতে গেলে জামায়াত-শিবিরকে গ্রাস করেছে ।
আপনি যদি প্রমাণ করতে পারেন সালাফি মতবাদ ইসলামের জন্য কল্যাণ বয়ে এনেছে এবং সৌদি আরব মুসলিমদের ত্রানকর্তা ও ইসলামের মহান রক্ষক ও সেবক, তাহলে আমি আমার এই লেখার শিরোনাম পরিবর্তন করবো ।
সম্মানী মানুষের কবর জেয়ারত করাডা এবাদত, এই কতাডা কুথায় পাইছেন, জানাইবেন কি?
তবে ইসলামের দুষশন ওহাবি - সালাফী - আহলে হাদিস- যৌন জিহাদিদের মতে কবর বা মাজার জিয়ারত করা গুনাহের কাজ । তাদের মতে কবর বা মাজার ধ্বংস করা সোয়াবের কাজ । এই কয় দিন আগে ইরাকে যৌন জিহাদীরা ইউনুস আ., ওয়াসেস কুরনী রহ. -সহ অনেক নবী , সাহাবী ও তাবেয়ীদের মাজার ধ্বংস করেছে । আল্লাহর উপর তাদের গজব পড়ুক ।
তবে জামায়াত - শিবিরের ভাইরা নিয়মিত মাজার ও কবর জিয়ারত করছেন । তারা মরহুম রফিক বিন সাইদী ও মরহুম কাদের মোল্লার কবর নিয়মিত জিয়ারত করছেন এবং তাদের কবরের সামনে দুয়া-দুরুদ-মুনাজাত করছেন এবং কানাকাটির মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ করছেন ।
দেখুন, শিবিরের ভাইরা কীভাবে মরহুম কাদের মোল্লার কবর জিয়ারত করছেন https://www.facebook.com/photo.php?fbid=874319329264693&set=a.712098222153472.1073741838.100000599018799&type=1&theater;।
রফিক বিন সাইদীর কবর জিয়ারত করছেন জামায়াত-শিবিরের লোক ও তার ভক্তরা
https://www.facebook.com/masood.sayedee.supporters.forum/photos/a.232624040258164.1073741828.231971456990089/256005811253320/?type=1&theater;
আপনার যদি সাহস থাকে তার কবরটা মাটির সাথে মিশিয়ে দিন । কিন্তু পারবেন বলে মনে হয় না । ইদানিং আহলে হাদিসরা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার ধ্বংস করার জন্য ফেসবুকে ফতোয়া পর্যন্ত দিচ্ছে । জনগণ এসব এসব অসভ্য বেয়াদবদের চিনে রাখছে ।
তবে এতটুকু বলছি :
কবর জিয়ারত সম্বন্ধে হাদীস শরীফে আছে
(১): হযরত বুরহিদাহ্ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো (মুসলিম শরীফ)।
(২) অন্য হাদিস শরীফ উনার মধ্যে আছে: হযরত ইবনে মসউদ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পার। কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তিকে কমায় এবং আখিরাতকে স্মরণ করায়। (ইবনে মাযাহ)
(৩) কবর জিয়ারতের বৈধতা প্রসঙ্গে বিভিন্ন হাদীস পরিলক্ষিত হয়, আর এ সমস্ত হাদীসের ব্যাখ্যা হাফেজে হাদীস আল্লামা ইবনে হাযার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনি দিয়েছেন এভাবে:
জেনে রাখুন পুরুষ ও মহিলাদের জন্য কবর জিয়ারত করা এ সমস্ত হাদীসের রায় অনুযায়ী মোস্তাহাব প্রমাণিত, তবে মহিলাদের ব্যাপারে মতানৈক্য আছে। (ফতহুল বারী ফি শরহে বোখারী ৩য় খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা)
(৪) আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন:
কবর জিয়ারত এতে কোন অসুবিধা নেই, বরং এটা মোস্তাহাব। (ফতওয়ায়ে শামী)
(৫): পুরুষের জন্য কবর জিয়ারত করা মোস্তাহাব। (ফিক্বহুস সুন্নাহ্, ১ম খন্ড পৃঃ৪৯৯)
(৬) আল্লামা ইবনে আবেদীন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন:
ওহোদ পাহাড়ের শহীদগণের (কবর) জিয়ারত করা মোস্তাহাব। ইবনে শায়বা হতে বর্ণিত আছে যে, “রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি বৎসরান্তে ওহোদের শহীদগণের (কবর) জিয়ারত করতে আসতেন। অতঃপর বলতেন, তোমাদের প্রতি সালাম, যেমন তোমরা ধৈর্য্য ধারণ করেছিলে তেমনি পরকালে উত্তম বাসস্থান লাভ করেছ।
(৭) বর্ণিত আছে যে, পরবর্তীতে খলিফাতুল মোসলেমীন হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদিআল্লাহু আনহু ও আমিরুল মো’মেনীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই ধারাকে বজায় রেখেছিলেন। (উমদাতুল ফিক্বাহ)
(৮) বিখ্যাত হাদীস বিশারদ আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন: সাইয়্যিদাহ্ ফাতিমা রাদিআল্লাহু আনহু প্রতি শুক্রবার হযরত হামযাহ্ রাদিআল্লাহু আনহু এর কবর জিয়ারত করতে যেতেন, অনুরূপভাবে হযরত আয়েশা সিদ্দীকা রাদিআল্লাহু আনহু স্বীয় ভ্রাতা আবদুর রহমান রাদিআল্লাহু আনহু এর কবর জিয়ারত করার জন্য মক্কা শরীফ যেতেন। (উমদাতুল ক্বারী ফি শরহে বোখারী)
উপরোক্ত বর্ণনা থেকে এ ফতওয়াই স্পষ্ট প্রমাণিত যে, নিয়ত করে মাজার শরীফ জিয়ারত করা সম্পূর্ণ জায়েজ।
(৯) অন্য হাদীসে আছে:
তাবেয়ী মুহম্মদ বিন নোমান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন॥ যে ব্যক্তি প্রত্যেক শুক্রবার আপন মা॥বাপের অথবা তাঁদের মধ্যে একজনের কবর জিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং মা॥বাপের সহিত সদ্ব্যব্যবহারকারী বলে লেখা হবে। (বায়হাকী)
এ হাদীসেও এককভাবে কবর জিয়ারত করার কথা বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি তাঁর মাতা॥পিতার কবর জিয়ারত করতে যাবে সে বাড়ী থেকে নিয়ত করেই রওয়ানা হবে অর্থাৎ জিয়ারতকারী একমাত্র কবর জিয়ারত করার জন্যই কবরস্থানে গমন করবে। আর এ ক্ষেত্রে দূর বা নিকট এর কোন পার্থক্য নাই। নিকটের যে হুকুম, দূরেরও একই হুকুম।
(১০) আল্লামা আবদুর রহমান যাফিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন:
কবর জিয়ারত এর ক্ষেত্রে নিকট ও দূরের কোন পার্থক্য নাই। (কিতাবুল ফিক্বাহ আলা মাযাহিবিল আরবা ১ম খন্ড ৫৪০ পৃঃ)
(১১) আল্লামা ইবনে আবেদীন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন॥
দূরবর্তী স্থানেও (কবর) জিয়ারতের জন্য গমন করা মোস্তাহাব। (শামী ২য় খন্ড ২৪২ পৃঃ)
(১২) হাকিমূল উম্মত মাওলানা আশ্রাফ আলী থানভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন॥ “পুরুষদের জন্য কবর জিয়ারত করা মোস্তাহাব। জিয়ারত করার অর্থ দেখাশুনা। সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন কবর জিয়ারত করা উচিৎ। সেই দিন শুক্রবার হওয়াই সবচেয়ে ভাল। বুজুর্গানে দ্বীনের কবর জিয়ারত করার জন্য সফরে যাওয়াও দুরস্ত আছে”। (এমদাদুল ফতওয়া)
(১৩) হযরত ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শাফেয়ী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা তিনি যখন কোন মাসআলা সমস্যার সমাধানে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তেন তখন আলমে ইসলামীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইমামে আযম ইমাম আবু হানিফা নোমান বিন সাবেত কুফী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মাজার শরীফে এসে জিয়ারত করে তখায় দু’রাকাত নামাজ পড়তেন। এরপর হযরত ইমামে আযম ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি এর উসিলা দিয়ে আল্লাহ্ পাকের দরবারে ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর সমস্যা জানাতেন। আল্লাহ্ পাক তাঁর দোয়া কবুল করতেন অর্থাৎ মাসআলার যে সমস্যার জালে আবদ্ধ হয়ে তিনি সেখানে যেতেন ইমামে আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি এর উসিলার বরকতে তা খুলে যেত। অতঃপর স্বীয় স্থানে প্রত্যাবর্তন করতেন। উল্লেখ্য ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর এ আগমন শুরু হত ফিলিস্তিন হতে, আর এই সূদুর ফিলিস্তিন থেকে আগমনের একমাত্র নিয়ত ছিল মাজার জিয়ারত করা। অন্য কোন উদ্দেশ্যে বাগদাদ এসে মাজার জিয়ারত করা নয় (আন্ নাসিয়াতুলিল ওহাবী)
(১৪) এ প্রসঙ্গে ইমাম শাফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন:
অর্থঃ নিশ্চয়ই আমি ইমাম আযম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বরকত হাসিল করি। যখন আমার কোন সমস্যা দেখা দেয় আমি তাঁর মাজার শরীফে এসে প্রথমে দু’রাকাত নামাজ আদায় করি। অতঃপর তাঁর উসিলা দিয়ে আল্লাহ্ পাকের নিকট সমস্যা সমাধানের জন্য প্রার্থনা করি। তা অতি তাড়া তাড়ি সমাধান হয়ে যায়। (মুকাদ্দিমা,শামী ১ম খন্ড ৫৫ পৃঃ)
(১৫,১৬) শায়েখ ওলি উদ্দীন ইরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন আমার পিতা জয়নুদ্দীন ইরাকী এবং শায়েখ আব্দুর রহমান ইবনে রজব হাসলী, হযরত ইব্রাহীম খলীল আলাইহিস সালাম এর জিয়ারতে বলেছিলেন; যখন শহরের নিকটবর্তী হলেন তখন ইবনে রজব বলতে লাগলেন, আমি খলীলুল্লাহ্ আলাইহিস সালাম এর মসজিদে নামাজ পড়ার নিয়ত করে নিলাম যেন জিয়ারতের নিয়ত না থাকে। আমার পিতা বললেন, আপনিতো হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদের বিপরীত আমল করলেন। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তিন মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদের জন্য সফর করা যায় না অথচ আপনি চতুর্থ এক মসজিদের নিয়ত করলেন আর আমি হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদের উপর আমল করেছি। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কবর জিয়ারত করতে থাকবে। এমন কোন হাদীস নেই যাতে নবী আলাইহিস সালাম গণের কবরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আমি হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এরশাদ মোতাবেক আমল করেছি। (ফাযায়েলে হজ্ব, জুরক্বানী)
(১৭) এ ছাড়াও সাহাবী রাদিআল্লাহু আনহু, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি গণের কবর জিয়ারতের সুস্পষ্ট ও যথেষ্ট প্রমান রয়েছে। ইমামে রাব্বানী আফজালুল আউলিয়া শায়েখ আহমদ সিরহিন্দী ফারুকী মোজাদ্দেদে আলফেসানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সুলতানুল হিন্দ হাবীবুল্লাহ ইমামুত্ব ত্বারীকত হযরত খাজা মুঈনুদ্দিন চিশতী আজমিরী রহমতুল্লাহি আলাইহি এর মাজার শরীফ জিযারত করতে গিয়েছিলেন। আর এতে জিয়ারত ভিন্ন অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।(সীরাতে মোজাদ্দেদে আলফেসানীরহমতুল্লাহি আলাইহি
হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি শামদেশ হতে উট সওয়ার শুধু রওজায়ে পাকে তাঁর সালাম জানানোর জন্য পাঠিয়ে দিতেন।
ইহুদীদের বিখ্যাত পন্ডিত হযরত কা’ব ইবনে আহবার যখন ইসলাম গ্রহন করেন তখন হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহু আনন্দিত হয়ে তাঁকে হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রওজা মোবারক জিয়ারতের জন্য মদীনা শরীফ আসতে বলেন, তিনি এটা কবুল করে মদীনা শরীফ এসেছিলেন।
একটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কবর বা মাজার জিয়ারত করতে গিয়ে যাতে শরীয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ সংঘঠিত না হয়। এটা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ বলতে: কবরস্থানে বা মাজারে গিয়ে সিজদা করা, গান বাজনা করা, মহিলা পুরুষের বেপর্দা চলাফেরা ইত্যাদি এসমস্ত কার্যকলাপ মূলতঃই হারাম।
আমনে লিখছইন জেয়ারত করাডা এবাদত। আঁই আন্নের ১৭ ডা পয়েণ্ট তন্ন তন্ন কইরা পড়লাম, কুথাও দেখলাম না কেউ কবর জেয়ারতকে এবাদত বলিছে।
আন্নে আপনের লেখা থেইকা কবর জেয়ারত এবাদত হেই কতাডা মুইছা লিখা দেন এডা ভালা কাম, তাইলে আমার কুন আপত্তি নাই, তহন আমনে আমার মন্তব্যটাও মুইছা দেতে পারেন। আমার আপত্তি নাই।
মানুষের সব কাজই তো ইবাদত । কারণ আল্লাহ বলেছেন :
وَما خَلَقتُ الجِنَّ وَالإِنسَ إِلّا لِيَعبُدونِ
আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি। সুরা জারিয়াত : ৫৬ ।
আমনের এত্ত সব তথ্য মনে অয়, ডক্ঠর আবুল কারাকাত সাহেব পায় নাই। তিনি তথ্যের অভাবে অনেক দিন পর্যন্ত মুখে গোবর ডুকাইয়া বইসা আছে, ঐই দিকে তথ্য বাবার ভান্ডও খালি। আশা করি আমনে এসব গুরুত্বপূর্ন তথ্য তাদের কাছে সাপ্লাই কইরা, দেশ ও দশের গুরুত্বপূর্ন খেদমত করিবেন, দেশের তামাম মানুষদের সুদ ভুক্ত জীবনের প্রতি অবহেলা করিয়া টঙ্গির রাস্তায় ফিরিয়া যাইবে।
সলামী ব্যাংকের ফরেন শেয়ার হচ্ছে ৬৩.০৯% । আর এই ব্যাংকের ৬৩.০৯% শেয়ার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের নামী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের । অথচ স্ট্যাটাসে শুধু সৌদি আরবের কথা বলা হয়েছে । 1. http://www.islamibankbd.com/abtIBBL/abtIBBLAtaGlance.php 2. http://www.islamibankbd.com/abtIBBL/abtIBBLSp_foreign.php
মিসরের চলমান মুসলিম গণহত্যার কারণে অনেকের মনে জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর অবস্হান জনগণের কারছে এখনও অস্পষ্ট ।
জামায়াতে ইসলামীর সাথে সৌদি আরব, কুয়েত, আরব আমিরাত, মরক্কো-র মতো দেশগুলোর সাথে নিবির সম্পর্ক রয়েছে । জামায়াতের লোকরা বাদশাহ ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ-কে খলিফার মতো মনে করে । কারণ :
১ তিনি নাকি ওআইসি পতিষ্ঠায় প্রধান ভুমিকা রেখেছেন ।
২. মুসলিম বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন কিছু আবিষ্কারের জন্য বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার প্রবর্তন করেন । এই পুরস্কারকে মুসলিম বিশ্বের নোবেল হিসেবে তারা বলে থাকে । এই পুরুস্কার জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী পেয়েছেন ।
৩. ইসরাইলের মেকাবেলা করার জন্য তিনি মুসলিম দেশগুলোকে তেল রপ্তানী বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন ।
৪. তার উদ্যোগে এবং উৎসাহে জামায়াত পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ব্যাপারে উদ্যোগী হয় । জামায়াতের মতে পাকিস্তান ইসলামের দেশ ।
৫. ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্হা প্রচলনে নাকি তার অবদান রয়েছে । ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মোট শেয়ারের ৬২ % সৌদি আরবের ।
সুতরাং জামায়াত কখনোই সৌদি আরবের বিরুদ্ধে জোড়ালো ভাষায় প্রতিবাদ করবে না ।
উপরন্তু জামায়াত জনগণকে এব্যাপারে বিভ্রান্ত করে যাবে । যেমন : ১৯৯০ সালের আগস্ট সাদ্দামের কুয়েত দখলকে সারা বাংলাদেশের জনগণ সমর্থন দিয়েছিলে । কিন্তু জামায়াত সাদ্দামের বিরোদ্ধে অবস্হান নিয়েছিলো । এব্যাপারে সাইদী বেশ কয়েক বার সাদ্দামকে গালি গালাজ করে ওয়াজ করেছিলো । এরকম গালি গালাজমুলক ওয়াজ করে ঢাকায় ফিরার সময় যশোহর বিমান বন্দরে সাইদী জনগণের তাড়া খেয়েছিলেন । তারপর জামায়াত সাদ্দামের বিরোদ্ধে কোন কথা না বলে নিরব ছিল ।
জামায়াতের অনেক প্রতিষ্ঠান সৌদি বাদশাহ ও সৌদি নাগরিকের নামে নামকরণ করা হয়েছে ।যেমন : বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউট , মোহাম্মদপুর , ঢাকা , ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতাল বর্তমানে ইবনে সিনা হাসপাতালের ফুয়াদ আল খতিব ইউনিট ।
জামায়াত যতই ইসলামী মূল্যবোধ ও ইসলামী শাসনের কথা বলুক না কেন জামায়াত কখনোই সৌদি আরবের অন্যায় ও অবিচারমূলক কাজগুলোর প্রতিবাদ করবে না । বরং ধর্মের নামে তাদের অনেক কাজকে জায়েজ প্রমানের চেষ্টা করে যায় এবং যাবেও ।
যেমন : কয়েক বছর আগে ৮ বাংলাদেশির শিরোচ্ছেদের বিষয়কে জামায়াত সমর্থন করেছিলো । কিন্তু বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকা ও জনগণ এর বিরোদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলো । এব্যাপারে সৌদি আরবের পক্ষে জনমত গঠণের জন্য জামায়াত ফেসবুক, সোনার বাংলাব্লগ, আমার বর্ণমালা ব্লগ ও সামহোয়ার ইন ব্লগ ব্যবহার করে ।
আমার কোন তথ্যই মিথ্যা নয় ।
আমি প্রচন্ড ঘৃণা ভরে ধিক্কার জানাই সৌদি বাদশাহ কে। কারণ এই ব্যক্তিটিই মুসলিম বিশ্বের চরম দুর্দশার সব চেয়ে বড় কারন। সৌদি আরবের বাদশাহ আব্দুল্লাহ ১’শ মিলিয়ন
সৌদি রিয়েল দান করেছেন গাজাবাসিদের
জন্যে। বাদশাহ এমন দান করেছেন এর
আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল
আসাদের বিরুদ্ধে যে সব বিদ্রোহী লড়াই
করছে তাদের অস্ত্র কিনতে ও
সিরিয়া থেকে যে সব মানুষ আশেপাশের
দেশে উদ্বাস্তু হয়ে গিয়েছে তাদের জন্যে।
বাদশাহ দান করেছেন, মিশরের জেনরেল আবদেল
আল ফাত্তাহ সিসির সরকারের
জন্যে যে সিসি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত
মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায়
এসে গুলি করে হাজার হাজার
প্রতিবাদকারিকে হত্যা করেছে।
সৌদি বাদশাহ বিশ্ব মুসলিমের
জন্যে অকাতরে দান করবেন এটাই স্বাভাবিক
কিন্তু গাজায় যে ইসরায়েলি বর্বরতা ও হত্যাযজ্ঞ
চলছে, নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে,
ঘর বাড়ি মাটির
সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে সে তুলনায়
বাদশাহ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ১’শ
মিলিয়ন সৌদি রিয়াল গাজার স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ে দান করছেন তা খয়রাতি সাহায্য
বলেই মেন হচ্ছে। বাদশাহর দরাজ দিল
রয়েছে বলেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক
ওবামা সৌদি আরব সফর করার পর তিনি ২’শ
বিলিয়ন ডলার অস্ত্র কেনার ঘোষণা দেন। অস্ত্র
বিক্রির টাকা থেকেই যুক্তরাষ্ট্র
বছরে ইসরায়েলকে ৩ বিলিয়ন ডলার করে সাহায্য
দিচ্ছে।
বাদশাহ আব্দুল্লাহ যদি শুধু এটুকু বলতেন গাজায়
নিরীহ মুসলমানদের উপর
ইসরায়েলি বিমানগুলো যেভাবে বোমা বর্ষণ
করছে, মারাকাভা ট্যাঙ্কের গোলায় বাড়ি ঘর
ধ্বংসস্তুুপে পরিণত হচ্ছে, আর মানুষ
চাপা পড়ে আছে সে স্তুুপের
নিচে সুতরাং তিনি আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
থেকে অস্ত্র কেনা উচিত কিনা তা ভাবতে শুরু
করেছেন। তাহলে বাদশাহর এ কথা ১’শ মিলিয়ন
সৌদি রিয়াল দানের চেয়ে অনেক বড় কিছু হত।
বাদশাহ যদি বলতেন
পশ্চিমা দেশগুলো থেকে অস্ত্র
না কিনে নিজের দেশেই এসব অস্ত্র উৎপাদন
করবেন তাহলে ব্রিটিশ প্রিন্স চার্লস থেকে শুরু
করে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন
পর্যন্ত নড়েচড়ে বসতেন। বাদশাহর এটুকু বলার দরকার
নেই যে যুদ্ধ বিমানগুলো তিনি কিনেছেন তার
২/১টি গাজায় ইসরায়েলের বিমান
হামলা মোকাবেলায় যাবে মুসলমানদের
বাঁচাতে, অগণিত শিশু ও নারীদের রক্ষা করতে।
কারণ সে হিম্মত বাদশাহর নেই।
এমনকি ফ্রান্স, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের
বিরুদ্ধে যে বিক্ষোভ প্রতিবাদ হয়েছে তার
ছিটেফোঁটা সৌদি আরবে হয়নি। বাদশাহ তার
দেশকে এমনি শান্তির দেশ বানিয়ে রেখেছেন
সেখানে প্রতিবাদ বিক্ষোভের
কোনো প্রয়োজন হয় না এমনকি গাজায়
মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা কিংবা নিধন
করলেও বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করা সমুচিত
মনে করেন না সৌদি শাসকরা । এহেন শান্তির
দেশের মানুষ ইদানিং চীনের
চেয়ে বেশি ধূমপান করছে, এইডস
বাড়ছে এবং তার
সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঘর সংসার,
এমনকি যুবতী মেয়েরা নিজেদের বিয়ের
দাবিতে আদালত পর্যন্ত যাচ্ছে।
এই বাদশাহর দেশে বিশ্বের তাবৎ মুসলমানরা যান
হজ্জ করতে। সেই সুবাদে যা আয় হয় তা দিয়ে যুগযুগ
ধরে আরাম আয়েশ করে কাটছে বাদশাহদের
জীবন। প্রযুক্তি, পুঁজি আর জ্ঞান বিজ্ঞানের
চর্চার অভাবে যে সারাবিশ্বের
মুসলমানরা মরছে, মার খাচ্ছে,
পিছিয়ে আছে যোজন যোজন দূর বাদশাহর
সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। বাদশাহ খুশি দান ও
খয়রাত নিয়ে।
সৌদি বাদশাহর হিম্মত নেই ইসরায়েলের
বিরুদ্ধে কথা বলার। কারণ বিবিধ। দৃশ্য ও অদৃশ্য।
সৌদি আরবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আদেল
ফাকি বলছেন, দানের
টাকা দিয়ে গাজাবাসির জন্যে ওষুধ
কেনা হবে। ওষুধ কেনা হবে তাদের জীবন
বাঁচানোর জন্যে। কিন্তু গাজাবাসির অস্তিত্ব
রক্ষার লড়াইয়ে যে অস্ত্র প্রয়োজন, মিডিয়ায়
দেখা যাচ্ছে ঘরে তৈরি রকেট নিয়ে আর পাথর
ছুড়ে গাজার মুসলমানরা এফ সিক্সটিন
জঙ্গী বিমান আর মারকাভা ট্যাঙ্ক ও স্বয়ংক্রিয়
অস্ত্রের বিরুদ্ধে লড়ছেন। তো গাজাবাসির
জন্যে অস্ত্র যোগান দেয়া কি দানের
মধ্যে পড়ে না। বাদশাহ যদি সিরিয়ায় সরকার
হটানোর জন্যে বিদ্রোহীদের অস্ত্র
যোগাতে অঢেল দান করতে পারেন তাহলে তার
অস্ত্রভান্ডার থেকে দু/চারটি অস্ত্র কেন
গাজাবাসির জন্যে যাবে না। কারণ
তা করলে ইসলাম
নিয়ে রাজনীতি করা হয়ে যায়।
বাদশাহরা পলিটিক্যাল ইসলাম চান না,
পলিটিক্যাল গণতন্ত্র চান। যে পলিটিক্যাল
গণতন্ত্র গাজার মুসলমানদের
রক্ষা করতে পারেনি।
সৌদি বাদশাহ বলেছেন, ওষুধ
কিনতে ফিলিস্তিন রেডক্রিসেন্টকে ২’শ
মিলিয়ন সৌদি রিয়েল দিয়েছেন।
বরং সৌদি বাদশাহর উচিত ইরানের
দিকে তাকানো। যে ইরানকে টার্গেট
করে সৌদি আরব অস্ত্রের পাহাড় গড়ছেন,
আদতে তা কখনো কাজে আসবে না। ইরান অন্তত
এটুকু হিম্মত দেখিয়েছে যে ফিলিস্তিনকে সব
ধরনের সাহায্য দেয়ার
ঘোষণা দেশটি দিয়েছে। ইরান যেমন বলছে,
ইসরায়েলি আগ্রাসন সহ্য করা হবে না তেমন
ভাষায় সৌদি আরবের
কথা বলতে অসুবিধা কোথায়? ইরান যেমন
ফিলিস্তিনিদের ভাই
হিসেবে ঘোষণা দিচ্ছে সৌদি আরবের উচিত
তেমন বিবৃতি দেয়া।
সূত্র :
https://www.facebook.com/sm.fakharuddin/posts/684680014920102
এক আন্ধারে জিগাইল, দুধ খাইবি?
আন্ধা বলে, 'দুধ কিভাবে খায়'?
উত্তর, 'গিলিয়া খায়'।
আন্ধা, দুধ দেইখতে কেমন?
উত্তর, বকের মত।
আন্ধা, বকের দেখতে কেমন?
আন্ধা বকের শরীরে হাত বুলাইয়া দেখিল দুধ দেখিতে এবড়ো তেবড়ো বাকা মত একটি জিনিষ! এই জিনিষ গিলিতে হইলে মরিতে হইবে। তাই আন্ধা বলিল, ভাই মাফ চাই, আমি দুধ খাইব না।
আমনের হইয়াছে সেই দশা।
আপনার মতলব ইসলামী ব্যাংকে গালি দিতে হইবে।
তারপর সেই ব্যাংকে, জামায়াত আছে,
আবার সেই জামায়াত কে গালি দিতে হইবে,
তাই জামায়াতের সাথে সৌদিকে মিলাইলতে হইবে।
সেই সৌদির মানুষেরা বড়ই খারাপ।
আর খারার মানুষের বন্ধু জামায়াত খারাপ।
জামায়াতে ছেলেপেলে হইল শিবির,
তাইলে তারাও খারাপ।
আবার ব্যাংকে সৌদির শেয়ার আছে তাইলে সেই ব্যাংক খারাপ।
বলি কি, ইসলামী ব্যাংকে তো বহু মালাউনের শেয়ার আছে, আর ব্যাংকটি খারাপ হইবার জন্য তো এই মালাউনের টাকাডাই যথেষ্ট, সৌদি আরব যাইতে হইবে কেন?
আমনের মতলব খারাপ বলে, সবশেষে গিয়া ব্যাখা গুলাও সেই দুধ আর বকের মত হইয়া যায়। নিজেই বুঝিতে পারেন না, কুন যায়গায় কি কইয়া, কি বইলা আইছেন। ভাই ক্ষ্যান্ত হোন, সেটাই মঙ্গল।
অবাদ তথ্য প্রবাহের যুগে কোন কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না ।
আপনি ব্লগে আছেন ১০ মাসের বেশি । লেখা দিয়েছেন মাত্র ১৮ টা । আপনি জামায়াত আর সৌদি আরব নিয়ে নিয়মিত লেখা দেন । এতে আপনার লেখার সংখ্যাও বাড়বে । আমরা সাধারণ লোকরা জামায়াত ও সৌদি আরবের ভাল কাজগুলো সম্পর্কে জানতে পারবো ।
তবে তাদের ভাল কাজগুলো একটা দাড়িপাল্লার এক পাশে রেখে আরেক পাশে খারাপ কাজগুলো রাখলে খারাপের দিকটাই অনেক গুণ ভারি হবে ।
জামায়াতের ভাল কাজগুলো নিয়ে লিখুন । আমি সেগুলো পড়বো ।
আর আমনে পিছনে বইসা নিন্দাবাদ করিতেছেন!!!! হাঁসের মত তুচ্ছ প্রাণী হাতির বিরুদ্ধে নিন্দাবাদ, মুর্দাবাদ করিলে হাতির কিছু আসে যায় না। কারন হাতির এক দলা পায়খানার পরিমান হাসের পুরো আকৃতির চেয়েও অনেক বেশী শক্তিশালী।
আন্নে মুসলমান হইলে আমনে লিখবেন, আমি বেআকল হইলেও গাজার মুসলমানের লাগি মন জ্বলে, বেশকম শুধু আমনের মত কারো উপর ক্ষুব্ধ হইয়া সত্য ও মিথ্যাকে গুলিয়ে ফেলিনা। আমি মনে করি সকল মানুষ ভুলের মাঝে পড়ি আছে। তাই বইলা হেই মানুষদের চৌদ্দ গোষ্টি উদ্ধার করিনা। তাদেরকে ভৎসনা করি, গালি দিইনা। পরামর্শ দিতাম থাকি একজন ডাক্তারের মত। মানে কোয়ার্ক ডাক্তার। আমনে গোস্বা, হিংসা, জিগাংসা, কটুক্তি, আক্রমণ, হেয় করা ছাইড়া দেন আর নিজেরে জ্ঞানী বইলা মনে না কইরা একজন ছাত্রের মতন আচরণ করেন।
আমনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল, আমনে লিখতে পারেন, আমি কছম খাইয়া কইলাম আমি আমনের মুরিদের মাঝে প্রথম হইব।
আপনি হয়তো বলতে চাচ্ছেন, সমালোচনামূলক লেখা না লিখে পরামর্শমূলক লেখা লিখতে ।
আমি বিনীতভাবে বলছি : জামায়াত-শিবির-এর নেতারা আর সৌদি আবর কখনো অন্যের পরামর্শ গ্রহণ করে না । এরা অগ্রণতান্ত্রিক । জামায়াতে যে বা যারা গঠণমুলক পরামর্শ দেয় বা কোন নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাদের রুকনিয়ত বাতিল করে দেয় নিজামী-মুজাহিদ-সাইদী-কামারুজ্জামান-রা । বর্তমানে তারা জেলে থাকলেও তাদের পরিবার পরিজন ও তাদের উত্তরসুরীরাও একই পথের পথিক ।
দয়া করে বলুন, আপনার কয়টা পরামর্শ জামায়াত-শিবিরের নেতারা গ্রহণ করেছেন ।
আমার লেখায় বানান ভুল আছে এবং থাকবেই । কারণ আমি দ্রুত টাইপ করি । তবে পরে আমি বানান শুদ্ধ করে নিবো ।
মানিলে মানতং
না মানিলে নরকে যাতং
এখন থেকে মুসলমানদের সব যুদ্ধে এই আপুর মত খোলা তরবারী হাতে সম্মুখ সমরে মহিলাদের দেখতে পাবো নিয়মিত - কি বলেন ফখরুল ভাই ?
নাকি পোস্ট প্রমোট করার জন্য এরকম কিছু ছবি দেওয়া শুরু করেছেন যেরকম ছেলেদের শেভিং ক্রিমের এডে মেয়েদের আনা হয় ।
আমি যা বলি তা বাস্তবে করিও । আপনি প্রয়োজনবোধ করলে আমার এই পেজটা দেখতে পারেন : https://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales
আপনি বলেছেন: এখন থেকে মুসলমানদের সব যুদ্ধে এই আপুর মত খোলা তরবারী হাতে সম্মুখ সমরে মহিলাদের দেখতে পাবো নিয়মিত - কি বলেন ফখরুল ভাই ?
উত্তরে বলছি : তরবারি যুগ শেষ হয়েছে । আধুনিক সব অস্ত্র নিয়েই আপুরা সম্মুখ সমরে অংশ নিবেন । সেই সময় উপস্হিত হয়েছে বলে মনে হয় ।
তবে উনাদের সন্মুখ সমরের কোন জেনুইন ছবি থাকলে ক্রমাগত আপডেট দিবেন [ যতদ্রুত সম্ভব] যাতে বদ্ধমূল ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে পারি ।
১৯৬৯ সালের ৩৬ বার ওআইসি-তে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল : সারা বিশ্বে একই বার ও তারিখে ঈদ করার জন্য একক হিজরী ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করার জন্য । এই ক্ষেত্রে মক্কা শহরকে ভিত্তি ধরা হয় । কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় মিসর- তুরস্ক-তিউনিসিয়া ।
ঠিক তেমনি মুসলিম দেশগুলোতে আরবী ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয় । বাধা হয়ে দাড়ায় অনারব মুসলিম দেশগুলো ।
এই বিষয়টাকে হাদিসের ভাষায় বলা হয় আসাবিয়াত । আসাবিয়াত কবিরা গুনাহ । আমি মনে করি তার চেয়ে বেশী বড় গুনাহ যদি থাকে তাহলে এটা ।
kobor jiyarot kora r kobore sejda deya ek noi.... ohabira mone hoi sejda deya k nished kore..... jiyarot noi.
apni dekhi ekbar jamater pokko nen abar bipokke jan.. apnar poricoy poriska r na hoya porjonto apnar leka puropuri grohon korte parchina..... dukkito
r ekta kotha, duniya te keu perfect noi.... apni kivabe nijer kotha gula 100% right dabi korchen?
আপনি ইংরেজী অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা লিখেছেন । আপনি হয়ত জানেন, যারা ইংরেজী ভাষায় মন্তব্য লিখে বা ইংরেজী অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা লিখে - তাদের মন্তব্যের উত্তর আমি দেই না ।
তবে আমি আপনার মন্তব্যটা বাংলা অক্ষর ব্যবহার করার পর আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করছি ।
আপনি লিখেছেন :
আপনি ইংরেজী অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা লিখেছেন । আপনি হয়ত জানেন, যারা ইংরেজী ভাষায় মন্তব্য লিখে বা ইংরেজী অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা লিখে - তাদের মন্তব্যের উত্তর আমি দেই না ।
তবে আমি আপনার মন্তব্যটা বাংলা অক্ষর ব্যবহার করার পর আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করছি ।
আপনি লিখেছেন :
আমি বুঝলাম না, ফখরুল সাহেব কোন মতবাদের লোক ।
কবর জিয়ারত করা আর কবরে সিজদা দেওয়া এক না । ওহাবীরা মনে হয়,সিজদা দেওয়া কে নিষেধ করে জিয়ারত নয় ।
আপনি দেখি একবার জামায়াতের পক্ষে নেন আবার বিপক্ষে নেন ।
আপনার পরিচয় পরিস্কার আর না হওয়া পর্যন্ত আপনার লিখা পুরোপুরি গ্রহণ করতে পারছি না ।
দ্বিতীয়ত আর একটা কথা দুনিয়াতে কেহ পারফেক্ট না । আপনি কিভাবে নিজের কথাগুলোকে ১০০ % সঠিক বলছেন ।
উত্তরে বলছি :
আপনি ইংরেজী অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা লিখেছেন । আপনি হয়ত জানেন, যারা ইংরেজী ভাষায় মন্তব্য লিখে বা ইংরেজী অক্ষর ব্যবহার করে বাংলা লিখে - তাদের মন্তব্যের উত্তর আমি দেই না ।
তবে আমি আপনার মন্তব্যটা বাংলা অক্ষর ব্যবহার করার পর আমি আমার অভিমত ব্যক্ত করছি ।
আপনি লিখেছেন :
উত্তরে বলছি :
১. আমি মুসলিম । আমার দৃষ্টিভঙ্গি কি এই লেখায় স্পষ্টভাবে বলেছি : আমার লেখা ও দৃষ্টিভঙ্গি http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/3466
২. ওহাবী – সালাফি- আহলে হাদিস- মওদুদীরা কবর ও মাজারকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতি । তারা বিন্দুমাত্র কবরে চিহ্ন রাখতে চায় না । কারণ এতে মানুষ শিরক – বিদাতে ডুবে যেতে পারে । আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন বর্তমানে নাইজেরিয়া. মালি, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, কেনিয়া, ইরাক এবং বাংলাদেশে ওহাবী- সালাফি – আহলে হাদিস- মওদুদি মতবাদে বিশ্বাসীরা কবর ও মাজার বোমা মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে । কিছু দিন আগেই তো দেখেছেন বা নেটে দেখবেন কীভাবে ওহাবীদের নতুন খলিফা বাগদাদী ইউনুস নবীর মাজার ও বিভিন্ন সাহাবীদের মাজার বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে । ISIS লিখে গুগলে সার্চ দিন তাহলে অনেক তথ্য পাবেন । বোকো হারাম লিখে সার্চ দেন অনেক তথ্য পাবেন । আল সাবাব লিখে সার্চ দেন অনেক তথ্য পাবেন। আনসারুস সুন্নাহ লিখে সার্চ দেন অনেক তথ্য পাবেন ।
৩. আমি লেখক ও গবেষকের দৃষ্টিতে নিরোপেক্ষভাবে সব কিছু বিবেচনা করি । জামায়াতের পক্ষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না । উপরন্তু জামায়াত সন্ত্রাসী দল এবং বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারী দল । কোন বিবেকবান লোক জামায়াতের অন্ধ সমর্থক হতে পারে না । তবে জাগতিক সুবিধা পাওয়ার স্বার্থে জামায়াতের সমর্থক অনেকই হয় । আমার জামায়াত হতে জাগতিক স্বার্থ বা সুবিধা পাওয়ার ইচ্ছে নেই ।
৪. আমার পরিচয় আমার লেখা পড়লেই জানতে পারবেন । আর যদি আপনি আমার লেখার সিরিয়াস পাঠক হোন, তাহলে আমিই আপনাকে আমার সাথে সরাসরি দেখা করার আমন্ত্রন জানাবো বা আমার সাথে দেখা করতে চাইলে, আমি আপনাকে সময় দিবো ।
৫. আপনি বলেছেন ,”দুনিয়াতে কেহ পারফেক্ট না । আপনি কিভাবে নিজের কথাগুলোকে ১০০ % সঠিক বলছেন ।‘
উত্তরে বলছি, আমার নিজেরও ভুল-ভ্রান্তি আছে । তাই বলে আমি অনুরাগ ও বিরাগের বশবর্তী হয়ে কখনোই ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করি না । আমি প্রচন্ড পড়াশোনা করে লেখালেখি করি । আমার নিজের বইয়ের সংগ্রহ আছে । চাকুরী করার পরও আমি প্রতি দিন ৬ হতে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করে থাকি ।
আপনাদের বিতর্ক হতে অনেক কিছু জানলাম
-বেয়াক্কেল ভাইকেও ধন্যবাদ
eto bestotar majhe somoi niye amar uttor dien...
apnake onurodh korbo ohabi,sunni kara muloto tader motobad ki seta net e ghataghati na kore tader boi pore janun.....net ekti bishal kuhelika purno jaiga....
amar android device e valovabe bangla likha jaina ty banglish e liki.... khoma korben
আপনাকে ধন্যবাদ ।
তো! আপনার ব্যপারে আমার সেই মন্তব্য এখানেও-
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : প্রিয় মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ভাই,
শুরুতেই ভন্ড গুরু সম্পর্কে আমার সাথে কিঞ্চিত একমত পোষণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি একজন ভালো পাঠক এবং লেখকও বটে, তা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারি।
আমি আপনার লেখা পড়ি কিন্তু কোন মন্তব্য করি না ঝগড়া এড়িয়ে চলার নিয়্যতে।
আপনার বেশীরভাগ লেখা জুড়ে ওয়াহাবী,জামায়াতী,সালাফী এবং আরো আপনার অপছন্দের দুল ও গ্রুপের প্রতি থাকে বিষোদগার। (মুলত এরাই কিন্তু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভূক্ত)
বাকী থাকে শিয়া এবং মাজার ব্যবসায়ী, আপনার লেখায় যাদের কোন সমালোচনা আমার চোখে পড়েনি।
আমি নিজেই একসময় মাজার ব্যবসায়ীদের সান্নিধ্যে থেকে বুঝার বাকী নেই যে, তারা ইসলামকে চরম বিকৃত করে
্উপস্থাপন করে যাচ্ছেন। প্রবাশে শিয়াদেরকে খুব নিকট থেকে দেখার কারণে তাদের অবস্থাও পরিস্কার। তবে আমি শিয়াদের মধ্যে আয়াতুল্লাহ এবং যারা কিঞ্চিত ধর্ম পালন করে তাদেরকে ভালো পাই এবং ছাত্রজীবনে আয়াতুল্লাহ খোমেনী এবং ইরানী বিপ্লবের সমর্থনে জনমত গঠনের কাজ করেছি।
আপনি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা পোষণকারীদের শুধু সমালোচনাই করে যাচ্ছেন কিন্তু আপনার অবস্থান পরিস্কার করেন নি। আশা করি আপনার সঠিক পরিচয় পেয়ে আমরা ধন্য হবো এবং আগামীতে আপনাকে আপনার স্থানে থেকে নির্বিবাদে আপনার মিশন চালিয়ে যাওয়ার সহযোগীতা করা হবে। আপনি হয় মাজার পন্থী অথবা শিয়া। আশা করি একটু পরিস্কার করবেন। ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন