ওহে ভাই সকল ! রাস্তার পাশে ভগিনীদের সামনে দাঁড়িয়ে মুত্র বিয়োগ করিবেন না । নুনু প্রদর্শন করিবেন না ! (১০০ % কপি পেস্ট ফ্রম ফেসবুক )

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৭ জুলাই, ২০১৪, ০৯:৩৬:১৮ রাত



ঢাকার মিরপুরে বাংলা কলে হতে টেকনিক্যাল মোড় পর্যন্ত রাস্তা পাশে বিভিন্ন বয়সের ছেলেরা দলভেদে দাড়িয়ে যখন তখন পানির ট্যাপ ছেড়ে দেন । মেয়েদের সামনেই তারা পানির ট্যাপ ছেড়ে দেন । তারা অশ্লীলভাবে তাদের নুনু ধরে মুত্র বিয়োগ করেন ।

অনেক সময় তারা এতটাই বেপরোয়া থাকেন যে অনেক সময় তাদের নুনু পর্যন্ত তারা প্রদর্শন করে ফেলেন । তাদের এই নির্লজ্জ ও বেহায়াপনামূলক কাজের জন্য দুইটি মোবাইল টয়লেট বসানো হয় । তাতে বিনামূল্য মুত্র ত্যাগ করার ব্যবস্হা রাখা হলেও খুব সম্ভবত তারা মেয়েদের কাছে তাদের পৌরুষ প্রদর্শনের জন্য এই কাজ অব্যহত রেখেছেন ।

এই অবস্হা সম্পূর্ণ ঢাকা শহরের সর্বত্র বিরাজ করছে ।

এধরনের খোলা প্রসাব খানার দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলার পথে সাধারন লোকজনদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। চলাচলরত লোকজন যখন রাস্তার পাশ দিয়ে যান তখন নাকে কাপড় না ধরলে তারা এই দীর্ঘ রাস্তাটুকু পার হতে পারেন না । এধরনের কর্মকান্ডের ফলে বায়ু ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।



এব্যাপারে অত্র এলাকা কিছু মেয়ে ও বাংলা কলেজের ছাত্রী বেশ কয়েক বার অধ্যক্ষ এবং এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার মহোদয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠান । (অত্র এলাকার এমপি মহোদয় আশলামুল হক আছলামের দৃষ্টি আকষর্ণও করা হয়েছিলো । এমন কি এলাকার মজদিসের ইমাম - খতিবদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিলো । ) কিন্তু এতে কোন প্রতিকার হয়নি । এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কখনো কোন উদ্যোগ নেয়নি।

ওহে ভাই সকল !

গ্রাম গঞ্জে রাস্তা ঘাটে হাটে মাঠে মোট কথা যেকোন জায়গায় যদি মারাত্বক কোন ওজর ব্যতীত শুধু পেন্টের প্রব্লেম বা মনের ভিতর লুকিয়ে থাকা পঁচা মানসিকতা নিয়ে কোন ছেলে দাড়িয়ে পেন্টের চেইন খুলে পানির ট্যাপ ছেড়ে দেয় । তাহলে সবাই জেনে রাখুন যে,তার স্বভাব আর কুকুর তথা কুত্তার স্বভাবের মধ্যে বেশ পার্থক্য নেই । যা পার্থক্য আছে তা হচ্ছে তার দুই পা আর কুকুরের চার পা।



ওহে ভাই সকল !

মেয়েদের পোশাক আর নগ্নতা নিয়ে বহু লেখা-লেখি হয় । অস্বীকার করবো না কিছু মেয়েদের পোশাকের কারনে আমাদেরকে চরম বিব্রত হতে হয় এবং লজ্জায় পড়তে হয়!



কিন্তু পর্দা কি শুধু মেয়েদের জন্য? তাহলে একটা ছেলে রাস্তায় যেখানে সেখানে কেন দাঁড়িয়ে গিয়ে পানির ট্যাপ খুলে দেয়? মুত্র বিয়োগ করে ? নুনু প্রদর্শন করে ?

সেটা দেখে কি আমরা মেয়েরা বিব্রত হই না?

ওহে ভাই সকল !

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গেলেই দেখা যায় কোন না কোন ভ্রাতা রাস্তায় দাঁড়িয়ে পানির ট্যাপ ছেড়ে দিয়েছেন । বাসে করে লং রুটে কোথাও যাবো, দেখা যায়- বাস থামিয়ে ভ্রাতাবৃন্দ ঠিক পাশেই বসে বা দাঁড়িয়ে পানির ট্যাপ ছেড়ে দেন ।

ভেবে দেখার প্রয়োজন বোধ করেন না, এতে মেয়েরা বিব্রত হতে পারে!

ওহে ভাই সকল !

আসলে চোখের ও মনের পর্দা ছেলে-মেয়ে উভয়কে করতে হবে । সংযত হয়ে ছেলে-মেয়ে উভয়কেই চলতে হবে । কিন্তু আমরা তা করি না!

মনে রাখতে হবে একটা মেয়ের পোশাকের কারনে যদি কোন ছেলে উত্তেজিত হয় বা নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারেন, তাহলে একটা ছেলেকে খালি গায়ে দেখলে একটা মেয়েরও সেরকম বোধ আসতে পারে !



কাজেই পোশাক বা চাল-চলনে ছেলে-মেয়ে উভয়কেই শালীনতা বজায় রেখে চলতে হবে আর বাকিটা নিজের মানসিকতা, রুচি আর ঈমানের উপর নির্ভর করে! কারণ আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন , লজ্জা ঈমানের অঙ্গ ।

পানির ট্যাপ শুধু মেয়ে কেন কোন পুরুষের সামনেও বিয়োগ করার নিয়ম নেই ।



ওহে ভাই সকল !

লজ্জা ঈমানের অঙ্গ । নারী পুরুষ সকলের মধ্যেই লজ্জাশীলতা থাকা অপরিহার্য ।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ঈমানের ৭০টির অধিক শাখা প্রশাখা রয়েছে । তন্মধ্যে সর্বোত্তম হল 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' একথা বলা এবং সর্বনিন্ম স্তর হল রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরানো । আর লজ্জা হল ঈমানের একটি শাখা । (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)

নবী করীম (ছাঃ) আরও বলেছেন, 'লজ্জা ও ঈমান অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত । সুতরাং এর একটি তুলে নেয়া হলে অপরটিও তুলে নেয়া হয় । অন্য বর্ণনায় আছে, "যখন উভয়ের কোন একটিকে ছিনিয়ে নেয়া হয়, তখন অপরটি তার পশ্চাতে অনুগমন করে" (বায়হাক্বী, হাকিম, মিশকাত)



আবু উমামা (রাঃ) রাসূল (ছাঃ) হতে বর্ণনা করেন, 'লজ্জা ও মিতভাষীতা (অল্প কথা বলা) ঈমানের দুটি শাখা । আর অশ্লীলতা ও বাকপটুতা (বাচালতা) মুনাফিকীর দুটি শাখা' (তিরমিযী, মিশকাত)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ । আর ঈমানের স্থান জান্নাত । পক্ষান্তরে নির্লজ্জতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ । দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম" (আহমাদ, তিরমিযী)

তিনি আরো বলেন, 'পূর্ববর্তী নবীগণের বাণী হতে পরবর্তী লোকেরা (অবিকৃতাবস্থায়) যা পেয়েছে এবং (যা অদ্যাবধি বিদ্যমান) তা হল, তুমি যখন নির্লজ্জ (বেহায়া) হয়ে যাবে, তখন তোমার যা ইচ্ছা তাই কর" (বুখারী)

ওহে ভাই সকল !

عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ مَرَّ عَلَى رَجُلٍ مِنَ الأنْصَار وَهُوَ يَعِظُ أخَاهُ في الحَيَاءِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ: « دَعْهُ، فَإنَّ الْحَيَاءَ مِنَ الإيمَانِ ». متفقٌ عَلَيْهِ

বাংলা অনুবাদ :

ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসার ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন। যিনি তার ভাইকে লজ্জার ব্যাপারে উপদেশ দিচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাকে ছেড়ে দাও। কেননা, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ।’’

[বুখারি ২৪, ৬১১৮, মুসলিম ৩৬, তিরমিযি ২৬১৫, নাসায়ি ৫০৩৩, আবু দাউদ ৪৭৯৫, আহমদ ৪৫৪০, ৫১৬১, ৬৩০৫, মুওয়াত্তা মালিক ১৬৭৯]

আমার এই ওয়াজ যদি ভাল লাগে, তাহলে কাল হতে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে পেছাব করবেন না এবং খালি গায়ে বা থ্রি কোয়াটার প্যান্ট বা হাফ প্যান্ট পড়ে বা সেন্ডো গেঞ্জি পড়ে রাস্তা দিয়ে বেআব্রু ভাবে চলাফেরা করবেন না ।

যদি করেন, তাহলে ধরে নিবো আপনি মুসলিম নয় । আপনি ভারতের হিন্দু কুকুর যারা মেয়েদের দেখা মাত্র ধর্ষণ করে আর নোংড়াভাবে চলাফেরা করে ।

কৃতজ্ঞতা : রিফাত রিজওয়ানা ডোনা https://www.facebook.com/rijuwana93/posts/751077658271275

পোস্টের কিছু ছবি নেট হতে সংগৃহিত । পোস্টের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধায় ছবিগুলো দেওয়া হলো ।

বিষয়: বিবিধ

৫৫৫১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

248862
২৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৯:৫৭
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আরো তথ্য :
এই লেখাটাতে ঢাকার মিরপুর সেকশন ১ এর কথা বলা হয়েছে । এই এলাকার অবস্হা ভয়াবহ । রিক্সাওয়ালা হতে ভদ্র লোক পর্যন্ত যেখানে সেখানে পেছাব করতে বসে যান । এমন কি রাস্তার উপরের ওভার ব্রীজের উপর । এরা পবিত্র মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠকেও রেহাই দিচ্ছেন না ।

মসজিদুল আকবর ঈদগাহ মাঠ, ১০ নং ওয়ার্ড ঈদগাহ মাঠ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্হানও এসব লোক বাদ দিচ্ছেন না ।
প্রতি বছর ঈদের নামাজের সময় ঈগগাহ মাঠগুলো পরিস্কার করার জন্যই ২০ হাজার হতে ১ লাখ টাকা খরচ করতে হয় । তারপরও অনেক সময় ঈদের নামাজ পড়তে গেলে সিজদার স্হানে পেছাবের গন্ধ পাওয়া যায় ।

এই লেখা যারা পড়ছেন, তাদের কাছ হতে সুচিন্তিত পরামর্শ আশা করছি ।
248866
২৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:০৩
সুশীল লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
২৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৪৮
193407
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হাসির কি হলো ?

আমি তো ঈদের নামাজ ঠিকভাবে পড়তে পারবো কি না সন্দেহ । ঈদগাহ মাঠে পেছাবের গন্ধে নামাজে মনযোগ দেওয়া যায় না । আবার আছে দুই পাশে নোংড়া ড্রেন ।

আর পেছাব করা ভাইদের কারণে মা-বোন-দের সাথে নিয়ে রাস্তায় সাভাবিকভাবে হাটতে পারছি না ।

আপনি আমাদের দু:খে দু:খিত না হয়ে হাসছেন ?

খুবই দু:খ পেলাম ।

আপনি কি রাস্তার পাশে দুই হাতে নুনু ধরে পেছাব করেন ?

উত্তর না দিলেও সমস্যা নেই । ধরে নিচ্ছি আপনি সেই দলের লোক না ।
248887
২৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৪০
২৭ জুলাই ২০১৪ রাত ১০:৫৫
193408
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : Punishment for urinary excretion শিরোনামের আপনার দেওয়া ভিডিওটা দেখলাম । আর হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম । এই ভিডিওটা যে না দেখবে সে অনেক কিছু মিশ করবে । তার জীবেনর অর্ধেকই অপূর্ণ থাকবে ।


আপনাকে আমার বাকি লেখাগুলো পড়ে সুচিন্তিত মন্তব্য করার জন্য অনুরোদ করা হলো ।
২৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:০৭
193439
গোনাহগার লিখেছেন : ধন্যবাদ

ইনশাআল্লাহ, সাথে আছি, আমার সাথেও থাকবেন আশা করি।
248969
২৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৫:০১
শুকনা মরিচ লিখেছেন : ভাই কথাগুলো যথেষ্ট সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন।তাই লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো লাগলো।
২৮ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
193443
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ ।
249409
৩০ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:০৭
আলইগ ইবনে লেণদুপ দোরজি বিন মিরজাফর লিখেছেন : ফখরুল ভাই ভাল লিখছেন।অনেক ধন্যবাদ
সরকারী ভাবে এটার ব্যাপারে আইন করা উচিত।
৩০ জুলাই ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯
193826
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এব্যাপারে কঠোর শাস্তিমূলক আইন করা উচিত ।
কাল ঈদের দিন দেখলাম কিছু লোক ঢাকা মায়াকাননে এক এমপি-র বাড়ির সামনে এভাবে পেছাব করছে । এথেকে বোঝা যায় সাধারণ লোকের বাড়ির সামনে এসব অভদ্ররা আরো বাজে কাজ পর্যন্ত করতে পারে ।
ধন্যবাদ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File