ওহাবি-সালাফি-মওদুদী মতবাদ ও ইসলামের প্রেমের বানী এবং “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৮ জুলাই, ২০১৪, ০১:৪৫:০২ দুপুর
পটভুমি :
আজ ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য এই সাইটের অনেক ব্লগারের ব্লগ পোস্টে মন্তব্য করতে যাই । দু:খজনক তারা আমাকে ব্লক করেছেন । আরো অদ্ভুত ব্যাপার তারা আমাকে বিভিন্ন সময় অশালীন ভাষায় গালি গালাজ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তারা আমার পরিবারের সদস্যদেরও তারা রেহাই দিচ্ছেন না । তারা আমাকে মুনাফিক-মুশরিক-বিদাতি-পীর পুজারী-কাদিয়ানী-আওয়ামী লীগের দালাল-মাওলানা ফরিদ উদ্দিনের দোষর – সহ প্রায় ৩০ টা গালি ও উপাধিতে ভুষিত করেছেন । এই ব্যাপারে আমি বিন্দু মাত্র মর্মাহত হইনি । কিন্তু আমি তাদের ক্ষুদ্র মানষিকতা ও নোংড়া মন দেখে অবাক হচ্ছি ।
আর আজ লক্ষ করলাম ইসলাম ধর্ম সমালোচক ব্লগার গ্রামের পথে পথে “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ” গানটি শেয়ার করেছেন ( রমজানের ঐ রোজার শেষে.........................
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/8686/aakash/50253 )
। তিনি এই ব্লগ সাইটে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক হিসেবে পরিচিত ।
আমি এতে বিন্দুমাত্র বিস্মিত হইনি । কারণ এই গানের বিকল্প নেই । আর এই গানের শিক্ষা হলো :
১. তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
২. তোরে মারল' ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ব্লগ সাইট ও ফেসবুকে অনেক নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী আছেন, তাদের অনেকের লেখায় আমি মন্তব্য করি । কিন্তু কখনোও আমি তাদের গালি দেইনি । কটু কথা বলিনি । এক বার আসিফ মহিউদ্দীন-এর এক লেখায় মন্তব্য করেছিলাম । তিনি লিখেছিলেন, আমি আপনার লেখায় মন্তব্য করি না আর আমিও আপনাকে কিছু বলি না , আপনি কেন মন্তব্য করতে আসেন ? (তিনি যুক্তিতে না পেরেই এই কথা লিখেছিলেন । তারপর আমিও তার কোন লেখায় মন্তব্য করতে যাইনি । কারণ হিদায়াত বা সত্যপথ দান করার মালিক আল্লাহ নিজে স্বয়ং । সবাই যদি ইসলাম বুঝতো তাহলে আবু জাহেল আর আবু তালিব আগে ইসলাম গ্রহণ করতো । কিন্তু তাদের মতো জ্ঞানী ও বিশিষ্ট জন রাসুল সা. – এর যুগে কমই ছিল । )
ওহাবি-সালাফি-মওদুদী মতবাদ ইসলামের প্রেমের বানীর উপর প্রতিষ্ঠিত নয় বলে ওহাবি-সালাফি-মওদুদী মতবাদে দীক্ষিতরা মানুষকে মানুষ মনে করে না । তাদের আবেগ অনুভতিকে বিন্দুমাত্র মূল্য দেয় না ।
আমার অন্যতম প্রিয় গান :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামেরর লেখা
“ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ”
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় ও আনন্দের উৎসব ঈদ-উল-ফিতর নিয়ে বাঙ্গালী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কালজয়ী গান। বাঙ্গালী মুসলমানের ঈদ উৎসবের আবশ্যকীয় অংশ।
কবির শিষ্য শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমদ-এর অনুরোধে ১৯৩১ সালে কবি নজরুল এই গান রচনা ও সুরারোপ করেন।
গানটি শুনুন এই লিংক হতে : http://www.youtube.com/watch?v=q_ZdplQxyKQ
গানের কথা
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ।
তোর সোনা-দানা, বালাখানা সব রাহে লিল্লাহ
দে যাকাত, মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিঁদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে
যে ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমণ, হাত মেলাও হাতে,
তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
যারা জীবন ভরে রাখছে রোজা, নিত্য উপবাসী
সেই গরীব ইয়াতীম মিসকিনে দে যা কিছু মুফিদ
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
ঢাল হৃদয়ের তশতরীতে শিরনি তৌহিদের,
তোর দাওয়াত কবুল করবেন হজরত হয় মনে উম্মীদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তোরে মারল' ছুঁড়ে জীবন জুড়ে ইট পাথর যারা
সেই পাথর দিয়ে তোলরে গড়ে প্রেমেরই মসজিদ।
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানী তাগিদ।
রচনার ইতিহাস
প্রথম রেকর্ডিং
১৯৩১ সালে লেখার চারদিন পর শিল্পী আব্বাস উদ্দিনের গলায় গানটি রেকর্ড করা হয়। রেকর্ড করার দুই মাস পরে ঈদের ঠিক আগে আগে এই রেকর্ড প্রকাশ করা হয়। গ্রামাফোন কোম্পানি এর রেকর্ড প্রকাশ করে। রেকর্ডের অপর গান ছিল কবির ‘ইসলামের ঐ সওদা লয়ে এলো নবীন সওদাগর, বদনসীন আয়, আয় গুনাহগার নতুন করে সওদা কর। হিজ মাস্টার্স কোম্পানির রেক রেকর্ড নম্বর এন- ৪১১১। প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দ।
উপসংহার :
ওহাবি-সালাফি-মওদুদী মতবাদ-এর ধ্বজাধারী কখনোই সৃষ্টিশীল হতে পারে না । তারা কখনোই গান সংগীত ভালবাসে না । তারা মানুষকে ভালবাসে না । তারা হৃদয়গ্রাহী গান রচনা করতে পারে না । কারণ তারা বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ও অ্যানিমেট ফ্লিম বানানো তো দুর থাক শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির দুষমন ।
আমি ওহাবি-সালাফি-মওদুদি মতবাদ পরিত্যাগ করেছি এটা আমার নিজস্ব ব্যাপার । এতে আমার পরিবার পরিজন কি দোষ করেছে ? যে বা যারা এসব মতবাদের সাথে জড়িত এবং আমাকে কটু কথা বলেছেন এবং আমাকে ব্লক করে রেখেছেন – তারা আদৌও মুসলিম তো দুরে থাক তাদের মনুষ্যত্ববোধ আছে কি না সন্দেহ ।
এই ঈদের দিন বা ঈদের আগের দিন (বাংলাদেশি হিসেবে) এর চেয়ে আর বিশেষ কিছু বলার নেই আমার ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : উইকিপেডিয়া ও ইউটিউব
বিষয়: বিবিধ
২৭০৩ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাই আপনি পোস্ট নিয়ে এলেই ব্লগে বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই মুনাফিকীতে লিপ্ত হয়ে ইসলামবিরোধী পন্থায় আপনাকে গাল দেয়, যা আমিও সমর্থন করিনে। [b]আপনিও গালের জবাব গাল দিয়ে দিয়ে দেননা বলে জাহির করছেন বলেই আপনি উত্তম লোক নবীর হাদীস অনুযায়ী-এটা স্বীকার করি। কিন্তু গাল কি শুধুই মা-বোন তুলে দেয়াকেই বোঝায় নাকি নবীর কথানুযায়ী কাউকে মন্দ নামে ডাকাকেও গাল বলা হয়--বলবেন কি?
আপনি যদি নিজেকে মুসলিম ভাবেন তবে মুনাফিকদের চরিত্র আপনাকেও ত্যাগ করতে হবে। ওপরে আপনার লেখার রেফারেন্স আমি তুলে দিয়েছি--সেখানে আপনি ওহাবি-সালাফি-মওদুদি মতবাদবলে গালাগাল দিয়েছেন এবং এবং আপনার লেখায় এসব গাল বা মন্দ নামে অপমান করার বিষয়টি সবসময় লক্ষ্য করি? এতে যে একটি পক্ষ মনে আঘাত পায় তাকি বোঝেন? আর এটা কি ইসলামসম্মত পন্থা যে, আপনি মুসলিমদের চটাবেন এমন ভাষায় যা পরিহার করাই যায়?
আপনি কি গালবাজদের থেকে আলাদা হতে পেরেছেন? যেমন আপনি বলেছেন--তারা আদৌও মুসলিম তো দুরে থাক তাদের মনুষ্যত্ববোধ আছে কি না সন্দেহ। হাদীসে এভাবে মুসলিমদাবীদারকে অমুসলিম বলায় কি নিষেধাজ্ঞা নেই? আপনার এমন কাফির বলে তাদের সন্দেহ করাও কি ইসলামসম্মত নাকি সন্দেহ করা পাপ বা তোহমতদান বা মিথ্যা্রোপ হলে সেটাও কি আপনার ওপরই পড়বেনা--তাকি হাদীসে বলা হয়নি?
যাহোক, আপনার এবং গালবাজদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিলাম মাত্র। আমি আপনার লেখা পড়ি কিন্তু বিতর্কিত বিষয় পরিহার করতে পারলে আপনার ভক্ত সবাই হতো বলেই আমার ধারণা। বিষয়টা ভাববেন।
সৌদি আরবের নজদ প্রদেশের লোক মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাব ৭ টি মূলনীতির উপর মুয়াহিদীন নামক সংগঠণ কায়েম করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালান ওসমানীয়া খিলাফতের শাসকদের বিরোদ্ধে । তার প্রবর্তিত নীতি ভারতীয় ও পশ্চিমা লেখকরা ওহাবী মতবাদ বলে অভিহিত করে থাকেন ।
মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের সমর্থক-নেতা-কর্মীরা ১৮০৩ সাল হতে ১৮০৯ সাল পর্যন্ত হজ্জ বন্ধ করে রাখে । ১৮১৩ সাল পর্যন্ত তারা মক্কা শরীফ দখল করে রেখে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে । এভাবে তারা সিরিয়া, ইরাক, জর্দান, ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী তৎপড়তা চালায় ব্রিটিশদের ও অন্যান্য অমুসলিমদের সহযোগীতায় । তারা রাসুল ( সা. ) -এর কবরকেও অপবিত্র করে । তারা ইমাম হোসাইনের মাযার-সহ অসংখ্য ধর্মীয় স্হাপনাসহ ঐতিহাসিক স্হাপনা ধ্বংস করে ফেলে । অসংখ্য ইসলাম ধর্মবিদ্যা বিশারদকে তারা হত্যা করেন । তারা প্রকাশ্যেই ইসলামবিরোধীতায় লিপ্ত হোন এবং ওসমানীয়া খিলাফতের শাসকের বিরোধীতা করে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপড়তা চালাতে থাকেন অমুসলিম শক্তির মদদ ও সমর্থন নিয়ে । বর্তমানে তার বা তাদের উত্তর পুরুষ বা তাদের বংশধর বা মতবাদের সমর্থক হলো সৌদি শাসক সম্প্রদায় ।
সুতরাং কারো নামের খন্ডাংশ ব্যবহার করে অবশ্যই একটা দলের নাম করণ হতে পারে । এটা দোষনীয় কিছু নয় । ইয়াহিয়াহ্ শব্দের অর্থ জীবন্ত । কারো নাম ইয়াহিয়াহ্ রাখলেই সে মরে গেলেও জীবন্ত থাকতে পারে না । কোন দলের নাম ওহাবী রাখা হলেও তাদের আল্লাহর গুনবাচক নাম ওয়াহ্হাব হয়ে যায় না ।
উপরন্তু ওহাবী বলে যারা পরিচিত তারা সৌদি আরব এবং মিসরি মুসলিম পরিচয় না দিয়ে সালাফি বলে পরিচয় দেয় এবং সাধারন মুসলিমদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালায় । যেমন : মিসরে অত্যাচারি শাসক সিসির সাথে জোট বেধে সে দেশের স্বাধীনতাকামী মুসলিমদের সালাফিরা অত্যাচার করছে । মিসর ও ফিলিস্তিনে সৌদি আরবের ওহাবী শাসকরা মুসলিম হত্যার জন্য ইহুদি ও অত্যাচারি শাসকদের সাহায্য করছে এবং ইরাকে আইসিস নামক সন্ত্রাসীদের দিয়ে নারী নির্যাতন ও ইসলামের স্মৃতিবিজরিত স্হান ও মাজার ধ্বংস করছে । আর বাংলাদেশে তাদের অনুসারীরা ওহাবী নামে পরিচিত হলেও তারা আহলে হাদিস এবং জামায়াতে ইসলামীর সদস্য বলে পরিচয় দেয় । জামায়াতে ইসলামীর নেতা মওদুদির দৃস্টিভঙ্গি অনুসরণ করে জামায়াতের লোকরা । এজন্য দেওবন্দী আলেমরা তাদের মওদুদি বলে অভিহিত করে থাকেন ।
সুতরাং এসব বিন্দু মাত্র গালি নয় ।
তারা যদি নিজেদের সত্যিকার মুসলিম দাবি করে তাহলে তাদের উচিত সৌদি আরবের ইসলামবিরোধি কাজ এবং মওদুদির বিকৃত ধ্যান – ধারণা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাগ করা ।
আমি কখনোই অসার ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করি না ।
বরং এই সাইটে নারীদের হাত ধরা কুফরি, যৌন জিহাদ জায়েজ, নাস্তিকদের হত্যা করা ফরজ, অমুক নাস্তিক তমুক কাফির , মেয়েদের মাসিকের কাপড় ধোয়া কাপড়ের পানি খাওয়া জায়েজ , পানিতে মাছি পড়া পানিতে প্রতিশেধক আছে , পৃথিবীর চার পাশে সূর্য ঘুরে, চিত্রশিল্পি হওয়া ও এনিমশন ফ্লিম বানানো হারাম, রক্ত দান ও অঙ্গ প্রতিস্হাপন হারাম – এসব লেখা বহুল পরিমানে লেখা হয়
আমার এলাকার জামায়াতীরা আমার জানাজার নামাজ পড়েছে । যারা গালি দিচ্ছে তাদের মতে তাদের প্রিয় পাত্র হওয়ার উপায় হলো :
১. মওদুদি-ওহাবী-সালাফি মতবাদ গ্রহণ করা ।
২. তাদের কথা অনুযায়ী ও বাছাই করা তাদের মতবাদে বিশ্বাসী নিকাব পড়া কথিত সতী-পুত-পবিত্র কোন না কোন মেয়ে (খালাম্মা)বিয়ে করা ।
৩. সৌদি আরবের রাজাদের ইসলামের রক্ষক মনে করা ।
৪. মতিউর রহমান মাদানী, কাজী ইব্রাহিম, কামালুদ্দিন জাফরিকে পীরের মত ভক্তি করা ।
৫. জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেওয়া ।
৬. ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-দের সাথে উঠা বসা করা ।
৭. বাংলাদেশের ধর্মনিরোপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদী মতবাদে বিশ্বাসীর বিরোদ্ধে নিয়মিত গালি গালাজমূলক লেখা লিখা ।
ঈদের শুভেচ্ছা ও দোয়া
@শাহ আলম বাদশা :
আপনার মন্তব্য দেখে কিছু কথা বলার লোভ হলো-
আমি যতটুকু জেনেছি বুঝেছি তিনি (মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম) বিদ্বান ব্যক্তি, অনেক ভালো ভালো কাজ করেন, আমি নিজেও তাঁর অধিকাংশ কাজ পছন্দ ও সমর্থন করি, অনেক অনেক প্রতিভা ও সম্ভাবনা দেখি তাঁর মাঝে! একসময় (এসবিব্লগে) অনেক কথাই হতো! কিন্তু পরে এড়িয়ে চলতে বাধ্য হই ঐ একটিমাত্র কারণে!! আমার নিজের উপর ততটা আস্থা নেই যে কেউ খোঁচাতে থাকলেও নির্বিকার থাকতে পারবো!! "দুর্জন বিদ্যান হইলেও পরিতাজ্য!" কথাটি তাঁর জন্য প্রযোজ্য কিনা বুঝিনা!
আপনি যেমন বলেছেন-
আমিও তাঁর সকল পোস্টই পড়ি, অনেক কিছু শিখি, চিন্তার খোরাক পাই! আলোচনা করতে পারলে হয়তো আরো উপকৃত হতে পারতাম!! আমার মত আরো অনেকেই আছেন বলে মনে করি!
কিন্তু তিনি সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে লিখেন, কটুভাষা প্রয়োগ করেন এবং অপ্রাসংগিক বিষয় টেনে আক্রমণ করে বসেন! এবং তিনি তাঁর এসব অনন্য বৈশিষ্ট সংস্কার না করতেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মনে হয়!! আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!
তাঁর সত্য-মিথ্যার মিশ্রণের উদাহরণ যথারীতি এখানেও -
আপন সন্তানের জন্যও নূহ আঃ কিছুই করতে পারেন নি- রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপন চাচার জন্যও পারেন নি- এমন কি দোয়াও নয়!!
কিন্তু আমরা তো দোয়া করে যেতে পারি!!
ইসলামের সংস্কারক হিসেবে ওহাব, আলফেসানী, মওদুদী সাহেবরা যা করেছে-তার সাথে আমি অন্তত কুরআন-হাদীসের সমর্থন পাই এবং তাদের সংস্কারকে আমিও সঠিক মনে করি। কিন্তু তাদের সমর্থক যদি অপকর্ম করে, হত্যাকাণ্ড ঘটায়-তার দায় তিনি বা তারা নেবেন কেন?
নবীর সমর্থক আলী রাঃ ও আয়েশা রাঃ যে যুদ্ধ করে সাহাবীদের হত্যা করলেন, আবু বকর রাঃ এর ছেলে মুহাম্মদ যে খলিফা ওসমান এর দাঁড়ি ধরে তাকে পিটালেন এবং মাউয়াবীয়ার ছেলে যে শত শত সাহাবীসহ ইমাম হোসেনকে সপরিবারে ধ্বংস করলেন, এমন বহু ঘটনাইয়ো তো খেলাফায়ে রাশেদীনের সময় ঘটেছে? এজন্য কি নবী সাঃ, আলী রাঃ, ওসমান রাঃ, আয়েশা রাঃ কেই দায়ী করতে হবে যেহেতু তাদের সমর্থকরাই এসব জঘন্য রক্তারক্তি করেছে?
এর জবাব যদি হ্যাঁ হয়, তবে ওহাবীদের রক্তারক্তির জন্য ওহাব সাহেবকে দায়ী করা যায়। যদিও আল্লাহর বিচার আপনার মতোন হবেনা।
কাজেই আবেগে চললেই হবেনা--সাদাকে সাদাই বলতে হবে।
অচিরেই বই বের করছি : ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় এবং খেলাফত ধ্বংসে সৌদি আরব, মক্কার শাসক শরীফ হোসেন এবং ওহাবী-সালাফি-আহলে হাদিস-দের ভুমিকা ।
এই লেখায় দেখবেন সৌদি আরব আর ওহাবীরা কি জিনিস । এই কালই তো সৌদি যুবরাজ তুর্কি বল্লেন মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস আর গণহত্যার জন্য হামাস দায়ী ।
এত দিন শয়তান চেনা যায়নি । সৌদি আরবের মুরশী উৎখাত আর হামসে ইসরাইলের গণহত্যার ঘটনার পর শয়তান আর ইসলামের ছদ্দবেশী দুষমনদের ভালভাবে চেনা যাচ্ছে ।
অবাদ তথ্য প্রবাহের যুগে কোন কিছুই লুকিয়ে রাখা যায় না ।
উপরন্তু আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করা এবং আমাকে গালি গালাজ করা এবং নেটে ও বাস্তব জীবনে তাদের অশুভ তৎপড়তার কারণেই আমি তাদের বিরোদ্ধে কলম ধরতে বাধ্য হয়েছি ।
ওহাবি-সালাফি-মওদুদী মতবাদ দোষ করলে বা ভুল করলে তারা তা কখনোই স্বীকার করেন না । এটা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। তাদের আরেকটা বৈশিষ্ট্য তারা নিজেরই শুধুমাত্র মুসলিম মনে করেন । তাদের দলভুক্ত নয় এমন মুসলিমদের তারা কাফির মনে করেন । সত্যিকার কাফিরদের পর্যন্ত তারা রেহাই দেয় । কিন্তু তাদের দলভুক্ত নয় এমন মুসলিমদের তারা প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করতেও দ্বিধা করে না । এমনটি আমরা এদের গড ফাদার মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওয়াহ্হাবের সময়ও দেখছি ।এখন মিশর ও ইরাকে ওহাবী সন্ত্রাসীর দেখছি । তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ববোধ নেই । তাদের মধ্যে বিন্দুমাত্র দয়া-মায়া-মহব্বত নেই ।
আপনি এভাবে নতুন ইতিহাস বানালে এবং সেরা মানুষদের নামে যাতা বলে আর যাহোক--ঝগড়াই বাড়াবেন।
কারো মন্দ নামে ডাকা হারাম--তাকেও আপনি দোষণীয় মনে করেন না। ওহাব সাবের নামে যে ওহাবী লকব চালু করেছেন--পরকালে তিনি আপনার বিরুদ্ধে তার নাম বিকৃতির অভিযোগ আনলে কী জবাব দেবেন। ম্যারাথন বিতর্ক এড়াতে চাই বলেই ক্ষান্ত দিলাম।
অচিরেই বই বের করছি : ইসরাইল প্রতিষ্ঠায় এবং খেলাফত ধ্বংসে সৌদি আরব, মক্কার শাসক শরীফ হোসেন এবং ওহাবী-সালাফি-আহলে হাদিস-দের ভুমিকা ।
এই লেখায় দেখবেন সৌদি আরব আর ওহাবীরা কি জিনিস । এই কালই তো সৌদি যুবরাজ তুর্কি বল্লেন মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস আর গণহত্যার জন্য হামাস দায়ী ।
এত দিন শয়তান চেনা যায়নি । সৌদি আরবের মুরশী উৎখাত আর হামসে ইসরাইলের গণহত্যার ঘটনার পর শয়তান আর ইসলামের ছদ্দবেশী দুষমনদের ভালভাবে চেনা যাচ্ছে ।
তবে এতটুকু বলছি : আমি কখনোই মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য উপস্হাপন করি না । কখনো ভুল তথ্য দিলে পরবর্তীতে সংশোধনমূলক লেখা দেই এবং ভুল স্বীকার করি ।
জামায়াত বাংলাদেশিদের দল নয় । এরা মা মাটি ও মানুষের রাজনীতি করে না । জামায়াতের রাজনৈতিক দর্শন মওদুদী দর্শন এবং জামায়াতের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি হলো ওহাবী মতবাদ । এই দুই মতবাদই আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধবিরোধী ।
আর এজন্যই জামায়াত ৭৫ বছর এই দেশে কাজ করে কোন সফলতা পায়নি আর পাবেও না । উপরন্তু জামায়াতের লোকরা বিকৃত ওহাবী মতবাদের ধারক বাহক হওয়ায় তারা হাসরের মাঠে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন